একতার কণ্ঠঃ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা কিশোরীর জন্ম দেওয়া শিশুটির জৈবিক (বায়োলজিক্যাল) পিতা টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির নন। শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ তথ্য এসেছে।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর সোমবার (৯ অক্টোবর) শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ গোলাম কিবরিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর গোলাম কিবরিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, কিশোরীর জন্ম দেওয়া শিশুটির জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া নন বলে ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনে এসেছে। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে গোলাম কিবরিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রইল। এখন তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
মামলাটিতে গত ১১ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে গোলাম কিবরিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল।
আবেদনটি গত ১২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত গোলাম কিবরিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। ধর্ষণের মামলা করা কিশোরীর জন্ম দেওয়া শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
ধার্য তারিখে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আপিল বিভাগ ডিএনএ পরীক্ষাসংক্রান্ত ১২ জুলাই চেম্বার বিচারপতির দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি ৯ অক্টোবর শুনানির জন্য তারিখ রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার শুনানি হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পি। গোলাম কিবরিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন, গোলাম সারোয়ার ও তারেক মো. বিন আসাদ।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পি গণমাধ্যমকে বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের পর শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে আসে। পরে প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়।
গোলাম কিবরিয়া টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। তিনি (গোলাম কিবরিয়া) জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতিরও মহাসচিব।
উল্লেখ্য, এক কিশোরী বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও মামলায় আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে কিশোরী উল্লেখ করে, গোলাম কিবরিয়া তার আত্মীয় ও পূর্বপরিচিত। সম্প্রতি পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে কিশোরীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের বিষয়টি গোলাম কিবরিয়াকে জানানোর পর তিনি সমাধানের আশ্বাস দেন।
মামলায় কিশোরী অভিযোগ করে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়া শহরের আদালতপাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে তাকে (কিশোরী) ডেকে নেন। সেখানে তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন গোলাম কিবরিয়া। পরে তাকে ধর্ষণ করে তার আপত্তিকর ছবি তুলে রাখা হয়। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য গোলাম কিবরিয়া তাকে ভয়ভীতি দেখান। আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে কিশোরী মামলায় অভিযোগ করে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মাদক বহনের দায়ে আমিনুর রহমান নামে এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার(৫ অক্টোবর ) দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোস্তফা শাহরিয়ার খান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান ।
দণ্ডিত মো. আমিনুর রহমান (৩৯) মির্জাপুর উপজেলা পানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আকবর খান জানান, ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল ওই উপজেলার পাকুল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সন্দেহবশত আমিনুরকে আটক করে।
এসময় তার কাছ থেকে ১০০ গ্রাম মাদক হেরোইন জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ডিবির এসআই মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই ওবায়দুর রহমান ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।
রায়ে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে ১০টন নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ক্ষুদিরামপুর শুভ হোটেলের সামনে একটি কাভার্ডভ্যানে অভিযান চালিয়ে ওই পলিথিন জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমান ওই অভিযান চালায়।
টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গোপণে সংবাদ পেয়ে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার খুদিরামপুর শুভ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে একটি কাভার্ডভ্যানে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় ওই কাভার্ডভ্যান থেকে ১০টন নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত কাভার্ডভ্যানের ড্রাইভারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পলিথিন ভর্তি কাভার্ডভ্যানটি রাজশাহী যাচ্ছিল।
তিনি জানান, অভিযানকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুুলতানা রাজিয়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুুহিন আলম। এ সময় জেলা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ভাসানী হলের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে ৪ মাদকসেবীকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন এই আদালত।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে মাদকসেবীদের ১ জনকে ১ বছর ও ৩ জনকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদাল টাঙ্গাইল পৌরসভার কালিপুর এলাকার স্বর্গীয় নগা কর্মকারের ছেলে উদয় কর্মকারকে (৩৫) ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে।
এছাড়া ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্ত তিনজন হলেন – টাঙ্গাইল পৌরসভার বেড়াডোমা এলাকার স্বর্গীয় পরেশ মেহতার ছেলে রবিদাস মেহতা (৪৬), একই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের বীরপুষিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হোসেন মিয়া (২৯) ও গালা ইউনিয়নের বেলটিয়াবাড়ী গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে ফজলু (৪২)।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম জানান, শহরের পরিত্যক্ত ঘোষিত ভাসানী হলে প্রায়ই মাদকাসক্তদের আসর বসে থাকে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছিল। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে এমন গোপন খবর পেয়ে ভাসানী হলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৪ জন মাদকসেবীকে হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযান পরিচালনাকালে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও জেলা পুলিশ সহযোগিতা করে। মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে আলোচিত শিশু শিক্ষার্থী সামিয়া (৯) হত্যাকান্ডের ২২ দিন পর মূল আসামি সাব্বির হোসেনকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর)রাতে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)বিকেলে সখীপুর থানা কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ ও সখীপুর থানা পুলিশের সমন্বয়ে যৌথদল এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার সাব্বির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ঋণের টাকার পরিশোধ করতে সাব্বির মুক্তিপণের পরিকল্পনা করেছিল। সে ছিল ঋণগ্রস্ত। পাওনাদার তাকে ঋণ পরিশোধে চাপ দিচ্ছিল। পাওনাদারদের কথায় অপমানও বোধ করে সে ৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিদ্ধান্ত নেয়, এমন কাউকে সে ‘অপহরণ’ করবে, যার বাবার কাছে নগদ অর্থ আছে এবং নগদ অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সে ‘মুক্তিপণ’ হিসেবে নিতে পারবে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী শিশু সামিয়ার পরিবারের কাছে নগদ অর্থ আছে। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে (সামিয়া) অপহরণের সিদ্ধান্ত নেয় সাব্বির।
তিনি আরও জানান, সে পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ঘটনার দিন (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে সামিয়া বিদ্যালয় থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে সাব্বির তার নিজের মুদির দোকান থেকে নেমে সামিয়ার পিছু ছুটে। সামিয়া তার বাড়ির ২০০ গজ মধ্যে পৌঁছালে হঠাৎ করে পেছন থেকে তার (সামিয়া) গলার মধ্যে চেপে ধরে পাশের বাঁশ ঝাড়ের দিকে নিয়ে যায়। বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গেলে সামিয়া বাঁচার জন্য আকুতি-মিনতি করে বলে পুলিশ সুপারকে জানায় গ্রেপ্তার সাব্বির। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলেও জানায় সাব্বির।
পুলিশ সুপারকে আরও জানায়, মুক্তিপণের জন্য সিদ্ধান্ত নিলেও, যখন সামিয়া সাব্বিরকে চিনে ফেলেছে এবং ছেড়ে দিলে তার মহাবিপদ হবে, ভেবে সে সামিয়াকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বঁাশের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে।সাব্বির পুলিশ সুপারকে আরও জানায়, সকাল নয়টার মধ্যে সামিয়াকে হত্যার পর সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে ‘ইমু’ আইডি থেকে অডিও বার্তায় ৫ লাখ টাকা ‘মুক্তিপণ’ দাবি করে সামিয়ার বাবার মোবাইলে পাঠায়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, সাব্বির জানায় ‘সে একাই সামিয়াকে খুন করেছে’। মুক্তিপণই ছিল তার মূল পরিকল্পনা।
গ্রেফতারকৃত সাব্বির উপজেলার দাড়িয়াপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার সাব্বির হোসেন ও সামিয়ার বাবা প্রতিবেশী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস)। খুনের রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ ও সখীপুর থানা পুলিশের সমন্বয়ে যৌথদল কাজ করছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। খুনের মূল ও একমাত্র আসামি সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিকতর তদন্ত চলছে। ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আসামি সাব্বিরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ খাদিজা আক্তার (২৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার কথিত স্বামী রাশেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৪)।
বৃহস্পতিবার( ২৮ সেপ্টেম্বর)ভোরে ঢাকার সাভারের আমতলীর মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রাশেদুল ইসলাম (৩৫) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের নলখোলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১৪ সিপিসি-৩ টাঙ্গাইলের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ ও র্যাব-১ এর যৌথ একটি দল অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ খাদিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যা কান্ডের পর থেকে রাশেদ পলাতক ছিল।
তিনি আরও জানান,খাদিজা আক্তার ও রাশেদ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে টাঙ্গাইল শহরের বটতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের পর তাদের বিয়ের বিষয়টি খাদিজা আক্তারের পরিবারের লোকজন জানতে পারেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর খাদিজা আক্তারের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন বাসায় গিয়ে রুমের দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজন ও বাসার মালিকসহ তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে তারা খাদিজা আক্তারকে খাটের উপরে পড়ে থাকতে দেখতে পান।
এসময় খাদিজার পায়ের গোড়ালীর পিছনের রগ কাটা ছিল। ঘটনার পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর খাদিজা আক্তারের বড় ভাই ইমান আলী (২৫) বাদী হয়ে রাশেদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুল ইসলাম জানায়, মুন্নি আক্তার নামে তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান রয়েছে। খাদিজা আক্তারের সম্পর্কের কথা এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্বের স্ত্রীর সাথে তার মনোমালিন্য ছিল। খাদিজাকে নিয়ে সংসার করা অবস্থায় খাদিজা আক্তারও রাশেদের কাছে টাকা দাবি করেন।বারবার টাকা দাবি করায় এক পর্যায়ে রাশেদ উত্তেজিত হয়ে খাদিজাকে হত্যা করে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে ও মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক শফিকুল ইমলামকে (৩০) গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ইসলাম উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলের গাবসারা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক।
এরআগে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে ও মুখ চেপে ধরে শফিকুল জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং হাত বেঁধে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় ডাক-চিৎকারে তার মা ও বড় বোন এসে ওড়না দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ বিষয়টি পরে কিশোরী তার বাবাকে জানালে মা ও বড় বোনকে সাথে নিয়ে শফিকুলের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা বললে শফিকুলের পরিবারের লোকজন রাতে শফিকুলকে সাথে নিয়ে তাদের বাড়িতে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং উপর্যুক্ত বিচার করে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। পরে বিচারের কথা বলে তালবাহানা করতে থাকে তারা।
এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি )মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা সোমবার রাতে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই ধর্ষক শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কাঁচাবাজারে সরকার নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে ৫ ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা সদরের কাঁচাবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও )শাকিলা বিনতে মতিন মির্জাপুর কাঁচাবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি করায় ব্যবসায়ী মামুন মিয়াকে ৫ হাজার, মোছলেম মিয়াকে ৩ হাজার, মাজম আলীকে ২ হাজার, আব্দুল মান্নানকে ২ হাজার ও মোঃ হোসনকে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
পরে ব্যবসায়ী মামুন মিয়া, তার ভাই মনজু মিয়া ও মোছলেম মিয়া মিলে কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য হুমকি দেন বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। এ অবস্থায় কাঁচাবাজার বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাজারে গিয়ে বিপাকে পড়েন ক্রেতারা। প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কিনতে না পেরে অনেকেই ফিরে যান।
পরে বাজারের ইজারাদার কমিটির সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক বাজারে যান এবং সব ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে পুনরায় দোকানপাট চালু করেন।
মির্জাপুর বাজার ইজারাদার কমিটির সভাপতি রাঙ্গা শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জানান, বাজারের ব্যবসায়ী মামুন মিয়াসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করছিলেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন। বাজারের পরিবেশ নষ্ট করতে মামুন মিয়াসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী বিভিন্ন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। সাধারণ ব্যবসায়ীদের মামুন মিয়া ও তার ভাইসহ তাদের লোকজন হুমকি দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করান বলে ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।
এছাড়া তাৎক্ষণিক ইজারাদার কমিটির সদস্যরা বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত না হয়ে পুনরায় দোকানপাট খোলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তারা জানান।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, ইতিপূর্বে তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। অতিরিক্ত দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানা পুলিশের টানা ৭২ ঘন্টার বিশেষ অভিযানে শরিফুজ্জামান সোহাগ (৪০) নামে দেড়কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রাপ্ত এক পলাতক আসামীকে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত শরিফুজ্জামান সোহাগ কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের সল্লা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
পুলিশ জানায়,টানা ৭২ ঘন্টা অভিযানের পর সোমবার(২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে এএসআই মনিরুজ্জামান ও এএসআই আশিকুজ্জামান বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা এলাকা হতে ৫ টি সিআর সাজা ও ৩ টি সিআর গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ দেড় কোটি টাকা অর্থদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী শরিফুজ্জামান সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, আসামী শরিফুজ্জামানের সোহাগ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও অর্থদণ্ড জারির পর দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। পরে টানা ৭২ ঘন্টা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা এলাকা হতে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে দেওপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।টা
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ জানান, আসামীদের ঘাটাইল-বাসাইল আমলী আদালতে উপস্থিত করে জামিন চাওয়া হয়। পরে আদালতের বিচারক ইসমত আরা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের ঘাটাইল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, টাঙ্গাইল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জারিকারক মোশারফ হোসেন রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়ার শামসুল হকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের সমন জারী করার জন্য যাচ্ছিলেন। দেওপাড়া ভাঙা ব্রিজের কাছে পৌঁছলে অভিযুক্তরা মোশারফ হোসেনের পথরোধ করে। মোশারফের কাছে ১০০ টাকা দাবি করলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে মোশারফ হোসেনকে মারধর করে অভিযুক্তরা। সেখান থেকে রক্ষা পেয়ে বিষয়টি তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করেন। পরে ঘাটাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উজ্জল সিকদার, মো. আলম ও নাজমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরবর্তীতে আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ জানান, আসামীদের ঘাটাইল-বাসাইল আমলী আদালতে উপস্থিত করে জামিন চাওয়া হয়। পরে আদালতের বিচারক ইসমত আরা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলামের (৪০) বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ফলে ওই স্কুল ছাত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ধর্ষক নজরুল ইসলাম উপজেলার আগচারান এলাকার মৃত খালেক মিয়ার ছেলে। নজরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী।
জানা যায়, গত রোববার ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক নজরুলের বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
মেডিকেল রির্পোটের ভিত্তিতে জানা যায়, দীর্ঘদিন বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের ফলে স্কুল ছাত্রীটি বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ফলে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নজরুলের স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রীকে মাঝে মধ্যে সাংসারিক কাজের জন্য ডেকে নিয়ে যেতো। একদিন নজরুল জোরপূর্বক ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি ঘরে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের কথা বাড়িতে বা কাউকে বললে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। এভাবে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ই সে ওছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিল অভিযুক্ত নজরুল।
ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার শরীরের পরিবর্তন ঘটে। ফলে পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তখন সে নজরুলের ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষক নজরুল এখনো ধরা-ছোয়ার বাইরে।
ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী জানায়, নজরুল ইসলামের স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ায় সাংসারিক কাজের কথা বলে আমাকে মাঝে মধ্যে তার বাড়িতে ডেকে নিতো। একদিন নজরুল জোরপূর্বক ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি ঘরে নিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে বললে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় আমাকে।
ওই স্কুলছাত্রীর মা বলেন, নজরুল আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। সে প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করার কারণে আমরা ভয়ে আছি। আমার মেয়ের মতো আর কারো সর্বনাশ জানি না হয়। প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ কামরুল ফারুক জানান, মামলার পর ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানও চলমান রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তদারকিমূলক অভিযানে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) সকালে কালিহাতী উপজেলার বাঘুটিয়া বাজারে ৩ টি ঔষধের দোকানে এ জরিমানা করেন।
জানা গেছে,টাঙ্গাইলের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শিকদার শাহীনুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি টীম কালিহাতী উপজেলার বাঘুটিয়া বাজারে তদারকি করে প্রচুর পরিমানে মূল্য বিহীন ঔষধ পায়।এ অভিযোগ প্রিয়াংকা ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা কল্পনা ফার্মেসীকে ৫, হাজার টাকা, লাইসেন্স ব্যাতীত প্রচুর পরিমানে মূল্য বিহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় ব্রাদার্স মেডিকেল হলকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ২০ হাজার টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হয়।
এছাড়া টাঙ্গাইলের পার্কের বাজারে আলু , পেয়াজের আড়তে মূল্য তদারকি করা হয়েছে।
এ অভিযানে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। ব্যবসায়িদের ক্রয়/বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শণ করতে অনুরোধ জানানো হয় এবং সচেতন করতে লিফলেট, প্যামপ্লেট বিতরণ করা হয়।
এই তদারকিমূলক অভিযানে সহায়তা করেন জেলা পুলিশ টাঙ্গাইল।