একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক-ড্রাম ট্রাক, কভারভ্যান, ট্যাংকলড়ী, মিনি ট্রাক ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে বালা-মাহতাব পরিষদের কমিটিকে অবৈধভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গোলাম-সোবহান পরিষদ।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নগর জলফৈ এলাকায় শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করে শ্রমিক ও নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, জেলা ট্রাক-ড্রাম ট্রাক, কভারভ্যান, ট্যাংকলড়ী, মিনি ট্রাক ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রার্থী গোলাম মোস্তফা, শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সোবহান মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি বাদশা মিয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ঝলক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদ, সাবেক সহ-সড়ক সম্পাদক আব্দুর রশিদসহ অনান্য শ্রমিক নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, আমরা সবাই আশা করেছিলাম একটি প্রতিযোগিতামূূলক সুষ্ঠ এবং সুন্দর ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু একটি চক্র টাকা নিয়ে বালা-মাহতাব পরিষদকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই একটি সুষ্ঠ নির্বাচন। নির্বাচনে যে বিজয়ী হবে তাকেই আমরা মেনে নিবো।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বালুবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে । এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরো একজন।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভুয়াপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের গুলিপেঁচা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম টিটু খন্দকার (৩৮) সে উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ভেঙ্গুলা গ্রামের মোস্তফা খন্দকারের ছেলে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নুরুল ইসলাম (৬০) । সে উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার বিকালে দুইজন আরোহীসহ মোটরসাইকেলটি ভুয়াপুর থেকে গোপালপুরের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে বালুবাহী ট্রাকটি নলিন বাজার থেকে ভুয়াপুরে যাচ্ছিল।
ভুয়াপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের গুলিপেঁচা এলাকায় পৌছালে মোটরসাইকেল ও বালুবাহী ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী টিটু খন্দকারের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত মোটরসাইকেলের অপর আরোহী নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
হেমনগর পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বালুবাহী ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধ করেছে উপজেলা পদ বঞ্চিত আওয়ামী লীগের একাংশ।
রবিবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে ঘাটাইল উপজেলা শিক্ষক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ করে টায়ারে অগ্নি সংযোগ করে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাজাহান বলেন,গত মাসের ২৮ তারিখে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। কিন্তু ওই কমিটিতে জামায়াত- বিএনপি ও দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ব্যাক্তিদের স্থান দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম লেবু। এই অবৈধ কমিটি বাতিল না করলে সামনে মার্চের ২০ তারিখে নতুন সম্মেলন করে তারা নতুন কমিটি ঘোষনা করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঘাটাইল উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা সুলতানা শিল্পি ও লোকেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন মিয়া প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো বন্ধ যান চলাচল বন্ধ রাখে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ নেতাকর্মীরা। এসময় মহাসড়কের দুইপাশে যানযটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদ বঞ্চিতরা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে সড়কের অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে শান্তি শোভাযাত্রা করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শান্তি সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
এই শান্তি সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ফরিদ মিয়া (৪০) নামের এক কৃষক খুন হয়েছে। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোন এক সময় তাকে খুন করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের বীর সলিল গ্রামে। সে ওই গ্রামের তোরাফ আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিহত ফরিদ তার বাড়ির পাশে জমিতে বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প বন্ধ করতে মেশিন ঘরে যায়।ওই রাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি।
নিহত ফরিদের চাচাতো ভাই জাকির হোসেন জানান, ফরিদের সাথে শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে বাড়ীর সামনে তার দেখা হয়। এ সময় ফরিদ তাকে জানায় সেচ পাম্প (মেশিন) বন্ধ করে বাড়ি ফিরবে।
আরেক চাচাতো ভাই মধু মিয়া জানান, তিনি শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে জমি দেখতে সেচ মেশিন ঘরের দিকে যায়। মেশিন ঘর বন্ধ থাকায় দরজার ফাঁক দিয়ে উকি মেরে দেখে,ফরিদের নিথর আংশিক দেহ চৌকির উপর পড়ে আছে। পা নিচে ঝুলছে। পরে তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে মেশিন ঘরের দরজা খুলে ফরিদের হাত ও মুখ বাঁধা মৃত মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে যাই। নিহতের গলায় মুখে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। সে মাদক সেবী ছিলো। মাদক নিয়ে খুন হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, তবে ময়নাতদন্ত রির্পোট পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে ও তিনি জানান।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মর্জিনা নামের চিহ্নিত এক মাদক কারবারির বাড়ির পাশ থেকে ২০ বছর বয়সী রায়হান নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা মাদক কারবারির বাড়ি-ঘর ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের গাদতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রায়হান দেলদুয়ার সদর ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে দেলদুয়ার থানা পুলিশ।
এদিকে পুলিশ রায়হানের লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের পাথরাইল-গাদতলা সড়কের স্থানীরা একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখে ধারণা করা হয় রায়হানকে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, মাদক কিনতে এলে দর-নামেলায় মর্জিনার পরিবার বা কোন লোক দিয়ে রায়হানকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকে তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, রায়হান শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে রায়হানের লাশ পাওয়া গেছে। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে রায়হানের লাশ শনাক্ত করেন।
মাদক কারবারি মর্জিনার বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, তিনি একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। মাঝে মাঝে পুলিশ তাকে আটক করে। আবার জামিনে বেড়িয়ে এসে মাদক কারবারি শুরু করে। গত ১০/১২ দিন আগে মর্জিনা পুলিশের কাছে আটক হয়েছে। তার তিন ছেলে রয়েছে। তাদের নামেও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। তার পিতা মৃত মুসলেম উদ্দিনও মাদক কারবারি ছিলেন। এ ঘটনায় মর্জিনার বাড়ির পাশে মৃত মুসলিম উদ্দিনের বাড়িও ভাংচুর করার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধরা।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা(পিপিএম) জানান, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রায়হানের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে রাতে মাদক সেবন নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটছে। পরে নিহতের লাশ মাদক ব্যবসায়ী মর্জিনার বাড়ির সামনে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, এদিকে এঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে তারা মাদক ব্যবসায়ী মর্জিনার বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
মামালার বিষয়ে তিনি জানান, নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ময়না তদন্তের শেষে মামলা এজাহার হবে। মর্জিনা গত ১০/১২ দিন আগে মাদক মামলায় আটক হয়ে জেলখানায় রযেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পরিচিতি সভা ও চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপির জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে কেক কাটা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে জেলা সদর রোডে অবস্থিত টাঙ্গাইল রাইফেল ক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এড. আব্দুস ছালাম চাকলাদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহিম সুমন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রেজাউল করিম ও দেলোয়ার হোসেন খান মিলন, সদস্য সোহেল মিয়া প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টি প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের, সৈয়দ শামসুদ্দোহা যুবরাজ, মো. ইব্রাহিম মোল্লা, আহসান খান আছু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
অনুষ্ঠানে জেলা, উপজেলা, শহর, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিংহটিয়া গ্রামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে অপহরণের পর পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে যৌন নিগ্রহে বাধ্য করার অভিযোগে পুলিশ আল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃত যুবককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, পাইকড়া ইউনিয়নের সিংহটিয়া গ্রামের পিতৃহীন কিশোরী (১৫) গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে প্রতিবেশী আলতাফ আলীর ছেলে আল আমিন (৩০) ও আজিজুলের ছেলে সিএনজি চালক শহিদুল (২৫)সহ ৩-৪ যুবক অপহরণ করে।
পরদিন শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই কিশোরীর মা পাশের পৌজান বাজারের কাছে মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জেনারেল হাসপাতালের একজন কনসালটেন্টকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান আজাদ জানান, ওই কিশোরীর চিকিৎসায় তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যৌন নিগ্রহের ঘটনা হলেও হাত-পায়ে গুরুতর আঘাত থাকায় তাকে হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল টিম দ্বায়িত্বের সঙ্গে অসহায় কিশোরীর চিকিৎসা নিশ্চিত করছে। থানা পুলিশ এসে কিশোরীর জবানবন্দি নিয়ে গেছে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে ওই কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে অপহরণ ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি এসআই সুমী সিকদার তদন্ত করছেন। তিনি হাসপাতালে গিয়ে ওই কিশোরী ও তার মা-বোনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
একতার কণ্ঠঃ ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার টাকা ও সাজা কমানোর আশ্বাসে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ২ এর গাড়ী চালক সাদ্দাম এর বিরুদ্ধে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মানিকের দোকান ও আবাসিক বসত বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে বেসপ্লেটহীন মিটার ও মিটারের যন্ত্রাংশ পায় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ (বিউবো)এর সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী দলের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ অপরাধে বিবাদীর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিসাধনের মামলা দায়েরসহ সমন জারি করা হয়।
মামলা নিষ্পত্তির আশ্বাসে বিবাদীর কাছ থেকে অগ্রীম তিন লাখ টাকা ঘুষ নেন গাড়ী চালক সাদ্দাম বলে জানিয়েছেন বিবাদী মানিক মানিয়ার ওরফে হোসেন।
৩২(১)/৩৩/৩৮ ধারায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ও আব্দুল আজিজের ছেলে মানিক ওরফে মানিয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের দায়েরকৃত মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিবাদীর দোকান ও আবাসিক বসত বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে বেসপ্লেটহীন মিটার ও মিটারের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। এ সময় তার বিরুদ্ধে মিটার টেম্পারিং এর বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেম্পারিং ও পার্শ্ব সংযোগ ব্যবহার করে বিউবোর আনুমানিক ৪ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।
ওইদিন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বিদ্যুৎ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রেজোয়ানা রশীদ সাক্ষরিত আসামীর প্রতি জারীকৃত সমনে আগামী ২০ মার্চ বিবাদী অথবা উকিলের মাধ্যমে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবাদী মানিক ওরফে মানিয়ার হোসেন বলেন, আমার বৈদ্যুতিক দোকান আর বাড়ির সংযোগ একটি। এছাড়াও স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় বৈদ্যুতিক সমস্যায় পরে আমার স্মরণাপন্ন হন। সমস্যাগুলোর বেশির ভাগই হয় মিটারে। তবে বিকল হওয়া মিটার মেরামত করা সম্ভব নয় বলে আমি নতুন মিটার লাগিয়ে সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করি। বিকল হওয়া তিন/চারটি মিটার আমার বাড়ি ও দোকানে পান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অপরাধে আদালতের বিচারক মামলা দায়ের করাসহ একটি সমন দেন। তার কাছে মিটার রাখা অপরাধ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমি ভীত থাকার সুযোগ নিয়ে অভিযানে থাকা বিদ্যুৎ অফিসের গাড়ী চালক সাদ্দাম আমাকে দেড় বছরের জেল আর ১৭ লাখ টাকা জরিমানার ভয় দেখান। এ জরিমানা আর জেল থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন দিলেও এ সাজা মওকুফ হবে না বলে তার ব্যক্তিগত নম্বরটি আমাকে দিয়ে যান। ওই দিন বিকেলে গাড়ী চালক সাদ্দামের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি ফোনে কথা না বলে দ্রুত সাক্ষাত করতে বলেন। আমি বেবীস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ী চালক সাদ্দামের সাথে সাক্ষাৎ করি। তিনি আমাকে মামলা থেকে মুক্ত করাসহ সাজা মওকুফ করার জন্য নয় লাখ টাকা দাবি করেন। আমি বাধ্য হয়ে ওই দিন বিকেলেই একাধিক স্বাক্ষী নিয়ে তিন লাখ টাকা গাড়ী চালক সাদ্দামকে দিই। এরপর আমি আদালত থেকে মামলার নকল তুলে দেখতে পাই সেখানে চার লাখ টাকা ক্ষতিসাধনের মামলা করা হয়েছে।
দায়েরকৃত মামলার জরিমানার বিষয়টি গাড়ী চালক সাদ্দাম ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ জিহাদকে জানাই। এ সময় তারা বলেন. এত টাকা আমি পরিশোধ করতে পারবোনা বলে তারা অনুরোধ করে মামলার ক্ষতিসাধন চার লাখ টাকা হয়েছে সেটি নির্ধারণ করতে সহায়তা করেছেন।
টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত গাড়ী চালক আসাদুজ্জামান সাদ্দাম। তিনি বলেন, আমি একজন গাড়ী চালক, আমার পক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা বা জরিমানা মিমাংসার ক্ষমতা আছে কি ? তাহলে কেন আমি টাকা নিব আর টাকা নেওয়ার কোন প্রমাণ আছে কিনা সে বিষয়টিও জানতে চান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরেই তার শ্বশুর আমিনুর সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে সংবাদ প্রচার নিয়ে সতর্ক করাসহ এক সংবাদকর্মীকে চাঁদাবাজ বলে উল্লেখ করেছেন।
টাঙ্গাইল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ২ (বিউবো) এর সহকারি প্রকৌশলী মো. আব্দুল আল আজমাইন বলেন, আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনাকালে আলোকদিয়ার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মানিকের দোকান ও আবাসিক বসত বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে বেসপ্লেটহীন মিটার ও মিটারের যন্ত্রাংশ পাই। একই সময় তার বিরুদ্ধে মিটার টেম্পারিং এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেম্পারিং ও পার্শ্ব সংযোগ ব্যবহার করে বিউবোর আনুমানিক ৪ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এ কারণে পরিচালিত অভিযানে আমি বাদী হয়ে মানিকের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা করি। এ ব্যাপারে ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইন ৩২(১)৩৩/৩৮ ধারায় মামলা নং ১০৯/২৩ দায়ের করাসহ সমন জারি করেছেন আদালতের বিচারক।
তিনি আরও জানান, জরিমানার টাকা নগদ গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। নির্দেশনা অনুযায়ি ব্যাংকের মাধ্যমে জরিমানা টাকা আদায় করাসহ বিদ্যুৎ বিভাগ পরিশোধের একটি প্রত্যায়ন দেয়ার বিধান রয়েছে। পরিচালিত ওই অভিযানে থাকা গাড়ী চালক সাদ্দাম বিবাদীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
টাঙ্গাইল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ২ (বিউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহগির হোসেন জানান, হাতে টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি বিদ্যুৎ অফিসের গাড়ী চালক এ ধরণের প্রতারণা করে থাকেন, তাহলে ভুক্তভোগী গ্রাহককে ওই চালকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
টাকা পরিশোধের নিয়ম সম্পর্কে তিনি জানান, বিদ্যুৎ অফিস থেকে গ্রাহককে একটি বিল করে দেওয়া হবে। গ্রাহক সেই বিল অনুপাতে টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করবেন। গ্রাহক ব্যাংকের ওই পরিশোধের স্লিপ আদালতে জমা দিবেন। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রাহককে একটি প্রত্যায়ন দেবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মাদক সেবন করার সময় এক ছাত্রলীগ ও এক যুবলীগের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক মাসের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন গোপালপুর সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক। এছাড়া গ্রেপ্তার খোকন যুবলীগ নেতা।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপালপুর পৌরসভার একটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের প্রত্যেককে এক মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ মল্লিক। পরে গোপালপুর থানা পুলিশ তাদের দুইজনকে ওইদিনই কারাগারে প্রেরণ করে।
জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন এর আগেও মাদক মামলায় চার মাস কারাবরণ শেষে ১৫ দিন আগে মুক্তি পান। এরপর আবারও মাদক সেবন করার সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, মাদক সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড এবং ৫০০ টাকা করে অর্থদণ্ড করেন।
তিনি আরো জানান, পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও ছাত্রলীগ নেতা মাদকের কারণে হাজত বাস করেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের অকুর টাকুর পাড়ায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত নাহিদ চৌধুরীকে উদ্ধার ও ৮ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে অপহরণকারীদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আবু ছালাম মিয়া প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান(২৮), গাজীপুর জেলার মৌচাক চা বাগান গ্রামের(বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের পারদিঘুলিয়ায় বসবাসরত) মো. শহীনের ছেলে রাকিব(১৯), টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ কলেজপাড়ার রমজান মন্ডলের ছেলে মহম্মদ মন্ডল(৪০), সঞ্জু মন্ডলের ছেলে নাউম মন্ডল(২০), আনোয়ার হোসেনের ছেলে রনি(১৯), আরজু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া(১৯), জমের মোল্লার ছেলে কাশেম মোল্লা(১৯) ও পারদিঘুলিয়ার মৃত মজিবর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া(৪০)।
জানা যায়, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের আ. কাইয়ুম রুবেল চৌধুরীর ছেলে মো. নাহিদ চৌধুরীকে(২৫) একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান ১২-১৩ জন মিলে কুমিল্লা জেলা সদরের কোতওয়ারী থানা এলাকা থেকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর মুসলিমপাড়া একটি বাসায় আটকে রেখে তার মা মোছা. নাছিমা আক্তার শিমার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
এক পর্যায়ে নাহিদ চৌধুরীর মা মোছা. নাছিমা আক্তার শিমা বিকাশের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা অপহরণকারীদের কাছে পাঠায়। এতে অপহরণকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদ চৌধুরীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে মোছা. নাছিমা আক্তার শিমা কুমিল্লা কোতওয়ালী থানায় বিষয়টি অবগত করলে তারা টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
টাঙ্গাইল থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে অপহরণকারীদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে শহরের আকুর টাকুর মুসলিমপাড়ার একটি বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানে অপহৃত নাহিদ চৌধুরীকে উদ্ধার ও উল্লেখিত ৮ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আবু ছালাম মিয়া জানান, অপহৃত নাহিদ চৌধুরীর মা নাছিমা আক্তার শিমা বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপহৃতকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তারকৃত ৮ অপহরণকারীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা সদরের আদালত চত্বর এলাকায় ভুয়া কাজির ছড়াছড়ি হওয়ায় অবাধে চলছে বাল্যবিবাহ। অধিক লাভের আশায় এসব ভুয়া কাজিদের পরোক্ষ মদদ দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে প্রকাশ্যে বাল্য বিয়ে পড়াতে সমর্থ হচ্ছে এসব কাজিরা।
টাঙ্গাইল জেলা রেজিষ্ট্রার মো. মাহফুজুর রহমান খান জানান, এ বিষয়ে লিখিতসহ একাধিক মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মহাদয়ের পরামর্শক্রমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই এলাকার জন্য নির্ধারিত নিবন্ধন প্রাপ্ত কাজির ডিআর বই ব্যবহার না করে অন্য এলাকার কাজির ডিআর বই নিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ে পড়ানো হচ্ছে হরহামেশাই। তাদের দৌরাত্ব্যে বঞ্চিত হচ্ছে অত্র এলাকার জন্য নিবন্ধন প্রাপ্ত কাজি।
এ বিষয়ে তদারকির জন্য জেলা রেজিস্ট্রারের উপর দায়িত্ব থাকলেও অজ্ঞাত কারণে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সখিপুর উপজেলার নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বিয়ে পড়াচ্ছেন মো. শাহীন মিয়া নামের এক কাজি। তিনি দীর্ঘ পনের বছর যাবত কোন রকম বৈধ কাজির সনদ ও কাগজপত্র ছাড়াই কোর্ট চত্বরে বিয়ে পড়িয়ে আসছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের আব্দুল হাই কাজির ডি আর বইসহ মধুপুর, মির্জাপুর ও সখিপুরের ডিআর বই ব্যবহার করে অধিক টাকার বিনিময়ে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিবাহ পড়াচ্ছেন। এসব বাল্যবিয়ে পড়িয়ে টাঙ্গাইল শহরের একটি ক্লিনিকের অংশীদারসহ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।
তার ছত্রছায়ায় একাধিক কাজি কোর্ট চত্বরে দেদারছে চালাচ্ছে বিবাহ রেজিস্ট্রি ও তালাক নিবন্ধন। অধিক মুনাফার আশায় আদালত চত্বরে কর্মরত বেশ কিছু আইনজীবী তাদের সেরেস্তা ব্যবহার করতে দিচ্ছেন এই সব ভুয়া কাজিদের। ফলে আইনজীবীদের সেরেস্তা ব্যবহার করেই এসব বাল্যবিবাহ পড়ানো হচ্ছে।
কোর্ট চত্বর এলাকা ব্যবহার করে অবাধে চলছে ভুয়া জন্মসনদ, নকল কাবিননামা আর জাল সিল-স্বাক্ষরে বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রি।
জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেফিট করে প্রাপ্তবয়স্ক বানিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
গ্রাম অঞ্চলে এক শ্রেনীর দালালদের মাধ্যমে গুঞ্জণ আছে কোর্ট চত্বরে গেলে অভিভাক ছাড়াই বিয়ে পড়ানো যায়। এর সুযোগ নিচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরী ও ঘর পালানো প্রেমিক-প্রেমিকারা।
এসব কাজি তাদের প্রয়োজনে নকল কাবিননামা, তালাকনামা ও বয়স প্রমানের এফিডেফিটের ঘোষণাও দিচ্ছেন। এতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন আতঙ্কে রয়েছেন তেমনি পরকীয়ার বলি হচ্ছে রেমিটেন্স যোদ্ধা (প্রবাসীদের) সংসার।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মো. শাহিন মিয়া জানান, তার কোন বৈধ কাজির কিম্বা বিবাহ পড়ানোর অনুমোদন নেই। তিনি সাব-কাজি হিসেবে কাজ করেন। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিবাহ পড়ান তিনি,তবে বয়স প্রমানের কাগজপত্র জমা না দিলে কাবিনের সার্টিফাইড কপি দেন না তিনি।
তিনি আরো জানান, আমি ছাড়াও আরো অনেকেই কোর্ট চত্বরে বিয়ে পড়াচ্ছে, তারা হচ্ছে-মো. জয়নাল আবেদিন, মো. হামিদুল ইসলাম,আকরাম হোসেন ও কায়সার আহম্মেদ সহ আরো অনেকেই।
টাঙ্গাইল জেলা সদরের ১নং ওয়ার্ড ও কোর্ট চত্বর এলাকার ভারপ্রাপ্ত কাজি আব্দুল সামাদ জানান, এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তিনি আশা করেন, জেলা রেজিষ্ট্রার যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন।
টাঙ্গাইল জেলা রেজিষ্ট্রার মো. মাহফুজুর রহমান খান জানান, এ বিষয়ে লিখিতসহ একাধিক মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মহাদয়ের পরামর্শক্রমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
“একতার কণ্ঠ-এক্সক্লুসিভ”