/ মূলপাতা / স্বাস্থ্য
টাঙ্গাইলে করোনা ও উপসর্গে আরও ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭২ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা ও উপসর্গে আরও ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭২

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার জন ও উপসর্গ নিয়ে দুই জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিন জেলায় নতুন ৩২৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ শতাংশ। বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চি করেছেন।

তিনি জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭২ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৫০ জন, দেলদুয়ারে ছয় জন, কালিহাতীতে দুই জন, ঘাটাইলে সাত জন, মধুপুরে চার জন ও ভূঞাপুর উপজেলায় তিন জন রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৮৩৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৯ হাজার ৯৩৭ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ২৪৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. অগাস্ট ২০২১ ০২:০১:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনা ও উপসর্গে চার জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৩ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা ও উপসর্গে চার জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৩

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিন জন ও উপসর্গ নিয়ে এক জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিন জেলায় নতুন ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ। শনিবার(১৪ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৫১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ২১৮ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ২৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৯ জন, নাগরপুরে এক জন, দেলদুয়ারে এক জন, মির্জাপুরে ১৮ জন এবং মধুপুর উপজেলায় ১৪ জন রয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. অগাস্ট ২০২১ ০২:৩৭:এএম ২ বছর আগে
সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে :: টাঙ্গাইলে সেনা প্রধান - Ekotar Kantho

সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে :: টাঙ্গাইলে সেনা প্রধান

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ(ওএসসি, এনডিইউ, পিএসসি) বলেছেন, সারা বাংলাদেশের মতো টাঙ্গাইল জেলায়ও করোনা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে- আপাতত লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর পেট্রোল কার্যক্রমও সেইভাবে পুনর্বিন্যাস করা হবে।

তিনি বলেন, আবারও যদি করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, সরকার যদি আবারও কঠোর লকডাউন দেয় তাহলে সেনাবাহিনী তার কার্যক্রম চালাবে। মঙ্গলবার(১০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর অপারেশন কোভিড শিল্ড(পর্ব-২) এর আওতায় টহল কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। যে সহযোগিতা সবার কাছ থেকে পেয়েছি তাতে আমি খুব খুশি। বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সবার সাথে মিলে সেনাবাহিনী কিন্তু এবার অত্যন্ত ভালোভাবে কাজ করেছে। সব থেকে ভালো লাগছে যে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে আমরা কিন্তু করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।

আমরা যদি এইভাবে সবাই মিলে কাজ না করতাম এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো। তারপরও করোনা পরিস্থিতি তেমনটা ভালো হয়নি। তবে ইনশাল্লাাহ আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে এবং জনগণ যদি সবাই সচেতন থাকে আমাদের এই পরিস্থিতি দ্রুত অনেক উন্নতি হবে।

এর আগে তিনি হেলিকপ্টারযোগে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। সেখান থেকে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে শহরের নিরালামোড় ও ভিক্টোরিয়া রোডে টহলরত সেনাসদস্যদের কার্যক্রম পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সাথে লকডাউনের বিষয়ে কথা বলেন।

এ সময় ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন, ৯৮ সংমিশ্রিত বিগ্রেড বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এসএম আসাদুল হক পিএসসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. অগাস্ট ২০২১ ০২:৫৮:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সিরিঞ্জে করোনা ভ্যাকসিন রেখে শুধু সূচ পুশ করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ - Ekotar Kantho

তদন্ত কমিটির সুপারিশ

টাঙ্গাইলে সিরিঞ্জে করোনা ভ্যাকসিন রেখে শুধু সূচ পুশ করায় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ

একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিরিঞ্জে করোনার ভ্যাকসিন রেখে সূচ পুশ করার ঘটনায় সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান মঙ্গলবার(৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শামীম, জেলা ইপিআই কর্মকর্তা মো. সোলাইমান ও দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামিম সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করে। তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের নামে আনিত অভিযোগের সত্যতা
নিশ্চিত হয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে তিনি মঙ্গলবার সকালে সুপারিশ করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

প্রকাশ, রোববার(১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২নং বুথে টিকা দিচ্ছিলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন। এ সময় সাজেদা আফরিন টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রবেশ না করিয়ে শুধু সূচ পুশ করে সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় এক যুবকের নজরে আসে। তিনি ঘটনাটি আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামিমকে জানালে তিনি পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো বাছাই করে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের উপস্থিতি দেখতে পান। সূচ পুশ করা হলেও শরীরে ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়নি বলে তিনি নিশ্চিত হন।

এ ঘটনায় সোমবার(২ আগস্ট) তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. অগাস্ট ২০২১ ০৩:১৩:এএম ২ বছর আগে
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবনে করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু - Ekotar Kantho

শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবনে করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু

একতার কণ্ঠঃ  টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নবনির্মিত ১৫তলা ভবনের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সোমবার(২ আগস্ট) সকালে এ উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারী, পৌরসভার মেয়র এসএম. সিরাজুল হক আলমগীর এবং টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা স্বাস্থবিধি মেনে উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি জানান, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। হাসপাতাল ভবন উদ্বোধনের আগেই দেশে করোনা দুর্যোগ শুরু হওয়ায় ওই হাসপাতাল ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা করোনা রোগীদের চিকিৎসা কাজে সাময়িকভাবে ব্যবহার করা হবে।
অপরদিকে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান জানান, টাঙ্গাইল জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুইজন ও উপসর্গ নিয়ে দুইজন মৃত্যুবরণ করেছেন। জেলায় ৯৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ২৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ২৪ দশমিক ৯৭ ভাগ।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ হাজার ১৭৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত হাজার ৭৭৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় ২১৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অগাস্ট ২০২১ ০৪:৪৮:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনা ও উপসর্গে তিন জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৫ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা ও উপসর্গে তিন জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৫

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জন ও উপসর্গ নিয়ে এক জন মারা গেছেন। জেলায় একদিনে নতুন করে ৭০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৩৪৪ জন। বুধবার(২৮ জুলাই) টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জেলায় মোট আক্রান্ত ১৩ হাজার ৩৪৪ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ২২৫ জন। করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৭ জন। বর্তমানে বাড়িতে ও আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাঁচ হাজার ৮০৩ জন। জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে করোনা ডেডিকেটেড বেডে ১০৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. জুলাই ২০২১ ০১:৪৩:এএম ২ বছর আগে
একটি সড়কের সংস্কারের অভাবে দুই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে - Ekotar Kantho

একটি সড়কের সংস্কারের অভাবে দুই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে একটি সড়কের সংস্কারের অভাবে দুই গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নাগরপুরের দপ্তিয়র ইউনিয়নের ধূনাইল-দৌলতপুর চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কাঁচা সড়ক থাকলেও দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সারোটিয়া গাজি ও পাছ আরড়া গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারছেনা। সড়কটির উন্নয়ন না হওয়ায় ওই দুই গ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিপণ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবরে পশ্চাৎপদ জনপদ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুরের সাথে মানিকগঞ্জের(তৎকালীন ঢাকা জেলার) দৌলতপুরের যোগাযোগ স্থাপনে পাকিস্তান আমলে ধূনাইল-দৌলতপুর ভায়া সারোটিয়া গাজি ও পাছ আরড়া চার কিলোমিটার কাঁচা সড়ক নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি এখন সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদা ও শুকনো মৌসুমে ধূলায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ওই সড়কে নাগরপুর ও দৌলতপুরকে দ্বিখন্ডিত করেছে একটি খাল। বর্ষায় বানের পানিতে খালটি পরিপূর্ণ থাকে। বাধ্য হয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়।

সারোটিয়া গাজি গ্রামের আমিরুল ইসলাম আলোক ও মনির হোসেন সহ অনেকেই ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বৃষ্টি হলে কাঁদা আর শুকনায় ধূলার সাগর পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হয়। রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সময়মতো যেতে পারেনা। প্রসূতিদের সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়না। পণ্য পরিবহনে ঘোড়া ও গরুর গাড়ির কোন বিকল্প নেই।

তারা আরও জানান, এই সড়ক দিয়ে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল। নির্বাচন এলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বার বার সড়কটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ কথা রাখেনি।

দপ্তিয়র ইউপি চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী জানান, গ্রাম দুটির যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত নাজুক। ইউনিয়ন পরিষদের ছোট-খাট প্রকল্প দিয়ে এ সমস্যার সমাধান আদৌ সম্ভব নয়। মেগা প্রকল্প গ্রহন করার যোগ্যতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই। তবে তিনি বিষয়টি উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় উত্থাপন করবেন।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জুলাই ২০২১ ০২:৩৮:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা

একতার কণ্ঠঃ কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে টাঙ্গাইলে বিভিন্ন দোকান, চায়ের স্টল ও মাস্ক পরিধান না করা, বিনা কারনে ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তিদের উপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। শনিবার(২৪ জুলাই) দিনব্যাপী এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম । এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে ৩৩ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।ওই অভিযানে র‍্যাব ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম জানান, সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় অবস্থিত গৌর ঘোঁষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডার এর ঘি মেয়াদোত্তীর্ণ  ছিল  বিধায়  বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।  এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও মাইকিং করে লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি পালনে সকলকে সচেতন করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জুলাই ২০২১ ০২:৪০:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১১ জনের মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১১ জনের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃটাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জন মারা গেছেন। এদিন জেলায় ৫৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নতুন আক্রান্ত ১৮৭ জনের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৮২ জন, মির্জাপুরে ৩৩, মধুপুরে ৩২, ঘাটাইলে ১৫, দেলদুয়ারে ১০, কালিহাতী ও নাগরপুরে চার জন করে, বাসাইল ও ভূঞাপুরে তিন জন করে ও সখীপুর উপজেলায় এক জন রয়েছেন।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৭৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ হাজার ৯৭৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮৪ জন। জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তি র

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. জুলাই ২০২১ ০২:৩৬:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে চিকিৎসকসহ করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গে ৭ জনের মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে চিকিৎসকসহ করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গে ৭ জনের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জন মৃত্যু বরণ করেছে। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাজেদ আলী মিয়াসহ ৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১ জন মৃত্যু বরণ করেছে। শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো জানান, নতুন করে জেলায় ৪৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮৬ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।এ দিন জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ৪২ দশমিক ৪৬ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৫ হাজার ২৫১ জন। মোট মৃত্যু বরণ করেছেন ১৫৬ জন।জেলার হাসপাতাল গুলোতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২৪ জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. জুলাই ২০২১ ০১:০৮:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের মৃত্যু, স্ত্রী আই‌সিইউ‌তে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের মৃত্যু, স্ত্রী আই‌সিইউ‌তে

একতার কণ্ঠঃ  টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম কোনো চি‌কিৎসক মারা গে‌লেন। শুক্রবার (৯ জুলাই) বি‌কে‌লে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মে‌ডিকেল অ‌ফিসার মাজেদ আলী মিয়া (৫৮) টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবি‌শিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে( আইসিইউ) মারা যান।

টাঙ্গাইল জেনা‌রেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মাজেদ আলী মিয়া ছাড়াও আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, মাজেদ আলী মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ও চিকিৎসক মেয়ে ১ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হন। প‌রে তারা বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

অবস্থার অবনতি হওয়ার পর মাজেদ আলী ও তার স্ত্রীকে জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় মাজেদ আলীর মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন।

চিকিৎসক মাজেদ আলীর বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সিংজোড়া গ্রামে। তিনি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় গত বছর ২০ এপ্রিল। এই প্রথম টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরত কোনো চিকিৎসক মারা গেলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. জুলাই ২০২১ ০৫:১৫:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনা ও উপসর্গে মৃত্যু চার, শনাক্ত ২৯০ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা ও উপসর্গে মৃত্যু চার, শনাক্ত ২৯০

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে  চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৫জন চিকিৎসক, ৩০জন নার্সসহ নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৯০জন। আক্রান্তের হার শতকরা ৪০.৪৪ ভাগ।শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চারজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জেলার নতুন করে ২৯০জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন ১৫০জন। আর করোনা রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮শ’ ৬৫জনে। সুস্থ হয়েছেন ৫১৯৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৭৭ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন  ২৬ হাজার ৫৪ জন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান নিজেই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার( ৮ জুলাই) দুপুরে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছিলেন। পরে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে।

তিনি আরো জানান, টাঙ্গাইল জেনালের  হাসাপাতালের আরও চারজন চিকিৎসক ও ৩০ নার্স করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এছাড়াও তার স্ত্রী ও ছেলে করোনা পজিটিভ ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. জুলাই ২০২১ ০২:২৮:এএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।