একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। এতে করে খুশি টিকা গ্রহীতারা, বিশেষ করে বিদেশ গমনেচ্ছুকেরা খুশি।ফাইজারের টিকা জেলায় আসার পর থেকে টিকাগ্রহীতাদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইল স্বাস্থ্য বিভাগ।
“জেলায় এখন পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজসহ ১০ লাখ ২৩ হাজার ৫০ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে”
এ সময় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক মোহাম্মদ আলী, অধ্যক্ষ নুরুল আমিন মিঞা, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. সোলায়মান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদিকুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টিকা গ্রহীতারা জানান, ফাইজারের টিকা দিতে পেরে তারা খুশি। বিশেষ করে যারা বিদেশ যেতে চাচ্ছেন তাদের আর এখন ঢাকা যেতে হবে না।এ টিকার জন্য ঢাকা যেতে হতো । এতে করে এক দিকে যেমন টাকার অপচয় হতো অন্যদিকে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হতো বলেও মন্তব্য তাদের।
এ ব্যাপারে টাঙ্গােইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, “ফাইজার টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ৯০০ থেকে এক হাজার মানুষকে এই ফাইজারের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যারা বিদেশগামী রয়েছেন তাদেরকে প্রথমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, জেলায় ১৯ হাজার ৮৯০ ডোজ ফাইজারের টিকা রয়েছে ।টাঙ্গাইলের মানুষকে সব ধরনের টিকা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলায় এখন পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজসহ ১০ লাখ ২৩ হাজার ৫০ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে সংসদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, “টাঙ্গাইলে প্রবাসীদের সংখ্যা বেশি। আর প্রবাসীদের দাবি ছিল, টাঙ্গাইলে যেন ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়। ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হওয়ায় তাদের দাবি পূরণ হল। এতে করে নিজ জেলায় তারা সহজেই টিকা দিতে পারবে।”