/ হোম / স্বাস্থ্য
গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি, কীভাবে নেবেন? - Ekotar Kantho

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি, কীভাবে নেবেন?

একতার কণ্ঠঃ প্রেগন্যান্সি জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই হঠাৎ করে আসে। কিংবা অনেক সময় পরিকল্পনা করে সন্তান নেওয়ারও ইচ্ছে থাকে। এ সময় সবাই চিন্তা করেন ডায়াবেটিস কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, থাইরয়েড কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। হার্টের সমস্যা থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। ওই সময় গর্ভবতী মায়ের জন্য দাঁতের যত্নও খুবই জরুরি।

এ ব্যাপারে ঢাকা ডেন্টাল কলেজের (বিডিএস, এমএস, অর্থোডন্টিক্স) ডা. ফারিয়া তাবাসসুম তন্বী জানিয়েছেন বিস্তারিত তথ্য।

তিনি বলেন, কেউ যদি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন, আপনারা একজন ডেন্টিস্টকে দাঁত দেখিয়ে নেবেন। কারণ, প্রেগন্যান্সিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রেগন্যান্সিতে অনেক বেশি দাঁত ব্যথা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো আগে কম ছিল, প্রেগন্যান্সিতে বাড়ে।

প্রেগন্যান্সিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়ে। দাঁতের মাড়িতে রক্ত চলাচল বাড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে মাড়ি দিয়ে রক্ত বের হয়। অনেক মা প্রেগন্যান্সির সময় রাতে দুধ খেয়ে ঠিকমতো কুলি না করে ঘুমিয়ে পড়েন।

এতে দাঁতের গোড়ার দিক থেকে আস্তে আস্তে নষ্ট হতে শুরু করে। দাঁতের বাইরের আবরণ নষ্ট হতে শুরু করে। অনেকের এমনটা হয়- বাচ্চা হওয়ার কিছুদিন আগে বা কিছুদিন পরে তীব্র ব্যথা নিয়ে আসেন আমাদের কাছে।

এজন্যই আমরা বলবো- প্রেগন্যান্সির আগেই একজন ডেন্টাল সার্জনকে দিয়ে একটা রেগুলার চেকআপ করিয়ে নেবেন। সাধারণত আমাদের বছরে দুইবার ডেন্টাল ফলোআপে থাকা দরকার। ফলে দাঁতের যে সমস্যাটি তৈরি হওয়ার তা অল্পতেই ঠিক হয়ে যায়। যেমন- স্কেলিং করিয়ে রাখতে পারেন। কোনো দাঁতে যদি ছোটখাটো গর্ত থাকে, ফিলিং করিয়ে নিতে পারেন।

এছাড়াও প্রেগন্যান্সিতে অনেক সময় মায়েরা ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করতে চান না। অনেক বেশি বমি হয় এসময়। এছাড়াও অ্যাসিডিটি বাড়ে। এ অবস্থার কারণে দাঁতের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।

প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস চাইলেও দাঁত ফেলা যায় না। চাইলেও যেকোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় না। চাইলেও যেকোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যায় না। কেননা দাঁতের ব্যথা তীব্র ব্যথা হয়। শুধু প্যারাসিটামল খেলে ব্যথা যায় না। চিকিৎসকরা বেশি কোনো ওষুধ দিতে পারেন না।

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্যথা হচ্ছে। তখন আমাদের জিজ্ঞেস করেন, কী ওষুধ খাবেন। আবার অনেকেই জিজ্ঞেস না করে ওষুধ খান। দয়া করে এই ভুল কাজটি করবেন না। এক্ষেত্রে যদি আপনার কোনো ব্যথার ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়, অবশ্যই আপনার যে গাইনি চিকিৎসকের কাছে ফলোআপ করাচ্ছেন, তার পরামর্শ নিতে হবে।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:১৭:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে কারাবন্দিদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কারাবন্দিদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে কারাবন্দি ৯৭৬ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে  ওই টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি।

টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান প্রমুখ।

জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টাঙ্গাইল কারাগারে ৫২ জন নারীসহ ১ হাজার ২৪৬ জন বন্দি আছেন। এদের মধ্যে বুধবার ৯৭৩ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। টিকা প্রাপ্তদের মধ্যে ৩৬ জন নারী ও ৯৩৭ জন পুরুষ রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আসা আ্যাস্ট্রোজেনিকা ও সিনোফার্মার টিকা দেওয়া হয়েছে বন্দিদের। বাকি যারা আছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন মর্ডানা ও ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তাদেরকে সেই সব প্রতিষ্ঠানের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, সবাইকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনার লক্ষ্যে আমরা কারাবন্দিদেরকেও ভ্যাকসিন দিচ্ছি। কয়েকজন বন্দি ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছে। আমরা তাদের একই কোম্পানির দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. ডিসেম্বর ২০২১ ০১:৫৪:এএম ৩ বছর আগে
শীতকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে কেন? - Ekotar Kantho

শীতকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে কেন?

একতার কণ্ঠ: শীতের পিঠা-পুলি খাওয়ার মজার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অস্বস্তিকর ব্যাপারও ঘটে থাকে যেমন ত্বকের সমস্যা, জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি। সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হল শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক ও এর মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, প্রতিবার শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের রোগী ৩০% থেকে ৫০% বৃদ্ধি পায়। শীতের প্রভাবে রক্তচাপের পরিমাণ ১২ থেকে ১৮ মিলিমিটার বাড়তে পারে যা গবেষণায় প্রমাণিত। শীতের প্রভাবে রক্তনালি সংকোচিত হওয়ার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটে। এতে রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম শমশের আলী।

শীতের প্রভাবে রক্ত উপাদানে অনেক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী রক্তকনিকা, প্লাটিলেট, লোহিত কনিকা, ফিব্রিনোজেন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রবণতা অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি শীতের প্রকোপে হার্টের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন শুরু হতে পারে যার ফলে তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটাও অস্বভাবিক নয়। পেট ভরে খেয়ে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় হাঁটাহাঁটি করলে খুব সহজেই এনজিনার ব্যথা শুরু হয়ে যায়, যার জন্য রক্তনালির সংকোচনকেই দায়ী করা হয়। যারা সুস্থ-সবল লোকজন তারা খুব সহজে ঠাণ্ডাজনিত এসব পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, কিন্তু যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, বয়সের ভারে ন্যুব্জ বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত তারা খুব সহজেই এসব পরির্বতনের ফলে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে থাকেন। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনার প্রস্তুতি এবং সতর্কতা আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।

সতর্কতা ও করণীয়

* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হৃদরোগীরা নিয়মিত ওষুধ সেবন করবেন।

* শীতের শুরুতে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধপত্রের মাত্রা ঠিক করে নিন।

* ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বাইরে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কাপড় সঙ্গে রাখুন।

* বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে যাওয়ার সময় গরম কাপড়, জুতা, ছাতা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিয়ে বের হবেন।

* বয়স্ক হৃদরোগীরা প্রতিদিন গোসল না করে একদিন পর পর হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। মনে রাখবেন, খুব বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল আপনার স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

* পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরিমাণ বিশেষ করে শর্করা জাতীয় খাবার ১৫% থেকে ২০% বৃদ্ধি করা উচিত। বয়স্ক হৃদরোগীর শীতকালীন বৃষ্টির সময় ঘরের বাইরে না যাওয়াই উত্তম।

* নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে রাখুন যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:০৬:পিএম ৩ বছর আগে
ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণে শরীরে কী সমস্যা হয়? - Ekotar Kantho

ক্যালসিয়াম ঘাটতির কারণে শরীরে কী সমস্যা হয়?

একতার কণ্ঠঃ ক্যালসিয়াম হচ্ছে আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গসমূহকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে খনিজ ও ভিটামিন। আর এ কারণেই সঠিক ও সুষম খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

ক্যালসিয়ামের অভাবে বিভিন্ন রোগ ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। আর দীর্ঘমেয়াদি এটির ঘাটতির কারণে দাঁতের পরিবর্তন, মস্তিষ্কে পরিবর্তন, অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে হাইপোক্যালসেমিয়া হয়ে থাকে, যা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রোগ নামেও পরিচিত। এটি সাধারণত রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকলে ঘটে থাকে।

প্রথমে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এসব সমস্যার চিকিৎসা না নিলে বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি অনবরত হতে থাকলে সেটি জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

তাই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার প্রতিকার নিতে হবে। আসুন জেনে নিই ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে কী হয়—

১. পেশির সমস্যা
ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে পেশির বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেশিতে ব্যথা, খিঁচুনি এবং নড়াচড়া করার সময় উরু ও বাহুতে ব্যথা, হাত-বাহু-পা এবং পায়ের পাশাপাশি মুখের চারপাশে অসারতা এবং ঝাঁকুনি সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর দীর্ঘমেয়াদে এসব সমস্যার প্রতিকার নেওয়া না হলে খিঁচুনি, অ্যারিথমিয়াস— এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

২. চরম ক্লান্তি
শরীরে ক্যালসিয়াম কমে গেলে তা চরম ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। আর এর ফলে শরীরে শক্তির অভাব, অলসতা ও অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ফলে মাথা ঘোরা ও মস্তিষ্কের কুয়াশা সমস্যা হতে পারে।

৩. নখ, ত্বক ও চুলের সমস্যা
শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে থাকলে তা থেকে ত্বক শুষ্ক ও শুকনো, নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, চুল মোটা হয়ে যাওয়া, অ্যালোপেসিয়া বা যার কারণে চুল প্যাঁচে পড়ে যায়, একজিমা বা ত্বকের প্রদাহ, যা চুলকানি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৪. অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপরোসিস
হাড়গুলো ক্যালসিয়াম ভালোভাবে সঞ্চয় করে, তবে শক্তিশালী থাকার জন্য তাদের উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। আর যখন শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কম থাকে, তখন শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে তাদের ভঙ্গুর এবং আঘাত প্রবণ করে তোলে। আর এটি নিয়মিত হতে থাকলে তা থেকে অস্টিওপেনিয়া ও অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। আর এর ফলে হাড়গুলো পাতলা হয়ে যায় এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে পড়ে। সেই সঙ্গে ব্যথা ও ভঙ্গিতে সমস্যা হয়।

৫. দাঁতের সমস্যা
শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবের কারণে দাঁতের সমস্যা হতে পারে। আর এটির ফলে দাঁতের ক্ষয়, ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, মাড়িতে বিরক্ত করা, দাঁতের শিকড় দুর্বল করে দেওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া শিশুদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে তা দাঁতের বিকাশকে ব্যাহত করতে পারে।

৬. বিষণ্নতা
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে হতাশাসহ বিভিন্ন মেজাজের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এর কারণে অনেকের মাঝে বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে।

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. নভেম্বর ২০২১ ১০:৫২:পিএম ৩ বছর আগে
যে ৫টি প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা - Ekotar Kantho

যে ৫টি প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা

একতার কণ্ঠঃ কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোষের দেয়ালগুলোকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে এবং বেশ কয়েকটি হরমোন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু শরীরের যে কোনো কিছুর মতোই ভুল জায়গায় অত্যধিক কোলেস্টেরল জমা হলে বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই সমস্যা তৈরি হয়।

উচ্চমাত্রার লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) নামের কোলেস্টেরল রক্তনালীর দেয়ালে জমার ফলে ধমনি, স্ট্রোক, হার্টঅ্যাটাক এবং কিডনিসহ নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই আমাদের উচিত আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে সতর্ক থাকা। এ জন্য আজ জানুন যে ৫ প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা—

১. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার
ওমেগা-৩ ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলোর একাধিক ডবল বন্ড রয়েছে, যা তাদের শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের চেয়ে আলাদাভাবে আচরণ করে। গবেষণায় দেখা যায় যে, পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

২. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
দ্রবণীয় ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। আর আপনার অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রবণীয় ফাইবার হজম করতে পারে। আসলে এটি সেই ব্যাকটেরিয়ার নিজস্ব পুষ্টির জন্যও প্রয়োজন। আর এসব ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক ক্ষতিকারক ধরনের লিপোপ্রোটিন ও এলডিএলের মাত্রা কমায়।

৩. ব্যায়াম
ব্যায়াম করলে তা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। এটি শুধু শারীরিক সুস্থতাই উন্নত করে না; বরং স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, ক্ষতিকারক এলডিএল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল বাড়াতেও উপকারী হিসেবে কাজ করে।

৪. ধূমপান এড়ানো
ধূমপান বিভিন্ন উপায়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়াও এটি শরীরে কোলেস্টেরল পরিচালনা করে তা পরিবর্তন করে।
তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চাইলে ধূমপান এড়াতে হবে।

৫. ওজন কমানো
ডায়েটিং বা ওজন কমালে তা আপনার শরীর থেকে কোলেস্টেরল শোষণ করে। এ নিয়ে ৯০ জন প্রাপ্তবয়স্কের দুই বছরের গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোনো ডায়েটে ওজন কমানোর খাদ্য কোলেস্টেরল শোষণকে বাড়িয়েছে এবং শরীরে নতুন কোলেস্টেরল তৈরিও কমিয়েছে।

তথ্য-সূত্র: হেলথলাইন ডটকম

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. নভেম্বর ২০২১ ১২:৪১:এএম ৩ বছর আগে
যেসব কারণে মানুষ কোমায় চলে যান - Ekotar Kantho

যেসব কারণে মানুষ কোমায় চলে যান

একতার কণ্ঠঃ কোমা শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। মূলত কোমা হচ্ছে এমন একটি পরিস্থিতি যেটি দীর্ঘস্থায়ী অচেতনতা বা অজ্ঞান হয়ে থাকার মতো অবস্থার সৃষ্টি করে। এমনটি হলে মানুষের চেতনা কাজ করে না। তাই তারা জেগেও উঠতে পারে না।

এ সমস্যাটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বিশেষ করে মাথায় জোরে আঘাত পেলে, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, বিভিন্ন ড্রাগ বা অ্যালকোহল গ্রহন বা নেশা, ডায়বেটিস বা বিভিন্ন অন্তর্নিহিত অসুস্থতার কারণেও এটি হতে পারে।

কোমা হচ্ছে একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি অবস্থা। এটি হলে তা সেরে ওঠাও অনেক কষ্টকর। আর এটি মস্তিষ্ককে অকেজো করে দেওয়া ও মৃত্যু ঘটানোর মতো পর্যায়ে যেতে পারে। তাই জীবন এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সংরক্ষণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এ জন্য নিজেকে সচেতন রাখতে জেনে নিন যেসব কারণে চলে যেতে পরেন কোমায়—

১. মস্কিষ্কে আঘাত
বেশিরভাগ কোমাই মস্তিষ্কে সজোরে আঘাত পাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। তাই সচেতন থাকতে হবে যাতে মস্তিষ্কে আঘাত না লাগে।

২. স্ট্রোক
মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ হ্রাস বা বাধাগ্রস্ত হলে, রক্তবাহী ধমনীর পথ সংকীর্ণ হলে বা রক্তনালী ফেটে গেলে স্ট্রোক হয়। আর এ রকম বড় ধরণের স্ট্রোকের কারণে মানুষ কোমায় চলে যেতে পারে।

৩.টিউমার
মস্তিষ্কের ভিতর অনেকের টিউমার হয়ে তাকে। আর এ ধরনের টিউমারের কারণে অনেক সময় রোগীকে কোমায় চলে যেতে হতে পারে।

৪. ডায়াবেটিস
ডায়বেটিসের সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা হটাৎ খুব বেশি হয়ে গেলে অথবা খুব কম হয়ে গেলে কোমা হতে পারে।

৫. অক্সিজেনের অভাব
ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করা অথবা হার্ট অ্যাটাকের পরে পুনরুজ্জীবিত হওয়া ব্যাক্তিদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে পারে। আর এর ফলেও কোমা হতে পারে।

৬. সংক্রমণ
এনসেফালাইটিস এবং মেনিনজাইটিসের মতো সংক্রমণের ফলে মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ডের কর্ড বা মস্তিষ্কের চারপাশের টিস্যু ফুলে যায়। আর এমন সংক্রমণের গুরুতর ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি বা কোমা হতে পারে।

৭. খিঁচুনি
খিঁচুনির মাত্রা অনেক বেড়ে গেলে বা গুরুতর হয়ে গেলে অনেকে কোমায় চলে যেতে পারেন।

৮. টক্সিন
কার্বন মনোক্সাইড বা সীসার মতো বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং এর পরিণতিতে কোমায় চলে যেতে পারেন।

৯. মাদক এবং অ্যালকোহল
বিভিন্ন ওষুধ, নেশাজাত দ্রব্য এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণের কারণে অনেকে কোমায় চলে যেতে পারেন।

সংবাদ সূত্র- যুগান্তর আনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. নভেম্বর ২০২১ ০৭:৩৪:পিএম ৩ বছর আগে
দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য জানা গেল নতুন গবেষণায় - Ekotar Kantho

দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য জানা গেল নতুন গবেষণায়

একতার কণ্ঠঃ নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, যেসব মানুষ প্রক্রিয়াজাত মাংস, রেডমিট, চিনি বেশি খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়ে যায় এবং তাদের হৃদরোগের ঝুঁকিও অন্যদের তুলনায় বাড়ে ২২ শতাংশ।

নতুন গবেষণাটিতে আরো জানা গেছে, যারা খাদ্যশস্য, শিম জাতীয় খাবার, মাছ, সবজি বেশি খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ও হৃদরোগের হার যথাক্রমে ১৭ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ কমে যায়। গবেষণাপত্রটি আমেরিকান জার্নাল ‘সার্কুলেশন’ এ প্রকাশিত হয়েছে।

খাবার ও দীর্ঘায়ুর সম্পর্ক: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বার বার এটা বলে আসছেন- আমরা যা খাই, তার সঙ্গে সার্বিক সুস্থ থাকার ব্যাপারটা জড়িত। নতুন প্রকাশিত গবেষণাটির জন্য গবেষকরা বিশ্বের সেসব এলাকায় জরিপ চালিয়েছেন যেখানে মানুষ বেশি দিন বাঁচে। আর সেই গবেষণায় জানা গেছে সেসব এলাকার মানুষ সবাই প্রায় একই ধরনের খাবার খান, যা তাদের দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য। বিশ্বের সেসব এলাকাকে ব্লু জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেখানকার মানুষরা সাধারণত শিম জাতীয় খাবার বেশি খান।

ব্লু জোন ডায়েট কী?: ব্লু জোন হলো বিশ্বের কয়েকটি স্থান যেখানকার মানুষ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন ও যাদের আয়ু বেশি হয়। সেসব এলাকার মধ্যে আছে- গ্রিসের ইকারিয়া দ্বীপ, ইতালির সার্ডিনিয়া, জাপানের ওকিনাওয়া, কোস্টারিকার নিকোয়া উপত্যকা। সেখানকার মানুষদের খাদ্য তালিকায় আছে উদ্ভিজ্জ খাবার, যাতে প্রতিদিনের খাবারের ৯৫ শতাংশই হয় সবজি, ফল, খাদ্যশস্য ও শিমজাতীয় খাবার। ব্লু জোন এলাকার মানুষজন সাধারণত মাংস, দুধ ও চিনি জাতীয় খাবার ও কোমল পানীয় পরিহার করেন। প্রক্রিয়াজাত খাবারও খান না সেসব এলাকার মানুষ।

শিম জাতীয় খাবার কীভাবে আয়ু বাড়ায়?: ব্লু জোন এলাকার মানুষরা সাধারণত প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ শিম জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। শিম জাতীয় খাবার যেমন- শিম, মটর, ছোলা আর ডাল খান ব্লু জোন এলাকার মানুষ। আর সেসব খাবারে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে বেশি, চিনি ও ফ্যাট থাকে কম। প্রোটিন শরীরের মাংসপেশি তৈরি করে, ওজন ঠিক রাখে। আর ফাইবার হাইপার টেনশন, হজমের সমস্যা, ডায়াবেটিসের সমস্যা, হতাশা দূর করে। শিমে পলিফেনল নামের একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, গবেষকরা বলছেন আয়ু বাড়ার ক্ষেত্রে এটি বেশ সহায়ক।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. নভেম্বর ২০২১ ০৩:২৪:এএম ৩ বছর আগে
বানরের দেহে বঙ্গভ্যাক্স টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল - Ekotar Kantho

বানরের দেহে বঙ্গভ্যাক্স টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল

একতার কণ্ঠঃ বানরের দেহে বঙ্গভ্যাক্স টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল নিয়ে প্রতিবেদন বিএমআরসিতে জমা দিয়েছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।

সোমবার( ১ নভেম্বর ) দুপুরে বিএমআরসিতে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন গ্লোব বায়োটেকের সিনিয়র ম্যানেজার (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

বিএমআরসির নির্দেশনা অনুসারে বানরের দেহে চালানো বঙ্গভ্যাক্স পরীক্ষার ফলাফল সমপর্কিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিবেদন জমার পর গ্লোব বায়োটেক কতৃর্পক্ষ আশা করছে, দ্রুত তাদের পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকা শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে।

ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর গত বছরের ২ জুলাই কোভিড টিকা তৈরির কাজ শুরুর কথা জানায়।

এরপর খরগোশের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘সফল’ হয়েছেন দাবি করে মানবদেহেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে গত জানুয়ারিতে বিএমআরসিতে আবেদন করেছিল গ্লোব বায়োটেক।

তখন বিএমআরসি বানর কিংবা শিম্পাঞ্জির উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে সংশোধিত আবেদন জমা দিতে বলে। তা মেনে ৫৬টি বানরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এখন প্রতিবেদন দিল তারা।

গ্লোব বায়োটেকের সিনিয়র ম্যানেজার (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ইঁদুরের দেহে টিকাটি পরীক্ষা করে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা মিলেছিল। এরপর বিএমআরসির নির্দেশনা অনুসারে বানরের দেহে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রাথমিক ফলাফলে টিকাটি বানরের দেহে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়। এরপর বানরের দেহে আরেক দফা পরীক্ষা চালানো হয় যাকে বলা হয় চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল।

এই পরীক্ষায় করোনার কতটি ভেরিয়েন্টে বঙ্গভ্যাক্স কাজ করে তা দেখা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত করোনার যতগুলো ভেরিয়েন্ট এসেছে তার সব কটিতেই টিকাটি শতভাগ কার্যকর।

সূত্রঃ যুগান্তর নিউজ

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. নভেম্বর ২০২১ ০৩:৩১:এএম ৩ বছর আগে
হাড়ের ক্ষতি হতে পারে যেসব খাবারে - Ekotar Kantho

হাড়ের ক্ষতি হতে পারে যেসব খাবারে

একতার কণ্ঠঃ বর্তমানে হাড়ের সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে বয়স বেড়ে গেলে এ সমস্যাটি আরও বেশি হয়ে ওঠে। এর কারণ হচ্ছে— বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড়ও ক্ষয় হতে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যালসিয়াম ও ফসফেট এমন দুটি খনিজ, যা স্বাভাবিক হাড় গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমাদের বাড়ন্ত বয়সে ও যৌবন সময়ে শরীর হাড় গঠন করতে এ খনিজগুলো কাজ করে।

এমনও অনেক খাবার আছে যেগুলো হাড়ের ক্ষতি করে। সচেতন হতে আজ জানুন এমন কিছু খাবার যেগুলো হাড়ের ক্ষতি করে-

১. লবণ
অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম কমে যেতে পারে। আমাদের শরীরে প্রতিদিন ২৪০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম প্রয়োজন। আমরা যে কেবল খাবার লবণের মাধ্যমে সোডিয়াম গ্রহণ করি তা কিন্তু নয়। কিছু খাবারে প্রাকৃতিকভাবে লবণ থাকে, যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম চলে আসতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামের ক্ষতি এড়াতে পরিমিত পরিমাণে লবণ খেতে হবে।

২. সোডা
মিষ্টিযুক্ত কোমল পানীয় ও বায়ুযুক্ত পানীয় শরীরে ক্যালসিয়ামের ক্ষয় ঘটায় এবং তা প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। এসব পানীয়তে ফসফরিক অ্যাসিড থাকায় তা ক্যালসিয়ামের দ্রুত ক্ষতি হতে পারে।

৩. ক্যাফেইন
প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন শরীরে গেলে তা কিছু ক্যালসিয়ামের ক্ষতি করতে পারে। শুধু কফির মাধ্যমেই শরীরে ক্যাফেইন খাওয়া হয় তা কিন্তু নয়। বরং কিছু আইসড টি, এনার্জি ড্রিংকস এবং অন্যান্য পানীয়র মাধ্যমেও ক্যাফেইন শরীরে যেতে পারে।

৪. অ্যালকোহল
অ্যালকোহল শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণকে বাধা দেয় এবং হাড় গঠনের খনিজগুলোকে সঠিকভাবে শোষণ করতে বাধা দেয়। এর কারণে হাড় দ্রুত দুর্বল হয়ে যায়। এ ছাড়া হাড় ফ্রাকচার হলে তা নিরাময়ের সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে অ্যালকোহল।

সংবাদ সূত্র- যুগান্তর আনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. নভেম্বর ২০২১ ০২:২১:এএম ৩ বছর আগে
আপনার লিভার সুরক্ষিত রাখতে যে ৭টি খাবার খাবেন - Ekotar Kantho

আপনার লিভার সুরক্ষিত রাখতে যে ৭টি খাবার খাবেন

একতার কণ্ঠঃ লিভার আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি আমাদের শরীরে ৫০০টিরও বেশি কাজ করে থাকে। শরীরে রক্ত পরিশোধন, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া, হজমের জন্য পিত্ত উৎপন্ন করা, শরীরে ভিটামিন এ, ডি, ইসহ বিভিন্ন উপাদান ধরে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার।

ক্যালিফোর্নিয়ার হেলথউইনস কোচিং অ্যান্ড কনসালটিংয়ের মালিক ও নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদ জানা মোয়ারার বলছেন, কার্যত শ্বাস নেওয়া ছাড়া শরীরের সব কিছু করতে লিভার গুরুত্বপূর্ণ।

তাই নিজেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ রাখতে লিভার ভালো রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ জানুন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার লিভার ভালো রাখতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

খাবার গুলো হলঃ

১. কফি
কফি আমাদের লিভারের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করতে পারে। ডায়েটিশিয়ান জেমি হিকির বলছেন, কফি দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগ, সিরোসিস— এমনকি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে চিনি ছাড়া ও ব্ল্যাক কফি খেলে এটি চর্বি এবং কোলাজেন উৎপাদনে বাধা দিয়ে লিভারকে সাহায্য করে।

২. বেরিজাতীয় ফল
বিভিন্ন বেরিজাতীয় ফল যদিও আমাদের দেশে অতোটা প্রচলিত না, তার পরও এখন এসব ফলের দেখা মেলে বাজারে। এর মধ্যে রয়েছে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাম্পবেরি ইত্যাদি। এসব ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও পানি থাকে। এ কারণে এসব ফলগুলো লিভারের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে।

৩. চর্বিযুক্ত মাছ
মাছের ফ্যাট বা চর্বি লিভারের জন্য অনেক উপকারী। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় তা লিভারের জন্য অনেক ভালো। ট্যাম্পার গ্যাস্ট্রো এমডির সহকারী চিকিত্সক কাইল হ্যারিস বলছেন, রাতের খাবারে চর্বিযুক্ত মাছ লিবারের জন্য অনেক উপকারি হতে পারে।

৪. পানি
পানি আমাদের কাছে অনেক সাধারণ মনে হলেও এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে এটি লিভারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পানি আমাদের শরীরে খাবারকে হজম করতে সাহার্য করে এবং লিভারকে তার কাজ ভালোভাবে করতে সহায়তা করে।

৫. অলিভ ওয়েল
যদিও আমাদের দেশে খাবারের জন্য অলিভ ওয়েল অতোটা প্রচলিত না, তবে এটি লিভারের জন্য অনেক উপকারী। এতে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যেটি লিভার ও শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

৬. বাদাম ও শশ্য
বিভিন্ন বাদাম ও মটরশুটি, মশুর ডাল, চিনাবাদাম ইত্যাদি শশ্যের মিশ্রণে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ কারণে এগুলো লিভারের জন্য উপকারী হওয়ার পাশাপাশি হার্টেরও অনেক উপকার করে বলে বলছেন হিকি।

ওয়ার্ল্ড জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, আখরোট জাতীয় বাদাম লিভারের রোগে আক্রান্তদের সুস্থতায় বেশ সাহায্য করতে পারে।

তথ্যসূত্র: ইউএস নিউজ ডটকম

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. অক্টোবর ২০২১ ০১:১৮:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত দোয়া দিবস পালন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত দোয়া দিবস পালন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত দোয়া দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার(২১ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শরিফুল ইসলাম, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ, এনজিও ফোরামের প্রতিনিধি শামীম আল মামুন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার শিমু সাহা, মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আর্দশ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইবনে মায়াজ প্রামানিক।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. অক্টোবর ২০২১ ০৩:২১:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। এতে করে খুশি টিকা গ্রহীতারা, বিশেষ করে বিদেশ গমনেচ্ছুকেরা খুশি।ফাইজারের টিকা জেলায় আসার পর থেকে টিকাগ্রহীতাদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইল স্বাস্থ্য বিভাগ।

“জেলায় এখন পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজসহ ১০ লাখ ২৩ হাজার ৫০ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে”

এ সময় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক মোহাম্মদ আলী, অধ্যক্ষ নুরুল আমিন মিঞা, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. সোলায়মান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদিকুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিকা গ্রহীতারা জানান, ফাইজারের টিকা দিতে পেরে তারা খুশি। বিশেষ করে যারা বিদেশ যেতে চাচ্ছেন তাদের আর এখন ঢাকা যেতে হবে না।এ টিকার জন্য ঢাকা যেতে হতো । এতে করে এক দিকে যেমন টাকার অপচয় হতো অন্যদিকে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হতো বলেও মন্তব্য তাদের।

এ ব্যাপারে টাঙ্গােইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, “ফাইজার টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ৯০০ থেকে এক হাজার মানুষকে এই ফাইজারের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে যারা বিদেশগামী রয়েছেন তাদেরকে প্রথমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকা দেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান,  জেলায় ১৯ হাজার ৮৯০ ডোজ ফাইজারের টিকা রয়েছে ।টাঙ্গাইলের মানুষকে সব ধরনের টিকা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলায় এখন পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজসহ ১০ লাখ ২৩ হাজার ৫০ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে সংসদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, “টাঙ্গাইলে প্রবাসীদের সংখ্যা বেশি। আর প্রবাসীদের দাবি ছিল, টাঙ্গাইলে যেন ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়।  ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হওয়ায় তাদের দাবি পূরণ হল। এতে করে নিজ জেলায় তারা সহজেই টিকা দিতে পারবে।”

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. অক্টোবর ২০২১ ০২:৩১:এএম ৪ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।