একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ঘরে ঘরে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এতে ফার্মেসিগুলোতে নাপা ও প্যারাসিটামিটাল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। বিশ্লেষকদের দাবি, বন্যা ও প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধসহ সব শ্রেণির মানুষজন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেনে।
এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহর থেকে শুরু করে জেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ঘরে ঘরে মানুষ জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও শহরের কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকে বিগত দিনের তুলনায় গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর-ঠান্ডা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কতোজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শহরের দিঘুলীয়া এলাকার এসএম আওয়াল মিয়া বলেন, ‘আমি, আমার স্ত্রী, দুই ছেলে ও ভাতিজাসহ পরিবারের ছয় জন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরমর্শে ওষুধ খাচ্ছি। এখন মোটামুটি সুস্থ।’
পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও ছেলে এবং মেয়ের জ্বর হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতেই সবার চিকিৎসা চলছে। এছাড়াও আমার বাড়ি আশে পাশের অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত।’
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, ‘গত চার দিন ধরে আমার দেড় বছরের ছেলে জ্বরে আক্রান্ত। মঙ্গলবার বেশি অসুস্থ হলে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন ধরে হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার পর সে এখন সুস্থর দিকে।’
শহরের নিউ মার্কেট এলাকার শফিক মেডিক্যাল হলের প্রোপাইটর শফিকুল ইসলাম শফিক ও নতুন বাস টার্মিনাল এলাকার আমিনা ফার্মেসির প্রোপাইটর মো. মামুনুর রশিদ বলেন, অন্য যে কোনো সময়ে তুলনায় গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর-ঠান্ডার ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কোম্পানি দাম বাড়াবে বলে নাপা জাতীয় ওষুধের সাপ্লাই বন্ধ রয়েছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘দেশে আবার করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আমি মনে করি জ্বর-ঠান্ডা করোনার উপসর্গ। নাপাসহ প্যারাসিটামাল জাতীয় ওষুধ সঙ্কটের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নাপাসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত আছে।’
একতার কণ্ঠঃ আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে র্যালি এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালন করা হয়েছে।
‘মাদক সেবন রোধ করি, সুন্দর জীবন গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার (২৬ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একটি র্যালি বের হয়। সেটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয় পরে সেখানে আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে স্থাপন করা হয়েছে ব্যাটারি পুড়িয়ে একটি অবৈধ সীসা তৈরির কারখানা। এখানে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্যেই পুরাতন ব্যাটারি ভেঙে পুড়িয়ে সীসা তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই কারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে পাশের ধলেশ্বরী নদীতে। পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মো: মাহবুবুল হক এর মতে, এ ধরনের উন্মুক্ত স্থানে সীসা পোড়ানোর ফলে জীব-বৈচিত্র্য ও মানুষের খাদ্য চক্রে ঢুকে পড়ছে ভারী ও অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ সীসা। এভাবে ব্যাটারি ভাঙ্গা এবং সীসা গলানোর সময় ক্ষুদ্রকণা বাতাসে ও মাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। যার নেতি বাচক প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার কাতুলী ইউনিয়নের ঘোষপাড়া (এসডিএস ব্রিজ সংলগ্ন) এলাকায় পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। দশ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পুরাতন ব্যাটারি ভেঙে প্লেট আলাদা করছে। ব্যাটারির পরিত্যক্ত অংশ আলাদা করে রাখা হয়েছে যত্রতত্র। এই দশজন শ্রমিক খালি গায়ে ও খালি হাতে কোন ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই তারা দিনরাত এই কাজ করে যাচ্ছে এই কারখানায়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে কোন সাইনবোর্ড, ট্রেড লাইসেন্স, কলকারখানা অধিদপ্তর এর সার্টিফিকেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরির নিরাপদ চুল্লি নেই। ফ্যাক্টরির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পরিত্যক্ত ব্যাটারির বর্জ্য প্লাস্টিক, কার্বন ও ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের পদার্থ। টাঙ্গাইলে একটি বেসরকারী পলিটেকনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মনোগ্রাম লাগানো একটি হাফ টনী পিক-আপে কারখানায় উৎপাদিত প্রায় ১২০ কেজি সীসা তোলা হচ্ছে ঢাকায় চায়না ফ্যাক্টরিতে পাঠানোর জন্য।
কারখানার কর্মচারী শাহাদাৎ জানান, তিনি সহ মোট দশজন কর্মচারী উত্তরবঙ্গ থেকে এখানে এসেছেন কাজ করতে। মালিকের নির্দেশেই তারা এভাবে ব্যাটারি ভেঙ্গে তা পুড়িয়ে সীসা তৈরি করছেন। মানুষ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক জেনেও পেটের দায়ে এই কাজ করছেন তারা।
তিনি আরও জানান, দিনের বেলায় ব্যাটারি ভাঙ্গা হয় আর রাত দশটার পর থেকে তা পুড়িয়ে সীসা তৈরি করা হয়। তাদের ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরি করার কোন চুল্লি নেই। তাই বাধ্য হয়েই উন্মুক্ত স্থানে ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, ব্যাটারি কারখানার মালিক দু’জন টাঙ্গাইলের ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতার নিকট আত্মীয়। ফলে এলাকাবাসীর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ উপেক্ষা করেই দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানাটির চালাচ্ছে। বিশেষ করে রাতে যখন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরি করা হয় তখন এলাকাবাসীর শ্বাস-প্রশ্বাসে ভীষণ কষ্ট হয়।
তারা আরো জানান, ব্যাটারি পোড়ানোর স্থানে কোন ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি হলেই, বৃষ্টির পানির সাথে বিষাক্ত বর্জ্য পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পরে ও পাশ্বের ধলেশ্বরী নদীতে গিয়ে পরে। একসময় ধলেশ্বরী নদীর এই অংশে প্রচুর মাছ পাওয়া গেলেও, কারখানা চালুর পর থেকেই এখানে কোন ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মিয়া প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে জানান, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন এই কারখানাটির মালিক কারা। স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের চাপ থাকা স্বত্তেও কারখানাটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এমনকি ব্যবসা পরিচালনার জন্য এই কারখানায় মালিক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন ট্রেড লাইসেন্সও গ্রহণ করেনি। তিনি ফ্যাক্টরি বন্ধে নিজের অসহায়েত্বের কথা স্বীকার করেন।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দীন জানান, এই অবৈধ ফ্যাক্টরির বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে এভাবে প্রকাশ্যে জায়গায় ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরি করলে বায়ু দূষণ ও আশে পাশে বসবাসরত প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর ইতিমধ্যে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নে একটি অবৈধ ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরির কারখানা উচ্ছেদ করেছেন।
তিনি আরও জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন জানান, তিনি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের ফেসবুক লাইভে এই অবৈধ কারখানার বিষয়ে জেনেছেন। যত দ্রুত সম্ভব এই অবৈধ কারখানা উচ্ছেদে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উন্মুক্ত স্থানে ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা তৈরি করা প্রসঙ্গে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনভারমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড মো: মাহবুবুল হক বলেন, সীসা একটি ভারী ও নিউরো টক্সিক পদার্থ যা মানুষের সরাসরি সংস্পর্শে এলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও লিভারে বিশেষ ক্ষতি সাধন করে। উন্মুক্ত স্থানে সীসা পোড়ানোর ব্যাপারে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত। এই নীতিমালার অধীনে সীসা উৎপাদন ও বিপননে কঠোর তদারকি দরকার। উন্মুক্ত স্থানে ব্যাটারি পোড়ানোর ফলে এই ভারী ও বিষাক্ত পদার্থ সীসা আমাদের খাদ্য চক্র ও জীবন চক্রে ঢুকে পড়ছে। যার নেতিবাচক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
উল্লেখ্য,দীর্ঘ সময় ধরে পুরনো ও পরিত্যক্ত ব্যাটারি থেকে সীসা আহরণ কারখানাগুলো দেশে নিদারুণ দূষণ ও প্রাণহানি ঘটিয়ে চলেছে। এসব কারখানা গড়ে উঠছে দেশের সর্বত্র, কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই। মানছে না বিদ্যমান পরিবেশ আইন। জনস্বাস্থ্য, প্রাণবৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র তছনছ করে দিচ্ছে। শালবন থেকে হাওর, পাহাড় থেকে নদী অববাহিকা, কৃষিজমি থেকে বন্দর নানা স্থানে গড়ে ওঠা এসব ব্যাটারি কারখানার মাধ্যমে মানুষসহ প্রাণীর শরীরে ঢুকছে সীসার বিষ, প্রতিবেশ ব্যবস্থায় ঘটছে গোলমাল। সব ব্যাটারি কারখানাই গড়ে উঠেছে বসতি এলাকায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব ব্যাটারি কারখানার অধিকাংশেরই কোনো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, কারখানায় পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি নেই। মাঝেমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব কারখানাকে জরিমানা করছে কিংবা সিলগালা করে বন্ধ করে দিচ্ছে। এভাবে দেশের নানা প্রান্তে গড়ে ওঠা পুরনো ব্যাটারি কারখানার মাধ্যমে যদি দেশের সর্বত্র সীসার বিষ ছড়িয়ে পড়ে, তবে তা গবাদি প্রাণিসম্পদ, মানুষ থেকে শুরু করে প্রকৃতিতে তৈরি করবে এক নিদারুণ বিশৃঙ্খলা।
একতার কণ্ঠঃ শিশুদের প্রস্রাবের ক্ষেত্রে সাধারণত ‘শ…শ…’, ‘শ…শ…’ শব্দটি কয়েকবার উচ্চারণ করলেই শিশুরা সুন্দরভাবে প্রস্রাব করে থাকে বা তাদের প্রস্রাবে বেগ আসে। শিশুদের এভাবেই প্রস্রাব প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন অভিভাবকরা। আর এটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বজুড়েই ব্যবহৃত একটি কার্যকরী কৌশল।
এটা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই ‘শ…শ…’ শব্দটি আসলে কীভাবে শিশুদের প্রস্রাবে সাহায্য করে থাকে?
বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে কুকুরের ওপর করা রাশিয়ান বিজ্ঞানী ইভান পাভলভের একটি পরীক্ষা থেকে। মাংসের টুকরো খাওয়ার ক্ষেত্রে কুকুরের মুখের ভেতর প্রচুর লালা তৈরি হয়ে থাকে। পালভল তার পরীক্ষায় একটি ঘণ্টার আওয়াজ বাজিয়ে কুকুরকে মাংস খাওয়াতেন। তিনি কয়েকদিন এমনটা করেন, পরবর্তীতে কুকুরটি যখনই ঘণ্টার আওয়াজ শুনতে পেত তখনি মুখ দিয়ে লালা ঝরাতো, এমনকি পাত্রে মাংস না থাকা সত্ত্বেও।
যার অর্থ দাড়ায় যে, স্নায়ুতন্ত্র অবচেতনভাবে যে সাড়া দিয়ে থাকে, সেটি বাহ্যিক কোনো উদ্দীপনার মাধ্যমেও হতে পারে।অভিভাবকরা ঠিক একই কাজটি করে থাকের ‘শ…শ…’ শব্দটি উচ্চারণের দ্বারা শিশুদের প্রস্রাব করানোর ক্ষেত্রে। কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুর মস্তিষ্ক ওই শব্দ এবং প্রস্রাব এর কর্মের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়। সুতরাং, এই শব্দ বাচ্চাদের স্বায়ত্তশাসনে প্রতিবর্তী ক্রিয়া আরম্ভ করে এবং তাদের প্রস্রাবে সাহায্য করে।
তবে শব্দের মাধ্যমে প্রস্রাবের এই বিষয়টি শুধু শিশুদের ক্ষেত্রেই নয়, কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের মানুষের ক্ষেত্রেও বহিরাগত উদ্দীপনার দ্বারা আলোড়ন সৃষ্টি করে। উদাহারণস্বরুপ, অন্য কাউকে প্রস্রাব করতে দেখলে অথবা পানি পড়ার শব্দ এবং জলপ্রপাতের শব্দ কানে আসলে কিছু মানুষের প্রস্রাবের ভাব চলে আসে।
ভিয়েতনামে বাবা-মায়েরা শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই প্রস্রাব-পায়খানা করাতে ‘শি..স..স’ অর্থাৎ হুইসেল প্রশিক্ষণ দিতে আরম্ভ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ অভ্যাসের ফলে ভিয়েতনামে শিশুদের ৯ মাস বয়সের পর থেকে সাধারণত ডায়াপারের প্রয়োজন পড়ে না।
গবেষকদের মতে, শিশুদের এ অভ্যাসে অভ্যস্ত করার নানা সুবিধা রয়েছে। এটি কেবল ডায়াপারের পেছনে টাকা ব্যয় করা কমিয়ে আনে না, পাশাপাশি পিতামাতার জীবনকে সহজ করে তোলে। অল্প বয়স থেকেই শিশুদের এতে প্রশিক্ষিত করা হলে তাদের মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
একতার কণ্ঠ: টাঙ্গাইলে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ক্লিনিক বন্ধ করতে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৮ মে) সকাল থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রানুআরা খাতুনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অভিযানে কোন বৈধ কাগপত্র না থাকায় চারটি ক্লিনিক সিলগালা ও দুইটি ক্লিনিক মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
সিলগালাকৃত ক্লিনিকগুলো হচ্ছে, স্বদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডিজি ল্যাব, পদ্মা ক্লিনিক, আমানত ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটাল।
এছাড়া দি সিটি ক্লিনিকে ২০ হাজার টাকা এবং কমফোর্ড হাসাপাতালকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুআরা খাতুন জানান, কোন বৈধ কাগপত্র না থাকায় এখন পর্যন্ত ৪টি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলছে। অভিযান শেষ হওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
একতার কণ্ঠ: কোভিড সংক্রমণের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে এখন আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। এই ভাইরাস বাহিত রোগটি নিয়ে ইতোমধ্যেই সকলকে সতর্ক করেছে ব্রিটেন।
৭ মে লন্ডনে এক ব্যক্তির দেহে এই রোগটি দেখা যায়। জানা যায় সেই তখন নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। অতএব, তিনি আফ্রিকায় ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি বেশ কিছু দেশে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। স্পেন, পর্তুগাল, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই মাঙ্কিপক্সের দেখা মিলেছে।
এই রোগটি বায়ুবাহিতই। সেই কারণে শ্বাসযন্ত্র, নাক, মুখ চোখ এই ভাইরাসে আগে আক্রান্ত হয়। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, যৌন সংস্পর্শে এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয় এবং তিনি যদি যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হন, সেক্ষেত্রে অপর সুস্থ স্বাভাবিকদেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। পরেও তিনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।
এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। UK Health Security Agency (UKHSA) জানায় যে এই রোগের বিন্দুমাত্র লক্ষণ প্রকাশ পেলেই সচেতন হন, সঙ্গম থেকে দূরে থাকুন। গায়ে র্যাশের মতো উপসর্গ আর জ্বর হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান।
মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ যা পশ্চিম আফ্রিকায় প্রথম দেখতে পাওয়া গিয়েছিলো। ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিলো, এই ভাইরাসটি। এই রোগটি স্মল পক্স বা গুটি বসন্তের মতোই হয়ে থাকে। ১৯৭০ সালে প্রথম মানব দেহে এই মাঙ্কিপক্স শনাক্ত করা হয়েছিলো।
একতার কণ্ঠঃ পবিত্র রমজান মাসের ইফতারির রকমারি উপাদানের মধ্যে মুড়ি অত্যাবশকীয়। মুড়ির চাহিদা সারাবছর ব্যাপী থাকলেও রোজার সময় উৎপাদন এবং বিক্রি বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই মুড়ি ব্যবসায়ীরা বছর জুড়ে অপেক্ষায় থাকেন রমজান মাসের জন্য। আবার অনেকে সিজনাল ব্যবসা হিসেবে এই মাসে মুড়ি উৎপাদন এবং বিক্রি করে থাকেন। এখন মুড়ি তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুসরত নেই।
টাঙ্গাইলসহ দেশের কমপক্ষে ৫ জেলায় মুড়ি সরবরাহ হয় জেলার কালিহাতীর নারান্দিয়া থেকে। এখানকার উৎপাদিত মুড়ির সুনাম বিভিন্নস্থানে। মুড়ি উৎপাদনের সাথে নারান্দিয়ার মানুষ অনেক পূর্বে থেকেই জড়িত। এখানে দুইভাবে মুড়ি উৎপাদিত হয়, হাতে ভেজে ও মেশিনের সাহায্যে। মুড়ি উৎপাদনকারি এলাকাগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইল জেলায় নারান্দিয়া শীর্ষে।
আরো পড়ুনঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কে এবার যানজট হওয়ার আশঙ্কা নেই’
মেশিনের সাহায্যে বিপুল পরিমান মুড়ি প্রতিনিয়ত উৎপাদিত হলেও হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। একশ্রেণির মানুষ সর্বদাই হাতেভাজা মুড়ি খেয়ে থাকেন। হাতে ভেজে মুড়ি তৈরি এবং বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন বহু পরিবার। বিশেষ করে মোদক সম্প্রদায়।
কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া, মাইস্তা, নগরবাড়ী, দৌলতপুর, লুহুরিয়া ও সিংহটিয়াসহ প্রায় পনেরটি গ্রামের কয়েক’শ পরিবার হাতে ভেজে মুড়ি তৈরি করে থাকে। মোদকরা বংশ পরম্পরায় মুড়ি ভাজার কাজ করেন। একজন ব্যক্তি ১ দিনে এক থেকে দেড় মণ চালের মুড়ি ভাজতে পারেন। প্রতি মণ চালে ২২ থেকে ২৩ কেজি মুড়ি হয়। প্রতি কেজি মুড়ি পাইকারি ৭৫/৮০ টাকা এবং খুচরা ৮৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মূলত গ্রামের মহিলারাই হাতে ভেজে গুণগত মানসম্মত মুড়ি তৈরি করেন।
দৌলতপুর গ্রামের কনিকা বর্মন বলেন খড়ি ২০০ টাকা মণ, ধান ১২০০ টাকা মণ। ধান সিদ্ধ করে রোদে শুকানোর পর মেশিনে মাড়াই করে মুড়ি ভাজার জন্যে চাল তৈরি করা হয়। সেই চাল দিয়ে লবণ জলের মিশ্রণে আগুনে তাপ সহ্য করে বিশুদ্ধ মুড়ি ভাজতে অনেক পরিশ্রম হয়। কিন্তু লাভ টিকে না।
হাসি বেগম বলেন আমাদের পরিশ্রমের দাম উঠে না। গরিব মানুষ এই কাজ কইরা অনেক দিন ধরে খাই। সরকারের কাছে আমরা সাহায্য চাই।
মিনতি রানী মোদক ও সুশীল মোদকসহ অনেকে বলেন আমরা বংশ পরম্পরায় এই মুড়ি ভাজা ও ব্যবসার সাথে জড়িত। সব কিছুর দাম বেশি। মুড়ির দাম বাড়ে নাই। দিন শেষে লাভ থাকে না বললেই চলে। সরকার থেকে যদি আমাদের সুদমুক্ত ঋণ দিতো তাহলে আমরা টিকে থাকতে পারতাম।
তারা আরো বলেন লাভ বেশির ভাগই চলে যায় মধ্যসত্বভোগীদের পকেটে। রমজান মাসে দূর-দূরান্ত থেকে পাইকাররা পিকআপ, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে বস্তা ভর্তি মুড়ি কিনে টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত এলাকায় বিক্রি করেন। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল থাকায় পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে নারান্দিয়ার মুড়ি সরবারহ হয়।
এদিকে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নগরবাড়ীতে ২টি, দৌলতপুরে ২টি মোট ৪টি মিলে ৫টি মেশিনের সাহায্যে মুড়ি ভাজা হয়। সততা মুড়ির মিলের স্বত্বাধিকারী শংকর চন্দ্র মোদক কালের কণ্ঠকে বলেন, ৫০ কেজি চালের বস্তায় ৪২/৪৩ কেজি মুড়ি হয়। প্রতি কেজি মুড়ি আমরা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করি। পাইকাররা আবার সেই মুড়ি প্রতি কেজি কমপক্ষে ৬৫-৭৫ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করেন। রমজান মাসে প্রতিদিন ৫টি মিলে ১৫০ বস্তারও বেশি চালের মুড়ি উৎপাদিত হচ্ছে। প্রায় ৪ লাখ টাকার মেশিনে ভাজা মুড়ি প্রতিদিন কেনাবেচা হয় এই এলাকায়। কিন্তু খরচ বাদে লাভ বেশি টিকে না।
রমজানে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মুড়ি প্রতিদিন মেশিনে ও হাতে ভেজে তৈরি হলেও বছরের অন্য সময়ে অর্ধেকে নেমে আসে। শতাধিক শ্রমিক এবং কয়েক শ পরিবার প্রত্যক্ষভাবে ও বিপুল সংখ্যক মানুষ পরোক্ষভাবে মুড়ি ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। ফলে রমজানে কাজের চাপে দম ফেলার সময়টুকু পায়না মুড়ি উৎপাদনকারীরা।
হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনকারীরা দিনদিন এই কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় ধাবিত হচ্ছেন এবং অনেকেই চলে গেছেন। এই পেশাকেই টিকিয়ে রাখতে উৎপাদনকারী এবং ব্যবসায়ীরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
কালিহাতীর বাসিন্দা এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু নাসের বলেন, টাঙ্গাইল তথা বাংলাদেশের মধ্যে মুড়ি উৎপাদনের অন্যতম স্থান কালিহাতীর নারান্দিয়া। এখানকার উৎপাদিত লাখ লাখ টাকার মুড়ি সারাদেশে সরবরাহ হচ্ছে। এটি এক প্রকার কুটিরশিল্প। মানুষের চাহিদা পূরণে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ প্রয়োজন। বিশেষ করে হাতেভাজা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
প্রান্তিক পর্যায়ের মুড়ির কারিগররা এ মুড়ি কেনাবেচার একটি নির্দিষ্ট বাজার স্থাপন এবং সরকার থেকে হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনকারী ব্যক্তি এবং পরিবারগুলোকে বিশেষ ঋণ সুবিধা দেওয়ার দাবি করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ রমজান মাসে রোগীদের খাদ্যব্যবস্থাপনা, ব্যায়াম, জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হয়। হঠাৎ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিয়মমাফিক চললে এসব জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
হৃদরোগে যারা আক্রান্ত তাদের হঠাৎ রোজায় রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমতাবস্থায় করণীয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ উল্লাহ ফিরোজ।
যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন তারাও পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখতে চান এবং সাধারণত জানতে চান-রোজা রাখতে পারবেন কি না, ওষুধগুলো কীভাবে খাবেন, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রম কেমন হবে।
যেসব রোগীর রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে আছে তাদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় রোজা রাখার জন্য কোনো রকম জটিলতা হয় না। যাদের হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে নেই বিশেষ করে হার্ট ফেইলিউরের জন্য শ্বাসকষ্ট হয় অথবা গত তিন মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ।
হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ওষুধগুলো দিনে একবার, দু’বার বা তিনবার খেতে হয়। রোজার সময় চেষ্টা করতে হবে যেসব ওষুধ দিনে একবার বা দু’বার খাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনে দু’বার খাওয়া ওষুধগুলো ইফতার এবং সেহরির সময় খাবেন। দিনে একবার খাওয়া ওষুধগুলো রাতের যে কোনো সময় খেতে পারেন।
ডাইউরেটিক বা শরীরের পানি কমার ওষুধ ইফতারের সময় খাবেন। এ ধরনের ওষুধের পরিমাণ কমাতেও হতে পারে। চর্বি জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবারগুলো পরিহার করবেন। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প করে বারবার খাবেন। রাতের বেলা প্রয়োজনমতো পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খাবেন।
শারীরিক ব্যায়াম দিনের বেলায় না করে রাতে করার চেষ্টা করুন। খাবার পরপরই ব্যায়াম করবেন না। এ মাসের জন্য ত্রিশ মিনিট হাঁটাই ভালো ব্যায়াম।
রোজার সময়ে দিনের বেলা রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে এবং শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে অবশ্যই পানি বা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আপনার ওষুধ বা ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে হতে পারে। রোজার সময় কোনোরকম জটিলতা দেখা দিলে, যেমন-শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা বা অজ্ঞান হলে বা রক্তচাপ কমে গেলে, বিলম্ব না করে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন।
মনে রাখবেন-সময়মতো চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাবে। যেসব রোগীর পেসমেকার বা ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা আছে অথবা বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করা আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। তবে বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করার পর প্রথম তিন মাস রোজা রাখা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ সাধারণত ডায়াবেটিসে নিউরোলজিক্যাল সমস্যাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে— পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি। পায়ে-হাতে যে সমস্যাটি হয়। আরেকটা হচ্ছে— ইন্টার্নাল অর্গানের নার্ভ যখন যুক্ত হয়, সেটাকে বলা হয় অটোনোমিক নিউরোপ্যাথি। এর ফলে দেহের ভিতরের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ শিশুদেরও কি ডায়াবেটিস হয়?
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা।
পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি
সাধারণত রোগীর কিছু নিউরোপ্যাথলজিক্যাল উপসর্গ (হাতে-পায়ে ঝি ঝি করা, জ্বালাপোড়া করা, ব্যথা করা, অলটার সেন্সেশন বা হেঁটে যাচ্ছেন পায়ের তলায় নরমাল একটা সেনসেশন হচ্ছে) দেখা দিতে পারে।
অটোনমিক নিউরোপ্যাথি
অটোনমিক নার্ভ আক্রান্ত হলে দেহের ভিতরের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা হতে পারে। যেমন আমাদের হৃদপিণ্ড ও রক্ত পরিবহন তন্ত্র আক্রান্ত হলে হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যায়। শোয়া বা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে রক্তচাপ কমে যায় ও মাথা ঘোরে। অনেকসময় পরিপাক তন্ত্রেরও সমস্যা হয়। ফলে মনে হয় পেটের মধ্যে খাবার জমে আছে।
তাছাড়াও যৌন ক্ষমতাও অনেক সময় কমে যায়। প্রস্রাব ও মল ত্যাগে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। শরীরের নীচের অংশে ঘাম কম তৈরি হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে পা ফেটে যায় ও পায়ে আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার অনেক ক্ষেত্রে অটোনোমিক নিউরোপ্যাথি রোগী হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে গ্লুকোজ কমে গেলে বুঝতে পারে না। যার ফলে তার গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়।
বিশেষ করে কার্ডিয়াক বা হার্টের সমস্যা নিয়ে, যেমন- পুসচারাল ড্রপ বা পুসচারাল হাইপারটেনশন নিয়ে প্রেজেন্ট করতে পারে।
ইউরোলজিক্যাল বা ইউরিনারি ব্লাডারের সমস্যা হলে- প্রস্রাবের কিছু সমস্যা হতে পারে। (রিটেনশন হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব আটকে থাকা, কন্ট্রোলে না থাকা) এই ধরনের সমস্যা ডায়াবেটিসে নিউরোপ্যাথি নিয়ে আসতে পারে।
তাহলে এই নিউরোপ্যাথির উপসর্গগুলো কিন্তু আমাদের আসলে কো-রিলেট করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীর যখন অর্গানের জটিলতা শুরু হয়, তখন সার্চ করতে হবে অন্যান্য অর্গানের নিউরোপ্যাথি আছে কি না? সেটাও দেখে নিতে হবে। সাধারণভাবে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বা হাতে-পায়ের এই উপসর্গগুলো নিয়েই কিন্তু বেশি পেশেন্ট এসে থাকে নিউরোলজিক্যাল উপসর্গ নিয়ে।
সেই ক্ষেত্রে আমরা নিউরোলজিক্যাল কিছু পরীক্ষা আছে সেটার মাধ্যমে ডায়াগনোসিস করি। রোগীর নিউরোপ্যাথি আছে কি না। আর ইন্টার্নাল অর্গানে বা অটোনোমিক নিউরোপ্যাথি যেগুলো, সেগুলো একটা অর্গানে যদি নিউরোপ্যাথি থাকে, তাহলে আমরা ধরে নেই অন্যান্য অর্গানেও নিউরোপ্যাথি হয়েছে। সেই হিসেবে সব অর্গানের চিকিৎসা করতে হবে।
ডায়াবেটিসে আরও যেসব সমস্যা হতে পারে?
ডায়াবেটিসজনিত চোখের সমস্যা বা রেটিনোপ্যাথি, ডায়াবেটিসজনিত কিডনি বা নেফ্রোপ্যাথি, এবং ডায়াবেটিসজনিত পায়ের নার্ভ বা নিউরোপ্যাথিক সমস্যা হতে পারে। এই প্রধান সমস্যাগুলো আমরা মাইক্রোভাস্কুলার কম্প্লিকেশন হিসেবে পেয়ে থাকি।
আরেকটা জটিলতা হচ্ছে ম্যাক্রোফেস্কুলার বা বড় বড় রক্তনালীগুলো যখন ইনভলভ হয়। যেমন- স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক অথবা পায়েল রক্ত চলাচলে সমস্যা, পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ নিয়েও আসতে পারে। মোটামুটি ভাবে এইগুলোই বড় কম্প্লিকেশন।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এই জটিলতাগুলো শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। যদি ডায়াবেটিস সুনিয়ন্ত্রিত থাকে অবশ্যই আমরা জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে পারি।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ সুস্থতার জন্য কিডনির সুস্থতা জরুরি। শিশুদের অনেকেই এখন কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আবার যে কোনো গুরুতর অসুখ অথবা ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণেও শিশুদের কিডনি সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই শিশুর কিডনির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
রক্তের মধ্যে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করা ও প্রয়োজনীয় পদার্থ ধরে রাখা; শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা; বিভিন্ন হরমোন তৈরি করা ও তৈরিতে সাহায্য করা; রক্তের কণিকা তৈরিতে সাহায্য ও শরীরের হাড়কে সুস্থ রাখা ইত্যাদি কাজ করে কিডনি। প্রতিটি কাজই মানব শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কিডনি সুস্থ না থাকলে এসব কাজে বিঘ্ন ঘটে ও শারীরিক বিপর্যয় দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুদের ঝুঁকি বেশি।
শিশুদের কিডনি সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড নিউনেটোলজি ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং কো-অর্ডিনেটর ডা. সাবিনা সুলতানা।
শিশুর কিডনি রোগের লক্ষণ
ঘন ঘন প্রস্রাব করা, প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া; ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব করা, বিছানায় প্রস্রাব করা (৬ বছরের অধিক বয়সে), প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রস্রাবের সময় তলপেট/কোমর ব্যথা করা, শরীরে পানি আসা/ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া, কিডনিতে পানি জমা হওয়া, কিডনি ছোট-বড় হওয়া, উচ্চরক্তচাপ দেখা দেওয়া, কিডনিতে জম্মগত ত্রুটি থাকা- এসব লক্ষণ দেখা গেলে, পরিবারের কারও কিডনি রোগ থাকলে, শিশু সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করলে, জন্মের পর শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে দেরি না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
শিশু যদি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডিতে আক্রান্ত হয়, কিডনি পুরোপুরি অক্ষম হয়, ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয় তবে চিন্তার কিছু নেই। দেশেই এখন কিডনি রোগের সুচিকিৎসা সম্ভব। এছাড়া নিয়মিত ফলো-আপ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
শিশুর জন্মগত কিডনি রোগ আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে ধরা পড়ে। মূত্রনালি ও মূত্রাশয়ের গঠনগত সমস্যা; মূত্রপথের ভাল্বের কার্যক্রমে বাঁধা; কিডনি থাকা না থাকা; বিভিন্ন আকারে অর্থাৎ ছোট-বড় থাকা; ঠিক জায়গা মতো না থাকা; কিডনি ফোলা থাকা ইত্যাদি সমস্যা সম্পর্কে আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়।
শিশুর মূত্রনালির সংক্রমণ (ইউটিআই) শিশুদের অন্যতম প্রধান একটি রোগ। অনেক ক্ষেত্রেই এ রোগের সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা করা হয়। ফলে বার বার সংক্রমণের দরুন শিশুর কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসার অভাবেই শিশুদের কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়।
এসব বিষয়ে অভিভাবকদের বেশি সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের প্রস্রাবের সংক্রমণ অবহেলা না করে সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণে কিডনির রোগ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগী সংখ্যা বেশি হওয়ায় সিট পূর্ণ হয়ে অনেকে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু ও মহিলা রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারনা আগামী পনের দিন রোগীর সংখ্যা আরো বাড়বে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বুধবার(৩০ মার্চ)দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় সিট পূর্ণ হয়ে ভর্তি রোগীরা মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রোগীই বেশি। এ ছাড়া মেডিসিন ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে।হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত কোন রোগী মৃত্যুবরণ করেনি ও কোন রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করতে হয়নি।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবায়েদা খাতুন বলেন,বুধবার দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হল ৪৯ জন। এ ছাড়া মেডিসিন ওয়ার্ডে পূর্ন বয়স্ক পুরুষ রোগী ভর্তি রয়েছে আরো ৫ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সিট রয়েছে মাত্র ১৮টি। ফলে রোগীদের নিজ উদ্যোগে বিছানা নিয়ে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে। কর্মরত নার্স রযেছে মাত্র ৬ জন । ফলে রোগী সামলানোও বেশ সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া এক জন চিকিৎসক দিনে দুইবার রাউন্ডে আসে ফলে জরুরী রোগীদের চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতলে একটি প্রকল্পে কর্মরত আইসিডিডিআরবি’র ফিল্ড রিসার্চ এ্যাসিস্ট্যান্ট মো. সানাউল্লাহ জানান, চলতি মাসের ২৩ মার্চ ৫২ জন, ২৪ মার্চ ৫০ জন এবং ২৫ মার্চ ৪৩ জন ডায়রিয়া রোগী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এখন ডায়রিয়ার পিক সিজন চলছে। আগামী ১৫ দিন প্রকোপ আরো বাড়বে। তার পর আক্রান্তে সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাববে।
মো. সানাউল্লাহ জানান, ডায়রিয়া হাত থেকে বাঁচতে হলে, বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। খাবারের আগে ও টয়লেটের পরে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। সব ধরনের স্ট্রিট ফুড পরিহার করতে হবে। কেউ ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে প্রাথমিক ভাবে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। যদি বমি ও পাতলা পায়খানা হয় তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতাল কিম্বা চিকিৎকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় গতবারের তুলনায় এবছর ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগী সংখ্যা বেশি হওয়ায় সিট পূর্ণ হয়ে অনেকে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু ও মহিলা রোগীর সংখ্যাই বেশি। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সরেজমিনে দেখা যায় সিট পূর্ণ হয়ে ভর্তি রোগীরা মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দূরদুরান্ত থেকে আসা মহিলা ও শিশু রোগীই বেশি।তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগী মৃত্যুবরণ করেনি।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে কালচার অফিসার রেদওয়ানা’র হত্যাকারীর ফাঁসি দাবী
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স সালমা ইয়াসমিন বলেন, অন্য বছর এ সময়ে হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী কম ছিল। কিন্তু এবার অনেক বেশি। রোগীদের মধ্যে শিশুই বেশি। এখানে একদিনে সবোর্চ্চ ৮২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। চলতি মাসের ২৩ মার্চ ৫২ জন, ২৪ মার্চ ৫০ জন এবং ২৫ মার্চ ৪৩ জন রোগী ভর্তি হয়।
কালিহাতী উপজেলার সল্লা থেকে আসা জুলিয়া বেগম বলেন, আমার ছোট্র ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে হাসপাতালে ৫ দিন যাবত ভর্তি আছি। আগের থেকে ওর অবস্থা অনেক ভাল। বাসাইল থেকে আসা শাহনাজ বেগমের শিশু কন্যা হাবিবা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২ দিন ধরে চিকিৎসাধীন আছে।
কয়েকজন রোগী ও রোগীর স্বজন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এখানকার পরিবেশ তেমনটা ভাল নয়। আরো পরিষ্কার থাকা দরকার।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহাকরি পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক ডা: খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী কমে আসছে। কোন মৃত্যু নেই। তবে গত বছরের তুলনায় এবার রোগী সংখ্যা বেশি। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, আশাকরি সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন।