/ হোম / স্বাস্থ্য
টাঙ্গাইলে পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কাটলেন ডা. তুহিন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কাটলেন ডা. তুহিন

একতার কণ্ঠঃ ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের পিত্তথলি কাটার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল শহরের সোনিয়া নার্সিং হোমের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. তুহিন তালুকদারের বিরুদ্ধে।

রবিবার (২১ মে) দুপুরে ওই ভুক্তভোগী যুবক মো. পারভেজ প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল পেটের ব্যথা নিয়ে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. তুহিন তালুকদারের কাছে যান পারভেজ। ওই চিকিৎসক পারভেজকে দেখে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে করানোর পরামর্শ দেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন পারভেজ। পরে সেই রিপোর্ট দেখালে চিকিৎসক তাৎক্ষনিক অপারেশন করতে হবে বলে জানান। ওই দিনই পারভেজের পেটে অস্ত্রোপচার করে পিত্তথলি কেটে ফেলেন ডা. মো. তুহিন তালুকদার।

অপারেশনের পরে রোগীর স্বজনদের পিত্তথলি দেখালে তাতে কোনও পাথর ছিল না। একপর্যায়ে জানানো হয়, কেটে ফেলা পিত্তথলিতে কোনও ক্যান্সারের জীবাণু রয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর কারণে পিত্তথলি নার্সিং হোমে রেখে দেওয়া হয়েছে।

অপারেশনের কয়েকদিন পরে পারভেজকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তখন রোগীর স্বজনরা দেখতে পান, পারভেজের স্থানে পারভীন নামের এক নারীর রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক তার পিত্তথলি কেটে ফেলেছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।

পারভেজের স্ত্রী তামান্না হাসান বিজলি বলেন, ‘চিকিৎসক তুহিন ও নার্সিং হোমের মালিক আবুল কালাম রিজভী ভুল চিকিৎসার জন্য শুধু দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন তারা।’

ভুল চিকিৎসার শিকার মো. পারভেজ বলেন, ‘ওই দিন আমার সঙ্গে পারভীন নামের এক নারীর পিত্তথলির অপারেশন করা হয়। ডাক্তার ওই নারীর রিপোর্ট দেখে আমার চিকিৎসা করেছেন। পিত্তথলি কাটার পর থেকে পেটে এখনো ব্যথা করে। ব্যথার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতে হচ্ছে। ভুল চিকিৎসার প্রতিকার চাইলে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ হুমকি দিচ্ছে। ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণার কারণে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

সোনিয়া নার্সিং হোমের মালিক আবুল কালাম রিজভী বলেন, ‘সঠিকভাবেই ওই রোগীর পিত্তথলির অপারেশন হয়েছে। তবে তার রিপোর্টের স্থালে একজন নারীর রিপোর্ট চলে যায়। নার্সিং হোমে ওই দিন ৫টি অপারেশন হয়েছে। এছাড়া পিত্তথলির বায়োপসি রিপোর্ট হারিয়ে গেছে। এখন ওই রোগী টাকা ফেরত চাচ্ছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডা. মো. তুহিন তালুকদারের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর তাকে বারবার মুঠোফোনে খুদেবার্তা (মেসেজ) পাঠানো হলেও কোন জবাব দেননি তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. মে ২০২৩ ০৩:১৩:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম, সু-চিকৎসার জন্য দুশ্চিন্তায় পরিবার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম, সু-চিকৎসার জন্য দুশ্চিন্তায় পরিবার

একতার কণ্ঠঃ আরিফ-সুমাইয়া দম্পতির কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে যমজ পুত্র সন্তান হাসেন-হোসেন। তবে শিশু দুটি স্বাভাবিক নয়, বুকে জোড়া লাগানো।

গত শনিবার (৬ মে) রাত ২:৩০ টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের রাজধানী নার্সিং হোম-এ সিজারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম দেন সুমাইয়া আক্তার।

নবজাতক যমজ শিশুর পিতা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের আগ দিঘুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পিতা আরিফ হোসেন বলেন, ৬ তারিখ টাঙ্গাইলের রাজধানী নার্সিং হোম-এ আমার স্ত্রীর যমজ শিশুর জন্ম দেয়। কিন্তু তাদের বুক একে অপরের সাথে জোড়া লাগানো। ক্লিনিকে নিবির পর্যবেক্ষণ না থাকায় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ৯ তারিখ বাসায় নিয়ে আসি। বাচ্চা দুটি এখন সুস্থ্য। বিকল্প পদ্ধতিতে তাদের খাওয়ানো হচ্ছে। স্ত্রী সুমাইয়াও সুস্থ্য আছেন।

আরিফ হোসেন আরো বলেন, আমার বাবা ঘোড়ার গাড়ি চালক। আমি পেশায় দিনমুজর। আমাদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না। ক্লিনিক থেকে বলেছে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা সম্ভব। কিন্তু এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। শিশু দুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিত্তবানসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

মা সুমাইয়া আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সন্তান দুজনকে আলাদা শরীরে দেখতে চাই। চিকিৎসা সহায়তার মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমার সামর্থ নেই চিকিৎসা করানোর। তাই সরকারের কাছে সকল প্রকার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এদিকে জোড়া লাগানো যজম শিশু দুটি দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে প্রতিবেশিসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।

সুবর্ণতলী গ্রামের বৃদ্ধা নুরজাহান বেগম বলেন, আমি জীবনেও জোড়া লাগানো বাচ্চা দেখিনি। তাই দেখতে আসছি।

প্রতিবেশি আরাফাত বলেন, সামনে থেকে প্রথম বার আমি জোড়া লাগানো বাচ্চা দেখলাম। এর আগে ইউটিউবে দেখেছি। এমন ঘটনা আমাদের গ্রামে এই প্রথম। তাই অনেকে উৎসুক হয়ে শিশু দুটিকে দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছে।

আরিফ হোসেনের বোন জামাই মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ডেলিভারির আগেও আল্ট্রাসনোতে বাচ্চা যমজ জানতে পারলেও জোড়া লাগানোর বিষয়টি জানা যায়নি। জন্মের পর দেখা যায় তাদের শরীর জোড়া লাগানো। চিকিৎসকরা জানান ক্লিনিকে জোড়া লাগানো যমজ শিশু দুটিকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তারা ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থ না থাকায় বাধ্য হয়ে শিশুদে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশু দুটি নিয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলে আগ দিঘুলিয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন।

তিনি আরো জানান, শরীর জোড়া লাগানো থাকলেও খাবার ও পস্রাব-পায়খানার রাস্তা তাদের আলাদা। যত্নের সাথে তাদের লালন-পালন করছেন মা সুমাইয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। জোড়া লাগানো সন্তান নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। এখন কোন সমস্য না হলেও বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের সমস্যটা বড় হতে থাকবে। এই জটিল চিকিৎসার ব্যয়ভার আর অস্ত্রোপচারের জটিলতা নিয়ে পরিবারে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। দ্রুত সু-চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু দুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান সরকারসহ বিত্তবানদের প্রতি।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. লিংকু রাণী কর জানান, চিকিৎসা শাস্ত্রে এটিকে কনজয়েনড টুইন বেবি বা সংযুক্ত যমজ শিশু বলা হয়। এটি অবশ্যই জটিল একটি চিকিৎসা। অস্ত্রোপচার করা গেলে সফলতা সম্ভব। দেশে জোড়া লাগানো বেশ কয়েকটি শিশুর অস্ত্রোপচার হয়েছে।

নবজাতক শিশু দুটির সু-চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের আগ দিঘুলিয়া গ্রাম।

নবজাতক শিশু দুটির মাতা সুমাইয়া আক্তার। বিকাশ নম্বর: ০১৩১৪-৬৯৮৯০৩

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. মে ২০২৩ ০২:৫৩:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত

একতার কণ্ঠঃ “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যত” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (১২ মে) সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আয়োজনে এ আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত হয়।

আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন (এমপি)।

পরে বর্নাঢ্য একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষিন করে। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও বিভিন্ন নার্সিং স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচীতে অংশ নেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. মে ২০২৩ ০৩:২১:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে স্বামীর জীবন বাঁচাতে কিডনি দিলেন স্ত্রী - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্বামীর জীবন বাঁচাতে কিডনি দিলেন স্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের কিডনি দিলেন স্ত্রী লাভলী বেগম।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ভারতের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসপাতালে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করেন ডা. প্রতীক দাস।

জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোন্নাফ আলীর দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত সমস্যা নিয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাক্তার তার কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিলে স্বামীর জীবন রক্ষায় স্ত্রী তার একটি কিডনি প্রদান করেন।

ভূঞাপুরের সাবেক পৌর মেয়র ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সফলভাবে অস্ত্রপাচারের পর মোন্নাফ ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম সুস্থ রয়েছেন। তার পরিবার সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. এপ্রিল ২০২৩ ০৩:০২:এএম ২ বছর আগে
মধুপুরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’র কর্মশালা অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

মধুপুরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’র কর্মশালা অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে) এর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার আয়োজন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

সুশীলন নামক বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান সিদ্দিক। কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সুশীলনের ই এম ই মো. এ মোসা বিশ্বাস।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের এসএসকে’র সুপার ভাইজার মো. রিফাত হোসাইন, গ্রীণ ডেলন্টা ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর প্রতিনিধি মো. নাসির উদ্দীন, মধুপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ইউপি সদস্য জাবেদ আলী, লিলি বেগম, রাশিদা বেগম,রফিকুল ইসলাম,কামরুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, জোয়াহের আলী প্রমুখ।

কর্মশালায় এসএসকের স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় ইউপি সদস্য, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. মার্চ ২০২৩ ০২:৫৬:এএম ২ বছর আগে
ঘাটাইল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিলেন সহস্রাধিক মানুষ - Ekotar Kantho

ঘাটাইল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা নিলেন সহস্রাধিক মানুষ

একতার কণ্ঠঃ ঘাটাইলে মেডিকেল ক্যাম্পে বিনা পয়সায় চিকিৎসা পেলেন সহস্রাধিক মানুষ। শনিবার (১১ মার্চ) দিনব্যাপি উপজেলার দেউপাড়া ইউনিয়নের ভাবনদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গণ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামীলীগের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান।

ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ভাবনদত্ত গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব আকন্দ, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক ও জেনারেল প্র্যাক্টিশনার শিশু আর মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মো. সদর উদ্দিন, ভাবনদত্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক তাহেরুজ্জামান খান তারা, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক ডাঃ সাইফুল ইসলাম, বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আ.ন.ম বজলুর রহমান বাহাদুর, স্থানীয় মুরুব্বী হাজী আব্দুল গফুর প্রমুখ।
আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা প্রদান করেন-টাঙ্গাইল ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক ও জেনারেল প্র্যাক্টিশনার শিশু ও মেডিসিন বিভাগের ডাঃ মো. সদর উদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মো. সাইফুল ইসলাম, ডাঃ সুব্রত কুমার পাল, মেডিকেল অফিসার ডাঃ নূর-ই-আলম তাহ্মিদ, অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ আরিফুল ইসলাম, সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ কামরুল ইসলাম কাজল, নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ নজরুল ইসলাম ও ডাঃ শরিফুল ইসলাম।
আয়োজিত ক্যাম্পে সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চক্ষু সেবা দেয়ার পাশাপাশি বহিঃবিভাগে ফ্রি ডায়াবেটিক পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ পরামর্শ প্রদান করেন।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান জানান, উপজেলাবাসির দোর গোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌছে দিতে এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। আজ থেকে উপজেলায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলো। ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম চালানো হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. মার্চ ২০২৩ ০৩:৩৮:এএম ২ বছর আগে
উদ্বেগ-হতাশা কমায় কাঁচা হলুদ! - Ekotar Kantho

উদ্বেগ-হতাশা কমায় কাঁচা হলুদ!

একতার কণ্ঠঃ দিন দিন যত গতিময় হচ্ছে জীবন, ততই মানসিক রোগ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে গতিময় জীবনে পিছিয়ে পড়ার চিন্তায় অস্থির হচ্ছেন অনেকেই।

ফলে ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে উদ্বেগের সমস্যা।

কিন্তু কথায় কথায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে সমস্যা বাড়ে। কাজেও তার ছাপ পড়ে। কমে কাজ করার ক্ষমতা। তবে ওষুধ খেয়ে উদ্বেগ কমাতে চান না অনেকেই। মনে করেন, একবার ওষুধ খেতে শুরু করলে তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাবে।

নিয়মিত ধ্যান করলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় যেকোনও মানসিক সমস্যা। তবে আরও একটি ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। প্রতিদিন একটু করে কাঁচা হলুদ খেতে হবে মাত্র। তাহলেই অনেকটা শান্ত থাকবে মন।

বিজ্ঞানীরা বহু দিন ধরেই গবেষণা করছেন বিভিন্ন মশলার গুণ নিয়ে। দেখা গেছে, হলুদে উপস্থিত কার্কুমিন শরীরের প্রদাহ কমায়। এর প্রভাবে কমে মানসিক চাপও। মনের মধ্যে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শরীর-মন দুই থাকে স্থিতিশীল। কার্কুমিনের আরেক গুণ হল, তা মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। তাতেও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হয় বলে বক্তব্য মনোবিদদের।

উদ্বেগ-হতাশায় ভুগলে প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খেতে হবে?

গবেষকেরা দেখেছেন, প্রতিদিন ১৫০-২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খেলেই যথেষ্ট কাজ হয়। তবে ব্যক্তি বিশেষে হলুদের পরিমাণ কম বা বেশি প্রয়োজন হতে পারে। তবে নিয়মিত হলুদ খেতে শুরু করার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৩:১৫:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে এক কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ৩৭ জন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এক কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ৩৭ জন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৭ ব্যক্তি। তবে এলাকাবাসীর তথ্যমতে, কামড় খাওয়া লোকের সংখ্যা ৬০-এর ওপর। ৩৭ জনের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যামকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৫ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কুকুরটির তাণ্ডব। ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাইল পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (৫ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পৌর এলাকার ফতেহপাড়া ও রতনপুর এলাকায় ৮ থেকে ১০ জন লোককে কামড় দেয় কুকুরটি। পরে লোকজন লাঠি নিয়ে ধাওয়া করলে কুকুরটি ঘাটাইল উত্তরপাড়া এলাকায় চলে আসে। সেখানেও কয়েজনকে কামড় দেয়।

উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা রঞ্জু মিয়া জানান, শুরুতে তার বাবা জুলহাস উদ্দিনকে কামড় দেয় কুকুরটি। এর পর আরও অনেককে কামড় দিয়ে চলে যায় ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড হয়ে কলেজ মোড়ের দিকে। তার দাবি, এর পরই তার পক্ষ থেকে পাগল কুকুরের বিষয়ে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়।

ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াজেদ আলী জানান, সেখানেও প্রায় ১০ জনকে কামড় দেয়। কুকুরটি এর পর চলে আসে কলেজ মোড়ে। এখানকার কয়েকজন জানান, স্থানীয়সহ ঢাকাফেরত কয়েকজনকে কামড়িয়েছে কুকুরটি। পরে সেখান থেকে পৌরসভার চান্দুশী গ্রামের দিকে চলে যায়।
চান্দুশী গ্রামের মো. কায়সার জানান, শুরুতে ঘাটাইল সরকারি জিবিজি কলেজ গেট-সংলগ্ন ঢাকা কম্পিউটারের মালিক লিটনকে কামড় দেয়। এর পর আরও অনেককে কুকুরটি কামড় দিয়েছে বলে শুনেছেন।

এ ধরনের আরও একটি কুকুরের আবির্ভাব হয়েছে বলে শুক্রবার(৬ জানুয়ারি) সকাল সকলে জানিয়েছেন পৌরসভার ঝরকা এলাকার লোকজন। ওই কুকুরটিও নাকি অনেককে কামড় দিয়ে ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড দিকে চলে এসেছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া।

ঘাটাইল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রেজওয়ানা হায়দার জানান, বৃহস্পতিবার (৫ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৭ জন কুকুরে কামড় দেওয়া রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান ক্ষতস্থান দেখে ইনজেকশন ও খাওয়ার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালেও হাসপাতালে এ ধরনের তিনজন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, সরকারিভাবে কুকুর নিধন নিষিদ্ধ। কুকুর যেহেতু পাগল হয়েছে, তাই সেই কুকুর নিধনের জন্য মাঠে পৌরসভার লোক কাজ করছে। পাশাপাশি মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. জানুয়ারী ২০২৩ ১০:০২:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলের ওয়াজ মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে দুইশতাধিক অসুস্থ, বৃদ্ধার মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের ওয়াজ মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে দুইশতাধিক অসুস্থ, বৃদ্ধার মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গজিয়াবাড়ি গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে শিশুসহ দুইশতাধিক গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে রাহেলা বেগম (৯৪) নামে এক বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেছে । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মো.আশরাফুল আলম ।

মৃত রাহেলা বেগম দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গজিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত বিষা চৌধুরীর স্ত্রী।

এতে বুধবার(১৬ নভেম্বর) ভোরে এলাকা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় আক্কাস মিঞার বাড়িতে এক ওয়াজ মাহফিলে আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিল শেষে তোবারক হিসেবে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। স্থানীয় বাবুর্চি আব্দুল গণির রান্না করা খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন গজিয়াবাড়ী গ্রামের শিশুসহ দুুশতাধিক নারী পুরুষ। খবর পেয়ে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম গজিয়াবাড়ি গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।এছাড়া স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে আক্রান্তদেন দ্রুত চিকিৎসকদের জন্য ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিকের বাড়িতে আসতে বলা হচ্ছে।

আলেয়া নামের এক নারী জানান, ওয়াজ মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে তিনদিন ধরে গ্রামের শিশু, নারী-পুরুষ ডাইরিয়া আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবার ভোরে অবস্থা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। অনেকেই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে।

আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক জানান, রবিবার রাতে খিচুড়ি খাওয়ার পর এখন পর্যন্ত গ্রামের শিশুসহ দুই শতাধিক নারী পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রাহেলা বেগম নামে গজিয়াবাড়ি গ্রামের এক বৃদ্ধার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

ডা: মো আশরাফুল আলম জানান, আক্রান্তদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেলদুয়ার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রাহেলা বেগম নামে এক বৃদ্ধা মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুবরণ করেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. নভেম্বর ২০২২ ০৬:০৬:পিএম ২ বছর আগে
আক্রান্তদের চোখের দিকে তাকালেই কি ‘চোখ ওঠে’? - Ekotar Kantho

আক্রান্তদের চোখের দিকে তাকালেই কি ‘চোখ ওঠে’?

একতার কণ্ঠঃ রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ করেই কনজাংটিভাইটিস রোগের প্রকোপ বেড়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে এটি ‘চোখ ওঠা’ রোগ নামে পরিচিত। দেশের নানা প্রান্তে চোখের এ সমস্যা নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, করোনার এ সময় চোখ ওঠা নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ করোনার সংক্রমণে কারও কারও চোখে প্রদাহ হতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই এ সময় চোখ উঠলে করোনার অন্য উপসর্গ রয়েছে কি না, তা খেয়াল করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে।

চোখের এই রোগ মূলত ভাইরাসজনিত একটি সমস্যা। রোগটি হলে কারও কারও কোনো চিকিৎসা ছাড়া এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সাধারণ চোখ ওঠা এক থেকে তিন সপ্তাহে সেরে যায়। আবার কারও চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দুই চোখ অথবা এক চোখ লাল বা গোলাপী হয়ে যায়। চোখে পুঁজের মতো জমা হয়, চোখ থেকে পানি ঝরে, চোখ জ্বালাপোড়া করে।

চোখ ওঠা একটি সংক্রামক রোগ। এই রোগ নিয়ে অনেকের মনে এমন একটি ধারণা রয়েছে যে, চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তিরও চোখ ওঠে।

আসলেই কি তাই? এর উত্তর দিয়েছে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অপথ্যালমোলজি। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, জীবাণু আলোকরশ্মির সাহায্যে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। কনজাংটিভাইটিস সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়।

অর্থাৎ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তার চোখ স্পর্শ করার পর সেই হাত দিয়ে কোনো একটি জিনিস স্পর্শ করলে এবং পরবর্তীতে সে জিনিসটি যদি অন্য কেউ স্পর্শ করে ও নিজের চোখে হাত দেয়, তাহলে সুস্থ ব্যক্তিটিও এই রোগে আক্রান্ত হয়।

চোখ ওঠা মারাত্মক ছোঁয়াচে একটি রোগ। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অপথ্যালমোলজির তথ্য বলছে, এই রোগের ভাইরাস হাঁচি বা কাশির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। রোগীর ব্যবহার্য রুমাল, তোয়ালে, বালিশ, টিস্যু অন্যরা ব্যবহার করলে তারা আক্রান্ত হতে পারে।

চোখ ওঠা ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তির চোখ ওঠে বলে প্রচলিত যে ধারণা রয়েছে, তা পুরোপরি ভ্রান্ত ধারণা।

সম্প্রতি হেলথ লাইনের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রোগে চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও চোখে অস্বস্তি বোধ হয়। চোখ স্পর্শ বা মোছার পরে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। হাত না ধুয়ে কোনো কিছু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনোমতেই চোখ চুলকানো যাবে না। এই রোগের সময় বাইরে না যাওয়াই ভালো। বাইরে গেলে চোখে কালো চশমা পরে নিলে রোগী আরাম বোধ করবেন। বেশি অস্বস্তিবোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, করোনার এ সময় চোখ ওঠা নিয়ে আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ করোনার সংক্রমণে কারও কারও চোখে প্রদাহ হতে দেখা যাচ্ছে। কাজেই এ সময় চোখ উঠলে করোনার অন্য উপসর্গ রয়েছে কি না, তা খেয়াল করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে।

সংবাদ সূত্র – সময় টিভি

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪৩:এএম ২ বছর আগে
টানা বসে থেকে কোমর ব্যথা, কী করবেন? - Ekotar Kantho

টানা বসে থেকে কোমর ব্যথা, কী করবেন?

একতার কণ্ঠঃ অনেকেই আছেন যারা দিনের ১২-১৪ ঘণ্টা কাটিয়ে দেন অফিসঘরে। বাংলাদেশের ব্যাংকারদের উপর পরিচালিত একটি গবেষণা জানাচ্ছে যে, যারা বেশি সময় অফিসে বসে কাজ করেন তাদের ঘাড়, কোমর, হাটু বা কাঁধ ব্যথা হবার প্রবণতা যারা কম সময় বসে থাকেন তাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এক কথায় যাকে বলা যায় অফিস সিনড্রোম।

অফিসে টানা বসে থেকে কোমর ব্যথা থেকে উপশমের উপায় নিয়ে লিখেছেন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফিজিওথেরাপি বিভাগীয় প্রধান ডা. মোহাম্মদ আলী।

মানুষ জন্মগত ভাবেই নড়াচড়া প্রবণ জীব। মানব সৃষ্টির শুরু থেকেই আহার সংগ্রহে মানুষ শারীরিক শ্রম দিত। একটি শিকার করতে আমাদের পূর্ব পুরুষরা বিপুল শারীরিক শক্তি ব্যয় করত। কিন্তু আমাদের আধুনিক জীবন অনেকটাই মেধা নির্ভর। চেয়ার- টেবিল বা কম্পিউটার-মোবাইলের সামনে বসেই বেশিরভাগ সময় কাটে আমাদের। ফলশ্রুতিতে হাড়-মাংসপেশিতে আসে জড়তা। বাইরে সূর্যের আলোতে কম আসাতে আমাদের শরীরে দেখা দেয় ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি। সব মিলিয়ে স্থবির থাকতে থাকতে আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মাংসপেশি ও হাড়ের জড়তা প্রকাশ পায় ব্যথার মাধ্যমে। হাড়ের ক্ষয়, মাংসপেশির দূর্বলতাজনিত ব্যথা জেকে বসে আমাদের শরীরে।

একসময় ভাবা হত যারা ভারি কাজ করেন, অস্বস্থিকর ভঙ্গিমায় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকেন কেবল তাদেরই ঘাড়-কোমর ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু আধুনিক কালের গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা; প্রকৃতপক্ষে যারা দীর্ঘ সময় একই ভংগিমায় কাজ করেন তাদেরই ব্যথাজনিত শারীরিক সমস্যা বেশি হয়। অনেকেই ভাবেন, খুব আধুনিক চেয়ারে বসে ১২-১৪ ঘণ্টা টানা কাজ করলেও ঘাড় বা কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হবার সম্ভবনা নেই। বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়; আসলে আপনি একই ভংগিমায় কতক্ষণ কাজ করলেন সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ ভংগিমা যে কোন রকম হতে পারে, ব্যথামুক্ত থাকার শর্ত হলো সেই ভংগিমায় বেশিক্ষন থাকা যাবে না।

পরিত্রাণের উপায় কী?

প্রথম শর্ত হলো, একভাবে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা যাবে না। প্রতি একঘন্টায় এক মিনিটের জন্য হলেও পজিশন পরিবর্তন করতে হবে। সুযোগ থাকলে হালকা স্ট্রেচিং করা যেতে পারে। কিছু খুব সাধারণ অথচ বিশেষ ব্যায়াম আছে যা অফিসের চেয়ারে বসেই করা যায়, সেগুলো জানতে হবে। যারা ইতোমধ্যেই ব্যথায় আক্রান্ত তারা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।

দ্বিতীয়ত, আপনার মোবিলিটি বা নাড়াচাড়া বাড়াতে হবে। একটি শ্লোগান মনে রাখা দরকার, ‘সুস্থ থাকতে হাটতে হবে’। অনেকেই অজুহাত দেন যে তাদের হাটার সময় নেই। কিন্তু আপনি চাইলেই হাটতে পারেন। যেমন ধরুন অফিস থেকে বাসায় ফিরতে যেটুকু রাস্তা রিক্সায় আসেন সেটুকু আজ থেকে হেটে আসুন অথবা সাধের প্রাইভেট কারটা গ্যারেজে রেখে হেটে অফিস করুন, দেখবেন অর্থও সাশ্রয় হচ্ছে সাথে ভালো থাকছে শরীর ও মন।

পরিশেষে, প্রায়ই বেরিয়ে পড়ুন এডভেঞ্চারে। হাতে সময় কম থাকলে আশেপাশের টুরিস্ট স্পট ভিজিট করুন। সাঁতার কাটুন, দৌড়ান বা হিল ট্রাকিং করুন। শারীরিকশ্রমের সাথে সাথে পাবেন সূর্যের ভিটামিন ডি। মনে রাখুন, আমাদের পূর্বপূরুষদের সবকিছুই ছিলো শারীরিক শ্রম নির্ভর। আপনিও এই জেনেটিক্সের বাইরের কেউ নন!

সূত্র- যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. অগাস্ট ২০২২ ০৬:৩৯:পিএম ২ বছর আগে
৬ বছরেও চালু হয়নি টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল - Ekotar Kantho

৬ বছরেও চালু হয়নি টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

একতার কণ্ঠঃ দীর্ঘ ৬ বছরেও শুরু হয়নি টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। ফলে একদিকে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে উন্নত মানের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী।

তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

টাঙ্গাইল জেলায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসবাস। এছাড়াও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার কারণে জেলায় অবস্থিত ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে সবসময়ই রোগীর চাপ থাকে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি না থাকায় রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। তাই জরুরি রোগী রেফার করতে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যে কারণে ২০১৪ সালে সরকার এসব মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে প্রায় ৬’শ কোটি টাকা ব্যয়ে নুরানী কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। ২০১৯ সালে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পুনরায় দুই দফা সময় বর্ধিত করেও ২০২২ সালের মাঝামাঝি এসেও কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। লিফটের কাজ এখনও চলমান।

এদিকে কর্তৃপক্ষ বার বার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু করার ঘোষণা দিয়েও হাসপাতাল চালু করছে না। এতে টাঙ্গাইলবাসী উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই দ্রুত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালুর দাবি সেবা প্রত্যাশীদের।

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক কথা বলতে রাজি হননি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই হাসপাতাল চালু করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদেকুর রহমান জানান, এ হাসপাতাল চালু না হওয়ায় নানা রকম সমস্যা হচ্ছে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে। পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও অভিজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় জটিল রোগীদের বাধ্য হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করতে হচ্ছে। এদিকে প্রতিদিন ১২শ’ থেকে ১৪শ’ রোগীর সেবা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অগাস্ট ২০২২ ০৮:৪১:পিএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।