একতার কণ্ঠঃ করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। এরই মধ্যেকরোনার এ ধরনটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসটি দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে যাদের কোভিড হচ্ছে তাদের ভেতর তিনটি নতুন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এগুলো হলো-
১. ঠাণ্ডা সর্দি
২. মাথা ব্যাথা এবং
৩. গলা ব্যাথা বা সোর থ্রোট
এর সঙ্গে হাল্কা জ্বরও থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যে এখন কারো ভেতর এই তিনটি লক্ষণ দেখা দিলেই তাদেরকে কোভিড টেস্ট করাতে বলা হচ্ছে। সম্প্রতি কিংস কলেজ অব লন্ডন পরিচালিত জো সিম্পটম স্টাডি নামের অ্যাপস ভিত্তিক একটি গবেষণায় বেশিরভাগ কোভিড রোগীদের ভেতরে এই নতুন লক্ষণগুলে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এর আগে কোভিডের প্রধাণ লক্ষণগুলো ছিল-
১. উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর
২. ক্রমাগত শুস্ক কাশি
৩. স্বাদ এবং ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন।
বাংলাদেশে এখন যেহেতু ৮০ শতাংশের ওপরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে কোভিড হচ্ছে, তাই যাদের ভেতর ওপরের তিনটি নতুন লক্ষণ দেখা দিবে, তাদের কোভিড টেস্ট করানো উচিত। এতে করে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা যাবে। এর ফলে ত্বরিত আইসোলেশন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে দেশে করোনার বিস্তার এবং এর থেকে মৃত্যু, দুটোই কমানো যাবে।
কনটেন্ট ক্রেডিট: মেডিভয়েস
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় শনিবার (৩ জুলাই) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩জন ও উপসর্গ নিয়ে ৬জন মারা গেছে।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল জেনালের হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা. সাজেদুর রহমান জানান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে সর্বমোট ৫১৭ জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫৯ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে ৭৪ জন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনালে হাসপাতালে আইসিইউ বেডে ৫ জন ও জেনারেল বেডে ৩৮জন নিয়ে মোট ৪৩ জন রুগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ববধায়ক আরো জানান, করোনায় আক্রান্ত রোগী ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে বেড সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ২৪ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৩২ বেড মোট ৫৬ বেড বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ১০৬ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১২১জন। এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৫০, কালিহাতীতে ১৪, ঘাটাইলে ১২, মির্জাপুরে ১০, নাগরপুরে ২, দেলদুয়ারে ১১, সখীপুরে ৫, বাসাইলে ৫, মধুপুরে ৩, ভূঞাপুরে ৩, গোপালপুরে ৩ ও ধনবাড়ী উপজেলায় ৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে জেলায় ৩২ টি নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ১০ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ৩২ দশমিক ২৫ ভাগ।আক্রান্ত ১০ জনই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮হাজার ২০৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৩ হাজার ৬৫৪, নাগরপুরে ১৬৫, দেলদুয়ারে ৩৭৭, সখীপুরে ৩৭৭, মির্জাপুরে ৮৬৫, বাসাইলে ২১৭, কালিহাতীতে ৮০৯, ঘাটাইলে ৫০৪, মধুপুরে ৩৯২, ভূঞাপুরে ৩৩৮, পোপালপুরে ২৭০ ও ধনবাড়ী উপজেলায় ২৪০ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ৪ হাজার ৭৫৫জন। এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১ হাজার ৬৫৭ জন, নাগরপুরে ১৩৮, দেলদুয়ারে ১৮০, সখীপুরে ২৭৬, মির্জাপুরে ৭২৭, বাসাইলে ১২৭, কালিহাতীতে ৪২৬, ঘাটাইলে ৩৪০, মধুপুরে ২৮২, ভূঞাপুরে ২২৮, গোপালপুরে ১৮৮ ও ধনবাড়ীতে ১৮৮ জন।
অন্যদিকে, কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ৪, মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ২, ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ১৪, গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ৪ জন ও মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ৩ জন নিয়ে মোট ৭০ জেলার হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ কঠোর লকডাউনেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবার(২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জন সহ মোট সাত জন মৃত্যুবরণ করেছে। নতুন করে জেলায় ৫২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এদিকে কঠোর লকডাউন অমান্য করে যাতায়াতকারী যানবাহন বঙ্গবন্ধুসেতু পারাপার হতে না পারে সেজন্য টোল আদায়ে সতর্ক থাকতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে(বাসেক) অনুরোধ জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি।
টাঙ্গাইল জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন অমান্য করে বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়ক ব্যবহার করে গণপরিবহন যাতে টাঙ্গাইলে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ব্যাবস্থা নিতে পাশের গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসককেও অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি এ অনুরোধ করেন।
তিনি জানান, কঠোর লকডাউন অমান্য করে কেউ যেন টাঙ্গাইলে প্রবেশ না করতে পারে- সে লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসককে বঙ্গবন্ধুসেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সব সময়ের জন্য মোবাইল কোর্ট রাখার অনুরোধ করা হয়েছে- যাতে বিধিনিষেধ অমান্য করে কোন গাড়ি সেতুতে উঠতে না পারে। এছাড়া টোল আদায়ে বাসেককে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন সদস্য(সচিব পদ মর্যাদার) জেলার করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পয়েণ্টে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে সেনা সদস্যরা। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১১৩টি চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে ২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সাতটি টিম(প্রতি টিমে ৯জন সেনা সদস্য), প্রতিটিমে আট জন সদস্যের র্যাবের তিনটি পেট্রোল টিম, বিজিবি’র ২০জন সদস্য, পুলিশ এবং আনসারের আটশ’ সদস্য মাঠে রয়েছেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান শুক্রবার(২ জুলাই) সকালে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন নতুন করে জেলায় ৫২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১২৬ জন, মির্জাপুরে ৩০ জন, দেলদুয়ার, কালিহাতী, ঘাটাইল ও গোপালপুরে ১২ জন করে, সখীপুরে ১০ জন, মধুপুরে সাত জন, বাসাইলে ছয় জন, ভূঞাপুর ও ধনবাড়িতে তিন জন করে এবং নাগরপুর উপজেলায় দুই জন রয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে সাত করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও নয় জন। বৃহস্পতিবার( ১জুলাই) সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘করোনা রোগীদের মধ্যে চার জন আইসিইউতে এবং বাকিরা করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ও আইসোলেশন সেন্টারে মারা গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে করোনা রোগী ও সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে হাসপাতালের দুটি জেনারেল (গাইনি ও মেডিসিন) ওয়ার্ড করোনা রোগীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
হাসপাতালে প্রযোজনীয় ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতেও হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবাকর্মীরা সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ দিকে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন খান জানান, নতুন করে জেলায় ২৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ৬২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ৪০ দশমিক ৯২ ভাগ।
তিনি আরো জানান,এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৬৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৫জন। সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১১৫জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩২০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ দিন জেলায় শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনাক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।বুধবার(৩০ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়াল সাত হাজার ৭০৭জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে মোট চার হাজার ৬৬২জন।করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে ১০৮জন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৪ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় নতুন করে একদিনে(২৪ ঘন্টায়) সর্বোচ্চ ১৯৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ দিন জেলায় শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৭ হাজার ৩৮৭ জন।মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৯৩ জন শনাক্ত হন। এর মধ্যে রয়েছেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৭৯ জন, ঘাটাইলে ২৬ জন, কালিহাতীতে ১৮ জন, গোপালপুরে ১৬ জন, দেলদুয়ারে ১৪ জন, ভূঞাপুরে ১৪ জন, মধুপুরে ৮ জন, ধনবাড়ীতে ৬ জন, মির্জাপুরে ৬ জন, সখীপুরে ৩ জন ও নাগরপুরে ৩ জন।
এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৮জন।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে গত দুই সপ্তাহ যাবত টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টাঙ্গাইল, কালিহাতী ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় সপ্তাহব্যাপি লকডাউনের ফলে দুই দিন কমলেও আবার আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুবরণ করেছেন।একই সময়ে জেলায় নতুন করে আরও ১৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার(২৮ জুন) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা(আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজীব জানান, করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ২০ শয্যার আরও একটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। ৫০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড গত বছর চালু করা হয়।
৭০ শয্যার দুই ওয়ার্ডে এখন ৭৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। এরমধ্যে ২২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫৫ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।
তাদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৯৫, কালিহাতীতে ২০, বাসাইলে ১৪, মধুপুরে আট জন, দেলদুয়ার ও ঘাটাইলে ৭ জন করে, ভূঞাপুরে পাঁচ জন, মির্জাপুরে তিন জন, সখীপুর ও নাগরপুর উপজেলায় এক জন করে রয়েছেন।
এ নিয়ে সোমবার পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৯৪। করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১০৮ জন। সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৫৬৯ জন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি জেলার মির্জাপুর উপজেলায়। জেলায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১০৮জন। এছাড়া ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১০১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রোবার(২৭ জুন) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে- টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ২৩ জন, ঘাটাইলে ২৩, কালিহাতীতে ১৭, গোপালপুরে ১২ জন, নাগরপুরে এক জন, দেলদুয়ারে নয় জন, সখীপুরে তিন জন, মধুপুরে নয় জন, ভূঞাপুরে চার জন রয়েছেন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ৩৩ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৫৫৬জন।
সিভিল সার্জন জানান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এ পর্যন্ত মোট ৪৪৪ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১৯ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর(রেফার্ড) করা হয়েছে ৬৬ জন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনালে হাসপাতালে করোনা ডেডিকেডেট আইসিইউ বেডে পাঁচ ও জেনারেল বেডে ২৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যদিকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে পাঁচ জন ও মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে তিন জনসহ জেলায় মোট ৩৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ সারাদেশে সোমবার (২৮ জুন) থেকে এক সপ্তাহের জন্য কড়াকড়ি কঠোর লকডাউন দেবে সরকার। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে পুলিশ, বিজিবি। একই সঙ্গে মোতায়েন থাকতে পারে সেনাবাহিনীও।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল প্রজ্ঞাপন জারি। এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধকল্পে আগামী সোমবার ২৮ জুন ২০২১ থেকে পরবর্তী নির্র্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে।এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জরুরী পন্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।জরুরী কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।
গণমাধ্যম এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আদেশ আগামীকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে।
সূত্রঃ- যুগান্তর অনলাইন নিউজ পোর্টাল
একতার কণ্ঠঃ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। এর আগে ৩০ জুন পর্যন্ত সাতটি জেলার কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে সরকার এ ঘোষণা দেয়।
এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।
জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।গণমাধ্যম এর আওতা বহির্ভুত থাকবে।এ বিষয়ে আরেও বিস্তারিত আদেশ আগামীকাল শনিবার(২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে।
সূত্রঃ- যুগান্তর অনলাইন নিউজ পোর্টাল
একতার কণ্ঠঃ করোনার ডেলটা প্রজাতির ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে সর্বাত্মকভাবে ১৪ দিনের কঠোর শাটডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।বুধবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায় আলোচনা শেষে এ সুপারিশ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
“দেশের পঞ্চাশের অধিক জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়েছে”
সভায় বলা হয়, কোভিড-১৯ রোগের বিশেষ ডেলটা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ও দেশে ইতোমধ্যেই তার প্রকোপ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ ও পঞ্চাশোর্ধ জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সভায় আরও বলা হয়, রোগ প্রতিরোধের জন্য খণ্ড খণ্ড ভাবে গৃহীত কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এ প্রজাতির বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত অনুযায়ী যে সব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে।
সুপারিশে বলা হয়, শাটডাউন চলা অবস্থায় জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেনো, সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
সভায় ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে এ রোগ থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলেও কমিটি মতামত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা ও নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে পঞ্চাশের অধিক জেলায় ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ অত্যন্ত বেড়ে গেছে। আর এ সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, সংক্রমণের পাশাপাশি হাসপাতালে আক্রান্তদের ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর হারও বেড়ে গেছে।
অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, আমরা যদি ভারতের সেই বিপর্যস্ত অবস্থার কথা চিন্তা করি, সেখান থেকে তারা কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে দিল্লি বা মুম্বাইয়ের কথা বলি, যেখানে প্রতিদিন ২৮ হাজারের উপরে মানুষ সংক্রামিত হয়েছে। হাজার হাজার মৃত্যু ঘটেছে। এরপর তারা যখন কঠোর লকডাউনের দিকে গেল বিশেষ করে দিল্লিতে, এখন সেখানে সংক্রমণের হার কোনো কোনো দিন একশর নিচে। কোনো কোনো দিন মৃত্যুও নেই।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সারাদেশে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলছে। চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন‘ ঘোষণা দেয় সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল রোজার ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক বসিয়ে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সারাদেশে বিধিনিষেধ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ জুন বিধিনিষেধ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার, যা ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
সংবাদ সূত্রঃ- সময় টিভি অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) আরও ১৭৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে একজন। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় এই আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়। সংক্রমণ প্রতিরোধে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় চলছে কঠোর বিধিনিষেধ।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় ৪৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৫ জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। আক্রান্তের হার ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৮০ জন, কালিহাতীর ২৩, ঘাটাইলের ১৫, মির্জাপুরের ১৪, ভুঞাপুরের ১২, মধুপুর ও দেলদুয়ারের ৯ জন , বাসাইল ও গোপালপুরের ৫ জন এবং সখীপুরের ৩ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬ হাজার ৭১৯। এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ১০৫ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪ হাজার ৪৩৮ জন। জেলায় আক্রান্তের হার গত ১২ দিন ধরে ৩২ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে টাঙ্গাইল ও কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর এলাকায় চলছে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধ অমান্য করে রাস্তায় নামায় বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৩ টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ আটক করেছে। আটকৃত এই সব অটোরিকশা ও রিকশা টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দোকান খোলা রাখা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি বের করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, টাঙ্গাইল শহরে লকডাউন বাস্তবায়নে ১৩টি চেকপোস্ট ও ৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশনা মেনে মাস্ক ব্যবহার করলেই দ্রুত সময়ে মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।