একতার কণ্ঠঃ কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে টাঙ্গাইলে বিভিন্ন দোকান, চায়ের স্টল ও মাস্ক পরিধান না করা, বিনা কারনে ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তিদের উপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। শনিবার(২৪ জুলাই) দিনব্যাপী এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম । এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে ৩৩ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।ওই অভিযানে র্যাব ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম জানান, সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। টাঙ্গাইল পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় অবস্থিত গৌর ঘোঁষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডার এর ঘি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল বিধায় বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও মাইকিং করে লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি পালনে সকলকে সচেতন করা হয়।
একতার কণ্ঠঃটাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জন মারা গেছেন। এদিন জেলায় ৫৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্ত ১৮৭ জনের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৮২ জন, মির্জাপুরে ৩৩, মধুপুরে ৩২, ঘাটাইলে ১৫, দেলদুয়ারে ১০, কালিহাতী ও নাগরপুরে চার জন করে, বাসাইল ও ভূঞাপুরে তিন জন করে ও সখীপুর উপজেলায় এক জন রয়েছেন।
জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩৭৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ হাজার ৯৭৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮৪ জন। জেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তি র
একতার কণ্ঠঃ গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জন মৃত্যু বরণ করেছে। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাজেদ আলী মিয়াসহ ৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১ জন মৃত্যু বরণ করেছে। শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, নতুন করে জেলায় ৪৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮৬ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।এ দিন জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ৪২ দশমিক ৪৬ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৫ হাজার ২৫১ জন। মোট মৃত্যু বরণ করেছেন ১৫৬ জন।জেলার হাসপাতাল গুলোতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২৪ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম কোনো চিকিৎসক মারা গেলেন। শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মাজেদ আলী মিয়া (৫৮) টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে( আইসিইউ) মারা যান।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মাজেদ আলী মিয়া ছাড়াও আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিকুল ইসলাম সজিব জানান, মাজেদ আলী মধুপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ও চিকিৎসক মেয়ে ১ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হন। পরে তারা বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
অবস্থার অবনতি হওয়ার পর মাজেদ আলী ও তার স্ত্রীকে জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় মাজেদ আলীর মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন।
চিকিৎসক মাজেদ আলীর বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সিংজোড়া গ্রামে। তিনি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় গত বছর ২০ এপ্রিল। এই প্রথম টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরত কোনো চিকিৎসক মারা গেলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৫জন চিকিৎসক, ৩০জন নার্সসহ নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২৯০জন। আক্রান্তের হার শতকরা ৪০.৪৪ ভাগ।শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চারজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জেলার নতুন করে ২৯০জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন ১৫০জন। আর করোনা রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮শ’ ৬৫জনে। সুস্থ হয়েছেন ৫১৯৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৭৭ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৪ জন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান নিজেই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার( ৮ জুলাই) দুপুরে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছিলেন। পরে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছে।
তিনি আরো জানান, টাঙ্গাইল জেনালের হাসাপাতালের আরও চারজন চিকিৎসক ও ৩০ নার্স করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এছাড়াও তার স্ত্রী ও ছেলে করোনা পজিটিভ ।
একতার কণ্ঠঃ করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। এরই মধ্যেকরোনার এ ধরনটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসটি দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে যাদের কোভিড হচ্ছে তাদের ভেতর তিনটি নতুন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এগুলো হলো-
১. ঠাণ্ডা সর্দি
২. মাথা ব্যাথা এবং
৩. গলা ব্যাথা বা সোর থ্রোট
এর সঙ্গে হাল্কা জ্বরও থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যে এখন কারো ভেতর এই তিনটি লক্ষণ দেখা দিলেই তাদেরকে কোভিড টেস্ট করাতে বলা হচ্ছে। সম্প্রতি কিংস কলেজ অব লন্ডন পরিচালিত জো সিম্পটম স্টাডি নামের অ্যাপস ভিত্তিক একটি গবেষণায় বেশিরভাগ কোভিড রোগীদের ভেতরে এই নতুন লক্ষণগুলে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এর আগে কোভিডের প্রধাণ লক্ষণগুলো ছিল-
১. উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর
২. ক্রমাগত শুস্ক কাশি
৩. স্বাদ এবং ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন।
বাংলাদেশে এখন যেহেতু ৮০ শতাংশের ওপরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে কোভিড হচ্ছে, তাই যাদের ভেতর ওপরের তিনটি নতুন লক্ষণ দেখা দিবে, তাদের কোভিড টেস্ট করানো উচিত। এতে করে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা যাবে। এর ফলে ত্বরিত আইসোলেশন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে দেশে করোনার বিস্তার এবং এর থেকে মৃত্যু, দুটোই কমানো যাবে।
কনটেন্ট ক্রেডিট: মেডিভয়েস
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় শনিবার (৩ জুলাই) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩জন ও উপসর্গ নিয়ে ৬জন মারা গেছে।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল জেনালের হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা. সাজেদুর রহমান জানান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে সর্বমোট ৫১৭ জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫৯ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে ৭৪ জন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনালে হাসপাতালে আইসিইউ বেডে ৫ জন ও জেনারেল বেডে ৩৮জন নিয়ে মোট ৪৩ জন রুগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ববধায়ক আরো জানান, করোনায় আক্রান্ত রোগী ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে বেড সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ২৪ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ৩২ বেড মোট ৫৬ বেড বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ১০৬ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১২১জন। এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৫০, কালিহাতীতে ১৪, ঘাটাইলে ১২, মির্জাপুরে ১০, নাগরপুরে ২, দেলদুয়ারে ১১, সখীপুরে ৫, বাসাইলে ৫, মধুপুরে ৩, ভূঞাপুরে ৩, গোপালপুরে ৩ ও ধনবাড়ী উপজেলায় ৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে জেলায় ৩২ টি নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ১০ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ৩২ দশমিক ২৫ ভাগ।আক্রান্ত ১০ জনই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮হাজার ২০৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৩ হাজার ৬৫৪, নাগরপুরে ১৬৫, দেলদুয়ারে ৩৭৭, সখীপুরে ৩৭৭, মির্জাপুরে ৮৬৫, বাসাইলে ২১৭, কালিহাতীতে ৮০৯, ঘাটাইলে ৫০৪, মধুপুরে ৩৯২, ভূঞাপুরে ৩৩৮, পোপালপুরে ২৭০ ও ধনবাড়ী উপজেলায় ২৪০ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ৪ হাজার ৭৫৫জন। এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১ হাজার ৬৫৭ জন, নাগরপুরে ১৩৮, দেলদুয়ারে ১৮০, সখীপুরে ২৭৬, মির্জাপুরে ৭২৭, বাসাইলে ১২৭, কালিহাতীতে ৪২৬, ঘাটাইলে ৩৪০, মধুপুরে ২৮২, ভূঞাপুরে ২২৮, গোপালপুরে ১৮৮ ও ধনবাড়ীতে ১৮৮ জন।
অন্যদিকে, কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ৪, মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ২, ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ১৪, গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে ৪ জন ও মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ৩ জন নিয়ে মোট ৭০ জেলার হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ কঠোর লকডাউনেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে শুক্রবার(২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জন সহ মোট সাত জন মৃত্যুবরণ করেছে। নতুন করে জেলায় ৫২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এদিকে কঠোর লকডাউন অমান্য করে যাতায়াতকারী যানবাহন বঙ্গবন্ধুসেতু পারাপার হতে না পারে সেজন্য টোল আদায়ে সতর্ক থাকতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে(বাসেক) অনুরোধ জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি।
টাঙ্গাইল জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউন অমান্য করে বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা মহাসড়ক ব্যবহার করে গণপরিবহন যাতে টাঙ্গাইলে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ব্যাবস্থা নিতে পাশের গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসককেও অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি এ অনুরোধ করেন।
তিনি জানান, কঠোর লকডাউন অমান্য করে কেউ যেন টাঙ্গাইলে প্রবেশ না করতে পারে- সে লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসককে বঙ্গবন্ধুসেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সব সময়ের জন্য মোবাইল কোর্ট রাখার অনুরোধ করা হয়েছে- যাতে বিধিনিষেধ অমান্য করে কোন গাড়ি সেতুতে উঠতে না পারে। এছাড়া টোল আদায়ে বাসেককে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন সদস্য(সচিব পদ মর্যাদার) জেলার করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পয়েণ্টে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে সেনা সদস্যরা। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১১৩টি চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে ২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সাতটি টিম(প্রতি টিমে ৯জন সেনা সদস্য), প্রতিটিমে আট জন সদস্যের র্যাবের তিনটি পেট্রোল টিম, বিজিবি’র ২০জন সদস্য, পুলিশ এবং আনসারের আটশ’ সদস্য মাঠে রয়েছেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান শুক্রবার(২ জুলাই) সকালে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন জন ও উপসর্গ নিয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন নতুন করে জেলায় ৫২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১২৬ জন, মির্জাপুরে ৩০ জন, দেলদুয়ার, কালিহাতী, ঘাটাইল ও গোপালপুরে ১২ জন করে, সখীপুরে ১০ জন, মধুপুরে সাত জন, বাসাইলে ছয় জন, ভূঞাপুর ও ধনবাড়িতে তিন জন করে এবং নাগরপুর উপজেলায় দুই জন রয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে সাত করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও নয় জন। বৃহস্পতিবার( ১জুলাই) সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘করোনা রোগীদের মধ্যে চার জন আইসিইউতে এবং বাকিরা করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ও আইসোলেশন সেন্টারে মারা গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে করোনা রোগী ও সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যে হাসপাতালের দুটি জেনারেল (গাইনি ও মেডিসিন) ওয়ার্ড করোনা রোগীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
হাসপাতালে প্রযোজনীয় ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতেও হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবাকর্মীরা সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ দিকে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন খান জানান, নতুন করে জেলায় ২৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ৬২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৫৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার শতকরা ৪০ দশমিক ৯২ ভাগ।
তিনি আরো জানান,এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৬৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৫জন। সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১১৫জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩২০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ দিন জেলায় শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনাক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।বুধবার(৩০ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়াল সাত হাজার ৭০৭জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে মোট চার হাজার ৬৬২জন।করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে ১০৮জন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৪ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় নতুন করে একদিনে(২৪ ঘন্টায়) সর্বোচ্চ ১৯৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ দিন জেলায় শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৭ হাজার ৩৮৭ জন।মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৯৩ জন শনাক্ত হন। এর মধ্যে রয়েছেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৭৯ জন, ঘাটাইলে ২৬ জন, কালিহাতীতে ১৮ জন, গোপালপুরে ১৬ জন, দেলদুয়ারে ১৪ জন, ভূঞাপুরে ১৪ জন, মধুপুরে ৮ জন, ধনবাড়ীতে ৬ জন, মির্জাপুরে ৬ জন, সখীপুরে ৩ জন ও নাগরপুরে ৩ জন।
এখন পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৮জন।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে গত দুই সপ্তাহ যাবত টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টাঙ্গাইল, কালিহাতী ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় সপ্তাহব্যাপি লকডাউনের ফলে দুই দিন কমলেও আবার আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুবরণ করেছেন।একই সময়ে জেলায় নতুন করে আরও ১৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সোমবার(২৮ জুন) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা(আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজীব জানান, করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ২০ শয্যার আরও একটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। ৫০ শয্যার করোনা ওয়ার্ড গত বছর চালু করা হয়।
৭০ শয্যার দুই ওয়ার্ডে এখন ৭৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। এরমধ্যে ২২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫৫ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।
তাদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৯৫, কালিহাতীতে ২০, বাসাইলে ১৪, মধুপুরে আট জন, দেলদুয়ার ও ঘাটাইলে ৭ জন করে, ভূঞাপুরে পাঁচ জন, মির্জাপুরে তিন জন, সখীপুর ও নাগরপুর উপজেলায় এক জন করে রয়েছেন।
এ নিয়ে সোমবার পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৯৪। করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১০৮ জন। সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৫৬৯ জন