/ মূলপাতা / স্বাস্থ্য
টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১৪৯,মৃত্যু ৩ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১৪৯,মৃত্যু ৩

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৪২৩ টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরো ১৪৯ জন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ২২ শতাংশ। জেলায় মোট করোনা রোগী ৬ হাজার ৫৪৪জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৪ হাজার ৪৩৪জন। মোট মৃত্যু বরন করেছেন ১০৪জন। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টাঙ্গাইল পৌর এলাকা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকায় এক সপ্তাহের ‘লকডাউনে’র ২য় দিনে দুটি পৌর এলাকায় গণ-পরিবহন, রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটেরিকশাসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ‘লকডাউন’ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান বলেন, টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকার মানুষ যেভাবে ‘কঠোর বিধি নিষেধ’ মেনে চলছে তাতে আশা করা যাচ্ছে সংক্রমণের হার কমে আসবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. জুন ২০২১ ০৩:৩৭:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শহরের নতুন বাসটার্মিনাল থেকে মঙ্গলবার ভোরে দূর পাল্লার কিছু যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে গেছে। কঠোর বিধি নিষেধের কারণে শহরের মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। একই সাথে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছে।

এদিকে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দশকের ঘর পেরিয়ে ১০১- এ দাঁড়াল।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র নিরালা মোড়, বটতলা মোড়, শান্তিকুঞ্জ মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কুমুদিনী কলেজ মোড়, নতুন বাস টার্মিনাল, বেবীস্ট্যান্ড ঘুরে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। কোথাও জনসমাগম লক্ষ করা যায়নি। তবে মঙ্গলবার সকালে নতুন বাসটার্মিনাল থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দূর পাল্লারর বাস ছেড়ে যায়। পরিবহন কর্মীরা জানান, বাস বন্ধ করার কোন নির্দেশনা তারা পাননি, তাই গাড়ি চালাচ্ছেন।

জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতিতে রাবনা বাইপাস থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। কোন বাস শহরে প্রবেশ করছে না। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে যানবাহন চালানো হচ্ছে।

এছাড়া শহরের প্রবেশমুখ আশেকপুর বাইপাস রোড, বিলঘারিন্দা রোড, এলজিইডি রোড, ধুলেরচর মাদ্রাসা রোড, কাগমারী কলেজ রোড, বেড়াডোমা-বাঘিল রোড, বাজিতপুর-দেলদুয়ার রোডে পুলিশি ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। শহরের সড়কগুলো ফাঁকা পেয়ে স্থানীয় কতিপয় কিশোর-যুবক বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।

শহরের পাইকারী কাঁচা বাজার পার্ক বাজার, বটতলা, ছয়আনী, বেবীস্ট্যান্ড, সাবালিয়া, আমিন বাজার, বউ বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। উন্মুক্তস্থানে কাঁচা বাজার বসানোর নির্দেশনা থাকলেও কোন বাজারেই তা করা হয়নি। এ বিষয়ে স্ব স্ব বাজার কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।

উন্মুক্ত স্থানে কাঁচা বাজার বসানো প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রানুয়ারা বেগম জানান, জেলার সর্ববৃহৎ পার্ক বাজারটি পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, দ্রুতই তারা পার্ক বাজারের পাশে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। কাঁচা বাজার সাময়িক স্থানান্তরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় পুলিশের ১৩টি চেকপোস্ট ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় পাঁচটি চেকপোস্টের মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নাগরিক সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জুন ২০২১ ১১:৩৫:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে একদিনে করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪৩%, কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে একদিনে করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪৩%, কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অতীতের রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৬৫জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ক্রমাগত করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় টাঙ্গাইল পৌরসভা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে আগামি ২৮ জুন(সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান সোমবার(২১ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় রোববার(২০ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডক্টর মো. আতাউল গনি সাক্ষরিত ৯ দফা নির্দেশনা সহ একটি বিধিনিষেধ জারি করা হয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে গৃহীত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সোমবার(২১ জুন) দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা তথ্য অফিস, জেলা পুলিশ এবং বিভিন্ন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করায় শহরে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, এটিএম বুথ, কাঁচা বাজার, শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে উপচেপড়া ভীর দেখা গেছে। শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯৯জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ১৬৫ জনের কোরোনা শনাক্ত হয়েছে।

তিনি জানান, একমাস ধরে জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তায় গাণিতিক হারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে- যা জেলার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনস্বার্থে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভায় ২২ জুন(মঙ্গলবার) থেকে ২৮ জুন(সোমবার) পর্যন্ত সাতদিনের কঠোরবিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জুন ২০২১ ০৩:০১:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর সভায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর সভায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল পৌরসভা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রবিবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি এ ঘোষণা করেন ।

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে টাঙ্গাইল শহর ও কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর এলাকায় ২২ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সাত দিনের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এসব এলাকার কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া হোটেল ও মার্কেটসহ সবই বন্ধ থাকবে। এ সময় সকল ধরণের গণপরিবহন, রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালানো যাবেনা। এক সপ্তাহ পরে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।

এদিকে, টাঙ্গাইল জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল পর্যন্ত ১৫৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।

জেলায় আক্রান্তের হার ৩০দশমিক ৭১শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ জন, কালিহাতীতে ১৭ জন, ঘাটাইলে ৯ জন, সখীপুরে ৪ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১০৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৩৯৬ জন। করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৯৮ জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জুন ২০২১ ১০:০৬:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সিনোভ্যাক্স ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সিনোভ্যাক্স ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে চীনের উৎপাদিত সিনোভ্যাক্স টিকা(ভ্যাকসিন) প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে   টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে জেলায় মোট ১৫ হাজার ৬০০ ডোজ চীনে তৈরি সিনোভ্যাক্স ভ্যাকসিন এসেছে। অনলাইনে নিবন্ধিত তালিকানুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন জানান, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার প্রায় ৪২ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১২ লাখ ৮ হাজার ২৯৭ জন অনলাইনে করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য আবেদন করেন।

এরমধ্যে ১০ লাখ এক হাজার ৫৩২জন টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭৫ হাজার ৬৯৪জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন। এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৮৩৮জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাননি।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন আরো জানান,  গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৯২জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার শতকরা ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।শনিবার(১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ছয় হাজার ৬২ জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জুন ২০২১ ০১:৫৬:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি উর্দ্ধমূখী, নতুন করে ১৪৫ জন আক্রান্তঃ মৃত্যু ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি উর্দ্ধমূখী, নতুন করে ১৪৫ জন আক্রান্তঃ মৃত্যু ১

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৫ জনের দেহে  করোনা ভাইরাস  সনাক্ত হয়েছে। যা শতকরা ৪৩ দশমিক ২৮শতাংশ । এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউপি চেয়্যারম্যন মৃত্যু বরণ করেছেন ।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৮২ জন, কালিহাতীতে ৩৪ জন, মির্জাপুরে ৯ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, ধনবাড়িতে ১৪ জন ও ভূঞাপুরে ২ জন রয়েছেন।

এ নিয়ে  শুক্রবার( ১৮ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫৯৭০ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৩৮৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৪৮ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫১৬৪ জন।এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু ৯৬ জন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, গত একমাসে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ৩০ ভাগের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমরা কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আগামী রবিবার( ২০ জুন) মিটিং এর মাধ্যমে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার নাটশালা নিবাসী ৬ নং দিঘলকান্দী ইউনিয়নের দুইবারের সফল বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম  শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১১টার সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।  তার পরিবারের  বেশ কয়েকজন সদস্যও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. জুন ২০২১ ০১:০১:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ৬ নং দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (৫২) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি—-রাজেউন)। শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে তিনি মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার নাটশালা গ্রামে।

স্থানীয় প্রশাসন ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ আসে। সেখান থেকে তিনি গত বুধবার বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে শুক্রবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি দিঘলকান্দি ইউনিয়নের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি চার মেয়ে ও এক স্ত্রীসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার এক মেয়েও করোনায় আক্রান্ত। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশক্রমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার বাদ আছর নাটশালা দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি নাটশালা গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. জুন ২০২১ ১১:৩৭:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নতুন করে ৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নতুন করে ৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় জেলায় ৯৫জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৩৭.৪০ শতাংশ। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৭১২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৪ হাজার ৩৩৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছে ৯৫ জন।

এদিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে সর্বমোট ৩৬৭ জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬২ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে ৬১ জন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনালে হাসপাতালে আইসিউ বেডে ৪জন ও জেনারেল বেডে ১৮জন অন্যদিকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে পাঁচজনসহ জেলায় সর্বমোট ২৭জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. জুন ২০২১ ১২:০৯:এএম ২ বছর আগে
করোনা সংক্রমণে টাঙ্গাইলকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে ঘোষণা - Ekotar Kantho

করোনা সংক্রমণে টাঙ্গাইলকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে ঘোষণা

একতার কণ্ঠ: টাঙ্গাইলে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গাণিতিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইলকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলায় করোনা ভাইরাস শনাক্তের হার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামি শনিবার(১৯ জুন) থেকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলায় সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার(১৪ জুন) বিকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে সোমবার বিকালে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন মিঞা, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলায় মঙ্গলবার(১৫ জুন) থেকে মাস্ক পরিধান ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি মাইকিং করে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রচারণাসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো শুরু হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭১টি নমুনা পরীক্ষায় জেলায় ৮৫জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৫৬, কালিহাতীতে ১২জন, মির্জাপুর উপজেলায় চার জন, দেলদুয়ারে ছয় জন, সখীপুরে তিন জন এবং নাগরপুর, ঘাটাইল, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলায় এক জন করে মোট ৮৫ জন রয়েছে। মঙ্গলবার(১৫ জুন) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার ট্রানজিট পয়েণ্ট হওয়ায় এ দুই উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার অন্য উপজেলাগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে, অন্যকেও সচেতন করতে হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৬১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৩৩১ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে মোট ৯৫ জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. জুন ২০২১ ১২:১৯:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় লকডাউনের পরিকল্পনা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় লকডাউনের পরিকল্পনা

 একতার কণ্ঠঃ  কয়েক দিন ধরে টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য টাঙ্গাইলকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই শনাক্তের হার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী শনিবার থেকে জেলার সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তিন উপজেলায় সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও মির্জাপুর।

সোমবার( ১৪ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই তিন উপজেলায় মঙ্গলবার থেকে মাস্ক পরিধান ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মাইকিং করে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রচারণাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে সভায় সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন মিঞা, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফ উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এদিকে টাঙ্গাইলে ৭৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৩৯ জন, কালিহাতীতে ২১ জন, বাসাইলে ৫ জন, সখীপুরে ৪ জন, গোপালপুর ও ঘাটাইলে ৩ জন করে এবং মধুপুর ও দেলদুয়ারে ১ জন করে রয়েছেন। এ নিয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪ হাজার ৫৩২। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯৫ জন।

সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান বলেন, টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতীতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে, অন্যকেও সচেতন করতে হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. জুন ২০২১ ০৩:০৯:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৩ শতাংশঃ এই হার এক মাসে সর্বোচ্চ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৩ শতাংশঃ এই হার এক মাসে সর্বোচ্চ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বাড়ছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের শতকরা হার ৩৩.৩৩ শতাংশ। যা গত এক মাসে সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৯৫ জন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ নিয়ে সোমবার(১৪ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৩২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪ হাজার ৩২২ জন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এ পর্যন্ত ৪১৯ জন রোগী ভর্তি হয়। হাসপাতালের করোনা ডেডিকেডেট ইউনিটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন।কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫ হাজার ১০০ জন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন জানান, আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৩৯ জন, কালিহাতীতে ২১ জন, বাসাইলে পাঁচজন, সখীপুরে চারজন, গোপালপুর ও ঘাটাইলে তিনজন করে, মধুপুর ও দেলদুয়ারে একজন করে রয়েছেন।

তিনি আরো জানান,   টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার ট্রানজিট পয়েন্ট হওয়ায় এ দুই উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার অন্য উপজেলার তুলনায় অনেক বেশি। ইতোমধ্যে দুই দফায় কালিহাতী উপজেলার ৩৩টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলাকেও কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. জুন ২০২১ ০২:৪০:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনায় আরও তিন জনের মৃত্যুঃঃজেলায় মোট মৃত্যু ৯৫ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনায় আরও তিন জনের মৃত্যুঃঃজেলায় মোট মৃত্যু ৯৫

একতার কণ্ঠঃ  টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেনারেল হাসপাতালের নতুন করে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি দেলদুয়ার ও একজনের বাড়ি কালিহাতী উপজেলায়। এ নিয়ে রোববার(১৩ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জেলায় নতুন করে আরও ২৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ঘাটাইলে ১০ জন, দেলদুয়ারে ৭ জন, কালিহাতীতে ৫ জন, গোপালপুরে একজন রয়েছেন।জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৪৫৫ জন। জেলায় মোট শনাক্তের হার ১৪.৪৭ ভাগ।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, শনিবার টাঙ্গাইল এবং ঢাকায় ৭১টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে নতুন করে ২৩ জন করোনা ভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত হয় এবং ৪৮ জনের করোনা নেগেটিভ আসে- যা একদিনে শতকরা শনাক্তের হার ৩২.৩৯ ভাগ।

করোনায় মোট সুস্থ হয়েছে চার হাজার ৩১২ জন, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪১৯ জন। বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে এক হাজার ২২ জন। এখন পর্যন্ত মোট ২৬ হাজার ৪১৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছিল।

এর মধ্যে ২৫ হাজার ৯০ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৬৯০টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

এর মধ্যে মোট পাঁচ হাজার ৪৫৫ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের হার ১৪.৪৭ ভাগ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. জুন ২০২১ ০২:৪০:এএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।