একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি জেলার মির্জাপুর উপজেলায়। জেলায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১০৮জন। এছাড়া ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১০১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রোবার(২৭ জুন) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে- টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ২৩ জন, ঘাটাইলে ২৩, কালিহাতীতে ১৭, গোপালপুরে ১২ জন, নাগরপুরে এক জন, দেলদুয়ারে নয় জন, সখীপুরে তিন জন, মধুপুরে নয় জন, ভূঞাপুরে চার জন রয়েছেন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা সাত হাজার ৩৩ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৫৫৬জন।
সিভিল সার্জন জানান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এ পর্যন্ত মোট ৪৪৪ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১৯ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর(রেফার্ড) করা হয়েছে ৬৬ জন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনালে হাসপাতালে করোনা ডেডিকেডেট আইসিইউ বেডে পাঁচ ও জেনারেল বেডে ২৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যদিকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে পাঁচ জন ও মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে তিন জনসহ জেলায় মোট ৩৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ সারাদেশে সোমবার (২৮ জুন) থেকে এক সপ্তাহের জন্য কড়াকড়ি কঠোর লকডাউন দেবে সরকার। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করবে পুলিশ, বিজিবি। একই সঙ্গে মোতায়েন থাকতে পারে সেনাবাহিনীও।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল প্রজ্ঞাপন জারি। এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধকল্পে আগামী সোমবার ২৮ জুন ২০২১ থেকে পরবর্তী নির্র্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে।এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জরুরী পন্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।জরুরী কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।
গণমাধ্যম এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আদেশ আগামীকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে।
সূত্রঃ- যুগান্তর অনলাইন নিউজ পোর্টাল
একতার কণ্ঠঃ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। এর আগে ৩০ জুন পর্যন্ত সাতটি জেলার কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে সরকার এ ঘোষণা দেয়।
এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।
জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।গণমাধ্যম এর আওতা বহির্ভুত থাকবে।এ বিষয়ে আরেও বিস্তারিত আদেশ আগামীকাল শনিবার(২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে।
সূত্রঃ- যুগান্তর অনলাইন নিউজ পোর্টাল
একতার কণ্ঠঃ করোনার ডেলটা প্রজাতির ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে সর্বাত্মকভাবে ১৪ দিনের কঠোর শাটডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।বুধবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায় আলোচনা শেষে এ সুপারিশ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
“দেশের পঞ্চাশের অধিক জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ধরা পড়েছে”
সভায় বলা হয়, কোভিড-১৯ রোগের বিশেষ ডেলটা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ও দেশে ইতোমধ্যেই তার প্রকোপ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ ও পঞ্চাশোর্ধ জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সভায় আরও বলা হয়, রোগ প্রতিরোধের জন্য খণ্ড খণ্ড ভাবে গৃহীত কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায় কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এ প্রজাতির বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত অনুযায়ী যে সব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে।
সুপারিশে বলা হয়, শাটডাউন চলা অবস্থায় জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেনো, সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
সভায় ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে এ রোগ থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলেও কমিটি মতামত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা ও নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে পঞ্চাশের অধিক জেলায় ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ অত্যন্ত বেড়ে গেছে। আর এ সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, সংক্রমণের পাশাপাশি হাসপাতালে আক্রান্তদের ভর্তি হওয়া ও মৃত্যুর হারও বেড়ে গেছে।
অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, আমরা যদি ভারতের সেই বিপর্যস্ত অবস্থার কথা চিন্তা করি, সেখান থেকে তারা কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে দিল্লি বা মুম্বাইয়ের কথা বলি, যেখানে প্রতিদিন ২৮ হাজারের উপরে মানুষ সংক্রামিত হয়েছে। হাজার হাজার মৃত্যু ঘটেছে। এরপর তারা যখন কঠোর লকডাউনের দিকে গেল বিশেষ করে দিল্লিতে, এখন সেখানে সংক্রমণের হার কোনো কোনো দিন একশর নিচে। কোনো কোনো দিন মৃত্যুও নেই।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সারাদেশে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলছে। চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন‘ ঘোষণা দেয় সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল রোজার ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক বসিয়ে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সারাদেশে বিধিনিষেধ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ জুন বিধিনিষেধ এক মাস বাড়িয়েছে সরকার, যা ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
সংবাদ সূত্রঃ- সময় টিভি অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) আরও ১৭৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে একজন। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় এই আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়। সংক্রমণ প্রতিরোধে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় চলছে কঠোর বিধিনিষেধ।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় ৪৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৫ জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। আক্রান্তের হার ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ৮০ জন, কালিহাতীর ২৩, ঘাটাইলের ১৫, মির্জাপুরের ১৪, ভুঞাপুরের ১২, মধুপুর ও দেলদুয়ারের ৯ জন , বাসাইল ও গোপালপুরের ৫ জন এবং সখীপুরের ৩ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬ হাজার ৭১৯। এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ১০৫ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪ হাজার ৪৩৮ জন। জেলায় আক্রান্তের হার গত ১২ দিন ধরে ৩২ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে টাঙ্গাইল ও কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর এলাকায় চলছে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধ অমান্য করে রাস্তায় নামায় বৃহস্পতিবার(২৪ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৩ টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ আটক করেছে। আটকৃত এই সব অটোরিকশা ও রিকশা টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দোকান খোলা রাখা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি বের করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, টাঙ্গাইল শহরে লকডাউন বাস্তবায়নে ১৩টি চেকপোস্ট ও ৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশনা মেনে মাস্ক ব্যবহার করলেই দ্রুত সময়ে মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৪২৩ টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরো ১৪৯ জন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ২২ শতাংশ। জেলায় মোট করোনা রোগী ৬ হাজার ৫৪৪জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৪ হাজার ৪৩৪জন। মোট মৃত্যু বরন করেছেন ১০৪জন। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টাঙ্গাইল পৌর এলাকা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকায় এক সপ্তাহের ‘লকডাউনে’র ২য় দিনে দুটি পৌর এলাকায় গণ-পরিবহন, রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটেরিকশাসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ‘লকডাউন’ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান বলেন, টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকার মানুষ যেভাবে ‘কঠোর বিধি নিষেধ’ মেনে চলছে তাতে আশা করা যাচ্ছে সংক্রমণের হার কমে আসবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শহরের নতুন বাসটার্মিনাল থেকে মঙ্গলবার ভোরে দূর পাল্লার কিছু যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে গেছে। কঠোর বিধি নিষেধের কারণে শহরের মার্কেট ও বিপণি বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। একই সাথে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছে।
এদিকে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দশকের ঘর পেরিয়ে ১০১- এ দাঁড়াল।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র নিরালা মোড়, বটতলা মোড়, শান্তিকুঞ্জ মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কুমুদিনী কলেজ মোড়, নতুন বাস টার্মিনাল, বেবীস্ট্যান্ড ঘুরে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। কোথাও জনসমাগম লক্ষ করা যায়নি। তবে মঙ্গলবার সকালে নতুন বাসটার্মিনাল থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দূর পাল্লারর বাস ছেড়ে যায়। পরিবহন কর্মীরা জানান, বাস বন্ধ করার কোন নির্দেশনা তারা পাননি, তাই গাড়ি চালাচ্ছেন।
জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতিতে রাবনা বাইপাস থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। কোন বাস শহরে প্রবেশ করছে না। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে যানবাহন চালানো হচ্ছে।
এছাড়া শহরের প্রবেশমুখ আশেকপুর বাইপাস রোড, বিলঘারিন্দা রোড, এলজিইডি রোড, ধুলেরচর মাদ্রাসা রোড, কাগমারী কলেজ রোড, বেড়াডোমা-বাঘিল রোড, বাজিতপুর-দেলদুয়ার রোডে পুলিশি ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। শহরের সড়কগুলো ফাঁকা পেয়ে স্থানীয় কতিপয় কিশোর-যুবক বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
শহরের পাইকারী কাঁচা বাজার পার্ক বাজার, বটতলা, ছয়আনী, বেবীস্ট্যান্ড, সাবালিয়া, আমিন বাজার, বউ বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। উন্মুক্তস্থানে কাঁচা বাজার বসানোর নির্দেশনা থাকলেও কোন বাজারেই তা করা হয়নি। এ বিষয়ে স্ব স্ব বাজার কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
উন্মুক্ত স্থানে কাঁচা বাজার বসানো প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রানুয়ারা বেগম জানান, জেলার সর্ববৃহৎ পার্ক বাজারটি পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, দ্রুতই তারা পার্ক বাজারের পাশে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। কাঁচা বাজার সাময়িক স্থানান্তরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় পুলিশের ১৩টি চেকপোস্ট ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় পাঁচটি চেকপোস্টের মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নাগরিক সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অতীতের রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৬৫জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ক্রমাগত করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় টাঙ্গাইল পৌরসভা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) ভোর ৬টা থেকে আগামি ২৮ জুন(সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান সোমবার(২১ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় রোববার(২০ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভা এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডক্টর মো. আতাউল গনি সাক্ষরিত ৯ দফা নির্দেশনা সহ একটি বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে গৃহীত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সোমবার(২১ জুন) দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা তথ্য অফিস, জেলা পুলিশ এবং বিভিন্ন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করায় শহরে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, এটিএম বুথ, কাঁচা বাজার, শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে উপচেপড়া ভীর দেখা গেছে। শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯৯জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক ১৬৫ জনের কোরোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি জানান, একমাস ধরে জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তায় গাণিতিক হারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে- যা জেলার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনস্বার্থে টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভায় ২২ জুন(মঙ্গলবার) থেকে ২৮ জুন(সোমবার) পর্যন্ত সাতদিনের কঠোরবিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল পৌরসভা ও কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌর এলাকায় মঙ্গলবার(২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রবিবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি এ ঘোষণা করেন ।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে টাঙ্গাইল শহর ও কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌর এলাকায় ২২ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সাত দিনের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এসব এলাকার কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্য পরিবহন ছাড়া হোটেল ও মার্কেটসহ সবই বন্ধ থাকবে। এ সময় সকল ধরণের গণপরিবহন, রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালানো যাবেনা। এক সপ্তাহ পরে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে, টাঙ্গাইল জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল পর্যন্ত ১৫৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।
জেলায় আক্রান্তের হার ৩০দশমিক ৭১শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ জন, কালিহাতীতে ১৭ জন, ঘাটাইলে ৯ জন, সখীপুরে ৪ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১০৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৩৯৬ জন। করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৯৮ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে চীনের উৎপাদিত সিনোভ্যাক্স টিকা(ভ্যাকসিন) প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে জেলায় মোট ১৫ হাজার ৬০০ ডোজ চীনে তৈরি সিনোভ্যাক্স ভ্যাকসিন এসেছে। অনলাইনে নিবন্ধিত তালিকানুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন জানান, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার প্রায় ৪২ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১২ লাখ ৮ হাজার ২৯৭ জন অনলাইনে করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য আবেদন করেন।
এরমধ্যে ১০ লাখ এক হাজার ৫৩২জন টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭৫ হাজার ৬৯৪জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন। এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৮৩৮জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাননি।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৯২জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার শতকরা ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।শনিবার(১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মোট ছয় হাজার ৬২ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। যা শতকরা ৪৩ দশমিক ২৮শতাংশ । এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউপি চেয়্যারম্যন মৃত্যু বরণ করেছেন ।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৮২ জন, কালিহাতীতে ৩৪ জন, মির্জাপুরে ৯ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, ধনবাড়িতে ১৪ জন ও ভূঞাপুরে ২ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে শুক্রবার( ১৮ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫৯৭০ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৩৮৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৪৮ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫১৬৪ জন।এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু ৯৬ জন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, গত একমাসে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ৩০ ভাগের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমরা কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আগামী রবিবার( ২০ জুন) মিটিং এর মাধ্যমে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার নাটশালা নিবাসী ৬ নং দিঘলকান্দী ইউনিয়নের দুইবারের সফল বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১১টার সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ৬ নং দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (৫২) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি—-রাজেউন)। শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে তিনি মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার নাটশালা গ্রামে।
স্থানীয় প্রশাসন ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ আসে। সেখান থেকে তিনি গত বুধবার বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে শুক্রবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি দিঘলকান্দি ইউনিয়নের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি চার মেয়ে ও এক স্ত্রীসহ বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার এক মেয়েও করোনায় আক্রান্ত। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশক্রমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার বাদ আছর নাটশালা দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি নাটশালা গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।