একতার কণ্ঠঃ বৃহস্পতিবার(১০ ফেব্রয়ারি) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ী নাগরপুর উপজেলায়। এই মৃত্যু নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬৩ জন।বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৪৬ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ১৫ দশমিক ৬৯ ভাগ।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৭ হাজার ২০৭ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ১৮ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, সখীপুরে ৩ জন, মির্জাপুরে ৪ জন, বাসাইলে ২ জন, কালিহাতীতে ১ জন, ঘাটাইলে ২ জন, ভুঞাপুরে ১ জন, ও গোপালপুর উপজেলায় ১১ জন সহ মোট ৪৬ জন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান সকলকে করোনা প্রতিরোধে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। স্বাস্থ্য বিধি মেনে পথচারীদের মাস্ক পরে চলাচলের আহ্বানও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ বুধবার(৯ ফেব্রয়ারি) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ী সদর উপজেলায়। এই মৃত্যু নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬২ জন। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৭০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৭০ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ২৫ দশমিক ৪৫ ভাগ।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৭ হাজার ১৬৫ জন। সর্বমোট মারা গেছে ২৬২ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৩৫ জন,ধনবাড়ীতে ১৩ জন ,নাগরপুরে ১জন, বাসাইলে ৯ জন, কালিহাতীতে ৫জন, ঘাটাইলে ৫জন ও ভূঞাপুরে ২জন নিয়ে মোট ৭০ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের ভোটারদের শতভাগ করোনার টিকার আওতায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পৌরসভার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান, পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৭০ জন ভোটার রয়েছে। সেখানে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩০০ মানুষকে করোনার টিকা প্রদান হয়েছে। টাঙ্গাইল পৌরসভার আওতায় ৪৪ হাজার ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫০০ জনকে সিনোফার্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ, ২৭ হাজার ৮০০ জনকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার শতভাগ ভোটারকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অন্যদিকে ১২ থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
পৌর এলাকায় শতভাগ টিকা কার্যক্রমের বিষয়টি সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খানও নিশ্চিত করেছেন।
মেয়র আরো জানান, করোনা প্রতিরোধে ১৮ টি ওয়ার্ডে জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকায় দুই লাখ মাস্ক, দুই হাজার অ্যান্টিসেপটিক সাবান, এক হাজার হ্যান্ড ওয়াশ, ১৫ হাজার হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও শহরের গুরত্বপূর্ণ স্থানে হাসধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। অপর দিকে প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। করোনায় কর্মহীন গরীব, দুস্থ, অসহায়, কর্মহীন প্রায় দুই লাখ মানুষের মাঝে খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে পৌর এলাকায় ১৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, প্যানেল মেয়র তানভীর ফেরদৌস নোমান, পৌরসভার সচিব শাহনেওয়াজ পারভীন, নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জেলার করোনা পরিস্থিতি সর্ম্পকে বলতে গিয়ে বলেন, আগামী ১ মাসে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে সেটা বোঝা যাবে। টাঙ্গাইল জেলায় গত জানুয়ারি থেকে সংক্রমনের হার ধীরে ধীরে বাড়ছে। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা আক্রান্তের গড় হার শতকরা ৩৫ ভাগ।
গত এক মাসে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি হয়েছে মাত্র ৫ জন। এর মধ্যে গত ২৯ জানুয়ারি ১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৪ জন রোগীর অবস্থা ভালোর দিকে। ধারনা করা হচ্ছে, এরা সবাই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। টাঙ্গাইল জেলায় এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের লক্ষন সর্ম্পন্ন কোন রোগী পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন,গত বছর জুন মাসে ২১ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল ২৬ জন। আর করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিল ১৮৩ জন। গড় আক্রান্তের হার ছিল শতকরা ৩৩.৯৯ ভাগ। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করে যা ডিসেম্বর মাসে শূণ্যের কোঠায় নেমে যায়। আবার এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার(২ ফেব্রয়ারি) গড় আক্রান্তের হার ছিল শতকরা ২৫.৭৭ ভাগ।
আগামী ১ মাসের মধ্যেই বোঝা যাবে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে।
তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় বুধবার(২ ফেব্রয়ারি) পর্যন্ত গণটিকার( সিনোভ্যাক,অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজার) প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭ জনকে। যা জেলার মোট জনগোষ্ঠির ৫৬ ভাগ। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯৫৩ জনকে। যা জেলার মোট জনগোষ্ঠির ৩৪ ভাগ। আর বুষ্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৬ হাজার ১২৭ জনকে। এ ছাড়া জেলায় এই পর্যন্ত ৩ লাখ ৩২ হাজার ১ শত ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, জেলায় স্বাস্থ্য বিধি মানতে ও করোনা প্রতিরোধে গণপ্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া গণপরিবহন, হোটেল রেস্তোরায় টিকার কার্ড দেখে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে পথচারীরা যেন মাস্ক পরিধান করে চলাচল করে সেদিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ৯২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ২৫ দশমিক ৭৭ ভাগ।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৮৮৭জন। সর্বমোট মারা গেছে ২৬১ জন। এ দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।
আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৬২ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, সখীপুরে ৫ জন, মির্জাপুরে ৮ জন, বাসাইলে ৪ জন, কালিহাতীতে ২জন , ঘাটাইলে ২ জন, ভূঞাপুরে ৩ জন, গোপালপুরে ১ জন ও ধনবাড়ীতে ১ জন নিয়ে মোট ৯২ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৯০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৭০ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ৩৩ দশমিক ৩৩ ভাগ । সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান,নতুন আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৬২জন, ধনবাড়ীতে ১৪ জন, দেলদুয়ারে ১ জন, সখিপুরে ৩জন, মির্জাপুরে ৩ জন, কালিহাতীতে ২ জন, গোপালপুরে ১ জন, বাসাইলে ২ জন, নাগরপুরে ২ জনসহ মোট ৯০ জন।
তিনি আরো জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৩০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৮২০ জন। জেলায় সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, করোনা প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ১৩৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ৪৪ দশমিক ৬২ ভাগ ।বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান,আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৯১ জন, কালিহাতীতে ২১ জন, ঘাটাইলে ১২ জন,দেলদুয়ারে ৩ জন, নাগরপুরে ৬ জন, বাসাইলে ১ জন, মির্জাপুরে ১ জন,গোপালপুরে ১ জন ও ধনবাড়ী উপজেলায় ১ জন নিয়ে মোট ১৩৭ জন।
তিনি আরো জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫১৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৭২৫ জন। সর্বমোট মারা গেছে ২৬০ জন। গত ২৪ ঘন্টা করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, করোনা প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার করোনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২২২ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ৩৩ দশমিক ৭৮ ভাগ ।বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান,আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৬৭ জন, বাসাইলে ২ জন, কালিহাতীতে ২জন, ঘাটাইলে ২ জন ও ভূঞাপুর উপজেলায় ২ জন নিয়ে মোট ৭৫ জন।
তিনি আরো জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৭৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৭০৬ জন। সর্বমোট মারা গেছে ২৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, করোনা প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।
একতার কণ্ঠঃ করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সার্বিক ঝুঁকি এখনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বর্তমানে পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার(২৫ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি লোক করোনায় সংক্রমিত হয়েছে, যা মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে গত এক সপ্তাহে করোনায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ হাজার লোক মারা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে বিশ্বে এখন ওমিক্রনই তার আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে। ডেল্টার সংক্রমণ কমে এসেছে। আলফা, বিটা ও গামার সংক্রমণ একেবারেই নিম্নপর্যায়ে নেমে এসেছে।
তবে যেসব দেশে ২০২১ সালের নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে গিয়েছিল সেসব দেশে এখন কমে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, গত ৩০ দিনে সংগৃহীত নমুনায় ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত ৮৯.১ শতাংশ, আর ডেল্টা ধরন ১০.৭ শতাংশ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. ছানোয়ার হোসেন দ্বিতীয় বারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সংসদে নমুনা দেন তিনি।
পরদিন মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রিপোর্ট আসলে দেখা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত।বর্তমানে তিনি ঢাকার বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ছানোয়ার হোসেন জানান, তিনি করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজসহ সব টিকা নিয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মাস্ক না পরার অপরাধে ৮ জনকে অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের নিরালা মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ৮ জনকে মাস্ক না পরার অপরাধে ২ হাজার ১০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন।
এসময় ৫ শতাধিক পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন বলেন, সরকার ঘোষিত করোনা ভাইরাসে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করতে হবে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা দেয় সরকার। স্বাস্ব্য বিধি না মেনে চললে মাস্ক বিহিন চলাচল করলে ভ্র্যম্যমান আদালত পরিচালনা নির্দেশ প্রদান করেছে সরকার।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান,আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৫২জন, দেলদুয়ার উপজেলায় জন ১, সখীপুর ৪ জন, মির্জাপুরে ৭জন, কালিহাতী ৬ জন, ঘাটাইল ১২ জন ও গোপালপুর উপজেলায় ৩ জন নিয়ে মোট ৮৫ জন। জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ২৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
তিনি আরো জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩০১ জন। আক্রান্তের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৬ হাজার ৬৮৮ জন। জেলায় সর্বমোট মারা গেছে ২৬০ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত সোমবার থেকে দুইদিন ধরে নারী ও শিশু আদালতের সকল বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ জানান, আদালতের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার গত দুইদিন সকল বিচারিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৭৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৭৩ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ৩৩ দশমিক ৯৫ ভাগ।সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২১৬ জন।আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৫৮ জন, দেলদুয়ার উপজেলায় ৩ জন, সখীপুর ২ জন, কালিহাতী ৩জন , মধুপুর ৪জন, ভূঞাপুর ২ জন ও গোপালপুর উপজেলায় ১ জন নিয়ে মোট ৭৩ জন।
তিনি আরো জানান, আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৬৭৫ জন।তবে ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬০ জন।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার নারী ও শিশু আদালতের সকল বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আদালতে তালা ঝুলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ জানান, আদালতের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারনে সকল বিচারিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।