/ হোম / স্বাস্থ্য
শিশুর কিডনি রোগের লক্ষণ, কী করবেন? - Ekotar Kantho

শিশুর কিডনি রোগের লক্ষণ, কী করবেন?

একতার কণ্ঠঃ সুস্থতার জন্য কিডনির সুস্থতা জরুরি। শিশুদের অনেকেই এখন কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আবার যে কোনো গুরুতর অসুখ অথবা ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণেও শিশুদের কিডনি সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই শিশুর কিডনির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

রক্তের মধ্যে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করা ও প্রয়োজনীয় পদার্থ ধরে রাখা; শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা; বিভিন্ন হরমোন তৈরি করা ও তৈরিতে সাহায্য করা; রক্তের কণিকা তৈরিতে সাহায্য ও শরীরের হাড়কে সুস্থ রাখা ইত্যাদি কাজ করে কিডনি। প্রতিটি কাজই মানব শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কিডনি সুস্থ না থাকলে এসব কাজে বিঘ্ন ঘটে ও শারীরিক বিপর্যয় দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুদের ঝুঁকি বেশি।

শিশুদের কিডনি সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড নিউনেটোলজি ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং কো-অর্ডিনেটর ডা. সাবিনা সুলতানা।

শিশুর কিডনি রোগের লক্ষণ

ঘন ঘন প্রস্রাব করা, প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া; ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব করা, বিছানায় প্রস্রাব করা (৬ বছরের অধিক বয়সে), প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রস্রাবের সময় তলপেট/কোমর ব্যথা করা, শরীরে পানি আসা/ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া, কিডনিতে পানি জমা হওয়া, কিডনি ছোট-বড় হওয়া, উচ্চরক্তচাপ দেখা দেওয়া, কিডনিতে জম্মগত ত্রুটি থাকা- এসব লক্ষণ দেখা গেলে, পরিবারের কারও কিডনি রোগ থাকলে, শিশু সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করলে, জন্মের পর শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে দেরি না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

শিশু যদি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডিতে আক্রান্ত হয়, কিডনি পুরোপুরি অক্ষম হয়, ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয় তবে চিন্তার কিছু নেই। দেশেই এখন কিডনি রোগের সুচিকিৎসা সম্ভব। এছাড়া নিয়মিত ফলো-আপ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।

শিশুর জন্মগত কিডনি রোগ আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে ধরা পড়ে। মূত্রনালি ও মূত্রাশয়ের গঠনগত সমস্যা; মূত্রপথের ভাল্বের কার্যক্রমে বাঁধা; কিডনি থাকা না থাকা; বিভিন্ন আকারে অর্থাৎ ছোট-বড় থাকা; ঠিক জায়গা মতো না থাকা; কিডনি ফোলা থাকা ইত্যাদি সমস্যা সম্পর্কে আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়।

শিশুর মূত্রনালির সংক্রমণ (ইউটিআই) শিশুদের অন্যতম প্রধান একটি রোগ। অনেক ক্ষেত্রেই এ রোগের সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা করা হয়। ফলে বার বার সংক্রমণের দরুন শিশুর কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসার অভাবেই শিশুদের কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়।

এসব বিষয়ে অভিভাবকদের বেশি সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের প্রস্রাবের সংক্রমণ অবহেলা না করে সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণে কিডনির রোগ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. এপ্রিল ২০২২ ০৯:৩৭:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ডায়রিয়ার প্রকোপ আরো বেড়েছে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ডায়রিয়ার প্রকোপ আরো বেড়েছে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগী সংখ্যা বেশি হওয়ায় সিট পূর্ণ হয়ে অনেকে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু ও মহিলা রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারনা আগামী পনের দিন রোগীর সংখ্যা আরো বাড়বে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বুধবার(৩০ মার্চ)দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় সিট পূর্ণ হয়ে ভর্তি রোগীরা মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রোগীই বেশি। এ ছাড়া মেডিসিন ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে।হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, এখন পর্যন্ত কোন রোগী মৃত্যুবরণ করেনি ও কোন রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করতে হয়নি।

 

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স জোবায়েদা খাতুন বলেন,বুধবার দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হল ৪৯ জন। এ ছাড়া মেডিসিন ওয়ার্ডে পূর্ন বয়স্ক পুরুষ রোগী ভর্তি রয়েছে আরো ৫ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সিট রয়েছে মাত্র ১৮টি। ফলে রোগীদের নিজ উদ্যোগে বিছানা নিয়ে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে। কর্মরত নার্স রযেছে মাত্র ৬ জন । ফলে রোগী সামলানোও বেশ সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া এক জন চিকিৎসক দিনে দুইবার রাউন্ডে আসে ফলে জরুরী রোগীদের চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতলে একটি প্রকল্পে কর্মরত আইসিডিডিআরবি’র ফিল্ড রিসার্চ এ্যাসিস্ট্যান্ট মো. সানাউল্লাহ জানান, চলতি মাসের ২৩ মার্চ ৫২ জন, ২৪ মার্চ ৫০ জন এবং ২৫ মার্চ ৪৩ জন ডায়রিয়া রোগী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এখন ডায়রিয়ার পিক সিজন চলছে। আগামী ১৫ দিন প্রকোপ আরো বাড়বে। তার পর আক্রান্তে সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাববে।

মো. সানাউল্লাহ জানান, ডায়রিয়া হাত থেকে বাঁচতে হলে, বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। খাবারের আগে ও টয়লেটের পরে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। সব ধরনের স্ট্রিট ফুড পরিহার করতে হবে। কেউ ডায়রিয়া আক্রান্ত হলে প্রাথমিক ভাবে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। যদি বমি ও পাতলা পায়খানা হয় তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতাল কিম্বা চিকিৎকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. মার্চ ২০২২ ০৩:৪৫:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

একতার কণ্ঠঃ  টাঙ্গাইল জেলায় গতবারের তুলনায় এবছর ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগী সংখ্যা বেশি হওয়ায় সিট পূর্ণ হয়ে অনেকে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু ও মহিলা রোগীর সংখ্যাই বেশি। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সরেজমিনে দেখা যায় সিট পূর্ণ হয়ে ভর্তি রোগীরা মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দূরদুরান্ত থেকে আসা মহিলা ও শিশু রোগীই বেশি।তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগী মৃত্যুবরণ করেনি।

আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে কালচার অফিসার রেদওয়ানা’র হত্যাকারীর ফাঁসি দাবী

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স সালমা ইয়াসমিন বলেন, অন্য বছর এ সময়ে হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী কম ছিল। কিন্তু এবার অনেক বেশি। রোগীদের মধ্যে শিশুই বেশি। এখানে একদিনে সবোর্চ্চ ৮২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। চলতি মাসের ২৩ মার্চ ৫২ জন, ২৪ মার্চ ৫০ জন এবং ২৫ মার্চ ৪৩ জন রোগী ভর্তি হয়।

কালিহাতী উপজেলার সল্লা থেকে আসা জুলিয়া বেগম বলেন, আমার ছোট্র ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে হাসপাতালে ৫ দিন যাবত ভর্তি আছি। আগের থেকে ওর অবস্থা অনেক ভাল। বাসাইল থেকে আসা শাহনাজ বেগমের শিশু কন্যা হাবিবা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২ দিন ধরে চিকিৎসাধীন আছে।
কয়েকজন রোগী ও রোগীর স্বজন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এখানকার পরিবেশ তেমনটা ভাল নয়। আরো পরিষ্কার থাকা দরকার।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহাকরি পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক ডা: খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী কমে আসছে। কোন মৃত্যু নেই। তবে গত বছরের তুলনায় এবার রোগী সংখ্যা বেশি। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, আশাকরি সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. মার্চ ২০২২ ১০:৫৬:পিএম ৩ বছর আগে
শিশুদেরও কি ডায়াবেটিস হয়? - Ekotar Kantho

শিশুদেরও কি ডায়াবেটিস হয়?

একতার কণ্ঠঃ ডায়াবেটিস সর্বগ্রাসী রোগ। এ রোগ একবার কারো হলে শরীরে নানা জটিলতা বাড়তে থাকে। মধ্যবয়সে সাধারণত ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। তবে বর্তমানে তরুণ বয়সেও অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। শিশুদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা এমন প্রশ্ন জনে জনে।

আরো পড়ুনঃ  কিডনি রোগের লক্ষণ, প্রতিরোধে কী করবেন?

মূলত মানসিক দুশ্চিন্তা, ওজন বেড়ে যাওয়া, কায়িক শ্রমের ঘাটতি, বংশীয় কারণ, খাদ্যাভ্যাস ও জীবন পদ্ধতির পরিবর্তন এসব কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার আগেই সতর্ক থাকতে হয়।

শিশুদের ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সোসাইটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন।

শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। বেশিরভাগ শিশু শৈশবে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আগে চিকিৎসকরা জানতেন যে বাচ্চারা কেবল টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় এবং একে দীর্ঘকাল ধরে কিশোর ডায়াবেটিস (Juvenile Diabetes) নামে নামকরণ করা হতো। শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের একক প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন। যখন কোনো শিশুর ওজন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা দ্বিগুণ হয়।

শিশুদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস অবস্থায় শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিনের দরকার পড়ে। ইনসুলিনের ঘাটতি বা অভাবকে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন বা পাম্পের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরির ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কারণ ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো ধ্বংসের কারণে এমনটি হয়। কেন এমনটি ঘটে তা সঠিকভাবে কেউ জানেন না, তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন এটা জিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টাইপ-১ ডায়াবেটিস সম্ভবত ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেও হয়ে থাকে। অন্যদিকে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে, অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন তৈরিতে কোনো ব্যাঘাত হয় না। তবে শরীর এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে সাড়া দেয় না বা প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হয়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স্ (Insulin Resistance)-এর কারণে এ সমস্যা দেখা দেয় যখন গ্লুকোজ কোষগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না এবং শক্তি সরবরাহ করার সক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে পর্যায়ক্রমে অগ্ন্যাশয় আরও বেশি বেশি ইনসুলিন তৈরি করতে সচেষ্ট হয়। অবশেষে, এক সময় অগ্ন্যাশয় রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে ধীরে ধীরে অক্ষম হয়ে পরে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য বাচ্চাদের ঝুঁকির তিনটি কারণ-

* পরিবারের একজন সদস্যের টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকলে।

* মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসসহ (গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস) জন্ম নেওয়া শিশুদের।

* যদি সন্তানের ওজন বেশি হয় এবং ওপরের দুটি ঝুঁকির কারণ থাকে।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ : রক্তে উচ্চমাত্রার শর্করার জন্য ঘনঘন প্রস্রাব হয় এবং খুব তৃষ্ণার্ত থাকে বিধায় প্রচুর পানি পান করতে হয়। ক্লান্তি বা অবসাদ বোধ থাকে। কারণ শরীর শক্তির জন্য গ্লুকোজ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু এবং কিশোরদের ক্ষুধা বাড়তে পারে তবে ক্ষুধার্ত কোষগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ করার প্রয়াসে শরীর পেশি ভেঙে ফ্যাট সংরক্ষণ করে যার জন্য ওজন হ্রাস পায়।

ডায়াবেটিসের চিকিৎসা : শিশুর টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে কিনা তা নির্ণয় করা আবশ্যক। কারণ ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসা টাইপের ভিত্তিতে পৃথক হয়। মেটফরমিন নামে একটি ওষুধ গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। এটি এবং ইনসুলিন হলো ১৮ বছরের চেয়ে কম বয়সি শিশুদের জন্য রক্তে শর্করার হ্রাসকারী দুটি ওষুধ মাত্র।

চিকিৎসা অর্থাৎ লক্ষণগুলো হ্রাস করার জন্য ভালো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ এবং শিশু যাতে স্বাভাবিকভাবে তার শারীরিক, মানসিক, সংবেদনশীলতা বজায় রেখে সামাজিক বৃদ্ধি এবং বিকাশে সম্ভব হয়। আর এর জন্য, বাবা-মাকে লক্ষ রাখতে হবে শিশুর রক্তের শর্করার মাত্রা যতটা সম্ভব লক্ষ্য সীমার মধ্যে রাখা।

ডায়াবেটিসের কোনো নিরাময় নেই, ডায়াবেটিসের জন্য আজীবন চিকিৎসা প্রয়োজন। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু-কিশোররা তাদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্পের ওপর নির্ভর করে। শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে লক্ষণ ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং প্রথম দিকে কোনো লক্ষণই থাকে না। কখনো নিয়মিত চেক-আপের সময় এই ব্যাধিটি শনাক্ত করা হয়।

ডায়াবেটিস থেকে জটিলতা

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভবিষ্যতে হৃদরোগ, অন্ধত্ব দেখা দিতে পারে এবং কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে যায়। এছাড়া ডায়াবেটিসে পরবর্তী জীবনে সরু রক্তনালি, উচ্চরক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্নায়ু বা নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রতিরোধ

তরুণদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ছে। বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এ ভয়াবহ অবস্থার প্রতিরোধ সম্ভব। স্থূলতা বা যাদের ওজন বেশি-বিশেষ করে যদি তাদের পেটের চর্বি বেশি থাকে-তাদের ইনসুলিন অকার্যকর বা প্রতিরোধ (Insulin Resistance) হওয়ার আশংকা বেশি থাকে, তাই টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য ইনসুলিন প্রতিরোধ একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না, যদিও কিছু বাচ্চার ত্বকে ঘন, গাঢ়, কাল মখমল প্যাঁচ তৈরি হয় যাকে অ্যাক্যানথোসিস নিগ্রিকানস (Acanthosis Nigracans) বলা হয়, সাধারণত ঘাড়ের পেছনে বা বগলের মতো শরীরের ক্রিজ এবং ভাঁজগুলোতে।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. মার্চ ২০২২ ০৭:১৫:পিএম ৩ বছর আগে
রাজধানীতে ‘গরিবের চিকিৎসক’ বুলবুল ছুরিকাঘাতে নিহত - Ekotar Kantho

রাজধানীতে ‘গরিবের চিকিৎসক’ বুলবুল ছুরিকাঘাতে নিহত

একতার কণ্ঠঃ রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক ডা. আহমেদ মাহী বুলবুল নিহত হয়েছেন। পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি মারা গেছেন।

আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা

রোববার (২৭ মার্চ) ভোর ৫টার পর শেওড়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাহতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ভোর ৫টার পর শেওড়াপাড়া এলাকায় অজ্ঞাত ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে বুলবুল গুরুতর আহত হন। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ডিসি মাহতাব আরও বলেন, এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা হতে পারে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি এবং কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

ডা. বুলবুল মগবাজারে রংপুর ডেন্টাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা দেন। সেখানে তিনি দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন। শুধু স্বাবলম্বীদের কাছ থেকে ফি নিতেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. মার্চ ২০২২ ০৩:৩৭:এএম ৩ বছর আগে
কিডনি রোগের লক্ষণ, প্রতিরোধে কী করবেন? - Ekotar Kantho

কিডনি রোগের লক্ষণ, প্রতিরোধে কী করবেন?

একতার কণ্ঠঃ ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ হচ্ছে নীরব ঘাতক। যাদের এ দুটোর কোনো একটি স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় তাদের যাতনার শেষ নেই। চলাফেরা, জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়। বিভিন্ন কারণে কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে একজন মানুষ নানাবিধ শারীরিক জটিলতার মুখে পড়েন। এমনকি কিডনি একেবারে অকার্যকর হয়ে গেলে মৃত্যু সুনিশ্চিত।

কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়গুলো জানা থাকলে অনেক সময় সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট একশনের (ক্রিডা) ডা. সুপ্রিয় পাল।

মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো কিডনি (বাংলায় বৃক্ক বলা হয়)। কিডনি রক্তে উপস্থিত দূষিত পদার্থগুলো পরিশোধন করে এবং মূত্র তৈরি করে সেগুলো দেহ থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। একটি অসুস্থ বা অকার্যকর কিডনির কারণে একজন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। এজন্য অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনি সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি।

কিডনি রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ

প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগের তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্রম ক্ষমতা কমতে থাকলে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। ক্ষুধামন্দা, শরীরে ওজন হ্রাস পাওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশে (হাত, পা, মুখ) পানি জমে ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, শরীরে ক্লান্তিভাব আসা, ঘুম কম হওয়া, অসুস্থ বোধ করা, শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি হওয়া, মাঝে মাঝেই মাথাব্যথা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ ক্রনিক কিডনি ডিজিসের শেষ পর্যায়ে প্রকাশ পেতে শুরু করে।

কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ

ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, কিডনির জন্য ক্ষতিকর এমন ওষুধ সেবন, জন্মগত কিডনির সমস্যা, ৬০ বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তি, প্রভৃতি কিডনি রোগের ঝুঁকির জন্য অন্যতম।

প্রতিরোধে করণীয়

কিডনি রোগের অন্যতম ঝুঁকির কারণ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ। সুতরাং যাদের দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও ওষুধ সেবন করা বাধ্যতামূলক, যেন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকে।

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন দ্রুত কমিয়ে ফেলতে হবে। যারা ধূমপান করে, তাদের জন্য ধূমপান ত্যাগ করার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে। খাবার পাতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। রক্তে কলস্টেরল যেন সবসময় স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রতিদিন বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে যাদের কিডনি রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ফলমূল খাওয়া যাবে না। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং রুটিন চেকআপ করানো আবশ্যক।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. মার্চ ২০২২ ০৫:৩৯:পিএম ৩ বছর আগে
সুস্থতার জন্য যেসব খনিজ উপাদান অপরিহার্য - Ekotar Kantho

সুস্থতার জন্য যেসব খনিজ উপাদান অপরিহার্য

একতার কণ্ঠঃ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন মিনারেল বা খনিজ উপাদানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ যেমন- ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এগুলো ছাড়া আরও কতকগুলো উপাদান আছে যেগুলো সামান্য পরিমাণে হলেও সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। শরীরের ওজনের মাত্র ০.০১% মাত্রায় বিদ্যমান এই ‘ট্রেস এলিমেন্টগুলো’ শরীরের বিভিন্ন এনজাইম, হরমোন এবং কোষকলার অংশবিশেষ হওয়ায় এগুলোও শরীরের জন্য অপরিহার্য। স্বল্প মাত্রার অথচ পুষ্টিকর এসব উপাদানকেই ‘এসেনশিয়াল ট্রেস এলিমেন্টস’ বলা হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক প্রফেসর ড. জাকিয়া বেগম।

বিভিন্ন কারণে মিনারেল ঘাটতি দেখা দেয়ার কারণ হচ্ছে খাদ্যে অথবা সম্পূরক খাদ্যে প্রয়োজনীয় মাত্রায় এসব উপাদানের অনুপস্থিতি। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন- বেশি পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত বা টিনজাত খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি বা ফলমূলের পরিমাণ কম থাকা, কম-ক্যালরিযুক্ত বা নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ, নিরামিষাশী, খাদ্য হজমজনিত কোনো রোগ, কোনো কারণে সঠিক পর্যায়ে খাদ্য শোষণে ব্যর্থতা, বিভিন্ন খাদ্যে অ্যালার্জি বা দুগ্ধশর্করায় (ল্যাকটোজ) অসহনীয়তা ইত্যাদি কারণেও এ ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে।

লোহা : লোহা এরূপ একটি ক্ষুদ্র উপাদান যার পরিমাণ শরীরের ওজনের মাত্র ০.০০৪%। রক্তস্থ হিমোগ্লোবিন শরীরের কোষকলাগুলোতে শক্তি ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় কম লোহা থাকলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। শরীরে লোহা অথবা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিকেই রক্তশূন্যতা বলা হয়। লোহার ঘাটতি থেকে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয় এবং শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমনকি এ ধরনের রক্তশূন্যতার কারণে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে। স্বল্প মাত্রার লোহার ঘাটতি থেকে মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তার ব্যাঘাতও সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের দেশে রক্তশূন্যতা গর্ভকালীন মাতৃ মৃত্যুর প্রধান কারণ। পুরুষ ও বয়স্ক মহিলাদের জন্য প্রতিদিন ৮ মিলিগ্রাম এবং অল্প বয়স্ক মহিলাদের জন্য প্রতিদিন ১৮ মিলিগ্রাম লোহার প্রয়োজন হয়। মাংস, কলিজা, সীমজাতীয় সবজি, বাদাম, সম্পূর্ণ শস্যদানা যেমন; বাদামি চাল, ঝিনুক, কলা, আপেল, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি ইত্যাদি খাদ্য থেকে আয়রন পাওয়া যায়।

জিঙ্ক বা দস্তা : এই উপাদানটি শরীরের বিভিন্ন বিপাকীয় পদ্ধতি যেমন আমিষ সংশ্লেষণ, রোগ-প্রতিরোধক কার্যাবলী, ক্ষত থেকে আরোগ্য লাভের প্রক্রিয়া, কোষ বিভাজন ও ডিএনএ সংশ্লেষণ, টেসটোসটেরন জাতীয় পুরুষ হরমোন তৈরি, মেলাটোনিন তৈরি ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করে থাকে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের সঠিক বিকাশ ও বৃদ্ধি লাভের ক্ষেত্রে এবং শিশু বয়সে এবং বয়োসন্ধিকালে শরীরের বৃদ্ধি ও পূর্ণতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপাদানটির অভাবে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগা, ডায়রিয়া, ঘুমের সমস্যা, খাদ্যে অরুচি এবং খাদ্যের স্বাদ ও গন্ধ অনুভবের ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, চুল পড়া, ত্বকের ক্ষতি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। উপাদানটির অতিমাত্রার ঘাটতি থেকে হতবুদ্ধিতা জাতীয় মানসিক প্রতিবন্ধকতা, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এবং যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়ার আশংকাও থাকে।

লাল মাংস, হাঁস-মুরগির মাংস, ঝিনুক ইত্যাদি প্রাণিজাতীয় ও দুগ্ধজাতীয় খাদ্য, ডার্ক চকলেট, বাদাম, শিম জাতীয় উদ্ভিদ ইত্যাদিতে এই উপাদানটি পাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়ার বিচি জিঙ্কের একটি ভালো উৎস।

আয়োডিন : থাইরয়েড থেকে নিঃসৃত এই হরমোনটি থাইরয়েড গ্রন্থির সঠিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়। কোষকলার বিপাকীয় কার্যকলাপ পরিচালনা, খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা, অতিরিক্ত চর্বির বিপাকীয় ব্যবহার, ইস্টোজেন জাতীয় হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করা, শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানসিক ক্ষিপ্রতা এবং বোধশক্তির উন্নতি সাধন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই হরমোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সাধারণত ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হরমোনটির ঘাটতি হতে দেখা যায়। গলগণ্ড রোগটি আয়োডিন ঘাটতির প্রধান লক্ষণ। দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনীয় মাত্রায় আয়োডিন উৎপাদনে ব্যর্থ হলে ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ রোগ দেখা দেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘাটতি থেকে ‘ক্রিটেনিজম নামক’ বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, শিশু শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে পড়ে। ১-৮ বছরের শিশুর প্রতিদিনের চাহিদা ৯০ মাইক্রোগ্রাম, ৯-১৩ বছর পর্যন্ত ১২০ মাইক্রোগ্রাম এবং ১৪ বছর থেকে আরম্ভ করে বয়স্কদের জন্য তা ১৫০ মাইক্রোগ্রাম। সামুদ্রিক বিভিন্ন উদ্ভিদ, মাছ ও অন্যান্য খাদ্য, ডিম, দুধ এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ আয়োডিনের প্রধান উৎস।

সেলেনিয়াম : সেলেনিয়াম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অপর একটি ‘ট্রেস এলিমেন্ট’। শরীরের প্রায় দু’ডজনেরও বেশি সেলেনোপ্রোটিনের মধ্যস্থ একটি উপাদান হচ্ছে সেলেনিয়াম যে উপাদানটি প্রজনন ক্ষমতা, থাইরয়েড হরমোনের বিপাকীয় কার্যক্রম, ডিএনএ-র সংশ্লেষণজনিত প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করা ছাড়াও জারণ প্রক্রিয়ায় সংঘটিত কোষকলার ক্ষতি এবং রোগের সংক্রমণ রোধে ভূমিকা রাখে। উপাদানটির অভাবে হৃদপিণ্ডের সমস্যা, মানসিক প্রতিবন্ধতা, মাংসপেশীতে ব্যথা বা মাংসপেশীর দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে। প্রতিদিনের চাহিদা ৫৫ মাইক্রো গ্রাম মাত্র। মাছ, গরু-ছাগলের মাংস, হাঁস-মুরগির মাংস এবং ডিম, শস্যদানা, বাদাম এবং বীজজাতীয় খাদ্য থেকেই প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। নখ এবং চুল বিশ্লেষণ করে শরীরে বিদ্যমান দীর্ঘমেয়াদি সেলেনিয়ামের মাত্রা বিশ্লেষণ করা যায়।

তামা : তামা বিভিন্ন প্রকার আমিষ, এনজাইম এবং শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত কোষকলার মধ্যস্থ এনজাইমগুলোর একটি উপাদান যা শারীরিক বিকাশ এবং বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপাদানটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের লোহা সংযুক্তিতে, ত্বকের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে, স্নায়ুর সংকেত আদান-প্রদানে, পরিপাকতন্ত্র, বিপাকীয় কার্যক্রম এবং রোগ-প্রতিরোধক কার্যক্রম পরিচালনায় অবদান রাখে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরা এবং রক্তশূন্যতায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে তামার স্বল্পতা দেখা যায়। উপাদানটির অভাবে রক্তে শ্বেতকণিকার স্বল্পতা, অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন, হাড়ের সমস্যা, রোগ-প্রতিরোধক তন্ত্রের সমস্যা এবং চুল ও নখের বৃদ্ধিতে সমস্যা দেখা দেয়। সামুদ্রিক খাদ্য, বাদাম, শিম বা মটরজাতীয় বীজ, শাক-সবজি, ফলমূল, গরু বা খাসির যকৃত ইত্যাদিতে এই উপাদানটি পাওয়া যায়। প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৯০০ মাইক্রোগ্রাম। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য মাত্রাটা একটু বেশি হওয়া ভালো।

কোবাল্ট : এটি ভিটামিন বি-১২ এর একটি উপাদান হওয়ায় কোবাল্টের ঘাটতি মানে ভিটামিন বি-১২ এরই ঘাটতি। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় মাত্রা মাত্র ০.০০০১ মিলিগ্রাম। এটি অস্থিমজ্জার কোষকলাকে উজ্জীবিত করে লোহিত রক্তকনিকা তৈরিতে সাহায্য করে, থাইরয়েড কর্তৃক আয়োডিন শোষণে বাঁধা প্রদান করে এবং বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এটির অভাবে জটিল ধরনের রক্তশূন্যতা, শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা, কোনো কোনো অঙ্গের বিশেষ করে হাত ও পায়ের দুর্বলতা ও অসাড়তা অনুভব করা, বমিভাব, মাথাব্যথা, মানসিক বিভ্রমতা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, ওজন হ্রাস, থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিনের ঘাটতি থেকে স্নায়বিক সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়ার আশংকা থাকে। গরু-ছাগলের যকৃতে, ঝিনুক, মাছ, ডিম, সয়া খাদ্য, সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও মাছ ইত্যাদি কোবাল্টের ভালো উৎস। ডালজাতীয় উদ্ভিদ, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদিতে অল্প মাত্রায় কোবাল্ট পাওয়া যায়।

ম্যাংগানিজ : সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম তৈরিতে এবং এনজাইম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিক্রিয়া ঘটাতে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শর্করা, ফ্যাটি এসিড এবং আমিষের বিপাকে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে, রক্ত জমাট বাঁধার কাজে, হাড় তৈরি, শক্ত ও মজবুত করতে, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র ও রোগ-প্রতিরোধক তন্ত্রের সঠিক পরিচালনা, মাইটোকনড্রিয়াতে বিদ্যমান সুপার অক্সাইড নামক ফ্রি রেডিকেলকে বিশ্লেষিত করে ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত করা ইত্যাদি কাজে এই উপাদানটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে উপাদানটির স্বল্পতা হাড়কে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে তোলে। পূর্ণ শস্যদানা, বাদাম, চা-কফি, পাতাবিশিষ্ট সবুজ শাক-সবজিতে এটি পাওয়া যায়।

ক্রোমিয়াম : শরীরের শর্করা, চর্বি এবং আমিষ জাতীয় পদার্থগুলোর বিপাকীয় কার্যক্রম পরিচালনায় এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই এই উপাদানটির সামান্য স্বল্পতা থেকেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এটি রক্তে এইচডিএল-এর পরিমাণ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ক্রোমিয়ামের অভাবে রক্তবাহী ধমনি সরু হয়ে ওঠা, উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাওয়া, শরীরের শক্তি কমে যাওয়া, মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়া, শিশুদের শরীরের বৃদ্ধি হ্রাস পাওয়া, সার্জারি থেকে সৃষ্ট ক্ষত বা যে কোনো ধরনের ক্ষত থেকে আরোগ্য লাভ বিলম্বিত হওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাশরুম, ডার্ক চকলেট, পনির, বাদাম, পূর্ণ শস্যদানা, পাকা টমেটো, লেটুস, পেঁয়াজ, গোল মরিচ এবং বিভিন্ন মশলা, ডালজাতীয় শস্য ইত্যাদি থেকে এই উপাদানটি পাওয়া যায়।

ফ্লোরিন : ফ্লোরিনও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান যা বিশেষ করে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপাদানটির অভাবে দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। পানিই ফ্লোরিনের প্রধান উৎস্য তবে সামুদ্রিক মাছ, চা এবং কফিতেও এটি বিদ্যমান। প্রতিদিনের জন্য নিরাপদ মাত্রা ১.৫ মিলিগ্রাম থেকে ৫.০ মিলিগ্রাম।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. মার্চ ২০২২ ০২:৪২:এএম ৩ বছর আগে
দেশে প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে কৃত্রিম হৃদপিণ্ড স্থাপন - Ekotar Kantho

দেশে প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে কৃত্রিম হৃদপিণ্ড স্থাপন

বাংলাদেশে ৪২ বছর বয়স্ক এক নারীর হৃদপিণ্ডে কৃত্রিম হৃদপিণ্ড স্থাপন করেছেন একদল চিকিৎসক। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বুধবার অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে ‘Left Ventricular Assist Device ( LVAD )’ এলভ্যাড স্থাপন করেন চিকিৎসক দল।

প্রায় চার ঘন্টা সফল অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে হারট্মেট-৩ নামক একটি মেকানিক্যাল হার্ট রোগীর হৃদপিণ্ডের বাম নিলয়ে স্থাপন করেন এবং তার পুরো হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন ।

দেশের চিকিৎসাসেবায় নতুন এ সফলতা অর্জন করে আলোচনায় এসেছেন তারা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

আশা করা যাচ্ছে এর মাধ্যমে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমে আসবে এবং হার্ট ফেইলিওরের লক্ষণসমূহের উন্নতি ঘটবে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর কবির জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ শেষ পর্যায়ের হৃদপিণ্ডের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এই নারী। দেশে বিদেশে নানা জায়গায় চিকিৎসার পরেও তার হৃদপিণ্ড বা হার্ট প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ছিল। উন্নত বিশ্বে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের একমাত্র চিকিৎসা আরেকটি সুস্থ হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা।
তবে যদি সুস্থ হৃদপিণ্ড পাওয়া না যায় এবং হার্টের অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে তবে মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট বা (LVAD ) এলভ্যাড স্থাপন করা হয় । এতে রোগীর হৃদপিণ্ড কিছুটা বিশ্রাম পায় এবং সমস্ত শরীরের রক্ত চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে ।

শরীরে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি , লিভার ইত্যাদি সেরে ওঠার সুযোগ পায় । হার্ট ফেইলিওরে আক্রান্ত কিছু রোগী হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের উপযুক্ত না হলে তাদের জন্য একমাত্র বিকল্প LVAD (এল্ভ্যাড), যা স্থাপনের মাধ্যমে বাকি জীবন সুস্থভাবে অতিবাহিত করতে পারবেন তারা।

উল্লেখ্য, কার্ডিওমায়োপ্যাধি , ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ ও হার্ট অ্যাটাক , কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ , হ জনিত সমস্যা , দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তচাপ , দীর্ঘমেয়াদী হার্ট এর অস্বাভাবিক রিদম ইত্যাদি নানা রোগের শেষ পরিণতি হার্ট ফেইলিওর ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. মার্চ ২০২২ ০৪:২১:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনায়  আরো ১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪৬ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনায় আরো ১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪৬

একতার কণ্ঠঃ বৃহস্পতিবার(১০ ফেব্রয়ারি) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ী নাগরপুর উপজেলায়। এই মৃত্যু নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬৩ জন।বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান। 

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৪৬ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ১৫ দশমিক ৬৯ ভাগ।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৭ হাজার ২০৭ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ১৮ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, সখীপুরে ৩ জন, মির্জাপুরে ৪ জন, বাসাইলে ২ জন, কালিহাতীতে ১ জন, ঘাটাইলে ২ জন, ভুঞাপুরে ১ জন,  ও গোপালপুর উপজেলায় ১১ জন সহ মোট ৪৬ জন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান  সকলকে করোনা প্রতিরোধে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। স্বাস্থ্য বিধি মেনে পথচারীদের মাস্ক পরে চলাচলের আহ্বানও জানান তিনি।

 

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১০:৫১:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৭০ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৭০

একতার কণ্ঠঃ বুধবার(৯ ফেব্রয়ারি) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ী সদর উপজেলায়। এই মৃত্যু নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬২ জন। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান। 

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৭০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৭০ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ২৫ দশমিক ৪৫ ভাগ।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৭ হাজার ১৬৫ জন। সর্বমোট মারা গেছে ২৬২ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৩৫ জন,ধনবাড়ীতে ১৩ জন ,নাগরপুরে ১জন, বাসাইলে ৯ জন, কালিহাতীতে ৫জন, ঘাটাইলে ৫জন ও ভূঞাপুরে ২জন  নিয়ে মোট ৭০ জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০১:১১:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় করোনার টিকাদান শতভাগ সম্পন্ন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় করোনার টিকাদান শতভাগ সম্পন্ন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের ভোটারদের শতভাগ করোনার টিকার আওতায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পৌরসভার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান, পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৭০ জন ভোটার রয়েছে। সেখানে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩০০ মানুষকে করোনার টিকা প্রদান হয়েছে। টাঙ্গাইল পৌরসভার আওতায় ৪৪ হাজার ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫০০ জনকে সিনোফার্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ, ২৭ হাজার ৮০০ জনকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার শতভাগ ভোটারকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, অন্যদিকে ১২ থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।

পৌর এলাকায় শতভাগ টিকা কার্যক্রমের বিষয়টি সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খানও নিশ্চিত করেছেন।

মেয়র আরো জানান, করোনা প্রতিরোধে ১৮ টি ওয়ার্ডে জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকায় দুই লাখ মাস্ক, দুই হাজার অ্যান্টিসেপটিক সাবান, এক হাজার হ্যান্ড ওয়াশ, ১৫ হাজার হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও শহরের গুরত্বপূর্ণ স্থানে হাসধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। অপর দিকে প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। করোনায় কর্মহীন গরীব, দুস্থ, অসহায়, কর্মহীন প্রায় দুই লাখ মানুষের মাঝে খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে পৌর এলাকায় ১৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, প্যানেল মেয়র তানভীর ফেরদৌস নোমান, পৌরসভার সচিব শাহনেওয়াজ পারভীন, নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৩:২৯:এএম ৩ বছর আগে
আগামী ১ মাসে বোঝা যাবে টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি কেমন হবে-সিভিল সার্জন - Ekotar Kantho

আগামী ১ মাসে বোঝা যাবে টাঙ্গাইলে করোনা পরিস্থিতি কেমন হবে-সিভিল সার্জন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জেলার করোনা পরিস্থিতি সর্ম্পকে বলতে গিয়ে বলেন, আগামী ১ মাসে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে সেটা বোঝা যাবে। টাঙ্গাইল জেলায় গত জানুয়ারি থেকে সংক্রমনের হার ধীরে ধীরে বাড়ছে। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা আক্রান্তের গড় হার শতকরা ৩৫ ভাগ।

গত এক মাসে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি হয়েছে মাত্র ৫ জন। এর মধ্যে গত ২৯ জানুয়ারি ১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৪ জন রোগীর অবস্থা ভালোর দিকে। ধারনা করা হচ্ছে, এরা সবাই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। টাঙ্গাইল জেলায় এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের লক্ষন সর্ম্পন্ন কোন রোগী পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন,গত বছর জুন মাসে ২১ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল ২৬ জন। আর করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিল ১৮৩ জন। গড় আক্রান্তের হার ছিল শতকরা ৩৩.৯৯ ভাগ। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করে যা ডিসেম্বর মাসে শূণ্যের কোঠায় নেমে যায়। আবার এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার(২ ফেব্রয়ারি) গড় আক্রান্তের হার ছিল শতকরা ২৫.৭৭ ভাগ।

আগামী ১ মাসের মধ্যেই বোঝা যাবে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে।

তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইল জেলায় বুধবার(২ ফেব্রয়ারি) পর্যন্ত গণটিকার( সিনোভ্যাক,অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজার) প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৩ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭ জনকে। যা জেলার মোট জনগোষ্ঠির ৫৬ ভাগ। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯৫৩ জনকে। যা জেলার মোট জনগোষ্ঠির ৩৪ ভাগ। আর বুষ্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৬ হাজার ১২৭ জনকে। এ ছাড়া জেলায় এই পর্যন্ত ৩ লাখ ৩২ হাজার ১ শত ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, জেলায় স্বাস্থ্য বিধি মানতে ও করোনা প্রতিরোধে গণপ্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া গণপরিবহন, হোটেল রেস্তোরায় টিকার কার্ড দেখে খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে পথচারীরা যেন মাস্ক পরিধান করে চলাচল করে সেদিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ৯২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৩৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ২৫ দশমিক ৭৭ ভাগ।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৮৮৭জন। সর্বমোট মারা গেছে ২৬১ জন। এ দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি।

আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৬২ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, সখীপুরে ৫ জন, মির্জাপুরে ৮ জন, বাসাইলে ৪ জন, কালিহাতীতে ২জন , ঘাটাইলে ২ জন, ভূঞাপুরে ৩ জন, গোপালপুরে ১ জন ও ধনবাড়ীতে ১ জন নিয়ে মোট ৯২ জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৬:০৮:পিএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।