টাঙ্গাইলে এক কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ৩৭ জন


০৪:০২ পিএম, ৭ জানুয়ারী ২০২৩
টাঙ্গাইলে এক কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে ৩৭ জন - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৭ ব্যক্তি। তবে এলাকাবাসীর তথ্যমতে, কামড় খাওয়া লোকের সংখ্যা ৬০-এর ওপর। ৩৭ জনের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যামকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৫ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কুকুরটির তাণ্ডব। ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাইল পৌর এলাকার কয়েকটি গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (৫ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে পৌর এলাকার ফতেহপাড়া ও রতনপুর এলাকায় ৮ থেকে ১০ জন লোককে কামড় দেয় কুকুরটি। পরে লোকজন লাঠি নিয়ে ধাওয়া করলে কুকুরটি ঘাটাইল উত্তরপাড়া এলাকায় চলে আসে। সেখানেও কয়েজনকে কামড় দেয়।

উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা রঞ্জু মিয়া জানান, শুরুতে তার বাবা জুলহাস উদ্দিনকে কামড় দেয় কুকুরটি। এর পর আরও অনেককে কামড় দিয়ে চলে যায় ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড হয়ে কলেজ মোড়ের দিকে। তার দাবি, এর পরই তার পক্ষ থেকে পাগল কুকুরের বিষয়ে মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়।

20230826-141431

ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াজেদ আলী জানান, সেখানেও প্রায় ১০ জনকে কামড় দেয়। কুকুরটি এর পর চলে আসে কলেজ মোড়ে। এখানকার কয়েকজন জানান, স্থানীয়সহ ঢাকাফেরত কয়েকজনকে কামড়িয়েছে কুকুরটি। পরে সেখান থেকে পৌরসভার চান্দুশী গ্রামের দিকে চলে যায়।
চান্দুশী গ্রামের মো. কায়সার জানান, শুরুতে ঘাটাইল সরকারি জিবিজি কলেজ গেট-সংলগ্ন ঢাকা কম্পিউটারের মালিক লিটনকে কামড় দেয়। এর পর আরও অনেককে কুকুরটি কামড় দিয়েছে বলে শুনেছেন।

এ ধরনের আরও একটি কুকুরের আবির্ভাব হয়েছে বলে শুক্রবার(৬ জানুয়ারি) সকাল সকলে জানিয়েছেন পৌরসভার ঝরকা এলাকার লোকজন। ওই কুকুরটিও নাকি অনেককে কামড় দিয়ে ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড দিকে চলে এসেছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া।

ঘাটাইল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রেজওয়ানা হায়দার জানান, বৃহস্পতিবার (৫ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৭ জন কুকুরে কামড় দেওয়া রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান ক্ষতস্থান দেখে ইনজেকশন ও খাওয়ার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালেও হাসপাতালে এ ধরনের তিনজন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, সরকারিভাবে কুকুর নিধন নিষিদ্ধ। কুকুর যেহেতু পাগল হয়েছে, তাই সেই কুকুর নিধনের জন্য মাঠে পৌরসভার লোক কাজ করছে। পাশাপাশি মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে।


পাঠকের মতামত

-মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।