টাঙ্গাইলে ঘরে ঘরে ঠান্ডা-জ্বর, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা


০৬:২২ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২২
টাঙ্গাইলে ঘরে ঘরে ঠান্ডা-জ্বর, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ঘরে ঘরে জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এতে ফার্মেসিগুলোতে নাপা ও প্যারাসিটামিটাল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ। বিশ্লেষকদের দাবি, বন্যা ও প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধসহ সব শ্রেণির মানুষজন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেনে।

এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহর থেকে শুরু করে জেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ঘরে ঘরে মানুষ জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও শহরের কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকে বিগত দিনের তুলনায় গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর-ঠান্ডা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কতোজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

20230826-141431

শহরের দিঘুলীয়া এলাকার এসএম আওয়াল মিয়া বলেন, ‘আমি, আমার স্ত্রী, দুই ছেলে ও ভাতিজাসহ পরিবারের ছয় জন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরমর্শে ওষুধ খাচ্ছি। এখন মোটামুটি সুস্থ।’

পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও ছেলে এবং মেয়ের জ্বর হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতেই সবার চিকিৎসা চলছে। এছাড়াও আমার বাড়ি আশে পাশের অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত।’

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, ‘গত চার দিন ধরে আমার দেড় বছরের ছেলে জ্বরে আক্রান্ত। মঙ্গলবার বেশি অসুস্থ হলে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন ধরে হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার পর সে এখন সুস্থর দিকে।’

শহরের নিউ মার্কেট এলাকার শফিক মেডিক্যাল হলের প্রোপাইটর শফিকুল ইসলাম শফিক ও নতুন বাস টার্মিনাল এলাকার আমিনা ফার্মেসির প্রোপাইটর মো. মামুনুর রশিদ বলেন, অন্য যে কোনো সময়ে তুলনায় গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর-ঠান্ডার ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কোম্পানি দাম বাড়াবে বলে নাপা জাতীয় ওষুধের সাপ্লাই বন্ধ রয়েছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘দেশে আবার করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আমি মনে করি জ্বর-ঠান্ডা করোনার উপসর্গ। নাপাসহ প্যারাসিটামাল জাতীয় ওষুধ সঙ্কটের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নাপাসহ বিভিন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত মজুত আছে।’


পাঠকের মতামত

-মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।