একতার কণ্ঠঃ পাঁচ বন্ধু কলেজে পড়েন। তারা সবাই ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। থাকেন ঘাটাইল উপজেলার শাহপুর এলাকার রাকিব ম্যানশন ছাত্রাবাসে। এই ছাত্রবাসের পাশেই রয়েছে পুকুর। সেই পুকুরে সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে গোসল করতে নামেন এই পাঁচ বন্ধু। চার বন্ধু সাঁতরে পাড়ে উঠলেও মাঝ পুকুরে ডুবে যান নূর ইসলাম (১৮)। প্রায় দেড়ঘণ্টা পর পুকুর থেকে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত কলেজ ছাত্র নূর উপজেলার গারোবাজার এলাকার নতুন বাজার গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
নূরের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে যাওয়া নাহিদ হাসান বলেন, আমি, নূর, রাসেল মিয়া, কাউসার আহমেদ ও আব্দুল্লাহ ছাত্রাবাসের পাশের পুকুরে গোসল করতে যাই। পুকুরটি বেশ বড়। পুকুরের লম্বালম্বি এপার থেকে ওপার সাঁতার দেই আমরা। আমরা তিন জন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও নূরকে দেখতে পাইনি। এসময় পুকুরে সাঁতাররত কাউসারকে জিজ্ঞেস করি নূরের অবস্থান।
নাহিদ জানান, এমন কথায় কাউসার শুরুতে ভাবেন তার সঙ্গে মজা করা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর সবাই মিলে নূরকে অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করি। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজ করেন ছাত্রাবাসে। সেখানেও দেখা না পেয়ে বিষয়টি অবগত করেন ছাত্রাবাসের বড় ভাইদের। এরই মধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম ফোন করেন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগে পুকুরে প্রায় দেড় ঘণ্টা স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালান। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পুকুরে নামার আগে স্থানীয় লোকজন নূরের লাশ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, ঘটনাটি তার বাড়ির পাশেই। বিষয়টি জানার পর তিনি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করেন। স্থানীয় যুবকরা খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। মাঝ পুকুরেই ওই কলেজ ছাত্র ডুবে যায়।
ঘাটাইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সুজন মিয়া বলেন, খবর পেয়েই তারা ঘটনাস্থলে যান। পুকুরে ডুবুরি নামাতে যাবেন ঠিক সেই সময় স্থানীয় একজনের পায়ের সঙ্গে নূরের মরদেহ উঠে আসে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পুকুরের মাঝখানে ডুবে যান নূর। তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনীপ্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।