ফারুক হত্যায় সাক্ষ্য দিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রানী


০৯:২৭ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
ফারুক হত্যায় সাক্ষ্য দিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রানী - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন আদালত। ওই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নাম শিউলী রানী দাস। তিনি এই মামলার এক সাক্ষীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছিলেন।

প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজের আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রানী দাস সাক্ষ্য দেন। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মনিরুল ইসলাম খান জানান, সাক্ষ্য প্রদানকালে শিউলী রানী দাস আদালতকে জানান— তিনি এই মামলার সাক্ষী আব্দুল ওয়াহেদের জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করেছেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু ওবায়দা তার দেওয়া সাক্ষীর জেরার জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেননি। পরবর্তী তারিখে জেরা করবেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন।

সাক্ষ্য গ্রহণকালে কারাগারে থাকা এই মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি এবং জামিনে থাকা আসামি সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।


বাদীপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার মোট ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজ পাড়া বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।

আদালতে এ দুই জনের দেওয়া স্বাীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। সহিদুর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণের পর থেকে কারাগারে রয়েছেন। তাদের অন্য দুই ভাই এখনও পলাতক।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।