একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন খান আহমেদ শুভ। প্রয়াত মো. একাব্বর হোসেনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। শুভ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জাপুর আসনের নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ। মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খান আহমেদ শুভর বাবা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এ আসনেই নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত ওই আসনের টানা চারবারের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একাব্বর হোসেন গত ১৬ নভেম্বর রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক (সিএমএইচ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একাব্বর হোসেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ছিলেন।
ঘোষিত তফসিলে জানা যায়, এ আসনে আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শতভাগ ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি।
একতার কণ্ঠঃ সোহানুর রহমান সোহানকে সভাপতি ও ইলিয়াস হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এই কমিটির ঘোষণা করেন।নব ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে জেলায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দলীয় প্যাডে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিউল আলম মুকুলকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য করা হয়।
সোহানুর রহমান সোহান জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির সদস্য ও গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক। তার বাড়ি গোপালপুর পৌরসভার সুন্দর গ্রামে। ইলিয়াস হাসান জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহবায়ক কমিটির সদস্য ও করটিয়া সাদত কলেজের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তার বাড়ি সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গ্রামে।
প্রসঙ্গত, নব ঘোষিত ছাত্রলীগের এই কমিটি নিয়ে জেলায় ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। বিশেষ করে জেলা সদরের কোন ছাত্রলীগ নেতা এই কমিটিতে না থাকায় কমী-সমর্থদের মাঝে ওই ক্ষোভের সৃস্টি হয়। তাদের দাবী দ্রুত এই কমিটি পরিবর্তন করে জেলা শহর থেকে সভাপতি অথবা সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করা হোক। দীর্ঘ প্রায় একযুগ পর টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হলেও ছাত্রলীগের আন্দোলন সংগ্রমে পরিক্ষীত নেতারা তাদের কাঙ্খিত পদ পায়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল ১৩০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলো ৭৫ জন।তাদের মধ্যে ছেলে ৬৪ জন ও মেয়ে ১১ জন। জেলায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে আবেদন করেছিলো ৩ হাজার জন। ঘুষ-তদবির ছাড়াই বিভিন্ন ধাপের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৭৫ জন। এরা ১৩০ টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে।
শুক্রবার(২৬ নভেম্বর) রাতে সকল পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণ দের তালিকা প্রকাশের পর জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে আবেগ ঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
পুলিশের চাকরি পাওয়া গোপালপুর উপজেলার নান্দুটিয়ান গ্রামের কৃষক শফি ইসলামের মেয়ে তানিয়া ইসলাম বলেন, আমি ১৩০ টাকায় চাকরি পাবো কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।চাকরি পেয়ে আমার পরিবারের অনেক উপকার হয়েছে।এখন আমি পরিবারের পাশে দাড়াতে পারবো বাবাকে আর কষ্ট করতে হবেনা।
ভুয়াপুর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। চাকরি পেয়ে অনেক আনন্দিত।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কনস্টেবল নিয়োগ পক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে সব প্রস্ততি নিয়েছি এবং সততার সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্ন্ন করেছি। পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের উদ্যোগে সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা টাঙ্গাইল জেলাবাসীকে কথা দিয়েছিলাম একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নিয়োগ উপহার দেওয়ার, আমরা আমাদের কথা রেখেছি। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২১ এর টাঙ্গাইল জেলার প্রাথমিক ভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে।
এ সময় নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সহ টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ শেষ মুহূর্তে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দু’টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পরিবর্তন করা হয়েছে। ইউনিয়ন দু’টি হচ্ছে ঘারিন্দা ও দাইন্যা।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দলের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড।
এতে ঘারিন্দা ইউনিয়নে হোসাইন ছাদাব অন্তুকে এবং দাইন্যা ইউনিয়নে সোলায়মান হোসেন মিন্টুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
দলীয় মনোনয়নের চিঠি পেয়ে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে বুধবার (২৪ নভেম্বর) শেষ মুহূর্তে দলের মনোনয়ন বোর্ড এ দুই ইউনিয়নের মনোনয়ন পরিবর্তন করা হয়।
ঘারিন্দা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ এবং দাইন্যা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়।
বিকেলেই নতুন মনোনয়ন পাওয়া দু’জন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দলীয় মনোনয়নের চিঠি জমা দেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত জেলা শ্রমিক লীগ নেতা রেজাউল ইসলাম রেজা(৩৮) বুধবার(২৪ নভেম্বর) বিকেলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সজিব মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত রেজা শহরের দেওলা এলাকার মো. আজাদ আলমগীরের ছেলে। শ্রমিক লীগের রাজনীতিতে আসার পূর্বে রেজা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার(২১ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে শহরের নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় রেজাউল ইসলামের উপর একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা রেজাউলের হাত, পা, মেরুদন্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারে অবস্থিত এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
রেজাউলের মৃত্যুর খবরে তার এলাকায় শোকের পবিবেশ বিরাজ করছে।
রেজাউলের খালাতো ভাই জুয়েল রানা বলেন, রাতে লাশ টাঙ্গাইলে আনা হবে। বৃহস্পতিবার দাফন ও আইনগত ব্যবস্থায় যাবেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ মামলা করে নি। তবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।
রেজাউলের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারন সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা তার খুনিকে অবিলম্বে আইনের আওয়াতায় এনে বিচারের দাবী জানান।
একতার কণ্ঠঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সু-চিকিৎসার দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শহরের জেলা সদরে অবস্থিত সৌখিন মৎস্যশিকারী সমিতির সামনে থেকে জেলা বিএনপি নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় নেতাকর্মীরা দাবী জানিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নানাবিধ রোগ তাঁর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডও তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছে। তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেশের প্রচলিত আইনে কোন বাধা নেই বলে আইন বিশেজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী দুর্বিনীত অমানবিক সিদ্ধান্তে জীবন-মরনের সন্ধিক্ষনে থাকা বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ না দেয়া তার মৌলিক অধিকার হরণ করা। তাই আমাদের দাবী তাকে সুচিকিসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।
এ সময় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল শাহিন, ফরহাদ ইকবাল, শফিকুল ইসলাম, অমল ব্যানার্জীসহ জেলা বিএনপির ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কিস্তি আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মিরা খাতুন (৩২) নামে এনজিও কর্মীর খোঁজ মেলেনি পাঁচ দিনেও। এদিকে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব মিয়া জানান, ‘নিখোঁজ এনজিও কর্মীর খোঁজ পেতে দেশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।
নিখোঁজ মিরা বেসরকারি সংস্থা সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস (এসএসএস)-এর ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা শাখার সিনিয়র মাঠ সংগঠক। তিনি কালিহাতী উপজেলার সালেঙ্গা এলাকার রাজিব মিয়ার স্ত্রী।
সূত্র জানায়, গত শনিবার (২০ নভেম্বর) ফলদা এসএসএস অফিস থেকে মিরা উপজেলার ঝনঝনিয়া ও মাইজবাড়ি গ্রামে কিস্তি আদায় করতে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। ওই দিনই এনজিও কর্তৃপক্ষ মিরার সন্ধানে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে।
এসএসএসের ফলদা শাখার ব্যবস্থাপক বন্যা আক্তার বলেন, ‘দেড় বছর ধরে মিরা ফলদা শাখায় মাঠ সংগঠক হিসেবে চাকরি করছেন। নিখোঁজের দিন মিরা এই শাখার অধীন ঝনঝনিয়া ও মাইজবাড়ি গ্রামে কিস্তি আদায় করতে যান। সেখান থেকে তার ফলদা শাখায় ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু দুই কেন্দ্রে কাজ শেষ করার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব মিয়া বলেন, ‘নিখোঁজ এনজিও কর্মীর খোঁজ পেতে দেশের সব থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তার সন্ধান অব্যাহত আছে।’
তিনি আরো বলেন, আশা করি খুব দ্রুতই মিরা খাতুনের খোঁজ পাওয়া যাবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্মাণাধীন একটি দ্বিতল ভবনের নিচতলায় একটি রিমোট কন্ট্রোল বোমা রেখে খামে ভরে একটি চিঠি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সাথে ১০ টাকার একটি নোটও দেয়া হয়েছে। বুধবার(২৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নন্দনপুর এলাকার প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বাসায় ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ওই চিঠি দেয়া হয়। গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মাসুম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম প্রথম চিঠিটি দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসাটি ঘিরে রেখেছে।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, এক লাখ টাকা নিয়ে রাস্তায় হেঁটে কিছু দূর গিয়ে একটি চালতা গাছের নিচে চিপসের হলুদ প্যাকেটে রাত দশটার মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে। তা না হলে রাত সাড়ে দশটায় ভবনে রাখা রিমোট কন্ট্রোল বোমাটি ফাটিয়ে দেয়া হবে।
চিঠিতে আরো লেখা রয়েছে রিমোট কন্ট্রোল বোমাটিতে হাত না দিতে এবং পুলিশকে না জানাতে। পুলিশকে জানালে তার ছেলে এবং মেয়ে কে গুলি করে মেরে ফেলা হবে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. মাসুম ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বোমা সাদৃশ্য একটি বস্তু দেখেছি। বাড়িটি পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট আসলে বোমার মতো সাদৃশ্য বস্তুটি আসলে কি তা বলতে পারা যাবে ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সংরক্ষিত বন এলাকায় স্থাপিত ২০টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করেছে বনবিভাগ। সোমবার (২২ নভেম্বর) সারাদিন ঘাটাইল উপজেলার বন বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওইসব করাতকল উচ্ছেদ করা হয়।
ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষন কর্মকর্তা জামাল হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম সোমবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় সাগরদিঘী, জোড়দিঘী, গারোবাজার, শহরগোপিনপুর, ছনখোলা, নলমা, বগা, দেওজানা বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০টি করাতকল উচ্ছেদ করা হয়। ধলাপাড়া ও সাগরদিঘী রেঞ্জের সকল কর্মকর্তা বিশেষ টিমকে সহায়তা প্রদান করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আনাচেকানাচে অসংখ্য লাইসেন্সবিহীন করাতকল গড়ে উঠেছিল। সংরক্ষিত বন এলাকায় প্রভাবশালীরা প্রায় দেড় শতাধিক অবৈধ করাতকল স্থাপন করে বনের গাছ নিধন করে আসছিল।
সহকারি বন সংরক্ষন কর্মকর্তা জামাল হোসেন তালুকদার জানান, সংরক্ষিত বন এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত করাতকল উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পারিবারিক কলহের জেরে মিনারা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধুকে খুন করে স্বামীর আত্মসমর্পনের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার(২০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ভাবনদত্ত পন্ডিত কাছড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ঘাটাইল থানা অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মো. আজাহারুল ইসলাম সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
ঘাতক স্বামী ওই গ্রামের শামছুলের ছেলে।ঘটনার পর স্বামী আমিনুল ইসলাম (২৮) কে আটক করেছে ঘাটাইল থানা পুলিশ।
স্থানিয় ইউপি সদস্য আঃ ছালাম জানান, গৃহবধু মিনারা বেগম(২২কে) স্বামী আমিনুল গলাটিপে হত্যা করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
ঘাটাইল থানা অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মো. আজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামী আমিনুল ইসলাম নিজেই থানায় ফোন করে জানায় আমি আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছি। আপনারা এসে আমাকে নিয়ে যান। পরে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক আমিনুলকে আটক করি। সে প্রাথমিকভাবে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরো বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার(২১ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
একতার কণ্ঠঃ ইনিংসের ১৪তম ওভারের বিরতি তখন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বল মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেবেন, এমন অবস্থায় দর্শকের হইচই শোনা যাচ্ছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উত্তর গ্যালারি থেকে। সেখানে এক দর্শক গ্যালারির দোতলা থেকে লাফিয়ে নিচে নেমে এসেছিলেন। এরপর চোখের পলকে নিরাপত্তাবেষ্টনীর কাঁটাতার পাড়ি দিয়ে লাফিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।
বেশ কয়েকজন মাঠকর্মী এই সময় সেই দর্শককে ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মাঠের অন্য পাশ থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে আসার আগেই এক দৌড়ে তিনি মূল মাঠে প্রবেশ করেন। মোস্তাফিজের পায়ের কাছে এসে মাটিতে মাথা ছুঁইয়ে সেজদার ভঙ্গি করেন। একটু এগিয়ে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। এরপর তাঁকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার কক্ষের পাশের প্রবেশদ্বার দিয়ে বের করা হয়।
সে ওভারে প্রথম বল করেই মোস্তাফিজ মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে গেছেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সিরিজের খেলা চলছে জৈব সুরক্ষাবলয়ে। এই সিরিজ দিয়ে দর্শক মাঠে ফিরলেও করোনা নীতির অংশ হিসেবে গ্যালারির নিচতলা পুরোপুরি দর্শকশূন্য। নিচতলায় কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না সে কারণেই। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে বলয় ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেছেন সেই দর্শক।
মিরপুর স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। এর আগেও গ্যালারি থেকে মাঠে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। কিন্তু করোনাকালে দর্শক ফেরার সিরিজে এমন ঘটনাটি মিরপুরের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বাড়াবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে বিসিবির নিরাপত্তা প্রধান মেজর হাসিবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি।
শনিবার (২০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরে সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির আয়োজনে ওই গণ-অনশন অনুষ্ঠিত হয়। গণ-অনশনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামীল শাহীনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, কাজী শফিকুল ইসলাম লিটন, দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, অমল ব্যানার্জী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফ পাহেলী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকন্দ, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক মনির, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ঝলক, মহিলা দলের সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ, সদস্য সচিব আবদুল বাতেন প্রমুখ।
এ সময় বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।