/ হোম / লাইফ স্টাইল
গরমে বরফ যেভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে - Ekotar Kantho

গরমে বরফ যেভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে

একতার কণ্ঠঃ গরমে ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের বর্ণ ওঠে। আবার রোদে পুড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতাও নষ্ট হয়ে যায়। গরমকালে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বরফ বেশ কার্যকর। এ সময় বরফ বা আইসকিউবের ব্যবহার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দিতে পারে মুক্তি।

বরফের বিশুদ্ধ পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে ত্বকের জন্য এটি অনেক বেশি উপকারী। শরীর থেকে সব টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে পানি। আইসকিউবও ঠিক একই কাজ করে ও আমাদের ত্বককে পরিষ্কার করে।

ত্বকে বরফ উপকারিতা—

১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
চকচকে ও উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়? উজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রতিদিন আইসকিউব দিয়ে পুরো মুখ এবং গলায় বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করতে হবে। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বককে করে উজ্জ্বল ও ঝকঝকে।

২. ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি
নিয়মিত মুখে বরফ ব্যবহার করলে তা ডার্ক সার্কেল কমায়। তবে এ ক্ষেত্রে গোলাপজল এবং শসার রস দিয়ে তৈরি আইসকিউব ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি সুফল পাওয়া যায়। এটি বানাতে কিছু গোলাপজল ফুটিয়ে তার মাঝে শসার রস মেশাতে হবে। মিশ্রণটি ডিপ ফ্রিজে রেখে বরফ বানানোর পর সেগুলো চোখের নিচে ও মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে। কিছু দিন এটি করলেই পাওয়া যাবে সুফল।

৩. চোখের ফোলাভাব দূর করে
অনেক সময় চোখের নিচে অতিরিক্ত তরল যাওয়ার কারণে চোখ ফোলা দেখায়। এ ফোলাভাব দূর করতে আইসকিউব অনেক কার্যকরি। চোখের চারদিকে আইসকিউব দিয়ে বৃত্তাকারভাবে ম্যাসাজ করলে চোখের ফোলা ভাব কমে যায়।

৪. রিঙ্কেলস কমায়
রিঙ্কেলস বা মুখের চামড়া কুঁচকে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বরফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত মুখে বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করলে মুখের চামড়া কুঁচকে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে এবং নতুন করে রিঙ্কেলস দেখা দেয় না।

৫. ঘামাচি, চুলকানি ও ব্রণ কমায়
গরমের মাঝে ঘামাচি, চুলকানি এবং ব্রণ হওয়াটা অনেক স্বাভাবিক বিষয়। আর এগুলোর জন্য আইসকিউব অনেকটাই ম্যাজিকের মতোই কাজ করে। এটি ব্রণের ফোলা ভাব কমাতে ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৬. ত্বকের লালচে ভাব এবং প্রদাহ কমায়
গরমে রোদের তাপের কারণে ত্বক সানবার্ন হয়ে যেতে পারে। এমনটি হলে সে জায়গাগুলোতে বরফ ঘষলে সেটি অনেক ভালো কাজ করে। রোদের কারণে ত্বকে হওয়া লালচে ভাব এবং প্রদাহ কমাতে নিয়মিত ত্বকে বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।

৭. স্কিন পরিষ্কার করে
ত্বক এক্সফোলিয়েট করার জন্য বাইরের কোনো কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে বাড়িতেই দুধ দিয়ে তৈরি আইসকিউব বানিয়ে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকার কারণে তা ডেড স্কিন পরিষ্কার করে, ত্বক হয় উজ্জ্বল ও মসৃণ।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. মার্চ ২০২২ ০৩:১১:এএম ৩ বছর আগে
সুস্থতার জন্য যেসব খনিজ উপাদান অপরিহার্য - Ekotar Kantho

সুস্থতার জন্য যেসব খনিজ উপাদান অপরিহার্য

একতার কণ্ঠঃ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন মিনারেল বা খনিজ উপাদানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ যেমন- ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এগুলো ছাড়া আরও কতকগুলো উপাদান আছে যেগুলো সামান্য পরিমাণে হলেও সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। শরীরের ওজনের মাত্র ০.০১% মাত্রায় বিদ্যমান এই ‘ট্রেস এলিমেন্টগুলো’ শরীরের বিভিন্ন এনজাইম, হরমোন এবং কোষকলার অংশবিশেষ হওয়ায় এগুলোও শরীরের জন্য অপরিহার্য। স্বল্প মাত্রার অথচ পুষ্টিকর এসব উপাদানকেই ‘এসেনশিয়াল ট্রেস এলিমেন্টস’ বলা হয়।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক প্রফেসর ড. জাকিয়া বেগম।

বিভিন্ন কারণে মিনারেল ঘাটতি দেখা দেয়ার কারণ হচ্ছে খাদ্যে অথবা সম্পূরক খাদ্যে প্রয়োজনীয় মাত্রায় এসব উপাদানের অনুপস্থিতি। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন- বেশি পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত বা টিনজাত খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি বা ফলমূলের পরিমাণ কম থাকা, কম-ক্যালরিযুক্ত বা নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহণ, নিরামিষাশী, খাদ্য হজমজনিত কোনো রোগ, কোনো কারণে সঠিক পর্যায়ে খাদ্য শোষণে ব্যর্থতা, বিভিন্ন খাদ্যে অ্যালার্জি বা দুগ্ধশর্করায় (ল্যাকটোজ) অসহনীয়তা ইত্যাদি কারণেও এ ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে।

লোহা : লোহা এরূপ একটি ক্ষুদ্র উপাদান যার পরিমাণ শরীরের ওজনের মাত্র ০.০০৪%। রক্তস্থ হিমোগ্লোবিন শরীরের কোষকলাগুলোতে শক্তি ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় কম লোহা থাকলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। শরীরে লোহা অথবা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিকেই রক্তশূন্যতা বলা হয়। লোহার ঘাটতি থেকে শরীরে দুর্বলতা দেখা দেয় এবং শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমনকি এ ধরনের রক্তশূন্যতার কারণে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে। স্বল্প মাত্রার লোহার ঘাটতি থেকে মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তার ব্যাঘাতও সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের দেশে রক্তশূন্যতা গর্ভকালীন মাতৃ মৃত্যুর প্রধান কারণ। পুরুষ ও বয়স্ক মহিলাদের জন্য প্রতিদিন ৮ মিলিগ্রাম এবং অল্প বয়স্ক মহিলাদের জন্য প্রতিদিন ১৮ মিলিগ্রাম লোহার প্রয়োজন হয়। মাংস, কলিজা, সীমজাতীয় সবজি, বাদাম, সম্পূর্ণ শস্যদানা যেমন; বাদামি চাল, ঝিনুক, কলা, আপেল, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি ইত্যাদি খাদ্য থেকে আয়রন পাওয়া যায়।

জিঙ্ক বা দস্তা : এই উপাদানটি শরীরের বিভিন্ন বিপাকীয় পদ্ধতি যেমন আমিষ সংশ্লেষণ, রোগ-প্রতিরোধক কার্যাবলী, ক্ষত থেকে আরোগ্য লাভের প্রক্রিয়া, কোষ বিভাজন ও ডিএনএ সংশ্লেষণ, টেসটোসটেরন জাতীয় পুরুষ হরমোন তৈরি, মেলাটোনিন তৈরি ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করে থাকে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের সঠিক বিকাশ ও বৃদ্ধি লাভের ক্ষেত্রে এবং শিশু বয়সে এবং বয়োসন্ধিকালে শরীরের বৃদ্ধি ও পূর্ণতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপাদানটির অভাবে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগা, ডায়রিয়া, ঘুমের সমস্যা, খাদ্যে অরুচি এবং খাদ্যের স্বাদ ও গন্ধ অনুভবের ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, চুল পড়া, ত্বকের ক্ষতি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। উপাদানটির অতিমাত্রার ঘাটতি থেকে হতবুদ্ধিতা জাতীয় মানসিক প্রতিবন্ধকতা, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এবং যৌন অক্ষমতা দেখা দেয়ার আশংকাও থাকে।

লাল মাংস, হাঁস-মুরগির মাংস, ঝিনুক ইত্যাদি প্রাণিজাতীয় ও দুগ্ধজাতীয় খাদ্য, ডার্ক চকলেট, বাদাম, শিম জাতীয় উদ্ভিদ ইত্যাদিতে এই উপাদানটি পাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়ার বিচি জিঙ্কের একটি ভালো উৎস।

আয়োডিন : থাইরয়েড থেকে নিঃসৃত এই হরমোনটি থাইরয়েড গ্রন্থির সঠিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়। কোষকলার বিপাকীয় কার্যকলাপ পরিচালনা, খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা, অতিরিক্ত চর্বির বিপাকীয় ব্যবহার, ইস্টোজেন জাতীয় হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করা, শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানসিক ক্ষিপ্রতা এবং বোধশক্তির উন্নতি সাধন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই হরমোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সাধারণত ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হরমোনটির ঘাটতি হতে দেখা যায়। গলগণ্ড রোগটি আয়োডিন ঘাটতির প্রধান লক্ষণ। দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনীয় মাত্রায় আয়োডিন উৎপাদনে ব্যর্থ হলে ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ রোগ দেখা দেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘাটতি থেকে ‘ক্রিটেনিজম নামক’ বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, শিশু শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে পড়ে। ১-৮ বছরের শিশুর প্রতিদিনের চাহিদা ৯০ মাইক্রোগ্রাম, ৯-১৩ বছর পর্যন্ত ১২০ মাইক্রোগ্রাম এবং ১৪ বছর থেকে আরম্ভ করে বয়স্কদের জন্য তা ১৫০ মাইক্রোগ্রাম। সামুদ্রিক বিভিন্ন উদ্ভিদ, মাছ ও অন্যান্য খাদ্য, ডিম, দুধ এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ আয়োডিনের প্রধান উৎস।

সেলেনিয়াম : সেলেনিয়াম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অপর একটি ‘ট্রেস এলিমেন্ট’। শরীরের প্রায় দু’ডজনেরও বেশি সেলেনোপ্রোটিনের মধ্যস্থ একটি উপাদান হচ্ছে সেলেনিয়াম যে উপাদানটি প্রজনন ক্ষমতা, থাইরয়েড হরমোনের বিপাকীয় কার্যক্রম, ডিএনএ-র সংশ্লেষণজনিত প্রক্রিয়াগুলোকে প্রভাবিত করা ছাড়াও জারণ প্রক্রিয়ায় সংঘটিত কোষকলার ক্ষতি এবং রোগের সংক্রমণ রোধে ভূমিকা রাখে। উপাদানটির অভাবে হৃদপিণ্ডের সমস্যা, মানসিক প্রতিবন্ধতা, মাংসপেশীতে ব্যথা বা মাংসপেশীর দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে। প্রতিদিনের চাহিদা ৫৫ মাইক্রো গ্রাম মাত্র। মাছ, গরু-ছাগলের মাংস, হাঁস-মুরগির মাংস এবং ডিম, শস্যদানা, বাদাম এবং বীজজাতীয় খাদ্য থেকেই প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। নখ এবং চুল বিশ্লেষণ করে শরীরে বিদ্যমান দীর্ঘমেয়াদি সেলেনিয়ামের মাত্রা বিশ্লেষণ করা যায়।

তামা : তামা বিভিন্ন প্রকার আমিষ, এনজাইম এবং শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত কোষকলার মধ্যস্থ এনজাইমগুলোর একটি উপাদান যা শারীরিক বিকাশ এবং বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপাদানটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের লোহা সংযুক্তিতে, ত্বকের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে, স্নায়ুর সংকেত আদান-প্রদানে, পরিপাকতন্ত্র, বিপাকীয় কার্যক্রম এবং রোগ-প্রতিরোধক কার্যক্রম পরিচালনায় অবদান রাখে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরা এবং রক্তশূন্যতায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে তামার স্বল্পতা দেখা যায়। উপাদানটির অভাবে রক্তে শ্বেতকণিকার স্বল্পতা, অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন, হাড়ের সমস্যা, রোগ-প্রতিরোধক তন্ত্রের সমস্যা এবং চুল ও নখের বৃদ্ধিতে সমস্যা দেখা দেয়। সামুদ্রিক খাদ্য, বাদাম, শিম বা মটরজাতীয় বীজ, শাক-সবজি, ফলমূল, গরু বা খাসির যকৃত ইত্যাদিতে এই উপাদানটি পাওয়া যায়। প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৯০০ মাইক্রোগ্রাম। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য মাত্রাটা একটু বেশি হওয়া ভালো।

কোবাল্ট : এটি ভিটামিন বি-১২ এর একটি উপাদান হওয়ায় কোবাল্টের ঘাটতি মানে ভিটামিন বি-১২ এরই ঘাটতি। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় মাত্রা মাত্র ০.০০০১ মিলিগ্রাম। এটি অস্থিমজ্জার কোষকলাকে উজ্জীবিত করে লোহিত রক্তকনিকা তৈরিতে সাহায্য করে, থাইরয়েড কর্তৃক আয়োডিন শোষণে বাঁধা প্রদান করে এবং বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এটির অভাবে জটিল ধরনের রক্তশূন্যতা, শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা, কোনো কোনো অঙ্গের বিশেষ করে হাত ও পায়ের দুর্বলতা ও অসাড়তা অনুভব করা, বমিভাব, মাথাব্যথা, মানসিক বিভ্রমতা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, ওজন হ্রাস, থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, স্নায়বিক সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিনের ঘাটতি থেকে স্নায়বিক সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়ার আশংকা থাকে। গরু-ছাগলের যকৃতে, ঝিনুক, মাছ, ডিম, সয়া খাদ্য, সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও মাছ ইত্যাদি কোবাল্টের ভালো উৎস। ডালজাতীয় উদ্ভিদ, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদিতে অল্প মাত্রায় কোবাল্ট পাওয়া যায়।

ম্যাংগানিজ : সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এনজাইম তৈরিতে এবং এনজাইম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিক্রিয়া ঘটাতে এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শর্করা, ফ্যাটি এসিড এবং আমিষের বিপাকে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে, রক্ত জমাট বাঁধার কাজে, হাড় তৈরি, শক্ত ও মজবুত করতে, মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র ও রোগ-প্রতিরোধক তন্ত্রের সঠিক পরিচালনা, মাইটোকনড্রিয়াতে বিদ্যমান সুপার অক্সাইড নামক ফ্রি রেডিকেলকে বিশ্লেষিত করে ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত করা ইত্যাদি কাজে এই উপাদানটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে উপাদানটির স্বল্পতা হাড়কে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে তোলে। পূর্ণ শস্যদানা, বাদাম, চা-কফি, পাতাবিশিষ্ট সবুজ শাক-সবজিতে এটি পাওয়া যায়।

ক্রোমিয়াম : শরীরের শর্করা, চর্বি এবং আমিষ জাতীয় পদার্থগুলোর বিপাকীয় কার্যক্রম পরিচালনায় এই উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই এই উপাদানটির সামান্য স্বল্পতা থেকেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এটি রক্তে এইচডিএল-এর পরিমাণ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ক্রোমিয়ামের অভাবে রক্তবাহী ধমনি সরু হয়ে ওঠা, উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাওয়া, শরীরের শক্তি কমে যাওয়া, মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়া, শিশুদের শরীরের বৃদ্ধি হ্রাস পাওয়া, সার্জারি থেকে সৃষ্ট ক্ষত বা যে কোনো ধরনের ক্ষত থেকে আরোগ্য লাভ বিলম্বিত হওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাশরুম, ডার্ক চকলেট, পনির, বাদাম, পূর্ণ শস্যদানা, পাকা টমেটো, লেটুস, পেঁয়াজ, গোল মরিচ এবং বিভিন্ন মশলা, ডালজাতীয় শস্য ইত্যাদি থেকে এই উপাদানটি পাওয়া যায়।

ফ্লোরিন : ফ্লোরিনও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান যা বিশেষ করে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপাদানটির অভাবে দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। পানিই ফ্লোরিনের প্রধান উৎস্য তবে সামুদ্রিক মাছ, চা এবং কফিতেও এটি বিদ্যমান। প্রতিদিনের জন্য নিরাপদ মাত্রা ১.৫ মিলিগ্রাম থেকে ৫.০ মিলিগ্রাম।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. মার্চ ২০২২ ০২:৪২:এএম ৩ বছর আগে
যেসব কাজ করলে মনোবল দৃঢ় হয় - Ekotar Kantho

যেসব কাজ করলে মনোবল দৃঢ় হয়

একতার কণ্ঠঃ সফল হতে চাইলেই তো আর সফল হওয়া যায় না। তবে সফল হতে গেলে যেটা সবার আগে প্রয়োজন তা হলো মানসিকভাবে শক্ত হওয়া।

পরিস্থিতি যে সব সময় আপনার অনুকূল হবে তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূলেও যেতে পারে, এটা অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার। সেই কথা মাথায় রেখেই যেকোনো নতুন কাজ করা উচিত।

তবে মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার জন্য নিজের মনকেই সবার আগে স্থির করতে হবে। কিন্তু অনেকেই মনের জোড় না বাড়িয়ে নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করতে থাকেন। ভাগ্যকে দোষারোপ না করে নিজের মনের জোর বাড়াতে চেষ্টা করুন।

এবার দেখে নিন কীভাবে নিজের মনের জোর বাড়িয়ে সফলতাকে আপনার সঙ্গী করবেন…

১. নিজের প্রতি দুঃখিত না হওয়া

নিজের প্রতি কখনোই দুঃখিত বোধ করবেন না। নিজেকে আহারে, বলার কোনও দরকার নেই এতে আপনার সময়ই নষ্ট হবে। আখেরে আপনার কোনো লাভ হবে না। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ান। কাজে দেবে।

২. লক্ষ্যে স্থির হওয়া

আপনার পাশে যদি কেউ না দাঁড়ায় তাহলে ভয় পাবেন না। নিজেই নিজের সব থেকে বড় লাঠি হয়ে দাঁড়ান। যদি কেউ আপনার সঙ্গে চলতে না চায় তাহলে একাই চলুন। সাফল্য পাওয়ার পর কারোর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে না।

৩. পরিবর্তনকে ভয় না পাওয়া

আপনার রোজকার জীবনে যদি কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে ভয় পাবেন না। জানবেন, সব পরিবর্তন আপনার প্রতি এক একটা চ্যালেঞ্জ। তাই ভয় না পেয়ে পরিবর্তনকে আপন করে নিন।

৪. পছন্দ না হওয়া কাজ না করা

ধরুন এমন কাজ যা আপনার ঠিক পছন্দ নয়। তাই আপনি ঠিক পারবেন না। এমনকি আপনার মনে কাজের প্রতি অতটা আত্মবিশ্বাস নেই। তখন সেই কাজ না করাই ভালো। যে কাজ আপনি মন থেকে ভালোবাসেন সেই কাজ করুন।

৫. অন্যের কথার গুরুত্ব না দেওয়া

কে কী বলল তাতে আপনার কী! কারোর কথায় গুরুত্ব দেওয়া ছেড়ে দিন। নিজের জীবন কীভাবে কাটাবেন, কী কাজ করে ভালো থাকবেন, তা একান্ত আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব অন্য কারোর হাতে কখনোই দেবেন না।

৬. ভাগ্যকে দোষারোপ না করা

কী হয়নি তা নিয়ে বেশি ভাবনা-চিন্তা করার দরকার নেই। কী হতে পারে, সেই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করুন। তাতে আপনার সময়ও বাঁচবে এবং নিজের মনোবলও বাড়বে।

৭. একই ভুল বারবার না করা

একই ভুল বারবার করার কোনও মানেই হয় না। বারবার একই ভুল করতে থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মনোবল ভেঙে যাবে। তাই একই ভুল বারবার না করে ধীরে সুস্থে কাজ করুন।

৮. অন্যের খুশিতে খুশি হওয়া

অন্যের খুশিতে খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন। দেখবেন আপনার সাফল্যতে এবং খারাপ সময় অনেকের সঙ্গ পাবেন। তবে যদি অন্যের খুশিতে খুশি না হন, তাহলে আপনি ভেঙে পড়বেন।

৯. প্রথমবার সফল হতে না পেরে ভেঙে পড়া

যদি প্রথমবার সফল হতে না পারেন, তাহলে আবার চেষ্টা করুন। দেখুন, চেষ্টা না করলে কেউই কখনও সফল হতে পারে না। তাই প্রথমবার যদি কোনোভাবে সফল হতে না পারেন, তাহলে ভেঙে না পড়ে, শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ান।

১০. একাকীত্বকে ভয় না পাওয়া

আপনার সঙ্গে কেউ না থাকলেও একাকীত্বকে ভয় পাবেন না। যদি খারাপ সময় কেউ আপনার পাশে দাঁড়াতে না চায় তাহলে ক্ষতি কী। একাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করুন। দেখবেন, এতে আপনার মন যেভাবে শক্ত হবে তা কখনোই ভাঙা যাবে না।

১১. ধীর স্থিরভাবে কাজ করা

যখন পরিস্থিতি আপনার অনুকূল না হবে, তখন ধীর স্থিরভাবে কাজ করুন। তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে কিছুই হবে না। অনেক ভুল হয়ে যাবে। তাই পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূল হলে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করুন।

১২. কাজের পর নিজেকে জাহির না করা

আপনি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন। যাতে কেউ না আপনাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারে। সফল হওয়ার পর নিজেকে জাহির করবেন না। কারণ, নিজের ঢাক নিজে না পেটানোই ভালো। এতটা আপনার নিজের পক্ষেও খুব একটা ভালো হবে না।

সংবাদ সূত্র- যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০২:৩৩:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব করেছে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সংগঠন দশমিক। শুক্রবার (১১ ফেব্রয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের কাগমারী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে বস্তি এলাকার ভাসমান ছিন্নমূল ও পথশিশুদের নিয়ে ওই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবী তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের হাত খরচের জমানো টাকায় ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আয়োজকরা বলেন “দশমিক সংগঠনটি মূলত অসহায় শিশুদের স্বপ্ন পূরণের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন “হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি” টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল), “মানুষের কল্যানে মানুষ” ফাউন্ডেশনের এর সভাপতি পারুল মাহাবুব খান, দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিনারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান, মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রাপ্ত সাহা, কোষাধ্যক্ষ নিলয় সাহা, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ত্রিজান চৌহান, জয় সাহা, মুশফিক আহমেদ রোমান, রিনা, হ্যাপি, ওলি,শুভ  প্রমুখ ।

আয়োজকরা বলেন, দশমিক ফাউন্ডেশনের অতিথি ভোজনের অংশ হচ্ছে এই পিঠা উৎসব। এই ছিন্নমূল শিশুরাই আমাদের বিশেষ অতিথি। সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুরা এসব কিছু মুখোরোচক পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে। এই শিশুদের জন্য আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস, দশমিক পাঠশালাতে যেমন শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানে সময় দেয়া হয়, ঠিক তেমনি শিশুদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। আমরা ভিন্ন স্বাদে শীতের বিভিন্ন মুখোরোচক পিঠার আয়োজন করেছি তাদের জন্যে।

আয়োজকরা আরো বলেন,  পিঠা বাঙালি জীবন ও সংস্কৃতির এক অপরিহার্য উপাদান। অনেক বছর ধরে নানা রকমের পিঠার আয়োজন চলে বাংলার ঘরে ঘরে। তবে পিঠার আসল সময় শুরু হয় শরৎকাল থেকে, নবান্নে তৈরি শিরনি ও পিঠা দিয়ে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অগ্রহায়ণে অর্থাৎ হেমন্তে নতুন ধান কাটার পর থেকেই মূলত পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৭:৫৩:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে এক সপ্তাহ আটকে থাকা বিড়ালকে উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এক সপ্তাহ আটকে থাকা বিড়ালকে উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে এক সপ্তাহ আটকে থাকা একটি বিড়ালকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডে অবস্থিত সরকারি শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা কলেজের চারতলা  একটি ভবনের সানশেডে আটকে থাকা বিড়ালকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরে বিড়ালটি  ওই ভবনের সানশেডে আটকে ছিল। পরে পাশের ভবনে থাকা ওয়াহিদ আকরাম সুবিন শুক্রবার বিকালে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি ফায়ার সার্ভিসের সাড়া না পেয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি বিড়ালটি উদ্ধারে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চান। তারপরও সাড়া দেয়নি টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি  তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। মুহূর্তের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মন্তব্যে বিশিষ্ট কবি বুলবুল খান মাহবুব লেখেন ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করবে না কেন, তাদের কাজ কি শুধু আগুন নেভানো।

এনিমেল রেস্কিউ অব টাঙ্গাইল গ্রুপের মুনিয়া ইতু ও ইথিকা ইমু বলেন, ভিডিওটি দেখে খুব মায়া লাগে বিড়ালটির জন্য। পরে ফায়ার সার্ভিসকে অনুরোধ করা হয়। প্রথমে তারা  নেতিবাচক থাকলেও পরে রাজি হয়। তারা এসে আটকাপড়া বিড়ালটিকে উদ্ধার করেছে।

টিম এনিমেল লাভার্স গ্রুপের মো. জাকির বলেন, বিড়ালটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সাংবাদিক নওশাদ রানা সানভী বলেন, আশা করছিলাম ফায়ার সার্ভিস অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেবে। কিন্তু তারা প্রথমে বিড়ালটিকে উদ্ধারে রাজি হয়নি। একটু দেরি হলেও উদ্ধার করেছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করি, সকল প্রাণীর বিপদে তারা তাৎক্ষণিক পাশে থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০১:৫৪:এএম ৩ বছর আগে
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস - Ekotar Kantho

আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়, ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

একতার কণ্ঠঃ মাঘের মাঝামাঝি এসে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। রবিবার(৩০ জানুয়ারি) উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিন সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলা এবং টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙামাটি, ফেনী, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও ভোলা জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।

অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে কাল সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা ও অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে সারা দেশে রাতের ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ৮-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. জানুয়ারী ২০২২ ০৯:১০:পিএম ৩ বছর আগে
গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি, কীভাবে নেবেন? - Ekotar Kantho

গর্ভাবস্থায় দাঁতের যত্ন কেন জরুরি, কীভাবে নেবেন?

একতার কণ্ঠঃ প্রেগন্যান্সি জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই হঠাৎ করে আসে। কিংবা অনেক সময় পরিকল্পনা করে সন্তান নেওয়ারও ইচ্ছে থাকে। এ সময় সবাই চিন্তা করেন ডায়াবেটিস কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, থাইরয়েড কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। হার্টের সমস্যা থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। ওই সময় গর্ভবতী মায়ের জন্য দাঁতের যত্নও খুবই জরুরি।

এ ব্যাপারে ঢাকা ডেন্টাল কলেজের (বিডিএস, এমএস, অর্থোডন্টিক্স) ডা. ফারিয়া তাবাসসুম তন্বী জানিয়েছেন বিস্তারিত তথ্য।

তিনি বলেন, কেউ যদি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন, আপনারা একজন ডেন্টিস্টকে দাঁত দেখিয়ে নেবেন। কারণ, প্রেগন্যান্সিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রেগন্যান্সিতে অনেক বেশি দাঁত ব্যথা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো আগে কম ছিল, প্রেগন্যান্সিতে বাড়ে।

প্রেগন্যান্সিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়ে। দাঁতের মাড়িতে রক্ত চলাচল বাড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে মাড়ি দিয়ে রক্ত বের হয়। অনেক মা প্রেগন্যান্সির সময় রাতে দুধ খেয়ে ঠিকমতো কুলি না করে ঘুমিয়ে পড়েন।

এতে দাঁতের গোড়ার দিক থেকে আস্তে আস্তে নষ্ট হতে শুরু করে। দাঁতের বাইরের আবরণ নষ্ট হতে শুরু করে। অনেকের এমনটা হয়- বাচ্চা হওয়ার কিছুদিন আগে বা কিছুদিন পরে তীব্র ব্যথা নিয়ে আসেন আমাদের কাছে।

এজন্যই আমরা বলবো- প্রেগন্যান্সির আগেই একজন ডেন্টাল সার্জনকে দিয়ে একটা রেগুলার চেকআপ করিয়ে নেবেন। সাধারণত আমাদের বছরে দুইবার ডেন্টাল ফলোআপে থাকা দরকার। ফলে দাঁতের যে সমস্যাটি তৈরি হওয়ার তা অল্পতেই ঠিক হয়ে যায়। যেমন- স্কেলিং করিয়ে রাখতে পারেন। কোনো দাঁতে যদি ছোটখাটো গর্ত থাকে, ফিলিং করিয়ে নিতে পারেন।

এছাড়াও প্রেগন্যান্সিতে অনেক সময় মায়েরা ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করতে চান না। অনেক বেশি বমি হয় এসময়। এছাড়াও অ্যাসিডিটি বাড়ে। এ অবস্থার কারণে দাঁতের অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।

প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস চাইলেও দাঁত ফেলা যায় না। চাইলেও যেকোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় না। চাইলেও যেকোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যায় না। কেননা দাঁতের ব্যথা তীব্র ব্যথা হয়। শুধু প্যারাসিটামল খেলে ব্যথা যায় না। চিকিৎসকরা বেশি কোনো ওষুধ দিতে পারেন না।

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্যথা হচ্ছে। তখন আমাদের জিজ্ঞেস করেন, কী ওষুধ খাবেন। আবার অনেকেই জিজ্ঞেস না করে ওষুধ খান। দয়া করে এই ভুল কাজটি করবেন না। এক্ষেত্রে যদি আপনার কোনো ব্যথার ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়, অবশ্যই আপনার যে গাইনি চিকিৎসকের কাছে ফলোআপ করাচ্ছেন, তার পরামর্শ নিতে হবে।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:১৭:পিএম ৩ বছর আগে
শীতকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে কেন? - Ekotar Kantho

শীতকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে কেন?

একতার কণ্ঠ: শীতের পিঠা-পুলি খাওয়ার মজার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অস্বস্তিকর ব্যাপারও ঘটে থাকে যেমন ত্বকের সমস্যা, জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি। সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হল শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক ও এর মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, প্রতিবার শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের রোগী ৩০% থেকে ৫০% বৃদ্ধি পায়। শীতের প্রভাবে রক্তচাপের পরিমাণ ১২ থেকে ১৮ মিলিমিটার বাড়তে পারে যা গবেষণায় প্রমাণিত। শীতের প্রভাবে রক্তনালি সংকোচিত হওয়ার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটে। এতে রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম শমশের আলী।

শীতের প্রভাবে রক্ত উপাদানে অনেক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী রক্তকনিকা, প্লাটিলেট, লোহিত কনিকা, ফিব্রিনোজেন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রবণতা অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি শীতের প্রকোপে হার্টের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন শুরু হতে পারে যার ফলে তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটাও অস্বভাবিক নয়। পেট ভরে খেয়ে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় হাঁটাহাঁটি করলে খুব সহজেই এনজিনার ব্যথা শুরু হয়ে যায়, যার জন্য রক্তনালির সংকোচনকেই দায়ী করা হয়। যারা সুস্থ-সবল লোকজন তারা খুব সহজে ঠাণ্ডাজনিত এসব পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, কিন্তু যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, বয়সের ভারে ন্যুব্জ বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত তারা খুব সহজেই এসব পরির্বতনের ফলে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে থাকেন। এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনার প্রস্তুতি এবং সতর্কতা আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে।

সতর্কতা ও করণীয়

* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হৃদরোগীরা নিয়মিত ওষুধ সেবন করবেন।

* শীতের শুরুতে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধপত্রের মাত্রা ঠিক করে নিন।

* ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বাইরে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কাপড় সঙ্গে রাখুন।

* বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে যাওয়ার সময় গরম কাপড়, জুতা, ছাতা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিয়ে বের হবেন।

* বয়স্ক হৃদরোগীরা প্রতিদিন গোসল না করে একদিন পর পর হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। মনে রাখবেন, খুব বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল আপনার স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

* পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পরিমাণ বিশেষ করে শর্করা জাতীয় খাবার ১৫% থেকে ২০% বৃদ্ধি করা উচিত। বয়স্ক হৃদরোগীর শীতকালীন বৃষ্টির সময় ঘরের বাইরে না যাওয়াই উত্তম।

* নিয়মিত আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে রাখুন যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:০৬:পিএম ৩ বছর আগে
বাবার ই‌চ্ছে‌ পূরণে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন কৃষক রাসেল - Ekotar Kantho

বাবার ই‌চ্ছে‌ পূরণে হেলিকপ্টারে বউ আনলেন কৃষক রাসেল

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বাবার ই‌চ্ছে‌ পূরণ কর‌তে বিয়ে করে হে‌লিকপ্টারে বউ নিয়ে ফিরেছেন কৃষক ছে‌লে।এই ব্যতিক্রম বিয়েকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িসহ আশপাশের গ্রামজুড়ে ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। ছিল বাদ্যের ঝংকার, হরেক রকম খাবারের আয়োজন।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এমনই এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘ‌টে‌ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল বাউসাইদ গ্রামে। কৃষক মহির উদ্দিনের এক মাত্র ছেলে রাসেল মিয়া তার নববধূ মিতু আক্তারকে নিয়ে হে‌লিকপ্ট‌ারে চড়ে বা‌ড়ি‌তে নি‌য়ে আ‌সেন। ত‌বে বিষয়টি প্রতিবেশি ও আত্মীয় স্বজনরা শোনার পর বিশ্বাস না কর‌লেও বাস্ত‌বে দে‌খে সবাই হতবাক।

জানা যায়, বাউসাইদ গ্রামের কৃষক মহির উদ্দিনের এক মাত্র ছেলে রাসেল মিয়ার সাথে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর গ্রামের মুন্নু খার মেয়ে মিতু আক্তারের সাথে আড়াই মাস আগে কাবিন হয়। রাসেল মিয়াও কৃষি কাজ করেন।

বরযাত্রীরা দুটি প্রাইভেটকার ও বাসে চড়ে কনে বাড়ি গেলেও বর যায় হেলিকপ্টারে চড়ে। প্রত্যন্ত গ্রামে হেলিকপ্টার আসাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। এই আয়োজনে কোনো কমতি রাখেনি বাবা। যা প্রশংসা কুড়িয়েছে আগত সকলের। ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন সামাল দিতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের এক‌টি টিম।

৮০ বছরের বৃদ্ধ জিন্নত আলী বলেন, আমার বয়সেও এমন বিয়ে দেখিনি যে হেলিকপ্টারে করে বউ আনে।এটা প্রথম দেখলাম। রাসেল এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

কনে মিতু আক্তার বলেন, আমি কখনও কল্পনাও করিনি আমার স্বামীর পরিবার আমাকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসবে। এতে আমি খুব খুশি।

বর রাসেল মিয়া বলেন, বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই হেলিকপ্টারটি ভাড়া আনা হয়। টাঙ্গাইল থেকে রওনা দিয়ে ময়মনসিংহের ববাটাজোর থেকে নববধূকে নিয়ে ফিরে এসেছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুসা দেওয়ান বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে এই বিয়েকে কেন্দ্র করে আমাদের গ্রামে সকাল থেকেই উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বড় বড় অনুষ্ঠানেও এতো লোকজন আসে না।

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টাঙ্গাইল সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান মুন্সি বলেন, বর পক্ষ নিরাপত্তার জন্য এক সপ্তাহ আগে আবেদন করেছিলো । সেই প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:০১:পিএম ৩ বছর আগে
যে ৫টি প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা - Ekotar Kantho

যে ৫টি প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা

একতার কণ্ঠঃ কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোষের দেয়ালগুলোকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে এবং বেশ কয়েকটি হরমোন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু শরীরের যে কোনো কিছুর মতোই ভুল জায়গায় অত্যধিক কোলেস্টেরল জমা হলে বা কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই সমস্যা তৈরি হয়।

উচ্চমাত্রার লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) নামের কোলেস্টেরল রক্তনালীর দেয়ালে জমার ফলে ধমনি, স্ট্রোক, হার্টঅ্যাটাক এবং কিডনিসহ নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই আমাদের উচিত আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে সতর্ক থাকা। এ জন্য আজ জানুন যে ৫ প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা—

১. ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার
ওমেগা-৩ ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলোর একাধিক ডবল বন্ড রয়েছে, যা তাদের শরীরে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের চেয়ে আলাদাভাবে আচরণ করে। গবেষণায় দেখা যায় যে, পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

২. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
দ্রবণীয় ফাইবার জাতীয় খাবার খেলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। আর আপনার অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্রবণীয় ফাইবার হজম করতে পারে। আসলে এটি সেই ব্যাকটেরিয়ার নিজস্ব পুষ্টির জন্যও প্রয়োজন। আর এসব ভালো ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক ক্ষতিকারক ধরনের লিপোপ্রোটিন ও এলডিএলের মাত্রা কমায়।

৩. ব্যায়াম
ব্যায়াম করলে তা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে। এটি শুধু শারীরিক সুস্থতাই উন্নত করে না; বরং স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, ক্ষতিকারক এলডিএল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল বাড়াতেও উপকারী হিসেবে কাজ করে।

৪. ধূমপান এড়ানো
ধূমপান বিভিন্ন উপায়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়াও এটি শরীরে কোলেস্টেরল পরিচালনা করে তা পরিবর্তন করে।
তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে চাইলে ধূমপান এড়াতে হবে।

৫. ওজন কমানো
ডায়েটিং বা ওজন কমালে তা আপনার শরীর থেকে কোলেস্টেরল শোষণ করে। এ নিয়ে ৯০ জন প্রাপ্তবয়স্কের দুই বছরের গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোনো ডায়েটে ওজন কমানোর খাদ্য কোলেস্টেরল শোষণকে বাড়িয়েছে এবং শরীরে নতুন কোলেস্টেরল তৈরিও কমিয়েছে।

তথ্য-সূত্র: হেলথলাইন ডটকম

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. নভেম্বর ২০২১ ১২:৪১:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বিয়ে না করেই ৮ মাস ঘর সংসার; বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বিয়ে না করেই ৮ মাস ঘর সংসার; বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ে না করেই স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাভাড়া নিয়ে ৮ মাস ঘর সংসার করার অভিযোগ ওঠেছে রাবিব নামের এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। বিয়ের দাবিতে গত দুইদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজ ছাত্রী (১৯)।

পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাহার্তা রামখা পাড়া কটাবাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনার পর থেকে প্রেমিক জাকারিয়া ইসলাম রাব্বী লাপাত্তা।রাব্বী ওই গ্রামের প্রবাসী লুৎফর রহমানের ছেলে এবং সরকারি মুজিব কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

সোমবার(১৫ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, রাব্বিদের বাড়ির প্রতিটি ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছেন বাড়ির অন্য সদস্যরা। আর বাইরে এক কাপড়ে বসে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী। স্থানীয়রা তাকে দেখতে ভিড় করছেন। খাবার দেয়া হয়েছে কী না জানতে চাইলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান ঘরে ঢুকার চেষ্টা করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন রাব্বির পরিবারের লোকজন। বিয়ে না করা হলে তিনি এ বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।

জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে রাব্বির এক বন্ধুর মাধ্যমে মুঠোফোনে প্রথম পরিচয় হয় আবাসিক মহিলা অর্নাস কলেজ পড়–য়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে। এক পর্যায়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পৌরসভার উত্তরা মোড় আবদুস সালামের বাসা এবং ক্যাপ্টেনমোড় ঐশিদের বাসা ভাড়া নিয়ে ৮ মাস স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করেন তারা। বার বার বিয়ের চাপ দিলেও নানা তাল বাহান শুরু করেন রাবিব। নিরুপায় হয়ে রবিবার(১৪ নভেম্বর) থেকে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী।

এ ব্যাপারে রাব্বির দাদা আবদুর রহমান বলেন, নাতি অন্যায় করেছে মাতাব্বররা যে ব্যবস্থা নেবেন আমরা তা মেনে নেব।

ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান বলেন, গত রাতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়। পরে ছেলে পক্ষের অনিহার কারণে নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।স্থানীয় কাউন্সিলর ফজলুর রহমান বলেন,স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা লেবু মিয়া।

সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূইয়া বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. নভেম্বর ২০২১ ০১:৪৩:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইল সরকারি ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা কলেজে টিকটক-লাইকি নিষিদ্ধ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল সরকারি ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা কলেজে টিকটক-লাইকি নিষিদ্ধ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সরকারি ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা কলেজে ছাত্রীদের টিকটক ও লাইকি ভিডিও তৈরির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শহীদুজ্জামান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) কলেজের অধ্যাপক শহীদুজ্জামানের সই করা একটি নোটিশ টাঙানো হয় প্রতিষ্ঠানে।

নোটিশে বলা হয়, কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সম্প্রতি কলেজ পোশাক (ইউনিফর্ম) পরিধান করে স্মার্টফোনের মাধ্যমে টিকটক ও লাইকি ভিডিও তৈরি করছে। যা কলেজের সুনামের ওপর প্রভাব ফেলছে। এ কারণে কলেজে স্মার্টফোন নিয়ে আসা সম্পূর্ণ নিষেধ। জরুরি প্রয়োজনে বাটনফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।

কোন ছাত্রীকে টিকটক বা লাইকিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেলে বা কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অধ্যাপক মো. শহীদুজ্জামান বলেন, ‘করোনার পর কলেজ খুলে দেওয়ায় কিছু ছাত্রী স্মার্টফোন সঙ্গে এনে টিকটক বা লাইকি ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এটা কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন করে। ছাত্রীদের সচেতন করতে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. নভেম্বর ২০২১ ০১:৫১:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।