/ হোম / লাইফ স্টাইল
কিভাবে বুঝবেন হাড়ে ক্ষয় ধরেছে এবং প্রতিরোধে কী করবেন - Ekotar Kantho

কিভাবে বুঝবেন হাড়ে ক্ষয় ধরেছে এবং প্রতিরোধে কী করবেন

হাড় ক্ষয় একটি জটিল সমস্যা। বর্তমান সময়ে এই রোগে অনেকেই ভুগছেন। দীর্ঘদিন এই সমস্যা জিইয়ে রেখে একটা পর্যায়ে বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

শুরুতে হাড় ক্ষয় রোগ শনাক্ত করা গেলে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্তি মেলে।

হাড়ক্ষয়ের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. এসি সাহা।

তিনি বলেন, অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোগ হচ্ছে এমন একটি রোগ, যার ফলে হাড়ের ঘনত্ব নির্দিষ্ট মাত্রায় কমে যাওয়ায় হাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এতে হাড়ের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়, হাড়ের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয়ে ক্রমেই হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। ফলে হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।

কারণ

* হাড়ের গঠন ও ক্ষয়ের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়া।

* মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব।

* থাইরয়েড এবং প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থিজনিত সমস্যা।

* অপর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ।

* জেনেটিক বা বংশানুক্রমিক রোগ যেমন- হাড়ের ক্যান্সার ইত্যাদি।

উপসর্গ ও লক্ষণ

অস্টিওপোরোসিসে হাড় নীরবে ক্ষয় হতে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে হাড় ভাঙার মাধ্যমে এর উপস্থিতি প্রথমে টের পাওয়া যায়। প্রধান লক্ষণ-

* হাড় ও পেশিতে ব্যথা।

* ঘাড় ও পিঠে ব্যথা।

* খুব সহজে দেহের বিভিন্ন স্থানে হাড় (বিশেষ করে মেরুদণ্ড, কোমর বা কব্জির হাড়) ভেঙে যাওয়া।

* কুঁজো হয়ে যাওয়া।

যাদের ঝুঁকি বেশি

* মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ-পরবর্তী মহিলা।

* অপর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করা।

* ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন করা।

* শরীরচর্চা না করা।

* রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাত।

* এইডস, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ এবং এসব রোগের ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়।

* দীর্ঘ দিন ধরে কটিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করা।

যেভাবে শনাক্ত করবেন

সাধারণ এক্স-রে দ্বারা অস্টিওপোরোসিস সম্পর্কে ধারণা করা যেতে পারে। তবে সঠিকভাবে এর মাত্রা জানতে হলে বোন মিনারেল ডেনসিটি (বিএমডি) পরীক্ষা করা দরকার। সাধারণত কোমর, মেরুদণ্ড বা কব্জির ডেক্সা স্ক্যান করে বিএমডির সঠিক মাত্রা নির্ণয় করা হয়। বিএমডি দ্বারা হাড়ের ঘনত্ব সঠিকভাবে নির্ণয় করে হাড় ভাঙার ঝুঁকি এবং এর সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করা যায়।

বিএমডির মাত্রাগুলো জেনে নেয়া যাক

* স্বাভাবিক : I score-ISD এর সমান বা ওপর (পজেটিভ)

* অস্টিওপেনিয়া : T score- ISD থেকে-2.5 SD

* অস্টিওপোরোসিস : T score- 2.5 SD থেকে কম (নেগেটিভ)

কী করবেন

* সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।

* পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ।

* নিয়মিত শরীরচর্চা করা (যেমন- নিয়মিত হাঁটা, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা ইত্যাদি)।

* ধূমপান ও মদপান থেকে বিরত থাকা।

ক্যালসিয়াম : প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের (১৮-৫০ বছর পর্যন্ত) দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ৫১ বছর বা তদূর্ধ্বে ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাবার থেকে গ্রহণ করা উচিত। দুধ, শাকসবজি, হাড়সহ ছোট মাছ, ফলমূল, সরিষার তেল ইত্যাদি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।

ভিটামিন ‘ডি’ : ভিটামিন ‘ডি’-এর অন্যতম উৎস হল সূর্যালোক। মানবদেহের অভ্যন্তরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হওয়ায় একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যালোক দেহের সংস্পর্শে আসা প্রয়োজনীয়। সামুদ্রিক মাছ (যেমন- টুনা, সার্ডিন, স্যালমন ইত্যাদি), কড লিভার তেল, ডিম, দুধ, গরুর কলিজা, মাখন ইত্যাদি ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার।

ব্যায়াম: ব্যায়ামের মাধ্যমে সুস্থ হাড় পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস, সাইকেল চালান, সাঁতার কাটার মাধ্যমে নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

চিকিৎসা

সঠিক সময়ে অস্টিওপোরোসিসে চিকিৎসা না নিলে দেহের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক বিবেচনায় দুঃসহ জীবনযাপন করতে হয়। বিশ্বজুড়ে প্রতি পাঁচজনে একজন রোগী হাড় ভাঙার এক বছরের মধ্যে মারা যায়। কাজেই অস্টিওপোরোসিসের চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তার দিকে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। জীবনযাত্রার সঠিক নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত।

* নিয়মিত ব্যায়াম করা।

* ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করা।

* শরীরে ওজন কমান, ফাস্টফুড ও চর্বিজাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলা।

* পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- ছোট মাছ, দুধ, ডিম ইত্যাদি গ্রহণ করা।

* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ ট্যাবলেট গ্রহণ করা যেতে পারে।

* বয়স্ক পুরুষ বা নারী এবং মেনোপজ পরবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’-এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাড় ক্ষয় প্রতিরোধকারী ওষুধ যেমন- বিসফসফোনেট, এলেনড্রোনিক এসিড, ইবানড্রোমি এসিড, জোলেনড্রোনিক এসিড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।

অস্টিওপোরোসিসে হাড়ের ঘনত্ব কমে হার ছিদ্রযুক্ত, দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। সঠিক সময়ে এর প্রতিরোধ বা চিকিৎসা না নিলে একান্ত ব্যক্তিগত কাজকর্ম যেমন- নামাজ পড়া, গোসল করা, টয়লেটে যাওয়া, হাঁটাচলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. জুলাই ২০২১ ০৭:১৪:পিএম ৪ বছর আগে
আলোচিত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এসি আকরামের মৃত্যু - Ekotar Kantho

আলোচিত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এসি আকরামের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, বিকাশ, ইমদু, গালকাটা কামাল, হান্নান, লিয়াকত, আগা শামীম, বাস্টার্ড সেলিম, হোয়াইট বাবু, সুব্রত বাইন, কালা জাহাঙ্গীর, পিচ্চি হান্নান ও মুরগী মিলনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জাতীয়   পুরস্কার পাওয়া আলোচিত পুলিশ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসাইন (এসি আকরাম) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া গ্রামের মরহুম মৌলভী হাবিবুর রহমানের ছেলে। দুপুরে তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম দুলাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মোর্শেদ আলম দুলাল জানান, কয়েক বছর আগে তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। গত ৭ জুলাই তার কিডনিতে সমস্যা হলে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন সন্ধ্যায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শুক্রবার বাদ আছর হুগড়া হাবিব কাদের উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য,  পুলিশ বাহিনীতে দায়িত্বপালনকালে আকরাম হোসানইন বিপিএম (বার) ও পিপিএম (বার) পদক পেয়েছেন। এ ছাড়াও দেশের চার রাষ্ট্র প্রধান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকেও জাতীয় পুরস্কারসহ একাধিক পদক গ্রহণ করেছেন।

১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারি আকরাম হোসাইনকে প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভুষিত করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৮২ সালের ২৩ মার্চ আকরাম হোসাইনকে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার হিসেবে জাতীয় পদকে ভূষিত করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান। ১৯৯২ সালের ৪ জানুয়ারি আকরাম হোসাইনকে প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভুষিত করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

১৯৯৮ সালের ৮ মার্চ আকরাম হোসাইনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদকে (বিপিএম) ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংগঠনের কমিটমেন্ট পদক, জাতীয় মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার স্বর্ণপদকও লাভ করেন তিনি।

১৯৯৭ সালে সরকার কর্তৃক ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষিত চার সন্ত্রাসীর মধ্যে ৩ জন সুইডেন আসলাম, জোসেফ ও বিকাশকে গ্রেফতার করেও সুনাম অর্জন করেন। পরবর্তীকালে সরকার ঘোষিত দেশের ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে দেশে অন্যান্য নজির স্থাপন করেন এসি আকরাম।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. জুলাই ২০২১ ০২:১২:এএম ৪ বছর আগে
শেখ রাসেল শিশু পার্ক নয় উদ্ধার হওয়া জমিতে বসছে কাঁচা বাজার - Ekotar Kantho

শেখ রাসেল শিশু পার্ক নয় উদ্ধার হওয়া জমিতে বসছে কাঁচা বাজার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে সাবেক  মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দখল থেকে উদ্ধার করা জমিতে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল পৌরসভা জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বাৎসরিক ইজারা নিয়ে সেখানে বাজার নির্মাণ করছে। উদ্ধার করা ওই জমিতে শেখ রাসেল শিশুপার্ক করার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতা থাকার কারণে পার্ক নির্মাণ করা যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় সড়কের ওপর বটতলা বাজার স্থানান্তর করে উদ্ধার করা ওই জমিতে কাঁচাবাজার নির্মিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শহরের আকুরটাকুর পাড়া মৌজায় ২৪২ খতিয়ানের ৭৮৮ দাগে ৬৬ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি মামলা মূলে ১৯৭২ সালে ইজারা নেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নিয়মমতো লিজমানি পরিশোধ করেন। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি ইজারার শর্ত ভঙ্গ করেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে ওই জমির মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। মামলায় তিনি ডিক্রিও পান। সরকারপক্ষ জেলা জজ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল করেন। ওই সিভিল রিভিশন মামলায় সরকারপক্ষে রায় দেন আদালত। এ ঘটনায় আবদুল লতিফ সিদ্দিকী উচ্চ আদালতে সরকারপক্ষের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল করেন। সুপ্রিম কোর্টও সরকারের পক্ষে রায় দেন। পরে গত ২৪ জানুয়ারি আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর অবৈধভাবে দখলে রাখা ৬৬ শতাংশ জমি উদ্ধার করে জেলা প্রশাসন।

এদিকে আকুরটাকুর পাড়ার কয়েকজন ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় সেখানে বাজার না করার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

স্থানীয় মাসুদ রানা, রাসেল সিদ্দিকী, সংগ্রাম খন্দকার, সৈয়দ সাদেক জানান, এলাকাটির একদিকে জেলা সদর রোড় অন্য দিকে তালতলা রোড়। এখানে বাজার বসলে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। আবাসিক এলাকায় নতুন করে বাজার বসানো সিদ্ধান্তটি  সঠিক হয়নি। এখানে শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র চাই, বাজার নয়।

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, উদ্ধার করা জমির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পার্ক না করে জনহিতকর কোনো কাজে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া জমিটি ক তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি হওয়ায় সরকারি কোনো দপ্তরকে স্থায়ী ভিত্তিতে দেওয়া যায়নি। মাসিক উন্নয়ন সভায় বিভিন্ন মহল থেকে উদ্ধার করা ওই জায়গায় সড়কের ওপর অবস্থিত বটতলা বাজার স্থানান্তরের দাবি তোলা হয়। সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে টাঙ্গাইল পৌরসভাকে অস্থায়ীভাবে বাৎসরিক ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ৬৭টি কাঁচা সেমিপাকা দোকান হবে। পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. জুলাই ২০২১ ০১:৪৭:এএম ৪ বছর আগে
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা বুঝবেন তিনটি লক্ষণ থাকলে - Ekotar Kantho

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা বুঝবেন তিনটি লক্ষণ থাকলে

একতার কণ্ঠঃ করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। এরই মধ্যেকরোনার এ ধরনটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসটি দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে যাদের কোভিড হচ্ছে তাদের ভেতর তিনটি নতুন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। এগুলো হলো-

১. ঠাণ্ডা সর্দি
২. মাথা ব্যাথা এবং
৩. গলা ব্যাথা বা সোর থ্রোট

এর সঙ্গে হাল্কা জ্বরও থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যে এখন কারো ভেতর এই তিনটি লক্ষণ দেখা দিলেই তাদেরকে কোভিড টেস্ট করাতে বলা হচ্ছে। সম্প্রতি কিংস কলেজ অব লন্ডন পরিচালিত জো সিম্পটম স্টাডি নামের অ্যাপস ভিত্তিক একটি গবেষণায় বেশিরভাগ কোভিড রোগীদের ভেতরে এই নতুন লক্ষণগুলে পরিলক্ষিত হয়েছে।

এর আগে কোভিডের প্রধাণ লক্ষণগুলো ছিল-

১. উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর
২. ক্রমাগত শুস্ক কাশি
৩. স্বাদ এবং ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন।

বাংলাদেশে এখন যেহেতু ৮০ শতাংশের ওপরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দিয়ে কোভিড হচ্ছে, তাই যাদের ভেতর ওপরের তিনটি নতুন লক্ষণ দেখা দিবে, তাদের কোভিড টেস্ট করানো উচিত। এতে করে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা যাবে। এর ফলে ত্বরিত আইসোলেশন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে দেশে করোনার বিস্তার এবং এর থেকে মৃত্যু, দুটোই কমানো যাবে।

কনটেন্ট ক্রেডিট: মেডিভয়েস

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. জুলাই ২০২১ ০৩:৫৮:এএম ৪ বছর আগে
কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালাবে র‌্যাব - Ekotar Kantho

কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে পাড়া-মহল্লায় অভিযান চালাবে র‌্যাব

একতার কন্ঠঃ করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে পাড়া-মহল্লায়ও কঠোর অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শনিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে র‍্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কামান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করছেন না। তাদেরকে সচেতনতার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে  শাস্তিমমূলক ব্যবস্থা  নেওয়া হচ্ছে।’

‘বিধিনিষেধ মানাতে র‍্যাব এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী চার শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে, আর জরিমানা করেছে চার লক্ষাধিক টাকা। দেশজুড়ে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের বাইরে চার শতাধিক অতিরিক্ত চেকপোস্ট পরিচালনা করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পাড়া-মহল্লায় টহল পরিচালনা করার সময় দেখেছি, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বিভিন্ন চার স্টলে-দোকানে গণজমায়েত দেখা গেছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ পরিবারের কথা বিবেচনা করে হলেও এই কটা দিন করোনার ঝুঁকিপূর্ণ সময়টাতে ঘরে থাকুন। অন্যথায় মোবাইর কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা  নেওয়া হবে ।’

এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের  কর্মকর্তা বলেন, তিনি এখানে আসার আগে ১০টি চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন, পাড়া-মহল্লায় গিয়েছেন। সাংবাদিকরা যথার্থই বলেছে, পাড়া-মহল্লায় অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। শনিবার(৩ জুলাই) থেকে পাড়া-মহল্লায় স্পেশাল অভিযান পরিচালনা করা হবে। সম্মানিত নাগরিকদের অনুরোধ করবো পাড়া-মহল্লায় আপনারা জমায়েত হবেন না।’

গত দুইদিনের বিধিনিষেধে র‍্যাবের অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমদিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সারাদেশে ১৮২ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শুক্রবার( ২ জুলাই)    সারাদেশে ২২০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে আড়াই লক্ষাধিক টাকা। গত দুইদিনের প্রেক্ষাপটে  শনিবার চেকপোস্ট বেশি ছিল। যারা নির্দেশনা মানছেন না, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।’

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন বিশেষ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. জুলাই ২০২১ ০২:১৯:এএম ৪ বছর আগে
১৩৩ বছর পর টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে দেখা মিলল ‘প্রজাপতি বাদুড়’ - Ekotar Kantho

১৩৩ বছর পর টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে দেখা মিলল ‘প্রজাপতি বাদুড়’

একতার কণ্ঠঃ একশ ত্রিশ বছরের বেশি সময় পর দেখা মিলল বিপন্ন প্রজাতির ‘প্রজাপতি বাদুডের’।দক্ষিণ ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার এই বাদুড়টি দেখা গেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রানিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনিরুল হাসান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তিনি জানান, ১৩৩ বছর পর দেখা মিলেছে ‘পেইন্টেড ব্যাট’ বা ‘প্রজাপতি বাদুড়’ নামে প্রানিটির। গত ৭ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের একটি কলাগাছের পাতায় এটিকে দেখা যায়।

অধ্যাপক মনিরুল বলেন, ‘তার গবেষণা সহকারী লজেশ মৃরের সূত্রে খোঁজ পান এই বিরল প্রজাতির বাদুড়ের।এরপর মধুপুরে এ বাদুড়ের সন্ধান পাই এবং ছবি তুলতে সক্ষম হই।’

তিনি আরো জানান,২০১৫ সালে প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এবং বাংলাদেশ সরকারের বন বিভাগ প্রস্তুতকৃত বিপন্ন প্রানিদের ‘রেড লিস্ট’ প্রকাশিত হয়। সেখানে এ বাদুড় সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।

এদিকে ১৮৮৮ সালে যুক্তরাজ্যের প্রানিবিজ্ঞানী ডব্লিউ টি বেনফোর্ড এর লেখা ‘ফনা ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ নামে প্রানিবিষয়ক একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। যেখানে ব-দ্বীপের ঢাকা অঞ্চলে ‘প্রজাপতি বাদুড’ দেখা যায় বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এরপর শেষ কবে এ অঞ্চলে এই প্রজাতি বাদুড় দেখা গিয়েছিল সে সর্ম্পকে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। সে হিসাবে ধরে নেওয়া যায়, ১৩৩ বছরের বেশি সময় পর দেখা মিলল প্রজাপতি বাদুড়ের।

অধ্যাপক হাসান খান বলেন, ‘বড় সুসংবাদ যে, এই বাদুড় আমাদের দেশে এখনো টিকে আছে। যেহেতু মধুপুর গড় এলাকায় এর সন্ধান পেয়েছি, সেহেতু দেশের অন্য বনেও থাকতে পারে। ফলে এটি দেখলে যাতে কেউ একে ধরা বা মারার চেষ্টা না করে। কারণ বাদুড় এমনিতেই একটি উপকারী প্রানি। এই প্রজাতির বাদুড় ক্ষতিকর অনেক পোকা খেয়ে মানুষের উপকার করে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. জুলাই ২০২১ ১০:৩৮:পিএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের সাদরে বরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের সাদরে বরণ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের সাদরে বরণ করার উদ্দেশ্যে বুধবার(৩০ জুন) দুপুরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা।উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য কামনাশীষ শেখর।অনুষ্ঠানের শুরুতে নতুন সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে তারা সবাই তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

সভাপতির বক্তব্য এডভোকেট জাফর আহমেদ বলেন, এবারই প্রথম এই ১৪ জন সদস্যকে প্রেস ক্লাবে অন্তর্ভুক্তিকে সবাই একযোগে সমর্থন করেছে। কোন ধরনের বির্তকিত সদস্যকে এবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আপনাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাদরে বরণ করে নেওয়া হলো। এটা আপনাদের জন্য সম্মানের। আশা করি, আপনারা সেই সম্মান ধরে রাখবেন। প্রেস ক্লাবের নতুন সদস্য হিসেবে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি।

টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের নতুন ১৪ জন সদস্যরা হলেন, দৈনিক আমাদের নতুন সময়’র জেলা প্রতিনিধি মো. আরমান কবীর, দৈনিক সকালের সময়ের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), সাপ্তাহিক জাহাজমারা’র প্রধান সম্পাদক ও নিউজ-২৪’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. আতিকুর রহমান, দি এশিয়ান এইজ’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. মাসুদ রেজা, সাপ্তাহিক জাহাজমারা’র সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া বড়মনি, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. তোফায়েল আহমেদ রনি, দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. আবু কাওছার আহমেদ, দৈনিক বণিক বার্তা’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. পারভেজ হাসান, ঢাকা টাইমস’র স্টাফ রিপোর্টার মো. রেজাউল করিম, সাপ্তাহিক যুগধারা’র সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সাপ্তাহিক কালের স্বর’র সম্পাদক শামসুজ্জামান, দৈনিক জাগরণ’র জেলা প্রতিনিধি কাজল চন্দ্র আর্য্য ও দৈনিক টাঙ্গাইল সময়’র জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। এছাড়া ডিবিসি নিউজ’র টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো. সোহেল তালুকদার নতুন সদস্য হলেও তিনি অসুস্থতাজনিত কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের গত ১১ জুন অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় ১৪ জনকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বুধবার তাদের বরণ করে নেয়া হয় ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জুলাই ২০২১ ০১:৪২:এএম ৪ বছর আগে
বিদেশ থেকে কেনা, উপহারের মোবাইল যেভাবে নিবন্ধন করবেন - Ekotar Kantho

বিদেশ থেকে কেনা, উপহারের মোবাইল যেভাবে নিবন্ধন করবেন

একতার কণ্ঠঃ অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধে আগামী পহেলা জুলাই ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সার্ভার চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা-বিটিআরসি। এই প্রক্রিয়ায় আগামী ৩০ জুনের মধ্যে অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করা হবে।

১ জুলাই থেকে নতুন ক্রয় করা কিংবা দেশে প্রবেশ করা হ্যান্ডসেটের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ওইদিন থেকে যেসব হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে তার মধ্যে কোনোটি অবৈধ হয়ে থাকলে গ্রাহককে জানিয়ে তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হবে।

ওই তিন মাসের মধ্যে গ্রাহক তার মোবাইল ফোনটি বৈধ করে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি নিবন্ধিত হয়ে যাবে। তিন মাস পর অবৈধ হ্যান্ডসেটে কোনো সিমই কাজ করবে না। এ নিয়ে সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বিদেশ থেকে বৈধভাবে কিনে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট দেশে চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নেটওয়ার্কে সচল হবে। এ ধরনের গ্রাহককে দশ দিনের মধ্যে অনলাইনে তথ্য বা দলিল দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য এসএমএস পাঠানো হবে। দশ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হয়ে গেলে ওই হ্যান্ডসেট ‘বৈধ’ বিবেচিত হবে। আর তা না হলে হ্যান্ডসেটটি অবৈধ বিবেচনা করে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। তাদের ক্ষেত্রেও পরীক্ষাকালীন ওই তিন মাস হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে চালু রেখে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদেশ থেকে আনা বা উপহার পাওয়া হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে গ্রাহককে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তার পোর্টালের Special Registration সেকশনে গিয়ে মোবাইল হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরটি দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের ছবি/স্ক্যান কপি (যেমন পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশনের তথ্য, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি) আপলোড করে Submit করতে হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। বৈধ না হলে এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে পরীক্ষাকালীন সময়ের জন্য নেটওয়ার্কে যুক্ত রাখা হবে। পরীক্ষামূলক সময় পার হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এ সেবা নেওয়া যাবে।

বর্তমান ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে বিনা শুল্কে সর্বোচ্চ দুটি এবং শুল্ক দিয়ে আরও ছয়টি হ্যান্ডসেট সঙ্গে আনতে পারেন।

হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই

যে কেউ চাইলে তার হাতে থাকা মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা জেনে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মোবাইল হ্যান্ডসেটে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করতে হবে। স্ক্রিনে অপশন এলে Status Check সিলেক্ট করতে হবে। তখন একটি অটোমেটিক বক্স আসবে, সেখানে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বরটি লিখে পাঠাতে হবে। গ্রাহকের মোবাইলে তখন হ্যাঁ/না অপশন সংবলিত একটি অটোমেটিক বক্স আসবে। তাতে হ্যাঁ Select করে নিশ্চিত করতে হবে। ফিরতি মেসেজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের বা হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে। এছাড়া neir.btrc.gov.bd ওয়েব লিংকে গিয়ে বিদ্যমান সিটিজেন পোর্টাল এবং মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারেও এ সেবা মিলবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জুন ২০২১ ০৯:২২:পিএম ৪ বছর আগে
আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকমের ২য় বর্ষে পদার্পণ - Ekotar Kantho

আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকমের ২য় বর্ষে পদার্পণ

একতার কণ্ঠঃ “শেকড়ের সন্ধানে ছুটে চলা’ – এই প্রত্যয় কে ধারন করে আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকমের এক ঝাক তরুন সাংবাদিক একত্রে হয়েছিলেন শুক্রবার(১৮ জুন) সকালে। এই দিন ছিলো আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকমের ২য় বর্ষে পদার্পণের প্রথম দিন। এ উপলক্ষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছিল আলোচনা সভা ও প্রতিনিধি সম্মেলন। একই অনুষ্ঠানে বর্ষপূর্তির কেক কাটা হয়।

চ্যানেল আই এর জেলা প্রতিনিধি, আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কালের কন্ঠের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি এবং আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকমের বিশেষ প্রতিবেদক অরণ্য ইমতিয়াজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, প্রথম আলো এর স্টাফ রিপোর্টার কামনা শীষ শেখর, মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তরুন ইউসুফ, একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কাজী তাজউদ্দিন রিপন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তবে  মুসলিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সত্যের পথে আছি এবং শেখরের সন্ধানে ছুটে চলছি। তাই আমি আজকের দিনে বলতে চাই- যারা আমাদের সাথে রয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ বলেন, আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকম আজ ২ য় বর্ষে পদার্পণ করেছে। আজকের এই আনন্দের দিনে আমি আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই পোর্টালের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি- এ অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকুক।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, মত প্রকাশ করা আমাদের মৌলিক অধিকার। তবে গণমাধ্যমে কর্মরতদের মনে রাখতে হবে সেই মত প্রকাশ যাতে হয় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকম সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের বাহক হিসেবে কাজ করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, পোর্টালের রির্পোট আমি পর্যবেক্ষন করে থাকি এবং আমার উপজেলায় কোনো সমস্যা থাকলে তাৎক্ষনিক সমাধানের চেষ্টা করি। টাঙ্গাইলের এবং সমাজ পরিবর্তনে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কাজী জাকেরুল মওলা বলেন, এই পথচলাকে শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকম একটি ভালো ও জনপ্রিয় পত্রিকা এবং এই জনপ্রিয়তা কে ধরে রাখতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হাবিবুল্লা শেফুল বলেন একটি পোর্টালের জন্য ১ বছর খুব বেশি সময় নয়। এই অল্প সময়ে টাঙ্গাইলের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। আপনাদের সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় গণমানুষের মুখপত্র হিসেবে আগামী দিনগুলোতেও একইভাবে কাজ করে যাবে আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকম।

শেষ পর্বে আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিদের সংবাদিকতার কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন ,কামনা শীষ শেখর, অরন্য ইমতিয়াজ, তরুণ ইউসুফ এবং মুসলিম উদ্দিন আহমেদ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৪০:এএম ৪ বছর আগে
দেশে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত - Ekotar Kantho

দেশে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত

একতার কণ্ঠঃ  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন দেশে এমন অন্তত দুজনের শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতে বিরল ছত্রাকজনিত এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দুজন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেল।

চলতি মাসে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়।বারডেম হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক জনের শরীরেও ছাত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়।
বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লাভলি বাড়ৈ  বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে দুজনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।’

বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে এবারই প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হওয়ার কথা জানান তিনি।

আমরা সতর্কভাবে তাদের পর্যবেক্ষণ করছি’ উল্লেখ করে ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই, তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দিতে হয়।’

তিনি আরও জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীকে মাত্রা না বুঝে স্টেরয়েড দিলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, মিউকরমাইসিটিস ছত্রাক থেকে মিউকরমাইকোসিস হয়ে থাকে। এটি বাতাসের চেয়ে মাটিতে এবং শীত ও বসন্তকালের চেয়ে গ্রীষ্ম ও শরৎকালে বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন এই আণুবীক্ষণিক ছত্রাকের স্পোরের সংস্পর্শে আসে। সুতরাং এই মিউকরমাইসিটিসের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব।

তবে, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই ছত্রাক ক্ষতিকর নয়। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তাদের শরীরে মিউকরমাইসিটিসের স্পোর প্রবেশ করলে ফুসফুস ও সাইনাস আক্রান্ত হতে পারে। যা পরে শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।

সিডিসি’র মতে, এই বিরল ছত্রাকে আক্রান্তদের মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ। তবে, ৯২৯টি ঘটনা নিয়ে করা ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে মৃত্যুহার ৫৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সব বয়সী মানুষের এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি না থাকায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই।

তারা আরও জানান, কোভিড-১৯ ও ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী, যারা স্টেরয়েড নিচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত অথবা যারা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন, তারা সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাই নয়, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কারণেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘যখন একজন বয়স্ক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন যথেচ্ছভাবে স্টেরয়েডের ব্যবহারের কারণেও তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারেন।’

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ভারতের স্বাস্থ্যখাতে নতুন হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত রোববার জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় তারা খুব শিগগিরই একটি নীতিমালা তৈরি করবেন।

স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম  বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি কমিটি কিছু সুপারিশ তৈরি করছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যসেবা উপদেষ্টা কমিটিও এই রোগ প্রতিরোধে কিছু বিধিবিধান তৈরি করছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের চিকিৎসায় এগুলো খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’

ডা. নাজমুল আরও জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কোনো অস্বাভাবিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি।

তবে, ভারতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ২০০ জনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, যেসব কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে।

ভারতের তামিলনাড়ু, গুজরাট, ওডিশা, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা- এই পাঁচ রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা রোগীরা সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার রোগীরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে তাদের অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই, তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।’

সিডিসি’র গাইডলাইন বলছে, অ্যান্টি ফাঙ্গাল মেডিসিন ব্যবহার করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসা করা হয়। এসব ওষুধের বেশিরভাগই শিরা পথে দেওয়া হয়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসায় সবচেয়ে প্রচলিত ওষুধের মধ্যে আছে অ্যাম্ফোটেরিসিন বি। এই ওষুধটি সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে।

সেরে উঠতে রোগীকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ওষুধ দিতে হতে পারে। তবে, কত তাড়াতাড়ি রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা আরম্ভ করা হয়েছে তার ওপরও এটা নির্ভর করে।

সম্প্রতিকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার করে রোগীর ছত্রাক আক্রান্ত কোষ ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এতে কিছু রোগী তাদের ওপরের চোয়াল ও চোখ হারিয়ে থাকেন।

সংবাদ সূত্র- ডেইলি স্টার অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. মে ২০২১ ০২:৫১:এএম ৪ বছর আগে
রবিবার থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা - Ekotar Kantho

রবিবার থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা

 একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ আগামী  রবিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। শুক্রবার( ২৩ এপ্রিল) দুপুরে উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার অথবা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিধিনিষেধের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খোলার এই অনুমতি দিলো সরকার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে দ্বিতীয় দফায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’ শুরু হয়। যা চলবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।

এর আগে ১৪ এপ্রিল থেকে চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ১২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া অন্য সকল ধরনের দোকান ও শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. এপ্রিল ২০২১ ০৯:৪২:পিএম ৪ বছর আগে
যেভাবে রোজা রাখবেন ডায়াবেটিক রোগীরা - Ekotar Kantho

যেভাবে রোজা রাখবেন ডায়াবেটিক রোগীরা

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ পৃথিবীতে প্রায় ২৩৫ কোটি মুসলমান আছে যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৮ শতাংশ। বর্তমানে পৃথিবীতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪৪৫ মিলিয়ন।

২০৪০ সালে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৪২ মিলিয়ন-এ। এর মধ্যে সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ মানুষরা রোজা রাখে। পৃথিবীর মোট প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের ৩৬ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভুগছে। সে হিসাবে দাঁড়াচ্ছে, প্রতি রমজান মাসে ৯-১২ কোটি ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখছে। টাইপ১ ডায়াবেটিস রোগীদের ৪৩ শতাংশ এবং টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীদের ৭৯ শতাংশ রমজান মাসে রোজা রাখে।

দীর্ঘ সময় একজন ডায়াবেটিস রোগীর না খেয়ে থাকা উচিত হবে কী না তা নিয়ে অনেক বছর ধরে বহু বিতর্ক হয়েছে। অবশেষে পৃথিবীর মুসলমান ও অমুসলমান ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা সর্বসম্মতভাবে মতামত দিয়েছেন যে, ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে রোজা রাখা ক্ষতিকর হবে।

কুরআন শরিফেও রোগাক্রান্তদের রোজা রাখা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে (সূরা আল বাকারা : আয়াত ১৮৩-১৮৫) আর অন্য যে কোনো ধরনের অসুখের চেয়ে ডায়াবেটিস নিয়মিত ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। ডায়াবেটিস রোগীর বিপর্যস্ত বিপাকীয় তন্ত্রের কারণে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে শারীরিক নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।

রোজা রাখার সময় ডায়াবেটিক রোগীর ঝুঁকিগুলো

  • রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) : খাদ্য গ্রহণে অনেকক্ষণ ধরে বিরত থাকলে রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমতে থাকে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ডায়াবেটিস রোগীর রোজা রাখার সময় এতটাই কমে যেতে পারে যে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত করতে হতে পারে। টাইপ১ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে এরূপ হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা ৪.৭ গুণ এবং টাইপ২ ডায়াবেটিকের ক্ষেত্রে ৭.৫ গুণ বেশি।
  •  রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া (হাইপারগ্লাইসেমিয়া) : রোজা রাখার কারণে টাইপ১ ও টাইপ২ উভয় ধরনের ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কিছুটা ঝুঁকি থাকে। টাইপ১ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে তা মারাত্মক হতে পারে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এ থেকে জীবন নাশের ঘটনাও ঘটতে পারে। রমজান মাসের শেষের দিকে এ ঘটনাগুলো ঘটার আশঙ্কা বাড়তে থাকে।
  • ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস : টাইপ১ ডায়াবেটিস রোগীরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে রক্তের গ্লুকোজ মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়া বা এর ধারাবাহিকতায় কিটোনবডি বেড়ে যাওয়ার কারণে সংকটাপন্ন অবস্থায় নিপতিত হতে পারেন। বিশেষ করে যাদের রক্তের গ্লুকোজের নিয়ন্ত্রণ রোজা শুরুর আগে ভালো ছিল না। টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রেও এরূপ হতে পারে।
  • পানি শূন্যতা ও থ্রম্বোএম্বোলিজম : রোজা রেখে দীর্ঘ সময় পানি বা পানীয় খাদ্য গ্রহণে বিরত থাকার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) দেখা দিতে পারে। গরম ও বেশি আর্দ্র আবহাওয়ায় পানি শূন্যতা আরও প্রকট হতে পারে। যাদেরকে রোজা রেখে কঠোর শারীরিক শ্রম দিতে হয় তাদেরও পানি শূন্যতা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাছাড়া রক্তে বেশি মাত্রায় গ্লুকোজ থাকলে শরীর থেকে পানি ও খনিজ পদার্থ বের হয়ে যাওয়ার হার অনেক বৃদ্ধি পায়।

এতে করে বসা বা শোয়া অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যেতে পারে। বিশেষত, যাদের ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাদের এ সময় সহসা জ্ঞান হারানো, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া, আঘাত প্রাপ্ত হওয়া, হাড় ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। দেহের পানি শূন্যতার কারণে রক্ত জমাট বেধে চোখের রেটিনার কেন্দ্রীয় শিরা বন্ধ হয়ে দৃষ্টি শক্তি হারাবার ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে ও অন্যান্য মরু অঞ্চলে।

করণীয়

প্রত্যেক রোজাদার ডায়াবেটিক রোগীর অবস্থা তার স্বাতন্ত্রসহ বিবেচনা করতে হবে।

ঘন ঘন রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা দেখতে হবে [প্রতিদিন বেশ ক’বার (কম পক্ষে তিন বার) রক্তে গ্লুকোজ মাপতে হবে]। দিনের শেষ ভাগে অবশ্যই রক্তের গ্লুকোজ দেখার ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর টাইপ১ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সঙ্গে রক্তের গ্লুকোজ লক্ষ্য রাখতে হবে। রমজানের প্রথম দিকের দিনগুলোতে একটু বেশি সর্তক থাকতে হবে, পরে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

প্রতিদিনের খাদ্যের পুষ্টিমান অন্যান্য সময়ের মতোই রাখার চেষ্টা করতে হবে, যদিও তা খুব সহজ নাও হতে পারে। স্বাভাবিক দৈহিক ওজন ধরে রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। রমজানে রোজা রেখে ২০-২৫ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর দৈহিক ওজন কমে বা বাড়ে। ইফতারে চর্বি সমৃদ্ধ খাদ্য এবং তেলে ভাজা খাবার গ্রহণ করা হতে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে। কেননা, এসব খাবার হজম হতে সময় লাগবে।

কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীর ইফতারের পরপরই যত দ্রুত সম্ভব রক্তে গ্লুকোজ সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা জরুরি। সেজন্য জটিল শর্করা জাতীয় খাবার সেহরির সময় খেতে হবে। আর ইফতারিতে সহজ পাচ্য খাবার খেতে হবে। প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে। সেহরির খাবার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ঠিক আগে খেতে হবে এবং তারপর প্রচুর পানি পান করা বাঞ্ছনীয়।

শারীরিক শ্রম বা ব্যায়ামসহ স্বাভাবিক শারীরিক কর্মকাণ্ড চালানো যেতে পারে এ সময়। তবে খুব বেশি কঠোর শ্রম বা ব্যায়াম না করাই ভালো। এতে করে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। আর কঠোর শ্রম বিকাল বেলায় তো করা যাবেই না। তারাবি নামাজ পড়লে, তাকে শারীরিক শ্রমের বিকল্প হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। কিছু কিছু ডায়াবেটিস রোগী (বিশেষত টাইপ১) যাদের রক্তের গ্লুকোজ ঠিক মতো রাখা যাচ্ছে না তাদের ক্ষেত্রে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঘটনা প্রায়শ মারাত্মক হয়।

প্রতিটি ডায়াবেটিস রোজাদারকে একথাটি খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে যে, যখনই হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কোনো লক্ষণ শরীরে দেখা দেয় তার পর যতটা সম্ভব দ্রুততর সময়ের মধ্যে গ্লুকোজ/চিনি/মিষ্টি কোনো খাদ্য, শরবত ইত্যাদি যে কোনো একটি খেয়ে নিতে হবে।

যাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়েছে, তারা তো খুব সহজেই এর প্রাথমিক উপসর্গ চিনতে পারবেন। আর যাদের তেমন অভিজ্ঞতা হয়নি, তাদের বুক ধড়ফড়ানি, মাথা ফাঁকা ফাঁকা লাগা, ঘাম হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা, মাথা ঘোরা ইত্যাদির এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তখন হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তের গ্লুকোজ এ সময় সাধারণত ৩.৩ মিলিমোল/লিটার) হওয়ার কথা।

আবার দিন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যদি রক্তের গ্লুকোজ ৩.৯ মিলিমোল/লিটার বা তার চেয়ে কমে যায় তাহলেও কিছু খেয়ে নেয়া জরুরি। আর যারা ইনসুলিন, সালফুনাইলইউরিয়া-মেগ্লিটিনাইড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটার আশঙ্কা বেশ বেশি। আবার রক্তের গ্লুকোজ ১৬.৭ মিলিমোল/ লিটারের বেশি হলেও রোজা রাখা সম্ভব হবে না।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩৬:পিএম ৪ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।