/ হোম / লাইফ স্টাইল
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কনভেনশন সেন্টারের উন্নয়নে এসি দিল ওয়ালটন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কনভেনশন সেন্টারের উন্নয়নে এসি দিল ওয়ালটন

একতার কণ্ঠঃ ওয়ালটন গ্রুপের উদ্যোগে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কনভেনশন সেন্টারের উন্নয়নে চারটি ( চার টনের) এসি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলে প্রেস ক্লাবে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে এসিগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. জাফর অহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, ওয়ালটন সিএসআর কমিটির সদস্য সচিব এবং ওয়ালটন সিএসআর এন্ড ওয়েলফেয়ার সেকশন ইনচার্জ মো. সাফায়েত হুদা, পিন্সিপাল অফিসার ফেন্সী ইসলাম, ওয়ালটন টাঙ্গাইল প্লাজার ম্যানেজার অনুপ কুমার সাহাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ জানান, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বিভিন্ন সময়ে উন্নয়নের জন্য নানাভাবে সহয়োগিতা করে আসছে। এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের আয়োজনে ওয়ালটন আন্তঃউপজেলা প্রেসক্লাব ক্রিকেট টুনামেন্টসহ অভ্যন্তরীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করে থাকে। ওয়ালটনের এই ধারাবাহিক সহাযোগিতার কারণে ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০২:১৩:এএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পের বিপদাপন্নতার মূল্যায়ন শীর্ষক কর্মশালা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পের বিপদাপন্নতার মূল্যায়ন শীর্ষক কর্মশালা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডে ভূমিকম্পের বিপদাপন্নতার মূল্যায়ন (সামাজিক ও অবকাঠামো) শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল পৌরসভার মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মামুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রাকিব আহসান, নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক শাকিল আক্তার, সহকারী অধ্যাপক শেমন্তী আজিজ, নগর পরিকল্পনা বিভাগের প্রভাষক সাদিয়া আফরোজ।

এছাড়া পৌরসভা মিলনায়নে ১৩,১৪,১৫ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর উল্কা বেগমসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তরা বলেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ। তবে দুর্যোগের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া, এগুলোর প্রভাব বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে সর্বোচ্চ মাত্রায় রক্ষা পাওয়া, ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা এবং তা পুষিয়ে নিয়ে পুনরায় জনগণকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। সে লক্ষে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডে ভূমিকম্পের মোকাবেলায় সবাইক কাজ করতে হবে। একই সাথে সকলের সহযোগিতায় ভূমিকম্পের বড় ধরনের ক্ষতিক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০২:১২:এএম ৪ বছর আগে
সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র ‘গলুই’: শুটিং এ টাঙ্গাইলে আসছেন শাকিব খান - Ekotar Kantho

সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র ‘গলুই’: শুটিং এ টাঙ্গাইলে আসছেন শাকিব খান

একতার কণ্ঠঃ কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছে প্রথমবারের মতো অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। খোরশেদ আলম খসরু প্রযোজিত শাকিব খানের অনুদানের সিনেমা ‘গলুই’ পরিচালনা করছেন এস এ হক অলিক। সম্প্রতি জানা গেছে সিনেমাটি নিয়ে নতুন খবর। প্রকাশিত খবরে প্রকাশ যমুনার চর থেকে শুরু হচ্ছে শাকিব খানের অনুদানের সিনেমা ‘গলুই’ এর দৃশ্যধারনের কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শাকিব খানের নায়িকা হয়ে পর্দায় আসছেন পূজা চেরী।

জানা গেছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে শাকিব খানের অনুদানের সিনেমা ‘গলুই’ এর দৃশ্যধারনের কাজ। ম্যাসব্যাপী সিনেমাটির দৃশ্যধারন হবে  টাঙ্গাইল ও জামালপুরের বিভিন্ন লোকেশনে। প্রথম দিন জামালপুরের যমুনার চর এলাকায় শুরু হবে দৃশ্যধারন। আর এই লটের শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা শাকিব খান।

এ প্রসঙ্গে একটি অনলাইন পত্রিকার সাথে আলাপকালে এস এ হক অলিক বলেন, ‘আমাদের টানা শুটের পরিকল্পনা আছে জামালপুর ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন লোকেশনে। ৩৫ থেকে ৪০ দিন লাগবে সিনেমাটির শুট করতে। অভিনয় শিল্পীরা যাওয়া-আসার মধ্যে থাকবেন, যাঁর যখন শুট, তখন তিনি যোগ দেবেন।‘ তবে শাকিব খান ছাড়া সিনেমাটির অন্য শিল্পীদের নাম এখনই প্রকাশ করতে চান না এই নির্মাতা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘সিনেমাটিতে কারা অভিনয় করছেন, সেটি মহরত অনুষ্ঠানেই জানাতে চাই; সেটি শুট শুরুর কয়েক দিন আগে ঢাকায় করা হবে।’

ছবির নাম ‘গলুই’ রাখা হয়েছে নৌকা চালানোর জন্য যে গলুই লাগে তা থেকে। নৌকা বাইচ, একজন মাঝির জীবন জীবিকা, প্রেম, ভালোবাসার মাধ্যমে সমাজের প্রতিচ্ছবি উঠে আসবে ‘গলুই’ সিনেমায়। সিনেমাটিতে একজন মাঝির চরিত্রে অভিনয় করবেন ঢাকাই সিনেমার সময়ের সেরা নায়ক শাকিব খান। প্রযোজক সূত্রে জানা গেছে সিনেমাটি ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৬০ লাখ টাকার অনুদান পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, শাকিব খান এবং পূজা চেরী ছাড়াও সিনেমাটিতে আরো অভিনয় অভিনয় করছেন আজিজুল হাকিম ও ফজলুর রহমান বাবু। আর সিনেমাটির বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ এবং হাবিব ওয়াহিদ সহ অনেকেই।

উল্লেখ্য যে, এস এ হক অলিক একাধারে নাটক এবং সিনেমা নির্মান করে থাকেন। অলিক পরিচালিত ‘হৃদয়ের কথা’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ সিনেমা দুটি দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলো। এছাড়া অলিক এর আগে সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে ‘আরো ভালোবাসব তোমায়’ নামের একটি সিনেমা নির্মান করেছিলেন। ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিলো এই সিনেমাটি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০২:৪৫:এএম ৪ বছর আগে
দীর্ঘ ২১ বছর পর ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার অপারেশন - Ekotar Kantho

দীর্ঘ ২১ বছর পর ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজার অপারেশন

একতার কণ্ঠঃ নানা জটিলতায় প্রায় দুই যুগ ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারসহ সব ধরনের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। অবশেষে দীর্ঘ ২১ বছর পর সিজার অপরেশন শুরু হয়েছে। এই  উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভূঞাপুরবাসী। রবিবার( ৫ সেপ্টেম্বর) দু’টি সিজারের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রথম দিনে করা দু’টি সিজারের দু’জনেই সুস্থ আছেন। তাঁরা দু’জন হলেন, উপজেলার পূর্ব ভূঞাপুরের আসাদুজ্জামানের স্ত্রী হ্যাপি আক্তার (২৫) এবং পাশের ঘাটাইল উপজেলার যোগিহাটি গ্রামের মোস্তফার স্ত্রী তাহমিনা খাতুন (২০)।

সিজার দুটি সম্পূর্ণ করেন ডা. মোছা. সালমা জাহান। এ সময় তাঁকে সহযোগিতা করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. খন্দকার সাঈদ হোসেন, অ্যানেসথেসিয়া ডা. মো. আজিজুল হক, আরএমও ডা. এনামুল হক ও ডা. নিশাদ সাইদা।

সিজারিয়ান দম্পতি ও তাঁদের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাইরের অন্যান্য ক্লিনিকের চেয়ে এখানে টাকা কম খরচ হয়েছে ও সিজারের সময়ও কম লেগেছে। মা ও নবজাতক দু’জনেই সুস্থ আছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. এএফএম সাহাবুদ্দিন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহীউদ্দিন প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:২১:এএম ৪ বছর আগে
 টাঙ্গাইলে শিশু ও নারীর উন্নয়নে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত - Ekotar Kantho

 টাঙ্গাইলে শিশু ও নারীর উন্নয়নে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের ‘শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম পঞ্চম পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(৪ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার সত্যেন্দ্র নাথ পাল, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, বিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি জে সাহা জয় প্রমুখ।

জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের যৌথ আয়োজনে ওই সমাবেশে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:১৮:এএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে

একতার কণ্ঠঃ উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে টাঙ্গাইলের নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার(২৬ আগস্ট) সকালে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জেলার ধলেশ্বরীতে ৪ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৩ সেণ্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেণ্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) জানায়, গত দুই দিন যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকার পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের করণে জেলার অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। ফলে জেলার চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, কালিহাতী, বাসাইল, ভূঞাপুর, মির্জাপুর, বাসাইল ও নাগরপুর উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। কোথাও কোথাও নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।

টাঙ্গাইল পাউবো ও কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি বাড়লেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীসহ জেলার সব নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদীর পানি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. অগাস্ট ২০২১ ০২:১৭:এএম ৪ বছর আগে
বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণের সমস্যায় কী করবেন - Ekotar Kantho

বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণের সমস্যায় কী করবেন

একতার কণ্ঠঃ ব্রণের সমস্যায় কমবেশি সবাইকে পড়তে হয়। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরী-কিশোরীদের এই সমস্যা দেখা যায়। ব্রণ সাধারণত মুখে দেখা গেলেও অনেক সময় মাথা, পিঠ ও ঘাড় ও বুকেও দেখা দিতে পারে। আমাদের দেশে ছেলেদের ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সে ও মেয়েদের ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে। তবে অনেকে পরিণত বয়সেও এই সমস্যায় ভুগেন।

ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন আল-রাজী হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দিদারুল আহসান।

কারণ

* টিনএজারদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য।

* মাসিক বা গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন।

* কসমেটিক, বিশেষ করে ঘন ঘন ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার বা মেকআপের প্রভাব।

* জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, স্টেরয়েড, খিঁচুনি বা মানসিক রোগের ওষুধ ইত্যাদির প্রভাব।

* অত্যধিক গরম বা বেশি ঘর্মাক্ত হওয়া।

* তেলতেলে চুল ও মাথার খুশকি।

* মানসিক চাপ ও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।

* কেরোসিন বা কয়লার (যেমন, ফার্নিচারের বার্নিশ) প্রভাব।

* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব ও নারীদের মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গেও ব্রণের সম্পর্ক রয়েছে।

ধরন

ব্রণের নানা ধরন রয়েছে। ছোট ছোট গোল ফুসকুড়ি, লালচে ছোট ছোট গোটা, আবার পুঁজপূর্ণ বড় বড় চাকাও হতে পারে। ব্রণ টিপলে ভাতের দানার মতো বের হয়ে আসে। কিছু ব্রণ খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়। এতে ত্বকে ছিদ্রও দেখা দিতে পারে। কারও কারও মুখে ব্রণের তীব্রতা বেশি থাকলে তা এবড়োথেবড়ো দেখায়।

চিকিৎসা

সচেতনতার মাধ্যমেই বেশিরভাগ ব্রণ দূর করা যায় বা কমানো যায়। তবে আক্রান্তের গুরুত্ব বিবেচনা করে ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি, বিশেষ করে ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য মলম প্রয়োগ, অ্যান্টিবায়োটিক অথবা রেটিনয়েডজাতীয় ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে।

* মাথায় খুশকি থাকলে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে খুশকি দূর করুন।

* অ্যালার্জি না থাকলে বেনজাইল পার-অক্সাইড লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

কিছু ভুল ধারণা

অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময় সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং লোমকূপ পরিষ্কার রাখে।

সংবাদ সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. অগাস্ট ২০২১ ১০:২১:পিএম ৪ বছর আগে
কিভাবে বুঝবেন সন্তান মাদকাসক্ত - Ekotar Kantho

কিভাবে বুঝবেন সন্তান মাদকাসক্ত

একতার কণ্ঠঃ মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে জানতে হবে মাদকাসক্তি কী? নেশায় জড়িয়ে পড়া বা মাদকাসক্তি একটি ব্যাধি। সাধারণত চিকিৎসাবিদ্যায় মাদকাসক্তিকে বলা হয়, ক্রনিক রিলাক্সিং ব্রেইন ডিজিজ বা বারবার হতে পারে এমন স্নায়ুবিক রোগ।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত করার কিছু শর্ত আছে। প্রথমত, যেকোনো উপায়েই হোক নেশাদ্রব্য সংগ্রহ করতে হবে, যেটিকে ইংরেজিতে ক্রেভিং বলে। দ্বিতীয়ত, নেশাবস্তু গ্রহণের মাত্রা ক্রমশ বাড়িয়ে দেয় বা বাধ্য হয়, যেটিকে টলারেন্স বলা হয়। তৃতীয়, নেশাবস্তুর প্রতি দৈহিক এবং মানসিক নির্ভরতা গড়ে ওঠে। নেশাবস্তুটি গ্রহণ করতে না পারলে তার দৈহিক ও মানসিক অবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়।

ভয়াবহ সংবাদ হলো, গোটা বিশ্বের মতো আমাদের দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ বছরের বেশি ৩ দশমকি ৩০ শতাংশ, ১২-১৭ বছর বয়সী ১ দশমিক ৫০ ও ৭-১১ বছর বয়সীদের মধ্যে ০ দশমিক ২০ শতাংশ মানুষ মাদকাসক্ত। অর্থাৎ, ৭ বছরের শিশুও মাদকাসক্ত হয়েছে এমন প্রমাণ রয়েছে। সার্বিকভাবে দেখা যায়, পুরুষদের মধ্যে ৪ দশমিক ৮০ এবং নারীদের ০ দশমিক ৬০ শতাংশ মাদকাসক্ত।

মাদকাসক্তদের মধ্যে গাঁজায় আসক্ত ৪২ দশমিক ৭০, মদে ২৭ দশমিক ৫০, এমফেটামিন জাতীয় ওষুধে ১৫ দশমিক ২০, আফিম জাতীয় দ্রব্যে ৫ দশমিক ৩০ এবং ঘুমের বড়ি বা ট্যাবলেট খায় ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ জরিপ থেকে আমরা আমাদের দেশে মাদকাসক্তের সার্বিক একটা চিত্র বুঝতে পারি।

খুব ভয়ের ব্যাপার হলো, দেশের তরুণ-তরুণী কিংবা কিশোর-কিশোরীরা মাদকে বেশি আসক্ত হচ্ছে। দেশে মাদকাসক্তের প্রায় ৬৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী। কিশোর বা তরুণদের ক্ষেত্রে সঙ্গত কারণেই আমরা বলে থাকি, ওদের আবেগ অনিয়ন্ত্রিত এবং বয়সটিতে বন্ধুদের প্রভাব অনেক বেশি থাকে। এদের মধ্যে অনেকেই নিছক কৌতূহলের বশে নেশা করে। অনেকের ক্ষেত্রে সামাজিক বা ব্যক্তিগত কোনো হতাশা থেকে শুরু হয়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হয়েও অনেকে কিন্তু মাদকে ঝুঁকে পড়ে। দেশে নানা জাতীয় মাদকের সহজলভ্যতাও মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ।

এ ছাড়া মাদকাসক্তের পেছনে পারিবারিক অনেক কারণও আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। যেমন, কোনো সংসার বা পরিবারে পারিবারিক কলহ দিনের পর দিন চলতে থাকে, মা-বাবা কিংবা বড় ভাই-বোনদের কেউ মাদকাসক্ত, মা-বাবার সাথে শিশু-কিশোর বয়সে সন্তানের স্নেহপূর্ণ সম্পর্কের ঘাটতির কারণেও মাদকে আসক্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এখন আসা যাক তরুণ-তরুণীরা মূলত কোন কোন মাদকে আসক্ত হয়। সাম্প্রতিক ডিএসএম-৫ বা ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিস-অর্ডারসের পঞ্চম সংস্করণে ১০টি দ্রব্যকে মাদক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো, অ্যালকোহল বা মদ, ক্যাফেইন, ক্যানাবিস বা গাঁজাজাতীয় দ্রব্য, হ্যাল্যুসিনোজেনস বা বিভ্রম সৃষ্টিকারী দ্রব্য (এলএসডি, বিভিন্ন ধরনের ইনহ্যাল্যান্টস অর্থাৎ যেগুলো শ্বাসের সাথে গ্রহণ করা হয়), অপিওয়েডস বা আফিম জাতীয় দ্রব্য, সিডেটিভ বা উত্তেজনা প্রশমনকারী দ্রব্য (ঘুমের ওষুধ, হিপনোটিকস বা সম্মোহক পদার্থ), অ্যানজিওলাইটিকস বা উদ্বেগ প্রশমক দ্রব্য, স্টিম্যুলেন্টস বা স্নায়ু উত্তেজক দ্রব্য (অ্যামফিটামিন জাতীয় দ্রব্য বা কোকেইন) এবং বিভিন্ন তামাকজাতীয় দ্রব্য।

সূত্র: ডক্টর টিভি

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. অগাস্ট ২০২১ ০৫:০৯:এএম ৪ বছর আগে
চুলের পুরো দায়িত্ব মেথির ওপর ছেড়ে দিন - Ekotar Kantho

চুলের পুরো দায়িত্ব মেথির ওপর ছেড়ে দিন

একতার কণ্ঠঃ চুলের সমস্যা নিয়ে প্রায় সবাই চুলচেরা বিশ্লেষণ করে একটি ছোট রচনা লিখতে পারবো। তবে চুলের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী করছি এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই খুব দীর্ঘ হবে না।

চুলের যত্ন নিতে যারা একটু অলস, তেমন কিছুই করতে চান না, আবার ঘন-মজবুত- লম্বা-ঝলমলে-সুন্দর চুলও চান, তারা সারাবছর মেথির ওপর ছেড়ে দিন চুলের পুরো দায়িত্ব। কারণ মেথি ব্যবহারে-

• চুল পড়া বন্ধ হয়, চুলের গোঁড়া মজবুত রাখে
• চুলের অকাল্পক্কতাও রোধ করে
• নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুল ঘন হয়
• স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর হয়, খুশকির যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি মেলে
• আর ঝলমলে-সিল্কি চুল তো মাত্র কয়েক বারেই পাওয়া যায়।
চুল সুন্দর রাখতে মেথি যেভাবে ব্যবহার করতে হবে
• ৩ চামচ নারকেল তেল ও ২চামচ মেথি জ্বালিয়ে ব্লেন্ড করে রাখুন
• এই তেল মাথায় ম্যাসাজ করে ঘণ্টা দুই রেখে শ্যাম্পু করে নিন

• সপ্তাহে একবার রাতে আধা কাপ মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট করে নিন
• এবার একটা ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

মেথি পেস্ট করতে ঝামেলা মনে হয়ে, বাজার থেকে মেথির গুঁড়া কিনে নিতে পারেন। মাত্র একমাস ধৈর্য ধরে মেথি দিয়ে চুলের একটু যত্ন নিন, আর অনেক বেশি সুন্দর দীর্ঘ-মসৃণ-ঘন চুল পান।

সংবাদ সূত্র- বাংলা নিউজ২৪.কম

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. অগাস্ট ২০২১ ০৯:৩৭:পিএম ৪ বছর আগে
মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ - Ekotar Kantho

মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একতার কণ্ঠঃ খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে হারানোর ১০ বছর শুক্রবার (১৩ আগস্ট)। ২০১১ সালের এই দিনে মানিকগঞ্জের জোকায় এক ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন তারা।

‘কাগজের ফুল’ সিনেমার শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের সঙ্গে মাইক্রোবাসে থাকা আরও তিনজন চলচ্চিত্রকর্মী মারা যান। ওই তিনজন হলেন গাড়ির চালক মুস্তাফিজ, তারেক মাসুদের প্রোডাকশন ম্যানেজার ওয়াসিম ও কর্মী জামাল।

তারেক মাসুদ ১৯৮২ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন করেন। চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আদম সুরত’ নামের প্রামাণ্যচিত্র।

এরপর বেশ কিছু ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেশন ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তারেক মাসুদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১৯৯৫ সালে তার নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ ও ১৯৯৬ সালে ‘মুক্তির কথা’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়।

তারেক মাসুদ ২০০২ সালে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’ নির্মাণ করেন। এটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবসহ কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। সিনেমাটির জন্য কানে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট লাভ করেন এই নির্মাতা।

‘মাটির ময়না’ সিনেমাটির জন্য ২৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার লাভ করেন তারেক মাসুদ। এছাড়া অস্কারের বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র শাখায় নিবেদন করা দ্বিতীয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র এটি। এর আগে ‘জাগো হুয়া সাভেরা’ নামের সিনেমা অস্কারে প্রদর্শিত হয়।

তারেক মাসুদ আমৃত্যু সিনেমা দিয়ে মানুষের মধ্যে আলো ছড়িয়ে গেছেন। তার পরবর্তী সিনেমা ‘অন্তর্যাত্রা’ (২০০৬) ‘রানওয়ে’ (২০১০) সালে মুক্তি পায়।

এদিকে, ক্যামেরা ‘ডিরেক্টর’ হিসেবে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পরিচিতি পেয়েছিলেন মিশুক মুনীর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিও গ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তার আরেক পরিচয় তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে। তারেক মাসুদের সিনেমা ‘রানওয়ে’র প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন মিশুক মুনীর। এছাড়া তিনি ‘রিটার্ন টু কান্দাহার’, ‘ওয়ার্ডস অব ফ্রিডম’ প্রামাণ্যচিত্রগুলোতেও কাজ করেছেন।

উল্লেখ্য, নিজ নিজ কর্মে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে (মরণোত্তর) একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. অগাস্ট ২০২১ ০১:৩৮:এএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজের তালিপাম গাছে ফুটেছে ‘মরণফুল’ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজের তালিপাম গাছে ফুটেছে ‘মরণফুল’

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সার্কিট হাউজে রোপণ করা তালিপাম গাছে ফুটেছে ‘মরণফুল’। গাছটি ২০১২ সালের ১৮ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্যের বাসা থেকে এনে টাঙ্গাইলের তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম বজলুল করিম চৌধুরী রোপণ করেছিলেন। দীর্ঘ নয় বছর পর সেই তালিপাম গাছে ফুল ফুটেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, তালিপাম গাছটি দেখতে অনেকটা তাল গাছের মতো। ঝড় এলে গাছটি যেন হেলে না পড়ে তার জন্য পাকাপোক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গাছটির গোড়ার দিকে লোহার রড দিয়ে তৈরি খাঁচায় ঘিরে রাখা হয়েছে। তালিপাম গাছ একবার ফুল-ফল দিয়ে মারা যায়, তাই এর ফুলকে ‘মরণফুল’ বলা হয়ে থাকে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের তথ্যানুযায়ী, পৃথিবীর কোথাও আর বুনো পরিবেশে তালিপাম গাছ দেখা যায় না। ঢাবি ক্যাম্পাসে থাকা শেষ তালিপাম গাছটিও ২০১০ সালে ফুল দিয়ে মরে গিয়েছিল। তবে সেই গাছের ফল থেকেই চারা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

 

সূত্রমতে, ১৮১৯ সালে ভারতের পূর্বাঞ্চলে তালিপাম গাছের সন্ধান পেয়েছিলেন ব্রিটিশ উদ্ভিদবিজ্ঞানী উইলিয়াম রক্সবার্গ। পরে ঢাবির ফুলার রোডের পাশে ১৯৫০ সালে আরেকটি গাছ শনাক্ত করেন অধ্যাপক এম সালার খান। সে সময় পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে আরও একটি গাছ ছিল। সেই গাছে ১৯৭৯ সালে ফুল আসে। শতবর্ষী সেই গাছে হঠাৎ ফুল দেখে স্থানীয়রা চমকে যায়। ‘ভূতের আছর’ ভেবে ফল ধরার আগেই গাছটি তারা কেটে ফেলেন।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার ১৯৯৮ সালে ঢাবির গাছটিকে বুনো পরিবেশে বিশ্বের একমাত্র তালিপাম গাছ হিসেবে ঘোষণা করে। ঢাবি প্রতিষ্ঠার আগে গাছটি লাগানো হয়েছিল। ২০০৮ সালে ওই গাছে ফোঁটে মরণফুল। জীবনচক্র মেনে ফুল থেকে ফল হয়। ২০১০ সালে গাছটি মারা যায়।

টাঙ্গাইলের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি) দীপ ভৌমিক জানান, গাছটি টাঙ্গাইলের সাবেক ডিসি এম বজলুল করিম চৌধুরীর সময় লাগানো হয়। তার জানামতে এ জাতের গাছে ৯৯ বছরের আগে ফুল ধরে না। কিন্তু এই গাছটিতে অনেক আগেই ফুল ধরেছে। রোপণ করার মাত্র নয় বছরেই গাছটিতে ফুল এসেছে- যা অত্যাশ্চার্য বটে।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ডক্টর মো. আতাউল গণি জানান, তালিপাম গাছটিতে ২-৩দিন আগে ফুল ফুটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হাউব্রিড হওয়ার কারণে এতো আগে ফুল ফুটলো। গাছটি এক বার ফুল দেওয়ার পর আবার মারাও যাবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. অগাস্ট ২০২১ ০৩:০২:এএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ

একতার কণ্ঠঃআসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি। সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ১০০ সাংবাদিকদের মাঝে  ওই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আমিনুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা, টাঙ্গইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা প্রমুখ।
উপহার সামগ্রী হলঃ পোলাও চাল, সেমাই, তেল, গুড়ো দুধ, ডাল, চাল, চিনি ও আতর।

জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, করোনাভাইরাসে সময় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহায়তা বিতরণ অব্যহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সাংবাদিক বান্ধব। এই সরকারের সময় সাংবাদিকদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের সাংবাদিকরা  যেন সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহায়তা পায় তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জুলাই ২০২১ ০২:১২:এএম ৪ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।