একতার কণ্ঠঃ আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌর এলাকার বাজারগুলোতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দারের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পার্ক বাজার পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণসহ প্রতিটি দোকানে পণ্যের মুল্য তালিকা টাঙানো ও অতিরিক্ত দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে বিক্রি না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া একই সাথে প্রশাসনের ৬টি টিম শহরের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন ও লিফলেট বিতরণ করে।
এ প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ক্রেতা পর্যায়ে সহনীয় রাখতে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সচেতন করার লক্ষে সকলের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে মজুদ করে অতিরিক্ত দামে পণ্যে বিক্রি না করে সেই জন্য তাদের অবহিত করা হয়েছে। কেউ বিধিনিষেধ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।বাজার স্থিতিশীল রাখতে সকলকেই প্রশাসনকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি
এ সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) ওলিউজ্জামান, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু , কুনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্যাব) এর টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জলসহ পার্ক বাজার সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ দিন দিন যত গতিময় হচ্ছে জীবন, ততই মানসিক রোগ বাড়ছে মানুষের। বিশেষ করে গতিময় জীবনে পিছিয়ে পড়ার চিন্তায় অস্থির হচ্ছেন অনেকেই।
ফলে ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে উদ্বেগের সমস্যা।
কিন্তু কথায় কথায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে সমস্যা বাড়ে। কাজেও তার ছাপ পড়ে। কমে কাজ করার ক্ষমতা। তবে ওষুধ খেয়ে উদ্বেগ কমাতে চান না অনেকেই। মনে করেন, একবার ওষুধ খেতে শুরু করলে তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাবে।
নিয়মিত ধ্যান করলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় যেকোনও মানসিক সমস্যা। তবে আরও একটি ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। প্রতিদিন একটু করে কাঁচা হলুদ খেতে হবে মাত্র। তাহলেই অনেকটা শান্ত থাকবে মন।
বিজ্ঞানীরা বহু দিন ধরেই গবেষণা করছেন বিভিন্ন মশলার গুণ নিয়ে। দেখা গেছে, হলুদে উপস্থিত কার্কুমিন শরীরের প্রদাহ কমায়। এর প্রভাবে কমে মানসিক চাপও। মনের মধ্যে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শরীর-মন দুই থাকে স্থিতিশীল। কার্কুমিনের আরেক গুণ হল, তা মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। তাতেও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হয় বলে বক্তব্য মনোবিদদের।
উদ্বেগ-হতাশায় ভুগলে প্রতিদিন কতটুকু হলুদ খেতে হবে?
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রতিদিন ১৫০-২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খেলেই যথেষ্ট কাজ হয়। তবে ব্যক্তি বিশেষে হলুদের পরিমাণ কম বা বেশি প্রয়োজন হতে পারে। তবে নিয়মিত হলুদ খেতে শুরু করার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
একতার কণ্ঠঃ বলা হয়ে থাকে ভালোবাসা নিজেই নাকি একটি ভাষা। দেশ, জাতি, গোত্রের যত বিভাজনই থাকুক না কেন, ভালোবাসার ভাষা এমনই সার্বজনীন যে, সকলেই তা বুঝতে পারে। আসলেই কি তা-ই?
আমেরিকান লেখক ডক্টর গ্যারি চ্যাপম্যান কিন্তু তার The Five Love Languages: The Secret to Love that Lasts বইতে বলছেন, ভালোবাসা প্রকাশ এবং অনুভব করার পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে। প্রত্যেক মানুষের এই পাঁচটির মধ্যে একটিই প্রধান ভাষা থাকে, যার মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করলে মানুষটি সবচেয়ে গভীরভাবে সেটি অনুভব করতে পারেন।
চ্যাপম্যান এগুলোকে Love Language বা ভালোবাসার ভাষা বলে অভিহিত করেছেন। সেই ভাষা বা মাধ্যমগুলো হলো-
১. মৌখিক অভিব্যক্তি (words of affirmation), ২. কাজের মাধ্যমে (act of service), ৩. স্পর্শ (physical touch), ৪. গুণগত সময় (quality time), এবং ৫. উপহার পাওয়া (receiving gifts)।
এই পাঁচটির মধ্যে এক বা একাধিক মাধ্যমে একজন মানুষ ভালোবাসা অনুভব করে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভাষাগুলোর গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা থাকে না। ফলে ঠিক যেভাবে আমরা সঙ্গীর কাছ থেকে ভালোবাসা পেতে চাই, সেই প্রত্যাশামাফিক সঙ্গীর প্রতি নিজের ভাষাতেই ভালোবাসা প্রকাশ করি।
কিন্তু সঙ্গীর ভাষা ভিন্ন হলে আমাদের এই ভালোবাসা সঙ্গীকে সেভাবে আপ্লুত করতে পারে না। ব্যাপারটি অনেকটা ভিনদেশী কারও সাথে বাংলায় কথা বলার মতো। যেন আমি আমার ভাষায় কথা বলেই যাচ্ছি, কিন্তু তিনি তার একটি অক্ষরও বুঝতে পারছেন না। ফলে সম্পর্কে সৃষ্টি হয় টানাপোড়েন, ভুল বোঝাবুঝি। তাই সম্পর্কে ভাবের সার্থক আদান প্রদানের জন্যে সঙ্গীর এবং নিজের ভালোবাসার ভাষা সম্বন্ধে জানা থাকা ভীষণ দরকার।
মৌখিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ
অনেকের কাছে ভালোবাসার মৌখিক প্রকাশই সর্বাধিক পছন্দের। সঙ্গীর কাছ থেকে পাওয়া প্রেমময় সম্ভাষণ, আন্তরিক প্রশংসা, সমর্থন, সম্মান, সমাদর ও অনুপ্রেরণামূলক কিছু কথা তাদেরকে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ অনুভব করায়। সামনাসামনি বলা, ফোনালাপ, ক্ষুদেবার্তা, চিঠি, কার্ড, ছোট একটি চিরকুট কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে উৎসর্গ করে পোস্ট- এ সবই হতে পারে তার প্রতি আপনার ভালোবাসার বার্তাবাহক।
তবে এসব ক্ষেত্রে মুখস্থ বুলির ব্যবহার পারতপক্ষে করবেন না; ভাষার স্বকীয় ব্যবহারে সচেষ্ট হোন। সেটি খুব কঠিন কিছু নয়, দরকার শুধু চর্চা। যেমন- প্রতিবারই “তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে” না বলে কখনও তার সাজ, কখনও ব্যক্তিত্ব, কখনও পোশাকের রুচিতে মুগ্ধতা প্রকাশ করুন।
আবার সবসময় “আমি তোমাকে ভালোবাসি” বলার চেয়ে খুঁজে বের করুন আপনার জীবনে তার কী কী ইতিবাচক অবদান রয়েছে? একেক সময় একেকটির জন্যে তার প্রতি মন থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। তাকে জানতে দিন জীবনসঙ্গী, মা-বাবা, সন্তান, ভাই-বোন হিসেবে তিনি সফলভাবে যে ভূমিকা পালন করছেন, তা নিয়ে আপনি গর্বিত।
সঙ্গীর প্রতি নিজে কোনো ভুল করে ফেললে ভুল স্বীকার করতেও দেরি করবেন না। কর্মক্ষেত্রে তার বিশেষ কোনো অর্জনের আনন্দে নিজেও শামিল হোন।
আবার সঙ্গী যখন নিজের দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের কথা আপনাকে জানাচ্ছেন, তখন ধৈর্য্য ধরে তার কথা শুনুন। তাকে মন হালকা করতে দিন। “শান্ত হও, এত দুশ্চিন্তা করার মত কিছুই হয়নি”, “এত চাপ নিয়ে কী হবে, অযথাই অস্থির হচ্ছ”– এমন মন্তব্য করে তাকে থামিয়ে দেওয়া একেবারেই উচিত হবে না।
আবার যেহেতু তারা কথার প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দেন, সেহেতু তাদের সমালোচনা করার ব্যাপারেও বিশেষভাবে সতর্ক থাকা দরকার। অসচেতনভাবে করে ফেলা একটি আপাত নির্দোষ নেতিবাচক মন্তব্যও তাদের মনে গভীরভাবে দাগ কাটতে পারে। অতএব, সাধু সাবধান।
কাজের মাধ্যমে প্রকাশ
এরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। অর্থাৎ এই ধরনের মানুষকে মুখে “ভালোবাসি ভালোবাসি” বলার চেয়ে ব্যালকনিতে তার শখের বাগানের গাছগুলোর যত্ন নিতে তাকে সাহায্য করলে বরং তারা বেশি সমাদৃত অনুভব করবেন।
আপনার সঙ্গীও এই দলের হলে, ঘরের কলিংবেলটি নষ্ট হয়ে গেলে সঙ্গীর অপেক্ষায় না থেকে নিজেই তা সারানোর ব্যবস্থা করুন। ছুটির দিনে অতিথি আপ্যায়নের গুরুদায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীর ওপর না চাপিয়ে নিজেও কাজে হাত লাগান।
সঙ্গী যখন জরুরি দাপ্তরিক কাজ বা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, কিংবা যখন তার টানা বিশ্রাম প্রয়োজন, তখন তা যেন নির্বিঘ্ন হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। বাজারের কেনাকাটা, রান্না করা, ঘরদোর পরিষ্কার রাখা, বিল পরিশোধ, সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করা- এমন যেসব কাজের দায়িত্ব সঙ্গীর ঘাড়ে থাকে, মাঝে মাঝে স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেই তা সেরে ফেলুন।
মোদ্দা কথা হলো, তাদের ভাগের দায়িত্বটা মাঝেমধ্যে নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তাকে বিশ্রাম দেওয়া, দৈনন্দিন কাজে তিনি সাহায্য চাওয়ার আগেই তাকে সাহায্য করা, তার খেয়াল রাখা– এগুলোই তার কাছে আপনার দায়িত্ববোধ, যত্নশীলতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ধরা দেবে। তবে হ্যাঁ, কাজগুলো করতে হবে আপনার সঙ্গী আপনাকে কাজটি করতে বলার আগেই!
শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ
একে লঘু, অগভীর বা নিছক শরীরকেন্দ্রিক আকর্ষণ ভাবলে ভুল হবে। মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্পর্শ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে থেকেছে। আবেগের চিরাচরিত বহিঃপ্রকাশ, যেমন- হাত ধরা, চুম্বন ইত্যাদি তো বটেই, হাঁটার সময় সঙ্গীকে ধরে থাকা, প্রতিদিন সঙ্গীর কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় বা ঘরে ফিরে তাকে আলিঙ্গন করা, দুঃসময়ে তার কাঁধে হাত রেখে সহমর্মিতা প্রকাশ করা, সবই শারীরিক সংস্পর্শের অন্তর্ভুক্ত।
ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীর হৃদ্যতাপূর্ণ স্পর্শ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা, সন্তুষ্টি ও বিশ্বস্ততার বোধ তৈরি করে, ‘ভালোবাসার হরমোন’ অক্সিটোসিনের নিঃসরণ ঘটায়। ফলে পারস্পরিক বন্ধন আরও জোরালো হয়, ব্যথা ও মানসিক চাপ কমে যায়, এমনকি রক্তচাপ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপরেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বোঝাই যাচ্ছে, সম্পর্ক অটুট রাখতে নিয়মিত স্পর্শের ভূমিকা একেবারেই ফেলনা নয়।
কাছের মানুষের সান্নিধ্য ও স্পর্শের এত সব উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এ ধরনের স্পর্শের চর্চা আমাদের পরিবারগুলোতে তেমন থাকে না বললেই চলে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং দম্পতির বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তা যেন আরও কমে যায়। ফলে স্পর্শই যাদের ভালোবাসা অনুভবের প্রধান ভাষা, তারা এক্ষেত্রে উপেক্ষিত বা বঞ্চিত অনুভব করতে পারেন। সঙ্গীর এই ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার।
গুণগত সময়ের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ
ঘড়ি ধরে লম্বা সময় একসঙ্গে কাটানো এখানে প্রধান বিবেচ্য নয়। বরং বাকি সবকিছু থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে পরস্পরকে নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ ও আন্তরিকতাপূর্ণ কিছু সময় উপহার দেওয়াই এখানে মূল লক্ষ্য। ব্যস্ত জীবনের দৌড়ঝাঁপের ফাঁকে ফাঁকে সঙ্গীর সাথে সময় কাটানোর ছোটখাট সুযোগগুলোও হাতছাড়া করা উচিত নয়।
দুজনে মিলে ভোরে জগিংয়ে বেরিয়ে পড়ুন, ঘরে ফিরে একসাথে নাশতা করুন, দিন শেষে কিছু সময় আলাপচারিতায় কাটান, ছুটির দিনে মিলেমিশে ঘর গোছান, বই পড়ুন, গেমস্ খেলুন, পছন্দের সিরিজ দেখুন, পছন্দের কোনো খাবার তৈরি করুন, লম্বা ছুটিতে যান ভ্রমণে; প্যারেন্টিং, আত্মোন্নয়ন, ভাষা শিক্ষা বা এমন যে কোনো প্রশিক্ষণে ভর্তি হয়ে যান। এসবই গুণগত সময় বলে গণ্য হতে পারে।
গুণগত সময় কাটানো যাদের ভালোবাসা অনুভবের প্রধান মাধ্যম, তারা সঙ্গীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সময় ও মনোযোগ না পেলে নিজেকে অবহেলিত বা উপেক্ষিত বোধ করতে পারেন। যৌক্তিক কারণে সঙ্গী বেশি সময় দিতে অপারগ হলে, সেটা যেমন বোঝা প্রয়োজন, তেমনি একজন অতিমাত্রায় ব্যস্ত থাকায় অপরজন যেন বিচ্ছিন্ন বোধ না করেন, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। অতএব, এসব ক্ষেত্রে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে না থেকে পরস্পরের সাথে আলাপ ও বোঝাপড়া করে নেওয়াই উচিত।
উপহারের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ
ভালোবাসা অনুধাবনের এই ধরনটি কারো কারো কাছে স্থূল বা অতিমাত্রায় বৈষয়িক মনে হতে পারে। কিন্তু উপহার যাদের ভালোবাসার ভাষা, তাদের ক্ষেত্রে মূলত উপহারের অর্থমূল্য নয়, উপহারের পেছনের ভাবনাটাই বেশি গুরুত্ববহ। তার সঙ্গী তার মুখে এক চিলতে হাসি ফোটানোর জন্যে তার পছন্দসই একটি উপহার এনেছেন- এই বোধটুকুই তাকে অভিভূত করবার জন্যে যথেষ্ট।
এরা মূলত এমন কিছু নিদর্শনের প্রত্যাশা করেন, যা তাদের আত্মিক ভালোবাসাকে তুলে ধরে। যত্নে গড়া সম্পর্কটিকে চোখে দেখতে পারলে, ছুঁতে পারলেই যেন তাদের স্বস্তি!
আপনার সঙ্গী যদি উপহারের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ পছন্দ করেন, তাহলে তার কথোপকথন খেয়াল করুন। তিনি কি নতুন কোনো বই কেনার কথা ভাবছেন? তিনি কিনে ফেলার আগে আপনিই বইটি কিনে তার টেবিলে রেখে দিন। সম্পর্কের বর্ষপূর্তিতে আপনাদের প্রথম দেখার দিনের স্মৃতিবিজড়িত জায়গাটিতে বেড়িয়ে আসুন দু’জনে।
সঙ্গীর প্রিয় ফুল, প্রিয় স্ন্যাকস, পছন্দের শিল্পীর অনুষ্ঠান বা পছন্দের দলের ক্রিকেট ম্যাচ দেখার টিকেট এনে দেওয়া- এমন যেকোনো কিছুই এখানে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ ধরনের মানুষদের কাছে জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, ভালোবাসা দিবস- এ ধরনের উপলক্ষগুলো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই এই তারিখগুলো মনে রেখে এই দিনগুলোতে সাধ্যমত বিশেষ কিছু আয়োজন করলে সঙ্গীর মনে আপনার স্থান আরও বেশি পাকাপোক্ত হবে।
ডক্টর গ্যারি চ্যাপম্যানের মতে, প্রতিটি মানুষের কাছে একটি কাল্পনিক ভালবাসার পাত্র বা love tank থাকে। সঙ্গীর কাছ থেকে প্রতিনিয়ত ভালোবাসা অনুভব করলে সেই পাত্র ক্রমান্বয়ে পূর্ণ হতে থাকে, দুজনে সদ্ভাব বজায় থাকে। সুতরাং সম্পর্কে সুখময় পরিপূর্ণতা আনতে হলে জানতে হবে ভালবাসার ভাষা, শিখতে হবে সম্পর্কের ব্যাকরণ।
ঈষৎ অনুলেখন – মোঃ আরমান কবীর
একতার কণ্ঠঃ আমরা ব্রাউজার দিয়ে যেসব সাইটে ব্রাউজ করি সেগুলো কিন্তু সবই তৈরি ওয়েব ডেভেলপারদের দিয়ে।আর সাধারনত এই ওয়েব ডেভলপার বা ওয়েব ডিজাইনাররাই নিত্য নতুন ওয়েবসাইট তৈরী করে আমাদের জীবনকে দিন দিন করে তুলছে আরো বৈচিত্র্যময়। তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন একই জিনিস নয়। একে অপরের পরিপূরক।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি ও এর কাজ শিখতে যা যা লাগবে এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ কোথায় পাবেন ?
সাধারণত ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো একটা ওয়েবসাইটের প্রাণ সঞ্চার করা। আর সহজ কথায় বলতে গেলে web-development হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের জন্য সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা। আর একজন ওয়েব ডিজাইনার যে ডিজাইন করে থাকুন না কেন তার প্রতিটা উপকরণকে সাধারণত ফাংশনাল করার জন্য পরিচালিত কর্মকাণ্ডই হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
সাধারণত একটি ওয়েবসাইটকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।যেমনঃ
সাধারণত একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় রেখে পুরো সিস্টেম কে সংক্রিয় করে থাকেন। আর একজন ওয়েব ডেভেলপারের কাজ হচ্ছে ডাটা প্রসেসিং, ডাটাবেজ নিয়ন্ত্রণ, সিকিউরিটি নির্মাণ, এডমিন এবং ইউজারের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা, অ্যাপ্লিকেশন এর সকল সিস্টেমকে ফাংশনাল করা এবং সমস্ত সিস্টেম এর কার্যকারিতা এবং ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা।
সাধারণত ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখতে যা যা লাগে
সেগুলো হচ্ছে- html, css, javascript, jquery, Php, এসবের পাশাপাশি যেকোনো একটি সিএমসি (content management system) যেমন- wordpress, joomla, dropal, bbpress এগুলো প্রয়োজন পরে। এছাড়াও আরো অনেক সিএমসি রয়েছে। সাধারণত আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন তারাই আপনাকে বলে দিবে কোনটা শিখতে হবে । তবে উপরোক্ত বিষয় গুলো হচ্ছে কোর বিষয় যা আপনাকে প্রাথমিক অবস্থায় জানতে হবে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ কোথায় পাবেন ?
আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজ পেয়ে যাবেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছেঃ
এছাড়া আপনি যদি ভাল ওয়েব পেজ ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনার এই কাজেরও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি অনেক ওয়েব মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারবেন এবং বিভিন্ন কনটেস্ট এ যোগদান করার মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। যেমন-
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যৎ চাহিদা
সাধারণত যতদিন ওয়েবসাইট থাকবে ততদিন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদাও থাকবে। দিনদিন ওয়েবসাইটের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যেমন ধরুন, ২০১৭ সাল ওয়েবসাইটের সংখ্যা ছিলো ১১৫ কোটির বেশি, সর্বশেষ ২০২৩ সাল এ হিসাব পৌছেছে ২০০ কোটিরও বেশী।
যেকোনো মার্কেটপ্লেসে একজন ওয়েব ডেভেলপার তার কাজের ধারা অনুযায়ী ঘন্টায় ২০ ডলার থেকে একশ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে।
একতার কণ্ঠঃ কোলেস্টেরল আমাদের দেহের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি স্নায়ুতন্ত্র, হরমোন উৎপাদন, চর্বি ও নতুন কোষ গঠনে অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে সমস্যা তখনই তীব্র হয় যখন প্রয়োজনের তুলনায় এটা রক্তে অতিরিক্ত হয়ে যায়।
কোলেস্টেরল বেশি থাকার জন্য অ্যাথেরোস্কোলোরোসিস রোগ হয়। এতে রক্তনালির দেয়াল শক্ত ও সরু হয়ে যায়। সময় মতো চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের চিফ নিউট্রিশন অফিসার পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো।
বিয়ের মাধ্যমেই একজন নারী ও একজন পুরুষ পারিবারিক জীবন শুরু করেন। বিয়ে দুজন নারী-পুরুষের একসঙ্গে থাকা বা পরিবার গঠনের জন্য একটি আইনানুগ ও জনমতের স্বীকৃতিও। কিংবা বলা যায়, বিয়ে হচ্ছে এমন কিছু সামাজিক নিয়মনীতি ও আইন-কানুন, যা স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার, দায়িত্ব-কর্তব্য ও সুযোগ-সুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
কথায় আছে, পরিকল্পনা হলো কাজের অর্ধেক। আর ছোট পরিকল্পনা মানেই বড় কাজের সফলতা। সুতরাং বিয়ের আগে পরিকল্পনা জরুরি। বিয়ে মানেই কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়াসহ নানা আয়োজন। তাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করাটা জরুরি। আর আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে বিয়ের আয়োজন যেমন ঝামেলাবিহীন হবে, তেমনি খরচও কমানো সম্ভব।
বিয়ের আয়োজনে সবার আগে দরকার বর-কনের পোশাক, গহনা বা প্রসাধনী কেনাকাটা। ভালো হয়, এসব জিনিস কেনাকাটার আগে তালিকা তৈরি করা। সেই সঙ্গে কোন জিনিসটা কোন দামের বা কোন ব্র্যান্ডের কিনবেন সেটাও পারলে তালিকায় লিখে রাখুন। সম্ভব হলে কোন এলাকা বা কোন মার্কেট থেকে কিনবেন সেটাও লিখে রাখুন। এ ছাড়া সব কেনাকাটার মধ্যে বর-কনের পোশাক একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পোশাকেই বর-কনে হয়ে উঠবেন উজ্জ্বল। বর-কনের পোশাকসহ বিয়ের নানা অনুষজ্ঞ কেনার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে অনেক দোকান পাবেন। এসব দোকানে বরের পাগড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি সবই মিলবে। যারা কম বাজেটে বিয়ের আয়োজন সারতে চান তারা ইচ্ছা করলে পাগড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি ভাড়া করতে পারেন।
বিয়ের মূল আয়োজনে গহনা অন্যতম অনুষঙ্গ। কারণ গহনা ছাড়া কনের সাজই হয় না। এ ছাড়া ঐতিহ্য বা সংস্কৃতিতেও বিয়ের গহনার রয়েছে আলাদা মূল্য। স্বর্ণের বিয়ের সেট পাওয়া যায়। চাইলে আলাদা করে বানিয়ে বা কিনে নেওয়া যায়। আজকাল ডায়মন্ডের ব্যবহারও বেশ চলছে।
খাবার-দাবারে মিশে থাকে আয়োজনের সম্মান বা পারিবারিক ঐতিহ্য বা সামাজিক রীতিনীতি। সেজন্য খাবার বিষয়টি খুবই জরুরি। আর এ ক্ষেত্রে সবার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হয় খাবারের মেন্যুতে কী কী থাকবে বা রাখবেন। প্রয়োজনে খাবারের মেন্যু নিয়ে দুই পরিবার আগেই পরিকল্পনা করতে পারেন। এতে দুই পরিবারেরই মঙ্গল। বাবুর্চি ও ক্যাটারিং সার্ভিসের কাছে লোক সংখ্যা আর মেন্যুও কথা বললে তারাই আপনাকে খাবারের খরচ সম্পর্কে ধারণা দেবেন।
বিয়ের আয়োজনে সাজসজ্জা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় কম টাকায় ভালো সাজ করা যায়। আবার অনেক সময় বেশি টাকা খরচ করেও মনমতো সাজ পাওয়া যায় না। এখন অনেক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বিয়ের আয়োজনের সব রকম ব্যবস্থাপনা করে থাকে। তাদের কাছ থেকেও সেবা নিতে পারেন। আবার নিজেরাও করতে পারেন। মূলত হলুদের স্টেজই প্রাধান্য পায়। এখানেও অনেক বর ও কনে দুই বাড়িতেই একই নকশার হলুদের স্টেজ করে থাকেন। অনেকে আলাদাও করেন।
বিয়ের আয়োজনের অন্যতম আরেকটি অনুষঙ্গ হলো আমন্ত্রণপত্র। আর বিয়ের আমন্ত্রণপত্র কেনা, সেটা ছাপানো ও বিলি করা কনে বা বর পক্ষের অন্যতম কাজ। এ ছাড়া শুধু দামি কার্ড কিনলেই হবে না। সেটা সুন্দর ও নির্ভুল করে ছাপাতেও হবে। আর সেজন্য চাই পর্যাপ্ত সময়। অন্যদিকে শীত মৌসুমকে বিয়ের মৌসুম বলা হয় বলে এ মৌসুমে কার্ড বেশি চলে। কার্ড যেটাই কিনুন সময় নিয়ে কিনুন যাতে ছাপানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে। আর ছাপাটা যাতে নির্ভুল হয় সেদিকটাতেও খেলার রাখাটা জরুরি। কাগজের কার্ডের পাশাপাশি আজকাল কাপড়ের আমন্ত্রণপত্রও চলছে। অনেকটা রাজা-বাদশাহদের শাহি এলান পাঠের নমুনা। আবার কাগজ বা কাপড়ের পাশাপাশি কাঠের আমন্ত্রণপত্রও দেখা যাচ্ছে। পাতলা কাঠে ছাপানো। এটাও দারুণ। আমন্ত্রণপত্র বিলি করার আগে অতিথিদের তালিকা তৈরি করুন।
বিয়ের ছবি তোলা বা ভিডিও করার জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বা ফটোগ্রাফার পাবেন আশপাশে। আবার আজকাল তো কেবল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতারই ছবি তোলা হয় না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রি-ওয়েডিংয়ের ছবি। মানে গায়ে হলুদ বা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই বর-কনে পার্ক বা রেস্টুরেন্ট বা পছন্দের জায়গায় ছবি তোলেন। আবার আজকাল তো গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের আলাদা মাত্রা হয়েছে। সবাই এখন হলুদের অনুষ্ঠানে নাচ-গানে বড় আয়োজন করেন। কেউ কেউ তো পোশাদার শিল্পীও আনেন।
বিয়ের স্থান হিসাবে অনেকেই কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল বা হোটেল বেছে নিচ্ছেন। অন্যদিকে গ্রাম-গঞ্জে এখনো নিজেদের বাড়ির উঠান বা মাঠেই সারছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তবে কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল বা হোটেল ভেন্যু হিসাবে নিলে আগে থেকেই ভেন্যু কুক করুন।
সবাই চান তার বিয়ের আয়োজন যেন সুন্দর হয়। আর সে ক্ষেত্রে সব নারী-পুরুষেরই উচিত অন্তত কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া। এর মধ্যে নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়াটাও জরুরি।
বিয়ের আয়োজনে বরের বাড়ির যেমন কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানিকতা আছে, তেমনি কনের বাড়িরও কিছু নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা আছে। এ কার্যক্রমগুলো আগে থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে নেওয়া ভালো।
একতার কণ্ঠঃ বর্তমানে প্রযুক্তির এর যুগে মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীল। মানুষের এই প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর মানসিকতা ইন্টারনেটে ইনকামের অনেক দার উম্মোচন করেছে।
খুব সহজেই মানুষ ভালো একটা পরিমানের অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করছে। দেশের লাখ লাখ মানুষ এখন এই অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর উপরে নির্ভরশীল।
চাইলেই খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি সেটি চান? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
এই অনুচ্ছেদটিতে আমরা অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করবো এবং সাথে সাথে অনলাইনে আয়ের সেরা ১০টি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনি যদি এই সেক্টরে নতুন হন, এই আনুচ্ছেদটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।
কিভাবে আপনি অনলাইনে ইনকাম করবেন? (How to Online Income)
বাংলাদেশে অনলাইন ইনকাম এর বিষয়টি আমাদের নতুন সমাজের কাছে নতুন একটি বিষয় হলেও এটি কিন্তু সারা পৃথিবীতে শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। সত্যি কথা বলতে ঘরে বসে স্বাধীনভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার এ সুযোগ কিন্তু খুব কম পেশায় পাওয়া যায়।
তাছাড়াও অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর জন্য আপনার বিশেষ কিছুই প্রয়োজন হবে না। আপনার মেধা কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কোনো কাজে দক্ষ হয়ে সেটা থেকে নিয়মিত ইনকাম করতে পারেন।
আপনি ছেলে মেয়ে, ছাত্র, চাকরিজীবী যাই হন না কেন, আপনি এই সেক্টর থেকে আয় করতে পারবেন। আপনি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে আপনার পড়ালেখার খরচ যদি আপনি নিজেই জোগাড় করতে পারেন, তাহলে কি সেটা মন্দ হবে?
প্রতিদিন অনেক সময় তো ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইত্যাদিতে ব্যায় করেন। চাইলে এই সময় গুলো শুধু চ্যাটিং আর নিউজফিড ঘুটে নষ্ট না করে এখান থেকেও আয় করা সম্ভব।
এছাড়া পড়া লেখার ফাকে ফাকে বা অবসর সময়ে যদি এই কাজগুলো করেন তাহলে দেখবেন সময়ও নষ্ট হচ্ছেনা এবং পাশাপাশি কোনো খারাপ দিকে মনও যাচ্ছেনা।
আর আপনি যখন নিজের খরচ নিজেই জোগাড় করবেন, তখন দেখবেন আপনার নিজের ভেতরে অন্যরকম একটা সন্তুষ্টি কাজ করছে; অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছে।
তাই অবশ্যই আপনি চেষ্টা এই কাজের ভেতরে ঢুকে পড়ার। কিছু লাগবেনা অনলাইন ইনকাম (Online Income) শুরু করতে আপনার।
শুধু একটি ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট সংযোগ এবং কাজ করার ইচ্ছা। কিভাবে কি করবেন তার বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।
অনলাইন আয় এর সেরা ১০টি উপায়
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে কে না চায়! সবারই ইচ্ছে থাকে অনলাইন থেকে কিছু আয় করার। অনলাইন ইনকাম সোর্স অনেক আছে। কিন্তু তারমধ্যে ভালো বা খারাপও আছে।
আমরা আজকের এই পোস্টে এমন ১০টি অনলাইন ইনকামের উপায় জানব যেগুলো থেকে আপনি যেমন অনেকটা নিশ্চিন্তে আয় করতে পারবেন, একই রকমভাবে স্বচ্ছলভাবে আয়ও করতে পারবেন।
বর্তমানে অসংখ্য মাধ্যম আছে অনলাইনে যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এর মধ্যে থেকে সেরা ১০ টি উপায় নিচে দেয়া হলোঃ
১। ব্লগিং (Blogging) করে আয়
ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই ইনকাম করা সম্ভব।
এটি মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনি আপনার মন মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন। যার ওই বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে।
আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। অতএব বুঝতেই পারছেন বিষয়টা। লেখালেখি যদি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।
আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে ব্লগিং করলে তা সবথেকে বেশি কাজে দেয়।
তাই আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই নিশেই (niche) কাজ করতে পারেন। নিশ(niche) বলতে মূলত নির্দিষ্ট কিছু বিভাগ বোঝায় যেমন, খেলাধুলা, টেকনোলজি, আইন, রান্না, জীবনী, ভ্রমন, ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনি কোনো এক জায়গায় ভ্রমনে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সেটি নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন।
এখন মূল বিষয় হলো আপনি কোথায় লেখা লিখি করবেন। এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হয় আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট নিজে বানিয়ে নিতে পারেন। এখন অনেক সহজে কোনো খরচ ছাড়াই ব্লগ সাইট বানানো যায়। তবে ফ্রি সাইটগুলো কে মানুষ একটি কম বিশ্বাস করে।
তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে প্রথমে কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি সাইট তৈরি করুন। এরপর ওখানে লেখা লেখি শুরু করুন। দেখবেন বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন।
একটি ডট কম ডোমেন কিনবেন সাথে এক জিবি হোস্টিং এবং একটি ফ্রি থিম। এই তিনটা জিনিসই আপনার ব্লগিং শুরু করার জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে আপনার তিন হাজার টাকা মতো খরচ হতে পারে।
এইভাবে খরচ করে ব্লগিং করলে আপনার ব্র্যান্ডিং টা ভালো হবে এবং ইনকাম এর পরিমানও অনেক বেশি হবে ফি সাইটের তুলনায়। আর ভবিষ্যতে আপনার সাইট এর দামও অনেক হবে। ক্ষেত্র বিশেষে একটি ভালো সাইটের মূল্য কয়েক লক্ষ্য পর্যন্ত হয়ে যায়।
আর ফ্রি সাইট গুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো ডোমেইন দিবে না গুগোল। আপনি সেক্ষেত্রে পাবেন সাব ডোমেইন। এভাবে ব্লগ সাইট খোলার ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ব্লগস্পট দিয়ে ১০ মিনিটেই একটি ব্লগসাইট খুলতে পারেন।
আর এক্ষেত্রে আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় মাধ্যমেই কাজ করতে পারেন। তাই যারা মোবাইলে অনলাইন ইনকামের কথা ভাবছেন, তাদের জন্যও এটি একটি সেরা সুযোগ হতে পারে।
তবে এতো কিছুর পাশাপাশি আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার সেই ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি কিন্তু আপনার ইনকামের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।
২। ফ্রিলান্সিং (Freelancing) করে আয়
অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং। বাংলদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় ভুমিকা পালন করছে এবং সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে আমাদের দেশকে রিপ্রেসেন্ট করছে ।
পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। আসলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের মানুষের জানতোই না যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে একটা দেশ আছে। সেসব মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ।
সাথে সাথে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিং এ যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদার হতে পারবেন।
এখন আসি কিভাবে শুরু করবেন এই কাজ। ফ্রিলান্সিং বলতে মুলত বিভিন্ন ধরনের কাজ যে কাজে আপনি দক্ষ সে কাজটি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক এর বিনিময়ে করে দেয়া।
এখানে আপনার কাজ করার এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার (Employer) তার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই। আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে।
যাহোক, সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা। এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Graphics Design), হতে পারে ফটো এডিটিং (Photo Editing), হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design), ওয়েব সাইট মেকিং (Website Making), কপি রাইটিং (Copywriting), কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), লোগো ডিজাইন (Logo Design), ইত্যাদি।
এসবের যেকোনো একটি কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিলাঞ্চিং করতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক কাজ পারেন সেক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি হয়ে যায়।
কাজ শেখার পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি) আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর পরে আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে মেনশন করে দিতে হবে।
তবে একটা বিষয় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম সাইট অনেক আছে। কিন্তু সঠিক ও ভালো মানের সাইট খুব একটা নেই।
তাই যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে সাইটটি দেখে নিবেন। যদি সব কিছু দেখে আপনার কাছে ভালো বলে মনে হয় কেবল তাহলেই আপনি সেই সাইটে কাজ করা শুরু করবেন।
তারপর, আপনি যে কাজ পারেন তার প্রমানের জন্য আপনার পূর্বেই সম্পাদিত কোনো কাজ থাকলে সেটা পোর্টফোলিও আকারে ওই ওয়েবসাইটে সাজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট এসে আপনার পোর্টফলিও দেখে পছন্দ করলে আপনাকে কাজে নিয়োজিত করবে।
এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ থাকবে অবশ্যই ভালো একটা পোর্টফলিও তৈরি করার জন্য কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন হিসাবে ওই পোর্টফোলিও গুলোই আপনাকে কাজ পেতে সহায়তা করবে।
প্রথম প্রথম আপনাকে কাজ পেতে একটি অসুবিধা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেও যদি ফ্রিলান্সার থাকে তার রেফারেন্স নিতে পারেন।
এই রেফারেন্স এর মাধ্যমে কাজ পেয়ে আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ভালো একটা রিভিউ দিবে, তখন দেখবেন কাজ আসতেই থাকবে।
এছাড়াও প্রথমে গিয়ে বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহন করতে পারেন। ওখান থেকেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আমাদের মতে ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে প্রথম কাজটা পাওয়াই একটু কঠিন।
৩। ইউটিউবিং করে আয়
বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে। এদের কারো কারো মাসের ইনকাম ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনিও কিন্তু চাইলেই ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।
এই ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথমে অনেক বড় বড় ইউটিউবার-ই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে শুরু করে তাদের ইউটিউব যাত্রা। তারপরে সফল হওয়ার পরে এখন তারা দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে।
আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে, প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে যদি আপনি ভিডিও বানাতে পারেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন।
তবে এক্ষেত্রে একটি ছোট্ট বিষয় টিপস দিয়ে রাখি আপনাদের। আপনারা যদি সত্যিই প্রফেশনালভাবে ইউটিউবে কাজ করতে করতে চান তাহলে ভিডিওর অডিও ও ভিডিও এডিটিং খুবই ভালো ভাবে করতে হবে।
তারপরে সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
এছাড়াও বর্তমানে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়াও আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে স্পন্সারের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। দেখা গেলো কোনো একটা কোম্পানি কোনো একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য আপনার ভিডিও তে তার ওই পন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বললো। আপনি এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিতে সম্মতি প্রকাশ করলে আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সে পেমেন্ট করবে।
৪। ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম
ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন না। সত্যি কথা বলতে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছে অবাক লাগলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি। বর্তমানে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনাকে প্রতিদিন ভিডিও দেখার জন্য পেমেন্ট করা হবে।
তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করার মতো স্ক্যাম বা ভূয়া সাইট রয়েছে। যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখিয়ে পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে না। এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে বাচঁতে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন জগতে সব সময় সর্তক থাকতে হবে।
সাধারনত এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের চটকদারী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে চেষ্টা করবে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে আয় করার ফাঁদে ফেলার। একটা বিষয় সব সময়ই মনে রাখবেন। অনলাইনে কখনই কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে ভিডিও দেখে খুব বেশি পেমেন্ট করবে না।
যখনই দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্ত পেমেন্ট করার কথা বলছে কিংবা কোনো চটকদারী বিজ্ঞাপনের কথা বলে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে আয়ের কথা বলছে; তখনই ওয়েবসাইটটিকে খুব ভালো ভাবে দেখে শুনে যদি সত্যিকার অর্থেই আসল বলে মনে হয় তখন কাজ করা শুরু করবেন; অন্যথায় নয়।
৫। ওয়েবসাইট (Website) বানিয়ে আয়
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনিও চাইলে এরকম ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং সেটি সচল করে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানানো বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ। যে কেউ চাইলেই করতে পারেন।
কিন্তু যে সাইট গুলো খুব সহজে বানানো যায়, সেগুলোর তেমন কোনো চাহিদা থাকে না। তবে আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে, সেক্ষেত্রে দাম পেতে পারেন ভালো। যে সাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়।
তাই আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন, অথবা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে সেখান সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।
আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে ভিডিও দেখে বা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইন কোর্স করেও শিখতে পারেন ওয়েব ডিজাইনিং।
আবার অনেক ক্ষেত্রে নতুন সাইটও বিক্রি করতে পারেন যদি আপনার হাতে ক্লায়েন্ট থাকে। আর এই কাজের একটি ভালো দিক হলো আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের সুযোগ আসবে আবার চাকরি জীবনেও এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে আপনার।
৬। ড্রপশিপিং (Dropshipping) এর মাধ্যমে আয়
ড্রপশিপিং (Dropshipping) অনলাইন ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজ যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। চলুন প্রথমেই জেনে নেই ড্রপশিপিং (Dropshipping) আসলে কি। এটা উদাহরন দিয়ে বুঝালে আপনি খুব সহজেই বুঝে যাবেন।
মনে করেন, আপনার এলাকায় পরিচিত একজন কোনো একটা পন্য তৈরি করে সেটা বাজারে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে এই পন্যটিই শহরে বড় বড় মার্কেটে অথবা কোনো ই-কমার্স সাইটে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এরকম কিন্তু সচরাচর আমাদের দেশে সবসময় হয়েই চলেছে। কোনো একটা সবজি কৃষকদের থেকে ৫ টাকা কেজি মূলে কিনে বড় বড় বাজারে ওইগুলো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তো এক্ষেত্রে আপনি নিজেই বড় একটি ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রোফাইল খুলে ওই পন্যটি বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার এলাকার যে উৎপাদনকারী আছে তার কাছে থেকে পন্য টা ৫০০ টাকায় কিনে সেটি আপনার প্রোফাইলে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
এতে একটি পন্যেই ৯০০ টাকা লাভ করতে পারছেন। অথবা আপনি যদি ১২০০ টাকায় বিক্রি করেন তাতেও আপনার ৭০০ টাকা লাভ থেকে যাচ্ছে। এটিই মুলত ড্রপশিপিং (Dropshipping)। আপনার এলাকায় যদি এরকম কোনো সুযোগ থেকে থাকে আপনার অবশ্যই উচিৎ সুযোগটি কাজে লাগানো।
৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে।
এটি অনেক সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু সাধারন মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। আসুন বিষয়টা খুব সহজে বুঝে নেই।
বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট রয়েছে। এদের ভেতরে অনেকগুলো আবার সারা বিশ্বেই পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এইসব ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রত্যেকটাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) নামে একটি সেকশন রয়েছে।
আপনি সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন। তারপর আপনার একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে। এরকম গ্রুপ আমাদের প্রতিটি মানুষেরই আছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এখন ওই নির্দিষ্ট ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন পন্যের বিবরন সহ ওই লিঙ্ক কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে হবে। এবার ওখানে থেকে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেও পন্যটি কিনে তাহলে আপনি সেটার থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটি কমিশন পাবেন।
এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য কিন্তু পন্যটির দাম বাড়বে না। পন্যটির আসল যে দাম সেটি দিয়ে মানুষ কিনতে পারবে আপনার পাঠানো লিঙ্ক থেকে।
তবে এ ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকেও পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট ধারনা থাকা চাই।
এভাবে অনেক টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হয় যদি আপনি ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি করে ফেলতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।
এর জন্য আপনার দরকার অনেক গুলো একটিভ ইমেইল। আপনি যদি হাজার খানের একটিভ ইমেইল ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন, তাহলেই খুব সহজে এখানে থেকে ভালো অঙ্কের একটি টাকা ইনকাম করে ফেলতে পারেন।
বর্তমানে অ্যামাজন এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম (Amazon Affiliation Program) বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৮।অনলাইন রিসেলিং (Online Reselling) করে আয়
অনলাইনে পন্য বিক্রি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে বেশ বড় বড় কয়েকটি অনলাইন ব্যবসা রয়েছে। আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে বড় পর্যায়ে শুরু করতে হবে। আর এতে আপনার পুরো সময়টাই ব্যয় করতে হবে এবং সাথে সাথে আরও অনেক দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেটা ছাত্রজীবনে করা একটি কষ্টকর হয়ে যায়।
সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন রিসেলিং (Online Reselling) করে বেশ ভালো ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন রিসেলিং মুলত অনলাইনে পন্য বিক্রির কাজ কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে বেশি কিছু করা লাগবেনা।
আপনি শুধু একটি রিসেলিং কোম্পানি (Reselling Company) তে আপনার একাউন্ট খুলবেন এবং এখান থেকে পন্যের ছবি এবং বিবরন নিয়ে আপনি নিজে একটা পেজ খুলে বিক্রি করবেন।
রিসেলিং কোম্পানির কাছে অনেক কম দামে পন্য পাবেন আর ওইগুলা তার থেকে সামান্য বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করে আপনি নিজের লাভ বের করবেন। বেশি কিছু রিসেলিং কোম্পানি (Reselling Company) বাংলাদেশে রয়েছে। এর মধ্যে শপআপ (ShopUp) অন্যতম।
এখানে আপনাকে পন্য বিক্রয় করার জন্য নিজের কোনো পন্য লাগবে না। পন্য যোগাড় থেকে শুরু করে বাকি সব কাজই ওই রিসেলার কোম্পানি করে দিবে।
৯। ছবি বিক্রি (Sell Photos Online) করে আয়
আমাদের বর্তমান জেনারেশনে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গণা। অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরাও বিদ্যমান। আপনি চাইলে আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের ছবি তুলতে হবে। সেটা আপনি আপনা মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন আবার ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন।
তারপর চাইলে একটু এডিট করে অথবা “র” (Raw) ফাইলই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আপনি যদি অল্প সল্প ফটো এডিটিং জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই জানা বাড়ানো যায়।
অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন আপনি। তার মধ্যে, Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি পে করে থাকে ফটোগ্রাফারদেরকে।
ইন্ডিয়ার সন্দিপ মহেশ্বরীর কথা অনেকেই শুনে থাকবেন। এখন প্রত্যেকটা টেকনোলজি বিষয়ক সেমিনার বা স্টেজ সো-তে তিনিই প্রধান অতিথি থাকেন। তিনিই অন্যতম উদাহরন যে ফটোগ্রাফিকে নিজের পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন ।
এই সেক্টরে তিনি ভীষণই সফল একজন মানুষ। তার নিজেরও ছবি বিক্রির একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে দেশ বিদেশের ১০০০ এরও বেশি ফটোগ্রাফার কাজ করে থাকেন।
আপনি এইসব ওয়েবসাইট গুলো তে যে ছবি গুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকেই বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নিবে। এইসব ছবি গ্রাফিক ডিজাইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন বইয়ের কাভারে, ব্যানারে, ফেস্টুনে এইসব ছবি বিক্রি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১০। অনলাইন সার্ভে (Online Survey) করে আয়
অনেক কোম্পানি আছে যারা গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে থাকে। অনেক দেশে তো সরকারীভাবেই বিভিন্ন সার্ভে হয়ে থাকে। দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের জনগন কতটা সন্তুষ্ট এটা জানার জন্য সরকার এই সার্ভে গুলো করে থাকে। তবে বড় বড় কোম্পানিগুলোই বেশির ভাগ অনলাইন সার্ভের ব্যবস্থা করে থাকে।
এইসব সার্ভে সাধারনত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই এসব সার্ভে করে প্রতি মাসে ভালো অঙ্কের একটি ইনকাম করে ফেলতে পারেন। বড় বড় কোম্পানিগুলো তো একটি সার্ভের জন্য ১০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করে থাকে। এইসব সার্ভে গুলো নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
এর জন্য আপনাকে প্রথমে ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনার সব ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট আপডেট করে নিলেই আপনি কয়াজ শুরু করার জন্য প্রস্তুত। তবে প্রতিটি সার্ভেতেই আপনি কুয়ালিফাই হতে পারবেন না। শুধু মাত্র যে সার্ভে গুলো আপনার অ্যাকাউন্ট-এ দেওয়া তথ্যের সাথে মিলবে সেগুলোই আপনি করতে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে
বিকাশের মতো অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা যায় কি না। সত্যি কথা বলতে বিকাশের মতোই একদম সহজ করে এক কথায় যদি উত্তর দিতে হয় তাহলে বলবো ‘না’। আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না।
উপরে অনলাইন থেকে আয়ের যে বিষয়গুলো সর্ম্পকে আমরা আলোচনা করেছি সেই কাজগুলি করতে গেলে কিন্তু একটি মোবাইলের থেকে একটি কম্পিউটার হলেই আপনার জন্য বেশি ভালো হবে।
আমি বলছি না যে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে একদমই আয় করা যাবে না। অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছেন যারা শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ভিডিও করেই আজকে অনেক লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ভিউস পেয়েছেন।
এমনও অনেকে রয়েছেন যারা শুধুমাত্র একটি মোবাইল দিয়েই ফেসবুক একটি পেজ পরিচালনার মাধ্যমে তাদের অনলাইন ব্যবসা দিনকে দিন বড় করেই তুলছেন।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই অনলাইন থেকে ভালো আয় করতে চান তাহলে কিন্তু আপনার অবশ্যই একটি ভালো মানের কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে। নতুবা আপনার পক্ষে প্রফেশনালভাবে অনলাইনে কাজ করাটা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যাবে।
শেষ কথা
অনলাইন ইনকাম (Online Income) বর্তমানে বহুল প্রচলিত একটি বিষয় যা ঘরে বসে ইনকাম এবং নিজেই নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম একটি মাধ্যম। হাজার হাজার বেকার যুবক এখন বসে না থেকে এই পথে নেমেছে। যাহোক, এই ছিলো মূলত আমাদের আজকের আলোচনা।
আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সাররা থেকে শুরু করে অনেক মানুষই বর্তমানে অনলাইন ইনকামের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের অনলাইন ইনকাম সাইটগুলোর মধ্যেও অনেক ভালো সাইট রয়েছে যেগুলো আজকাল বেশ ভালো করছে।
একটু কষ্ট করে কিছুটা রির্সাচ করলেই আপনি এ সর্ম্পকে আরো বিস্তারিত জানতে পারবনে। মোটামুটি এই হচ্ছে অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর হাতেখড়ি বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা।
আমরা এখানে অনলাইন আয় এর সেরা ১০টি উপায় এবং বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এখন সিদ্ধান্ত নেবার পালা আপনার যা আপনি কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে চাচ্ছেন।
আশা করি এই আর্টিকেলটিতে আলোচিত সকল বিষয়ই আপনারা সম্পূর্ণভাবে বুঝেছেন। তারপরও যদি কোনো বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে সেটি কমেন্ট বাক্সে জানাতে ভুলবেন না আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনার একটুও উপকার ক্রে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। শুভ হোক আপনার অনলাইন যাত্রা। ধন্যবাদ।
একতার কণ্ঠঃ শীতকালে সাধারণত তাপমাত্রা অনেকটাই কম থাকে এবং আবহাওয়া থাকে শুষ্ক। আর এ সময়টায় দেখা দেওয়া সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে— ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া।
এ সময়টায় অনেকের উজ্জ্বল ত্বকও গ্রীষ্মের রোদের মতো শুকনো ও খিটখিটে ত্বকে রূপান্তরিত হয়। আর এমন ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাতে চুলকানি এবং লালভাবও দেখা দিতে পারে।
ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে অনেকেই অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু শুধু এটুকুতেই যথেষ্ট নয়। ত্বককে ভালো রাখতে জানুন কেন ত্বক শুষ্ক হয় আর সেই অনুযায়ী কিছু অভ্যাসের পরিবর্তনেই আপনার ত্বক আরও ভালো থাকতে পারে। শীতকালে যে ৫ কারণে ত্বক হয়ে যেতে পারে শুষ্ক তা নিয়েই রইল আজকের টিপস—
১. অতিরিক্ত ত্বক ধোয়ার কারণে
আপনার মুখ অতিরিক্ত পরিমাণে ধোয়ার কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং ফ্যাক্টর হারিয়ে যায়। আর এটি পরবর্তী ছয় ঘণ্টা ত্বকে আর ফিরে আসে না। ত্বক ধোয়ার পরে ময়েশ্চারাইজ না করা হয়, তা হলে আপনার ত্বক তার সব প্রাকৃতিক তেল হারিয়ে ফেলতে পারে, যা এটিকে টানটান ও শুষ্ক করে তোলে।
তাই আপনার যখন প্রয়োজন শুধু তখনই ত্বক পরিষ্কার করুন। আর ত্বক পরিষ্কারের পরে অবশ্যই ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে নিতে হবে।
২. গরম পনি দিয়ে গোসল করলে
শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করা আরামদায়ক হলেও এটির একটি খারাপ দিক রয়েছে। আর তা হচ্ছে অত্যধিক গরম পানি আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এবং শীতকালে ত্বক শুষ্ক রাখতে পারে। এ ছাড়া এটি আপনার ত্বককে লাল, ফ্ল্যাকি এবং সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে গরম পানি দিয়ে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে পারেন।
৩. ত্বকে রাসায়নিকের ব্যবহার
ত্বকের মৃত কোষ ও ময়লা দূর করতে এক্সফোলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ হলেও বেশি পরিমাণে স্ক্রাব বা রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে। তাই ত্বকে যতটা সম্ভব কম রাসায়নিক ব্যবহার করতে হবে আর স্ক্রাব বা পরিষ্কার করার পরেই ময়শ্চারাইজ করতে ভুলবেন না।
৪. পর্যাপ্ত পানির অভাবে
শীতকালে আপনি কী পরিমাণে পানি পান করছেন তার ওপর নজর রাখতে হবে। কারণ সঠিক হাইড্রেশন না হলেও ত্বকের শুষ্কতা বেশি দেখা দিতে পারে ও ত্বক ক্র্যাক করতে থাকে। তাই ত্বকের সুরক্ষার জন্য হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
৫. ত্বকে সঠিক ময়শ্চারাইজিং
শীতকালে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল অনেক সময় কমে যেতে পারে। তাই এ সময় ত্বকে সঠিক ময়শ্চারাইজিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ময়শ্চারাইজিং করলে তা ত্বকের প্রাকৃতিক তেলকে লক করতে সাহায্য করতে পারে ও ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারে।
একতার কণ্ঠঃ মাত্র ৭১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ডিমসহ মোরগ পোলাও। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বাজারে এমন উদ্যোগ অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটিই সত্য। প্রায় তিন মাস ধরে ভ্রাম্যমাণ হোটেলটি পরিচালিত হচ্ছে টাঙ্গাইল পাসপোর্ট ও নির্বাচন অফিস চত্বরে।
‘রাযীয বিরিয়ানি’ নামে ভ্রাম্যমাণ ওই হোটেলটি গড়ে তুলেছেন স্থানীয় তিন যুবক। কমমূল্যে সুস্বাদু মোরগ পোলাও বিক্রির এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রেতাসহ স্থানীয়রা।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মাহুতি আর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ এর মূল্য ৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ৭১ টাকায় ডিমসহ মোরগ পোলাও বিক্রির ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগে ৭০ টাকা রেখে বাকি ১ টাকা জমা করে হতদরিদ্রদের মাঝে খাবার সরবরাহ করছেন উদ্যোক্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল পাসপোর্ট ও নির্বাচন অফিস চত্বরে খোলা জায়গায় বসেছে ভ্রাম্যমাণ রাযীয বিরিয়ানি নামের হোটেলটি। ১০-১২টি প্লাস্টিকের টুল রাখা হয়েছে ক্রেতাদের জন্য। এর কয়েকটিতে বসে ক্রেতারা খাচ্ছেন। খাওয়া শেষে প্লাস্টিক জারে পানির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কোনো বাবুর্চি বা শ্রমিক নেই হোটেলটিতে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, হাজী বিরিয়ানি হাউজে ডিমসহ মোরগ পোলাও হাফ প্লেট ১৫০ আর ফুল প্লেট ৩০০ টাকা, নান্না বিরিয়ানিতে শাহী মোরগ পোলাও হাফ প্লেট ১৫০ আর ফুল প্লেট ২৮০ টাকা, নবাব বিরিয়ানি হাউজে মোরগ পোলাও হাফ প্লেট ১৪০ টাকা আর স্পেশাল শাহী বিরিয়ানি হাউজে মোরগ পোলাও বিক্রি হচ্ছে হাফ প্লেট ১৪০ আর ফুল প্লেট ২৮০ টাকায়।
এদিকে রাযীয বিরিয়ানির উদ্যোক্তা কালিহাতীর এলেঙ্গা শামসুল হক মহাবিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ জানান, টাঙ্গাইল পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের হাউজিং এলাকার বাসিন্দা বড় ভাই রাজীব হোসেন, সাদিক আর আমি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছি। তবে কারও চাকরি ভালো লাগেনি। এ কারণে আমরা বাড়িতে ফিরে আসি। আমাদের উপার্জনসহ সমাজের জন্য কিছু করার কথা মাথায় আসে। ভাবনা থেকেই হোটেল করা আর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মাহুতি ও ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ আমাদের ভ্রাম্যমাণ হোটেলে মোরগ পোলাওয়ের দাম নির্ধারণ হয়েছে ৭১ টাকা। এর মধ্যে ১ টাকা অবহেলিত ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রতিদিনই খেতে না পারা ওই ব্যক্তিদের দেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি জমা হওয়া ১ টাকা থেকে খাবার।
তিনি আরও জানান, সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার ব্যতীত পাঁচদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এই হোটেল। হোটেলে গড়ে প্রতিদিন তাদের ১০-১২ কেজি চালের মোরগ পোলাও বিক্রি হচ্ছে। এই পরিমাণ চালে ১০০-১২০ প্লেট মোরগ পোলাও হয়।
স্পেশাল শাহী দম বিরিয়ানি নামের মোরগ পোলাও তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে চিনিগুড়া চাল, ব্রয়লার মুরগি ও সরিষার তেল। এক প্লেট মোরগ পোলাওয়ে দেওয়া হচ্ছে পোলাওসহ এক টুকরো মুরগির মাংস, হাফ ডিম, লেবু আর শসা। নিজেরাই রান্না করাসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করায় এত কম টাকায় বিক্রির পরও তাদের লাভ হচ্ছে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ বলেও জানান এ উদ্যোক্তা।
টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসের গ্রাহক ও হোটেলের ক্রেতা গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল গ্রামের সুমী বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য ৭১ টাকায় বিরিয়ানি মানে অনেক কিছু। এই বিরিয়ানি যদি আমরা হোটেল বা রেস্তোরাঁয় খেতে যাই তাহলে সর্বনিম্ন বিল হবে ১৪০-১৮০ টাকা। পরিবেশসহ খাবারের মানও ভালো। সরিষার তেল দিয়ে খাবারটি রান্না করায় এটি খুবই স্বাস্থ্যসম্মত।
পাসপোর্ট অফিসে আসা আরেক গ্রাহক ও হোটেলের ক্রেতা এম রতন মিয়া বলেন, টাঙ্গাইল ফুডিস নামের একটি গ্রুপে এই হোটেলটির খোঁজ পাই। বেশ কয়েকবার এই হোটেলের মোরগ পোলাও খেয়েছি। খুবই মানসম্মত। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) পাসপোর্ট অফিসে কয়েকজন বন্ধু মিলে এসেছি। এই সুযোগে পাঁচ প্যাকেট নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অনেকেই ভাবতে পারেন এই মোরগ পোলাওয়ের দাম কম তাই মান ভালো হবে না। তাদের বলছি, এমনটা নয়। এই হোটেলের মোরগ পোলাও খুবই মানসম্মত ও সুস্বাদু। রিকশা, ভ্যানচালকসহ সব শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা হয়েছে এই মোরগ পোলাওয়ের দাম।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ এই হোটেলের মালিক রাজীব হোসেন জানান, মানুষকে কম দামে ভালো খাবার দেওয়ার জন্য আমরা এটি প্রাথমিকভাবে শুরু করি। শুরুর পর থেকেই আমরা ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাই। এরই মধ্যে ক্রেতারা এর মান ভালো বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, প্রকৃত বাবুর্চি না হওয়ায় প্রথম দিকে রান্নায় কিছুটা সমস্যা হলেও আড়াই মাসের বেশি সময় হওয়ায় এখন আমরা মানসম্মত রান্না করতে পারছি। এ খাবার প্রতিদিন দুপুরে আমরাও খাই।
একতার কণ্ঠঃ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। ইতিমধ্যে এটি সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে।
উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯-১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোন’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে হারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।
এদিকে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অনেকের মনে যেমন ভীতি তৈরি হয়েছে, তেমনি কৌতুহলও তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘সিত্রাং’ কেন তা নিয়ে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সিত্রাং’ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। ভিয়েতনামিজ ভাষায় যার অর্থ ‘পাতা’। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের আনুষ্ঠানিক নামকরণের দায়িত্ব ছিল থাইল্যান্ডের।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নামকরণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন।
এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে রাখে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘সিত্রাং’।
ঘূর্ণিঝড়ের নামের ওই তালিকা থেকে এর আগে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশের দেয়া ‘ফণী’, পাকিস্তানের ‘তিতলি’, মালদ্বীপের ‘আইলা’, থাইল্যান্ডের ‘আম্ফান’। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণও করেছে থাইল্যান্ড। এমনকি সিত্রাংয়ের পরবর্তী ঝড়ের নামও ঠিক করা আছে আগে থেকেই। এরপরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘মন্দোস’। যার নামকরণ করেছে সৌদি আরব। এরপরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মোচা’। যেটি ইয়েমেনের দেয়া।
একতার কণ্ঠঃ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি, উচ্চ রক্তচাপ এবং দুশ্চিন্তা থেকে এই রোগগুলো হয়ে থাকে। রোগী স্ট্রোক করলে আমরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ি।
আবার অনেকে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক গুলিয়ে ফেলেন। অনেকের ধারণা স্ট্রোক হার্টে হয়, আসলে স্ট্রোক হয় ব্রেইনে। হার্টে হলে বলে হার্ট এটার্ক। ব্রেইনে কোনো কারণে রক্ত সরবরাহ বিঘ্ন হলে রক্তের অভাবে কিছু ব্রেইন টিস্যু মারা যায়, এটাই স্ট্রোক।
স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক বুঝার লক্ষণ ও করণীয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কনসালট্যান্ট ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. সাইফুল ইসলাম।
স্ট্রোকের সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলে জীবনরক্ষা সম্ভব। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা সেটা বুঝতে পারি না, ফলে হাসপাতালে নিতে দেরি হয়ে, যায় ফলে স্ট্রোকের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং স্ট্রোক পরবর্তী সমস্যাও আরও বেড়ে যায়।
প্রথমত আপনাকে FAST শব্দটি দ্বারা স্ট্রোক হয়েছে কিনা নিশ্চিত হোন।
* F=Face (মুখ), স্ট্রোকের সঙ্গে সঙ্গে মুখ বেঁকে যায়।
* A=Arm (হাত) শরীরের যে কোনো এক পাশের হাত পা প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
* S= Speech (কথা) কথা বলতে সমস্যা হয়।
* T= Time to call 999 for Ambulance।
আপনি FAST শব্দটি দ্বারা বুঝতে পারলেন, আপনার নিকটজন স্ট্রোক করছে এবং অ্যাম্বুলেন্স কল দিয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।
কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসা পর্যন্ত এখন আপনি কী করবেন
* রোগীর যদি জ্ঞান থাকে তাহলে এক পাশ করে শুইয়ে দিন। প্যারালাইসিস অংশ ওপরে থাকবে, সুস্থ অংশ বিছানার সঙ্গে নিচে থাকবে। একটি উঁচু বালিশ বা দুটি বালিশ দিয়ে মাথা ওপরের দিকে রাখবেন। অবশ্যই মাথা এবং প্যারালাইসিস হাতকে সাপোর্ট দিয়ে রাখবেন। লক্ষ্য রাখবেন, প্যারালাইসিস হাত যেন না ঝুলে থাকে।
* কোনোভাবেই প্যারালাইসিস হাতকে নিয়ে টানাটানি করবেন না। এতে করে পরবর্তীতে সোল্ডার সাবলাক্সেশন হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ঘটনা হয়ে থাকে। ফলে ওই রোগী পরবর্তীতে ভালো করা কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে হাতের ফাংশন বাধাগ্রস্ত হয়।
* স্ট্রোক করা রোগীকে কোনো কিছু খেতে দেবেন না, এমন কি পান করতেও দেবেন না।
* শরীরে কোনো টাইট কাপড় পরা থাকলে খুলে দিবেন, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে রোগীর কোনো অসুবিধা না হয়।
* রোগী যদি অজ্ঞান থাকে, তাহলে ভালো পাশে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস চেক করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস ওকে থাকলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করুন।
* আরও যদি শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পালস পাওয়া না যায় সিপিআর (CPR-Cardiopulmonary Resuscitation) শুরু করতে পারেন। যদি আপনার জানা থাকে। আর জানা না থাকলে আপনার নিকটবর্তী হেলথ কেয়ার প্রফেশনালের সহযোগিতা নিতে পারেন।
একতার কণ্ঠঃ অসুখ-বিসুখের মধ্যেই এখন আমাদের বসবাস। মরণঘাতি সংক্রমণের চোখ রাঙানিকে সঙ্গী করে চলছি প্রতিদিন।
শারীরিক অসুস্থতার পাশপাশি মানসিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়ছেন অনেকে, মহামারির ধাক্কা সামলানো তো সহজ কথা নয়! শারীরিকভাবেও সারাক্ষণ দুর্বল বোধ করছেন বেশিরভাগই। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে এমনটা হতে পারে। খাবার খেলেও তাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির কতটা থাকে, সে বিষয়ে আমরা বেশিরভাগই জানি না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা খাবারের প্রতিই সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হই। খাবারের থেকে বেশি স্বস্তি আর কোনোকিছুই দিতে পারে না। সঠিক খাবার শরীরে পৌঁছালে মানসিক চাপ কমে, ভালো থাকে শরীর ও মন। তাই অসুখ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সঠিক খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। আপনার যদি সারাক্ষণই দুর্বল লাগে তবে খাবারের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয় একটি খাবার। দুর্বলতা দূর করার জন্য সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছ খাওয়া উচিত। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার নিয়মিত খাবেন। মানসিক চাপ কমাতে কাজ করে মাছের তেল। সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছ খেলে তা হরমোনের ক্ষরণের মাত্রাও ঠিক রাখে। সেইসঙ্গে বাড়ায় হজমক্ষমতাও।
ফার্মেন্টেড খাবার
দুর্বলতা কাটাতে বিশেষজ্ঞরা ফার্মেন্টেড খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। ফার্মেন্টেড হলো সঠিক উপায়ে ফাঁপানো খাবার। সেইসঙ্গে খেতে হবে প্রো বায়োটিক খাবার। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর এ জাতীয় খাবার খাওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন এই সমৃদ্ধ খাবারগুলো। প্রতিদিন দুপুরের খাবারের পর এক বাটি টকদই খেয়ে নেবেন।
অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবার
শরীরের ভেতরে সৃস্থ প্রদাহ কমাতে কাজ করে এমন খাবার খাওয়া জরুরি। সেজন্য পাতে রাখুন অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবার। শরীরের প্রদাহ কমিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে এসব খাবার। হলুদ, ডাবের পানি ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ফাইবারযুক্ত খাবার
এসময়ে ফাইবারযুক্ত খাবার খাবেন বেশি বেশি। কারণ ফাইবার আমাদের স্নায়ুকে সতেজ করে এবং সেইসঙ্গে বাড়ায় মানসিক কার্যক্ষমতা। বিভিন্ন শাক-সবজি ও শস্য জাতীয় খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাবারে। এতে শরীর ভালো থাকবে, দূর হবে দুর্বলতা। আপনি যেকোনো কাজ করার শক্তি ফিরে পাবেন।
মাল্টি ভিটামিন
আমাদের শরীর ও মন ভালো রাখতে প্রয়োজন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাল্টি ভিটামিন। শরীর ঝরঝরে রাখতে এবং দুর্বলতা দূর করতে ভিটামিনের বিকল্প নেই। উদ্বেগ ও অস্থিরতা কমিয়ে সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে মাল্টি ভিটামিন খাবেন। যদি সাপ্লিমেন্টের দরকার হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।