/ হোম / লাইফ স্টাইল
যেসব কারণে মানুষ কোমায় চলে যান - Ekotar Kantho

যেসব কারণে মানুষ কোমায় চলে যান

একতার কণ্ঠঃ কোমা শব্দটির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। মূলত কোমা হচ্ছে এমন একটি পরিস্থিতি যেটি দীর্ঘস্থায়ী অচেতনতা বা অজ্ঞান হয়ে থাকার মতো অবস্থার সৃষ্টি করে। এমনটি হলে মানুষের চেতনা কাজ করে না। তাই তারা জেগেও উঠতে পারে না।

এ সমস্যাটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বিশেষ করে মাথায় জোরে আঘাত পেলে, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, বিভিন্ন ড্রাগ বা অ্যালকোহল গ্রহন বা নেশা, ডায়বেটিস বা বিভিন্ন অন্তর্নিহিত অসুস্থতার কারণেও এটি হতে পারে।

কোমা হচ্ছে একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি অবস্থা। এটি হলে তা সেরে ওঠাও অনেক কষ্টকর। আর এটি মস্তিষ্ককে অকেজো করে দেওয়া ও মৃত্যু ঘটানোর মতো পর্যায়ে যেতে পারে। তাই জীবন এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সংরক্ষণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এ জন্য নিজেকে সচেতন রাখতে জেনে নিন যেসব কারণে চলে যেতে পরেন কোমায়—

১. মস্কিষ্কে আঘাত
বেশিরভাগ কোমাই মস্তিষ্কে সজোরে আঘাত পাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। তাই সচেতন থাকতে হবে যাতে মস্তিষ্কে আঘাত না লাগে।

২. স্ট্রোক
মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ হ্রাস বা বাধাগ্রস্ত হলে, রক্তবাহী ধমনীর পথ সংকীর্ণ হলে বা রক্তনালী ফেটে গেলে স্ট্রোক হয়। আর এ রকম বড় ধরণের স্ট্রোকের কারণে মানুষ কোমায় চলে যেতে পারে।

৩.টিউমার
মস্তিষ্কের ভিতর অনেকের টিউমার হয়ে তাকে। আর এ ধরনের টিউমারের কারণে অনেক সময় রোগীকে কোমায় চলে যেতে হতে পারে।

৪. ডায়াবেটিস
ডায়বেটিসের সময়ে রক্তে শর্করার মাত্রা হটাৎ খুব বেশি হয়ে গেলে অথবা খুব কম হয়ে গেলে কোমা হতে পারে।

৫. অক্সিজেনের অভাব
ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করা অথবা হার্ট অ্যাটাকের পরে পুনরুজ্জীবিত হওয়া ব্যাক্তিদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে পারে। আর এর ফলেও কোমা হতে পারে।

৬. সংক্রমণ
এনসেফালাইটিস এবং মেনিনজাইটিসের মতো সংক্রমণের ফলে মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ডের কর্ড বা মস্তিষ্কের চারপাশের টিস্যু ফুলে যায়। আর এমন সংক্রমণের গুরুতর ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি বা কোমা হতে পারে।

৭. খিঁচুনি
খিঁচুনির মাত্রা অনেক বেড়ে গেলে বা গুরুতর হয়ে গেলে অনেকে কোমায় চলে যেতে পারেন।

৮. টক্সিন
কার্বন মনোক্সাইড বা সীসার মতো বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং এর পরিণতিতে কোমায় চলে যেতে পারেন।

৯. মাদক এবং অ্যালকোহল
বিভিন্ন ওষুধ, নেশাজাত দ্রব্য এবং অ্যালকোহল অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণের কারণে অনেকে কোমায় চলে যেতে পারেন।

সংবাদ সূত্র- যুগান্তর আনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. নভেম্বর ২০২১ ০৭:৩৪:পিএম ৩ বছর আগে
দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য জানা গেল নতুন গবেষণায় - Ekotar Kantho

দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য জানা গেল নতুন গবেষণায়

একতার কণ্ঠঃ নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, যেসব মানুষ প্রক্রিয়াজাত মাংস, রেডমিট, চিনি বেশি খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়ে যায় এবং তাদের হৃদরোগের ঝুঁকিও অন্যদের তুলনায় বাড়ে ২২ শতাংশ।

নতুন গবেষণাটিতে আরো জানা গেছে, যারা খাদ্যশস্য, শিম জাতীয় খাবার, মাছ, সবজি বেশি খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি ও হৃদরোগের হার যথাক্রমে ১৭ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ কমে যায়। গবেষণাপত্রটি আমেরিকান জার্নাল ‘সার্কুলেশন’ এ প্রকাশিত হয়েছে।

খাবার ও দীর্ঘায়ুর সম্পর্ক: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বার বার এটা বলে আসছেন- আমরা যা খাই, তার সঙ্গে সার্বিক সুস্থ থাকার ব্যাপারটা জড়িত। নতুন প্রকাশিত গবেষণাটির জন্য গবেষকরা বিশ্বের সেসব এলাকায় জরিপ চালিয়েছেন যেখানে মানুষ বেশি দিন বাঁচে। আর সেই গবেষণায় জানা গেছে সেসব এলাকার মানুষ সবাই প্রায় একই ধরনের খাবার খান, যা তাদের দীর্ঘায়ুর গোপন রহস্য। বিশ্বের সেসব এলাকাকে ব্লু জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেখানকার মানুষরা সাধারণত শিম জাতীয় খাবার বেশি খান।

ব্লু জোন ডায়েট কী?: ব্লু জোন হলো বিশ্বের কয়েকটি স্থান যেখানকার মানুষ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন ও যাদের আয়ু বেশি হয়। সেসব এলাকার মধ্যে আছে- গ্রিসের ইকারিয়া দ্বীপ, ইতালির সার্ডিনিয়া, জাপানের ওকিনাওয়া, কোস্টারিকার নিকোয়া উপত্যকা। সেখানকার মানুষদের খাদ্য তালিকায় আছে উদ্ভিজ্জ খাবার, যাতে প্রতিদিনের খাবারের ৯৫ শতাংশই হয় সবজি, ফল, খাদ্যশস্য ও শিমজাতীয় খাবার। ব্লু জোন এলাকার মানুষজন সাধারণত মাংস, দুধ ও চিনি জাতীয় খাবার ও কোমল পানীয় পরিহার করেন। প্রক্রিয়াজাত খাবারও খান না সেসব এলাকার মানুষ।

শিম জাতীয় খাবার কীভাবে আয়ু বাড়ায়?: ব্লু জোন এলাকার মানুষরা সাধারণত প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ শিম জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। শিম জাতীয় খাবার যেমন- শিম, মটর, ছোলা আর ডাল খান ব্লু জোন এলাকার মানুষ। আর সেসব খাবারে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে বেশি, চিনি ও ফ্যাট থাকে কম। প্রোটিন শরীরের মাংসপেশি তৈরি করে, ওজন ঠিক রাখে। আর ফাইবার হাইপার টেনশন, হজমের সমস্যা, ডায়াবেটিসের সমস্যা, হতাশা দূর করে। শিমে পলিফেনল নামের একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, গবেষকরা বলছেন আয়ু বাড়ার ক্ষেত্রে এটি বেশ সহায়ক।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. নভেম্বর ২০২১ ০৩:২৪:এএম ৩ বছর আগে
হাড়ের ক্ষতি হতে পারে যেসব খাবারে - Ekotar Kantho

হাড়ের ক্ষতি হতে পারে যেসব খাবারে

একতার কণ্ঠঃ বর্তমানে হাড়ের সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে বয়স বেড়ে গেলে এ সমস্যাটি আরও বেশি হয়ে ওঠে। এর কারণ হচ্ছে— বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হাড়ও ক্ষয় হতে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যালসিয়াম ও ফসফেট এমন দুটি খনিজ, যা স্বাভাবিক হাড় গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমাদের বাড়ন্ত বয়সে ও যৌবন সময়ে শরীর হাড় গঠন করতে এ খনিজগুলো কাজ করে।

এমনও অনেক খাবার আছে যেগুলো হাড়ের ক্ষতি করে। সচেতন হতে আজ জানুন এমন কিছু খাবার যেগুলো হাড়ের ক্ষতি করে-

১. লবণ
অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম কমে যেতে পারে। আমাদের শরীরে প্রতিদিন ২৪০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম প্রয়োজন। আমরা যে কেবল খাবার লবণের মাধ্যমে সোডিয়াম গ্রহণ করি তা কিন্তু নয়। কিছু খাবারে প্রাকৃতিকভাবে লবণ থাকে, যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত সোডিয়াম চলে আসতে পারে। তাই ক্যালসিয়ামের ক্ষতি এড়াতে পরিমিত পরিমাণে লবণ খেতে হবে।

২. সোডা
মিষ্টিযুক্ত কোমল পানীয় ও বায়ুযুক্ত পানীয় শরীরে ক্যালসিয়ামের ক্ষয় ঘটায় এবং তা প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। এসব পানীয়তে ফসফরিক অ্যাসিড থাকায় তা ক্যালসিয়ামের দ্রুত ক্ষতি হতে পারে।

৩. ক্যাফেইন
প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন শরীরে গেলে তা কিছু ক্যালসিয়ামের ক্ষতি করতে পারে। শুধু কফির মাধ্যমেই শরীরে ক্যাফেইন খাওয়া হয় তা কিন্তু নয়। বরং কিছু আইসড টি, এনার্জি ড্রিংকস এবং অন্যান্য পানীয়র মাধ্যমেও ক্যাফেইন শরীরে যেতে পারে।

৪. অ্যালকোহল
অ্যালকোহল শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণকে বাধা দেয় এবং হাড় গঠনের খনিজগুলোকে সঠিকভাবে শোষণ করতে বাধা দেয়। এর কারণে হাড় দ্রুত দুর্বল হয়ে যায়। এ ছাড়া হাড় ফ্রাকচার হলে তা নিরাময়ের সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে অ্যালকোহল।

সংবাদ সূত্র- যুগান্তর আনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. নভেম্বর ২০২১ ০২:২১:এএম ৩ বছর আগে
আপনার লিভার সুরক্ষিত রাখতে যে ৭টি খাবার খাবেন - Ekotar Kantho

আপনার লিভার সুরক্ষিত রাখতে যে ৭টি খাবার খাবেন

একতার কণ্ঠঃ লিভার আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি আমাদের শরীরে ৫০০টিরও বেশি কাজ করে থাকে। শরীরে রক্ত পরিশোধন, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া, হজমের জন্য পিত্ত উৎপন্ন করা, শরীরে ভিটামিন এ, ডি, ইসহ বিভিন্ন উপাদান ধরে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে লিভার।

ক্যালিফোর্নিয়ার হেলথউইনস কোচিং অ্যান্ড কনসালটিংয়ের মালিক ও নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদ জানা মোয়ারার বলছেন, কার্যত শ্বাস নেওয়া ছাড়া শরীরের সব কিছু করতে লিভার গুরুত্বপূর্ণ।

তাই নিজেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ রাখতে লিভার ভালো রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ জানুন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার লিভার ভালো রাখতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

খাবার গুলো হলঃ

১. কফি
কফি আমাদের লিভারের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করতে পারে। ডায়েটিশিয়ান জেমি হিকির বলছেন, কফি দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগ, সিরোসিস— এমনকি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে চিনি ছাড়া ও ব্ল্যাক কফি খেলে এটি চর্বি এবং কোলাজেন উৎপাদনে বাধা দিয়ে লিভারকে সাহায্য করে।

২. বেরিজাতীয় ফল
বিভিন্ন বেরিজাতীয় ফল যদিও আমাদের দেশে অতোটা প্রচলিত না, তার পরও এখন এসব ফলের দেখা মেলে বাজারে। এর মধ্যে রয়েছে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাম্পবেরি ইত্যাদি। এসব ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও পানি থাকে। এ কারণে এসব ফলগুলো লিভারের জন্য অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে।

৩. চর্বিযুক্ত মাছ
মাছের ফ্যাট বা চর্বি লিভারের জন্য অনেক উপকারী। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় তা লিভারের জন্য অনেক ভালো। ট্যাম্পার গ্যাস্ট্রো এমডির সহকারী চিকিত্সক কাইল হ্যারিস বলছেন, রাতের খাবারে চর্বিযুক্ত মাছ লিবারের জন্য অনেক উপকারি হতে পারে।

৪. পানি
পানি আমাদের কাছে অনেক সাধারণ মনে হলেও এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে এটি লিভারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পানি আমাদের শরীরে খাবারকে হজম করতে সাহার্য করে এবং লিভারকে তার কাজ ভালোভাবে করতে সহায়তা করে।

৫. অলিভ ওয়েল
যদিও আমাদের দেশে খাবারের জন্য অলিভ ওয়েল অতোটা প্রচলিত না, তবে এটি লিভারের জন্য অনেক উপকারী। এতে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যেটি লিভার ও শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

৬. বাদাম ও শশ্য
বিভিন্ন বাদাম ও মটরশুটি, মশুর ডাল, চিনাবাদাম ইত্যাদি শশ্যের মিশ্রণে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ কারণে এগুলো লিভারের জন্য উপকারী হওয়ার পাশাপাশি হার্টেরও অনেক উপকার করে বলে বলছেন হিকি।

ওয়ার্ল্ড জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, আখরোট জাতীয় বাদাম লিভারের রোগে আক্রান্তদের সুস্থতায় বেশ সাহায্য করতে পারে।

তথ্যসূত্র: ইউএস নিউজ ডটকম

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. অক্টোবর ২০২১ ০১:১৮:এএম ৩ বছর আগে
প্রোটেক্ট না করলে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক আইডি - Ekotar Kantho

প্রোটেক্ট না করলে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক আইডি

একতার কণ্ঠঃ বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি ফেসবুক ব্যবহারকারীরা একটি নোটিফিকেশন পাচ্ছেন। যা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। অ্যাকাউন্ট নিরাপদে রাখতে ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ করতে হবে এমন বার্তা পাচ্ছেন অনেকে। এ ফিচার চালু না করলে লক হবে অ্যাকাউন্ট, এমনটাই জানাচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুক জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে একটি ফিচার ‘টার্ন অন’ বা ‘চালু’ না করলে অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে যাবে। মূলত অ্যাকাউন্টকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে নতুন একটি ফিচার আনছেন তারা। এটি একটি ভলান্টারি প্রোগ্রাম, যা নির্বাচনী প্রার্থী, তাদের প্রচারণা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অ্যাকাউন্টকে বাড়তি সুরক্ষা দেবে।

অনেকেরই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে। হ্যাকাররা মূলত যে অ্যাকাউন্টগুলোর অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে, গুরুত্বপূর্ণ পেজ পরিচালনা করে কিংবা যার কমিউনিটি গুরুত্ব রয়েছে; সেগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়। এ ধরনের টার্গেটেড অ্যাটাক বা উদ্দেশ্যপূর্ণ হামলা রোধ করতেই উন্নত নিরাপত্তার প্রোগ্রামটি চালু করার অনুরোধ করেছে ফেসবুক।

আইডি প্রোটেক্ট করবেন যেভাবে
যারা ফিচারটি চালু করতে পারবেন, তারা ফেসবুকের মাধ্যমেই তা জানতে পারবেন। যারা এর আওতায় পড়বেন, তারা ফেসবুকের সেটিংসে গিয়ে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগ-ইন অপশনে গেলে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে অপশন পাবেন। সেখান থেকে ফেসবুক প্রোটেক্ট অপশন অন করা যাবে।

এছাড়াও ফিচার চালু করতে ফেসবুকে প্রবেশ করলে কোড যাবে ব্যবহারকারীর নাম্বারে। সেটি দেওয়ার পর আগের মতোই ফেসবুক চালাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির নির্বাচনের সময় সেখানকার প্রার্থীদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছিল। পরে এটি কানাডায় চালু করা হয়। ২০২১ সালে এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশে কেউ কেউ এ ধরনের নোটিফিকেশন বা ই-মেইল পেয়েছেন বলে জানা গেছে। আবার অনেকেই এ ধরনের নোটিফিকেশন পাননি। তবে এ বিষয়ে আপডেটও ফেসবুকের মাধ্যমেই জানানো হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।

সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. অক্টোবর ২০২১ ০২:৩৩:এএম ৩ বছর আগে
আন্তর্জাতিক “শিশু শান্তি” পুরস্কারের জন্য মনোনিত হলেন টাঙ্গাইলের সিয়াম - Ekotar Kantho

আন্তর্জাতিক “শিশু শান্তি” পুরস্কারের জন্য মনোনিত হলেন টাঙ্গাইলের সিয়াম

একতার কণ্ঠঃ ২০০৫ সালে রোমে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক সম্মেলন থেকে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার চালু করা হয়।নেদারল্যান্ড ভিত্তিক শিশু অধিকার সংগঠন ‘কিডস রাইটস’ এই পুরস্কার প্রদান করে। প্রতিবছর একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কারটি হস্তান্তর করেন।

এ বছর ‘শিশুদের নোবেল’খ্যাত এই পুরষ্কারটির জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিক ভাবে মনোনিত হয়েছেন টাঙ্গাইলের মেধাবী কিশোর ফিরোজ আহম্মেদ সিয়াম।

১৭ বছর বয়সী সিয়াম এ বছর বাংলাদেশ থেকে তার সংগঠন One Step For Tomorrow এর জন্য মনোনিত হয়েছেন।তিনি Education এবং Violence এই দুই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন। শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে তার সংগঠন। One Step For Tomorrow সংগঠনটির সিইও হওয়ায় ‘কিডস রাইটস’ আর্ন্তজার্তিক এই সংগঠনটি সিয়ামের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে মনোনিত করেছেন।

টাঙ্গাইলের কৃতি কিশোর ফিরোজ আহম্মেদ সিয়াম ঢাকা নটর ডেম কলেজ থেকে এ বছর এইচ এস সি পরীক্ষার্থী।তিনি ২০১৯ সালে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ফাইভ (গোল্ডেন) পেয়ে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেছেন।সিয়াম কিশোর আলো বুক ক্লাব, প্রথম আলো বন্ধুসভা, সেভ দ্যা স্টুডেন্টসহ অনেক সংগঠনের সাথে জড়িত।

দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়, সিয়ামের জন্ম কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের রৌহা গামে। বাবা মুহাম্মদ রমজান আলী , পারখী মনির উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মা ফিরোজা আক্তার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা। ছোট ভাই ফাহাদ আহম্মেদ শাফি টাঙ্গাইল প্রি ক্যাডেট স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র। সিয়ামের পরিবার বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় থাকেন।

এ প্রসঙ্গে ফিরোজ আহম্মেদ সিয়াম বলেন,“ এই অনুভুতি এটা তো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আলহামদুলিল্লাহ, এরকম বিশ্বমঞ্চে নিজেকে দেখতে পেরে আমি অবশ্যই আনন্দিত। আমার বেড়ে ওঠা অজপাড়া গায়ে তাই স্বভাবতই আমার জানা বাংলাদেশের শিশুরা কত প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যায়। ছিন্নমূল শিশুরা কিভাবে দিনাতিপাত করছে। নিজের জায়গা থেকে আমার সংগঠন One Step For Tomorrow এর সকল স্টেপারদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করে যেতে চাই আজীবন। যদিও পুরষ্কার কিংবা সম্মাননা লক্ষ্য নয় তবুও সাদাত ভাই, গ্রেটা কিংবা মালালা ইউসুফজাইয়ের মতো আইকনদের পরবর্তী প্রজন্ম হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। সবাইকে সাথে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে চাই স্বপ্নের পৃথিবী। আজীবন বুকে ধারণ করতে চাই স্টেপার মূলমন্ত্র ” Let’s make dreaming world visual together.

উল্লেখ্য, কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন হল নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অবস্থিত একটি শিশুদের সহায়তা এবং অ্যাডভোকেসি সংস্থা।ফাউন্ডেশনটি ২০০৩ সালে মার্ক দুলার্ট এবং ইনেগ ইকিংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সংস্থাটি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ডেসমন্ড টুটুকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “কিডস রাইটস পুরোপুরি নির্বাককে কণ্ঠ দেওয়ার চেষ্টা করছে।”সংস্থার লক্ষ্য হ’ল বিশ্বজুড়ে দুর্বল শিশুদের সহায়তা ও ক্ষমতায়ন করা, ছোট-ছোট স্থানীয় প্রকল্পগুলির জন্য তহবিল সংগ্রহ করা এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলির মাধ্যমে শিশুদের অধিকারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. অক্টোবর ২০২১ ০১:১৮:এএম ৩ বছর আগে
শান্তিতে নোবেল পেলেন দুই সাংবাদিক - Ekotar Kantho

শান্তিতে নোবেল পেলেন দুই সাংবাদিক

একতার কণ্ঠঃ ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন দুজন সাংবাদিক। তাঁরা হলেন ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ। শুক্রবার(৮ অক্টোবর) নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে এবারের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যা গণতন্ত্র ও টেকসই শান্তির অন্যতম পূর্বশর্ত, তার পক্ষে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মারিয়া ও দিমিত্রিকে এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

১৯৩৫ সালের পর এই প্রথম শান্তিতে নোবেল পেলেন কোনো সাংবাদিক। ১৯৩৫ সালে জার্মান সাংবাদিক কার্ল ফন অসিয়েতস্কি শান্তিতে নোবেল পান।

মারিয়ার ক্ষেত্রে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, তিনি তাঁর জন্মস্থান ফিলিপাইনে ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতার ব্যবহার ও দেশটিতে ক্রমেই বেড়ে চলা কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করছেন।

দিমিত্রি ক্ষেত্রে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, তিনি তাঁর দেশ রাশিয়ায় ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে কয়েক দশক ধরে বাক্‌স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করছেন।

শান্তিতে নোবেলজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির। সব নোবেল পুরস্কার সুইডেনের স্টকহোম থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও শান্তি পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া হয় নরওয়ের অসলো থেকে। কাজটি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছাপত্র অনুযায়ীই করা হয়।

২০২০ সালে শান্তিতে নোবেল পায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ক্ষুধা নিরসনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ডব্লিউএফপিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে। তার আগের বছর ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. অক্টোবর ২০২১ ০২:০৩:এএম ৩ বছর আগে
কিভাবে ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধন করবেন? - Ekotar Kantho

কিভাবে ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধন করবেন?

একতার কণ্ঠঃ জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আমাদের অনেক ভুগান্তির স্বীকার হতে হয়।এখন ডিজিটাল ইউ‌নিয়ন সেন্টার, অনলাইন সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

দোকানে বা নিজ মোবাইলে ঘরে বসে আপনি আপনার নিজের বা শিশুর জন্য জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। আর নয় ঘুরাঘুরি সেবা পাবে নিজ পরিবার।

নিচের লিংক গুলোতে ক্লিক করুন, আপনার প্রয়োজনীয় সেবা নিন।

১) নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
http://bdris.gov.bd/br/application

২) জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন
http://bdris.gov.bd/br/correction

৩) জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান
http://bdris.gov.bd/br/search

৪) জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা
http://bdris.gov.bd/br/application/status

৫) জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
http://bdris.gov.bd/application/print

৬) জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রন
http://bdris.gov.bd/br/reprint

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. অক্টোবর ২০২১ ০৮:৫৫:পিএম ৩ বছর আগে
আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিনত হচ্ছে “টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-মানিকগঞ্জ-ঢাকা সড়ক” - Ekotar Kantho

আঞ্চলিক মহাসড়কে পরিনত হচ্ছে “টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-মানিকগঞ্জ-ঢাকা সড়ক”

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল, দেলদুয়ার, নাগরপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সঙ্গে মানিকগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে স্বল্পতম সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। আর তাই প্রায় ১৪শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার ।মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত চলতি অর্থ বছরের ৫ম একনেক সভায়  টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া-কাওয়ালিয়া-কালামপুর সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করতে ১ হাজার ৪৩৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

একনেক চেয়ারপার্সন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত চলতি অর্থ বছরের ৫ম একনেক সভায় এই প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় যোগ দেন। নগরীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিবর্গ, প্রতিমন্ত্রীগণ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবর্গ ও সচিবগণ সভায় যোগ দেন।

সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প কাজ সম্পন্ন হলে,টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-লাউহাটি-সাটুরিয়া-কাওয়ালিয়া-কালামপুর সড়কে যান চলাচল নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন হবে এবং এতে সময়ও কম লাগবে।সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। 

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, আজকের সভায় ৬ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট নয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।অনুমোদিত ৯টি প্রকল্পের মধ্যে চারটি প্রকল্প নতুন এবং ৫টি প্রকল্প সংশোধিত।

মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৩ হাজার ৭৪২ কোটি ২৯ লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে, ২৬ কোটি ২২ লাখ টাকা সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ২ হাজার ৭৮২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে পাওয়া যাবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প কাজ সম্পন্ন হলে,টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার-লোহাটি-সাটুরিয়া-কাওয়ালিয়া-কালামপুর সড়কে যান চলাচল নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন হবে এবং এতে সময়ও কম লাগবে।সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

বাকি প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ৭৩.৪৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৫টি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও জোরদারকরণ, এক গ্রেড পৃথক ইন্টারসেকশন এবং একটি ইউলুপ অথবা আন্ডারপাস নির্মাণ, ৩১টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, ১৩.২৬ লাখ কিউবিক মিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও ড্রেন নির্মাণ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. অক্টোবর ২০২১ ০১:২৪:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পেশাজীবী গাড়ি চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পেশাজীবী গাড়ি চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি(বিআরটিএ) টাঙ্গাইল সার্কেলের আয়োজনে পেশাজীবী গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মঙ্গলবার(৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী ওই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহমুদ হাসান। টাঙ্গাইল সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. আলতাব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিআরটিএ টাঙ্গাইল সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক বশির উদ্দিন আহমেদ, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই-প্রশাসন) মো. জানে আলম ভূইয়া, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

প্রশিক্ষণে বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহ বিভিন্ন যানবাহনের ১৫০ জন চালক অংশ নেন। চালকদের ট্রাফিক আইন, দুর্ঘটনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা সহ দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. অক্টোবর ২০২১ ০২:৪৭:এএম ৩ বছর আগে
সঞ্চয়পত্র: মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার - Ekotar Kantho

সঞ্চয়পত্র: মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশে পাঁচ ধরণের সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার(২১ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর তথ্য দিয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত এই হার কার্যকর হবে। আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য নতুন এই মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।

ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সাধারণ হিসাবের মুনাফার হার অপরিবর্তিত থাকলেও, মেয়াদী হিসাবের মুনাফার হার কমেছে।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র:

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। নতুন নিয়মে যাদের এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফার হার হবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক:

তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। সেটি এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। আর এই সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ৯ শতাংশ হারে।

পেনশনার সঞ্চয়পত্র

অবসরভোগীদের জন্য নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে এতদিন ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যেত। এখন এই সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ১৫ লাখ টাকার বেশি তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে এই হার হবে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

পরিবার সঞ্চয়পত্র:

পাঁচ বছর মেয়াদি এই সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এখন এই সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার কমিয়ে করা হয়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার সাড়ে ৯ শতাংশ।

ডাকঘর সঞ্চয় পত্রঃ

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে তিন বছর মেয়াদী হিসাবে বর্তমানে মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে মুনাফার হার হবে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে হবে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে বর্তমানে মুনাফার সাড়ে ৭ শতাংশ, এতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত এই হার কার্যকর হবে। আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য নতুন এই মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।

সংবাদ সূত্র- বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১৯:পিএম ৩ বছর আগে
ঘণ্টা বাজছে আরেক বড় প্রতারণার - Ekotar Kantho

ঘণ্টা বাজছে আরেক বড় প্রতারণার

একতার কণ্ঠঃ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে ‘রিং আইডি’। ফেসবুকের মতো এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও বিনামূল্যে ভয়েস ও ভিডিও কল, মেসেজিং ও গোপন চ্যাটিং করা যায়। কানাডায় নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলেও এর প্রায় সব কার্যক্রম বাংলাদেশ ঘিরে। আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম বলা হলেও মূলত বাংলাদেশিদের জন্যই তৈরি হয়েছে রিং আইডি। এখানে সোশ্যাল কমার্স (সামাজিক বাণিজ্য) নামে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বিক্রি করা যায়। এসব পণ্যের দাম বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে চলতি বছরের মার্চে আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থের বিনিময়ে ব্যাপক পরিসরে গ্রাহক বানানোর কাজ শুরু করলে দেখা দেয় সন্দেহ।

অর্থ আয়ের লোভনীয় অফার দিয়ে তরুণ, ছাত্র ও গৃহিণী, বিশেষ করে বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীকে সহজেই আকৃষ্ট করছে কথিত সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মটি। অর্থের বিনিময়ে ‘এজেন্ট’ ও ‘ব্র্যান্ড প্রমোটার’ নামে সদস্য বানিয়ে এরই মধ্যে হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকের এ টাকা লোপাট হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এটিও এক ধরনের পঞ্জি স্কিম। এদের কাজের ধরন বহু স্তর বিপণনের (এমএলএম) সঙ্গে মিলে যায়। রিং আইডি কয়েক মাস আগে একটি ‘সেবা’ চালু করেছে, যার মাধ্যমে শুধু বিজ্ঞাপন দেখেই আয় করা যায়। এ জন্য যারা বিজ্ঞাপন দেখে আয় করতে চান, তাদের একটি আইডি কিনতে হয়। এদের বলা হয় ব্র্যান্ড প্রমোটার। আর এই প্রমোটার সংগ্রহের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় এজেন্ট। এজেন্টদেরও নিয়োগ পেতে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়। এজেন্টরা পান বিভিন্ন ধরনের কমিশন।
কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম দম্পতি রিং আইডির প্রতিষ্ঠাতা। প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র অফিস ঢাকার গুলশানে; যেখানে ৫০ জনের মতো কর্মী কাজ করছেন। রিং আইডি কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের প্ল্যাটফর্মে দুই কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন, যাদের ৯৫ ভাগই বাংলাদেশি।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ ‘কমিউনিটি জব’ নামে বিশেষ সেবা চালু করে রিং আইডি। এর আওতায় এজেন্ট ও ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরই মধ্যে কয়েক হাজার এজেন্টের পাশাপাশি পাঁচ লক্ষাধিক ব্র্যান্ড প্রমোটার যুক্ত হয়েছেন প্ল্যাটফর্মটিতে। এজেন্ট ও ব্র্যান্ড প্রমোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এজেন্ট হতে একেকজনকে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে। এজেন্টদের কাজ ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ করা; তার বিনিময়ে কমিশন নেওয়া। ব্র্যান্ড প্রমোটারের দুটি ক্যাটাগরি- গোল্ড ও সিলভার। যথাক্রমে ২২ ও ১২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ব্র্যান্ড প্রমোটার হতে পারেন গ্রাহকরা।
সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এরই মধ্যে গোল্ড ক্যাটাগরিতে চার লাখ ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ দিয়ে ৮৮০ কোটি টাকা তুলেছে রিং আইডি। পাশাপাশি এজেন্টসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আরও অন্তত ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

“আমাদের একটা শ্রেণি বিনা পরিশ্রমে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখে, কেউ যদি এরকম কোনো অফার দেয়, তারা লুফে নেয়। কিন্তু যাচাই করে না কিংবা বোঝে না, এভাবে বৈধভাবে কেউ দিনের পর দিন অর্থ দিতে পারে না। একটা সময় ওই কোম্পানি উধাও হয়ে যায়। তখন সবাই হায় হায় করতে থাকে”

যা করছে রিং আইডি :তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রিং আইডি খানিকটা ভিন্ন আঙ্গিকে এমএলএম পদ্ধতির ব্যবসাই করছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে তিন ক্যাটাগরিতে এজেন্ট হওয়া যায়। এর মধ্যে ডায়মন্ড ক্যাটাগরির এজেন্ট হতে পাঁচ লাখ টাকা, গোল্ডেন দুই লাখ টাকা এবং সিলভার ক্যাটাগরির এজেন্ট হতে এক লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। এজেন্ট হওয়ার পর তারা রিং আইডির অফিসিয়াল প্রতিনিধি হিসেবে ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ করতে পারেন। ১২ হাজার টাকায় সিলভার এবং ২২ হাজার টাকায় গোল্ড ক্যাটাগরির ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ করেন তারা। এ ছাড়া এক বছরের জন্য ২৫ হাজার টাকায় ভিভিআইপি এবং ১৫ হাজার টাকায় ভিআইপি সদস্যপদ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রবাসী ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ করেও প্রতিদিন এক হাজার টাকা আয়ের লোভনীয় অফার রয়েছে। এ ছাড়া ‘সোশ্যাল কমার্স’ নামে পণ্য বেচাকেনায়ও এসব এজেন্ট ও ব্র্যান্ড প্রমোটারদের জন্য রয়েছে কমিশন। ব্র্যান্ড প্রমোটারদের লেনদেনের অধিকাংশই হচ্ছে বিকাশ ও নগদের মতো ওয়ালেটে।
লোভের ফাঁদে বেকার ও তরুণরা :রিং আইডির অফারে দিনে সর্বোচ্চ ১০০টির মতো বিজ্ঞাপন দেখলেই মিলছে ৫০০ টাকা! প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে পাঁচ টাকা আয় করতে পারছেন ব্র্যান্ড প্রমোটাররা। গোল্ড ক্যাটাগরিতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০০টি এবং সিলভার ক্যাটাগরিতে প্রতিদিন ৫০টি বিজ্ঞাপন দেখার সুযোগ রয়েছে। এভাবে গোল্ড ব্র্যান্ড প্রমোটাররা দিনে ৫০০ টাকা এবং সিলভাররা ২৫০ টাকা আয় করেন। এজেন্টদের বিনিয়োগ বেশি, আয়ও বেশি।

প্রতি ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগে এজেন্টরা পান ৮ শতাংশ কমিশন। এভাবে রেফার সিস্টেমে ব্র্যান্ড প্রমোটারদেরও আয়ের সুযোগ রয়েছে। একজন গোল্ড প্রমোটার নিয়োগ করলে কমিশন বাবদ এজেন্ট পায় এক হাজার ৭৬০ টাকা। ব্র্যান্ড প্রমোটাররা বিজ্ঞাপন দেখে অর্জিত অর্থ এজেন্টের মাধ্যমে তুললে তারা পান ৪ শতাংশ কমিশন। তেমন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই অর্থ আয়ের লোভে একেকজন সদস্য ৫-১০টা, এমনকি ৫০টা পর্যন্ত ব্র্যান্ড প্রমোটার আইডি কিনছেন। অনেকেই একাধিক এজেন্ট আইডি কিনছেন।

গোল্ড ক্যাটাগরির ৫০টি আইডি কিনেছেন দিনাজপুরের এক যুবক। তিনি  জানান, রিং আইডিতে গত এপ্রিল মাসে তিনি ১১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ৫০টা আইডিতে তার প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা আয় হওয়ার কথা। শুরুতে মাস দুয়েক ঠিকঠাক টাকা তুলতে পেরেছেন। কিন্তু এখন ঝামেলা হচ্ছে। এজেন্টরা চাহিদা মতো ক্যাশআউট দিচ্ছে না। সরাসরি অফিসিয়াল ক্যাশআউট করতে গেলে রিং আইডির সার্ভার ব্যস্ত দেখাচ্ছে।
টাকা তুলতে এমন নানা ঝামেলার কথা সমকালকে জানিয়েছেন অনেকেই। টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাগুরার এক ডায়মন্ড এজেন্ট জানান, তিনি ১০ লাখ টাকায় দুটি ডায়মন্ড এজেন্ট আইডি নিয়েছেন। তাদের সরাসরি কোনো অর্থ দেয় না রিং আইডি। ব্র্যান্ড প্রমোটার নিয়োগ করে প্রাপ্ত কমিশন থেকে তাদের অর্থ তুলতে হয়।
রিং আইডি প্রতারণা করতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এমনটা হবে না। এর মধ্যেই বিনিয়োগ লাভসহ উঠিয়ে আনা যাবে।

শরিফ-আইরিন দম্পতি :ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম শরিফ ইসলামের। তার পরিচিতজনরা জানায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করা শরিফ ইসলাম ২০০৫ সালে পিআর (পারমানেন্ট রেসিডেন্স) ভিসায় কানাডায় যান। আইরিন ইসলাম কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ওই সময় বিয়ে করেন তারা। কানাডায় চাকরির পাশাপাশি আইরিন শরিফ ইসলামের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক নানা উদ্যোগ শুরু করেন।

আইজিডব্লিউ এবং আইসিএক্স প্রতিষ্ঠান খুলে কল জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে। কল জালিয়াতি, সরকারের বকেয়া পরিশোধ না করা এবং আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান ভিশনটেল ও আইসিএক্স প্রতিষ্ঠান ক্লাউডটেলের বিরুদ্ধে করা একাধিক মামলায় আইরিন ইসলাম ও শরিফ ইসলাম ২০১৬ সালে জেল খেটেছেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মামলায় ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠান ভিশনটেল এবং আইসিএক্স প্রতিষ্ঠান ক্লাউডটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফ ইসলাম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন ইসলাম। ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভিশনটেলের লাইসেন্স বাতিল করে কমিশন।

বিটিআরসি সূত্র সমকালকে নিশ্চিত করেছে, শরিফ-আইরিন দম্পতি ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে মামলাটির স্থগিতাদেশ (স্টে অর্ডার) নেয়। বিটিআরসি এরপর স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলেও এ মামলায় পরবর্তী শুনানি হয়নি।
বিজ্ঞাপন দেখে আয়ের সুযোগ কতটা :বিজ্ঞাপন দেখে বৈধ পথে আয়ের সুযোগ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ফ্রিল্যান্সার ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আল আমীন কবির সমকালকে বলেন, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তার পণ্যের প্রচারণার জন্য বিনিয়োগ করতে পারে। অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে বিশ্বজুড়ে সিপিএম (কস্ট পার মিল বা প্রতি হাজারে খরচ) স্বীকৃত পদ্ধতি। নির্দিষ্ট পণ্য কিংবা ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহূত হয়। এটা বৈধ, স্বল্প পরিসরে এটা হয়। তবে একটি প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার মানুষকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রতিদিন ৫০০ কিংবা এক হাজার টাকা আয়ের সুযোগ করে দেবে- এটা বাস্তবতা বিবর্জিত। যখন কোনো প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তখন বুঝতে হবে কোথাও গলদ আছে।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটির কর্ণধার মনির হোসেন বলেন, দক্ষতা অর্জন ছাড়া বিজ্ঞাপন দেখে আয় করার অফার একমাত্র প্রতারণার উদ্দেশ্যেই দেওয়া যায়। আমরা এক সময় ডুল্যান্সার নামে একটি কোম্পানির এ ধরনের অপতৎপরতা দেখেছি। তারা একটা সময় পর গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা লোপাট করে পালিয়েছে। রিং আইডি এখন যা করছে, তা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত নয়।

রিং আইডি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য :প্রায় দুই মাস ধরে রিং আইডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফ ইসলাম এবং প্রধান নির্বাহী আইরিন ইসলাম কানাডায় রয়েছেন। রিং আইডির বিষয়ে শরিফ ইসলামের সঙ্গে কয়েক দফায় মেসেঞ্জার কলে কথা হয়। তিনি বলেন, তাদের প্ল্যাটফর্মে দুই কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন, যার মধ্যে দুই লাখ ব্র্যান্ড প্রমোটার আর এজেন্ট রয়েছেন ৫০০ থেকে ৬০০ জন। কর্মী আছেন ৫০ জন।
দুই কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর প্ল্যাটফর্ম এত কম সংখ্যক কর্মীতে কীভাবে চলে- এমন প্রশ্নের জবাবে শরিফ বলেন, বিনিয়োগ না পাওয়ায় অর্থ সংকটে আছি। জাপানসহ একাধিক বিদেশি বিনিয়াগকারী গ্রুপের সঙ্গে আলাপ চলছে। অচিরেই নতুন বিনিয়োগ ঢুকবে বলে আশা করছি।
কমিউনিটি জব প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, ‘এটা সাময়িক, আমরা নতুন এজেন্ট ও ব্র্যান্ড প্রমোটার নেওয়া দ্রুত বন্ধ করে দেব।’
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন :বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের আড়ালে কেউ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে কিনা কিংবা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে কিনা তা সরকারের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখা উচিত। প্ল্যাটফর্মটি কোনো রকম অবৈধ পন্থা অবলম্বন করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর যদি বৈধভাবে সব কিছু হয়ে থাকে, তবে জবাবদিহি নিশ্চিত করে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, রিং আইডির বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই। তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আড়ালে গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নিলে পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, রিং আইডির বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। এখানে অবৈধ কিছু ঘটে থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের একটা শ্রেণি বিনা পরিশ্রমে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখে, কেউ যদি এরকম কোনো অফার দেয়, তারা লুফে নেয়। কিন্তু যাচাই করে না কিংবা বোঝে না, এভাবে বৈধভাবে কেউ দিনের পর দিন অর্থ দিতে পারে না। একটা সময় ওই কোম্পানি উধাও হয়ে যায়। তখন সবাই হায় হায় করতে থাকে।

সংবাদ সূত্র- সমকাল অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:০৬:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।