/ হোম / লাইফ স্টাইল
টাঙ্গাইলে নতুন করে ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু এক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নতুন করে ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু এক

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে একজন।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো সাহাবুদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ছয় জন, দেলদুয়ারে তিনজন, সখীপুরে একজন, মির্জাপুরে চারজন, বাসাইলে তিনজন, কালিহাতীতে একজন, ঘাটাইলে একজন এবং ভূঞাপুরে ছয়জন সহ মোট ২৫ জন।

এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো চার হাজার ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে তিন হাজার ৯০২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছে ৭০ জন।

এদিকে টাঙ্গাইল করোনা ডেডিকেটেড সেন্টারে সর্বমোট ভর্তি হয় ২২৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ১৬০ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয় ৫৪ জন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে দুইজন রোগী ভর্তি রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. এপ্রিল ২০২১ ১০:১০:পিএম ৪ বছর আগে
তরমুজের উপকারিতা - Ekotar Kantho

তরমুজের উপকারিতা

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ। চৈত্রের খর তাপে তৃষ্ণা মেটাতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। সবুজ মোটা খোসাযুক্ত গোল বৃত্তে আবৃত লাল রসালো ফল এ তরমুজ।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যেমন আছে এ ফলে তেমনি আছে মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিজেনের মতো নানা উপাদান। এ ছাড়া তরমুজ শরীরে পানির অপূর্ণতা পূরণেও বেশ সহায়ক। তাই গরমে ঘামের পরিমাণ বেড়ে গেলে আর পানির সংকট হলে আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করতে পারে তরমুজ।

তবে মিষ্টি রসালো সুস্বাদু এ ফলের আদি নিবাস আফ্রিকাতে। পরে পৃথিবীজুড়ে তরমুজের চাষাবাদ শুরু হয়।

তরমুজ কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়। এতে আছে নানা গুণাবলি। তরমুজ একাধারে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যেমন সহায়তা করে তেমনি হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় বেশ উপকারী এ মৌসুমি ফল তরমুজ।
অন্যদিকে এ ফলের ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর। তরমুজে থাকা বিশেষ উপাদান ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধে বেশ কাজ করে।

যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন তাদের খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নিতে এ ফলটি। তরমুজ ওজন কমাতে সহায়তা করে তেমনি আপনার শরীরের কার্যক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বেশ সহায়ক। অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও তরমুজ খুব দ্রুত মেজ কমাতে সহায়তা করে।

অন্যদিকে শরীরের অন্য উপকারী দিকের মতোই তরমুজ ত্বকের জন্য বেশ উপাকারী। তরমুজে আছে বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগানিজ যা আপনার ত্বক মসৃণ করে সঙ্গে ব্রণের সমস্যা দূর করতেও বেশ সহকারী।

এছাড়া এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। সর্দি কাশি কিংবা ঠাণ্ডা জ্বরের মতো সমস্যায় তরমুজ ওষুধের মতো কাজ করে থাকে।

তাই করোনাকালীন এ সময়ে যখন আমাদের ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখা সবচেয়ে জরুরি তখন এ মৌসুমি ফলটি আপনাকে রাখতে পারে সুরক্ষিত।

অনেকেই এর মিষ্টি রসালো গুণের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকার বাইরে রাখেন তরমুজ। প্রকৃত পক্ষে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী একটি ফল এ তরমুজ।

যাদের চোখের সমস্যা আছে তারা তাদের খাবারের তালিকাতে যুক্ত করতে পারেন এ মৌসুমি ফলটি। তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকেই শুধু এর লাল অংশটুকু খেয়ে থাকেন।

গরমের এ সময়ে এভাবে তরমুজ খাওয়া ছাড়াও এর শরবত বেশ সুস্বাদু। ঠান্ডা ঠান্ডা এক গ্লাস তরমুজের শরবত এ গরমে আপনাকে যেমন দিতে পারে প্রশান্তি তেমনি দূর করে দিতে পারে সারাদিনের ক্লান্তি।

তাই খাবারের তালিকায় রাখুন তরমুজ আর এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. এপ্রিল ২০২১ ১১:২৭:পিএম ৪ বছর আগে
এই গরমে শরীর ঠাণ্ডা করার পাঁচটি খাবার - Ekotar Kantho

এই গরমে শরীর ঠাণ্ডা করার পাঁচটি খাবার

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ  চৈত্রের তাপদাহে নাজেহাল মানুষ। শুরু হয়েছে গরমে শরীর ঘামা। বেশি ঘাম হলে ঘামের সাথে লবণ পানি বের হয়ে হতে পারে ডিহাইড্রেশন।  এই পরিস্থিতিতে মশলা জাতীয় খাবার কম খেয়ে পানীয় খাবারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

গরমে এমন খাবারই খাওয়া উচিত, যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি আছে। কারণ, গরমে ঘামে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। তা ছাড়া কিছু খাবার শরীর গরম করে। গরমে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা শরীর ঠান্ডা রাখে।

১. তরমুজ
ঠান্ডা ঠান্ডা তরমুজ গরমে আপনাকে দেবে প্রশান্তি। তাই এই সময় আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েক টুকরা তরমুজ রাখতে পারেন। তরমুজের মধ্যে ৯০ শতাংশই পানি থাকায় তা আপনার শরীরকে আরাম দেবে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ এই ফলে আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপেন, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

২. শসা
গরমে একটা শসা আপনাকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে। শসায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকার কারণে এটি গ্রীষ্মের জনপ্রিয় সবজি হিসেবে খাদ্যতালিকায় শুরুর দিকে থাকে। শসা ফসফরাস, জিংক, ক্যালসিয়াম ও অন্য বেশ কয়েকটি খনিজ পদার্থের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। বাইরে গরম থাকলে তাই একটা শসা খেয়ে দেখুন, মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও ঠান্ডা থাকবে।

৩. পুদিনাপাতা
ঠান্ডা ও প্রশান্তির জন্য পুদিনাপাতাও ভালো খাবার। গরম কমাতে অনায়াসে নানাভাবে পুদিনাপাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সঙ্গে পুদিনাপাতার গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও ভালো ফল পাবেন। এ ছাড়া বাড়িতে মিন্ট লেমন বানিয়ে খেতে পারেন।

৪. সবুজ শাক
শাকে কম ক্যালরির পাশাপাশি থাকে ৯২ শতাংশ পানি থাকে, যা আপনার শরীরকে ঠান্ডা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। আপনার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখবে। সবুজ শাকে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘কে’ ও  ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। আর এসবের সবটাই আপনার এই মৌসুমে দারুণ উপকারী।

৫. দই
গরমের খাবার হিসেবে দইও ভালো খাবার। বিশেষ করে টকদই। দই দিয়ে তৈরি লাচ্ছিও খেতে পারেন। এ ছাড়া বাজারে নানা ধরনের দইয়ের পানীয় পাওয়া যায় যেমন মাঠা, লাবাং সেগুলোও খেতে পারেন। তিনবেলা নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি কিছুটা দকদই খেলেও ভালো ফল পাবেন। কারণ, দইয়ের ৮৫ শতাংশ পানি আপনার শরীরকে গরমে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. এপ্রিল ২০২১ ০৯:২৫:পিএম ৪ বছর আগে
যেসব রোগের উপশম করে কাঁচামরিচ - Ekotar Kantho

যেসব রোগের উপশম করে কাঁচামরিচ

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ কাঁচামরিচ আমরা প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। চিকিৎসকদের মতে, কেবল স্বাদ বাড়াতেই নয়; কাঁচামরিচের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও। তবে অতিরিক্ত ঝাল খাদ্যনালির ক্ষতি করে। পরিমাণমতো কাঁচামরিচের অনেক ভালো দিক রয়েছে।

কাঁচামরিচ ভিটামিন সির অত্যন্ত ভালো একটি উৎস। আরও রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ, লোহা, কপার, পটাশিয়াম, অল্প পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া কাঁচামরিচে রয়েছে পানি ও ক্যারোটিন-বি, ক্যারোটিন-এ, লিউটেইন-জিজান্থিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট।

চিকিৎসকরা জানান, পাকস্থলীর ক্যানসারসহ অনেক অসুখের ওষুধ হিসেবে কাঁচামরিচের ব্যবহার রয়েছে। আসুন জেনে নিই কাঁচামরিচের সব ঔষধিগুণ।

  • কাঁচামরিচ পাকস্থলীর ক্যানসার ও পাকস্থলীর যে কোনো রোগ নিরাময় করে। এ ছাড়া লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় রাখতে মরিচ খেলে লালা উৎপন্ন হয়, যা খাবার ভালোভাবে চিবানোতে ও হজমে সাহায্য করে।
  • মরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া পাশাপাশি কাটাছেঁড়ার ক্ষেত্রে রক্তপাতও বন্ধ করে।
  • ডায়েটারি ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে কাঁচামরিচ হজমের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে কাঁচামরিচ। হঠাৎ ঠাণ্ডা সমস্যা ও সাইনাসের সমস্যা থেকে বাঁচায় কাঁচামরিচের থাকা ক্যারাসাসিন।
  • কাঁচামরিচের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা শরীরে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • প্রতিদিন কাঁচামরিচ খেয়ে ঠাণ্ডা, কাশি- এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া কাঁচামরিচ টিস্যু পুনর্গঠন করে, নতুন রক্তকোষ তৈরি করে, হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে।
  • যারা নিয়মিত কাঁচামরিচ খান তাদের ত্বক থাকে বলিরেখামুক্ত। এটি বয়স ধরে রাখতে জাদুকরি একটি উপাদান। এছাড়া মন ভালো রাখে ও মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচামরিচ দারুণ ভালো।
  • কাঁচামরিচ শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয়। ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস বলে এটি বৌল সিস্টেমের কাজ সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে।
  • কাঁচামরিচ বাড়তি মেদ ঝরায়। বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমানোতে সাহায্য করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. এপ্রিল ২০২১ ০৬:২৭:পিএম ৪ বছর আগে
সজিনাকে কেনো পুষ্টির ডিনামাইট বলা হয় - Ekotar Kantho

সজিনাকে কেনো পুষ্টির ডিনামাইট বলা হয়

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ সজিনা বা সজিনা গাছের পাতাকে পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব বা অলৌকিক পাতা বলা হয়।

গবেষকরা সজিনা পাতাকে নিউট্রিশন্স সুপার ফুড বলেছেন। শাক হিসেবে ব্যবহৃত সজিনা পাতায় রয়েছে ভিটামিন-এ’র এক বিশাল উৎস। সজিনা পাতা এবং ফল উভয়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণে পুষ্টি থাকে।

এতসব পুষ্টিগুণ একসঙ্গে আছে বলেই এর মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং জীবনধারণের পুষ্টি দুটোই পাওয়া যায়। প্রতি গ্রাম সজিনা পাতায় একটি কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে।

দুধের চেয়ে ৪ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দু’গুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে। গাজরের চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন-এ এবং কলার চেয়ে ৩ গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান সজিনা পাতায়। ফলে এটি অন্ধত্ব ও রক্তস্বল্পতাসহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতিজনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।

সজিনায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে এবং পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন বিদ্যমান, যা অ্যানেমিয়া দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সজিনা মানবদেহের কলেস্টেরল-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও অন্যতম অবদান রাখে।

মানুষের শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ প্রোটিন, যার গাঠনিক একক হলো অ্যামাইনো এসিড। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেটাবোলিজম এবং শরীরের অন্যান্য কার্যাবলী পরিপূর্ণরূপে সম্পাদনে অ্যামাইনো এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

মানুষের শরীরের যে ৯টি অ্যামাইনো এসিড খাদ্যের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হয়, তার সবই এ সজিনার মধ্যে বিদ্যমান। এটি শরীরের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।

নিয়মিত দৈনিক সেবনে শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমকে আরো শক্তিশালী করে এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ হওয়ার দরুন এটি ‘এইডস’ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুষ্টিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে সজিনা।

ওজন কমাতে ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সজিনা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

পাতা থেকে তৈরি এক টেবিল চামচ পাউডারে ১৪ শতাংশ প্রোটিন, ৪০ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ২৩ শতাংশ আয়রন বিদ্যমান, যা এক থেকে তিন বছরের শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোকালীন ৬ টেবিল চামচ পাউডার একজন মায়ের প্রতিদিনের আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে সজিনা।

এটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যকৃত ও কিডনি সুস্থ রাখতে এবং রূপের সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবেও কাজ করে সজিনা।

সজিনায় প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। এতে ৩৬টির মতো অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য আছে।

এছাড়াও এটি অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সজিনায় প্রতি ১০০ গ্রামে খাদ্য উপযোগী পুষ্টি উপাদানের মধ্যে জ্বলীয় অংশ ৮৩.৩ গ্রাম, খনিজ ১.৯ গ্রাম, আঁশ ৪.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬০ কিলো-ক্যালোরি, প্রোটিন ৩.২ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ১১.৪ গ্রাম, ক্যালশিয়াম ২১.০ মিলিগ্রাম, লোহা ৫.৩ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৭৫০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-এ ১-০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি ১-০.০২ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন-সি ৪৫.০ মিলিগ্রাম বিদ্যমান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. এপ্রিল ২০২১ ০৫:১২:পিএম ৪ বছর আগে
কিডনিতে পাথর হয় কী কারণে জেনে নিন? - Ekotar Kantho

কিডনিতে পাথর হয় কী কারণে জেনে নিন?

একতার কণ্ঠঃ বয়স্কদের মতো শিশুদেরও হতে পারে কিডনি রোগ। দেশে ৪০ থেকে ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে। বয়স্কদের মতোই শিশুদের কিডনি রোগেরও উপসর্গ প্রায় একই রকম। করোনার সময়ে শিশু কিডনি রোগের ঝুঁকি রয়েছে আরো বেশি। শিশুদের কিডনি রোগের লক্ষণসহ নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন।

শিশুদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ কি?

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, সাধারণত জন্মগত বা বংশগত কারণে শিশুদের কিডনি রোগ হয়ে থাকে। বংশগত কারণে কিডনি রোগগুলো শিশু গর্ভে থাকা অবস্থাতেই ধরা পড়ে। তারপর শিশু জন্মের পর বেশকিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন: প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, শিশুর বেড়ে না ওঠা, হাত পা বাঁকা হয়ে যাওয়া, বমি, ইলেকট্রোলাইটিক ইমব্যালেন্স হওয়া, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব করা ইত্যাদি।

শিশুদের কিডনি বিকল হয় কেন?

শিশুদের কিডনি বিকল দুই রকমের। একটি আকস্মিক বা দ্রুত গতিতে কিডনি বিকল। যেটাকে বলা হয়, একিউট কিডনি ইনজুরি। আরেকটি হলো ধীরগতিতে কিডনি বিকল।

অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, আকস্মিক বা দ্রুত কিডনি বিকল হওয়ার কারণ হলো ডায়রিয়া বা বমির ফলে শিশু যখন ডিহাইড্রেশনে ভোগে, তখন কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কম হয়। ডিহাইড্রেশনের কারণে শিশুকে ওরস্যালাইন খাওয়ানো না হলে তার কিডনি দ্রুতগতিতে বিকল হয়। এর ফলে প্রস্রাব কমে যায়।

তিনি বলেন, ডায়রিয়া বা বমির কারণে শরীরের যে ফ্লুইড লস হয়, তার ফলে শরীরে কিডনি বিকল হয়ে যায় আকস্মিকভাবে। যেকোনো ইনফেকশনের কারণে কিডনি বিকল হয়। প্রদাহের ফলে কিডনি বিকল হতে পারে। এটাও আকস্মিক কিডনি বিকল। এছাড়াও বর্ষাকালে মৌমাছি অথবা সাপের কামড়ের ফলে এই বিষ শরীরে গিয়ে কিডনি বিকল হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধের কারণে কিডনি বিকল হয়ে থাকে। প্রস্রাবের রাস্তায় জন্মগত ত্রুটি থাকলে কিডনি বিকল হতে পারে।

কী কারণে কিডনিতে পাথর হয়?

এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, জন্মগত কারণে এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে। বিশেষ করে আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে হলে এ ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মূত্রনালীতে ব্লক থাকলে, স্টেসিস থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শিশুরা কিডনি রোগে আক্রান্ত কিনা বুঝবেন কীভাবে?

এক্ষেত্রে লক্ষণীয় উপসর্গগুলো হলো শিশু ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ মুখ ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের চাপ কমে আসা, হাতে-পায়ে পানি চলে আসা, পেটে পানি চলে আসা, প্রস্রাব কমে যাওয়া। প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, জ্বর, বমি বমি ভাব।

অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে মাথাব্যথা, খিচুনি এসব উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়াও শিশুদের রক্তশূন্যতা, ক্ষুধামন্দা, দুর্বলতা, ওজন কম হওয়া ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দিতে পারে। তাহলে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবেন।

দেশে শিশু কিডনি রোগীর সংখ্যা কত?

দেশে ৪০ থেকে ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন ধরনের কিডনির নানা রোগে ভুগছে। শিশুরা জন্মগত এবং বংশগত কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। জন্মগত কিডনি রোগগুলো অনেকটাই আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে। জন্মের পরে কিডনি রোগ প্রস্রাবে ইনফেকশন, নেফ্রোটিক সিনড্রোম, ড্রাগ এর ফলে কিছু ইনফেকশন হয়। এছাড়া ডিহাইড্রেশন, কিডনি ছোট হওয়া, ডান অথবা বাম যেকোনো এক পাশে দু’টো কিডনি চলে যাওয়াসহ কিডনির সব ধরণের রোগ নিয়েই শিশুরা শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞদের কাছে যায়।

সূত্র: ডক্টর টিভি

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. মার্চ ২০২১ ০৫:৩১:এএম ৪ বছর আগে
গর্ভকালীন মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস - Ekotar Kantho

গর্ভকালীন মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেশ্টারোন দুই গুরুত্বপূর্ণ হরমোন গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য অপরিহার্য  ভূমিকা পালন করে; ভ্রƒণের প্রতিস্থাপন, বিকাশ এবং সফলতার সঙ্গে নবজাতকের জটিলতাবিহীন জন্ম এ হরমোনদ্বয়ের ওপর নির্ভরশীল।
যদিও গর্ভের সফলতার জন্য এ হরমোনদ্বয় অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষভাব প্রজেশ্টারোন, গর্ভাবস্থায় নানাবিধ অস্বস্তিকর উপসর্গগুলোর সূচনার জন্যও দায়ী। গর্ভাবস্থায় পরিপাকতন্ত্রের ওপর প্রজেশ্টারোনের প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। প্রজেশ্টারোন পরিপাকতন্ত্রের মাংসপেশির শৈথিল্যের জন্য বহুলাংশে দায়ী। মাংসপেশির শৈথিল্য খাদ্য পরিপাক এবং পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাদ্যের পরিভ্রমণের সময় বাড়িয়ে দেয় এবং প্রাথমিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সূচনা করে।

পরিপাকতন্ত্রের শৈথিলতা শুধু কোষ্ঠকাঠিন্যই নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য সংশ্লিষ্ট জটিলতা, যেমন পাইলস, ফিশার, থ্রোম্বস্থ পাইলসের সূচনা করতে পারে। এছাড়াও পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্র মাংসপেশির শিথিলতা অজীর্ণ, বদহজম, অগ্নিমন্দার মতো অস্বাচ্ছন্দ্যদায়ক উপসর্গের সৃষ্টি করে।
গর্ভাবস্থায় এসব উপসর্গ অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং গর্ভবতী মায়েদের এ জন্য লজ্জিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

কোষ্ঠকাঠিন্য স্বভাবতই শারীরিকভাবে অস্বস্তিকর, মলত্যাগ সময়বহুল, মল শক্ত এবং ছোট আকারের হয়, পেটে চাপ বা কোঁত দিতে হয়, মলত্যাগে স্বস্তি হয় না এবং মলত্যাগ প্রক্রিয়া অনেক সময়ই ক্লান্তিকর অনুভূত হয়। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য তলপেট ও নিচের পিঠে ব্যথা, পেটফাঁপা, বমিবমি ভাবের উদ্রেক করা ইত্যাদি একক অথবা একসঙ্গে একাধিক উপসর্গ প্রদর্শন করতে পারে। একাধিক উপসর্গ একসঙ্গে প্রদর্শন কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবলতার ওপর নির্ভরশীল।

গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য এতই স্বাভাবিক যে অন্যান্য লক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যতাকেও গর্ভধারণের একটি লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্য বেশ কয়েকটি কার্যকরী চিকিৎসা আছে। এছাড়াও প্রতিকারের পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের উপসর্গ পরিহার করতে আমি সব সময়ই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস অনুসরণ এবং সহজে অনুকরণযোগ্য জীবন-পদ্ধতি পরিবর্তনের উপদেশ দিয়ে থাকি। এ উপদেশগুলো গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।

আমার উপদেশগুলো
১। প্রচুর পানি পান করা।
২। ফাইবারসমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, যেমন- ফাইবারযুক্ত বাদামি পাউরুটি, ফল, শাক-সবজি, ডাল ও মটরশুঁটি।
৩। একবারে অনেক খাবার একসঙ্গে খাবার পরিবর্তে অল্প করে সারাদিনে বেশ কয়েকবার খাওয়া অভ্যাস করা যা পরিপাকতন্ত্রের ওপর থেকে চাপ বা ধকল কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
৪। মনে রাখতে হবে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেলে খাবারের সঙ্গে সারাদিনে পানি পানের পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হবে।

জীবনপ্রণালী পরিবর্তনে আমার উপদেশ হবে-
১। অল্প করে কিন্তু নিয়ম করে প্রত্যেহ হালকা ব্যয়াম করা।
২। পিঠের নিুদেশে ওপর থেকে নিচে মর্দন করা।
৩। সকালে ঘুম থেকে ওঠার অথবা খাবার খাওয়ার পরপরই নিয়ম করে মলত্যাগের চেষ্টা করা। মলত্যাগের অনুভূতি এলে দেরি না করে মলত্যাগ করা।

গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্য কার্যকর চিকিৎসা 
১। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং জীবন পদ্ধতি অনুসরণ করার পরেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় না হয় তাহলে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্য মনে রাখতে হবে যে কোনো ওষুধ মায়ের শরীরে প্রবেশ করলে ভ্রƒণ/পেটের বাচ্চার ওপর তার পতিক্রিয়া হতে পারে। আর তাই বিশেষজ্ঞের উপদেশ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
বাংলাদেশে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো এখন ধাত্রী বিদ্যায় শিক্ষিত মিডওয়াইফ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে এবং মিডওয়াইফ দ্বারা গর্ভকালীন মায়েদের সেবার অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্য যেসব ওষুধ পরিপাকতন্ত্রে থেকে যায় কিন্তু রক্তে প্রবেশ করে না যেমন ল্যাক্টুলোজ, গর্ভকালীন মায়েদের ব্যবহারযোগ্য কিন্তু সেনা জাতীয় ওষুধ নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে পেটে ব্যথা হলে সবচেয়ে কম পরিমাত্রায় প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে শুধু স্বল্প সময়ের জন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য যদি আরও জটিলতার সৃষ্টি করে তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।
এর পরের সংখ্যায় গর্ভকালীন মায়েদের পাইলস সম্পর্কে আলোচনার ইচ্ছা রাখি।

গর্ভকালীন মায়েদের পাইলস বা হিমোরয়েডস    
পাইলস বা হিমোরয়েডস পায়ুপথ ও মলাশয়ের শেষ অংশে অবস্থিত গদি বা বালিশের ন্যায় রক্তনালিসমৃদ্ধ স্ফীত অংশ, যা পায়ুপথ দিয়ে মল নির্গমণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যদিও সব মানুষের স্বাভাবিক দেহের অংশ, শুধু উপসর্গ দেখা দিলেই ওই স্ফীত রক্তনালিসমৃদ্ধ অংশগুলোকে পাইলস বা হিমোরয়েডস বলা হয়ে থাকে। যদিও পাইলসের উপসর্গ যে কোনো মানুষের হওয়া সম্ভব গর্ভকালীন মায়েদের গর্ভকালীন হরমনের প্রভাবে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায়, অনেক ক্ষেত্রেই পায়ুপথের বাইরে বেরিয়ে আসে এবং জটিলতার সম্ভবনা বহুলাংশে বেড়ে যায়।

পাইলসের যেসব উপসর্গ লক্ষণীয়
পায়ুপথে রক্ত যাওয়া সাধারণত টকটকে লাল, চুলকানি, বেদনা, জ্বালা অথবা পায়ুপথের চারিধারে ফোলা, মলত্যাগের সময়ে পায়ুপথে ব্যথা অনুভব করা এবং মলত্যাগের পর শ্লেষা নির্গমন, এক বা একাধিক পাইলস পায়ুপথের বাইরে বেরিয়ে আসা যেগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে মলত্যাগের পর পায়ুপথের মধ্যে ফিরে যায় অথবা চাপ দিয়ে ভিতরে পৌঁছে দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে পাইলসগুলো সব সময়ে বাইরেই অবস্থান করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলসের উপসর্গ সৃষ্টি করে ও বৃদ্ধি করে এবং তাই কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলসের সঙ্গে থাকলে তার চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসার আগে অথবা পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের উপসর্গ পরিহার করতে আমি সব সময়ই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস অনুসরণ এবং সহজে অনুকরণযোগ্য জীবন-পদ্ধতি পরিবর্তনের উপদেশ দিয়ে থাকি। এ উপদেশগুলো গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলস থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে। এ উপদেশগুলো আমি আগেই কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কে আলোচনার সময় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি।

গর্ভকালীন সময়ে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা অথবা টয়লেটে বেশি সময় বসে থাকা সমীচীন নয়। অনেক সময় কাপড় বরফযুক্ত পানিতে ভিজিয়ে খুব হাল্কাভাবে পাইলসে চেপে রাখলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। পাইলস বেরিয়ে এলে সাবধানতার সঙ্গে পিচ্ছিল লুবরিকেন্ট জেলি দিয়ে ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করতে হবে। মলত্যাগের সময় অযথা চাপ বা কোঁত দেয়া পরিহার করতে হবে। মলত্যাগের পর শুষ্ক কাগজের পরিবর্তে ভেজা কাগজ দিয়ে হাল্কা ছোঁয়ার মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হবে।

পাইলস ফুলে বা বেরিয়ে থাকলে ওমা গরম পানিতে পাইলস ডুবিয়ে বসলে অনেক সময় আরাম লাগতে পারে। উপসর্গ বেশি হলে ডাক্তার বা মিডওয়াইফের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রদাহনাশক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করতে পারা যাবে। ডাক্তার বা মিডওয়াইফের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ ব্যবহার করা উচিত হবে না। জীবন সংকটময় জটিলতা না হলে গর্ভকালীন সময়ে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসা পরিহার করা হয় কারণ বাচ্চার জন্মের পরে সাধারণত পাইলস উপসর্গের উন্নতি হয়। বাচ্চা জন্মের পর যাদের গর্ভাবস্থায় পাইলস ছিল তাদেরকে ডাক্তারের অথবা মিডওয়াইফের কাছে পুনঃপরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

সংবাদ সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন নিউজ পোর্টাল

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. মার্চ ২০২১ ০৩:১৭:এএম ৪ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।