একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব করেছে স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সংগঠন দশমিক। শুক্রবার (১১ ফেব্রয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের কাগমারী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে বস্তি এলাকার ভাসমান ছিন্নমূল ও পথশিশুদের নিয়ে ওই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবী তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের হাত খরচের জমানো টাকায় ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আয়োজকরা বলেন “দশমিক সংগঠনটি মূলত অসহায় শিশুদের স্বপ্ন পূরণের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন “হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি” টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল), “মানুষের কল্যানে মানুষ” ফাউন্ডেশনের এর সভাপতি পারুল মাহাবুব খান, দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মিনারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান, মহাসচিব আমেনা আক্তার তিলোত্তমা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রাপ্ত সাহা, কোষাধ্যক্ষ নিলয় সাহা, চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক ত্রিজান চৌহান, জয় সাহা, মুশফিক আহমেদ রোমান, রিনা, হ্যাপি, ওলি,শুভ প্রমুখ ।
আয়োজকরা বলেন, দশমিক ফাউন্ডেশনের অতিথি ভোজনের অংশ হচ্ছে এই পিঠা উৎসব। এই ছিন্নমূল শিশুরাই আমাদের বিশেষ অতিথি। সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুরা এসব কিছু মুখোরোচক পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে। এই শিশুদের জন্য আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস, দশমিক পাঠশালাতে যেমন শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানে সময় দেয়া হয়, ঠিক তেমনি শিশুদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। আমরা ভিন্ন স্বাদে শীতের বিভিন্ন মুখোরোচক পিঠার আয়োজন করেছি তাদের জন্যে।
আয়োজকরা আরো বলেন, পিঠা বাঙালি জীবন ও সংস্কৃতির এক অপরিহার্য উপাদান। অনেক বছর ধরে নানা রকমের পিঠার আয়োজন চলে বাংলার ঘরে ঘরে। তবে পিঠার আসল সময় শুরু হয় শরৎকাল থেকে, নবান্নে তৈরি শিরনি ও পিঠা দিয়ে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অগ্রহায়ণে অর্থাৎ হেমন্তে নতুন ধান কাটার পর থেকেই মূলত পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়।