একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো সাহাবুদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য সুত্রে জানা যায়, এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৮ জন, কালিহাতীতে ৫জন, ধনবাড়িতে ২জন, দেলদুয়ার, বাসাইল, ঘাটাইল, ভুঞাপুর ও মধুপুরে একজন করে রয়েছেন।
এ নিয়ে মঙ্গলবার( ১ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫০৩৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮২জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪২০২ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৫৬ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪৯৮০ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আবারোও করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো সাহাবুদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য সুত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১২জন, বাসাইল ২জন, কালিহাতী ৪জন, ঘাটাইল ৪জন, গোপালপুর ২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৫ হাজার ১৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৪ হাজার ২০১ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছে ৮১ জন। ১২৭টি নমুনা পরীক্ষায় ২৪জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে সর্বমোট ২৮৮জন রোগী ভর্তি হয়।
এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০৯জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে ৬০জন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বেডে ৩জন ও জেনারেল বেডে ৬জন নিয়ে মোট ৯জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন দেশে এমন অন্তত দুজনের শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি ভারতে বিরল ছত্রাকজনিত এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে এ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দুজন আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেল।
চলতি মাসে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয়।বারডেম হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর শরীরে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক জনের শরীরেও ছাত্রাকজনিত রোগটি শনাক্ত হয়।
বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে দুজনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।’
বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে এবারই প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হওয়ার কথা জানান তিনি।
আমরা সতর্কভাবে তাদের পর্যবেক্ষণ করছি’ উল্লেখ করে ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই, তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দিতে হয়।’
তিনি আরও জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীকে মাত্রা না বুঝে স্টেরয়েড দিলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, যার ফলে রোগীর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, মিউকরমাইসিটিস ছত্রাক থেকে মিউকরমাইকোসিস হয়ে থাকে। এটি বাতাসের চেয়ে মাটিতে এবং শীত ও বসন্তকালের চেয়ে গ্রীষ্ম ও শরৎকালে বেশি দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন এই আণুবীক্ষণিক ছত্রাকের স্পোরের সংস্পর্শে আসে। সুতরাং এই মিউকরমাইসিটিসের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব।
তবে, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই ছত্রাক ক্ষতিকর নয়। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তাদের শরীরে মিউকরমাইসিটিসের স্পোর প্রবেশ করলে ফুসফুস ও সাইনাস আক্রান্ত হতে পারে। যা পরে শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।
সিডিসি’র মতে, এই বিরল ছত্রাকে আক্রান্তদের মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ। তবে, ৯২৯টি ঘটনা নিয়ে করা ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে মৃত্যুহার ৫৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সব বয়সী মানুষের এই ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি না থাকায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কিছু নেই।
তারা আরও জানান, কোভিড-১৯ ও ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী, যারা স্টেরয়েড নিচ্ছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত অথবা যারা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন, তারা সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাই নয়, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কারণেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
ডা. লাভলি বাড়ৈ বলেন, ‘যখন একজন বয়স্ক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন যথেচ্ছভাবে স্টেরয়েডের ব্যবহারের কারণেও তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারেন।’
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ভারতের স্বাস্থ্যখাতে নতুন হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত রোববার জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় তারা খুব শিগগিরই একটি নীতিমালা তৈরি করবেন।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি কমিটি কিছু সুপারিশ তৈরি করছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যসেবা উপদেষ্টা কমিটিও এই রোগ প্রতিরোধে কিছু বিধিবিধান তৈরি করছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের চিকিৎসায় এগুলো খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।’
ডা. নাজমুল আরও জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কোনো অস্বাভাবিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি।
তবে, ভারতে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ২০০ জনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, যেসব কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় অতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে।
ভারতের তামিলনাড়ু, গুজরাট, ওডিশা, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা- এই পাঁচ রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা রোগীরা সবচেয়ে বেশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার রোগীরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে তাদের অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই, তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।’
সিডিসি’র গাইডলাইন বলছে, অ্যান্টি ফাঙ্গাল মেডিসিন ব্যবহার করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসা করা হয়। এসব ওষুধের বেশিরভাগই শিরা পথে দেওয়া হয়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসায় সবচেয়ে প্রচলিত ওষুধের মধ্যে আছে অ্যাম্ফোটেরিসিন বি। এই ওষুধটি সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
সেরে উঠতে রোগীকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ওষুধ দিতে হতে পারে। তবে, কত তাড়াতাড়ি রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা আরম্ভ করা হয়েছে তার ওপরও এটা নির্ভর করে।
সম্প্রতিকালে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার করে রোগীর ছত্রাক আক্রান্ত কোষ ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এতে কিছু রোগী তাদের ওপরের চোয়াল ও চোখ হারিয়ে থাকেন।
সংবাদ সূত্র- ডেইলি স্টার অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। এ ধরনটিকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মধ্যে একটি হলো করোনার অতি সংক্রামক ধরনের বিস্তার।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনের অস্তিত্ব মেলে বাংলাদেশে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল।
এছাড়া গত ৫ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের আরেক নতুন ধরন পাওয়া যায় বলে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। রূপান্তরিত এই নতুন ধরন গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ৩১ জানুয়ারি প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই করার ঘটনায় পাঁচ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার( ৬ মে)দুপুরে টাঙ্গাইল সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রসূতির বাবা এস,এম, মাহবুব হোসাইন এই মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকি মিয়া জানান, আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশের তদন্ত ব্যুরোকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
বাদী এস,এম, মাহবুব হোসাইন জানান, গত ৩১ জানুয়ারি তার মেয়েকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি ছেলেসন্তান হয়। এরপর তার মেয়ের পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসকেরা। এরা হলেন হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিসফুন নাহার, ডা. অপু সাহা, ডা. আবেদা সুলতানা, ডা. ফজলুল হক ও ডা. জাকির।
এদিকে গজ পেটে রয়ে যাওয়ায় পর দিন থেকেই তার মেয়ের পেটে ব্যথা শুরু হয়। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সন্দেহে এই হাসপাতালেই টানা ২২ দিন চিকিৎসা চলে। অবস্থার অবনতি হলে মেয়েকে ঢাকায় নেয়া হয়। গত ১ মার্চ ঢাকার হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যানে পেটের ভেতরে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়ে। ৩ মার্চ অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে প্রায় এক ফুট লম্বা গজ বের করেন চিকিৎসকেরা।
তিনি জানান, চিকিৎসকদের এই অবহেলার জন্য তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত ও সব আসামির বিচার চান।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকে করা তদন্তে রোগীর স্বজনদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাঙ্খিত। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কৈফিয়ত দাবি করব এবং সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে বকেয়া সম্মানী ভাতার দাবিতে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বুধবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন।এদিকে চিকিৎসকদের এমন ধর্মঘটে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে তারা তাদের সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও এ বিষয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে তারা এ অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত সম্মানী ভাতার টাকা পরিশোধ হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খন্দকার সাদেকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নতুন যোগদান করেছে তিনি। বিষয়টি জানার পরই আন্দোলনরতদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। হাসপাতালের ফান্ডে টাকা নেই। তিনি আরো জানান, খুব দ্রুতই তারা তাদের প্রাপ্য সম্মানী ভাতা পেয়ে যাবেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের বিধিনিষেধের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ল। আগামী ৫ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় গত ২৫ এপ্রিল দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২৬ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ থাকবে।
এর আগে সোমবার সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেদিন আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এটা আমাদের দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে অবস্থাটা আছে সেটি আরও এক সপ্তাহ কন্টিনিউ করা। না হলে এটা আরও ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করতে পারে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেজন্য বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, লকডাউনে রাত ৮টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা থাকবে। মানুষকে অবশ্যই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমলে যেতে হবে। তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। সরকারি অফিস-আদালতও যথারীতি বন্ধ থাকবে।
এছাড়া করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করাসহ ১২টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রথমবার ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রেখে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। সেটি আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এটি বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। যদিও শপিং মল খোলাসহ বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করেছে সরকার।
সেই মেয়াদ আজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আজ আরেক দফা বাড়িয়ে সর্বাত্মক লকডাউন ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ আগামী রবিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। শুক্রবার( ২৩ এপ্রিল) দুপুরে উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার অথবা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিধিনিষেধের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খোলার এই অনুমতি দিলো সরকার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে দ্বিতীয় দফায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’ শুরু হয়। যা চলবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
এর আগে ১৪ এপ্রিল থেকে চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ১২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া অন্য সকল ধরনের দোকান ও শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৫জনের করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো সাহাবুদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ২৫ জন, সখীপুরে ৪জন, দেলদুয়ারে ৩ জন, বাসাইল, মধুপুর ও ভুঞাপুরে একজন করে রয়েছেন। এ নিয়ে সোমবার(১৯ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪৫৩১জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭০জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৩৯২৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৯৪ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪৭০০ জন।
একতার কন্ঠ ডেস্কঃ করোনা রোগীদের জন্য নির্মিত দেশের বৃহত্তম করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কভিড-১৯ হাসপাতাল’-এ রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর সোমবার সকাল থেকে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। এখানে সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা পাবেন আক্রান্তরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ফেইসবুক পেজে সোমবার সকালে জানানো হয়, ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের প্রতিশ্রুতির মাত্র আট মাসের মাথায় শুরু হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কভিড-১৯ হাসপাতাল’-এর রোগী সেবা কার্যক্রম।
হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ৫০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), ৫০ শয্যার ইমারজেন্সি, যা অনেকটা আইসিইউর মতোই। এছাড়া আছে হাইফ্লো নাজাল ক্যানোলা, সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ সব ব্যবস্থা। ১৫০টি (সিঙ্গেল) রুমের আইসোলেশন ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১০০০ শয্যায় কোভিড রোগীর জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। তাছাড়া ৫০০ কেভিএ জেনারেটর ও ১০০০ কেভিএ হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য ৯০ হাজার লিটার ওয়াটার রিজার্ভার থাকছে।
রোগীরা কীভাবে ভর্তি হবেন সে বিষয়ে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বা উপসর্গ আছে- এমন রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তারা প্রথমে আমাদের ট্রায়াজে প্রবেশ করবেন। সেখানে দুটি জোন আছে। যাদের মৃদু উপসর্গ আছে বা হেঁটেই আসতে পারছে, চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তাদের যদি ভর্তি প্রয়োজন না হয় তবে ভর্তি করা হবে না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হবে। পরে এসে তিনি আবার রিপোর্ট করতে পারবেন।
সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন নিউজ পোর্টাল
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ ডায়াবেটিস রোগীরা করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হন এ তথ্য ঠিক নয়। যে কেউই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। তবে, ডায়াবেটিস রোগীরা করোনা আক্রান্ত হলে, বেশি জটিলতায় ভুগতে পারেন বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে ইউনাইটেড হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. প্রশান্ত প্রসূন দে বলেন, ডায়াবেটিস রোগীর করোনাভাইরাস সংক্রমণে দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরা শুধু যে করোনায় বেশি জটিলতায় ভোগে তা নয়, তারা যে কোনো ভাইরাল ইনফেকশনেও বেশি ভোগেন।
এর কয়েকটি কারণ হিসেবে ডা. প্রশান্ত প্রসূন দে বলেন, প্রথমত ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে কম থাকে।
দ্বিতীয়ত ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে রক্তে প্রচুর সুগার থাকে, যেখানে ভাইরাসটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় বলে জানান তিনি।
তৃতীয় কারণ হিসেবে ডা. প্রশান্ত প্রসূন দে বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা, যেমন- হার্টের অসুখ, কিডনির অসুখ আছে। এসব জটিলতার ভেতর করোনা আক্রান্ত হলে জটিলতা আরও বেশি বৃদ্ধি করে।
সূত্র: ডক্টর টিভি
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের টাঙ্গাইলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে, শহরের পাঁচআনি বাজার ও ছয়আনি বাজার এলাকায় , টাঙ্গাইল সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খাইরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারনে , পাঁচআনি বাজারে এক মিষ্টি ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ছয়আনি বাজারে এক দোকানিকে ৫ হাজার টাকা এবং ছয়আনি বাজারে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাস্ক ব্যবহার না করার , একজনকে ২ শত টাকা সহ সর্বমোট ১৫২০০( পনেরো হাজার দুইশত) টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর য সদস্যরা উপস্থিত ছিল।
এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খাইরুল ইসলাম জানায়, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য লকডাউন পরিস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।