একতার কণ্ঠ: টাঙ্গাইলে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গাণিতিক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইলকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলায় করোনা ভাইরাস শনাক্তের হার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামি শনিবার(১৯ জুন) থেকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলায় সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার(১৪ জুন) বিকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে সোমবার বিকালে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন মিঞা, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলায় মঙ্গলবার(১৫ জুন) থেকে মাস্ক পরিধান ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি মাইকিং করে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রচারণাসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো শুরু হয়েছে।
এদিকে, টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭১টি নমুনা পরীক্ষায় জেলায় ৮৫জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৫৬, কালিহাতীতে ১২জন, মির্জাপুর উপজেলায় চার জন, দেলদুয়ারে ছয় জন, সখীপুরে তিন জন এবং নাগরপুর, ঘাটাইল, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলায় এক জন করে মোট ৮৫ জন রয়েছে। মঙ্গলবার(১৫ জুন) সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার ট্রানজিট পয়েণ্ট হওয়ায় এ দুই উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার অন্য উপজেলাগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নিজে সচেতন হতে হবে, অন্যকেও সচেতন করতে হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৬১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৩৩১ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে মোট ৯৫ জন।