/ হোম / স্বাস্থ্য
যে কারণে হঠাৎ বেড়ে গেলো করোনা সংক্রমণ - Ekotar Kantho

যে কারণে হঠাৎ বেড়ে গেলো করোনা সংক্রমণ

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ কেন হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ এত বেড়ে গেলো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ যখন সীমিত ছিলো তখন সবার অবারিত চলাফেরাই এর জন্য দায়ী। তাছাড়া যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার  টাইপ করোনা দেশে ছড়িয়ে পড়া বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে ঢেউয়ের ঊর্ধ্বমুখীতা যেমন আছে তেমনই আছে নিম্নমুখী প্রবণতা। তাই সরকারের নতুন পদক্ষেপ সংক্রমণ কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।

চারদিকে আতঙ্ক, শুনশান নীরবতা আর সতর্কতা ও সচেতনতা। এর ওপর ভর করেই গেলো বছরের জুলাই মাসের পর থেকে করোনা সংক্রমণ নিচের দিকে নামতে থাকে।

আতঙ্ক, নীরবতা, সতর্কতা আর সচেতনতা একসময় সবই উঠে যায়। সাধারণের মধ্যে একটা দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় করোনা হয়তো বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়; হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট সব জায়গায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যা প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞরা এই অনিয়ন্ত্রিত জীবন ধারাকেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সঙ্গে যোগ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের করোনার নতুন ধরন।

বাংলাদেশ ডক্টরস ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাশ বলছেন, প্রায় ১০ লাখের মতো মানুষ কক্সবাজারেই ছিলো। বাজার, গণ-পরিবহন প্রভৃতি জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিলো না। এছাড়া আমাদের দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণ যোগ হওয়ার জন্য সংক্রমণ হয়তো বাড়ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করেছি, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছি। এসব আমাদের সংক্রমণকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দিনকে দিন পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ এখন পরীক্ষার বিপরীতে ২০ শতাংশের ওপরে। ২৩ শতাংশও টপকেছে বেশ কয়েকদিন। ২৮ মার্চ থেকে আট এপ্রিল কেবল এই ১১ দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ৩২৬ জন। এই সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিলো ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া দুঃসাধ্য হয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে ডা. নিরুপম দাশ আরও বলছেন, এখন যদি কোনোভাবে এই শনাক্তের হারকে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে এই হার আরও বেড়ে যাবে।

সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ৭ দিনের লকডাউন দিয়েছিলো। করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ না হওয়ায় আরও আটদিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে। এর মাধ্যমে একটা সুফল আসবে বলে মনে করেন তারা। গেলো জানুয়ারি দিকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত নেমে এসেছিলো সংক্রমণের হার। ৮ শতাংশের ওপরে উঠলেই বলা হয় সংক্রমণের হাই ফ্লো। এখন ২০ এর ওপরে। বোঝাই যাচ্ছে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।তারা  আশাবাদী বাংলাদেশ সংকট কাটিয়ে উঠবে খুব সহসাই।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. এপ্রিল ২০২১ ০৬:৪১:পিএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নতুন করে ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু এক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নতুন করে ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু এক

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে একজন।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো সাহাবুদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ছয় জন, দেলদুয়ারে তিনজন, সখীপুরে একজন, মির্জাপুরে চারজন, বাসাইলে তিনজন, কালিহাতীতে একজন, ঘাটাইলে একজন এবং ভূঞাপুরে ছয়জন সহ মোট ২৫ জন।

এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো চার হাজার ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে তিন হাজার ৯০২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছে ৭০ জন।

এদিকে টাঙ্গাইল করোনা ডেডিকেটেড সেন্টারে সর্বমোট ভর্তি হয় ২২৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ১৬০ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয় ৫৪ জন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে দুইজন রোগী ভর্তি রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. এপ্রিল ২০২১ ১০:১০:পিএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যে দিয়ে প্রথম  দিনের লকডাউন পালন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যে দিয়ে প্রথম দিনের লকডাউন পালন

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে কঠোরভাবে পালন করা  হয়েছে  প্রথম দিনের লকডাউন। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্টে কঠোর নজরদারি ছিল। ফলে প্রয়োজন  ছাড়া সাধারন মানুষকে খুব বেশী  ঘর  থেকে বের হতে দেখা যায়নি।

জরুরি প্রয়োজনে কিছু মানুষ ঘর থেকে বের হলেও গণপরিবহন, মার্কেট ও বিপনি বিতান বন্ধ  ছিল। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন  চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সকাল থেকেই জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী মাঠে তৎপরতা ছিল চোখে পরার মতো। টাঙ্গাইল শহরসহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন চলাচলে লকডাউনের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে দেখা গেছে। অকারণে কেউ যানবাহন নিয়ে বের হলে তাদের বুঝিয়ে ফিরিয়ে  দিয়েছে পুলিশ। কেউ লকডাউনের নির্দেশ অমান্য করলে বাধ্য হয়ে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এদিকে শহরের বটতলা বাজার, পার্ক বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্য সামগ্রী ও কাঁচা বাজারের দোকানপাট খোলা থাকলেও বাজারে ক্রেতা কম। বাজারে আসা বেশির ভাগ লোকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৫. এপ্রিল ২০২১ ০৩:১৩:এএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নতুন করে ৪১ জন করোনায় আক্রান্ত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নতুন করে ৪১ জন করোনায় আক্রান্ত

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে  জেলায়  ৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবউদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ১৯ জন, দেলদুয়ারে তিন জন, মির্জাপুর নয় জন, কালিহাতীতে দুই জন, ঘাটাইলে দুইজন, মধুপুরে একজন এবং ভূঞাপুরে পাঁচজন নিয়ে মোট ৪১ জন।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো চার হাজার ২৭৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন তিন হাজার ৮৭৯ জন। এ পর্যন্ত জেলা মোট মৃত্যুবরণ করেছে ৬৮ জন।

এদিকে, টাঙ্গাইল করোনা ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতালে সর্বমোট ২১৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ১৫৭ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে ৫৪ জন করোনা রুগীকে। বর্তমানে টাঙ্গাইলে জেনারেল হাসপাতালে ছয় জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. এপ্রিল ২০২১ ০৩:৩৩:এএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ শুরু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ শুরু

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি প্রথমে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

এর পর সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ সহ অনেকেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেন।

এর আগে বুধবার(৭ এপ্রিল) দ্বিতীয় ডোজের ৬৩ হাজার করোনা টিকা টাঙ্গাইলে পৌঁছে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, গত ২৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে প্রথম ধাপে এক লাখ ২০ হাজার ডোজ টিকা পৌঁছায়। সেখান থেকে বুধবার পর্যন্ত টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ৪২টি কেন্দ্রে ৯৭ হাজার ১৭৮ জন করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেন।

এদিকে, টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৫জন, মির্জাপুর, ভূঞাপুর ও কালিহাতীতে একজন করে রয়েছেন।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল চার হাজার ২৩৩জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৮জন। সুস্থ্য হয়েছেন তিন হাজার ৮৬৩ জন। হাসপাতালে ২৭৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. এপ্রিল ২০২১ ০৩:৫৩:এএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে লকডাউনে বাজার গুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে লকডাউনে বাজার গুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে  স্বাস্থ্য বিধি মান হচ্ছে না কোন ধরনের খুচরা ও পাইকারী বাজার গুলোতে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পরিদর্শন ও তৎপরতা চলাকালে  স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার চেষ্টা করা হয়।  তারা চলে গেলেই  মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্য বিধি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে বাজার কমিটির দৃশ্যমান কোন ধরনের তৎপরতা   চোখে পড়েনি। তবে  ব্যতিক্রম দৃশ্য  দেখা যায় টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনালে। টাঙ্গাইল বাসটার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি ও কোন গাড়ি শহরে প্রবেশও করেনি। মহাসড়কেও দূরপাল্লার কোন যানবাহন চলতে দেখা যায়নি।

সোমবার(৫ এপ্রিল) সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের পাইকারী বাজার পার্ক বাজার, বটতলা, সাবালিয়া, আমিন বাজার, ছয়আনি বাজার,সদর উপজেলার করটিয়া সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনের ন্যায় দোকান খুলে মালামাল কেনাবেঁচা করছে। কাঁচা বাজার ছাড়াও অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। এই বাজার গুলোতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য  কোন ধরনের তৎপরতা কিম্বা বিধি নিষেধ  মানছেনা ব্যবসায়ী  ও ক্রেতাগণ।

ব্যবসায়ীরা জানায়, সামনে বৈশাখের পর পরই পবিত্র রমজান- এ সময়ে দোকানপাট বন্ধ রাখলে ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে তার ভয়াবহ প্রভাব পড়বে। এছাড়া অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকল্প নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন স্বাস্থ্য বিধি  বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করায় তারা ওই সময় দোকানপাট বন্ধ রাখলেও পর মুহূর্তেই খুলছেন।সবজির বাজার খোলা জায়গায় নেওয়ার নিদের্শনা থাকলেও  বাজার কমিটি তা বাস্তাবয়ন করিনি।  ব্যবসায়ীদের দাবী, নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা  দিতে হবে।

ক্রেতারা জানায়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই তারা বাজারে এসেছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তারা মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করার চেষ্টা করছেন। তবে অধিক সংখ্যাক ক্রেতার কারনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কেনা-কাটা করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। সাধারণ মানুষের সাময়িক অসুবিধা হলেও তা জীবনের চেয়ে বড় নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে নানা উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া সর্বসাধারণকে তিনি সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান।

এদিকে টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে বেঁচাকেনা করার দায়ে চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডেপুটি নেজারত কালেক্টর(এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শহরের পার্ক বাজারে হোটেলে বসে খাবার খাওয়ার অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীকে আড়াই হাজার টাকা ও পেঁয়াজের দাম বেশি রাখায় এক ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সকলকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতসহ সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য তাগিদ ও মাইকিং করা হয়।

লকডাউন বাস্তবায়নে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. এপ্রিল ২০২১ ০২:৩৩:এএম ৪ বছর আগে
কিশমিশ উপকারী না আঙুর ? - Ekotar Kantho

কিশমিশ উপকারী না আঙুর ?

একতার কন্ঠ ডেস্কঃ ফল হিসেবে আঙুর কার না প্রিয়? রসে ভরপুর স্বাধে পরিপূর্ণ এই ফল খুবই মুখোরোচক। আঙুরের শুকনো রূপ হচ্ছে কিশমিশ।আঙুর আমরা ফল হিসেবে খাই, আর কিশমিশ সেমাই, পায়েস এবং জর্দার স্বাধ বাড়ায়।

কিশমিশ এনার্জি বুস্টার হিসেবে পরিচিত এবং পটাশিয়াম, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টিতে ভরপুর। কিশমিশ এবং আঙুরের পুষ্টিগুণ আলাদা হয়। তাই কারো জন্য আঙুর ভালো , কারো জন্য কিশমিশ।

এই প্রশ্নও উঠতে পারে এই দুইয়ের মধ্যে কোনটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো? এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাইয়ের প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে-

* আঙুর শুকালো এতে চিনির পরিমাণ অনেক ঘন হয়ে যায়। তাই কিশমিশে আঙুরের চেয়ে বেশি চিনি থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য এটি ক্ষতিকারক।

* আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ সুরক্ষা পেতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিশিমিশে আঙুরের চেয়ে তিন গুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এই দিকটায় চিন্তা করলে কিশমিশ ভালো।

* আঙুর ও কিশমিশের মধ্যে বিচার করলে দেখা যায় যে, কিশমিশে আঙুরের চেয়ে বেশি ক্যালরি থাকে। চিনির মতোই ক্যালোরির ক্ষেত্রেও কিশমিশের অনেকটাই এগিয়ে আঙুরের চেয়ে। ডায়েটের ক্ষেত্রে আঙুরের চেয়ে কিশমিশ ভালো।

* মেদ ঝড়াতে আঙুরের থেকে কিশমিশের ভূমিকা বেশি। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কিশমিশ ভালো বিকল্প হতে পারে।

কোনো ব্যক্তির প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে কোনটি বেশি উপকারী। আপনি যদি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান, তাহলে কিশমিশ আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো বিকল্প। যদি সুগার বেশি থাকে তাহলে আঙুর খান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. মার্চ ২০২১ ১০:৪৪:পিএম ৪ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নতুন করে ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নতুন করে ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে আবারো বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ২৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে ৩ হাজার ৭৪৮ জন। এ পর্যন্ত জেলা মোট মৃত্যুবরণ করেছে ৬৫ জন।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৯জন, মির্জাপুরে ২জন ও গোপালপুরে ২জন নিয়ে মোট ১৩জন।

এদিকে করোনায় আক্রন্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই তেমন কোন সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বেশির ভাগ লোকই পড়ছে না মাক্স। মানছেনা সামাজিক দূরত্ব। এদিকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলাতেই কাজ করে যাচ্ছে।

অন্যদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাক্স বিতরণ ও মাক্স ছাড়া চলাচলকারী অনেক লোককেই সচেতনতা সৃষ্টি ও জরিমানা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. মার্চ ২০২১ ০৩:০১:এএম ৪ বছর আগে
বিটরুটের জুস প্রতিদিন কেন খাবেন - Ekotar Kantho

বিটরুটের জুস প্রতিদিন কেন খাবেন

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ বিটকে বলা হয়ে থাকে পুষ্টিকর ফল। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে; যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। বিটে জিংক, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নাইট্রেট, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬সহ প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। প্রতিদিন বিটের জুস খাবার তালিকায় রাখলে কী কী উপকার পাওয়া যাবে, চলুন জেনে নেয়া যাক-

 

শরীরের রক্তস্বল্পতা কমাতে নিয়মিত ১ গ্লাস বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যমান আয়রন হিমোগ্লোবিন ও লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। খাওয়ার সময় জুসের সঙ্গে লেবুর রস যোগ করে নিতে পারেন। লেবুতে বিদ্যমান ভিটামিন সি-সহ শরীরে আয়রন শোষণ করে।
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত বিটের জুস খাওয়া যেতে পারে। বিটে বিদ্যামান ফোলেট গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত  বিভিন্ন ত্রুটি প্রতিরোধ করে।

 

যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে কিংবা বিকালে নাস্তায় বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। লো ফ্যাট থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

বিটে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় তা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি তারা নিয়মিত বিটের জুস খেতে পারেন। এতে বিদ্যামান ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। বিটেইন থাকায় যকৃতে চর্বি জমতে দেয় না। খুব সহজেই বডিকে ডিটক্সিফাই করে।

 

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ কমাতে প্রতিদিন বিট ও গাজর দিয়ে বানানো জুস  খেতে পারেন।

সংবাদ সূত্র- যুগান্তর আনলাইন নিউজ পোর্টাল

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. ফেব্রুয়ারী ২০২১ ০৪:২৭:এএম ৪ বছর আগে
স্ট্রোক কী এবং স্ট্রোক হলে কী করবেন? - Ekotar Kantho

স্ট্রোক কী এবং স্ট্রোক হলে কী করবেন?

একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ স্ট্রোক কী?

স্ট্রোক হল মস্তিষ্কের রক্তনালির একটি রোগ। সেই রক্তনালি ছিঁড়ে যাওয়া অথবা ব্লক হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের কারণ।

অতএব স্ট্রোক দু’ধরনের-
১. রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ। একে বলে হেমোরেজিক স্ট্রোক।
২. রক্তনালি ব্লক হয়ে গিয়ে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত না যাওয়া এবং ওই অংশের শুকিয়ে যাওয়া। একে বলে ইস্কেমিক স্ট্রোক।

কেন স্ট্রোক হয়?

সাধারণত কিছু ক্ষেত্রে অনেকদিন ধরে ধীরে ধীরে বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাই-প্রেসার, হাই-কোলেস্টেরল, ধূমপান, পারিবারিক স্ট্রোকের ইতিহাস, হার্টের অসুখ যেমন- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, রক্তজমাট বাঁধা অসুখ, ক্যান্সার ইত্যাদি আরও অনেক কারণ রয়েছে স্ট্রোকের।

আবার অনেক সময় কোনো পূর্ব রোগ ছাড়াও হঠাৎ করেই হতে পারে স্ট্রোক। এক্ষেত্রে হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া, জন্মগত রক্তনালির গঠনগত সমস্যা, জন্মগত এনজাইমের সমস্যা, মেটাবলিক সমস্যা ইত্যাদি রয়েছে।

তাই শুধু বয়স্কদের নয়, একেবারে তরুণদের মধ্যেও স্ট্রোক হতে দেখা যায়।

স্ট্রোকের লক্ষণ কী?

সবসময় সবধরনের স্ট্রোকের একই রকম লক্ষণ হয় না। কী ধরনের স্ট্রোক, কী কারণে হল, মস্তিষ্কের কোন অংশে হল তার ওপর ভিত্তি করে লক্ষণও হতে পারে ভিন্ন।

হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায়ও যেমন স্ট্রোক হতে পারে, তেমনই শরীরের কোনো অংশ ধীরে ধীরে দুর্বল বা অবশ হয়ে যাওয়া, ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়া, মুখ একদিকে বাঁকিয়ে যাওয়া, মুখ থেকে খাবার ও পানি গড়িয়ে পড়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন যেমন- চিনতে না পারা, অপ্রাসঙ্গিক বা আজেবাজে কথা বলা, অকারণে বিরক্ত হয়ে হইচই করা, একদম চুপচাপ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

এগুলো হওয়া মানেই যে স্ট্রোক- এমনটি নয়। আরও অনেক কারণেই এমন হতে পারে। তবে এ ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

স্ট্রোক হলে কী করণীয়?

পরিবারের কারো এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ভয় ও উদ্বিগ্ন লাগাটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আপনার প্রথম ও প্রধান করণীয় রোগীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অ্যাম্বুলেন্স ডাকা এবং হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করা।

কোনো ধরনের ওষুধপত্র নিজ থেকে দিবেন না। কারণ স্ট্রোকটি হেমোরেজিক না ইস্কেমিক আপনি জানেন না, ওষুধ প্রদানে উল্টা তার ক্ষতি হতে পারে। মুখে কিছু খাওয়াতে যাবেন না, এমনকি পানিও।

এ খাবার ও পানি তার শ্বাসনালিতে গিয়ে আটকে যেতে পারে ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে অথবা ইনফেকশন করতে পারে, যা এ অবস্থায় তার জন্য খুবই ক্ষতিকর। আর ওই যে ভাইরাল পোস্টে পড়েছেন সুই দিয়ে আঙ্গুল ফুটো করে দেয়া- সেটি ভুলেও করবেন না।

এতে রক্তক্ষরণ থেকে রোগী আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে, ক্ষতের জায়গায় ইনফেকশন হয়ে রক্তে ছড়িয়ে সেপটিসেমিয়া হয়ে যেতে পারে এবং আমাদের শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমে রক্তনালি সংকুচিত হয়ে স্ট্রোকের ফলাফল আরও খারাপ হতে পারে।

স্ট্রোকের চিকিৎসায় যেই হাড় ছিদ্র করে বারহোল সার্জারির কথা বলা হয়েছে, অনেকে এর সঙ্গে হাতে সুই ফোটানোকে গুলিয়ে ফেলেছে। বারহোল করে মস্তিষ্কের জমাটরক্ত সরানো হয়, যা মস্তিষ্কের একটি অংশে চাপ দিচ্ছে।

হাত, পা, কান ফুটো করে কয়েক লিটার রক্ত বের করেও এ জমাটরক্ত কমানোর কোনো পথ নেই। যদি বের করতেই হয় তবে মাথার হাড়ই ফুটো করতে হবে এবং এ ডিসিশন একমাত্র আপনার চিকিৎসকই দিতে পারেন।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. মার্চ ২০২১ ০৯:০৯:পিএম ৪ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।