একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মো. রাকিব মিয়াকে (২২) আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে গোপালপুর পৌর শহরের হাটবৈরান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম নূরী বেগম (১৯)। সে উপজেলার সূতি লাঙ্গলজোড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে রাকিবের সাথে নূরী বেগমের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ের সম্পর্কে গড়ায়। বিয়ের পর থেকেই রাকিব নূরী বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাকিব নূরী বেগমকে মারধোর করে। এতে নূরী বেগম জ্ঞান হারালে রাকিব নিজেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে, রাকিব পালিয়ে যায়।
নিহত নূরীর বড় বোন মল্লিকা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত রাকিব তার বোনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এমনকি তাদের সাথে মোবাইল ফোনেও কথা বলতে বাঁধা দিত। আমি রাকিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরোয়ার হোসেন খান সোহেল জানান, মৃত অবস্থায় নূরী বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার স্বামী রাকিব। কর্তব্যরত চিকিৎসক নূরীকে মৃত ঘোষণার পর রাকিব মরদেহ ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহের গায়ে নির্যাতনের পুরনো চিহ্ন রয়েছে।
এবিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, মরদেহের গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত রাকিবকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু’র কর্মী (দোয়াত কলম) সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের শ্রীরামবাড়ী এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবাররা বাড়ির সামনে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।মানববন্ধনে ২০ টি পরিবারের নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানায়, বুধবার (৮ মে) রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের শ্রীরামবাড়ী ও অরনখোলা ইউনিয়নের জলছত্র গ্রামে বিজয়ী প্রার্থী মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. ইয়াকুব আলীর কর্মী সমর্থকরা হামলা ও ভাংচুর চালায় । হামলায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শ্রীরামবাড়ীর বাসিন্দা ও দোয়াত-কলম প্রতীকের সমর্থক আল-আমিন বলেন, পরাজিত প্রার্থী আবু খানের নির্বাচন করায় বিজয়ী প্রার্থী ইয়াকুব আলীর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে তারা। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পড়ে রাত ১২টার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন, সোলায়মান, আসলাম, নুরু ড্রাইভার, মামুন, খোকাসহ দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা ও তার দলবল নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা ও ভাংচুর করে। এছাড়া ১৫ থেকে ২০ মন আবাদি ফসল ভূট্রা নিয়ে যায়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মধ্যরাতে বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটকে রেখে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও আলমিরাতে থাকা ১৯ ভরি স্বর্ণ অলংকার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের বাঁধা দিলে গেলে তাদের দু’জনকে মারপিট করে আহত করা হয়।
সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পশ্চিমপাড়ার আলীম আল রাজিম আকন্দের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে কয়েড়া ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগি আলীম আল রাজিম জানান, বাসার পেছনে লোহার গ্রিল কেটে মধ্যরাতে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। তখন আনুমানিক রাত দেড়টা হবে। পরে হঠাৎ কোনো কিছুর শব্দে ঘুম ভাঙলে চিৎকার করার চেষ্টা করলে আমার ও সন্তানদের মাথায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা।
এর একপর্যায়ে আমার স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায় এবং সে আমাকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে তাকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আলমারি ও লকারের চাবি চায় ডাকাত দল। পরে চাবি দিতে না চাইলে ডাকাতরা আমাদের সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে ও মারধর করে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ১৯ ভরি স্বর্ণ লুটপাট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, তারা রাত ৪ টার দিকে পালিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক আমি বাসা থেকে বেরিয়ে ডাক-চিৎকার করলে লোকজন আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসি। এরআগে সকালে বিষয়টি ভূঞাপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়।
এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোরে ঘটনাটির ব্যাপারে ভুক্তভোগী জানালে দ্রুত টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী কোনো অভিযোগ না করলেও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার হাটকয়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসাইনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ উঠেছে।
আর প্রধান শিক্ষকের এসব কর্মকান্ডের ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে অভিভাকরা ক্রমাগত তাদের সন্তানদের পার্শ্ববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করায় বিদ্যালয়টি প্রায় শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পরার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের মতে প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক আসবাবপত্র ক্রয় ও মেরামতের নামে প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাবকরা জানান, গত ২০১১ সালের ২৭ মার্চ ঘাটাইল উপজেলার হাটকয়েড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মো. সোহরাব হোসাইন। পার্শ্ববর্তী গ্রামে তার বসবাস হওয়ার কারণে স্থানীয় প্রভাবে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্রয়ে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। এছাড়া প্রতি বছর স্লীপ ফান্ডের অর্থ কোথায় কিভাবে ব্যয় করেন এ ব্যাপারে কমিটির অন্যরা কিছুই জানেন না।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী জানান, প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসাইন যোগদানের সময় ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াইশ। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা শতকের নীচে।
সরেজমিনে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান মুকুল, কামরুল হাসান, অভিভাবক আবুল কালাম, গিয়াস উদ্দিন, নিতাই সুত্রধর সহ অনেকেই জানান, বিদ্যালয়ে পড়াশুনার কোন পরিবেশ নেই। প্রধান শিক্ষক নিজে চারজন সহকারী শিক্ষিকা নিয়ে অফিস রুমে প্রায়ই টাঙ্গাইলের কৌতুক অভিনেতা আহসানের ভাদাইমা নাটক দেখে সময় কাটান। এছাড়াও তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলেন সরকারি চাকুরি করেন। এ স্কুলে শিক্ষার্থী না থাকলেও তার চাকুরি যাবেনা।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামীম আল মামুন জানান, তিনি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রধান শিক্ষক কোন মাসিক প্রতিবেদনে স্বাক্ষর নেয়নি। এছাড়া বিদ্যালয়ের ভাউচারের বিপরীতে তার স্বাক্ষর জাল করে প্রধান শিক্ষক টাকা উত্তোলন করেছেন। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও শিক্ষার মানোন্নয়ন হয়নি। বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ লাইন থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত তা বিচ্ছিন্ন। বিদ্যালয়ের একমাত্র নলকূপটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
ঘাটাইল উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হোসাইন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি অন্যত্র বদলীর জন্য অফ লাইনে চেষ্টা করছেন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জয়নাল মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
দায়ের করা মিথ্যা মামলায় শিকার হয়েছেন উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খাঁর ছেলে মো. শুকুর আলী ও লালু শিকদারের ছেলে আব্দুল আজিজ।
জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সামনে সামাদ দেওয়ানের মুদির দোকানে রাতের বেলায় রাস্তায় টর্চ জালানোকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী জয়নাল মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়ার সাথে স্থানীয় মো. রাব্বেস মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
বাকবিতন্ডতার এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রুপ নেয়। সেখানে উপস্থিত বাদী জয়নাল মিয়ার হাতে থাকা টর্চ লাইট নিয়ে তাঁর ছেলে চাঁন মিয়ার মাথায় আঘাত করে অভিযুক্ত রাব্বেস। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। ঘটনায় সামান্য আহত চাঁন মিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চাঁন মিয়া বাড়ী চলে যায়।
পরে শুক্রবার (১০ মে) মির্জাপুর থানায় মো. রাব্বেস মিয়া, মো. শুকুর আলী ও মো. আব্দুল আজিজকে হত্যা চেষ্টা ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত করে জয়নাল মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মুদি দোকানদার সামাদ দেওয়ান বলেন, ঘটনার দিন রাতের বেলা অভিযুক্ত রাব্বেস তার মুদি দোকানের সামনে রাখা চেয়ারে বসেছিলো। হঠাৎ চাঁন মিয়া ও তার চাচাতো ভাই কালাম রাব্বেসকে বলে তুই আমার বাবার সাথে বেয়াদবি করেছিস কেন। তারপর হঠাৎ করেই রাব্বেসকে চাঁন মিয়া ও কালাম অতর্কিত কিল, ঘুষি মারতে শুরু করে। মারতে মারতে তাকে পাশের টিউবওয়েল পারে নিয়ে ফেলে দেয়। এসময় রাব্বেস আত্মরক্ষার্থে তার পাশে উপস্থিত চাঁন মিয়ার পিতা জয়নালের হাতে থাকা টর্চ নিয়ে চাঁন মিয়াকে আঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। মারামারির সময় শুকুর আলী ও আব্দুল আজিজ কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলোনা।
মামলার বাদী জয়নাল মিয়া বলেন, ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মামলায় অভিযুক্ত শুকুর আলী ও আব্দুল আজিজ উপস্থিত ছিলো কিনা আমি দেখি নাই। তবে আমার মনে হয়েছে পাশেই অন্ধকারে তারা দাঁড়িয়ে ছিল এবং মারামারিতে তাদের ইন্ধন ছিল। এজন্যই মামলার এজাহারে তাদের নাম দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড মেম্বার লতিফ রানা বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেছে এটা ঠিক। কিন্তু ঘটনাস্থলে শুকুর আলী ও আব্দুল আজিজ কেউ উপস্থিত ছিলোনা। তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো সঠিক হয়নি।
বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান বলেন, ঘটনার দিন আমি মোটরসাইকেল নিয়ে সামাদ দেওয়ানের দোকানের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, এসময় দোকানের সামনে লোকজনের জটলা দেখতে পাই। পরে আমি বাসার দিকে রওনা হই। কিছুদূর যাওয়ার পর লোকজনের ধর ধর চিৎকারে আমি মোটরসাইকেল থামালে রাব্বেসকে দৌড়িয়ে পালিয়ে যেতে দেখি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি রাব্বেসের সাথে চাঁন মিয়া ও কালামের মারামারি হয়েছে। পরে স্থানীয়রা চাঁন মিয়াকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারি মামলার অভিযুক্ত শুকুর আলী ও আব্দুল আজিজ মারামারিতে জড়িত ছিলোনা। পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাদেরকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার (১০ মে) সকালে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের কাঠুরী গ্রামের এক ধান ক্ষেতের আইল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি নিছক দুর্ঘটনা এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর নাম অঞ্জনা বেগম (৪২)। সে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের বারাপুষা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীমউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বাহাদুর মিয়া জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তার ধান ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য শ্যালো মেশিন ঘরে যাওয়ার পথে ক্ষেতের আইলে একজন মহিলার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে স্থানীয়দের খবর দিলে, তারা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহতের ছোট ছেলের স্ত্রী প্রিয়া আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১০টার দিকে বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য বেকড়া গ্রামের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন তার শাশুড়ি। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খবর পান কাঠুরী গ্রামের নিজামুদ্দিনের বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি ধান ক্ষেতের আইলে এক মহিলার মরদেহ পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান আর শাশুড়ি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।
নিহতের স্বামী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তিনি কাজে চলে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তার ছেলের বউয়ের কাছে তার শাশুড়ি কোথায় জানতে চাইলে বলে, অঞ্জনা (তার স্ত্রী) বাবার বাড়ি গেছেন। শুক্রবার সকালে খবর পাই আমরা স্ত্রীর মরদেহ ধান ক্ষেতের আইলে পড়ে আছে।
নিহত অঞ্জনা বেগমের পিতা মো. গনি মিয়া বলেন, আমার মেয়ে অঞ্জনা বৃহস্পতিবার তার বাড়ি বেকড়া গ্রামে যায়নি। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছি।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীমউদ্দীন জানান, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাবার ভোট দিতে এসে কিশোর ছেলে আটক হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের সুবকচনা কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার সময় ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত নাজমুল হোসেন (১৪) উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের সুবকচনা গ্রামের আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে।
সুবকচনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে বাবার ভোট দিতে আসলে দোয়াত কলম প্রতীকের এজেন্টের সন্দেহ হয়। পরে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে স্বীকার করে সে জাল ভোট দিতে এসেছে। পরে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আরিফ হোসেন তাকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তারা এসে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
উল্লেখ্য, মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন।
মধুপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু (দোয়াত কলম), টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী (আনারস) এবং টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মীর ফরহাদুল আলম মনি (মোটর সাইকেল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিএলএস চাষী উচ্চ বিদ্যালয়ে রাতের আঁধারে মোমবাতি জ্বালিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পরিক্ষা স্থগিত করেন কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার বিএলএস চাষী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নয়জন পরীক্ষা দিতে যান। পরে প্রার্থীদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও রাত ৮টার দিকে
বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। রাতে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাটি স্থগিত করেন।
বিদ্যালয়ের জমিদাতা আব্দুর রশিদ বলেন, রাতের আঁধারে নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছিল, কিন্তু আমরা এলাকাবাসী বিষয়টি জানি না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আপন ভাই ও তার বোন জামাই পরীক্ষা দিচ্ছে। এ পরীক্ষা সুষ্ঠু হতে পারে না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, তার ভাই ও বোন জামাই পরীক্ষা দিচ্ছেন তাই এ নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি কোনো দায়িত্ব পালন করছেন না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা বিকেল ৪টার দিকে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে পরীক্ষা নেওয়া দেরি হয়েছে। পরে সন্ধ্যার দিকে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করা হয়। বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে এক পর্যায়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
রাতে পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম আছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা দিনেই পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছিলাম।
জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) মো. আবুবকর সরকার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। প্রার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজীব নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন।
নিহত রাজীব হোসেন (৩০) উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে। সে ভাদ্রা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের আজাহার ও রাজীবের মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিরোধের জের ধরে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি বেল গাছ থেকে বেল পাড়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে আজাহার ও তার পরিবারের লোকজন ধারালো দেশিও অস্ত্র দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাজীবকে কোপাতে থাকে। এ সময় তার পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৫ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত রাজীবের ময়নাতদন্ত মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মো. লুৎফর রহমান (৩২) নামে এক প্রবাসীকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২ জন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের সহবতপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসী লুৎফর রহমান উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের সহবতপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আশরাফ আলীর ছেলে।
আহত দু’জন হলেন, ওই ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ দেওয়ানের ছেলে আব্দুল মতিন (২৬) ও মো. আজম মিয়ার ছেলে আব্দুল বাতেন (৪২)। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
এঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সহবতপুর ইউনিয়নের লালটু মিয়ার ছেলে মো. যুবায়ের (২৭) ও বদ্দু মিয়ার ছেলে মো. আকাশ (২২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সহবতপুর ইউনিয়নের শালিয়ারা গ্রামের ময়নাল সিকদার কাঠ ব্যবসায়ী বাকাইয়ের কাছে একটি আম গাছ বিক্রি করেন। রবিবার সকালে ওই ব্যবসায়ী ৩ জন গাছ কাটার লেবার (গাইছা) কে গাছ কাটতে পাঠান। গাছ কাটার সময় ঘরের চালের উপর ডাল যেন না পড়ে এ নিয়ে লেবারদের গাছ কাটতে বাঁধা দেয় ময়নালের ছেলে নজরুল। এ নিয়ে লেবারদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নজরুল ও তার ছোট ভাই মিলে একজনক লেবারকে মারধর করে ও অপর জনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।
খরব পেয়ে কাঠ ব্যবসায়ী বাকাই এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তাদেরকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পরে ওই দিন সন্ধায় লেবার করিমের ভাতিজা বাতেন লুৎফর ও মতিনকে সাথে নিয়ে নজরুলের বাবা ময়নালের সাথে কথা বলার জন্য সহবতপুর বাজারে যায়। ময়নালের সাথে কথা বলার সময় নজরুলের নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে তাদের উপর হামলা করে। মুমুর্ষ অবস্থায় লুৎফরকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নয়ন মন্ডল তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
গুরুতর আহত বাতেন ও মতিনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মতিনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
নিহতের চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, গাছ কাটা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের মিমাংসার উদ্দেশ্যে বাতেন, লুৎফর ও মতিন সহবতপুর বাজারে ময়নালের কাছে যায়। এসময় ময়নালের ছেলে নজরুল দলবল নিয়ে তাদের উপর হামলা করলে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নয়ন মন্ডল জানান, নিহত লুৎফরের বুকের বা পাশে ছুরিকাঘাতের কারনে হার্টে ইনজুরি হয়ে লুৎফরের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের হাতিলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার দুপুরে অপহরণ, ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করাসহ নগদ ৫’শ টাকা আদায়ের অভিযোগে ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী যুবক মো. রুবেল রানা।
গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই সরকার দলীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও হাতিলা গ্রামের ধীনেশ সরকারের ছেলে প্রশান্ত সরকার (৩৫), ইউনিয়ন ছাত্রীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাতিলা গ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে রিপন মিয়া (৩০), ধীরেন চন্দ্র মন্ডলের ছেলে প্রতিক কুমার সরকার (২৩), অজিবর রহমানের ছেলে রিমন মিয়া (২১)।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- আইনুদ্দিনের ছেলে সবুজ (২১), চাঁদ মাহমুদের ছেলে রনি (২৩), জুলহাস মিয়ার ছেলে রাব্বি (২১) ও আজগর আলীর ছেলে সুজন (২১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন।
তিনি জানান, পাশের কালিহাতী উপজেলার বিনোদ লুহুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মো. রুবেল রানা হাতিলা গ্রামের শশুর কান্দু মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে অপহরণ করেন আটককৃতরা। মুক্তিপণের জন্য রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত অপহৃতের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় তারা। এ সময় অপহৃত রুবেলের কাছে থাকা ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। ঘটনাটি রাতেই অপহৃতের ভাই বাবু পুলিশকে জানায়। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অপহৃত রুবেলকে উদ্ধার করাসহ অভিযুক্তদের আটক করে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপহৃত রুবেল নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা অপরহণ ও চাঁদা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান ওসি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বেপরোয়া গতির বালুবাহী ট্রাক্টর কেড়ে নিল সিএনজি যাত্রী এক যুবকের প্রাণ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল-দৌলতপুর আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গা এলাকার ব্র্যাক অফিসের সামনে বালুবাহী ট্রাক্টর-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ওই যুবক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন।
নিহত ওই যুবকের নাম রাকিব মিয়া(২৪)। সে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের নরদহি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দুপুরে নাগরপুর থেকে একটি সিএনজি টাঙ্গাইলের উদ্যেশে রওনা হয়। অপরদিকে, টাঙ্গাইলের দিক থেকে বালু ভর্তি একটি ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে নাগরপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার ডাঙ্গা এলাকার ব্র্যাক অফিসের সামনে পৌঁছলে সিএনজি-ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে সিএনজিতে থাকা রাকিব ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় সিএনজি চালক।পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, বালুবাহী ট্রাক্টরগুলো দিনরাত আঞ্চলিক সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। অধিকাংশ ট্রাক্টর চালক কিশোর হওয়ায় কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রচন্ড গতিতে ট্রাক্টর চালায় তারা। ফলে এই সড়কে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ প্রসঙ্গে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পলাতক রয়েছে। এব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়নি।
তিনি আরো জানান,আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।