/ হোম / অপরাধ
টাঙ্গাইলে স্ত্রীর লাঠির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্ত্রীর লাঠির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেপ্তার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামী জুয়েল রানাকে (৩৮) লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন স্ত্রী তানিয়া আক্তার।

শনিবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কালিয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল রানা ওই গ্রামের মজনু সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে জুয়েল ভালোবেসে তানিয়াকে বিয়ে করেন। তাদের তিনটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর ভালোই চলছিল তাদের সংসারজীবন। সম্প্রতি জুয়েলের সঙ্গে এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। কিন্তু এতেও তাদের সম্পর্ক বাদ যায়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে শনিবার রাতে কাঠের টুকরা দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা স্বামী জুয়েলকে মাথায় আঘাত করেন স্ত্রী তানিয়া। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জুয়েল।

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন স্ত্রী তানিয়া। এর সঙ্গে অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫৭:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর লিঙ্গ কাটলেন স্ত্রী - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর লিঙ্গ কাটলেন স্ত্রী

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পরকীয়া সন্দেহে মোবারক হোসেন খান নামের এক ব্যক্তির লিঙ্গ কেটে দিয়েছেন তার স্ত্রী মায়া খাতুন।

বুধবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের লোকেরপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, উত্তর লোকেরপাড়া গ্রামের নুলু খানের ছেলে মোবারক হোসেন খান ও তার স্ত্রী মায়া দীর্ঘদিন ঢাকায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে আসেন তারা। কিছুদিন যাবৎ স্বামীর অন্য কোথাও অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এরই জেরে বুধবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রী একসাথে ঘুমানোর পর স্ত্রী মায়া খাতুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী মোবারক হোসেন খানের লিঙ্গ কেটে দেয়। পরে তাকে মূমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্ত্রী মায়া জানান, দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ সে অন্য নারীর সাথে যোগাযোগ করে আসছে। আমি বার বার তাকে নিষেধ করলেও মানে না। আমি সহ্য করতে না পেরে এমনটি করেছি। তখন আমার মাথা ঠিক ছিলো না।

এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে কোন মামলা হয়নি। পারিবারিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪৯:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকের আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকের আত্মহত্যা

আরমান কবীর টাঙ্গাইলে প্রেমিকাকে(২৫) ভিডিও কলে রেখে এক কিশোর প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। পরকিয়া প্রেমের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রেমিকাকে গাছে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা । পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তানভীর আহমেদ।

নিহত ঐ কিশোরের নাম রাসেল মিয়া (১৬)। সে দরুন উত্তর পাড়া এলাকার মোঃ চাঁন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। রাসেল পেশায় একজন অটোরিকশা মেকানিক ছিল।

স্থানীয়রা জানায়,প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাসেল ও স্থানীয় মারিয়ার মধ্যে। মারিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে এক প্রফেসরের সঙ্গে এবং একটি ছেলেও আছে তাদের। এদিন হঠাৎ সকাল ১১টার সময় খবর পাই রাসেল আত্মহত্যা করেছে। তখন মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পাই মারিয়ার সঙ্গে কথোপকথন।

রাসেল ও মারিয়ার মধ্যে ঝগড়া চলছিল মনে হয়। রাসেল আত্মহত্যা করার সময় মারিয়ার সঙ্গে কথাও বলেছে। আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। অপরদিকে, প্রেমিকা মারিয়াকে এলাকাবাসী আটক করে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে।

নিহতের পিতা চাঁন মিয়া জানান, তিনি ঈদ উপলক্ষে তার বড় ছেলের শশুর বাড়ী ঘাটাইল বেড়াতে গিয়েছিলেন। টাঙ্গাইলের অন্য একটি বাড়িতে তার স্ত্রী ও মেঝ ছেলে ছিল । ছোট ছেলে রাসেল একাই বাড়িতে ছিল। বুধবার সকালে তার মেঝ ছেলে বাড়ি গিয়ে রাসেলের ঘর ভিতর থেকে বন্ধ দেখে, বাহির থেকে ডাকাডাকি শুরু করে। রাসেলের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা ঘরের খোলা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে রাসেলকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ঘরের দরজা ভেঙে রাসেলকে সিলিং ফ্যান থেকে নামিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাসেল অভিমান করে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট থেকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে যে কোন সময় আত্মহত্যা করেছে।আমি এই ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছি।

টাঙ্গাইল সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের পিতা চাঁন মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. এপ্রিল ২০২৫ ০২:৫৭:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে ‘গরু চুরি করতে এসে’ গণধোলাইয়ে যুবকের মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ‘গরু চুরি করতে এসে’ গণধোলাইয়ে যুবকের মৃত্যু

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু চুরি করতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বাইমাইল পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই যুবকের বাড়ি পাবনায় বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খবরে গরুর মালিকরা সচেতন হয়ে গরু পাহারায় থাকেন। শুক্রবার রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে তিনজন গরুচোর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বাইমাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার দেওয়ান সাহামুদ্দিনের বাড়িতে যান। হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুজন রাস্তায় পাহারায় থাকেন এবং অন্যজন গোয়ালঘরের টিনের তারকাঁটা খুলতে থাকেন। এ সময় শব্দ পেয়ে ৮০ বছরের বৃদ্ধ সাহামুদ্দিন তার নাতিকে ডেকে তোলেন এবং চিৎকার করতে থাকেন।

পরে আশপাশের বাড়ির লোকজন ধাওয়া করে একজনকে আটক করে ধোলাই দেন। পরে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. মার্চ ২০২৫ ০১:৪০:এএম ৩ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যা

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে রঞ্জু খন্দকার (৩৫) নামের এক মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রঞ্জু খন্দকার জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক খন্দকারের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের মাদকাসক্ত ছেলে ফরিদ খানকে টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (২২ মার্চ) রাতে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয় জন ব্যক্তি মনির খানের বাড়িতে যান। পরে মনিরের ছেলে ফরিদকে ঘর থেকে বের করার সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ির পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজন এগিয়ে আসে। পরে ফরিদ, পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজনে মিলে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের ওপর অতর্কিহামলা চালায়। এ সময় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী রঞ্জু খন্দকার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সেখানে তার সঙ্গে থাকা অপর লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিরাময় কেন্দ্রের আরও চারজন আহত হন।

এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে রঞ্জু খন্দকারের মৃত্যু হয়। পরে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে তার লাশ বাসাইল থানায় আনা হয়। পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফরিদ ও পলাশ মাদক কারবারি বলে স্থানীয়দের দাবি।

টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক খন্দকার মজিবর রহমান তপন বলেন, মাদকাসক্ত ফরিদকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য তার বাবা মনির খান আমাদের কাছে আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন ফরিদকে আনতে তাদের বাড়িতে যান। সেখানে ফরিদকে আনার জন্য চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. মার্চ ২০২৫ ১২:০০:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় অটোচালকসহ দুইজন নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় অটোচালকসহ দুইজন নিহত

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে হানিফ পরিবহন বাসের ধাক্কায় অটোচালকসহ দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনাসেতু মহাসড়কের পাথাইলকান্দি এলাকার ২নং ব্রীজের কাছে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ভাবলা গ্রামের ছাকু মন্ডলের ছেলে অটোচালক হাসেন আলী (৫৫), একই এলাকার মো. লালমিয়ার ছেলে সবুজ (১৩) ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ভাবলা গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। অটোটি রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনাসেতু মহাসড়কে উঠলে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস অটোটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোচালক হাসেন আলীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত দুইজনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজ নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।

যমুনাসেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করার চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. মার্চ ২০২৫ ০২:৫২:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে ভিক্ষুককে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে গণধোলাই - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভিক্ষুককে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবককে গণধোলাই

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ভিক্ষুককে (২০) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আশিক খান (২৪) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর পূর্ব কাজিরাপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ আশিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত আশিক খান উপজেলার ঢংপাড়া মাঝিবাড়ি এলাকার কাশেম খানের ছেলে। অভিযুক্ত অপর যুবকের নাম মামুন (২৪)। সে উপজেলার কাঞ্চনপুরের দক্ষিণ বাইদপাড়া এলাকার শফিকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ভিক্ষা করার জন্য উপজেলার কাঞ্চনপুরের পূর্ব কাজিরাপাড়া এলাকায় যায়। ওই নারী ঝিনাই নদীর পাড়ে পৌঁছলে আশিক ও মামুন নামে দুই যুবক মিলে জোরপূর্বক তাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই নারীকে ফেলে তারা দুজনে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরে একপর্যায়ে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত আশিককে স্থানীয়রা ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক সামির মিয়া ও যুগ্ম সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান বাসাইল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলে, ওই যুবককে থানায় আনা হয়েছে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. মার্চ ২০২৫ ০৬:৪১:পিএম ৪ সপ্তাহ আগে
মির্জাপুরে গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট - Ekotar Kantho

মির্জাপুরে গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ডাকাতেরা গুলি করে গরু ব্যবসায়ীদের ৭৮ লাখ টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার(২২ মার্চ) সন্ধায় গোড়াই-সখীপুর আঞ্চলিক সড়কে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা হলেন, রাজশাহীর পবা উপজেলার বিন্দারামপুর গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে পিয়ারোল, একই এলাকার লিটন মিয়া, মনিরুল ও জেবেল মিয়া।

ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলে গরুর অন্যতম বৃহৎ হাট হচ্ছে মির্জাপুরের কাইতলা। শনিবার ছিল সাপ্তাহিক হাটবার। ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা বেচাবিক্রি শেষে সন্ধায় প্রাইভেট কারে হাট থেকে ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া এলাকায় ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাসে এসে ডাকাতেরা ব্যবসায়ীদের প্রাইভেট কারের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পরে ডাকাতেরা প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাঁদের সঙ্গে থাকা ৭৮ লাখ টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এর পর খাটিয়ারহাট সড়ক দিয়ে তারা পালিয়ে যায় বলে গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

খবর পেয়ে মির্জাপুর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান মাহাবুব সিদ্দিকী ও মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন পুলিশের একাধিক টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা এ ব্যাপারে গরু ব্যবসায়ী ও আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

গরু ব্যবসায়ী পিয়ারোল বলেন, ‘ডাকাতেরা গুলি ছুড়লে আমরা ভয় পেয়ে যাই। পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে আমাদের ৭৮ লাখ টাকাভর্তি দুটি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন।’

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি )মো. মোশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. মার্চ ২০২৫ ০৫:২৯:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতা খায়রুল ইসলাম গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে আ’লীগ নেতা খায়রুল ইসলাম গ্রেপ্তার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের একটি নাশকতা মামলায় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও ভূঞাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল ইসলাম তালুকদার বাবলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২২ মার্চ) বিকালে উপজেলার শিয়ালকোল হাট থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে একটি নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, টাঙ্গাইলের একটি নাশকতা মামলায় খায়রুল ইসলাম তালুকদার বাবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. মার্চ ২০২৫ ০২:৩২:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গাতে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১৯‌ মার্চ) বিকেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনাসেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শুরুতেই একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরে তারা এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এলেঙ্গা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদি হাসান, শাহরিয়ার খান আকাশ, শান্ত ও সিয়াম প্রমুখ। এসময় কয়েক শতাধিক ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুরতুজ গংরা ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী বাস থেকে সমিতির নামে চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ তৈরী করছেন। ছাত্রদের রক্তের দাগ এখনো না শুকালেও তারা চাঁদাবাজি নিয়ে ব্যস্ত আছে। আমরা হুশিয়ার করে বলেতে চাই কোন অপশক্তিই এখন থেকে আর এই এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করতে পারবে না। যারা চাঁদাবাজি করবে তাদের এলেঙ্গার মাটিতে জায়গা হবে না।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. মার্চ ২০২৫ ০২:৫৫:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবদল নেতার হুমকিতে দিশেহারা প্রবাসী - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পাওনা টাকা চাওয়ায় যুবদল নেতার হুমকিতে দিশেহারা প্রবাসী

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে এক যুবদল নেতার মিথ্যা মামলা ও ক্রমাগত হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এক প্রবাসী ও তার পরিবার। প্রতিকারে মামলা দায়ের করেও সুফল না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই যুবদল নেতার অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন সৌদী প্রবাসী মো. আশিকুর রহমান তালুকদার।

আশিকুর রহমান কালিহাতী উপজেলার বাসজানা মালতি গ্রামের শাহজাহান তালুকদারের ছেলে।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মো. আশিকুর রহমান তালুকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরবের একটি ভিসা ব্যবসার কোম্পানিতে কাজ করছিলেন। ২০২২ সালে তিনি কোম্পানির ভিসা ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং সুনামের সঙ্গে ভিসা ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তার গ্রামের আমিনুর ইসলাম রুবেল বাংলাদেশে ভিসা ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করে সহযোগিতা চান। ওই সময় কালিহাতী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও এলেঙ্গা পৌরসভার চিনামুড়া গ্রামের হাসমত আলী রেজা তার পার্টনার বলে জানান। অত:পর যুবদল নেতা হাসমত আলী রেজা তার সাথে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন। যোগাযোগের এক পর্যায়ে হাসমত আলী রেজা ১৩টি রিক্রুটিং লাইসেন্সের নাম্বর দিয়ে ভিসা পাঠানোর অনুরোধ করেন। পরে তিনি ওই ১৩টি লাইসেন্সের মাধ্যমে ৩ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১১৯টি ভিসা পাঠান। ভিসার বিপরীতে মোট টাকার মধ্যে ৫৮ লাখ টাকা হাসমত আলী রেজা তাকে পাঠান। বাকি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। কোম্পানির মালিক বাকি টাকার জন্য চাপ দিলে তিনিও যুবদল নেতা হাসমত আলী রেজা ও আমিনুর ইসলাম রুবেলকে চাপ দেন। কিন্তু তারা পাওনা টাকা পরিশোধ করতে গড়িমসি করতে থাকেন।

তিনি বলেন, কোম্পানির পাওনা টাকার চাপে তিনি বাংলাদেশে গ্রামের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে মালিকের টাকা পরিশোধ করে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে আমিনুর ইসলাম রুবেল ও হাসমত আলী রেজার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে ঢাকার অফিসে যেতে বলেন। তাদের কথা মতো ঢাকার অফিসে গেলে তারা কোন টাকা দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এক পর্যায়ে তিনি রাগান্বিত হয়ে টাকা দাবি করলে তাদের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে নাজেহাল করে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এর কিছুদিন পর যুবদল নেতা হাসমত আলী রেজা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে টাঙ্গাইলের কালিহাতী আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন পান। পরে পাওনা টাকার দাবিতে তিনিও আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি হলে হাসমত আলী ও রুবেল স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে আপোষ-মীমাংসার কথা বলে আদালত থেকে জামিন পান। এরপরও বাকি টাকা পরিশোধ না করে বা আপোষ-মীমাংসায় না বসে তাদের পোষা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় আটক করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। মামলা তুলে না নিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসবের পরেও মামলা তুলে না নেওয়ায় হাসমত আলী রেজা আবার তার নামে সাজানো অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, ন্যায্য পাওনা টাকা দাবি করায় এহেন হয়রানি ও অত্যাচার-নির্যাতন এবং ক্রমাগত হুমকিতে পরিবার নিয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীর পরিবারসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. মার্চ ২০২৫ ০২:১৯:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অব. আনসার সদস্য জেলহাজতে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অব. আনসার সদস্য জেলহাজতে

আরমান কবীরঃ  র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান (৪৫) ওরফে সোহেল রানার নামে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা হয়েছে। মো. আমিনুর সিকদার নামের এক ব্যক্তি মির্জাপুর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামি হলেন, উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন।

এর আগে রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকা থেকে অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খানকে মির্জাপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারকৃত হানিফ খান টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা উত্তরপাড়া গ্রামের বক্তার খানের ছেলে। সোমবার (১৭ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান রবিবার বিকেলে একটি গুম ও হত্যা মামলার তদন্তের নাম করে উপজেলার তরফপুর চকবাজার এলাকায় যান। একপর্যায়ে তিনি কৌশলে মামলার আসামির কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তিনি ২ লাখ টাকায় হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করার প্রতিশ্রুতি দেন। তার কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করেন। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের উপস্থিতি বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে তার আরো অপকর্ম প্রকাশ পেতে থাকে।

সে ইতিপূর্বে নিজেকে র‌্যাব সদস্য, পিবিআই, সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় চাঁদাবাজি করেছে। পুলিশের চাকরি দেওয়া, মামলার তদন্ত রিপোর্ট পক্ষে-বিপক্ষে দেওয়া, পাওনা টাকা তুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে এলাকার লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

এ বিষয়ে তরফপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ার বলেন, কয়েকদিন পূর্বে প্রতারক অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খান র‌্যাব পরিচয় দিয়ে মোবাইলফোনে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে টাকা দাবি করেন। রবিবার টাকা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তাকে এলাকায় আনা হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামি বিল্লাল হোসেন বলেন, ৫ থেকে ৬ বছর আগে পরকীয়া করে টাকিয়া কদমা উত্তরপাড়া গ্রামের ইনছ আলীর স্ত্রী রওশন আরা বেগম গর্ভবতী হন। তারপর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রওশন আরা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে এ বিষয়টি তখন আলোচনায় ছিল। এছাড়া উত্তরকদমা তেতুলা বিলে দুলালের স্ত্রীর বস্তাবন্দি কঙ্কাল পাওয়া যায়। ঘটনা দুটি অমীমাংসিত থাকায় হানিফ খান র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেওয়ায় তাকে ঘটনা দুটি তদন্তের জন্য ইনফরমেশন দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, জনতার হাতে আটক র‌্যাবের সদস্য পরিচয় দেওয়া অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য হানিফ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. মার্চ ২০২৫ ০২:৩৯:এএম ১ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।