একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পৃথক স্থান থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘাটাইল উপজেলার কাইতকাই এলাকায় একটি বাড়ির পাশের ধানখেত থেকে কিশোর শামীম (১৪) ও কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকা থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শামীম উপজেলার ভানিকাত্রা গ্রামের ভ্যানচালক করিমের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘাটাইল উপজেলার কাইতকাই এলাকায় ধানখেতের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। শামীম ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট-সংলগ্ন ঝড়কা বাজারের একটি মুরগির দোকানে কাজ করত। মাঝে মধ্যে মানুষের বাড়ির গাছগুলোর ফলমূল চুরি করত সে। যে বাড়ির পাশে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়িতে কেউ ছিল না। তার মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে একই সময়ে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার মৃত্যু ট্রেনে কাটা পড়ে নাকি অন্যকিছু হয়েছে সেটা জানা যায়নি।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে কেউ হত্যার পর সেখানে ফেলে গেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ফারুক জানান, রেললাইনের পাশে পড়েছিল ওই বৃদ্ধের মরদেহ। যেহেতু মরদেহটি রেললাইনের পাশে পড়েছিল সেহেতু বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে তারা মরদেহটি উদ্ধার করেন।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও )বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন শেষে যাওয়ার পথে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ট্রাক শ্রমিকরা।
হামলায় গুরত্বর আহত শিক্ষার্থী আসমাউল হাসান সহ কয়কজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা ভূঁইয়াপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
পরে বিকেলে শিক্ষার্থীদের উপর শ্রমিদের হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি )আহসান উল্লাহ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদের রবিবার হঠাৎ বদলির আদেশ হয়। ইউএনও’র এই বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এরপর তারা সড়ক থেকে সরে গিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচী শেষ করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের উপর হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা দুই জন ছাত্রীকে ইভটিজিং ও লাঞ্চিত এবং ছাত্রদের মারধর করে। এতে হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয় তাকে। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মির্জাপুর থানার পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের ডোকলাহাটী গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় কলেজ ছাত্র ইমন (১৮)। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। পরে নিহতের ভাই সুমন গত ২২ আগস্ট ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০০ নম্বর আসামি বাদশা মিয়া।
নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মণ্ডল বাড়ি এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিল।
এ মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছাড়াও সাবেক সাত সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মির্জাপুরের পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে চাচা ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হামলাকারী তালেব (৩৫) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তাজমুল (৪২) নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাতার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ছাত্তার (৫০) ও আসাদুল (২৮)। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের তালেব মিয়ার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তালেবের সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্তারকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে তালেব। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত চাচা-ভাতিজার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তালেবের লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ গত ১৪ জুলাই ‘আড়াই হাজার টাকার সিসিটিভি ক্যামেরা ৩২ হাজারে ক্রয়’ শিরোনামে সমকালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের জেরে দৈনিক সমকালের ঘাটাইল প্রতিনিধি ও ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম মিয়াকে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ্।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি,আর-সাধারণ ৩য় পর্যায়) কর্মসূচির উন্নয়ন প্রকল্পে সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান। যার বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সমকালের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বরাদ্দের ওই টাকায় ‘ক্যামপ্রো’ ব্র্যান্ডের মাত্র পাঁচটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার আইসিটি ভবনের ‘গোল্ডেন সান’ ক্যামেরার দোকানে এই ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরার দাম যাচাই করে জানা যায় ভালো মানের সিসিটিভি ক্যামেরার দাম ২ হাজার ৪৫০ টাকা। সেই হিসেবে পাঁচটি ক্যামেরার দাম ১২ হাজার ২৫০ টাকা।অথচ এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্’র এমন দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই সমকাল প্রতিনিধির উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় মানুষের কাছে বলে বেড়ান সমকাল প্রতিনিধিকে সাগরদিঘী এলাকায় যেখানেই পাবে সেখানেই বেঁধে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে। ২৭ আগস্ট সংবাদ সংগ্রহ সংক্রান্ত কাজে ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সহযোগী সদস্য সৈয়দ মিঠুন ও বিপ্লব হোসেন সাগরদিঘী গেলে তাদের কাছে চেয়ারম্যান বলেন, সমকাল প্রতিনিধি মাসুমকে সাগরদিঘী সময় মত পেলে হাত-পা ভেঙে পঙ্গু করে দেওয়া হবে। তিনি তার বাহিনীকে এ ধরণের ঘটনা ঘটানোর কথা নাকি বলে রেখেছেন। এর আগে গত ২২ আগস্ট ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সামনে চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ ওই অফিসের কর্মচারীদের সমকালে প্রকাশিত সংবাদ মোবাইল ফোনে দেখিয়ে তাদের কাছে বলেন, ‘সাগরদিঘী লোক সেট করা আছে, সমকাল প্রতিনিধি মাসুমকে ওই এলাকায় পাইলে হাত-পা বাইন্দা ছিঁড়া ফেলব।’ চেয়ারম্যানের বলা এই কথাগুলো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ক্যামেরায় ধারণ করা ওই ভিডিও অডিও সমকালের হাতে সংরক্ষিত আছে।
হুমকি দেওয়ার বিষয়ে সাগরদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান মো.হাবিবুল্লাহ্’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই নেক্কারজনক। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ দেওয়ার অধিকার সবার আছে। তা না দিয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি আইনগতভাবেই আমরা লড়ব।
সাধারণ ডায়েরীর তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক মো.শহিদুজ্জামান বলেন, সমকাল প্রতিনিধি ও ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকির বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন? এমন প্রশ্নে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হলাম, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার ঘটনায় থানায় মারধরের মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোর্শেদুল ইসলাম অন্তর বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনুপম শাহজাহান জয় ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সাঈদ আজাদসহ ১৬৭ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পৌর শহরের সৌখিন মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে মিছিলটি শহরের তালতলা চত্বরে পৌঁছায়। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা করে।
হামলায় আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার ২৩ দিন পর সখীপুর থানায় মামলা হয়। মামলায় সাবেক এমপি-উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, সাবেক পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদসহ উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদেরও আসামি করা হয়েছে।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজছাত্র ইমনের (১৮) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে নিহত ইমনের ভাই মো. সুমন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত ইমন জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন উত্তরপাড়ার মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে।
মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, হাসান ইমাম খান, ছানোয়ার হোসেন, জোয়াহেরুল ইসলাম, আমানুর রহমান খান ওরফে রানা, অনুপম শাজাহান জয় আছেন।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, সাইফুজ্জামান সোহেল, মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেন, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিক, জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মঈন হোসেন রাজীব, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেতাব মাহমুদ প্রমুখ।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া কলেজ ছাত্র ইমন ৪ আগস্ট বিকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের গুলিতে আহত হন । ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার ১৮ আগষ্ট তার মৃত্যু হয়।
একতার কণ্ঠঃ ভারতীয় আগ্রাসানের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে আন্দোলনকারীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। এতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এবি যুবায়ের ও মোসাদ্দেক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী কামরুল ইসলাম, আল আমিন, মনিরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা জানান, সম্প্রতি কোন রকম নোটিশ ছাড়াই ভারত সরকার কর্তৃক গম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, চট্টগ্রামসহ ১২ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ভারতের এমন আগ্রাসন মেনে নেয়ার মতো নয়। ভারত যদি তাদের নীতি থেকে সরে না আসে ভারতীয় পণ্য বয়কটসহ তাদের সেভেন সিস্টার্সকে শান্তিতে থাকতে না দেওয়ার হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
একতার কণ্ঠঃ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে শহরের মেইন রোডে অবস্থিত দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. সোহরাব হোসেন এবং পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহীর অপসারণের দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বপালনসহ নজিরবিহীন দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বক্তারা। দ্রুত তাদের অপসারণসহ শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশের দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এনামুল্লাহ্ খান, ইংরেজি প্রভাষক তানসিনা আক্তার লিপি প্রমুখ।
মানববন্ধনে মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক আনোয়ারুল হাবিব, আরবী বিভাগের সহকারি অধ্যাপক শওকত আলী, পদার্থ বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে কুমুদিনী কলেজ-রামপুর শাখা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল শিকদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সরকারি কুমুদিনী মহিলা কলেজের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কুমুদিনী কলেজ-রামপুর সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. হাসান আলী, কার্যকরী সভাপতি মো. শাহিন মিয়া, সহ-সভাপতি মো. সেলিম মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, রাজিব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির আহমেদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৪ আগস্ট বিকালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল শিকদারকে ঘারিন্দা ইউনিয়নের সুরুজ বাজারে মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ব্যাপক মারধোর করে। সন্ত্রাসীরা সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এছাড়া ১৬ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ আসামি ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটুসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইল শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মারুফের মা মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে রবিবার (১৮ আগস্ট) রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর টাঙ্গাইল শহরে বিজয় মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিলে শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ মিয়া অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি শহরের মদের ঘর মোড় এলাকায় গেলে আসামিরা বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এসময় শহরের শহীন স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ প্রাণ বাঁচাতে শহরের সিটি ব্যাংকের দ্বিতীয়তলায় গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে আসামিরা গুলি করলে সে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে মিছিলের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারুফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল ইসলাম আলমগীর, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, তার ভাই শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির, সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, সাবেক এমপি হাসান ইমান খান সোহেল হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, মির্জাপুর আসনের সাবেক এমপি খান আহম্মেদ শুভ, টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ, সাবেক পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইলের বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আনন্দ মোহন দে, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাধারন সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, স্কুল শিক্ষার্থী মারুফের মা বাদী হয়ে সাবেক এমপি মন্ত্রীসহ ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মো. ইমন (১৯) মারা গেছেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ইমনের বন্ধু মো. সাইফুল বলেন, ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নে ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ইমন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে আইসিইউর ১০ নম্বর বেডে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ইমন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর গ্রামের মো. জুলহাস মিয়ার ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে ইমন সবার বড় ছিলো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।