একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে চলন্ত ট্রেনে ছিনতাই করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে আরিফ সিদ্দিকী (৩৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে জয়দেবপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু রেলসড়কের মির্জাপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ সিদ্দিকী উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের কাইয়ুম সিদ্দিকীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরিফ সিদ্দিকীসহ স্থানীয় কয়েকজন মাদকাসক্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস ও মির্জাপুর রেলস্টেশন এলাকায় যানবাহন এবং ট্রেন স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের মোবাইল ফোনসহ মালামাল ছিনতাই করে আসছিলেন। শনিবার ভোরের দিকে সংঘবদ্ধ চক্রটি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ছিনতাই করতে গেলে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই আরিফ সিদ্দিকীর মৃত্যু হয়।
মির্জাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. কামরুল হাসান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রেল পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি ও মোবাইলের তিনটি কভার উদ্ধার করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে প্রবাসী স্বামীর দায়ের কোপে নিহত হয়েছেন প্রবাসী স্ত্রী। শনিবার (১২ আগস্ট) উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের বর্ণী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বর্ণী গ্রামের সিদ্দিক পালোয়ানের ছেলে ইরাক প্রবাসী রুবেল পালোয়ানের (৩৫) সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার তারাকান্দি গ্রামের মৃত মোক্তার উদ্দিনের মেয়ে জর্ডান প্রবাসী রুবি আক্তারের (২৭) প্রবাসে থাকা অবস্থায়ই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বছরের ২৯ এপ্রিল রুবেল ইরাক থেকে দেশে চলে আসেন।
এদিকে ১ মে রুবি জর্ডান থেকে দেশে আসেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুবিকে রিসিভ করে নিজ বাড়ি দেলদুয়ারের বর্ণিতে নিয়ে আসেন রুবেল।
সেখানে ২ মে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে রুবেল সস্ত্রীক শ্বশুরবাড়ি কিশোরগঞ্জে বেড়াতে যান। স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি রেখে রুবেল নিজ এলাকায় চলে আসেন। স্বামী তাকে আনতে না যাওয়ায় ২০ জুন রুবি একাই বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি চলে আসেন। এর পর টাকা লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক সময় বাগবিতণ্ডা হয়। ৩ আগস্ট রুবিকে আবার বাবার বাড়ি রেখে আসেন রুবেল। স্বামী না যাওয়ায় ১০ আগস্ট রুবি আবার একাই স্বামীর বাড়ি চলে আসেন। ১১ আগস্ট শুক্রবার ওই টাকার হিসাব নিকাশ নিয়ে তাদের মধ্যে ফের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রুবেল দা দিয়ে রুবির মাথায় একাধিক কোপ দেয়। এতে রুবি গুরুতর আহত হলে প্রথমে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে রুবি মারা যান।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, অভিযুক্ত স্বামী রুবেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ আটক করেছে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের পৌর এলাকার সাবালিয়ায় জাল কাগজপত্র তৈরি করে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগে চার চিকিৎসকসহ ১০জনকে জেলহাজাতে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীন এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া চার চিকিৎসক হলেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএমএ-এর সাধারণ সম্পাদক সিলেট মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লাহ কায়সার, তার স্ত্রী ডা. আসমা আক্তার, টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার আজিজুল হক, গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তাপস চন্দ্র সাহা।
এছাড়া অন্যরা হলেন- ডা. তাপস চন্দ্র সাহার স্ত্রী মুক্তা রানী প্রামাণিক, মো. ওয়ারেস, আতোয়ার রহমান, মামুনুর রহমান, আব্দুল্লা আল মিলন ও সুলতানা ইয়াসমিন।
আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, শহরের সাবালিয়া এলাকার সাজ্জাত হোসেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করেন, বিবাদিরা টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের সাবালিয়া এলাকায় তাদের ১০ শতাংশ জমি জাল পর্চা তৈরি করে ক্রয় বিক্রয় করেছেন।
তিনি আরও জানান, বুধবার মামলার তারিখে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে প্রত্যয়নপত্র (অভিজ্ঞতার সনদ) চাওয়ায় লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছে আনোয়ার হোসেন নামে ভুক্তভোগি এক মাদরাসার শিক্ষক। তিনি উপজেলার সিংগুরিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) হিসেবে কর্মরত।
এমন অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য লিয়াকত তালুকদার, অভিভাবক সদস্য বাবুল মন্ডল ও মনিরের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ওই মাদরাসায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করলেও সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছে না মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগি সহাকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, সম্প্রতি মাদরাসার পার্শ্ববর্তী সিংগুরিয়া লোকের পাড়া স্যার আব্দুল হালিম গজনবী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহাকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেক্ষেত্রে অন্য প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার জন্য কর্মরত প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হয়। বিষয়টি মাদরাসার সুপার ও সভাপতিকে অবহিত করলে গত ২৬ জুলাই মাদরাসায় মিটিং আহবান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মিটিংয়ে প্রত্যায়ন প্রদানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার একপর্যায়ে কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য লিয়াকত তালুকদার, অভিভাবক সদস্য বাবুল মন্ডল ও মনির সঙ্গে তর্কবিতর্ক ঘটলে লাঞ্ছিত করে। কমরর্ত এ প্রতিষ্ঠানে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করলেও নানা অজুহাতে আমাকে প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছে না। ফলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারছি না।
এ বিষয়ে মাদরাসার বিদ্যোৎসাহী সদস্য লিয়াকত তালুকদার ও অভিভাবক সদস্য বাবুল মন্ডলকে একাধিবার মোবাইল ফোন কল করলেও রিসিভ করেননি।
মাদরাসার প্রধান (সুপার) মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ইংরেজি শিক্ষক সংকট
থাকায় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তাকে প্রত্যায়ন বা অভিজ্ঞতার সনদ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া সভাপতির অনুমতি লাগবে।
এ ব্যাপারে মাদরাসার সভাপতি আলহাজ লায়ন মো. ইমদাদুল হক বলেন, মাদরাসার
স্বার্থে তাকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি পরে দেখা হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যয়নপত্র আটকিয়ে রাখার কোনো বিধান নেই। বিষয়টি জানলাম। এনিয়ে সুপারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা বলে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৯ আগস্ট) ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ইউপি সদস্য শহীদুল ও তার সহযোগী কাজলের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগীর মা জানান, আমার মেয়ের চাকরির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য আমার মেয়ে ইউপি সদস্য শহিদুলের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ থাকায় শহিদুল আমার মেয়েকে মিথ্যা কথা বলে, তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী জানান, শহিদুল মেম্বারের সঙ্গে আমি আমার জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখি, ইউনিয়ন পরিষদ তালা বদ্ধ। পরে শহিদুল মেম্বার আমাকে বলে তার বন্ধু জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ করে। এ সময় আমাকে নিয়ে সেই বাড়িতে যায়। এ সময় ঘরের ভেতর প্রবেশ করার পর সে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং আমাকে ধর্ষণ করে। পরে আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। আমি একজন অসহায় মেয়ে। আমার পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শহিদুলের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঘাটাইল অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সজল খান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় লিটন মিয়া (২০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার(৯ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিটন মিয়া জেলার মধুপুর উপজেলার পরীগাছা গরম বাজার গ্রামের ছোয়াদ আলীর ছেলে।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আলী আহমদ জানান, দণ্ডিত আসামী লিটন মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সুবাদে তার সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর বিকেলে ভিকটিমের মা বাড়ির বাইরে থাকায় দণ্ডিত আসামী ভিকটিমের বাড়িতে এসে তার ঘরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। পরে বিয়ের কথা বললে, ভিকটিমকে বিয়ে না করে হুমকি প্রদর্শণ করে। পরে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে মধুপুর থানায় ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে মধুপুর থানার এস আই ছানোয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান,ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুটির ভরণ পোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে।
উল্লেখ্য,বাদি পক্ষের মামলা দায়ের থেকে মামলার রায় ঘোষণা পর্যন্ত এই মামলায় আইনগত সহায়তা প্রদান করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে এডভোকেট জিনিয়া বখ্শ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের গজারি বনে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ রবিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে এ আদেশ দেন।
জানা যায়, আসামিদের সবার বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকায়। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হচ্ছে- বুলবুল আহমেদ (২৪), লাবু মিয়া (২৬), মোহাম্মদ বাবুল (৩০), আসিফ হোসেন (২৩) ও শফিক আহমেদ (২৫)। এছাড়া, গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামী মোজাম্মেল হক (৩০) গত শুক্রবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে সখীপুর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কচুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় চাঁদেরহাট নামক বিনোদনকেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথে আসামিরা এক দম্পতিকে আটক করে গজারি বনে নিয়ে যান। এ সময় তারা স্বামীকে প্রহার ও বেঁধে রেখে দলবদ্ধভাবে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। ওই দিন রাত ১টার দিকে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ওই গৃহবধূ সখীপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই রাতেই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন জানান, শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে রবিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালত শুনানি শেষে পাঁচ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, চাঁদের হাটের এলাকার বাইরে কচুয়ার বনে সংগঠিত এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৬ আসামী স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক। এরা বেড়াতে আসা লোকজনকে, বিশেষ করে অপরিচিত যুগলকে টার্গেট করে আটক করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে নির্যাতন করে। টাকা-পয়সা, মুঠোফোন ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম ঘটায়। ইতিপূর্বে যারা ধরা পড়েছেন, তারা সবাই সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় ছিঁচকে সন্ত্রাসী। তাদের কেউ কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত, নেশাগ্রস্ত সন্ত্রাসী চক্র বলে জানা গেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গলায় ফাঁস দিয়ে মহিউদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবককে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (৬ আগস্ট ) দুপুরে উপজেলার পারখী ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন ওই গ্রামের মৃত ছোহরাব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দুপুরে মহিউদ্দিন পরিবারের সবার অগোচরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের ধন্নার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে এক পর্যায়ে নিজ কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে ডাক চিকিৎকার করে।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তবে কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছে তা পরিবারের সদস্যরা কেউ বলতে পারেনি।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে সখীপুরের বাসিন্দা মোস্তফা স্থানীয় একটি সমিতি থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নেন। ঋণের টাকা পরিশোধে মনোহারি ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী শাহজালালের কাছ থেকে অর্থ লুটের পরিকল্পনা করেন তিনি।
সে অনুযায়ী দোকান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে শাহজালালের পথরোধ করে হামলা চালান মোস্তফা ও তার সহযোগী আলামিন। শাহজালালকে রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করা হয়।
এ সময় শাহজালালের চাচা মজনু মিয়া সঙ্গে থাকায় তাকেও একইভাবে হত্যা করা হয়।
১৯ জুলাই ক্লুলেস ও বহুল আলোচিত টাঙ্গাইলের সখীপুরে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী শাহজালাল ও তার চাচা মজনু খুনের ঘটনায় মোস্তফা মিয়া (২০) ও আলামিনকে (২৭) গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব জানায়, জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত শাহজালালের বাবা বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের সখীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ এর অভিযানে ঢাকার মোহাম্মদপুর ও টাঙ্গাইলের সখীপুর এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মোস্তফা মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, ভিকটিম শাহজালাল টাঙ্গাইলের সখীপুরের হামিদপুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে মনোহারি ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি হামিদপুর বাজারের একজন জনপ্রিয় ও অতিপরিচিত ব্যবসায়ী। শাহজালালের চাচা ভিকটিম মজনু মিয়া এলাকায় কৃষি কাজ করতেন। মজনু মিয়া কৃষি কাজের পাশাপাশি মাঝে মধ্যে শাহজালালকে ব্যবসায়িক কাজে দোকানে সহযোগিতা করতেন।
শাহজালাল ব্যবসায়িক কার্যক্রম শেষে প্রায় রাতের খাবার খেতে বাড়িতে যেতেন। তিনি মাঝে মধ্যে রাতে বাড়িতে থাকতেন আবার দোকানেও থাকতেন। যেদিন তিনি বাড়িতে থাকতেন সেদিন ব্যবসায়িক লেনদেনের টাকা বাড়িতেই রাখতেন।
ঘটনার দিন শাহজালাল দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। চাচা মজনু মিয়াকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেন। পথিমধ্যে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হন তারা।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, মোস্তফার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। মোস্তফা ও আলামিন দুজনেই স্থানীয় একটি সমিতির সদস্য ছিলেন। মোস্তফা সমিতি থেকে উচ্চ সুদে বেশ কিছু টাকা ঋণ নেন। ঋণের টাকা পরিশোধ ও পারিবারিক খরচ বহনের জন্য তার বেশ কিছু অর্থের প্রয়োজন ছিল। ভিকটিম শাহজালাল যেদিন বাড়িতে রাত্রি যাপন করতেন সেদিন ব্যবসায়িক লেনদেনের টাকা বাড়িতেই রাখতেন। এ বিষয়টি মোস্তফা ও আলামিন জানতেন।
শাহজালালের বাড়ি ফেরার পথে আক্রমণ করে টাকা ছিনিয়ে নিতে পরিকল্পনা করেন মোস্তফা। বিষয়টি আলামিনকে জানালে তিনি সম্মতি দেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১৯ জুলাই রাত ১০ টার দিকে মোস্তফা ও আলামিন সখীপুরের বাঘের বাড়ি এলাকায় জামালের চালায় নির্জন জঙ্গলে ওৎ পেতে থাকেন। শাহজালাল মোটরসাইকেলে করে তার চাচা মজনু মিয়াকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মোস্তফা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। মোস্তফা ভিকটিম শাহজালালকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
ভিকটিম শাহজালাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। মজনু মিয়া চিৎকার করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আলামিন লোহার রড দিয়ে তার মাথা ও শরীরে আঘাত করেন।
পরে মোস্তফা ও আলামিন তাদের এলোপাতাড়ি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। আলামিন ভিকটিমদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি পাশের একটি জমিতে ফেলে দেন এবং শাহজালালের দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেন।
পরে তারা টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকায় আত্মগোপন করেন। মোস্তফা টাঙ্গাইল ও আলামিন ঢাকার মোহাম্মদপুরে আত্মগোপনে থাকাকালীন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ( ৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার নয়াকচুয়া গ্রামের চাঁদেরহাট নামক এক বিনোদন কেন্দ্রের কাছে একটি গজারি বনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই এলাকার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সখীপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চাঁদেরহাট এলাকার হযরত আলীর ছেলে বুলবুল আহমেদ (২৪), ফরহাদ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ বাবুল (৩০), হযরত মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া (২৬), গনি মিয়ার ছেলে আসিফ (২৩), আশরাফ আলীর ছেলে শফিক আহমেদ (২৫), এবং সমেশ আলীর ছেলে মোজাম্মেল হক (৩০)।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় বিবরণে জানা যায়,,বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে কচুয়া চাঁদের হাটে ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে কচুয়া হাজী চৌরাস্তার এলাকা পৌছালে ৭/৮ জন লোক তাকে আটক করে মারধর করে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে স্থানীয় একটি গজারি বনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান,অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার (৪ আগষ্ঠ) সকালে টাঙ্গাইলের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে বেধরক মারপিট করেছে দুর্বত্তরা।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার রায়ের বাশালিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে মারধরের শিকার হন শেফালী বেগম নামের ওই বৃদ্ধা।
তিনি মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার তালুকদারের স্ত্রী।
আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পাশে তাদের পৈতৃক একটি সম্পত্তিতে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার তালুকদারের নাম সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙানো ছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের হিটলার তালুকদার হিটু পাঁচ থেকে ছয়জন লোক নিয়ে ওই সাইনবোর্ড তুলে এবং ছিঁড়ে ফেলে।
শেফালী ও তার পরিবারের অভিযোগ, ওই লোকেরা মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে তার স্ত্রী শেফালী বেগম বাঁধা দেন। তখন শেফালী বেগমকে বেধরক মারধর করা হয়। পরে আহত শেফালীকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল বাজারের দুই ফার্মেসীকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার(৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয়।
সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর ইসলাম জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার পাথরাইল ও পুটিয়াজানী বাজারে তদারকিমূলক অভিযান চালায়।
তিনি আরও জানান,অভিযানে মূল্য বিহীন ওষুধ ও সেবার মূল্য তালিকা না থাকায় চৌধুরী ডেণ্টাল কেয়ারকে তিন হাজার এবং পুটিজানি বাজারের প্রচুর পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও মূল্য বিহীন ওষুধ রাখার দায়ে সুলতানা মেডিকেল হলকে ১৫ হাজার টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হয়।
তিনি জানান, অভিযান পরিচালনাকালে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। ব্যবসায়ীদের কেনা-বেঁচার রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শণ করতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়।