একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অস্বাভাবিক মূল্যে ডাব বিক্রি করায় শহরের চারটি ডাবের দোকানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলমের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
শাহীনুর আলম জানান, শহরের বটতলা, পাঁচআনি ও জেনারেল হাসপাতালের সামনে ডাবের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে বটতলা বাজারে ডাব বিক্রির মূল্যতালিকা না থাকা ও বেচাকেনার রশিদ সংরক্ষণ না করায় অনিক ফল ভাণ্ডারকে দুই হাজার টাকা, পাঁচআনি বাজারে সোহরাবের ডাবের দোকানকে তিন হাজার টাকা, জেনারেল হাসপাতালের সামনের রাসেল ফল ভাণ্ডারকে ৫০০ টাকা ও ফরিদ ডাব ঘরকে ৫০০ টাকা মোট ছয় হাজার টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হয়।
তিনি জানান, বাজার তদারকিমূলক ওই অভিযানে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সহায়তা করে। জনস্বার্থে এ ধরনের তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার শুভল্যা এলাকা থেকে গত ২২ আগষ্ট ছিনতাই চক্রের চার জন সদস্য র্যাব পরিচয় দিয়ে ১৯ লক্ষ ১৯ হাজার ২০০ টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার নারায়নপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে সফর উদ্দিন মুন্না (২২) ও কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দরিগাও গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে শামীম আহমেদ সবুজ (৩৩)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীসহ ৪ ডাকাত দল গত ২২ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের শুভুল্যা নামক এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে বিনিময় বাসে উঠে। বাসে থাকা ভিক্টিম হেলাল মোল্লাকে বাস থেকে নামিয়ে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে হাতে হ্যান্ডকাফ পড়ায়। পরে তার সাথে থাকা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। কিছু দুরে গিয়ে হেলাল মোল্লাকে মহাসড়কের একটি স্থানে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরদিন ২৩ আগষ্ট হেলাল মোল্লা মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে ডিবি ও মির্জাপুর থানা পুলিশের একটি টিম একজনকে ময়মনসিংহ ও অপরজনকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেফতারকৃতদের সাথে থাকা একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ ৩৭৫০৭০), ক্যাপ, চশমা, বাঁশের লাঠি, গামছা, মোবাইল, ছিনতাইকৃত টাকায় কেনা একটি মোটরসাইকেল ও ১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে আসামীদের ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক নারী। তিনি বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ওই নারীর দাবি, জেলার ছাত্রলীগ নেতা সোহেল খান ফাহাদ তার স্বামী। তিন বছর আগে তাকে বিয়ে করেছেন। সম্প্রতি স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে তিনি ফাহাদের বাসায় গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে তিনি সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
সোহেল খান ফাহাদ সখীপুর শহর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পৌর শহরের হুমায়ুন খানের ছেলে। তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নানা টালবাহানা করেছেন বলে অভিযোগ ওই নারীর।
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যমতে, চার বছর আগে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তিনি নার্সের চাকরি করতেন। ফাহাদ ওই সময় তার এক আত্মীয়কে সিজার করাতে ওই ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখান থেকে ফাহাদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি তারা আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন। ফাহাদ সরকারি চাকরি করবেন, তাই বিষয়টি কাউকে না জানাতে ওই নারীকে অনুরোধ করেন।
বিয়ের পর তারা মির্জাপুরের গোড়াই ও হাঁটুভাঙ্গা এলাকায় খবির উদ্দিন ও আলম সিকদারের বাসায় ভাড়া থাকতেন। ফাহাদ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে অস্থায়ীভাবে চাকরি করতেন। দুই মাস আগে তারা খবির উদ্দিনের বাসা থেকে চলে যান। পরে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। বিষয়টি ফাহাদের মাকে জানালে তিনি ওই নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। সন্তান নষ্ট না করায় ফাহাদের মা বিষয়টি মেনে নেননি।
পরবর্তী সময়ে ফাহাদও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। শনিবার (২৬ আগস্ট) ফাহাদের বাড়িতে গেলে ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করেন ফাহাদের মা ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তিনি সখীপুর থানায় অভিযোগ করেন। বিষয়টি কয়েকজন জনপ্রতিনিধিকেও জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, আদালতে বিয়ের সময় ফাহাদ তার নাম পুরোপুরি লেখেননি। এছাড়া তার বাবার নাম ভুল দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে কাগজটি ঠিক করলেও তিনি তার কাছে জমা দেননি।
হাঁটুভাঙা এলাকার বাসার মালিক খবির উদ্দিন বলেন, তারা প্রায় পাঁচ মাস আমার বাসায় ভাড়া থাকতেন। দুই মাস আগে তারা চলে যান। এরপর থেকে আমার সঙ্গে তাদের আর কোনো যোগাযোগ নেই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল খান ফাহাদ বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
সখীপুর উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শেখ মোহাম্মদ লিটন বলেন, ঘটনা সত্য। মেয়েটি খুবই অসহায়। মেয়ে ও তার সন্তানের অধিকার আদায়ের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর বাজারের কালিবাড়ী সড়কে মহামায়া মার্কেটের শায়মা জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দিনগত রাতে চোরের দল দোকানের শার্টারের লক ও কলাপসিবল গেইটের এঙ্গেলবার কেটে প্রায় ৪৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে ওই চুরির ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে মার্কেটের স্বর্ণের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) এসএম মনসুর মোসা, টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশ, বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকীসহ ব্যবসায়ী নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দোকান মালিক দুলাল মিয়া জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি চলে যান। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকলেও প্রয়োজন থাকায় বিকালে দোকানে এসে সামান্য কিছু কাজ সেরে বাড়ি চলে যান। রবিবার সকালে একই মার্কেটের ব্যবসায়ী কৃষ্ণ কর্মকার মার্কেটের দোকান খুলতে গিয়ে ওই দোকানের কলাপসিবল গেইটের এঙ্গেলবার কাটা দেখতে পেয়ে তাকে ফোনে বিষয়টি জানান।
পরে মার্কেটে এসে দোকানে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হন। চোরের দল দোকানে ঢুকে শোকেসে সাজানো প্রায় ৪৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। দোকানের ভেতরের তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা গামছা, টিস্যু ও কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তবে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় লাল রংয়ের মাস্ক পড়া একজন লোক দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে এবং লুঙ্গি পড়া অপরজন বাইরে দাড়িয়ে আছে। এ ঘটনায় শায়মা জুয়েলারীর মালিক দুলাল মিয়া রবিবার মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, দোকান মালিক লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
একতার কণ্ঠঃ শ্যামা রংয়ের গোলগাল সুন্দর চেহারার শিশুটি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বয়সের তুলনায় একটু বেশিই বেড়ে উঠেছে। স্কুলপর্যায়ে ক্রিকেট আর ফুটবল খেলে কুড়িয়েছে সবার ভালোবাসা। এবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের স্ট্রাইকার হিসেবে ইউনিয়ন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কারও পায়। সেই শিশুটি ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়ে একবারে চুপসে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সেই ধর্ষণচেষ্টার একমাত্র আসামি আদালত থেকে জামিন পেয়ে গলায় ফুলের মালা ও ব্যান্ডপার্টি নিয়ে গ্রামে নাচগান করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিশুর মা এবং মামলার বাদীর বাড়ির আঙ্গিনায় গিয়ে আসামি ও তার সঙ্গীরা নেচে গেয়ে হই-হুল্লোড় করে। এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত আলেফ শেখ গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের উড়িয়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও মুদি দোকানদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ওই শিশু ছাত্রীকে গত ২৪ জুলাই দুপুরে কাঁঠাল খাওয়ার লোভ দেখিয়ে নির্জন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা চালায় গ্রামের মুদি দোকানী আলেফ শেখ। কান্নাকাটির শব্দে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আলেফ শেখ পালিয়ে যায়। ওই দিন বিকালে মামলা হলে পুলিশ আলেফ শেখকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
মামলার বাদী এবং ভুক্তভোগীর মা শনিবার (২৬ আগস্ট) গোপালপুর থানায় দায়ের করা এক অভিযোগে জানান, গত বৃহস্পতিবার আদালত থেকে জামিন নিয়ে রাত নয়টায় আলেফ শেখ গলায় মালা পরিহিত অবস্থায় ব্যান্ডপার্টি নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে। ব্যান্ডপার্টির সঙ্গে তার সাথে থাকা শিপন মিয়া, করিম মিয়া, আয়নাল হকসহ শতাধিক উৎসুক জনতা যোগ দেন। তারা নেচে গেয়ে পুরো গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। এক পর্যায়ে আলেফ শেখ দলবল নিয়ে বাদীর বাড়ির আঙ্গিনায় নাচ শুরু করে। পাশাপাশি গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেয়। এ অবস্থায় দিনমজুর বাবা-মা অসহায় ভুক্তভোগী শিশুটিকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশের সহযোগিতা চাচ্ছেন।
হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এবং উড়িয়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আলীম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত দশটায় ব্যান্ডপার্টি এবং কিছু মানুষের হইচইয়ে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে বেরুলে আলেফ শেখের কয়েক জন অনুসারী জানান, মিথ্যা মামলায় একমাস জেল খাটার পর শেখ সাহেব জামিন পেয়েছেন। তাই মনের সুখে তারা সবাই ব্যান্ডপার্টির সুরে আনন্দ প্রকাশ করছেন।
ধর্ষণচেষ্টার পর শিশুটি এমনিতেই মুষড়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর ওই শিশুসহ পুরো পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
উড়িয়াবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সাহার আলী, ইব্রাহীম খলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিশু নির্যাতনের মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে গলায় মালা জড়িয়ে ব্যান্ড পার্টির তালে তালে নেচে গেয়ে এমনভাবে আনন্দ করাটা কোনো সভ্যতার পর্যায়ে পড়ে না। শেখ সাহেব প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
একই গ্রামের মকবুল হোসেন বলেন, যখন তখন যাকে তাকে ধরে মারধর করে আলেফ। মুখের ওপর গালিগালাজ করে। মুখ খারাপের কারণে এলাকার লোকজন তাকে ভয় পায় ও এড়িয়ে চলে। আগে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে কোনো পার্টির সঙ্গে যুক্ত নেই।
উড়িয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামসুন্নাহার ও আসিয়া বেগম জানান, শিশুটি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বেশ ভালো। এমন ঘটনায় শিশুটি এমনিতেই নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। কয়েকদিন সে স্কুলে আসেনি। ব্যান্ডপার্টির ঘটনায় ওই শিশু ও তার অসহায় পরিবার নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে। এসবের প্রতিকার হওয়া দরকার।
ব্যান্ডপার্টির প্রধান কালিহাতী উপজেলার পশ্চিম নারান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা অনিক লাগাচি জানান, উড়িয়াবাড়ী গ্রামের আলেফ শেখ বৃহস্পতিবার ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। শেখ সাবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান রতন আমাদের ব্যান্ডপার্টিকে তিন হাজার চারশ টাকায় ভাড়া করেন। রাত নয়টায় আমরা ওই গ্রামে যাই। রাত ১২টা পর্যন্ত সারা গ্রাম ঘুরে বাদ্যবাজনা বাজিয়ে সকলকে আনন্দ দেই।
হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান তালুকদার জানান, ধর্ষণচেষ্টার মামলায় জামিন পেয়ে কোনো আসামি এভাবে বাদ্যবাজনা বাজিয়ে আনন্দ করেন বলে আমার জানা নেই। এতে ভুক্তভোগী শিশুটি আরও নিরাপত্তাহীনতা এবং সম্মানহানির অবস্থায় পড়ে যাবে।
মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুয়ারা ময়না জানান, তালিকাভূক্ত শিশু ফুটবলার এ শিশুটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় আমরা তাকে হয়তো হারাতে বসেছি। তিনি এ ঘটনার তদন্ত এবং শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত আলেফ শেখের বক্তব্য নিতে ফোন করা হলে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলাসহ খারাপ আচরণ করে সে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার হেমনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর বশির আহমেদ জানান, জামিন পাওয়ার পর বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গ্রামে আনন্দ উৎসব করার অভিযোগ সত্য। এমনটি কখনো প্রত্যাশিত নয়। ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার সত্যতা মিলেছে। দুই একদিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, বাদ্যযন্ত্র বাজানোর সময় আসামি দলবল নিয়ে বাদী ও ভুক্তভোগীর বাড়িতে চড়াও হয়ে গালিগালাজ ও মারধরের হুমকির অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ এর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ২ নারী সহ ৬ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে দেলদুয়ার থানা পুলিশ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে দেলদুয়ার-পাকুল্লা আঞ্চলিক সড়কের উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের সুবর্ণতলী এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া গ্রামের মৃত সমেজ উদ্দিনের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন (৬০), মো. মনজু মিয়ার ছেলে মো. পায়েল আহমেদ (২৩), মো. শুকুর মিয়ার ছেলে মো. মিজান মিয়া (৩৫), নরসিংদি জেলার রায়পুরা উপজেলার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন (২৫), মৃত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৫০) ও সুমন মিয়ার স্ত্রী বৃষ্টি বেগম (২২)।
দেলদুয়ার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেলদুয়ার-পাকুল্লা আঞ্চলিক সড়কের সুবর্ণতলী এলাকা থেকে ২ কেজি গাজা, ৩টি মোবাইল ফোন, নগদ ৩২ হাজার ২৫০ টাকাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়েছেন। এভাবে থানার জিনিসগুলো খুলে নেওয়ার ঘটনায় আলোচনা- সমালোচনার ঝড় বইছে।
শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার কক্ষ থেকে জিনিসপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা থেকে ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে নেওয়া হয়।
এ দিকে থানার সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিসগুলো উপহার দিয়েছেন তারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, একজন ওসি ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা। সর্বসাকুল্যে তিনি ২২ হাজার টাকা মূল বেতন ও আনুষাঙ্গিক মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকার মত বেতন পান। (হিসেবটি আনুমানিক ধরা হয়েছে, চাকরির মেয়াদ, ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে)
এ টাকার বেতনভুক্ত একজন সরকারি কর্মচারী একটি ১ টনের এসি, ৫৬” এলইডি স্মার্ট টেলিভিশন, সোফা সেট কেনার মতো আর্থিক সামর্থ্য রাখেন না। যদি না তিনি এসবকারও কাছ থেকে উপহার হিসেবে পান। সেই উপহারের জিনিস ওসি বদলি হওয়ায় খুলে নেওয়া এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনা, কানাঘুষা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯) (আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার এই বদলির আদেশের পরের দিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, থানায় জিনিসপত্র ব্যক্তিগত কাউকে দেওয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবে সেই ব্যবহার করবে। এজন্যই জিনিসপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। এতো নিচু মন মানসিকতার ওসির সেটা জানা ছিল না।
থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিসপত্রগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে।
নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জুরান মন্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য্য বর্ধন ও থানার যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহলের টাকা দিয়ে জিনিসপত্রগুলো দেওয়া হয়েছে। থানার স্বার্থে, কারও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা ঠিক না। তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হয়নি। তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেওয়া হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা জিনিসপত্র হলেতো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।
বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারও অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৩ নারীসহ ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের গোড়াই এলাকায় ইয়ার গার্ডেন আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়।
মির্জাপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গোড়াই দক্ষিণ নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোবারক হোসেন খান ও মোতালেব হোসেন খানের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ইয়ার গার্ডেন নামের একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেখানে ১০টি কক্ষে প্রতিদিন নারীদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার দুপুরে সেখানে অভিযান চালায়।
অভিযানে হোটেলের ম্যানেজারসহ অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত ১৩ নারী ও ১২ পুরুষকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- হোটেলের ম্যানেজার পিন্টু, বরিশালের উজ্জল হোসেন, কুড়িগ্রামের সাইদুল, রংপুরের মামুন, নারায়ণগঞ্জের আবু তালেব, লালমনিরহাটের সোহাগ, কুড়িগ্রামের ফারুক হোসেন, টাঙ্গাইলের মিজানুর রহমান, পাবনার আলম, বগুড়ার খাজা মোল্লা, কিশোরগঞ্জের মিম আক্তার, কুড়িগ্রামের জয়নব বেগম ও শিল্পী আক্তার, কুষ্টিয়ার হাসিনা বেগম ও রহিমা বেগম, গাইবান্ধার সাথি বেগম, শরিফা আক্তার ও সাবিনা আক্তার, গাজীপুরের কৃষ্টি আক্তার, বরিশালের সোনিয়া আক্তার, দিনাজপুরের হোসনে আরা বেগম, বরিশালের তানজিলা আক্তার ও শেরপুরের নাসিমা আক্তার।
মির্জাপুর থানার দেওহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আইয়ুব খান জানান, গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় আবাসিক হোটেলের নামে ইয়ার গার্ডেনে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। অভিযান চালিয়ে জড়িতদের আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়া জড়িত না থাকায় দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের সেনের মাকুল্লা গ্রামের বৈরাণ নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, স্থানীয় লোকজন নদীর ধারে কাজ করতে গিয়ে পানিতে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। লাল শার্ট ও প্যান্ট পড়া লাশের বিভিন্ন অংশ ফুলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মুখে রক্ত লেগে চেহারা বিবর্ণ রুপ ধারণ করেছে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, স্থানীয়রা নদীর পাড়ে কাজ করতে গিয়ে পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত ওই যুবকের মরদেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, লাশের শরীরসহ মুখমণ্ডল পচে বিকৃত হয়ে গেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার নলুয়া বাজারে বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রশাসনের ব্যবস্থায় সেবার মূল্য তালিকা প্রদর্শণ না করা ও প্রতিশ্রুত সেবা না দেওয়ার কারনে দুই প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলমের নেতৃত্বে একটি টীম বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নলুয়া বাজারে একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় প্রতিশ্রুত সেবা না দেয়ায় এ্যানি ডেন্টাল কেয়ারকে ৫ হাজার টাকা ও সেবার মূল্য তালিকা প্রদর্শণ না করা, বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রচুর পরিমানের মূল্য বিহীন ঔষধ সংরক্ষণ, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা (অবৈধ্যভাবে নামের আগে ডাক্তার লেখা/ভূয়া ডাক্তার) করায় রোকেয়া ডেন্টাল ক্লিনিককে ২০ হাজার টাকাসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থায় মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ অভিযানে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। ব্যবসায়িদের ক্রয়/বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শণ করতে হ্যান্ড মাইকের সহায্যে অনুরোধ জানানো হয় এবং সচেতন করতে লিফলেট, প্যামপ্লেট বিতরণ করা হয়।
এই তদারকিমূলক অভিযানে সহায়তা করেন টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ। জনস্বার্থে এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে দীর্ঘদিন ধরে পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করা ও প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের গোবিন্দাসী বাজারে এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অর্থদণ্ড প্রাপ্ত দুই ব্যবসায়ী হলেন- গোবিন্দাসী বাজারের মো: বেলাল হোসেন ও মো. আলমগীর। এদের মধ্যে বেলালকে ৩ হাজার ও আলমগীরকে ২ হাজার টাকা, মোট ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার। এতে উপস্থিত ছিলেন- উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান খান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহিমা বিনতে আখতার জানান, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০-এর মাধ্যমে গোবিন্দাসী বাজারের দুই ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান এ আদেশ দেন।
সাকিব মিয়া বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাসাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৪ মে দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়া একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবে বলে ওই গৃহবধূর স্বামীর মোটরসাইকেল নিতে আসে। মোটরসাইকেল নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই গৃহবধূর স্বামীকে মোটরসাইকেল ত্রুটির কথা বলে ডেকে নেন। এরই ফাঁকে তার সহযোগি সাইদুল মিয়া ও শাহেদ মিয়ার সহযোগিতায় সাকিব মিয়া ওই গৃহবধূকে কৌশলে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় গত ১৬মে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাকিব ও তার দুই সহযোগী সাইদুল ও শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তারা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সাকিব মিয়া আদালতে হাজির হন। পরে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী জিনিয়া বখশ বলেন, মামলার প্রধান আসামি সাকিব মিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরআগে মামলার বাকি দুই আসামি সাইদুল ও শাহেদ ১৫দিন কারাভোগের পর নিম্ন আদালত থেকে ২৩ জুলাই ফের জামিন পান।