/ মূলপাতা / অপরাধ
টাঙ্গাইলে অজ্ঞাতনামা হাত-পা বিহীন লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অজ্ঞাতনামা হাত-পা বিহীন লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের বেরীবাইদ ইউনিয়নের পঁচারচনা এলাকায় সরকারি গজারী বন থেকে অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ বছরের এক যুবকের হাত-পা বিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় এক রাখাল বনে গরু চড়াতে গিয়ে ওই মৃতদেহ দেখতে পায়।

বেরীবাইদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুলহাস উদ্দিন জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষুদৃ নৃগোষ্ঠি সম্প্রদায়ের এক কিশোর রাখাল পঁচারচনা গজারী বনে গরু চড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বনের গভীরে হাজার হাজার মাছি ভন ভন করতে দেখেন কিশোরটি। সেখানে এগিয়ে যেতেই মৃত দেহের অংশ বিশেষ দেখতে পেয়ে গরু ফেলে ছুটে এসে এলাকাবাসীকে ঘটনার বর্ণনা করেন।

মধুপুর থানা পুলিশ জানায়, পঁচারদানা বন থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত দেহে পচন ধরেছে। দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন মাংসহীন মাথার খুলি কয়েক হাত দূরে পরে ছিলো। হাত-পায়ের সন্ধান বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা বেশ কিছুদিন আগে এই মরদেহটি এখানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। হাত-পাসহ শরীরে বিভিন্ন অংশ শিয়াল কুকুরে খেয়ে ফেলেছে। অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩০-৪০) মৃতদেহের পরণে জিন্সের কালো প্যান্ট ও কালো গেঞ্জি রয়েছে এবং মৃতদেহের পাশে একটি সেন্ডেল পাওয়া গেছে।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে লাশ দাফন করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. অগাস্ট ২০২৩ ০১:১৫:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ৪৪ লিটার চোলাই মদসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ৪৪ লিটার চোলাই মদসহ ২ যুবক গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৪৪ লিটার চোলাই মদসহ (স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ) দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের ধোপারচালা গ্রাম থেকে পলিথিনে ভর্তি মদসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ওই গ্রামের মাধব চন্দ্র কোচের ছেলে নিমাই চন্দ্র কোচ (৩৩) ও মনিন্দ্র কোচের ছেলে মিন্টু কোচ (২৩)। বুধবার (২ আগস্ট) সকালে তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে উপজেলার ধোপারচালা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে স্থানীয় প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত চোলাই মদ তৈরি ও তা অবাধে বিক্রি চলছিল। মাদকাসক্তদের আনাগোনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হলে ওই এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের নিমাই চন্দ্র কোচের বাড়ি থেকে ৪৪ লিটার মদসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া দুজনই মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অগাস্ট ২০২৩ ০২:১৬:এএম ৪ মাস আগে
ভূঞাপুরে কাঠমিস্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার - Ekotar Kantho

ভূঞাপুরে কাঠমিস্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গলায় গামছা পেঁছানো অবস্থায় কাঁঠাল গাছ থেকে বাবুল (৪৫) নামে এক কাঠমিস্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের অলোয়া গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাবুল একই গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় বাবুলের স্ত্রী মরিয়ম ও মেয়ে তাবাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

বাবুলের স্ত্রী মরিয়ম বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরের সাথে কাঁঠাল গাছে গলায় গামছা পেঁছানো অবস্থায় বাবুলের মরদেহ ঝুলে আছে। এসময় ডাক-চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

প্রতিবেশিরা জানায়, প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকতো। এনিয়ে একাধিবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। প্রতিবেশিদের ধারণা, হয়তো পরকীয়ার জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় বাবুলের স্ত্রী ও তার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. অগাস্ট ২০২৩ ০৩:২৮:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পুলিশ পরিচয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা ছিনতাইকালে তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। এসময় তাদের সাথে থাকা আরো সাত-আটজন পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার পুংলিপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে।

সোমবার (৩১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার চরাঞ্চল গাবসারা ইউনিয়নের পুংলিপাড়া ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ছিনতাইয়ের মূলহোতা উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খুপিপাড়া গ্রামের কায়সার মিয়া (২২), ভূঞাপুর পৌরসভার ছাব্বিশা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে রাকিব মিয়া (২৫) ও একই পৌরসভার ফসলান্দি এলাকার সিফাত মিয়া (১৯)।

স্থানীয়রা জানান, কায়সার গোবিন্দাসী বাজারে স্বর্ণের দোকানের পাশাপাশি মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করতো। ১০-১১ জন মাদকসেবীদের নিয়ে পুংলি এলাকায় মাদক সেবন শেষে রাতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একজন কাপড় ব্যবসায়ীর পথরোধ করে।

তারা ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করার পর মুক্তিপণের জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে নগদ টাকা ও বিকাশের মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা লেনদেন হওয়ার পর ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয় তারা। এরপর নৌকাযোগে গোবিন্দাসী ঘাটে আসে ছিনতাইকারীরা।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধরতে ধাওয়া করলে সাত-আটজন পালিয়ে গেলেও ঘটনার মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক করে জনতা।পরে থানা পুলিশের হাতে তাদের সোপর্দ করা হয়।

কাপড় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে কাপড়ের ব্যবসা ভালো না হওয়ায় বাড়িতে চলে আসি। পুংলিপাড়া ঘাট থেকে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় তারা আমাকে ধরে ফেলে এবং পুলিশ পরিচয় দেয়। এসময় আমাকে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পরে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দেওয়ার পর তারা একটি পাটক্ষেতে আমাকে ফেলে রেখে যায় চলে যায়। বিষয়টি পরিবারকে জানালে তারা গোবিন্দাসী ঘাট এলাকার মানুষজনকে জানায়।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আহত ব্যবসায়ী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন,এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. অগাস্ট ২০২৩ ০২:৩৮:এএম ৪ মাস আগে
নেতাকর্মী‌দের নি‌য়ে নিক্সন হত‌্যার বিচার চাইবো প্রধানমন্ত্রীর কা‌ছে - Ekotar Kantho

নেতাকর্মী‌দের নি‌য়ে নিক্সন হত‌্যার বিচার চাইবো প্রধানমন্ত্রীর কা‌ছে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক শহীদ আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সন হত‌্যার বিচার চাইবো প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার কা‌ছে। টাঙ্গাইল-২ আস‌নের নেতাকর্মী‌দের নি‌য়ে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কা‌ছে হত‌্যায় জ‌ড়িতের বিচার চাইবো।

সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে গোপালপুর উপজেলা স্বাধীনতা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে শহীদ নিক্সন স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এ স্মরণ সভার আয়োজিত অনুষ্ঠা‌নে বক্তারা এসব কথা ব‌লেন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ওরফে ঠান্ডু।

অনুষ্ঠা‌নে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরেক ম‌নোনয়ন প্রত‌্যাশী ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ।

শহীদ নিক্সন স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রকিবুল হক ছানা, গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার মুক্তা, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম তরফদার, শহীদ নিক্সনের সহধর্মিণী ও হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস জাহান, শহীদ নিক্সন স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফেরদৌস ওয়াহিদ রিপন প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠা‌নে প্রধান বক্তা মাসুদুল হক মাসুদ ব‌লেন, আওয়ামী লীগ নেতা নিক্সন হত‌্যার বিচা‌রের জন‌্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার কা‌ছে যাবো আমরা গোপালপুর ও ভুঞাপু‌রের নেতাকর্মীরা। তার কা‌ছে বিচার চাইবো যারা এই হত‌্যাকান্ড ঘ‌টি‌য়ে‌ছে যা‌দের নাম বি‌ভিন্ন প‌ত্রিকায় আসছে তা‌দের বিচার করার জন‌্য।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমিনুল ইসলাম নিক্সন একজন শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা ছিলেন। বক্তারা নিক্সনের হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ ফাঁসি দাবী করেন।

এদি‌কে সোমবার সকা‌লে আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সনের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে উপজেলার হা‌দিরা ইউনিয়নের আজগড়া‌তে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় আজগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বন্ধ আজগড়া মোড়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শহীদ আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সনের সহধর্মিণী ও হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিলকিস জাহান, নিক্সনের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার, ওই ইউপির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ, হোসাইন মোহাম্মদ রাসেল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নিক্সনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিক্সনকে হত্যা করে হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে দূর্বল করার নীলনকশা যারাই করে থাকেন না কেনো তাদের এ উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ঘাটি। তাই দ্রুত নিক্সন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে খুনিদের ফাঁসি দাবি জানান এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক, আজগড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আজগড়া অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আজগড়া শেখ রাসেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সনকে (৪৮) কে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদের আগের দিবাগত রাতে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। শহীদ নিক্সনের বাড়ি হাদিরা ইউনিয়নের আজগড়া গ্রামে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. অগাস্ট ২০২৩ ০৩:৫৫:এএম ৪ মাস আগে
কালিহাতীতে বালুবাহী ট্রাকে ভেস্তে যাচ্ছে কোটি টাকার উন্নয়ন - Ekotar Kantho

কালিহাতীতে বালুবাহী ট্রাকে ভেস্তে যাচ্ছে কোটি টাকার উন্নয়ন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পৌলী গ্রামে নির্মাণাধীন একটি পাকা সড়ক নির্মাণ শেষ না হতেই স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা সড়কটি ব্যবহার করে বালু বিক্রি করায় ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকার উন্নয়নের এ প্রকল্প।

বালু ব্যবসায়ীরা অতান্ত প্রভাবশালী হওয়ায় ও স্থানীয় কাউন্সিলর এই ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলি হতে পৌলি দক্ষিন পাড়া পর্যন্ত পৌরসভার অর্থায়নে সড়কটি পাকা করণ করা হচ্ছে। এই সড়কের (সাবেক মেম্বার আব্দুল বারেকের বাড়ির সামনে) দুই পাশের পতিত জমিতে বলগেট দিয়ে বালু ফেলা হচ্ছে। এই বালু আনলোড করে ওই জমিতে ফেলার জন্য লোহার মোটা পাইপ ব্যবহার করা হচ্ছে।

ওই লোহার পাইপগুলো সড়কের উপর দিয়েই নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জমাকৃত বালু একস্থান থেকে অন্যস্থানে নেওয়ার জন্য রাস্তার উপর দুটি স্যালো মেশিন বসানো হয়েছে। স্তুপকৃত বালু বিক্রি হওয়ার পর পরিবহনের জন্য ড্রামট্রাক লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে। ভেকু মেশিন দিয়ে অপেক্ষামান ট্রাকগুলোতে বালু তুলে দিচ্ছে। এই বালু ভর্তি ট্রাক চলাচলের ফলে কোটি টাকার নির্মাণাধীন সড়কটি বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া দিনরাত ট্রাক চলাচলের ফলে সড়কের বালু উড়ে গিয়ে পার্শবর্তী বাড়িতে গিয়ে পড়ছে।

স্থানীয়রা জানায়, এই এলাকার কাউন্সিলর সুকুমার ঘোষের যোগসাজসে প্রভাবশালী কিছু লোক বলগেট দিয়ে বালু এনে বিক্রি করছে। এলাকায় বলগেটের বালু আনলোড করায় নদীর পাড়ে দুইটি বাড়ির কিছু অংশ নদীতে ধসে পড়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে হওয়া কোটি টাকায় নবনির্মিত এই সড়কটি ব্যবহার করে দিনে-রাতে বালুবাহী ট্রাক চলাচল করায় ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে ধুলোবালি গিয়ে বসত-বাড়িতে পড়ায় বসবাস করা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ট্রাকের হাইড্রলিক হর্ণের বিকট শব্দে ঘুম থেকে শিশুরা আচমকা চমকে উঠছে। তারা ওই সড়কটি রক্ষার্থে বালু ব্যবসা বন্ধের জোর দাবি জানায়।

বালু ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকার কিছু যুবকরা মিলে সিরাজগঞ্জ থেকে বালু কিনে এনে বিক্রি করছি। নদী থেকে বালু তুলেতো বিক্রি করছি না। তবে নির্মাণাধীন সড়ক ব্যবহার করায় সড়কের যে ক্ষতি হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।

এলেঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর সুকুমার ঘোষ অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, তিনি কাউন্সিলর হওয়ার পর পৌলি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছেন। ফলে বিকল্প হিসেবে স্থানীয় ড্রাম ট্রাক ব্যবসায়ীরা সিরাজগঞ্জ থেকে বলগেট দিয়ে বালু এনে বিক্রি করছে। সড়কটি ব্যবহার করার জন্য বালু ব্যবসায়ীরা পৌরসভায় একটি দরখাস্ত দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বালু আনলোড করার সময় দু-একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটা আমি জানি। ওই ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলো মেরামত করার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে। তবে তিনি বালু ব্যবসায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ প্রসঙ্গে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নুর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, নবনির্মিত সড়কটি ব্যবহারের জন্য বালু ব্যবসায়ীরা কোন দরখাস্ত পৌরসভায় দেয়নি। দক্ষিন পৌলিবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সড়কটি পাকাকরণ করা হচ্ছে। সড়কের কোন প্রকার ক্ষয়-ক্ষতি পৌর কর্তৃপক্ষ বরদাস্ত করবেনা।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইএনও) মো.নাজমুল হুসেইন জানান, বলগেট দিয়ে বালু আনায় আইনগত কোন বাধা নেই। তবে সড়ক ব্যবহারে কোন প্রকার বেরিক্যাড দেওয়া যাবেনা। বেরিক্যাড দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. অগাস্ট ২০২৩ ০২:০১:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি; ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি; ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

একতার কণ্ঠঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আওতায় ভেজালরোধে তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, সেবার মূল্য না থাকা ও মূল্যবিহীন ঔষধ বিক্রি করার অপরাধে দুই ওষুধ ব্যবসায়ীকে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ের পাথাইলকান্দি (যমুনা সেতু) বাজারে বিভিন্ন দোকানে তদারকিমূলক এই অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম।

সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম জানান, মূল্য বিহীন ঔষধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বিক্রি করার দায়ে ফেরদৌসি মেডিকেল হল এন্ড ডেন্টাল কেয়ারকে ২০ হাজার ও ইউসুফ ফার্মেসীকে ৫ হাজার, মোট ২৫ হাজার টাকা প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা করা হয়। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জুলাই ২০২৩ ০৩:০৬:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ছাত্রকে আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় এসআইকে বদলি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ছাত্রকে আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় এসআইকে বদলি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মিথ্যা অভিযোগে সাদেক (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীকে রাতে আটক করে পরদিন টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এসআই লিটন মিয়াকে বদলি করা হয়েছে।

অপরদিকে, ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল আলীম।

রবিবার (২৩ জুলাই) ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়াকে ভূঞাপুর থানা থেকে পার্শ্ববর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানায় বদলি করা হয়েছে।

বদলির আদেশে বলা হয়, আদেশ পাওয়ার সাথে সাথে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করে অত্র অফিসকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) রাত প্রায় দেড়টার দিকে পূর্ব ভূঞাপুর এলাকার আব্দুল আলীমের ছেলে সাদেককে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে চোর সন্দেহের অভিযোগে আটক করেন এসআই লিটন মিয়া। পরে তাকে থানায় অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে বন্দি করে রাখা হয়। এরপর মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সাদেকের বাবা আলীমের কাছ থেকে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া পার্শ্ববর্তী গোপালপুর থানার হেমনগর ফাঁড়ি থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভূঞাপুর থানায় যোগদান করেন। এরপর ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানায় বদলি করা হলেও তদরির করে আবার গত ২০২২ সালে জুন মাসে তিনি ভূঞাপুর থানায় আসেন। তার বিরুদ্ধে পূর্বে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

সাদেকের বাবা আব্দুল আলীম বলেন, অভিযোগের পরে যেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছেন তাই এ বিষয়ে আর লেখালেখি না হওয়াই ভালো।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে তাই অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া সাদেক নামের ওই ছেলেকে সন্দেহমূলকভাবে আটক করা হয়েছে। পরে প্রমাণিত না হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো টাকার লেনদেন হয়নি।

ভূঞাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সেটির তদন্ত হচ্ছে। তদন্তকালীন এসআই লিটন মিয়াকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানায় বদলি করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. জুলাই ২০২৩ ০৩:২৪:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে জোড়া খুন, ৩ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে জোড়া খুন, ৩ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

বুধবার (১৯ জুলাই) গভীর রাতে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের বাংলাবাজার এলাকার নিভৃত পাহাড়ী এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুুন হন চাচা মজনু মিয়া (৫০) ও ভাতিজা শাহজালাল (৪০)। দুষ্কৃতিকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে চাচা-ভাতিজাকে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে নিহত শাহজালালের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার (২১ জুলাই) বাদ আসর পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ জুলাই) ওই এলাকায় সরেজমিন ঘুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এ ধরণের নৃশংস হত্যাকান্ড তারা জীবনেও দেখেনি! পুলিশ যদি খুনীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে না পারে, পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা থাকবেনা।

বাঘেরবাড়ি গ্রামের নূরুল ইসলাম বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতে এলাকায় চলাফেরা করলে গা ছম ছম করে। সন্ধ্যা হলেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং মানুষ ঘরে ফিরে যাচ্ছে। গ্রামবাসী স্তব্ধ হয়ে গেছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া পারত পক্ষে কেউ রাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। গ্রামবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নিহতদের স্বজনদের আহাজারি এখনো থামেনি। এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

স্থানীয় কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন জানান, নিহতদের পরিবারের স্বজনদের আমি বারবার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পুলিশের প্রতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। গ্রামবাসীও এ খুনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থল পরির্শন করেছেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি )রেজাউল করিম জানান, জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটনে ও আসামী গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে রয়েছে। পুলিশের অপরাধ বিভাগ, পিবিআই, ডিবিসহ কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে।

উল্লেখ্য, নিহত শাহজালাল সখীপুর উপজেলার হামিদ চৌরাস্তা বাজারে বিকাশ-ফেক্সিলোড ও কসমেটিক্সের ব্যবসা করতেন। ঘটনার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চাচা-ভাতিজা মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা কান্ডের শিকার হন। নিহতদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মরদেহের পাশে পড়েছিল। গত বুধবার রাতে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত মজনু মিয়া বাঘেরবাড়ি গ্রামের নবু মিয়ার ছেলে এবং শাহজালাল একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. জুলাই ২০২৩ ০২:১৪:এএম ৪ মাস আগে
ভূঞাপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ; থানায় মিমাংসার চেষ্টা - Ekotar Kantho

ভূঞাপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ; থানায় মিমাংসার চেষ্টা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করার পরও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো থানায় মিমাংসার জন্য সালিশি বৈঠকের আয়োজন করলেও অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে হাজির হয়নি আসামীরা।

এঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান আসামী সাদ্দাম হোসেনসহ (২৪), চারজনের নামে ভূঞাপর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরআগে অপহরণের পর জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার অলোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীকে কু-প্রস্তাব দেয় প্রতিবেশি বখাটে সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু বখাটের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার ভোরে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে অপহরণকারী সাদ্দামসহ কয়েকজনে মিলে অপহরণ করে। এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সাদ্দামসহ অপহরণের সাথে জড়িত চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার না করে মেয়েটির বাবাকে থানায় মিমাংসার জন্য প্রস্তাব দেয়। পরে পুলিশের কথামত গত শুক্রবার বিকেলে ওই মেয়েটির বাবাসহ পরিবারের লোকজন থানায় হাজির হলেও আসামীরা হাজির হয়নি।

এদিকে মেয়েটিকে না পেয়ে বিভিন্নজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় বাবা।

মেয়ের বাবা জানান, মেয়েকে প্রতিনিয়ত স্কুলের যাতায়াতের পথে উত্ত্যেক্ত করতে সাদ্দাম। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালেও কোন প্রতিকার পায়নি। উল্টো তারা হুমকি দেয় বিয়ে দেয়ার জন্য। পরে গত বুধবার রাতে মেয়েকে অপহরণ করা হয়। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও মেয়েকে উদ্ধারে কোন উদ্যোগ নেই। প্রতিকার পেতে ৯৯৯ নম্বরেও ফোন করা হয়েছে। পরে পুলিশ মেয়েকে ফিরিয়ে আনা এবং মিমাংসার জন্য থানায় বসার আয়োজন করলেও আসামীরা হাজির হয়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুম্মন খান বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আসামীপক্ষ অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদে বসার কথা জানালে মেয়ের পরিবার অস্বীকার করে। শুক্রবার বিকেলে থানায় বসার আয়োজন করা হলেও আসামীরা উপস্থিত হয়নি। পরে মেয়ের পরিবারকে থানায় অভিযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এসআই জুম্মন দুইপক্ষকে নিয়ে বসার কথা জানালে আমি তাতে মত দেই। কিন্তু অন্য একটি ইউনিয়নে সম্মেলন থাকার কারণে শনিবার বসার কথা জানানো হয়। কিন্তু পরবর্তিতে আর কিছু জানিনা। অন্যদিকে ছেলে পক্ষ থেকে মেয়েটি হিন্দু ধর্মত্যাগ করে ইসলাম ধর্মগ্রহণের নোটারী পাবলিক এবং বিয়ে হওয়ার কাবিন নামার ফটোকপি দিয়ে গেছে।

এবিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলামের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।

অতিরিক্ত সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তবে এই ঘটনা মিমাংসা যোগ্য না। মেয়েকে উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. জুলাই ২০২৩ ০৩:১৫:এএম ৫ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪ - Ekotar Kantho

বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪

একতার কণ্ঠঃ যমুনা নদীর বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ। শুক্রবার(২১ জুলাই) যমুনা নদীর বেলুরচর এলাকা থেকে বালু উত্তোলনকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের নিকলাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. বুজরত আলী(৪৫), একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. সুজাব আলী(২৭), মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. ওমর আলী(৩৮) এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সুবর্ণ সারা গ্রামের আকবর আলী শেখের ছেলে মো. সালাম শেখ(২৮)।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর বেলুরচর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজারযুক্ত একটি নৌকায় বালু তোলা হচ্ছিল। নৌপুলিশের একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে চোরাই বালু বোঝাই বাংলা ড্রেজারযুক্ত একটি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে উল্লেখিত চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের নামে ২০১০ সালের বালুমহাল ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নৌপুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জুলাই ২০২৩ ০৩:০৫:এএম ৫ মাস আগে
টাঙ্গাইলে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরের কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি এলাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বত্তরা।

বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই )ভোরে স্থানীয়রা লাশ দুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয়দের ধারণা, মধ্য রাতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

নিহতরা হলেন, সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শাহজালাল (৩৫) ও নবু মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া (৪৫)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় , শাহজালাল বাঘেরবাড়ি বাংলা বাজারে মুদি দোকান ও বিকাশের ব্যবসা করতো। রাতে দোকান বন্ধ করে ওই দুই ব্যবসায়ী বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। পরে তারা আর বাড়িতে ফিরেনি। মধ্যরাতে তারা একটি নির্জন স্থানে পৌছালে, দূর্বত্তরা তাদের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। সকালে স্থানীয়রা লাশ দুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। লাশ দুটির পাশে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল।

এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জুলাই ২০২৩ ০৬:৫৪:পিএম ৫ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।