একতার কন্ঠঃ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ১১ জন জেলেকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিনব্যাপী জেলার সদর উপজেলা ও কালিহাতি উপজেলায় যমুনা নদীতে ইলিশ মাছ সংরক্ষণ অভিযানে জেলেদের এ কারাদণ্ড আদেশ দেওয়া হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার লোকমান মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম, আক্তার হোসেনের ছেলে বাদশা, রফিকুলের ছেলে হোসেন ও সোহাগ, আবু সাইদের ছেলে আসলাম, মাজম শেখের ছেলে আশরাফ।
এ ছাড়াও সিরাজগঞ্জের আবু সামার ছেলে আলিম, তুফানের ছেলে গোলাম, ছকেরের মোল্লার ছেলে লতিফ, শাহা আলমের ছেলে আসাদুল ইসলাম ও বোরহান মণ্ডলের ছেলে আসাদুল।
টাঙ্গাইলের মৎস কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী জানান, অভিযানে জেলেদেরকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল এবং মা ইলিশসহ হাতেনাতে ধরা হয়েছে। উদ্ধার করা জালের দৈর্ঘ্য প্রায় দশ হাজার মিটার। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ টাকা।
তিনি আরও জানান, মা ইলিশ মাছ সংরক্ষণের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, আটক করা জালগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। ইলিশ মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর অভিযানে আটকৃত ১১ জেলেকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
অভিযানে কালিহাতি মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের (৩৫) অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর সময় তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে পাশের গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মেদি এলাকার খালপাড় গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
জাহাঙ্গীরের চাচা আমিনুল ইসলাম জানান, গত রমজানে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মামাতো বোন শিফা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা চলছিল। এরমধ্যে শিফা অন্য এক ছেলের সঙ্গে চলে যান। বাবা সালাহউদ্দিন মেয়েকে খুঁজে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরমধ্যে শিফা বাড়িতে একবার বিষপান করেন। এরপরও তিনমাস আগে জাহাঙ্গীর শিফাকে বিয়ে করেন এবং শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে জাহাঙ্গীরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন নিয়ে সালাউদ্দিনের বাড়িতে যান। তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং তার মৃত্যু অস্বাভাবিক বলে পরিবারের দাবি। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন জাহাঙ্গীরের পরিবার।
মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম শফিকুল ইসলাম ফরিদ বলেন, জাহাঙ্গীর আলম সুদর্শন ও ভালো ছেলে। অল্প বয়সে তার মৃত্যুর বিষয়টি শুনে কষ্ট পেয়েছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে দুইটি অবৈধ সীসা তৈরির কারখানায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার(২৩অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের মালির চালা ও আমবাগান এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করেন ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট(ভূমি) কিশোর কুমার দাস ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম ও পরিদর্শক মোতালেব হোসেন প্রমূখ।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুহিন আলম জানান ,পুরাতন ব্যাটারী হতে সীসা উৎপাদনকারী দু’টি কারখানার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরও জানান,এ সময় ভ্যেকু দিয়ে কারখানার সকল স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় কারখানার মালিকদের কাউকে পাওয়া যায়নি।পরিবেশ সুরক্ষায় টাঙ্গাইল জেলার অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
তিনি জানান,ঘাটাইল উপজেলার পুলিশ সদস্যবৃন্দ এই উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন।
একতার কণ্ঠঃ এবার চাঁদাবাজির অভিযোগে রাবেয়া আক্তার কলির বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ভুক্তভোগী মেরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় রাবেয়া আক্তার কলিকে ২নং আসামি করা হয়।
অভিযুক্ত রায়েবা আক্তার কলি, ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকারহাট বাজার সংলগ্ন পেটমানিকা গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে কলি ঢাকা মহানগরের ডেমরা থানার মুসলিম নগর এস. এম. সি. স্পেশাল প্রাইভেট হাসপাতাল সংলগ্ল জুলেখার বাড়ীর ২য় তলায় দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটের সাবলেট ভাড়টিয়া হিসেবে বসবাস করছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার পাঁচ বিবি গ্রামের ওয়াজিউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে মেরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ২১৭/২৪।যাহার ধারা গুলো হচ্ছে: ৩৬৫/৩৪২/৪৪৮/৩৩২/৩৮৫/৩৮৬/৩৭৯/৩৮০/৩০৭/৫০৬
মামলা সুত্রে জানা যায়, রাবেয়া আক্তার কলির ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে গত ২০২৩ সালের ২ মে রেজিস্ট্রিকৃত ভাবে বিবাহ হয় মামলার বাদীর সাথে। বিবাহের পর থেকেই বাদীর কাছ থেকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করার নেশা ছিল রাবেয়া আক্তার কলির। তাদের বনিবনা না হওয়ায় গত ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট দেনমোহর পাওনা বাবদ ৬ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। বিবাহ বিচ্ছেদের চুক্তি নামায় কারো বিরুদ্ধে কোন পক্ষই কোন মামলা অথবা প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারবে না বলে অঙ্গীকার নামা লেখা হয়।
মামলার বাদীর কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী ধার নেওয়া ২০ লাখ টাকা রাবেয়া আক্তার কলির ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও অঙ্গীকারনামা অনুযায়ী বাদীর পাওনা ২০ লক্ষ টাকা যড়যন্ত্র মুলক মামলার ২নং আসামি রায়েয়া আক্তার কলিসহ সকল আসামীরা ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায় ,এছাড়া গত ২ জানুয়ারি রাত ৩টা ১৫ মিনিটে মামলার ১ং আসামি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ও স্পেশাল ক্রাইম(দক্ষিণ) এর ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ গোলাম নবী শেখ এর সাথে যোগ সাজসে কলি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় পাঁচরুথী থানাপাড়া এলাকার বাদীর বসত বাড়িতে গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করিলে মামলা ১ ও ২ নং আসামি সহ মামলার উল্লেখিত ৫ জন আসামী তাকে মারধর শুরু করে। ১ নং আসামি তার কোমর থেকে তার সার্ভিস পিস্তল বের করে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয় অন্যথায় বাদীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি অথবা ক্রসফায়ারে গুলি করিয়া মারিয়া ফেলার হুমকি দেয়। পরে আসামিগন তাকে অপহরণ করে একটি হাইস মাইক্রোবাসে ঢাকার মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। পরদিন সকাল ১১টায় ডিবি কার্যালয়ের একটি বদ্ধ রুমে তাকে গুম করিয়া হত্যার প্রস্তুতি নিলে নিরুপায় হয়ে বাদি ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি হয়। পরে মামলার ২ ও ৪ নং সাক্ষীকে টেলিফোনের মাধ্যমে জানালে, তাঁরা অনেক কষ্টে ৩০ লাখ টাকা যোগাড় করে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের নিয়ে আসে। পরে আসামিগণের দাবিকৃত বাকি ২০ টাকা দিতে পারবে না বলিয়া অপারগতা প্রকাশ করিলে আসামি গণ তাকে মিথ্যা মামলায় দিয়ে কোর্টে চালান করে। যাহা ডেমরা থানার মামলা নং ২৫(১১) ২০২৩। এ ছাড়া মামলার জামিনে মুক্তি পেয়ে টাকা দাবি করলে তাকে আরও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
এ সময় বাদির কাছে থাকা তিনটি মোবাইল ফোন যথাক্রমে ১ টি কালো রংয়ের Apple কোম্পানির আইফোন ৭+ যাহার মূল্য আনুমানিক ৬৫ হাজার টাকা, একটি ছাই রংয়ের Oppo মোবাইল যাহার অনুমানিক মূল্য ৩৫ হাজার টাকা ও একটি Realme RMX 3771 মডেলের মোবাইল যাহার অনুমানিক মূল্য ৩৫ হাজার টাকা জোর পূর্বক রাখিয়া দেয়। এ সময় বাদির হাতে থাকা একটি Rado ঘড়ি যাহার অনুমানিক মূল্য ৩২ হাজার টাকা ও মানিব্যাগে থাকা নগদ ৫৫ হাজার টাকা জোর পূর্বক নিয়ে যায় আসামিগণ।
মামলার বাদী মেরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মামলার ২নং আসামি রাবেয়া আক্তার কলির একাধিক বিবাহ হয়। ইতিপূর্বে কলি তার প্রথম স্বামী রুবেল নামক যুবকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। কাবিনের সিরিয়াল অনুযায়ী তিনি ৩নং স্বামী ছিলেন। বর্তমানে আবুল কালাম আজাদ নামক যুবককে স্বামী দাবী করে কলি। আবুল কালাম তার ৪নং স্বামী। রাবেয়া আক্তার কলির বর্তমান দাবীকরা স্বামীও প্রতারনা মামলার আসামি।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তার কাছ থেকে নেওয়া ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করতে রাবেয়া আক্তার কলির বর্তমান স্বামী পরিচয় দানকারী আবুল কালামসহ সকল আসামিরা ষড়যন্ত্রমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন তার বিরুদ্ধে।
শেখ হাসিনার সাথে ছবি উঠিয়ে এই ছবি দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন লোকজনকে ভয় দেখিয়ে রাবেয়া আক্তার কলি এবং আবুল কালাম আজাদ মিলে চাঁদা বাজি করতো।গত ৫ ই আগষ্টে ছাত্র জনতার ভয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আবুল কালাম আজাদও বিদেশে চলে যায়।
কলির গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার মানিকারহাট বাজার এলাকার স্থানীয়রা জানান, ট্রাক চালকের মেয়ে কলি বর্তমানে ঢাকায় থাকেন। প্রাইভেটকার যোগে আসতেন ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়িতে। হঠাৎ আনুমানিক ২৩ বছরের কলি এত টাকা কোথায় পেলেন এমন প্রশ্ন তাদের। রাবেয়া আক্তার কলি ঢাকায় কি কাজ করছেন? জানতে চান তাঁরা
অভিযোগ প্রসঙ্গে রাবেয়া আক্তার কলির কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করেন।
তিনি আরও বলেন, মিরাজ নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, মানহানি করার জন্য এই ধরনের সাজানো মামলা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গলায় পরনের কাপড় পেঁচানো অবস্থায় আইয়ুব আলী (৪৭) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আইয়ুব আলী সদর উপজেলার ভবানীপুর পাতুলী এলাকার মৃত নছিম মিয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন স্থানে নারী সেজে যাত্রাপালায় অভিনয় করতেন বলে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানায়।
পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে নতুন বাসস্ট্যান্ডে এলাকার মাইক্রোবাস্ট্যান্ডের পেছনের পরিত্যক্ত ঘর থেকে গলায় পরনের কাপড় পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। ধারনা করা হচ্ছে,রাতে কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
নিহতের ছেলে অনিক মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা শনিবার সন্ধ্যায় কাজের কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। রবিবার সকালে আমার বাবার মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি।’
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান, ‘নিহতের মুখে আঙ্গুলের ছাপ ছিল। গলায় পরনের কাপড় পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যা করার পর তার মরদেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডের জেলা সদর লেক থেকে শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে মিজানুর রহমান (৩৪) নামে এক যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মিজানুর রহমান টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাগমারা এলাকার বাহেজ উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)তানবীর আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে জেলা সদরে অবস্থিত টাঙ্গাইল জেলা সৌখিন মৎস শিকারী সমিতির পাশে জেলা সদর লেকে ভাসমান মরদেহ দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশে খবর দেয়।
পরে মাছ শিকারের জন্য ব্যবহৃত কাঠের পাটাতনের গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় থাকা মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে। এ সময় মরদেহের সাথে থাকা একটি ব্যাগে আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের সঙ্গে যুবকের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ আরো জানান, মিজানুর রহমান (৩৪) নামের ওই যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান,নিহত মিজানুর রহমান টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাগমারা এলাকার বাহেজ উদ্দিনের ছেলে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসি আরোও জানান,খবর পেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (টাঙ্গাইল সদর সার্কেল) সোহেল রানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-দক্ষিণ) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিলে হামলা ও গুলির ঘটনার মামলায় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনছারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার(১০ অক্টোবর ) বিকালে পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুরের উত্তর ছায়া বীথি এলাকা থেকে তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শাহজাহান আনছারী (৬৫) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করটিয়া কলেজ পাড়া এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল শহরে গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের জেলা সদর সড়কের বিবেকানন্দ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শটগান, পিস্তলসহ আগ্নেয়াস্ত্র এবং চাপাতি, রামদা, কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা করা হয়। তাদের ছোড়া গুলি লাল মিয়া নামে একজনের বাম পায়ের হাঁটুর নিচে বিদ্ধ হয়। পরে গত ৩১ আগস্ট লাল মিয়া বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি শাহজাহান আনসারী।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান ,শাহজাহান আনছারী এ মামলার ৮ নাম্বার আসামি ছিলেন। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তাকে ৩ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাইফুল ইসলাম (৪৫) নামে এক মাংস ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার যমুনা সেতু-ভূঞাপুর লিংক রোডের কষ্টাপাড়া এলাকায় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবারের ধারনা, বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতের কোন এক সময়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার তার মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
সাইফুল ইসলাম উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কুকাদাইর গ্রামের মৃত বদি মিয়ার ছেলে। তিনি আশুলিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বপরিবারে বসবাস করছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সাইফুল ইসলাম গত দেড় মাস আগে পরিবার নিয়ে ঢাকার আশুলিয়া চলে যায়। সেখানে তিনি মাংস ব্যবসায়ীর (কসাই) কাজ করতেন। ঢাকায় থাকলেও তিনি গরু কেনার জন্য প্রায়ই বাড়িতে আসতেন। স্থানীয় হাট থেকে দু’একটি গরু কিনে ঢাকায় নিয়ে জবাই করে মাংস বিক্রি করতেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় লোকজন রাস্তার পাশে কাউকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তার কাছে গিয়ে দেখতে পায় কুকাদাইর গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী সাইফুলের মরদেহ। পরে তারা পরিবারকে খবর দেয় তারা বিষয়টি জানাজানি হলে মরদেহ দেখতে ঘটনাস্থলে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করে।
সাইফুল ইসলামের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শত্রুতা করে কেউ পরিকল্পিতভাবে আমার বড় ভাই সাইফুল ইসলামকে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গেছে। তার সাথে কারো শত্রুতা নেই। আমার ভাই হত্যায় যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।
এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।প্রাথমিকভাবে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে। এনিয়ে তদন্ত চলছে।
একতার কণ্ঠঃ অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় তিন ব্যবসায়ীকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর ও বড়চওনা বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর জানান, খামারি ও ডিমের পাইকারি আড়তে তদারকি করে বিক্রয় রশিদে মূল্য উল্লেখ না করা, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করা, সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক দামের অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি করা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় কুতুব বাজারের মেসার্স রবিউল ট্রেডার্সকে ৮০ হাজার, একই অপরাধে মেসার্স এসএসএস এন্টারপ্রাইজকে ৮০ হাজার ও বড়চওনা বাজারের জাকিয়া এন্টারপ্রাইজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলা সদর রোডের বিবেকানন্দ হাইস্কুল এন্ড কলেজের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজহারভুক্ত আসামি শহিদুল ইসলাম সমেজকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪ সিপিসি-৩।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে টাঙ্গাইল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ধুলেরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেপ্তারকৃত শহিদুল ইসলাম সমেজ টাঙ্গাইল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বৈল্লা এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। সে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি শহিদুল ইসলাম সমেজের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর র্যাবের একটি চৌকোষ দল সোমবার বিকালে শহরের ধুলেরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিছিলে হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ১২১নং আসামি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি শহিদুল ইসলাম সমেজকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মামলার অন্যান্য এজহারভুক্ত ভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ২ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলার দেলদুয়ার ও মির্জাপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার( ৮ অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি এর কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রির এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকুল্ল্যা-বাইপাস সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করে র্যাব।
একই দিন জেলার মির্জাপুর উপজেলার দুল্লাবেগম এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাচ্চুকে (৬৪) গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃত দু’জন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত দুই জনকে মির্জাপুর থানা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইল স্পেশাল জর্জ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনা সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে এই রায় দিয়েছেন।
দন্ডিত ব্যক্তির নাম রুহুল আমীন (৪৪)। তিনি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আগ এলাসিন গ্রামের তাজুল মিয়ার ছেলে। তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের সরকারী কৌশুলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, বিগত ২০১২ সালের (১২ এপ্রিল) দন্ডিত রুহুল আমিনসহ আরও কয়েকজন আগ এলাসিন গ্রামের আলম বাদশার ছেলে ফিরোজ আল মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওই দিন রাতেই মামুন বাড়ি ফেরার পথে তার উপর হামলা করা হয়। হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে তাকে। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, পরদিন নিহত মামুনের মা শামসুন্নাহার বাদী হয়ে দেলদুয়ার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ বিগত ২০১৩ সালের (২৭ মে) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলার অপর ৪ আসামী জাহাঙ্গীর, আনিসুর রহমান, কালু ও রবি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।