/ হোম / অপরাধ
টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলা, আ’লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলা, আ’লীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ২ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলার দেলদুয়ার ও মির্জাপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার( ৮ অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি এর কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রির এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকুল্ল্যা-বাইপাস সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করে র‌্যাব।

একই দিন জেলার মির্জাপুর উপজেলার দুল্লাবেগম এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাচ্চুকে (৬৪) গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গ্রেফতারকৃত দু’জন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত দুই জনকে মির্জাপুর থানা হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. অক্টোবর ২০২৪ ০২:০২:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইল স্পেশাল জর্জ আদালতের বিচারক দিলারা আলো চন্দনা সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে এই রায় দিয়েছেন।

দন্ডিত ব্যক্তির নাম রুহুল আমীন (৪৪)। তিনি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আগ এলাসিন গ্রামের তাজুল মিয়ার ছেলে। তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের সরকারী কৌশুলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, বিগত ২০১২ সালের (১২ এপ্রিল) দন্ডিত রুহুল আমিনসহ আরও কয়েকজন আগ এলাসিন গ্রামের আলম বাদশার ছেলে ফিরোজ আল মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওই দিন রাতেই মামুন বাড়ি ফেরার পথে তার উপর হামলা করা হয়। হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে তাকে। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, পরদিন নিহত মামুনের মা শামসুন্নাহার বাদী হয়ে দেলদুয়ার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ বিগত ২০১৩ সালের (২৭ মে) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলার অপর ৪ আসামী জাহাঙ্গীর, আনিসুর রহমান, কালু ও রবি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. অক্টোবর ২০২৪ ০৩:৪৯:এএম ৩ মাস আগে
কালিহাতীতে তিন আ’লীগ নেতা গ্রেফতার - Ekotar Kantho

কালিহাতীতে তিন আ’লীগ নেতা গ্রেফতার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কোটা বিরোধী আন্দোলনের মামলায় তিন আওয়ামীলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার(৫ অক্টোবর) রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এলেঙ্গা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মাজেদুর, ৪ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার আলী ও কালিহাতী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মর্তুজ আলী।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি )মোহাম্মদ আবুল কালাম ভুইঞা জানান, কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় দায়ের করা টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী থানার মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. অক্টোবর ২০২৪ ০১:২৫:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে অনলাইন জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সালিশি বৈঠকে যুবক খুন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অনলাইন জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সালিশি বৈঠকে যুবক খুন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অনলাইন জুয়া খেলার জেরে সালিশি বৈঠকে মুসলিম (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা ব্রিজপাড় এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত মুসলিম নিকরাইল গ্রামের জোহেরের ছেলে।

এই ঘটনায় নিহত মুসলিমের বাবা ও চাচাসহ আরও ৫ থেকে ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে হালিম নামে একজনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, একই গ্রামের রাকিব ও সুজনের এক ভাগ্নের সঙ্গে অনলাইন জুয়ার মূলহোতা নয়নের অর্থ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়। সেই বিরোধ মেটাতে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মাতাব্বরদের উদ্যোগে মাটিকাটা ব্রিজপাড়ে সালিশি বৈঠক বসে। বৈঠকে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইন জুয়া খেলার বিষয়টি মাতাব্বররা ঠিকভাবে বুঝতে না পারায় মুসলিম তাদের সে বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন। এসময় রাকিব ও সুজনের ভাগ্নের সঙ্গে মুসলিমের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রাকিব ও সুজন তাদের সঙ্গীদের ফোন করে সালিশি বৈঠকে ডেকে আনে। পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুসলিমকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করে। মুসলিমের স্বজনরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালায় তারা। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মুসলিম মারা যান বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়।

এ বিষয়ে নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমজাত হোসেন বলেন, অনলাইন জুয়া নিয়ে সালিশে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে মুসলিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনায় জড়িত হালিমকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. অক্টোবর ২০২৪ ০১:২০:এএম ৩ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে নিহত শিক্ষকের টাঙ্গাইলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম - Ekotar Kantho

খাগড়াছড়িতে নিহত শিক্ষকের টাঙ্গাইলের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম

একতার কণ্ঠঃ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে আবুল হাসনাত মোঃ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাইমহাটি গ্রামে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাইমহাটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নিহতদের বাড়িতে মরদেহ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পরেন তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনেরা।
নিহত সোহেল রানা ওই এলাকার মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে।
পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সোহেল রানাকে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়িরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ সময় নিহতের বড় ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাওন বলেন, আমার বাবা অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবি জানাই।

সোহেল রানা খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন।প্রতিষ্ঠানটি জেলা সদরের খেজুরবাগান এলাকায়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। এরপর একই প্রতিষ্ঠানে তিনি যেন আবার যোগদান না করেন, সে জন্য শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
গত মঙ্গলবার(১ অক্টোবর) দুপুরে আবার তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্কুলটির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে সোহেল রানাকে অধ্যক্ষের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে ১০ থেকে ১৫ জন পাহাড়ি তরুণ অভিযুক্ত শিক্ষক সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এ সময় তাঁকে পুলিশসহ কয়েকজন রক্ষা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. অক্টোবর ২০২৪ ০৪:০০:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে নববধূর আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে নববধূর আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দিয়ে সুমাইয়া (১৮) নামে এক নববধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের আগতেরিল্ল্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সুমাইয়া আগতেরিল্ল্যা গ্রামের সোনা উল্লাহর মেয়ে ও জেলার পাশ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের সবুজের স্ত্রী।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়- প্রায় দেড় মাস আগে পাশ্ববর্তী পোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা সবুজ নামে এক যুবকের সাথে পারিবারিকভাবে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। তার আগে থেকেই মানুষিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিল সুমাইয়া। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সে স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবা সোনা উল্লাহর বাড়িতে বেড়াতে আসে।

এরপর তার সমস্যা আরও বেশি হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ ঘরের সিলিংফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস গলায় নেয় সে। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সুমাইয়া মৃত্যুবরণ করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই নববধূর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অক্টোবর ২০২৪ ০২:৩৮:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কর্তন, কুড়ালের কোপে স্ত্রী নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কর্তন, কুড়ালের কোপে স্ত্রী নিহত

একতার কণ্ঠঃ পারিবারিক কলহের জেরে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছে স্ত্রী। পরে স্বামী ময়নাল (৬০) তার স্ত্রী মনোয়ারাকে (৫০) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ময়নাল দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের তোফান শেখের ছেলে এবং নিহত মনোয়ারা একই ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত তাহেরুল আমিনের মেয়ে।

সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, ময়নাল ও তার স্ত্রী একই সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে এলাকায় আসে। পরে বাজার করা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ময়নালের স্ত্রী তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন করে। পরে ময়নাল ঘরে থাকা গাছ কাটার কুড়াল নিয়ে তার স্ত্রীর ঘাড়ে দুটি কোপ দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ময়নালকে স্থানীয়রা আটক করে গাছে বেঁধে রাখে এবং পরবর্তীতে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ময়নালকে আটক করতে গিয়ে দেখা যায়, তার পুরুষাঙ্গ কাটা এবং পরনের লুঙ্গি রক্তাক্ত অবস্থায় রয়েছে। তখন তাকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ময়নালকে টাঙ্গাইল জেলার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং অভিযোগ প্রাপ্তি ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ময়নালের পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কাটা অবস্থায় ছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. অক্টোবর ২০২৪ ০২:২০:এএম ৪ মাস আগে
মগড়া ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন - Ekotar Kantho

মগড়া ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এড. মোতালিব হোসেনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মগড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কুইজবাড়ি আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে মগড়া ইউনিয়ন বিএনপি।

সভা আহ্বান ছাড়া বাজেট, বৈষম্যহীন ট্যাক্স, বিভিন্ন উন্নয়ন তহবিলের টাকা ও প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাত, পরিষদে গড় হাজিরার মত দূর্নীতিতে সম্পৃক্তসহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মুতালিব হোসেনের অপসারণের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হারুন মিয়া প্রমুখ।

এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক খোদা বক্স, সদস্য সচিব রাসেল রানা, স্বেছাসেবক দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিনসহ ইউনিয়ন বিএনপি এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠণের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪২:এএম ৪ মাস আগে
ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ - Ekotar Kantho

ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

একতার কণ্ঠঃ ভারতের মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতা নিতেশ রানে ও ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মুসলমানদের হত্যার হুমকি ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভটি মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এসে মিছিলটি সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোঃ কামরুল ইসলাম, আল-আমিন, মনিরুল ইসলাম, আকরাম, সিয়াম, মুফতি আব্দুর রহমান, মাওলানা ইসমাঈল, মুফতি মুকাব্বির প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, মহানবীকে নিয়ে যারা কটুক্তি করছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় মহানবীর সম্মানে মার্চ টু মুম্বাই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এই সময় বক্তারা ভারতীয় পন্য বর্জনের আহ্বান করেন সমাবেশ থেকে।

পরে মোনাজাতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সমাবেশটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। মোনাজাত করেন মুফতি আব্দুর রহমান।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:৩২:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মারুফ হত্যা মামলায় কাউন্সিলর নোমান গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মারুফ হত্যা মামলায় কাউন্সিলর নোমান গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইলে গুলিতে নিহত ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ মিয়া (১৪) হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর হাসান ফেরদৌস নোমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল শহরের বেবি‌স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে র‍‍্যাব দুপুরে নোমানকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍‍্যাব-১৪ এর স্কোয়াড কমান্ডার (এএসপি) মো. আব্দুল বাসেত।

গ্রেপ্তারকৃত তানভীর হাসান ফেরদৌস নোমান টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এ হত্যা মামলার ১৬ নাম্বার আসামী।

রবিবার দুপুরে নোমানকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, র‌্যাব গ্রেপ্তারের পর কাউন্সিলর নোমানকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে নোমানকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো রিমান্ড শুনানি হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট নিহত মারুফের মা মোর্শেদা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ৫৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত ১৫০ জন থেকে ২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৪:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইলে এনজিও’র হিসাব রক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ কর্মকর্তা কারাগারে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এনজিও’র হিসাব রক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ কর্মকর্তা কারাগারে

একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) এক হিসাবরক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ওই সংস্থাটির পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার(২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে টাঙ্গাইল শহরের সদর সড়কের বেসরকারি সংস্থা ‘সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রু ইউনিটি’র (সেতু) প্রধান কার্যালয়ের পাশ থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তাঁর নাম হাসান আলী (২৩)। তিনি সিরাজগঞ্জ উপজেলার উল্লাপাড়া থানার পুঠিয়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে। হাসান ওই এনজিওর জামালপুরের পিয়ারপুর শাখার সহকারী হিসাবরক্ষক ছিলেন।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মির্জা সাহাদত হোসেনের ছেলে ও সংস্থাটির উপ-পরিচালক (মানবসম্পদ) মির্জা সাকিব হোসেন, উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. শরিফুল ইসলাম, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক খায়রুল হাসান ও সহায়ককর্মী রাশেদুল ইসলাম।

সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংস্থাটির পিয়ারপুর শাখার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, ব্যবস্থাপক ও সহকারী হিসাবরক্ষক তিনজন যোগসাজশ করে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ১৬ সেপ্টেম্বর তিনজনকে প্রধান কার্যালয় টাঙ্গাইলে আনা হয়। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপককে ছেড়ে দেওয়া হলেও ব্যবস্থাপক ও হিসাব রক্ষক হাসান আলীকে সপ্তম তলার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর হাসানের মা-বাবাকে কার্যালয়ে ডেকে এনে বিষয়টি জানানো হয়।

শুক্রবার গভীর রাতে টাঙ্গাইল শহরের সদর সড়কে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় সেতু টাওয়ারের পশ্চিম পাশ থেকে হাসানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, হাসানকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।

তবে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের দাবি, শুক্রবার রাতে সাততলা থেকে লাফ দিয়ে হাসান ‘আত্মহত্যা’ করেন। ঘটনার পরপরই রাতে সংস্থাটির পাঁচ কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

নিহত হাসানের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমার ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে। আমাকে শুক্রবার রাতে সেতু অফিস থেকে ফোন করে বলা হয়, আপনার ছেলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে। আপনি আসেন। পরে থানা থেকে ফোন করে হাসানের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’

শনিবার সন্ধ্যায় নিহত হাসান আলীর মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আটক পাঁচজনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ পাঁচজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।

সেতুর উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বিমল চক্রবর্তী বলেন, পিয়ারপুর শাখার ম্যানেজার ও সহকারী হিসাবরক্ষককে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শাখায় সংযুক্ত করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। অফিসের সাততলায় তাঁদের থাকার জন্য একটি রুম দেওয়া হয়। সেখান থেকে লাফ দিয়ে হাসান গতকাল রাতে আত্মহত্যা করেন।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, হাসানের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ময়নাতদন্ত করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪১:পিএম ৪ মাস আগে
৪০ দিনেও সন্ধান মেলেনি আন্দোলনে নিহত টাঙ্গাইলের হৃদয়ের মরদেহের - Ekotar Kantho

৪০ দিনেও সন্ধান মেলেনি আন্দোলনে নিহত টাঙ্গাইলের হৃদয়ের মরদেহের

একতার কণ্ঠঃ ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর ‘বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিতে নিহত’ টাঙ্গাইলের হৃদয়ের লাশ ৪০ দিন পরেও পায়নি তার পরিবার।

মা রেহেনা বেগম এখনও অপেক্ষায় আছেন, জীবিত না ফিরলেও অন্তত শেষবার ‍মৃত ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতে চান তিনি।

হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের আলমনগর মধ্যপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক লাল মিয়ার ছেলে। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে নিজের লেখাপড়া আর সংসারের খরচ চালাতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অটোরিক্সা চালাতেন হেমনগর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয়।

গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর কোনাবাড়ির কাশিমপুর সড়কের মেট্রো থানার শরীফ মেডিকেলের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে হৃদয়ের সঙ্গে তার ভগ্নিপতি ইব্রাহিম ও বন্ধু রবিন ছিলেন।

এই দুজনেরই ভাষ্য, তারা পুলিশের গুলিতে হৃদয়কে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে এবং তার লাশ নিয়ে যেতে দেখেছেন। কিন্তু পরে আর চেষ্টা করেও হাসপাতাল মর্গ বা অন্য কোথাও হৃদয়ের লাশের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে এ ঘটনার ভিডিও দেখেও স্বজনরা হৃদয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানান ইব্রাহিম।

১১ দিন অপেক্ষার পর গত ২৬ অগাস্ট কোনাবাড়ি থানায় ৫৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান হৃদয়ের ভগ্নিপতি ও মামলার বাদী ইব্রাহিম।

হৃদয়ের পরিবার জানায়, হৃদয় ছিলেন দুই বোনের এক ভাই। দুই বোনের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা লাল মিয়া এলাকায় রিকশাভ্যান চালিয়ে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে লাল মিয়া আর কাজ করতে পারতেন না।

পরে বাধ্য হয়েই সংসারের খরচ চালাতে মে মাসে লেখাপড়ার পাশাপাশি হৃদয় অটোরিক্সা চালানো শুরু করেন। তখন বাবা-মা এক বোনের বাড়িতে থাকতেন।

আলমনগরে হৃদয়দের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িটি জরাজীর্ণ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা রেহেনা বেগম। বাড়িতে রাখা ছেলের জামা-কাপড়, খেলাধুলায় পাওয়া বিভিন্ন পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি সারাক্ষণ কাঁদেন আর ছেলের পথ চেয়ে বসে থাকেন। বাবা লাল মিয়াও ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বুঝতে পারছেন না, আগামী দিনে তার সংসারটি কীভাবে চলবে।

হৃদয়ের বাবা লাল মিয়া বলছিলেন, বড় মেয়ের জামাইয়ের একটি ঘরে আমি স্ত্রী নিয়ে থাকি। ছেলে একটি ভাঙাচোরা ঘরে থাকে। ছেলেটা কোনাবাড়িতে অটোরিক্সা চালাতো। ঘটনার দিন লাল মিয়া ছেলেকে বাড়িতে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু হৃদয় বলেছিল, ভাইয়ের (বোন জামাই) সঙ্গে যাবো। বাবাডা আর ফিরে এলো না। এখন আমার ছেলের মরদেহ ফেরত চাই।

হৃদয়ের মা রেহেনা বেগম বলেন, আমাদের খাবার ও হৃদয়ের পড়াশুনার খরচ যোগানোর জন্য কোনাবাড়িতে কাজ করতে গেছিল। ১০ হাজার টাকা কিস্তি তুলে ছেলেকে দিয়েছি গাড়ি চালানো শিখতে। ছেলে গাড়ি চালাবে। সেই কিস্তির টাকা এখন কে দেবে? আমার ছেলেডাকে মাইরা ফেলেছে পুলিশ গুলি করে। আমার ছেলের মরদেহ ফেরত দেন আমি দেখবো। আমি তারে ধরতে চাই। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হৃদয়ের বন্ধু রবিন বলেন, ৫ অগাস্ট বিকালে কোনাবাড়ির কাশিমপুর সড়কের মেট্রো থানার শরীফ মেডিকেলের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে হৃদয়, ইব্রাহিমসহ তারা গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, মেট্রো থানার সামনেই আমরা অবস্থান নিয়েছিলাম। এ সময় পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি করে। অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা একপাশে ছিলাম। আর হৃদয় ছিল অন্যপাশে। তখন হৃদয় ভয়ে একটি বাড়ির পাশে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে পুলিশ তাকে ধরে সড়কে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।

রবিন বলছিলেন, আমরা দূর থেকে এইটা দেখছিলাম। ভাবলাম, হয়তো মারধর করে ছেড়ে দিবে। কিন্তু তারা গুলি করে হত্যা করেছে। এ সময় চতুর্দিকে গুলি করা হয়। ভয়ে এগিয়ে যেতে পারিনি। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম তার মৃত্যু।

ভেবেছিলাম, পরিবেশ শান্ত হলে তার মরদেহ আনতে যাবো। পরে পুলিশ তার মরদেহ নিয়ে চলে যায়। ওইদিন রাত ১২টার পর যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে শুধু তার রক্তাক্ত লুঙ্গিটা পাই। তবে পুলিশ মরদেহ নিয়ে কোথায় রেখেছে সেটা আর জানতে পরিনি। পরে আশপাশে খোঁজ-খবর নিতে গেলে কয়েকজনের কাছে সেদিন সেখানকার ঘটনার একটি ভিডিও পান রবিন।

সেই ভিডিও দেখার কথা জানান হৃদয়ের ভগ্নিপতি ইব্রাহিমও। তিনি বলেন, ভিডিওটি আশপাশের বাসা থেকে ধারণা করা হয়েছিল। এরকম ছোট ছোট কয়েকটি ভিডিও দেখার কথা জানান তিনি।

ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. হামিদ। তার কোনাবাড়িতে একটি দোকান আছে। মিছিলের আগে হৃদয় সেই দোকানের সামনেই ছিলেন। সঙ্গে তার ভগ্নিপতিকেও দেখেছিলেন হামিদ।

তিনি বলছিলেন, আমি তাকে মিছিলে যেতে বারণ করেছিলাম। তারপরও তারা আনন্দ মিছিলে যোগদান করেছে। বোনের জামাই ইব্রাহিম দূর থেকে দেখেছেন কিভাবে হৃদয়কে গুলি করে মেরেছে পুলিশ। কিন্তু ভয়ে কেউ সামনে যাওয়া সাহস পায়নি।

যারা হত্যা করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে দোকানদার হামিদ বলেন, হৃদয়ের মরদেহ যেন তার পরিবার ফিরে পায়।

কয়েকটি ভিডিওর একটিতে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ এক যুবককে ধরে সড়কের উপর নিয়ে লাঠিপেটা করছে। এরপর তাকে চারদিকে ঘিরে মারধর করছে। চারদিকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে হঠাৎ করেই গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক।

পরে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আবার চারজন পুলিশ সদস্য সেখানে আসেন। তাদের মধ্যে দুইজন হাত দুইজন পা ধরে তাকে চাংদোলা করে নিয়ে যাচ্ছে।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনজন মিলে যুবকের লাশ টেনে গলির ভিতর নিয়ে যাচ্ছে। তখনও আশপাশে প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরপর ওই তিনজন তার মরদেহ ফেলে চলে যায়। তার একটু পর আবার দুইজন এসে মরদেহটি গলির আরও ভিতর নিয়ে যাচ্ছে।

হৃদয়ের বোন জিয়াসমিন আক্তার বলেন, ঘটনার দিন বিকালেই মোবাইলে ভাইয়ের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়। তখন তিনি ভাইকে বাসায় চলে যেতে বলেছিলেন। তখন হৃদয়ের কাছে স্বামী ইব্রাহিমের খোঁজ-খবরও নেন।

এর আধা ঘণ্টা পর ইব্রাহিম স্ত্রী জিয়াসমিনকে মোবাইল করে হৃদয়ের মারা যাওয়ার কথা জানান। তখন জিয়াসমিন আবার হৃদয়ের মোবাইলে ফোন দেন। তখন একজন ফোন ধরে বলেন, মোবাইলটি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন।

জিয়াসমিন আক্তার বলছিলেন, ভাইয়ের আশা ছিল লেখাপড়া করে চাকরি করবে। বাবা-মায়ের মুখে খাবার তুলে দিবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুলিশ শেষ করে দিল। যারা ভাইকে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। দেশ স্বাধীনে যেন শহীদের খাতায় ভাইয়ের নাম থাকে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:০৯:এএম ৪ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।