একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, রোবটকে বাংলায় কথা বোঝানোর প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পে। এছাড়া বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত বাংলা থেকে আইপিএতে রূপান্তর সফটওয়্যার ‘ধ্বনি’ ও ‘বাংলা ডট গভ বট বিডি’ ওয়েবসাইটের পরীক্ষামূলক উন্মুক্তকরণ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, প্রকল্পের আওতায় ভাষা-প্রযুক্তি ও কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার অনেকগুলো সার্ভিস ও রিসোর্স তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০টি পাবলিক ফেসিং সার্ভিস, ১৬টি রিসার্চ টুলস ও রিসোর্স, ৮ ধরনের স্ট্যান্ডার্ড ও প্রিন্টেড রিসোর্স এবং ১০ ধরনের করপাস/ডেটাসেট উল্লেখ্যযোগ্য। এই প্রকল্প শতভাগ জিওবি ফান্ডেড এবং এখানে স্থানীয় রিসোর্স ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে অ্যাকাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কোলাবোরেশন ঘটছে এবং পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষী যেমন এর প্রত্যক্ষ উপকার পাবে এবং ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সদস্য ও বাক-দৃষ্টি-শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী এর মাধ্যমে সুফল পাবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে অধিকাংশ সার্ভিস জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারব। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা ডট গভ ডট বিডি ও ধ্বনি সফটওয়্যারটির ‘পরীক্ষামূলক সংস্করণ’ প্রকাশ করা হলো।
প্রতিমন্ত্রী জানান, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণই এ প্রকল্প উদ্দেশ্য। এছাড়াও গ্লোবাল প্লাটফর্মে নেতৃস্থানীয় ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করা। বিশেষ করে, কম্পিউটিং ও আইসিটিতে বাংলা ভাষাকে অভিযোজিত করা বা খাপ খাইয়ে নেওয়া।
তিনি বলেন, বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে রিয়েল-টাইম অটোমেটিক স্পিচ টু স্পিচ মেশিন ট্রান্সলেশনসহ বিভিন্ন রিসোর্সের প্রয়োজন হয়।
‘বাংলা ডট গভ ডট বিডি’ হচ্ছে ভাষা-প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রযুক্তির প্লাটফর্ম। প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নকৃত বাংলা ভাষার বিভিন্ন সার্ভিস পাওয়া যাবে এই প্লাটফর্ম থেকে। বর্তমানে এটি প্রোডাক্ট শোকেইস ও ইনফরমেশন পোর্টাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ও গবেষকবৃন্দ সকল যোগাযোগ রক্ষা করবে। এই পোর্টালটিই হয়ে উঠবে বাংলা ভাষা-প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাব।
‘ধ্বনি’ আইপিএ বিষয়ক অ্যাপ্লিকেশনটি হচ্ছে মূলত কনভার্টার ইঞ্জিন, যা বাংলা থেকে আইপিএতে স্বয়ংক্রিয় ভাবে রূপান্তর করতে পারে (ভাইস-ভার্সা কাজ করে)। এতে অন-স্ক্রিন কিবোর্ড ও এমবেডেড ফন্ট রয়েছে। এক্সপোর্ট ও কপির অপশন রয়েছে। অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরিতে ম্যাশিন লার্নিং তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক সংস্করণ উন্মুক্ত হচ্ছে। দ্রুত ইউজার ফিডব্যাক নিয়ে স্টেবল ভার্সন প্রকাশ করা হবে ।
সংবাদ সূত্রঃ কালের কণ্ঠ অনলাইন নিউজ পোর্টাল
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অডিও স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন সেবা স্পটিফাই। ব্যক্তিগত পছন্দ ও জগদ্বিখ্যাত সব গানের সমারোহ নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাতে অফিশিয়ালি যাত্রা শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা প্রতি মাসে ১৯৯ টাকা খরচ করেই উপভোগ করতে পারবে স্পটিফাই প্রিমিয়াম। পারিবারিক (সর্বোচ্চ ছয়জন) ব্যবহারের জন্য মাত্র ৩১৯ টাকায় থাকছে প্রিমিয়াম ফ্যামিলি সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান। একই ঘরে বসবাসরত দুজনের জন্য স্পটিফাইয়ের নতুন আকর্ষণ স্পটিফাই প্রিমিয়াম ডুয়ো পাবে ২৬০ টাকায়। এই সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানের মধ্যে পাবে ডুয়ো মিক্স সার্ভিস। নিয়মিত আপডেটেড প্লে-লিস্ট সুবিধার মাধ্যমে পছন্দের গান উপভোগ করতে পারবে ব্যবহারকারীরা।
স্পোর্টস ডেস্ক : সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার রেশ না কাটতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। আগামী ২০ মার্চ থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। এর পর ২৮ মার্চ থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ।
২০১৯ সালের মার্চে ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় সফর শেষ না করেই দেশে ফিরেছিলেন তামিম, মুশফিকরা। প্রায় দুই বছর বিরতির পর আবারও নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছেন তারা। আগামী ১৩ মার্চ থেকে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে খেলার জন্য প্রস্তুতি হতে সিরিজ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবে বাংলদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
এরই মধ্যে দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। যদিও ক্যারিবিয়ানদের কাছে টেস্ট সিরিজে হতাশ হওয়ার পর অনেক চটেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন আনার আভাস দেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টেরও একহাত নেন বিসিবি সভাপতি। টিম নির্বাচন ঘিরেও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে পরিবর্তন আসতে পারে। সম্ভাব্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে থাকা ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর এক সপ্তাহের বেশি সময় হাতে পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এ সময় দেশের মাটিতে কোনো প্রস্তুতি ক্যাম্প গড়ছে না টাইগাররা।
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনা করেনি বিসিবি। নিউজিল্যান্ডে গিয়েই বাড়তি অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। অবশ্য নিউজিল্যান্ড সফরে খেলবেন না সাকিব আল হাসান। তৃতীয় সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছেন তিনি। পরিবারের পাশে থাকতে ছুটি নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলে পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে জানা গেছে, নিউজিল্যান্ড সফরে মাহমুদউল্লাহকে পাওয়া নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই।
এদিকে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগেই করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে ক্রিকেটারদের। টিকা নেওয়ায় ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে খেলোয়াড়েদের মধ্যে। তবে কোনো ক্রিকেটারকে টিকা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে না। আগামীকাল নাম দেওয়া আগ্রহী ক্রিকেটারদের টিকা দেওয়া হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় কোচিং স্টাফদেরও টিকা দেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের ভাবলা দক্ষিণ পাড়া থেকে মঙ্গলবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এখলাছুর রহমান ওরফে নাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-১২)। গ্রেপ্তারকৃত নাহিদ(২২) কালিহাতী উপজেলার ওই ইউনিয়নের ভৈরববাড়ী গ্রামের মো. মাসুদ ইকবালের ছেলে।
র্যাব-১২ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-৩’র (টাঙ্গাইল) ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল র্যাব কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের ভাবলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মো. এখলাছুর রহমান ওরফে নাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৪০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি মোবাইল ফোন ও একটি সিমকার্ড জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের বাওয়ার কুমারজানী সহকারী শিক্ষক তানিয়া রহমান ব্যক্তিগত কারণে তিন মাসের ছুটি নিয়ে আমেরিকায় গিয়ে দেড় বছর পার করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন মির্জাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেন।
জানাগেছে, মির্জাপুর উপজেলার বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানিয়া রহমান ২০১৯ সালের ৩ জুলাই থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে ছুটি নেন। ছুটি নিয়ে তিনি সপরিবারে আমেরিকায় চলে যান। এরপর থেকে বিদ্যালয়ের সঙ্গে তানিয়া রহমানের কোন যোগাযোগ নেই।
উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাকে একাধিকবার এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চেয়ে চিঠি পাঠানো হলেও তিনি বা তার পরিবারের পক্ষে কেউ তা গ্রহণ করেনি।
মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেন জানান, সহকারী শিক্ষক তানিয়া রহমান তিন মাসের ছুটি নিয়ে আমেরিকা গিয়ে অদ্যাবদি দেশে ফেরেন নি।
জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে একাধিকবার চিঠি দিয়েও তার কোন জবাব পাওয়া যায়নি। বিলম্বে হলেও তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বাওয়ার কুমারজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানিয়া রহমান তার ফেসবুক অ্যাকাউণ্টে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, ‘বৈশি^ক মহামারী করোনার কারণে আমি দেশে আসতে পারছি না’।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ এ বিষয়ে জানান, ওই সহকারী শিক্ষক চিকিৎসাজনিত ছুটি নিয়েছেন। এরপর থেকে তার বেতন উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। আগামি ২০ থেকে ২২ দিনের মধ্যে তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একতার কন্ঠ ডেক্স : টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে আব্দুল খালেক (৫০) নামের এক ট্রাক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে৷ টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. রেজাউল করিম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আব্দুল খালেক সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার বনবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস মহাসড়কের নাটিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী ধানের তুষ বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখী সংর্ঘষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক নিহত হয়। এ ঘটনায় বাসের চার যাত্রী আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি সরানোর পড়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মৃৎ শিল্প উন্মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে। অত্যাধুনিক প্লাস্টিক, অ্যালুমোনিয়াম ও মেলামাইনের তৈজসপত্রের দাপটে এ শিল্প প্রায় বিলুপ্ত। ফলে জেলার প্রতিভাবান মৃৎ শিল্পীরা অর্থাভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
জেলায় এক সময় তৈজসপত্রের চাহিদা পুরণ করত মাটির তৈরি হাড়ি, পাতিল, কলসি, থালা(সানকি), কুয়ার পাট, নানা ধরণের খেলনা, বিভিন্ন পিঠা তৈরির খরমা(সাজ) ইত্যাদি। গ্রাম্য মেলা ও হাট-বাজারে মাটির তৈরি ওইসব পণ্য শোভা পেত।
মাটির তৈরি এসব পারিবারিক তৈজসপত্র বিজ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থসম্মত ও সুস্বাদুপণ্যের আধার হিসেবে পরিগণিত। মাটির তৈরি উৎকৃষ্টমানের ওইসব তৈজসত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক ও মেলামাইনের তৈরি তৈজসপত্র। গ্রামাঞ্চলের উৎসব-মেলা বা হাট-বাজারে প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি মৃৎশিল্পের পণ্য সামগ্রীর জায়গা নিয়েছে কৃত্তিমভাবে তৈরি তৈজসপত্র।
টাঙ্গাইল বিসিক সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৫৮টি কুমার পরিবার, বাসাইলে ১১৫টি, নাগরপুরে ১০৭টি, মির্জাপুরে ৯৯টি, দেলদুয়ারে ৬৫টি, ঘাটাইলে ৬০টি, ভূঞাপুরে ফলদা কুমার পাড়ায় ২২০টি, কালিহাতীতে ২৮০টি, গোপালপুরে ১১২টি, ধনবাড়ীতে ১০টি এবং মধুপুর উপজেলায় ৯টি কুমার পরিবার বসবাস করছে। জেলায় এক হাজার ২৩৫টি কুমার পরিবার থাকলেও তাদের অধিকাংশই পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মৃৎ শিল্পীরা সুনিপুন শৈল্পিকতায় তৈরি করছেন পুতুল, ফুলের টব, কুয়ার পাট, হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, শো-পিস সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ও সৌখিন জিনিসপত্র। এসব পণ্য তারা শহরের দোকান এবং বাসা-বাড়িতে বিক্রি করে থাকেন। বর্তমান সামাজিকতায় মৃৎ শিল্পের তৈজসপত্রের ব্যবহার চোখে পড়ে না, সৌখিন জিনিসপত্র এবং কুয়ার পাট তৈরিই মৃৎশিল্পীদের জীবিকার একমাত্র ভরসা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুরের চৈতি পাল, দেলদুয়ারের গমজানির নিমাই পাল, ভূঞাপুরের ফলদা কুমার পাড়ার পিয়াতা পাল জানান, মৃৎ শিল্পীরা তাদের বাপ-দাদার পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্লাস্টিক, মেলামাইন ও অ্যালুমোনিয়াম পণ্য মৃৎ শিল্পের ভবিষ্যত ফিঁকে করে দিয়েছে। পৈত্রিক পেশাকে টিকিয়ে রাখতে জড়িতরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি করেন।
টাঙ্গাইল বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক শাহনাজ বেগম বলেন, বিসিক থেকে সরকারি সহযোগিতায় মৃৎ শিল্পীদের বিভিন্ন ধরনের কারিগরী ও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। যে সব মৃৎ শিল্পীরা শো-পিস তৈরি করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক ঋণে সহযোগিতা করা হয়।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন নব্বইয়ের জনপ্রিয় জুটি তারকা দম্পতি নাঈম ও শাবনাজ। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা। ভ্যাকসিন নেওয়ার দুজনেই সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই দম্পতি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছি। আল্লাহ রহমতে আমরা ভালো আছি।
এ সময় সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ‘সবার জন্য দোয়া রইল। আল্লাহ মালিক।’
এর আগে জনপ্রিয় অভিনেতা সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী সারা জাকের, অভিনেত্রী ও এমপি সুবর্ণা মোস্তফা এবং জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী জেমস করোনার টিকা নেন।
১৯৯১ সালে ‘চাঁদনী’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক এই জুটির। সেসময় ছবিটি ছিল সুপারহিট। তারা জুটি বেঁধে এরপর আরও প্রায় ২০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘জিদ, ‘লাভ, ‘চোখে চোখে, ‘অনুতপ্ত, ‘বিষের বাঁশি’, ‘সোনিয়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’ ও ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’।
সিনেমা করতে গিয়েই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেম গড়ে ওঠে। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে রয়েছে দুই কন্যাসন্তান।
নাঈম-শাবনাজ বর্তমানে চলচ্চিত্র ছেড়ে দূরে আছেন। নাঈম মনোযোগী তার ব্যবসা নিয়ে এবং শাবনাজ ব্যস্ত সংসার নিয়ে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ নানা উৎসব মুখর পরিবেশে করোনাভাইরাসের টিকা দান কার্যক্রম চলছে। এরই ধারাবাহিতকায় টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে করোনাভাইরাসের টিকা নিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার সকালে তারা ৫০ শয্যা ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেন।
সরেজমিনের গিয়ে দেখা যায়,উপজেলাবাসী নানা উৎসব মুখর পরিবেশে করোনাভাইরাসের টিকা নিচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসলেই নিতে পারছেন এই টিকা।।সকাল থেকেই তারা টিকা নিতে আসেছেন হাসপাতালে । এখান থেকে নির্ধারিত তথ্য দিয়ে সরাসরি টিকা গ্রহণ করছে টিকা নিতে আসা মানুষ। কোন রকম ভোগান্তি ছাড়া খুব সহজেই টিকা গ্রহণ করছেন তারা।
টিকা নিতে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়া হোসেন কালু, ইউসুফ আলী, আ. হামিদ, শাহজান আলী, আ. হাকিম জানান, আমারা করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করলাম। টিকা নিতে কোন ধরণের ভোগান্তি হয়নি। বিনামূল্যে সরকার ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমারা ধন্যবাদ জানাই। তিনি দেশের জন্য অনেক কিছু করে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহনাজ সুলতানা জানান, টিকা নিতে আসা মানুষ যাতে কোন ঝামেলা ছাড়াই টিকা গ্রহণ করতে পারে সে জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হতে বিভিন্ন মাধ্যমে করোনার টিকা নিতে আসে সে জন্য প্রচারণা করে যাচ্ছি।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ স্ট্রোক কী?
স্ট্রোক হল মস্তিষ্কের রক্তনালির একটি রোগ। সেই রক্তনালি ছিঁড়ে যাওয়া অথবা ব্লক হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের কারণ।
অতএব স্ট্রোক দু’ধরনের-
১. রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ। একে বলে হেমোরেজিক স্ট্রোক।
২. রক্তনালি ব্লক হয়ে গিয়ে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত না যাওয়া এবং ওই অংশের শুকিয়ে যাওয়া। একে বলে ইস্কেমিক স্ট্রোক।
কেন স্ট্রোক হয়?
সাধারণত কিছু ক্ষেত্রে অনেকদিন ধরে ধীরে ধীরে বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হাই-প্রেসার, হাই-কোলেস্টেরল, ধূমপান, পারিবারিক স্ট্রোকের ইতিহাস, হার্টের অসুখ যেমন- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, রক্তজমাট বাঁধা অসুখ, ক্যান্সার ইত্যাদি আরও অনেক কারণ রয়েছে স্ট্রোকের।
আবার অনেক সময় কোনো পূর্ব রোগ ছাড়াও হঠাৎ করেই হতে পারে স্ট্রোক। এক্ষেত্রে হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া, জন্মগত রক্তনালির গঠনগত সমস্যা, জন্মগত এনজাইমের সমস্যা, মেটাবলিক সমস্যা ইত্যাদি রয়েছে।
তাই শুধু বয়স্কদের নয়, একেবারে তরুণদের মধ্যেও স্ট্রোক হতে দেখা যায়।
স্ট্রোকের লক্ষণ কী?
সবসময় সবধরনের স্ট্রোকের একই রকম লক্ষণ হয় না। কী ধরনের স্ট্রোক, কী কারণে হল, মস্তিষ্কের কোন অংশে হল তার ওপর ভিত্তি করে লক্ষণও হতে পারে ভিন্ন।
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ায়ও যেমন স্ট্রোক হতে পারে, তেমনই শরীরের কোনো অংশ ধীরে ধীরে দুর্বল বা অবশ হয়ে যাওয়া, ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়া, মুখ একদিকে বাঁকিয়ে যাওয়া, মুখ থেকে খাবার ও পানি গড়িয়ে পড়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন যেমন- চিনতে না পারা, অপ্রাসঙ্গিক বা আজেবাজে কথা বলা, অকারণে বিরক্ত হয়ে হইচই করা, একদম চুপচাপ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
এগুলো হওয়া মানেই যে স্ট্রোক- এমনটি নয়। আরও অনেক কারণেই এমন হতে পারে। তবে এ ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
স্ট্রোক হলে কী করণীয়?
পরিবারের কারো এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ভয় ও উদ্বিগ্ন লাগাটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আপনার প্রথম ও প্রধান করণীয় রোগীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব অ্যাম্বুলেন্স ডাকা এবং হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করা।
কোনো ধরনের ওষুধপত্র নিজ থেকে দিবেন না। কারণ স্ট্রোকটি হেমোরেজিক না ইস্কেমিক আপনি জানেন না, ওষুধ প্রদানে উল্টা তার ক্ষতি হতে পারে। মুখে কিছু খাওয়াতে যাবেন না, এমনকি পানিও।
এ খাবার ও পানি তার শ্বাসনালিতে গিয়ে আটকে যেতে পারে ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে অথবা ইনফেকশন করতে পারে, যা এ অবস্থায় তার জন্য খুবই ক্ষতিকর। আর ওই যে ভাইরাল পোস্টে পড়েছেন সুই দিয়ে আঙ্গুল ফুটো করে দেয়া- সেটি ভুলেও করবেন না।
এতে রক্তক্ষরণ থেকে রোগী আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে, ক্ষতের জায়গায় ইনফেকশন হয়ে রক্তে ছড়িয়ে সেপটিসেমিয়া হয়ে যেতে পারে এবং আমাদের শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমে রক্তনালি সংকুচিত হয়ে স্ট্রোকের ফলাফল আরও খারাপ হতে পারে।
স্ট্রোকের চিকিৎসায় যেই হাড় ছিদ্র করে বারহোল সার্জারির কথা বলা হয়েছে, অনেকে এর সঙ্গে হাতে সুই ফোটানোকে গুলিয়ে ফেলেছে। বারহোল করে মস্তিষ্কের জমাটরক্ত সরানো হয়, যা মস্তিষ্কের একটি অংশে চাপ দিচ্ছে।
হাত, পা, কান ফুটো করে কয়েক লিটার রক্ত বের করেও এ জমাটরক্ত কমানোর কোনো পথ নেই। যদি বের করতেই হয় তবে মাথার হাড়ই ফুটো করতে হবে এবং এ ডিসিশন একমাত্র আপনার চিকিৎসকই দিতে পারেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ কথাসাহিত্যিক মোশতাক আহমেদ করোনাকালীন পাঠকদের কথা মাথায় রেখে নিজের লেখা চারটি বই ফ্রি ডাউনলোড করার সুযোগ দিয়েছেন। বইগুলো হলো প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস মনভাঙ্গা পরী ও বৃষ্টি ভেজা জোছনা ভৌতিক উপন্যাস রক্তসাধনা ও সায়েন্স ফিকশন লালমানব।
যে কেউ চাইলে মোশতাক আহমেদের ফেসবুক পেইজে দেওয়া লিঙ্কে গিয়ে বইগুলো বিনামূল্যে ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন।
মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘অনেক ভক্ত পাঠক ফোন করছেন, মেসেজ দিচ্ছেন বইয়ের জন্য। তাছাড়া এখন যেহেতু সারা বিশ্ব একটি সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং সবার ঘরে থাকাই এখন একমাত্র কাজ। তাই এই সময়টুকু যেন একটু ভালো কাটে তাই আমার চারটি বই ফ্রি পড়ার সুযোগ দিচ্ছি। ইতোমধ্যে ব্যাপক রেসপন্স পাচ্ছি। কয়েকহাজার পাঠক ইতিমধ্যে বইগুলো ডাউনলোড করেছে।’