মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ (প্রকাশক)

টাঙ্গাইলে প্রতারণা মামলায় ইভ্যালির সিইও রাসেলের জামিন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে প্রতারণা মামলায় ইভ্যালির সিইও রাসেলের জামিন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ৫টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ৪৭ লাখ টাকার প্রতারণা মামলায় ইভ্যালির সিইও মো. রাসেলকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুনিরা সুলতানা এ জামিনের আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফেন্সি খান জানান, ২০২২ সালে সদর উপজেলার রাসেদ্দুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৫টি চেক জালিয়াতির মোট ৪৭ লাখ টাকার প্রতারণার মামলা করেন। আজ সেই মামলায় ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে রাসেলকে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়।

পরে তিনি ২টি এবং তার সিনিয়র আইনজীবী হুমায়ুন কবির ৩টি মামলার জামিন আবেদন করেন। আদালত ৫টি মামলায় আসামি রাসেলকে জামিন দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১১:১০:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে এমপি সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিকসহ ১২ জন আহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে এমপি সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিকসহ ১২ জন আহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র ও টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের এমপি প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদ। তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়।

দুটি প্রাইভেটকার ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।এসময় হামলার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।

পরে হামলাকারীরা ফাঁকা গুলি ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়।এ হামলার ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১২জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহত সাংবাদিকরা হলেন, নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি অভিজিৎ ঘোষ, ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন আশিকুর রহমান ও ঢাকা প্রকাশের জেলা প্রতিনিধি ফরমান শেখ।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলমনগর বোর্ড বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়রের দাবি, স্থানীয় সংসদ সদস্য এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশবাসীকে জানাতে লিফলেট ও কম্বল বিতরণ করতে যাচ্ছিলাম। এসময় স্থানীয় এমপি ছোট মনিরের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় নেতৃত্ব দেন গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ।

হামলায় আহত সাংবাদিক ফরমান শেখ জানান, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ গোপালপুরের কম্বল ও সরকারের উন্নয়নমূলক লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান কভার করছিলাম আমরা কয়েকজন সাংবাদিক। এসময় অতর্কিত হামলা চালানো হয়। ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় তিনজন সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয়।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, হামলার ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। দুইপক্ষকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর- গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে ভূঞাপুরের মেয়রের এইভাবে কম্বল বিতরণ করা ঠিক হয়নি।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১১:৩৮:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে অগ্নিকাণ্ডে একজনের মৃত্যু, ৪ দোকান পুড়ে ছাই - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অগ্নিকাণ্ডে একজনের মৃত্যু, ৪ দোকান পুড়ে ছাই

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে একটি বাজারে আগুন লেগে সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় চারটি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার আইসড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম আইসড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

তিনি বাজারে টেইলার্সের দোকান করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ২টার দিকে আইসড়া বাজারে হঠাৎ করে একটি দোকানে আগুন জ্বলে ওঠে।

এসময় বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এরমধ্যেই চারটি দোকানে আগুনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় টেইলার্সের দোকানের ভেতরে থাকা মঞ্জুরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আগুনে চারটি দোকানে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল সরকার বলেন, হঠাৎ করে টেইলার্সের দোকান থেকে আগুন জ্বলে ওঠে। এসময় ওই দোকানের ভেতরে মঞ্জুরুল ঘুমিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে বের হতে না পারায় আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়। আগুনে চারটি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

বাসাইল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম বলেন, টেইলার্সের দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ধারণা করছি টেইলার্সের দোকানে থাকা ব্যক্তিটি আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে সেখানেই মারা যান। এ ঘটনায় চারটি দোকান ঘর পুড়ে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০:৪২:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ২০১ গম্বুজ মসজিদে নামাজ পড়তে সাইকেলে ১৮০ কিলো মিটার পাড়ি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ২০১ গম্বুজ মসজিদে নামাজ পড়তে সাইকেলে ১৮০ কিলো মিটার পাড়ি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার ইচ্ছা ছিল রাসেল লাল বিশ্বাসের। সেই ইচ্ছা পূরণে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে ফরিদপুরের মধুখালী থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পৌঁছেছেন তিনি। আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে আবার একইভাবে বাড়ি ফিরবেন ৫৮ বছর বয়সী রাসেল বিশ্বাস।

রাসেল বিশ্বাসের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী পৌর এলাকার পশ্চিম গারাখোলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ছাত্তার বিশ্বাসের ছেলে। পেশায় রাসেল বিশ্বাস বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি।

রাসেল বিশ্বাস বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে গোাপালপুরের পাথালিয়ায় অবস্থিত ২০১ গম্বুজ মসজিদের কথা জানতে পারি। এই মসজিদে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জুমার নামাজ পড়তে আসেন বলেও জানতে পারি। তাই শখ হয় এই মসজিদে নামাজ পড়ার।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাসে আসলে আশে পাশের কোনো কিছু দেখা হবে না। কিন্তু সাইকেল নিয়ে আসলে ফরিদপুর থেকে গোপালপুর পর্যন্ত নানা এলাকা দেখা হবে। অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হবে। তাই গত বুধবার ভোর ৬টার দিকে মধুখালির নিজ বাড়ি থেকে সাধারণ একটি সাইকেল নিয়ে গোপালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হই। কোন বিরতি না দিয়ে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিতে নদী পার হয়ে আরিচা প্রান্তে পৌঁছাই। তারপর আবারও সাইকেল চালানো শুরু করি। মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর হয়ে দৌলতপুর উপজেলা সদরে পৌঁছাই বুধবার দুপুরে। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে আবারও যাত্রা শুরু করি। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পার হয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অলোয়া এলাকার একটি মসজিদে রাত্রি যাপনের উদ্যোগ নেই। কিন্তু ওই এলাকার মতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি আমাকে তার বাড়িতে রাত্রি যাপনের সুযোগ দেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭ টায় আবারও যাত্রা শুরু করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল দুপুর ১২টার দিকে গোপালপুরের পাথালিয়া গ্রামের ২০১ গম্বুজ মসজিদে এসে পৌঁছেছি।’

রাসেল বিশ্বাস বলেন, গোপালপুরে পৌঁছে ওই এলাকা ঘুরে দেখেছি। শুক্রবার (আজ) জুমা নামাজের পর আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে রওনা হবো।’

রাসেল বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘ এই পথ আসতে নতুন নতুন অনেক জায়গা দেখেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই পথে কোন ক্লান্তবোধ হয়নি।’

টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম বলেন, ‘সাইকেল চালানো একটি ভালো অভ্যাস। নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীর, স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকে। তাছাড়া সাইকেল একটি পরিবেশ বান্ধব যান। রাসেল বিশ্বাসের এই সাইকেল চালানো দেখে অনেকেই সাইকেল চালাতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০১:১৮:এএম ২ বছর আগে
কিভাবে নেবেন বিয়ের প্রস্তুতি - Ekotar Kantho

কিভাবে নেবেন বিয়ের প্রস্তুতি

বিয়ের মাধ্যমেই একজন নারী ও একজন পুরুষ পারিবারিক জীবন শুরু করেন। বিয়ে দুজন নারী-পুরুষের একসঙ্গে থাকা বা পরিবার গঠনের জন্য একটি আইনানুগ ও জনমতের স্বীকৃতিও। কিংবা বলা যায়, বিয়ে হচ্ছে এমন কিছু সামাজিক নিয়মনীতি ও আইন-কানুন, যা স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার, দায়িত্ব-কর্তব্য ও সুযোগ-সুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

পরিকল্পনা :

কথায় আছে, পরিকল্পনা হলো কাজের অর্ধেক। আর ছোট পরিকল্পনা মানেই বড় কাজের সফলতা। সুতরাং বিয়ের আগে পরিকল্পনা জরুরি। বিয়ে মানেই কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়াসহ নানা আয়োজন। তাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগে অবশ্যই পরিকল্পনা করাটা জরুরি। আর আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে বিয়ের আয়োজন যেমন ঝামেলাবিহীন হবে, তেমনি খরচও কমানো সম্ভব।

বর-কনের পোশাক :

বিয়ের আয়োজনে সবার আগে দরকার বর-কনের পোশাক, গহনা বা প্রসাধনী কেনাকাটা। ভালো হয়, এসব জিনিস কেনাকাটার আগে তালিকা তৈরি করা। সেই সঙ্গে কোন জিনিসটা কোন দামের বা কোন ব্র্যান্ডের কিনবেন সেটাও পারলে তালিকায় লিখে রাখুন। সম্ভব হলে কোন এলাকা বা কোন মার্কেট থেকে কিনবেন সেটাও লিখে রাখুন। এ ছাড়া সব কেনাকাটার মধ্যে বর-কনের পোশাক একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পোশাকেই বর-কনে হয়ে উঠবেন উজ্জ্বল। বর-কনের পোশাকসহ বিয়ের নানা অনুষজ্ঞ কেনার জন্য এলিফ্যান্ট রোডে অনেক দোকান পাবেন। এসব দোকানে বরের পাগড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি সবই মিলবে। যারা কম বাজেটে বিয়ের আয়োজন সারতে চান তারা ইচ্ছা করলে পাগড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি ভাড়া করতে পারেন।

গহনা :

বিয়ের মূল আয়োজনে গহনা অন্যতম অনুষঙ্গ। কারণ গহনা ছাড়া কনের সাজই হয় না। এ ছাড়া ঐতিহ্য বা সংস্কৃতিতেও বিয়ের গহনার রয়েছে আলাদা মূল্য। স্বর্ণের বিয়ের সেট পাওয়া যায়। চাইলে আলাদা করে বানিয়ে বা কিনে নেওয়া যায়। আজকাল ডায়মন্ডের ব্যবহারও বেশ চলছে।

বিয়ের খাবার :

খাবার-দাবারে মিশে থাকে আয়োজনের সম্মান বা পারিবারিক ঐতিহ্য বা সামাজিক রীতিনীতি। সেজন্য খাবার বিষয়টি খুবই জরুরি। আর এ ক্ষেত্রে সবার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হয় খাবারের মেন্যুতে কী কী থাকবে বা রাখবেন। প্রয়োজনে খাবারের মেন্যু নিয়ে দুই পরিবার আগেই পরিকল্পনা করতে পারেন। এতে দুই পরিবারেরই মঙ্গল। বাবুর্চি ও ক্যাটারিং সার্ভিসের কাছে লোক সংখ্যা আর মেন্যুও কথা বললে তারাই আপনাকে খাবারের খরচ সম্পর্কে ধারণা দেবেন।

বিয়ের সাজসজ্জা :

বিয়ের আয়োজনে সাজসজ্জা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় কম টাকায় ভালো সাজ করা যায়। আবার অনেক সময় বেশি টাকা খরচ করেও মনমতো সাজ পাওয়া যায় না। এখন অনেক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বিয়ের আয়োজনের সব রকম ব্যবস্থাপনা করে থাকে। তাদের কাছ থেকেও সেবা নিতে পারেন। আবার নিজেরাও করতে পারেন। মূলত হলুদের স্টেজই প্রাধান্য পায়। এখানেও অনেক বর ও কনে দুই বাড়িতেই একই নকশার হলুদের স্টেজ করে থাকেন। অনেকে আলাদাও করেন।

আমন্ত্রণপত্র :

বিয়ের আয়োজনের অন্যতম আরেকটি অনুষঙ্গ হলো আমন্ত্রণপত্র। আর বিয়ের আমন্ত্রণপত্র কেনা, সেটা ছাপানো ও বিলি করা কনে বা বর পক্ষের অন্যতম কাজ। এ ছাড়া শুধু দামি কার্ড কিনলেই হবে না। সেটা সুন্দর ও নির্ভুল করে ছাপাতেও হবে। আর সেজন্য চাই পর্যাপ্ত সময়। অন্যদিকে শীত মৌসুমকে বিয়ের মৌসুম বলা হয় বলে এ মৌসুমে কার্ড বেশি চলে। কার্ড যেটাই কিনুন সময় নিয়ে কিনুন যাতে ছাপানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে। আর ছাপাটা যাতে নির্ভুল হয় সেদিকটাতেও খেলার রাখাটা জরুরি। কাগজের কার্ডের পাশাপাশি আজকাল কাপড়ের আমন্ত্রণপত্রও চলছে। অনেকটা রাজা-বাদশাহদের শাহি এলান পাঠের নমুনা। আবার কাগজ বা কাপড়ের পাশাপাশি কাঠের আমন্ত্রণপত্রও দেখা যাচ্ছে। পাতলা কাঠে ছাপানো। এটাও দারুণ। আমন্ত্রণপত্র বিলি করার আগে অতিথিদের তালিকা তৈরি করুন।

ছবি বা ভিডিও :

বিয়ের ছবি তোলা বা ভিডিও করার জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বা ফটোগ্রাফার পাবেন আশপাশে। আবার আজকাল তো কেবল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতারই ছবি তোলা হয় না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রি-ওয়েডিংয়ের ছবি। মানে গায়ে হলুদ বা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আগেই বর-কনে পার্ক বা রেস্টুরেন্ট বা পছন্দের জায়গায় ছবি তোলেন। আবার আজকাল তো গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের আলাদা মাত্রা হয়েছে। সবাই এখন হলুদের অনুষ্ঠানে নাচ-গানে বড় আয়োজন করেন। কেউ কেউ তো পোশাদার শিল্পীও আনেন।

বিয়ের স্থান :

বিয়ের স্থান হিসাবে অনেকেই কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল বা হোটেল বেছে নিচ্ছেন। অন্যদিকে গ্রাম-গঞ্জে এখনো নিজেদের বাড়ির উঠান বা মাঠেই সারছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তবে কমিউনিটি সেন্টার বা কনভেনশন হল বা হোটেল ভেন্যু হিসাবে নিলে আগে থেকেই ভেন্যু কুক করুন।

ত্বকের যত্ন :

সবাই চান তার বিয়ের আয়োজন যেন সুন্দর হয়। আর সে ক্ষেত্রে সব নারী-পুরুষেরই উচিত অন্তত কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া। এর মধ্যে নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়াটাও জরুরি।

গুছিয়ে কাজ করুন :

বিয়ের আয়োজনে বরের বাড়ির যেমন কিছু নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানিকতা আছে, তেমনি কনের বাড়িরও কিছু নির্দিষ্ট আনুষ্ঠানিকতা আছে। এ কার্যক্রমগুলো আগে থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে নেওয়া ভালো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৮:৪০:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, শাশুড়ি রিমান্ডে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, শাশুড়ি রিমান্ডে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে খাদিজা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে হালিমন বেগম নামে এক শাশুড়িকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের রুপন কুমার দাস এ রায় দেন। হালিমন বেগম কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কুটুরিয়া গ্রামের আমির আলীর স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাড়ে চার বছর আগে হালিমন বেগমের ছেলে সৌদি প্রবাসী আবু হানিফের সাথে পার্শ্ববর্তী বলদী গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আড়াই বছরের এক ছেলে সন্তানও রয়েছে। খাদিজাকে তার শাশুড়ি বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতেন। হত্যার দুই দিন আগে শাশুড়ির খাদিজার স্বর্ণের চেন হারানো নিয়ে নিয়ে ঝগড়া হয়। গত বছরের ২৯ মে সকালে খাদিজা আক্তার রোববার সকালে স্ট্রোক করেছে বলে খাদিজাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার শাশুড়ি। বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে ওই দিন কালিহাতী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।

গত বছরের ২৫ নভেম্বর ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর নিহত খাদিজা আক্তারের ভাই শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে কালিহাতী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শাশুড়ি বাছিরন বেগমকে প্রধান আসামি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিহাতী থানার এসআই আলামিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শাশুড়ি পলাতক ছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় বিশেষ গাড়ি করে রাজশাহী থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠালে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় খাদিজার ননদ কমলা বেগম ও প্রতিবেশি মনা বেগম গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও শ্বশুর আমির আলী ও প্রতিবেশি রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। অপর আসামি প্রতিবেশি মোন্নাব কারাগারে রয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. জানুয়ারী ২০২৩ ০৬:০৭:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দিনগত রাতে মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের কাছে বংশাই রোড রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় লোকজন খন্ডবিখন্ড মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ট্রেন স্টেশনে খবর জানায়। কোন ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে বেনাপোল এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি মির্জাপুর অতিক্রম করে বলে জানা যায়।

মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ সোমবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. জানুয়ারী ২০২৩ ০১:১৩:এএম ২ বছর আগে
অনলাইনে ইনকাম করার ১০ টি সেরা মাধ্যম - Ekotar Kantho

অনলাইনে ইনকাম করার ১০ টি সেরা মাধ্যম

একতার কণ্ঠঃ বর্তমানে প্রযুক্তির এর যুগে মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীল। মানুষের এই প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর মানসিকতা ইন্টারনেটে ইনকামের অনেক দার উম্মোচন করেছে।

খুব সহজেই মানুষ ভালো একটা পরিমানের অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করছে। দেশের লাখ লাখ মানুষ এখন এই অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর উপরে নির্ভরশীল।

চাইলেই খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি সেটি চান? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।

এই অনুচ্ছেদটিতে আমরা অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর আদ্যোপান্ত নিয়ে আলোচনা করবো এবং সাথে সাথে অনলাইনে আয়ের সেরা ১০টি উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনি যদি এই সেক্টরে নতুন হন, এই আনুচ্ছেদটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।

কিভাবে আপনি অনলাইনে ইনকাম করবেন? (How to Online Income)

বাংলাদেশে অনলাইন ইনকাম এর বিষয়টি আমাদের নতুন সমাজের কাছে নতুন একটি বিষয় হলেও এটি কিন্তু সারা পৃথিবীতে শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। সত্যি কথা বলতে ঘরে বসে স্বাধীনভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার এ সুযোগ কিন্তু খুব কম পেশায় পাওয়া যায়।

তাছাড়াও অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর জন্য আপনার বিশেষ কিছুই প্রয়োজন হবে না। আপনার মেধা কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই কোনো কাজে দক্ষ হয়ে সেটা থেকে নিয়মিত ইনকাম করতে পারেন।

আপনি ছেলে মেয়ে, ছাত্র, চাকরিজীবী যাই হন না কেন, আপনি এই সেক্টর থেকে আয় করতে পারবেন। আপনি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে আপনার পড়ালেখার খরচ যদি আপনি নিজেই জোগাড় করতে পারেন, তাহলে কি সেটা মন্দ হবে?

প্রতিদিন অনেক সময় তো ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইত্যাদিতে ব্যায় করেন। চাইলে এই সময় গুলো শুধু চ্যাটিং আর নিউজফিড ঘুটে নষ্ট না করে এখান থেকেও আয় করা সম্ভব।

এছাড়া পড়া লেখার ফাকে ফাকে বা অবসর সময়ে যদি এই কাজগুলো করেন তাহলে দেখবেন সময়ও নষ্ট হচ্ছেনা এবং পাশাপাশি কোনো খারাপ দিকে মনও যাচ্ছেনা।

আর আপনি যখন নিজের খরচ নিজেই জোগাড় করবেন, তখন দেখবেন আপনার নিজের ভেতরে অন্যরকম একটা সন্তুষ্টি কাজ করছে; অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছে।

তাই অবশ্যই আপনি চেষ্টা এই কাজের ভেতরে ঢুকে পড়ার। কিছু লাগবেনা অনলাইন ইনকাম (Online Income)  শুরু করতে আপনার।

শুধু একটি ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট সংযোগ এবং কাজ করার ইচ্ছা। কিভাবে কি করবেন তার বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো।

অনলাইন আয় এর সেরা ১০টি উপায়

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে কে না চায়! সবারই ইচ্ছে থাকে অনলাইন থেকে কিছু আয় করার। অনলাইন ইনকাম সোর্স অনেক আছে। কিন্তু তারমধ্যে ভালো বা খারাপও আছে।

আমরা আজকের এই পোস্টে এমন ১০টি অনলাইন ইনকামের উপায় জানব যেগুলো থেকে আপনি যেমন অনেকটা নিশ্চিন্তে আয় করতে পারবেন, একই রকমভাবে স্বচ্ছলভাবে আয়ও করতে পারবেন।

বর্তমানে অসংখ্য মাধ্যম আছে অনলাইনে যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এর মধ্যে থেকে সেরা ১০ টি উপায় নিচে দেয়া হলোঃ

১। ব্লগিং (Blogging) করে আয়

ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের একটা টাকা প্রতি মাসেই ইনকাম করা সম্ভব।

এটি মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনি আপনার মন মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন। যার ওই বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে।

আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটিও একটি ব্লগ। অতএব বুঝতেই পারছেন বিষয়টা। লেখালেখি যদি আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই এখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।

আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা বেশি সে বিষয়ে ব্লগিং করলে তা সবথেকে বেশি কাজে দেয়।

তাই আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই নিশেই (niche) কাজ করতে পারেন। নিশ(niche) বলতে মূলত নির্দিষ্ট কিছু বিভাগ বোঝায় যেমন, খেলাধুলা, টেকনোলজি, আইন, রান্না, জীবনী, ভ্রমন, ইত্যাদি। উদাহরণ স্বরূপ ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনি কোনো এক জায়গায় ভ্রমনে গিয়ে কি কি অভিজ্ঞতা হয়েছিলো সেটি নিয়ে একটি বিস্তারিত ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন।

এখন মূল বিষয় হলো আপনি কোথায় লেখা লিখি করবেন। এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হয় আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট নিজে বানিয়ে নিতে পারেন। এখন অনেক সহজে কোনো খরচ ছাড়াই ব্লগ সাইট বানানো যায়। তবে ফ্রি সাইটগুলো কে মানুষ একটি কম বিশ্বাস করে।

তাই আমাদের পরামর্শ থাকবে প্রথমে কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি সাইট তৈরি করুন। এরপর ওখানে লেখা লেখি শুরু করুন। দেখবেন বেশ ভালো ফল পাচ্ছেন।

একটি ডট কম ডোমেন কিনবেন সাথে এক জিবি হোস্টিং এবং একটি ফ্রি থিম। এই তিনটা জিনিসই আপনার ব্লগিং শুরু করার জন্য যথেষ্ট। এক্ষেত্রে আপনার তিন হাজার টাকা মতো খরচ হতে পারে।

এইভাবে খরচ করে ব্লগিং করলে আপনার ব্র্যান্ডিং টা ভালো হবে এবং ইনকাম এর পরিমানও অনেক বেশি হবে ফি সাইটের তুলনায়। আর ভবিষ্যতে আপনার সাইট এর দামও অনেক হবে। ক্ষেত্র বিশেষে একটি ভালো সাইটের মূল্য কয়েক লক্ষ্য পর্যন্ত হয়ে যায়।

আর ফ্রি সাইট গুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে পুরো ডোমেইন দিবে না গুগোল। আপনি সেক্ষেত্রে পাবেন সাব ডোমেইন। এভাবে ব্লগ সাইট খোলার ক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই ব্লগস্পট দিয়ে ১০ মিনিটেই একটি ব্লগসাইট খুলতে পারেন।

আর এক্ষেত্রে আপনি মোবাইল এবং কম্পিউটার উভয় মাধ্যমেই কাজ করতে পারেন। তাই যারা মোবাইলে অনলাইন ইনকামের কথা ভাবছেন, তাদের জন্যও এটি একটি সেরা সুযোগ হতে পারে।

তবে এতো কিছুর পাশাপাশি আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কিছুটা ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার সেই ব্লগে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারবেন। যার মাধ্যমে আপনি কিন্তু আপনার ইনকামের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।

২। ফ্রিলান্সিং (Freelancing) করে আয়

অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং। বাংলদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় ভুমিকা পালন করছে এবং সাথে সাথে অনেক দক্ষ মানুষ এই খাতে কাজ করে আমাদের দেশকে রিপ্রেসেন্ট করছে ।

পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। আসলে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশের মানুষের জানতোই না যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে একটা দেশ আছে। সেসব মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ।

সাথে সাথে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এই ফ্রিলান্সিং এ যোগদান করে আপনি টাকা আয় করার পাশাপাশি এই গৌরবেরও অংশীদার হতে পারবেন।

এখন আসি কিভাবে শুরু করবেন এই কাজ। ফ্রিলান্সিং বলতে মুলত বিভিন্ন ধরনের কাজ যে কাজে আপনি দক্ষ সে কাজটি একটি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক এর বিনিময়ে করে দেয়া।

এখানে আপনার কাজ করার এবং আপনার যে ইমপ্লয়ার (Employer) তার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নাই। আপনি ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে থাকবে।

যাহোক, সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা। এটা হতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং (Graphics Design), হতে পারে ফটো এডিটিং (Photo Editing), হতে পারে ওয়েব ডিজাইনিং (Web Design), ওয়েব সাইট মেকিং (Website Making), কপি রাইটিং (Copywriting), কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing), লোগো ডিজাইন (Logo Design), ইত্যাদি।

এসবের যেকোনো একটি কাজে আপনি দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিলাঞ্চিং করতে পারবেন। আপনি যদি একাধিক কাজ পারেন সেক্ষেত্রে আপনার টাকা ইনকামের সুযোগ বেশি হয়ে যায়।

কাজ শেখার পর আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিলান্সিং সাইটে (যেমন- Freelancer, Upwork, Fiver, ইত্যাদি)  আপনার তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর পরে আপনি কোন কোন কাজে পারদর্শী সেগুলো ওই সাইটে মেনশন করে দিতে হবে।

তবে একটা বিষয় আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম সাইট অনেক আছে। কিন্তু সঠিক ও ভালো মানের সাইট খুব একটা নেই।

তাই যেকোনো ওয়েবসাইটে কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই ভালো ভাবে সাইটটি দেখে নিবেন। যদি সব কিছু দেখে আপনার কাছে ভালো বলে মনে হয় কেবল তাহলেই আপনি সেই সাইটে কাজ করা শুরু করবেন।

তারপর, আপনি যে কাজ পারেন তার প্রমানের জন্য আপনার পূর্বেই সম্পাদিত কোনো কাজ থাকলে সেটা পোর্টফোলিও আকারে ওই ওয়েবসাইটে সাজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট এসে আপনার পোর্টফলিও দেখে পছন্দ করলে আপনাকে কাজে নিয়োজিত করবে।

এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ থাকবে অবশ্যই ভালো একটা পোর্টফলিও তৈরি করার জন্য কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন হিসাবে ওই পোর্টফোলিও গুলোই আপনাকে কাজ পেতে সহায়তা করবে।

প্রথম প্রথম আপনাকে কাজ পেতে একটি অসুবিধা হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেও যদি ফ্রিলান্সার থাকে তার রেফারেন্স নিতে পারেন।

এই রেফারেন্স এর মাধ্যমে কাজ পেয়ে আপনার প্রথম ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ভালো একটা রিভিউ দিবে, তখন দেখবেন কাজ আসতেই থাকবে।

এছাড়াও প্রথমে গিয়ে বিভিন্ন কন্টেস্টে অংশগ্রহন করতে পারেন। ওখান থেকেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আমাদের মতে ফ্রিলান্সিং এর ক্ষেত্রে প্রথম কাজটা পাওয়াই একটু কঠিন।

৩। ইউটিউবিং করে আয়

বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে। এদের কারো কারো মাসের ইনকাম ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আপনিও কিন্তু চাইলেই ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

এই ভিডিও বানাতে আপনার ক্যামেরা না থাকলেও চলবে। প্রথমে অনেক বড় বড় ইউটিউবার-ই মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে শুরু করে তাদের ইউটিউব যাত্রা। তারপরে সফল হওয়ার পরে এখন তারা দামি দামি গেজেট ব্যবহার করে।

আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে, প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে যদি আপনি ভিডিও বানাতে পারেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন।

তবে এক্ষেত্রে একটি ছোট্ট বিষয় টিপস দিয়ে রাখি আপনাদের। আপনারা যদি সত্যিই প্রফেশনালভাবে ইউটিউবে কাজ করতে করতে চান তাহলে ভিডিওর অডিও ও ভিডিও এডিটিং খুবই ভালো ভাবে করতে হবে।

তারপরে সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন একটিভেট করে নিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

এছাড়াও বর্তমানে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়াও আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে স্পন্সারের মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন। দেখা গেলো কোনো একটা কোম্পানি কোনো একটা পন্যের মার্কেটিং এর জন্য আপনার ভিডিও তে তার ওই পন্য বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বললো। আপনি এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিতে সম্মতি প্রকাশ করলে আপনাকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সে পেমেন্ট করবে।

৪। ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম

ভিডিও দেখে অনলাইন ইনকাম করার বিষয়টি হয়ত অনেকেই জানেন না। সত্যি কথা বলতে অনলাইন থেকে ভিডিও দেখে ইনকাম করার বিষয়টি অনেকের কাছে অবাক লাগলেও ঘটনাটি কিন্তু সত্যি। বর্তমানে এমন কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনাকে প্রতিদিন ভিডিও দেখার জন্য পেমেন্ট করা হবে।

তবে মনে রাখবেন, অনলাইনে ভিডিও দেখে ইনকাম করার মতো স্ক্যাম বা ভূয়া সাইট রয়েছে। যারা আপনাকে দিয়ে ভিডিও দেখিয়ে পরবর্তীতে কোনো পেমেন্ট করবে না। এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে বাচঁতে অবশ্যই আপনাকে অনলাইন জগতে সব সময় সর্তক থাকতে হবে।

সাধারনত এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন ধরনের চটকদারী বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আপনাকে চেষ্টা করবে তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে ভিডিও দেখিয়ে আয় করার ফাঁদে ফেলার। একটা বিষয় সব সময়ই মনে রাখবেন। অনলাইনে কখনই কোনো ওয়েবসাইট আপনাকে ভিডিও দেখে খুব বেশি পেমেন্ট করবে না।

যখনই দেখবেন কোনো ওয়েবসাইট মাত্রাতিরিক্ত পেমেন্ট করার কথা বলছে কিংবা কোনো চটকদারী বিজ্ঞাপনের কথা বলে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে আয়ের কথা বলছে; তখনই ওয়েবসাইটটিকে খুব ভালো ভাবে দেখে শুনে যদি সত্যিকার অর্থেই আসল বলে মনে হয় তখন কাজ করা শুরু করবেন; অন্যথায় নয়।

৫। ওয়েবসাইট (Website) বানিয়ে আয়

আপনি হয়তো জেনে থাকবেন একটি ভালো ওয়েবসাইটের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। আপনিও চাইলে এরকম ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং সেটি সচল করে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে দিতে পারেন। ওয়েবসাইট বানানো বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার মতোই সহজ। যে কেউ চাইলেই করতে পারেন।

কিন্তু যে সাইট গুলো খুব সহজে বানানো যায়, সেগুলোর তেমন কোনো চাহিদা থাকে না। তবে আপনার সাইটে যদি পরিমিত পরিমান ট্রাফিক থাকে, সেক্ষেত্রে দাম পেতে পারেন ভালো।  যে সাইট গুলো বেশি দামে বিক্রি হয় সেগুলো দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার দ্বারা তৈরি করা হয়।

তাই আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন, অথবা ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি নিজে নিজে ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে পর্যাপ্ত কন্টেন্ট আপলোড করে সেখান সাইটটি সচল করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।

আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ফ্রিতে ভিডিও দেখে বা ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডিজাইন কোর্স করেও শিখতে পারেন ওয়েব ডিজাইনিং।

আবার অনেক ক্ষেত্রে নতুন সাইটও বিক্রি করতে পারেন যদি আপনার হাতে ক্লায়েন্ট থাকে। আর এই কাজের একটি ভালো দিক হলো আপনি যদি এই কাজে একবার দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজের সুযোগ আসবে আবার চাকরি জীবনেও এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসবে আপনার।

৬। ড্রপশিপিং (Dropshipping) এর মাধ্যমে আয়

ড্রপশিপিং (Dropshipping) অনলাইন ব্যবসার অন্তর্গত একটি কাজ যার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। চলুন প্রথমেই জেনে নেই ড্রপশিপিং (Dropshipping) আসলে কি। এটা উদাহরন দিয়ে বুঝালে আপনি খুব সহজেই বুঝে যাবেন।

মনে করেন, আপনার এলাকায় পরিচিত একজন কোনো একটা পন্য তৈরি করে সেটা বাজারে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে এই পন্যটিই শহরে বড় বড় মার্কেটে অথবা কোনো ই-কমার্স সাইটে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এরকম কিন্তু সচরাচর আমাদের দেশে সবসময় হয়েই চলেছে। কোনো একটা সবজি কৃষকদের থেকে ৫ টাকা কেজি মূলে কিনে বড় বড় বাজারে ওইগুলো ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তো এক্ষেত্রে আপনি নিজেই বড় একটি ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রোফাইল খুলে ওই পন্যটি বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার এলাকার যে উৎপাদনকারী আছে তার কাছে থেকে পন্য টা ৫০০ টাকায় কিনে সেটি আপনার প্রোফাইলে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।

এতে একটি পন্যেই ৯০০ টাকা লাভ করতে পারছেন।  অথবা আপনি যদি ১২০০ টাকায় বিক্রি করেন তাতেও আপনার ৭০০ টাকা লাভ থেকে যাচ্ছে। এটিই মুলত ড্রপশিপিং (Dropshipping)। আপনার এলাকায় যদি এরকম কোনো সুযোগ থেকে থাকে আপনার অবশ্যই উচিৎ সুযোগটি কাজে লাগানো।

৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে।

এটি অনেক সহজ একটি মাধ্যম। কিন্তু সাধারন মানুষের অনেকেরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। আসুন বিষয়টা খুব সহজে বুঝে নেই।

বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট রয়েছে। এদের ভেতরে অনেকগুলো আবার সারা বিশ্বেই পন্য ডেলিভারি দিয়ে থাকে। এইসব ই-কমার্স (E-Commerce) সাইটে প্রত্যেকটাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) নামে একটি সেকশন রয়েছে।

আপনি সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন। তারপর আপনার একটা গ্রুপ তৈরি করতে হবে বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে। এরকম গ্রুপ আমাদের প্রতিটি মানুষেরই আছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে।

এখন ওই নির্দিষ্ট ই-কমার্স (E-Commerce) সাইট থেকে আপনি বিভিন্ন পন্যের বিবরন সহ ওই লিঙ্ক কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পাঠাতে হবে। এবার ওখানে থেকে ওই লিঙ্কে ক্লিক করে যদি কেও পন্যটি কিনে তাহলে আপনি সেটার থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটি কমিশন পাবেন।

এক্ষেত্রে আপনার কমিশনের জন্য কিন্তু পন্যটির দাম বাড়বে না। পন্যটির আসল যে দাম সেটি দিয়ে  মানুষ কিনতে পারবে আপনার পাঠানো লিঙ্ক থেকে।

তবে এ ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকেও পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট ধারনা থাকা চাই।

এভাবে অনেক টাকায় ইনকাম করা সম্ভব হয় যদি আপনি ভালো একটি কমিউনিটি তৈরি করে ফেলতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এখান থেকে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।

এর জন্য আপনার দরকার অনেক গুলো একটিভ ইমেইল। আপনি যদি হাজার খানের একটিভ ইমেইল ম্যানেজ করে  ফেলতে পারেন, তাহলেই খুব সহজে এখানে থেকে ভালো অঙ্কের একটি টাকা ইনকাম করে ফেলতে পারেন।

বর্তমানে অ্যামাজন এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম (Amazon Affiliation Program) বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

৮।অনলাইন রিসেলিং (Online Reselling) করে আয়

অনলাইনে পন্য বিক্রি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে বেশ বড় বড় কয়েকটি অনলাইন ব্যবসা রয়েছে। আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে বড় পর্যায়ে শুরু করতে হবে। আর এতে আপনার পুরো সময়টাই ব্যয় করতে হবে এবং সাথে সাথে আরও অনেক দিকে খেয়াল রাখতে হবে যেটা ছাত্রজীবনে করা একটি কষ্টকর হয়ে যায়।

সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইন রিসেলিং (Online Reselling) করে বেশ ভালো ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন রিসেলিং মুলত অনলাইনে পন্য বিক্রির কাজ কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে বেশি কিছু করা লাগবেনা।

আপনি শুধু একটি রিসেলিং কোম্পানি (Reselling Company) তে আপনার একাউন্ট খুলবেন এবং এখান থেকে পন্যের ছবি এবং বিবরন নিয়ে আপনি নিজে একটা পেজ খুলে বিক্রি করবেন।

রিসেলিং কোম্পানির কাছে অনেক কম দামে পন্য পাবেন আর ওইগুলা তার থেকে সামান্য বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করে আপনি নিজের লাভ বের করবেন। বেশি কিছু রিসেলিং কোম্পানি (Reselling Company) বাংলাদেশে রয়েছে। এর মধ্যে শপআপ (ShopUp) অন্যতম।

এখানে আপনাকে পন্য বিক্রয় করার জন্য নিজের কোনো পন্য লাগবে না। পন্য যোগাড় থেকে শুরু করে বাকি সব কাজই ওই রিসেলার কোম্পানি করে দিবে।

৯। ছবি বিক্রি (Sell Photos Online) করে আয়

আমাদের বর্তমান জেনারেশনে স্মার্টফোন নেই এমন মানুষের সংখ্যা হাতে গণা। অনেকের কাছে আবার বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরাও বিদ্যমান। আপনি চাইলে আপনার এই মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিসের ছবি তুলতে হবে। সেটা আপনি আপনা মোবাইল ফোন দিয়েও তুলতে পারেন আবার ক্যামেরা দিয়েও তুলতে পারেন।

তারপর চাইলে একটু এডিট করে অথবা “র” (Raw) ফাইলই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করে সেখান থেকে এক একটি ছবির জন্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

আপনি যদি অল্প সল্প ফটো এডিটিং জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা লাভ করতে পারবেন। Photoshop, Illustrator ইত্যাদির মাধ্যমে ছবির আকর্ষণীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই জানা বাড়ানো যায়।

অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন আপনি। তার মধ্যে, Shutterstock, 500px, Envato ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় এবং সব থেকে বেশি পে করে থাকে ফটোগ্রাফারদেরকে।

ইন্ডিয়ার সন্দিপ মহেশ্বরীর কথা অনেকেই শুনে থাকবেন। এখন প্রত্যেকটা টেকনোলজি বিষয়ক সেমিনার বা স্টেজ সো-তে তিনিই প্রধান অতিথি থাকেন। তিনিই অন্যতম উদাহরন যে ফটোগ্রাফিকে নিজের পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন ।

এই সেক্টরে তিনি ভীষণই সফল একজন মানুষ। তার নিজেরও ছবি বিক্রির একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে দেশ বিদেশের ১০০০ এরও বেশি ফটোগ্রাফার কাজ করে থাকেন।

আপনি এইসব ওয়েবসাইট গুলো তে যে ছবি গুলো বিক্রি করবেন সেগুলো আবার ওই ওয়েবসাইট থেকেই বিভিন্ন মানুষ ক্রয় করে নিবে। এইসব ছবি গ্রাফিক ডিজাইনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন বইয়ের কাভারে, ব্যানারে, ফেস্টুনে এইসব ছবি বিক্রি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

১০। অনলাইন সার্ভে (Online Survey) করে আয়

অনেক কোম্পানি আছে যারা গ্রাহকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করে থাকে। অনেক দেশে তো সরকারীভাবেই বিভিন্ন সার্ভে হয়ে থাকে। দেশের সার্বিক অবস্থায় দেশের জনগন কতটা সন্তুষ্ট এটা জানার জন্য সরকার এই সার্ভে গুলো করে থাকে। তবে বড় বড় কোম্পানিগুলোই বেশির ভাগ অনলাইন সার্ভের ব্যবস্থা করে থাকে।

এইসব সার্ভে সাধারনত পেইড হয়ে থাকে। আপনি চাইলেই এসব সার্ভে করে প্রতি মাসে ভালো অঙ্কের একটি ইনকাম করে ফেলতে পারেন।  বড় বড় কোম্পানিগুলো তো একটি সার্ভের জন্য ১০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করে থাকে। এইসব সার্ভে গুলো নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।

এর জন্য আপনাকে প্রথমে ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপনার সব ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাকাউন্ট আপডেট করে নিলেই আপনি কয়াজ শুরু করার জন্য প্রস্তুত। তবে প্রতিটি সার্ভেতেই আপনি কুয়ালিফাই হতে পারবেন না। শুধু মাত্র যে সার্ভে গুলো আপনার অ্যাকাউন্ট-এ দেওয়া তথ্যের সাথে মিলবে সেগুলোই আপনি করতে পারবেন।
অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে
বিকাশের মতো অনেকেরই মনে একটি প্রশ্ন থাকে যে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা যায় কি না। সত্যি কথা বলতে বিকাশের মতোই একদম সহজ করে এক কথায় যদি উত্তর দিতে হয় তাহলে বলবো ‘না’। আপনি মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন না।

উপরে অনলাইন থেকে আয়ের যে বিষয়গুলো সর্ম্পকে আমরা আলোচনা করেছি সেই কাজগুলি করতে গেলে কিন্তু একটি মোবাইলের থেকে একটি কম্পিউটার হলেই আপনার জন্য বেশি ভালো হবে।

আমি বলছি না যে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে একদমই আয় করা যাবে না। অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছেন যারা শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ভিডিও করেই আজকে অনেক লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ভিউস পেয়েছেন।

এমনও অনেকে রয়েছেন যারা শুধুমাত্র একটি মোবাইল দিয়েই ফেসবুক একটি পেজ পরিচালনার মাধ্যমে তাদের অনলাইন ব্যবসা দিনকে দিন বড় করেই তুলছেন।

কিন্তু সত্যি কথা বলতে আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই অনলাইন থেকে ভালো আয় করতে চান তাহলে কিন্তু আপনার অবশ্যই একটি ভালো মানের কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে। নতুবা আপনার পক্ষে প্রফেশনালভাবে অনলাইনে কাজ করাটা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যাবে।
শেষ কথা
অনলাইন ইনকাম (Online Income) বর্তমানে বহুল প্রচলিত একটি বিষয় যা ঘরে বসে ইনকাম এবং নিজেই নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টির অন্যতম একটি মাধ্যম। হাজার হাজার বেকার যুবক এখন বসে না থেকে এই পথে নেমেছে। যাহোক, এই ছিলো মূলত আমাদের আজকের আলোচনা।

আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সাররা থেকে শুরু করে অনেক মানুষই বর্তমানে অনলাইন ইনকামের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের অনলাইন ইনকাম সাইটগুলোর মধ্যেও অনেক ভালো সাইট রয়েছে যেগুলো আজকাল বেশ ভালো করছে।

একটু কষ্ট করে কিছুটা রির্সাচ করলেই আপনি এ সর্ম্পকে আরো বিস্তারিত জানতে পারবনে। মোটামুটি এই হচ্ছে অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর হাতেখড়ি বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা।

আমরা এখানে অনলাইন আয় এর সেরা ১০টি উপায় এবং বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এখন সিদ্ধান্ত নেবার পালা আপনার  যা আপনি কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে চাচ্ছেন।

আশা করি এই আর্টিকেলটিতে আলোচিত সকল বিষয়ই আপনারা সম্পূর্ণভাবে বুঝেছেন। তারপরও যদি কোনো বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে সেটি কমেন্ট বাক্সে জানাতে ভুলবেন না আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনার একটুও উপকার ক্রে থাকে তাহলে প্রিয়জনদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। শুভ হোক আপনার অনলাইন যাত্রা। ধন্যবাদ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. জানুয়ারী ২০২৩ ০৪:৪০:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় হলুদ ফুলকপি চাষে আরশেদ আলী নামে এক কৃষক সফলতা পেয়েছেন। ভূঞাপুর পৌরসভার ছাব্বিশা এলাকায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষা মূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি।

বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক সাড়াও ফেলেছে।

এ ব্যাপারে আরশেদ আলী বলেন, নিজ বাড়ির আঙিনার ৩৩ শতক জমিতে প্রতি বছর নানা ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকি। এবার সেই জমির অর্ধেকাংশে পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। আমার এ জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগে রঙিন ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছি। আমার এমন সফলতা দেখে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সবজি চাষিরা। এছাড়া আমার এই রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনেকেই আসেন বাড়িতে। কেউ কেউ কিনে নিয়ে যান। আবার অনেকেই আগ্রহ থেকে পরামর্শ নেন। কেউ রঙিন ফুলকপির সঙ্গে ছবি তোলাসহ ভিডিও ধারণও করেন। আমার রঙিন ফুলকপির সাফল্যে খুশি স্থানীয় কৃষি বিভাগও।

আরশেদ আরও বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ও কৃষি অফিস থেকে নতুন জাতের রঙিন ফুলকপির ৪০০ চারা, জৈব সার, পোকা দমন কীটনাশকসহ সব ধরনের সহযোগিতায় পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশে মাত্র ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করেছি। এতে ৪ রঙের ফুলকপি রয়েছে। চারা রোপণের ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে জমিতে পূর্ণাঙ্গভাবে ফসলতা পেয়েছি। এই কপি বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায়। দামও পাচ্ছি ভালো ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চীনে এ জাতের ফুলকপি সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও খুব সুন্দর। অন্যান্য ফুলকপির চাষের যে পদ্ধতি ওই একই পদ্ধতিতে রঙিনটিও চাষ করা হয়। খরচ ও সময় একই। পাশাপাশি শুধু জৈব সার ব্যবহার করেই এই ফুলকপি চাষ করা যায়। স্থানীয় হাট-বাজার রয়েছে এর অনেক চাহিদা।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, উপজেলায় এই প্রথম রঙিন ফুলকপি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন কেউ আগ্রহী ছিল না। পরে আরশেদ আলী নামে এক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে কৃষি অফিস থেকে ৪০০ ফুলকপির চারা, জৈব সার, পোকারোধক কীটনাশক ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ৪ রঙের ফুলকপি চাষ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আহসানুল বাসার বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণের লক্ষ্যে জেলার ১২ উপজেলাতে পরীক্ষামূলক রঙিন ফুলকপি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার মধ্যে সবার আগে ভূঞাপুর উপজেলায় সফলতা পাওয়া গেছে। এ জাতের ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। ক্যান্সার রোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে এ ফুলকপি। চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পাওয়ায় অনেক কৃষক আগামী বছরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জানুয়ারী ২০২৩ ০৩:৫৪:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ব্যাংকে রামদা নিয়ে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে যুবক আটক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ব্যাংকে রামদা নিয়ে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে যুবক আটক

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকে রামদা নিয়ে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনতা এক যুবককে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এসময় তার কাছ থেকে একটি রামদা, হাতুড় উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত যুবকের নাম মেহেদি হাসান। সে সখিপুর উপজেলার গোহাইলবাড়ী গ্রামের মৃত নাজমুল হাসানের ছেলে।

ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের এলেঙ্গা শাখার দায়িত্বে থাকা মনিরুল ইসলাম রনি জানান, আমি ক্যাশে বসে দায়িত্ব পালন করছিলাম। হুট করে দেখি মুখোশ পড়া এক যুবক প্রবেশ করে বড় রামদা নিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। তখন আমি ক্যাশের ড্রয়ার বের করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করি এবং ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) শরীফুল হক জানান, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক ডাকাতি প্রস্তুতিকারী যুবককে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে । আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জানুয়ারী ২০২৩ ১২:৫৩:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৫ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৫ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশন

একতার কণ্ঠঃ ভালোবেসে বিয়ে করেও ঘর বাঁধতে পারছেন না নুরজাহান আক্তার (২০) নামের এক তরুণী। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে পাঁচ দিন ধরে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন তিনি।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ভাতগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দেড় মাস আগে ওই গ্রামের রমজান খানের ছেলে নীরবের হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। নুরজাহান ফুলবাড়িয়া উপজেলার ফুলতলা গ্রামের দরিদ্র সুরুজ মিয়ার মেয়ে।

নুরজাহান জানান, গত ১ বছর আগে নীরবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরে দেড় মাস আগে পরিবারের অজান্তে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা। কিছুদিন আগে তাকে ফেলে নীরব বাসা ছেড়ে দেন এবং মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপন করেন। কোনো উপায় না পেয়ে তিনি গত মঙ্গলবার নীরবের বাড়িতে আসেন এবং স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ সময় নীরবের মা ও খালাতো বোন নুরজাহানকে ঘরে ঢুকতে বাধা প্রদান করেন। ফলে চাচার বাড়িতে নুরজাহান একাকী অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। দুই পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ঘটনাটা আমার জানা নেই। তবে মেয়েটি যদি আইনের সাহায্য চায়, তাহলে তাকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. জানুয়ারী ২০২৩ ১২:০৪:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে কালোবাজির উদ্যোশে মজুদ রাখা ২০০ বস্তা সরকা‌রি চাল জব্দ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কালোবাজির উদ্যোশে মজুদ রাখা ২০০ বস্তা সরকা‌রি চাল জব্দ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবৈধভাবে মজুদ সরকারের খাদ‌্য বান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) ২০০ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ‌্যার দিকে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ধুবলিয়া এলাকা থেকে বাবুল নামের এক চাল ডিলারের গোডাউন থেকে ওএমএসের ২০০ বস্তা চাল জব্দ করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতি।

ধুবলিয়া গ্রামের অনেকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুঠিবয়ড়া গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে বাবুল সরকারি চাল কেনাবেচা করছেন।

হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা চালসহ সরকারের বিভিন্ন খাদ‌্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কিনে কালোবাজারি জন‌্য ধুবলিয়া এলাকার একটি ঘরে মজুদ করে রাখতেন। পরে সেখান থেকে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন খাদ‌্য গোডাইন ও চালের ডিলারদের কাছের বিক্রি করতেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যার দিকে কালোবাজির উদ্যোশে মজুদ রাখার খবরে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এতে ধুবলিয়া এলাকায় চালের ডিলার বাবুলের গোডাইন থেকে ২০০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল রয়েছে। এতে অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম‌্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতি।

ফলদা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম‌্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু বলেন, এখানে গোডাউন ভাড়া নিয়ে সরকারি চাল কালোবাজারি হচ্ছে, সেটা জানা ছিল না। ডিলার বাবুলের বাড়ি অর্জূনা ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়াতে। বাবুলের শাস্তি দাবি করছি।

ইউএনও মো. বেলাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরকারের খাদ‌্য বান্ধব কর্মসূচির ২০০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। যাচাই বাচাই শেষে আইনগত ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জানুয়ারী ২০২৩ ১১:৫১:পিএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।