টাঙ্গাইলে ২০১ গম্বুজ মসজিদে নামাজ পড়তে সাইকেলে ১৮০ কিলো মিটার পাড়ি


০৫:২২ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
টাঙ্গাইলে ২০১ গম্বুজ মসজিদে নামাজ পড়তে সাইকেলে ১৮০ কিলো মিটার পাড়ি - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার ইচ্ছা ছিল রাসেল লাল বিশ্বাসের। সেই ইচ্ছা পূরণে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে ফরিদপুরের মধুখালী থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পৌঁছেছেন তিনি। আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে আবার একইভাবে বাড়ি ফিরবেন ৫৮ বছর বয়সী রাসেল বিশ্বাস।

রাসেল বিশ্বাসের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী পৌর এলাকার পশ্চিম গারাখোলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ছাত্তার বিশ্বাসের ছেলে। পেশায় রাসেল বিশ্বাস বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি।

রাসেল বিশ্বাস বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে গোাপালপুরের পাথালিয়ায় অবস্থিত ২০১ গম্বুজ মসজিদের কথা জানতে পারি। এই মসজিদে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জুমার নামাজ পড়তে আসেন বলেও জানতে পারি। তাই শখ হয় এই মসজিদে নামাজ পড়ার।’


তিনি আরও বলেন, ‘বাসে আসলে আশে পাশের কোনো কিছু দেখা হবে না। কিন্তু সাইকেল নিয়ে আসলে ফরিদপুর থেকে গোপালপুর পর্যন্ত নানা এলাকা দেখা হবে। অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হবে। তাই গত বুধবার ভোর ৬টার দিকে মধুখালির নিজ বাড়ি থেকে সাধারণ একটি সাইকেল নিয়ে গোপালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হই। কোন বিরতি না দিয়ে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিতে নদী পার হয়ে আরিচা প্রান্তে পৌঁছাই। তারপর আবারও সাইকেল চালানো শুরু করি। মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর হয়ে দৌলতপুর উপজেলা সদরে পৌঁছাই বুধবার দুপুরে। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে আবারও যাত্রা শুরু করি। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পার হয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অলোয়া এলাকার একটি মসজিদে রাত্রি যাপনের উদ্যোগ নেই। কিন্তু ওই এলাকার মতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি আমাকে তার বাড়িতে রাত্রি যাপনের সুযোগ দেন। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭ টায় আবারও যাত্রা শুরু করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল দুপুর ১২টার দিকে গোপালপুরের পাথালিয়া গ্রামের ২০১ গম্বুজ মসজিদে এসে পৌঁছেছি।’

রাসেল বিশ্বাস বলেন, গোপালপুরে পৌঁছে ওই এলাকা ঘুরে দেখেছি। শুক্রবার (আজ) জুমা নামাজের পর আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে রওনা হবো।’

রাসেল বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘ এই পথ আসতে নতুন নতুন অনেক জায়গা দেখেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই পথে কোন ক্লান্তবোধ হয়নি।’

টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম বলেন, ‘সাইকেল চালানো একটি ভালো অভ্যাস। নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীর, স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকে। তাছাড়া সাইকেল একটি পরিবেশ বান্ধব যান। রাসেল বিশ্বাসের এই সাইকেল চালানো দেখে অনেকেই সাইকেল চালাতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি।’


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।