একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলে ঘন কুয়াশার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকায় মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সকাল ৮টা থেকে সেতুতে টোল আদায় শুরু হলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়।
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু-পূর্ব থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত পরিবহনের যানজট তৈরি হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম হওয়ায় সেতুতে দুর্ঘটনা এড়াতে উভয় পার্শ্বেই টোল আদায় বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছে নাহ। এর ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে কুয়াশার পরিমাণ কমে যাওয়ায় টোল আদায় শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু-পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকায় মহাসড়কে পরিবহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৮টার পর টোল আদায় শুরু হওয়ায় পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে দাহ্য পদার্থ ভর্তি ড্রাম বিস্ফোরণে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় পৌরসভার এতিমখানা রোডের এস এম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজু (৩২) উপজেলার বগা প্রতিমা গ্রামের তাহের আলীর ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীর আতিকুল ইসলাম তার দোকানের কর্মচারী আল আমিন থিনার ভর্তি একটি ড্রাম খোলার জন্য এতিমখানা রোডের এস এম ইঞ্জিনিয়ারিং নামক একটি ওয়ার্কসপে নিয়ে গেলে ওই দোকানের কর্মচারী নিহত রাজু ড্রামটি খোলার চেষ্টা করলে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলেই রাজু নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলেন- জসিমের ছেলে আতিকুল (৪০) এছাক আলীর ছেলে সবুজ (২৬) ও আরেকজন পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার দুলাল মিয়ার ছেলে আল আমিন (১৮)। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.হাবিবা শবনম বলেন, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সখীপুর থানার এস আই মজিবুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটানাস্থলে এসেছি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে ঘন কুয়াশায় পৃথক ১৮টি দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের মির্জাপুরের ধল্লা থেকে চরপাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটারে অন্তত ১৬টি দুর্ঘটনা ঘটে। এই এলাকায় সকাল ৯টার দিকে এক বাসচালকের সহকারীর মৃত্যু হয়।
অপরদিকে সদর উপজেলার মাদারজানি এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী এবং ভূঞাপুরের জগৎপুরা এলাকায় বালুবাহী ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক সার্জেন্ট মোস্তাক আহমেদ জানান, সকাল থেকে মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ১৫ থেকে ১৬টি দুর্ঘটনা ঘটছে। এ কারণে ঢাকামুখী লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সার্ভিস লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লাহ টুটুল বলেন, সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কের ধল্লা-মনসুর এলাকায় ঢাকামুখী লেনে পিকআপভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি বাসচালকের সহকারী। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
ভুঞাপুর থানার ওসি ফরদিুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভুঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের জগৎপুরা এলাকায় বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে এক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের নাম ইশরাক (২০); তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার থল গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে এবং মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন।
অন্যদিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে এক যুবক মোটরসাইকেল যোগে মির্জাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের করটিয়া ইউনিয়নের মাদারজানী এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় তার মৃত্যু হয়। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জনতার হাতে আটক ৬ গরু চোরকে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। উপজেলার ঘাটাইল সদর ইউনিয়নে কাইতকাইদ গ্রাম থেকে গরু চুরি করে পিকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয় ৬ গরু চোর। আটককৃত চোরদেরকে স্থানীয় জনগণ গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
আটটকৃত গরু চোররা হলো, জামালপুর সদর উপজেলার চরসি কর্নিপাড়ার জয়নুদ্দিনের ছেলে জয়নাল হোসেন (৩৮), নওগাঁ জেলার আইনিগর উপজেলার টুনশিয়ালা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২৯), ফরিদ জেলার বোলমারি উপজেলার বারদি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. সাগর (২২), রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাগলা মালিবাড়ি গ্রামের লাল চানের ছেলে রহিম ওরফে অনিক (১৭), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভেলারায় গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আমজাদ হোসেন (২৮) ও রংপুর জেলার পীরগাজা উপজেলার অনন্দনগর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৭)।
উদ্ধার হওয়া গরুর মালিক উপজেলার ঘাটাইল ইউনিয়নের কাইতকাই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তারা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখছিলেন। এ সময় একটি পিকআপে গরু উঠিয়ে গরুচুরি করে নিয়ে যায়। গরু চুরির ঘটনাটি তার স্ত্রী আমিনা বেগম টের পেলে গ্রামের দুই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে স্থানীয়রা চোরদের গাড়ি ধাওয়া করলে গাড়িটি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের সাপটারবাইদ এলাকায় গিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। পরে গরু ফেলে চোররা পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা পিকআপের ভেতর থেকে গরু উদ্ধার করে গাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও জনতা একতাবদ্ধ হয়ে রাতেই উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়জন গরুচোরসহ একটি গাভী উদ্ধার করা হয়।
ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল উসলাম সরকার বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ৬ গরু চোরকে আটক করে এবং পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের চুরির কাজে ব্যবহ্নত পিকআপটি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় গরুর মালিক কাইতকাই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত। আসামীদের আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনায় যানবাহনের ক্ষতির কথা ভেবে টাঙ্গাইল থেকে কোনো গণপরিবহন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে না।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে এমনটাই জানিয়েছেন টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক ও শ্রমিকরা। তবে বাস টার্মিনাল এলাকায়ও যাত্রীদের কোনো চাপ নেই।
সকাল থেকেই টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে কোন বাস ছাড়া হয়নি। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়েও দুই একটা বাস ছাড়া কোনো গণপরিবহন ঢাকার দিকে যেতে দেখা যায়নি। বলা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক পুরোটাই গণপরিবহন শূন্য।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পার হয়ে ঢাকার দিকে এক হাজার ১৯২টি গণপরিবহন পার হয়েছে। যা স্বাভাবিক সময়ে ১২/১৩ হাজার পারাপার হয়।
টাঙ্গাইল বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি জানান, সমিতির সভা ডেকে সকল মালিকদের বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। এরপরও যদি তারা রুটে বাস না নামায় সে ক্ষেত্রে তার কিছু করার নেই।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিস্ফোরণ আইনের মামলায় উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতিসহ তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সখীপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক ওরফে বাচ্চু (৫০), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আলী আশরাফ (২৫) ও উপজেলার বেতুয়া গ্রামের বিএনপির সমর্থক জয়নাল আবেদীন (৩৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে সখীপুর থানার এসআই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে এ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির ৩৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছিল।
সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাসেত মুঠোফোনে বলেন, এ নিয়ে দুই দফায় গায়েবি মামলায় সখীপুরে মোট সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড করতেই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আজ ভোরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁদের আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসে বাসে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে যাচাই করা হচ্ছে বাসগুলোর কাগজপত্র।
যদিও এটিকে পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম বলে জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে মহাসড়কে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় গিয়ে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা বাস থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও বাসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করছে পুলিশ। যদিও এ মহাসড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাসের সংখ্যা অনেক কম বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও চালকরা। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তবে বাস ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (উত্তর) রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, এটি আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কয়েকটি বাসের কাছ থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এদিকে এলেঙ্গায় বিএনপির নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে কালিহাতি উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা রয়েছে। কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম ঠাণ্ডু প্রতিবাদ সমাবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের অভিযানের মুখে গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরে থাকতে পারছেন না টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ কর্মসুচীকে কেন্দ্র করে মির্জাপুরে ফের বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাতে মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর, আনাইতারা, তরফপুর, মহেড়া ও জামুর্কী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৬জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন, মহেড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া, ফতেপুর ইউনিয়নের হাট ফতেপুর গ্রামের জাফর মিয়ার ছেলে শওকত আলী ও মতিউর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া, আনাইতারা ইউনিয়নের ইমান আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকী, তরফপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের নাতু মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ও জামুর্কী ইউনিয়নের হিম্মত আলীর ছেলে খোরশেদ আলম। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক শুনানি শেষে দুইজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন এবং চারজনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া গত ২২ নভেম্বর রাতে মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী হোসেন খোকন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ, গোড়াই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আলমাছ হোসেন, যুবদল নেতা হাফিজুর রহমান স্বপন, উপজেলা বিএনপির সদস্য ইমারত হোসেন ও জামুর্কী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম তাপস গ্রেপ্তার করেন। তাছাড়া এই দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বাদী হয়ে তাদের নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো ‘গায়েবি’ এবং নেতাকর্মীদের ঢাকার সমাবেশে যেতে বাধা সৃষ্টি করতেই সরকারের নির্দেশে এসব ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশের রাতভর এ অভিযানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারছেন না বলে জানান।
তবে বিএনপি নেতার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো হাইব্রিড বীজ, উফসী বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সদর উপজেলা প্রাঙনে সদর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ৭ হাজার ৪০০ কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও দুটি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য কম্বাইন হার্ভেস্টার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জিয়াউর রহমান।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে উপজেরার বয়ড়া গ্রামের মো. হাসেম মিয়াকে আসামি করে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুলালে মামলা করেন। আর এর পর থেকেই আসামি পক্ষের লোকজন তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিতে শুরু করেছে।
এদিকে মামলার পরপরই বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে অভিযুক্ত হাসেমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূকে হাসেম মিয়া বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। বিষয়টি গৃহবধূ তার স্বামীকে জানান। আর এ ঘটনায় হাসেম আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। গত ১৬ আগস্ট ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার পরপরই হাসেম ঘরে প্রবেশ করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় চিৎকারে করলে হাসেম গৃহবধূর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। পরে প্রতিবেশিরা আহত অবস্থায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর গৃহবধূ বাদী হয়ে হাসেম মিয়াকে আসামি করে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার স্বামী বলেন, মামলা করে চরম বিপাকে পড়েছি। আমরা গরিব ও অসহায় হওয়ায় আসামির স্বজনরা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। সাক্ষীদেরকেও নানা ভয় দেখানো হচ্ছে। মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে আমাদের এবং সাক্ষীদের নামে আদালতে মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছেন অভিযুক্তের স্বজনরা।
তারা আরও জানান, আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করি। ব্যর্থ হয়ে বাসাইল থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু থানা মামলা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রউফ মিয়া বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও আসামি পক্ষ পরবর্তীতে আমাদের কাছে আর আসেনি।
থানায় মামলা না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার থানায় মামলা করতে কেউ আসেননি। পরে আদালত থেকে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসে। এরপর আমরা আসামি হাসেমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেই।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মো. এলিন তালুকদার (৪৩) নামের এক মাদরাসা শিক্ষক আট দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।ওই ব্যক্তি ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর এলাকার বাসিন্দা।
গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ২৬ নভেম্বর শনিবার তাঁর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ এলিন তালুকদার উপজেলার হামিদপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তিনি কেন্দ্রীয় মাদরাসা শিক্ষক সমিতির দপ্তর সম্পাদক। দাপ্তরিক কাজে গত ২৩ নভেম্বর বুধবার ভোর ৫টার দিকে নিজ বাসা থেকে প্রাইভেটকার যোগে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পরেরদিনই বাসায় ফেরার কথা থাকলেও আজ আট দিনেও বাসায় ফেরেননি এলিন তালুকদার। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নেন। তবে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির সব ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে তদন্ত করছে পুলিশ। এখন তদন্ত অব্যাহত আছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ফজলুল হক (৩৫) নামের এক মাদকসেবী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে সখীপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে তার লাশ উদ্ধার করে। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেড়বাড়ী নামাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ফজলুল ওই গ্রামের এরশাদ মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আনোয়ার হোসেন ধলা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে ফজলুল হক খাবার খেয়ে স্ত্রী সন্তানের সাথে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। রাত ১০টার দিকে স্ত্রীর ঘুম ভাঙ্গলে স্বামীকে ঘরের আড়ার সাথে গলায় মাফলার দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পান। পরে আজ সকালে সখীপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশের সুরতহাল করার পর ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।