একতার কণ্ঠঃ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি হাইকোর্টে জামিন পাননি। তার জামিন আবেদনটি ফেরত দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার জামিন আবেদন ফেরত দেন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম এ মুনতাকিম।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান জানান, রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছে। আদালত জামিন না দিয়ে আবেদন ফেরত দিয়েছেন।
মুক্তি এ মামলার আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তার বাবা আতাউর রহমান খান এ আসনের বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তর্বর্তী জামিন বাতিল করেন আদালত।
এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত ২৭ এপ্রিল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
পরে হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন মুক্তি। গত ২৪ অক্টোবর তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ‘নদীভাঙন কবলিত এলাকার অতি দরিদ্র ও দুঃস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিমিত্তে’ ৫০ হাজার টাকা করে ৩৩২ জন অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হিসেনে ছিলেন টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, আলিফ নুর মিনি, ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম তালুকদার মোহন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার, দিদারুল আলম খান মাহবুব, শাহ আলম আকন্দ শাপলাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলাটি যমুনা নদীর চরাঞ্চল বিধৌত। বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর এ চরাঞ্চলে অসংখ্য ঘরবাড়ি-বসতভিটা, ফসলি জমি, মসজিদ-মন্দির ও রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা ভাঙনের মুখে পড়ে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়ে নদী তীরবর্তী এলাকার ভাঙনকবলিত অসংখ্য মানুষ। ভাঙনকবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিমিত্তে মানবিক সহায়তার আওতায় উপজেলার নিকরাইল, গাবসারা, অর্জুনা ও গোবিন্দাসীর ৩১২ জন ভাঙনকবলিতদের মাঝে এ চেক বিতরণ করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে এলমা নামের দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলার কচুয়া দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এলমা উপজেলার কচুয়া দক্ষিণ পাড়া এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশেই খেলছিল এলমা। একপর্যায়ে সবার অগোচরে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়।
এদিকে বাড়ির লোকজন এলমাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ির পাশের পুকুরে এলমার কাপড় ভাসতে দেখে বাড়ির লোকজনের আর্তচিৎকারে সবাই এগিয়ে আসে।
স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একতার কণ্ঠঃ ৬ মাসের মাথায় টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বনাঞ্চলস্থ ভুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব থেকে ১৬টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত জুন মাসে একই উপজেলার আউশনারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব থেকে ৬টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তীতে চুর হওয়া সেই ল্যাপটপগুলো উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
শনিবার সকালে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত হয়েছেন চার তলার ল্যাব থেকে ল্যাপটপগুলো চুরি হয়। এদিন বিকেলে মধুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এপ্রিল পল মৃ।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের ফলাফল দিয়ে প্রতিদিন নিচ তলার অফিস কক্ষ নিয়মিত খোলা রাখা হয়। উপরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। মুক্ত পাঠ ট্রেনিং সংক্রান্ত কাজে শনিবার সকালে চতুর্থ তলার ল্যাবের সামনে গিয়ে ক্যাচিগেট ও ভিতরের দরজা খোলা এবং কক্ষের ভিতরের সব টেবিল ল্যাপটপ শূন্য পাওয়া যায়। ল্যাপটপের সাথে কি বোর্ড, মাউসসহ কম্পিউটার এক্সেসরিজ খোয়া যায়।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী প্রধান শিক্ষক এপ্রিল পল মৃ বড় দিনের উৎসব অনেকটা মাটি হচ্ছে উল্লেখ করে জানান, এ ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়। তাদের নির্দেশ ও পরামর্শ মতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি কবে ঘটেছে নিশ্চিত করা যায়নি। তবে শুক্রবার রাতের আগেও ঘটতে পারে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
তিনি আরও জানান, বিদ্যালয় থেকে এর আগেও একটি ডেস্কটপ খোয়া গিয়েছিল। পরে বিশেষ উদ্যোগে সেটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করতে একজন এসআইকে অ্যাসাইন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে আউশনারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাবের ৬টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশী অনুসন্ধানে সেগুলো উদ্ধার হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ কমিউনিটি পুলিশিং এবং সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কর্তৃক ‘এসএম আহসান স্মৃতি পুরস্কার পেলেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন। শনিবার (২৪ডিসেম্বর) সকালে রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে সমিতির ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম তাঁর হাতে এ সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন।
পুলিশের এআইজি (কমিউনিটি এন্ড বিট পুলিশিং) আফরিদা রুবাই, পিপিএম জানান, কমিউনিটি পুলিশিং এবং সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি কর্তৃক বাংলাদেশের তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাকে চুড়ান্তভাবে এ পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন-টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন, খুলনার খালিশপুর থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার এসআই হাবিবুর রহমান। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু অধিকার সুরক্ষার লক্ষে ভিকটিম সাপোর্ট এবং সমাজসেবামূলক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ঢাকার আশুলিয়া থানার এসআই নাছরিন আফরোজকে প্রফেসর অনামিকা হক লিলি-ড.এম এনামুল হক পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ওসি মোশারফ হোসেন গোপালপুর থানায় যোগদানের পূর্বে টাঙ্গাইলের কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্বপালন করেছেন। গ্রামটি বিস্তীর্ণ চর এলাকা। গ্রামের পরিবারগুলোতে কন্যাসন্তান জন্ম নিলে বোঝা মনে করা হত। কিন্তু কন্যাসন্তান বোঝা নয়; বরং আশীর্বাদ এই বিষয়টি প্রচার করে তিনি ঘোষণা দেন, ‘কন্যাসন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সঙ্গে সঙ্গে। পুলিশ কর্মকর্তার এই ঘোষণার বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চার কন্যাসন্তানের মা-বাবা তাঁর কাছে গিয়ে উপহার নেন। তখন তিনি একটি ফেস্টুন টাঙিয়ে লিখেন, ‘কন্যাসন্তান বোঝা নয়, আশীর্বাদ। কন্যাসন্তান আল্লাহ তা-আলার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার। কন্যাসন্তান মা-বাবার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করে। কন্যাসন্তান জন্ম হলে ফোন করুন, উপহার পৌঁছে যাবে সঙ্গে সঙ্গে। তাঁর এই ফেস্টুন ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
ফেসবুকে বিষয়টি জানতে পেরে উপহার নেন মাসুদা খাতুন নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কন্যাসন্তান হয়েছে। উপহার পেয়ে আমি ও আমার স্বামী দু’জনই খুশি হয়েছি। ’
এ বিষয়ে মো. মোশারফ হোসেন বলেন, যে কোনো পুরস্কার কাজের গতি বৃদ্ধি করে। আজ থেকে আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। আমি সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী। পুলিশের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমি লক্ষ করেছি মেয়ে সন্তান হলে মা-বাবা মন খারাপ করেন। তাই এলাকার মানুষকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহিত করতে পরিকল্পনা করি। আমার উদ্দেশ্য, মেয়ে ও ছেলে উভয়ই সমান। মা-বাবা যেন কন্যাসন্তানকেও উচ্চশিক্ষা দেয় এবং ছেলে সন্তানের মতোই মনে করে, এটাই বোঝাতে চাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, “আমার ও আমার স্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কন্যাশিশুর জন্য ‘লাভ টোকেন’ স্বরূপ ছোট উপহার নিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করি। একটা ক্রেস্টের সঙ্গে শিশুর জন্য ডায়াপার, লোশনজাতীয় সামান্য কিছু উপহার দেই। সাধ আছে, সাধ্য নেই। এ জন্য নিজের সাধ্যের মধ্যেই চেষ্টা করা। বড় কোনো গিফ্ট দিতে না পারলেও আমরা পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করি, এতে তারা অনেক খুশি হয়। আমি চাই আমার দেখাদেখি সবাই যেন এগিয়ে আসে। কন্যাসন্তান বোঝা নয়, আশীর্বাদ এটাই জানাতে চাই।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পরিচালনার ভার আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই দিলেন দলটির কাউন্সিলররা।
এ নিয়ে টানা দশম বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।
অন্যদিকে আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে কাউন্সিলরদের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষ্যে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের অন্যান্য নেতাদের নাম ঘোষণা করেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নামও তিনি ঘোষণা দেন।
২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শ্রী পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি ও সিমিন হোসেন রিমি।
এছাড়া যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি রয়েছেন। পাশাপাশি কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ড. শাম্মী আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পদে ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি মনোনীত হয়েছেন।
অন্যদিকে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক পদে শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. সিদ্দিকুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে শ্রী অসীম কুমার উকিল এমপি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদে ডা. রোকেয়া সুলতানা মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস. এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং সুজিত রায় নন্দী। এছাড়া উপ-দফতর সম্পাদক হয়েছেন সায়েম খান।
তবে শ্রম, যুব ও ক্রীড়া এবং উপ-প্রচার সম্পাদকের পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। এসব পদ পরে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। আর প্রেসিডিয়াম সভায় সদস্যদের নির্বাচিত করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ সারাদেশে ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, পুলিশি হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে গণমিছিল করেছে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের শান্তিকুঞ্জ মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।মিছিল শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয় সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।
এ সময় বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও মির্জাপুরে দুই উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) কালিহাতীর উপজেলায় সকাল ৭ টায় গোহালিয়াবাড়ী জোকার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জোকারচর বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় ওই ব্যক্তি ট্রেনে কাটা পড়ে।
জোকারচর রেলের গেটম্যান ইয়াকুব আলী জানান, সকালে জোকারচার এলাকায় রেল লাইনের পাশে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ দেখে স্থানীয়রা আমাদের অবগত করে।পরে লাশের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এএসআই ফজলুল হক জানান, অজ্ঞাত লোকটির লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, মির্জাপুরে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির চাপায় আবু বক্কর (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার দুল্যা মনসুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। সে দুল্যা মনসুর গ্রামের নান্নু মুন্সির ছেলে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা টুটুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আকাশ মিয়া নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গোড়াই-সখিপুর আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল চেয়ারম্যান বাড়ি নামক স্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সে নিহত হয়।
আকাশ বাঁশতৈল ইউনিয়নের পেকুয়া গ্রামের জুরান মার্কেট এলাকার আব্বাস উদ্দিনের ছেলে। সে বাঁশতৈল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নেছার উদ্দিন জানান, আকাশ হাটুভাঙ্গা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলযোগে গোড়াই-সখিপুর আঞ্চলিক সড়ক হয়ে বাড়ি ফিরছিল। চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আকাশ মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরিবারের লোকজন মরদেহ বাড়ি নিয়ে গেছেন বলে তিনি জানান।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মামা-ভাগ্নেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সকালে সখীপুর উপজেলার বাটাজোর সড়কের পাথার পুরাতন বাজার এলাকায় ও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের আনালিয়াবাড়ী এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে উপজেলার ইছাপুর এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে মো. মাছুদ (২৫) ও একই গ্রামের আ. সালামের ছেলে সাকিবের (২০) পরিচয় মিলেছে।
সখীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মনির বলেন, তারা সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাটাজোড় বাজারে নিজেদের দোকানে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেলেও ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা সেবা লাইনের একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে এলেঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাসটি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই আরোহী মারা যান।
ওসি আরও বলেন, নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। পেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাসটি আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে থিনার ভর্তি ড্রাম বিস্ফোরণে দগ্ধ আল আমিন (১৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আল আমিন পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার দুলাল মিয়ার ছেলে।
সখীপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম আহত আল আমিনের মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে সখীপুর বাজার বণিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ মামুন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিস্ফোরণের দিন একজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হলো। আমরা সকল ব্যবসায়ীকেই সতর্কতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে আহত আতিকুল ও আল আমিন থিনার ভর্তি ওই ড্রামটি খোলার জন্য এতিমখানা রোডের এস এম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে যান। ওয়ার্কশপের কর্মচারী ইয়াকুব রাজু ওই ড্রামটি খুলতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ইয়াকুব রাজুর মৃত্যু হয়।
আহত হন আলামিন (১৮) আতিকুল (৪০) ও সবুজ (২৬)। আহতদের প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
ড্রামটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয় এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বিস্ফোরিত ড্রামটি নিহত রাজুকে আঘাত করে উড়ে ১০০ গজ দূরে গিয়ে পড়ে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় মো. সাগর (৩৫) ও মো. সজিব (৩৩) নামে প্রাইভেটকার আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় পড়লে এরা দুজন রেল লাইনে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এ সময় তারা ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর রাতে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় রেল লাইন দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এই দুই যুবক নিহত হন।
নিহত মো. সাগর পাবনার সাথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের চঞ্চল সিকদারের ছেলে। মো. সজিব একই জেলার আমিনপুর উপজেলার আহাম্মেদপুর গ্রামের মো. লিয়াকতের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ব্যাক্তিরা রাতে প্রাইভেটকার যোগে ঢাকা হতে পাবনা যাচ্ছিলেন। তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় এলে অন্য একটি প্রাইভেটকার চাপ দিলে তাদের প্রাইভেটকারটি মহাসড়কের পাশে নেমে যায়। পরবর্তীতে চালক গাড়িটিকে উপরে উঠানোর সময় এই দুই যুবক রেল লাইনের উপর হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারায়।
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফজলুল হক বলেন, লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।