একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাহাবুব আলম মহিন (৪২) নামে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আছিমতলা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মাহাবুব আলম মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী পূর্বপাড়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে। দুর্বৃত্তরা অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মাহাবুব প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মির্জাপুর বাজারে অটোরিকশা চালাতেন। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সন্ধ্যায় তিনি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় স্কচটেপ পেঁচানো এবং মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মরদেহ দেখে পরিচয় শনাক্ত করে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, দুর্বৃত্তরা অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ রুটে শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশে টাঙ্গাইল থেকে যাতে নেতাকর্মীরা যোগদান করতে না পারে এজন্য প্রশাসনের নির্দেশে বাস চলছে না।
সকালে টাঙ্গাইল বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহ অভিমুখী কোনো বাস চলছে না।
মালিক ও শ্রমিকরা জানান, মালিক সমিতির নির্দেশে চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস মালিক সমিতির নেতারা এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মালিক নেতা জানান, উপরের নির্দেশে ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ ইকবাল জানান, ময়মনসিংহের সমাবেশে টাঙ্গাইল শহর থেকে যোগদানের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে মধুপুর থেকে নেতাকার্মীদের যোগদানের কথা ছিল। বাস বন্ধ থাকলেও বিকল্প পথে সেখানকার নেতাকর্মীরা ময়মনসিংহে গেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. শাহীন (২১) নামের এক প্রাইভেটকার চালক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার সখীপুর-সাগরদীঘি সড়কের সাবেদেরচালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত শাহীন সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাফিজুর রহমানের ছেলে। দুর্ঘটনায় একই এলাকার সানোয়ার হোসেন নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। আহত সানোয়ার হোসেনকে টাঙ্গাইল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোরে প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চালক শাহীনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রাইভেট কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অতিরিক্ত গতিতে একটি গাছকে ধাক্কা দিয়েছে। মরদেহ থানায় নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিনিময় ও শিবু পরিবহনের দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬ টায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের উপজেলার মোঘলপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের একটি বাস ও শেরপুরগামী শিবু পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস সকাল সাড়ে ৬টায় ওই স্থানে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের ১০-১২ জন যাত্রী আহত হন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে বাস দুটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়।
ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। জাতীয় গ্রিড হলো বাংলাদেশে একমাত্র বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন গ্রিড। এটি পরিচালনা করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
এই গ্রিডের কাজ হলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আগত বিদ্যৎ কে ম্যানেজ করে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া , যার ফলে যদি সোলার প্লান্ট থেকে কোনো ইলেকট্রিসিটি নাও আসে তাতেও আমাদের বাড়ির ইলেকট্রিসিটি যেন চলে না যায়।
জাতীয় গ্রিড হলো প্রতিটি গ্রিডের সংঙ্গে অন্য একটি গ্রিড কে যুক্ত করে রাখা।
উদাহনত হিসেবে ধরুন : বিভিন্ন Division অথবা State এর মধ্যে প্রতিটি গ্রিড একটিকে উপরটির সাথে যুক্ত করা হয়ে থাকে , এরফলে যদি কোনো কারণে একটি গ্রিড Fail হয়ে যায় তাহলে অন্য Division অথবা State এর গ্রিড থেকে ইলেকট্রিসিটি প্রদান করা সম্ভব।
ধরুন, একটি পাওয়ার প্লান্ট কোনোভাবে বন্ধ হয়ে গেলো , ওই সময় গুরুত্বপূর্ণ শহরের ইলেক্ট্রিসিটি যাতে না চলে যায় এরজন্যই গ্রিড কে অন্য গ্রিডের সংঙ্গে যুক্ত করে রাখা হয় , যা জাতীয় গ্রিড (National Grid) বলা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে কমলা রানী (৭০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে পৌর সভার ত্রিমোহন জেলেপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কমলা রানী একই এলাকার মোহন বাসী রাজবংশীর স্ত্রী। তিনি প্রতিদিন রেললাইনে টোকাইয়ের কাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমলা রানী প্রতিদিন সকালে রেললাইনের পাশে মানুষের ফেলে দেওয়া প্লাটিকের বর্জ্য সংগ্রহ করেন। শুক্রবার ভোরেও তিনি রেললাইনে প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে যান। এসময় সেখান দিয়ে যাওয়া একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যান কমলা রানী।
মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের মাস্টার কামরুল হাসান জানান, ঘটনার পরপরই নিহতের পরিবারের লোকজন লাশ বাড়ি নিয়ে গেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বালিয়াজান গ্রামের মো. মহসিন মিয়া (২১) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই তাহীদ উল্লাহ।
নিহত মহসিন ওই গ্রামের মো. বাছেদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ( ৪ অক্টোবর) রাতে মহসিন তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে যায়। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার দরজা বন্ধ করে শুয়ে থাকে। দরজা না খুললে পরিবারের লোকজন জানালা দিয়ে দেখে মহসিন ঘরের ধরণার সাথে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।পরে বাড়ির লোকজন জানালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে যায়। তাদের কান্নাকাটি শুনে আশেপাশের লোকজন গিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ বিকালে উদ্ধার করে।
বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই তাহীদ উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কাভার্ডভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে অজিত ঘোষ ওরফে ভম্বল ঘোষ (৭২) নামে এক বৃদ্ধ নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে নাগরপুর চৌহালী আঞ্চলিক সড়কের গয়হাটা ইউনিয়নের নরদহী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধ ব্যক্তি গয়হাটা ইউনিয়নের সিংজোড়া গ্রামের মৃত পাগলা ঘোষের ছেলে।
এলাকাবাসী ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৮টার দিকে নাগরপুর চৌহালী আঞ্চলিক সড়কের নরদহী নামক স্থানে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে অজিত ঘোষ মারা যান। অপর দুজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নাগরপুর থানার ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে এবং আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে ইয়াকুব আলী (২২) নামে এক চালককে খুন করে তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় মধুপুরের পীরগাছা রাবার বাগান এলাকার ভবানীটেকি বাজারের পাশে একটি ড্রেনে দুর্বৃত্তরা তার মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
সোমবার (৩ অক্টোবর) রাতে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চালকের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ইয়াকুব আলী পাশের ধনবাড়ী উপজেলার ভাইঘাট জমশেদপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
পরিবারের লোকজন এসে ইয়াকুবের লাশ শনাক্ত করেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, রোববার (২ অক্টোবর) সকালে ইয়াকুব তার অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
রাতের কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা তার অটোরিকশা ভাড়ায় নিয়ে ওই এলাকায় গিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় খুন করে পালিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ও সুজন জানান, সোমবার বিকালে রাবার বাগানের ড্রেনের বৃষ্টির পানিতে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন তারা।
মধুপুর থানার এসআই ফরহাদ হোসেন জানান, লাশটি উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিমের পর্যবেক্ষণের পর লাশ উদ্ধার করে রাতেই থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পৌরসভার রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভাঙার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভাঙার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রোববার ( ২ অক্টোবর) বিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন এবং শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের এক মতবিনিময় সভায় আপাতত সীমানা প্রাচীর ভাঙা হচ্ছে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার সুপারিশ অনুযায়ী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সাবেক শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে এবং আবার পরিমাপ করে রাস্তা সম্প্রসারণ ও বিদ্যালয়ের দেওয়াল ভাঙার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
যানজট নিরসন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে টাঙ্গাইল পৌর কর্তৃপক্ষ জেলা শহরের অন্যতম প্রধান সড়ক ৪ লেনের কাজী নজরুল সড়কটি ৪ লেনে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়।
এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ করে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ৬-১০ ফুট জায়গা পৌরসভার বলে চিহ্নিত করা হয়।
পরে পৌর কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ‘দখলীকৃত’ জায়গায় ৫ ফুট জমি রাস্তার জন্য ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে এবং সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়ে পরে তা আবার পৌরসভার খরচে নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এ কাজ করতে পৌর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।
এদিকে, প্রিয় বিদ্যালয়ের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে শনিবার রাত থেকে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাম্য রহমান বলেন, ‘শহরের উন্নয়নে রাস্তা সম্প্রসারণ হোক এটা আমরাও চাই। তবে এজন্য ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভাঙার আবশ্যকতা আছে বলে মনে করি না।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ের জায়গা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করে যাওয়ার পর কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করলেও, ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতর টিনের বেড়া নির্মাণ করেছে।’
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক খান আলমগীর জানান, পরিমাপে বিদ্যালয়ের ভেতরে পৌরসভার প্রায় ১০ ফুট জায়গা পাওয়া গেছে। তবে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির গেট ও কোনো স্থাপনা বা খেলার মাঠের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য ৫ ফুট জায়গা রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি বলেন, ‘রাস্তা সম্প্রসারণ কাজে পৌরসভার জায়গা উদ্ধারে সহায়তা করছে জেলা প্রশাসন। বিন্দুবাসিনী স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসাবে এবং পৌরসভার একজন তদারককারী হিসেবে আমি নিজে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পৌর মেয়রকে নিয়ে আলোচনা করেছি।’
‘ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাস্তা সম্প্রসারণের যেমন প্রয়োজন আছে, তেমনি এটি করতে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের গেইট বা অন্য কিছু যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটিও ভাবা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফৈলারঘোনা দক্ষিণপাড়া গ্রামে নিজের শিশু সন্তানকে নিতে এসে দুই দিন ধরে গৃহবধূ রুমা বেগম ‘আটকা’ রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু ‘আটকা’ নয়, তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী রুমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসাট গ্রামের নবী মিয়ার মেয়ে। তিনি গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফৈলারঘোনা দক্ষিণপাড়া গ্রামে তার সাবেক স্বামী মজনু মিয়ার বাড়িতে জিম্মি রয়েছেন।
রুমা বেগম জানান, ২০১৯ সালে রুমা বেগমের সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের ফৈলারঘোনা দক্ষিণপাড়া গ্রামের এছাক মিয়ার ছেলে মজনু মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয়। মজনু মিয়া তার পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে এক কাজীর মাধ্যমে দুই লাখ দেনমোহরে রুমা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর ২০২০ সালে তাদের ঘরে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরে রুমা বেগমকে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে প্রায় সাত মাস আগে মজনুকে তালাক দেন রুমা বেগম। পরবর্তীতে তাদের বিবাহিত জীবনের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মজনু মিয়া। এছাড়াও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রুমা বেগম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, পুনরায় মজনু মিয়া রুমা বেগমকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তাদের বাড়িতে যায়। ওই সময় রুমা পূনরায় মজনুকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় গ্রাম্য পুলিশের হস্তক্ষেপে মজনু টাঙ্গাইল ফিরে আসে। এরপর প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে মজনু ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে দোকানের খাবার কিনে দেয়ার কথা বলে ছেলে শুভকে চুরি করে নিয়ে আসে। পরে মুঠোফোনে ভিডিও কলে শুভকে রুমা বেগম দেখতে চাইলে তাকে দেখানো হয়নি। উল্টো রুমা বেগমকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় মজনু। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ছেলেকে নিতে হলে রুমাকে টাঙ্গাইল আসতে বলে মজনু। গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছেলেকে নিতে টাঙ্গাইল আসেন রুমা। শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে থেকে রুমাকে নিয়ে তার সাবেক স্বামী মজনু শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সময় পার করে রাতে তার গ্রামের বাড়ির দিকে নিয়ে যান। বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার পর মজনু রাস্তা দিয়ে না গিয়ে ফসলি জমির আইল ধরে তার বাড়ির দিকে এগোতে থাকে। এ সময় এক পর্যায়ে মজনু তাকে কচুক্ষেতে ফেলে দিয়ে বুকের ওপর চড়ে বসে। এ সময় তাকে ছুরি দিয়ে ঘাড়ে ও গালে আঘাত করে। চিৎকার করলে তার মুখের ভিতরে হাত দেয় মজনু। এ সময় মজনুর ভাই, মা ও চাচিসহ কয়েকজনে দা ও পিস্তল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বলে হুমকি দেয় রুমাকে। পরে হাতে পায়ে ধরে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। রুমার ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করা হলেও দুই দিনে কোনো চিকিৎসা করা হয়নি।
রুমা বেগম বলেন, ‘আমাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হাতে-পায়ে ধরে আমি প্রাণ ভিক্ষা পেয়েছি। এখানে আসার পরপরই মজনু মোবাইল নিয়ে গেছে। আমাকে এখন ঘরে আটকিয়ে রেখেছে। বিষয়টি পুলিশ ও কাউকে জানাতে পারছি না। গতরাতে স্থানীয় মাতুব্বররা সালিশি বৈঠকে বসেছিল। তখন মজনু মাতুব্বরদের কাছে সন্তানকে হাজির করার জন্য একদিনের সময় চেয়েছে। শুনেছি সন্তানকে বিক্রি করা হয়েছে। আমার সন্তানকে ফেরত চাই।’
ফৈলারঘোনা গ্রামের বাসিন্দা একাধিক ব্যক্তি জানান, মজনুর প্রথম স্ত্রী ও তার মা দেড় বছরের শিশু শুভকে মারধর করেছে। ঠিক মতো খাবারও দেয়নি। আশপাশের বাড়িতে গিয়ে শুভ খাবার খেয়েছে। শিশুর সঙ্গে মজনু ও তার পরিবার নির্দয় আচরণ করেছে।
অভিযুক্ত মজনুর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান বলেন, শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সালিশি বৈঠকে মজনু একদিনের জন্য সময় নিয়েছেন। বিক্রি করা ছেলেকে ফিরিয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মতিয়ার রহমান মন্টু বলেন, বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে দেশ সেরা “ডেভেলপমেন্ট কোচ অফ দা ইয়ার” নির্বাচিত হলেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মোঃ আরাফাত রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবস্থিত বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রেস কনফারেন্স হলে আরাফাত রহমানের হাতে এই ট্রফি ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন বিসিবি’র গেইম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন, বিসিবি’র এইজ গ্রুপ কমিটির চেয়ারম্যান ওবেদ রশিদ নিজাম ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামুদ্দিন সুজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিসিবি’র এইজ গ্রুপ কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, এইজ গ্রুপের ম্যানেজার আবু ইমাম কায়সার প্রমুখ।
এই অর্জন প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মোঃ আরাফাত রহমান বলেন, যে কোন অর্জন সম্মানের। এই সম্মাননা টাঙ্গাইল জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে আমার পরিশ্রমের স্বীকৃতি। এই সম্মাননা প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এইজ গ্রুপ কমিটিকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইলের বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে জড়িত সবাইকে নিয়ে টাঙ্গাইলের ক্রিকেট উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করে যাব।
টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিভাগীয় ক্রিকেট ম্যানেজার মির্জা মইনুল হোসেন লিম্টু বলেন,আরাফাত রহমান অত্যন্ত পরিশ্রমী ক্রিকেট কোচ। তার এই অর্জন টাঙ্গাইল জেলার ক্রিকেটের জন্য সম্মান বয়ে আনলো। টাঙ্গাইলে বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট উন্নয়নে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আরাফাত রহমানকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমি তার সর্বাঙ্গিক মঙ্গল কামনা করছি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে আরাফাত রহমানকে টাঙ্গাইল পৌঁছানোর পর জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ক্রিকেট বোর্ডের এইজ গ্রুপ কমিটি’র “ডেভেলপমেন্ট কোচ অফ দা ইয়ার”” প্রথমবারের মতো স্বীকৃতি দেয়ার কার্যক্রমে পুরস্কৃত হয়েছেন ঠাকুরগাঁয়ের কোচ রোকনুজ্জামান রাহাত, টাঙ্গাইলের আরাফাত রহমান, চাঁদপুরের শামীম আকতার, চট্টগ্রামের মমিনুল হক, খুলনার এমদাদুল বাশার ও সাতক্ষীরার মোফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু।