একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরে নারীসহ প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া হাউজিং এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মো. জুলহাস আলী (৪০) বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের মৃত কাদেরের মেয়ে শিরিনা (৩৪), সদর উপজেলার কান্দিলা এলাকার আ. বাছেদের মেয়ে ফরিদা (২৪)। এছাড়া সদর উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার মুকুল আকন্দের ছেলে মো. রাসেল (৩১), আলমগীরের ছেলে আলামিন (২০), মৃত আ. সামাদ ফকিরের ছেলে আ. রাকিব (৩২) ও আব্দুল জব্বার আকন্দের ছেলে মো. রাজা আকন্দ (৩৩)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জুলহাস আলী জমির পর্চা তোলার জন্য টাঙ্গাইল শহরে তার শ্যালকের নিকট যাওয়ার পথে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পৌঁছে সিএনজিতে উঠেন। সিএনজিতে একজন মহিলা ও পুরুষ যাত্রী ছিল। টাঙ্গাইল আসার পথে শিরিনা বাদীর নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। বাদী তার নাম ঠিকানা বললে সে বলে তার বাড়িও কালিহাতী, টাঙ্গাইল শহরের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। কথার এক পর্যায়ে বাদিকে অশালীন অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করেন আসামী। পরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড পৌঁছালে ফরিদা উপস্থিত হয়ে বাদিকে অটোরিকশাযোগে দুপুরে পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া হাউজিং মাঠের পশ্চিম পাশে সোলায়মান এর বাসার ভাড়াটিয়া রাসেলের ঘরে নিয়ে যান।
আরো জানা যায়, বাসায় যাবার পর ফরিদা বাদীকে বলেন শিরিনা তার বোন হয় এখন তার সাথে আপনার যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। বাদী অস্বীকার করলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শণ করেন। এক পর্যায়ে বাদী ঘর থেকে বের হতে চাইলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাসেল, আলামিন, রাকিব ও রাজা ঘরে প্রবেশ করে বাদিকে খারাপ কাজ করতে এসেছে বলে গালিগালাজ ও মারধর করে। বাদী আসামীদের হাত পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তারা কোন কর্ণপাত না করে খারাপ কাজ করতে এসে ধরা খেয়েছেন এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশকে জানান। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভূক্তভোগী ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে প্রতারক চক্রের দুই নারীসহ ছয় জনকে আটক করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া পিপিএম জানান, গ্রেপ্তারকৃত ২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ১২/১৩/১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে এই ধরণের অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।