একতার কণ্ঠঃ গত ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ৩-১ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশকে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দেন মেয়েরা। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে বাংলাদেশ ভাসে আনন্দের জোয়ারে। সেখানে কৃষ্ণা রানী সরকারের জোড়া গোলে স্বাগতিক নেপালকে পরাজিত করে। তাই সারাদেশের সঙ্গে টাঙ্গাইলেও আনন্দের বন্যা বইয়ে যায়। শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে থেকে কৃষ্ণা রাণী সরকার ও কোচ ছোটনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
পরিবার ও কোচ ছোটনকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১২ টার দিকে একটি নোয়া গাড়ি চেপে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে আসেন কৃষ্ণা। তখন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ,টাঙ্গাইল ৫ আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক ডক্টর মো আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সরকার মোঃ কায়সার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মইনুল হোসেন লিম্টু সহ শত শত জনতা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন।
এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক স্বর্নলঙ্কার , জেলা প্রশাসক থেকে ১ লক্ষ টাকা , জেলা পুলিশ ১ লক্ষ টাকা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে ১ লক্ষ টাকা ও সাংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ২৫ হাজার টাকা, কৃষ্ণা রানী সরকারকে উপহার দেন ও সবাই কোচ ছোটনকে ৫০ হাজার টাকা সহ ক্রেস্ট উপহার দেন।
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কৃষ্ণা রাণী শুধু এই জেলার গর্ব নয় ও সারা বাংলাদেশের গর্ব তাই সকলের উচিত কৃষ্ণা কে দেখে সামনে আরো ভালো ফুটবলার হওয়া প্রয়োজন।
টাঙ্গাইল সদর আসনের সাংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, এই মাঠ থেকে বড় হয়েছে কৃষ্ণা সরকার ও ছোটন ভাই। তাই বলতে পারি নারী দলকে জয়ী করার পিছনে একমাত্র হাত রয়েছে ছোটন ভাইয়ের। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক ডক্টর আতাউল গনি বলেন, কৃষ্ণা রানী সরকার ও কোচ গোলাম রোব্বানী ছোটন টাঙ্গাইলের মাঠ থেকে বেড়ে উঠা। তাই টাঙ্গাইল বাসীর গর্ব করা উচিত এমন মানুষ পেয়ে।
কৃষ্ণা রানী সরকার বলেন, পৃথিবীর আলো দেখার পর কখনোই সুখের মুখ দেখিনি। যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি, সেদিন থেকেই বাবাকে কষ্ট করতে দেখেছি। আমার এই সাফল্য কোচ ও শিক্ষকদের সহযোগিতার জন্য হয়েছে। আমি তাদের ও টাঙ্গাইলবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আরও ভাল খেলে দেশকে কিছু উপহার দিতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া চাই।
কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব চন্দ্র সরকার বলেন, মেয়ের সাফল্যে খুব খুশি হয়েছি। মানুষ ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। কৃষ্ণা যেন দেশের জন্য আরও গৌরব বয়ে আনতে পারে সেই আশীর্বাদ চাই।
কোচ গোলাম রোব্বানী ছোটন বলেন, দেশের জন্য আরো কিছু করতে চাই। নিজেকে অনেক ভালআ লাগছে নিজের জন্মভূমিতে সংবর্ধনা পেয়ে ।
সকল বাধা পেরিয়ে নারী দল একদিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে এই প্রত্যাশা সকলের ।