একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার(২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নানা অভিযোগ করেন। সেই সাথে সহিংসতা বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। এসময় চেয়ারম্যান লাভলু মিয়ার সাথে কয়েকজন ভুক্তভোগী অনুসারী উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে লাভলু মিয়া লাবু লিখিত বক্তব্যে জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আফজাল হোসেনের কাছে তিনি পরাজিত হন। জয়লাভ করেই আফজাল হোসেন ও তার বাহিনী এলাকায় চাঁদা দাবি, কর্মী-সমর্থকদের ঘরবাড়ি -ভাংচুর সন্ত্রাসী কর্মকা- করছেন। যার প্রমাণাদী রয়েছে। তার কর্মী ফতেপুর গ্রামের আব্দুল মালেক, মিথিল, আজাহার উদ্দিন, আলিশাকান্দা গ্রামের আব্দুল হাকিম, ইউনুস আলী, আব্দুল মানিককে সন্ত্রাসী বাহিনী পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর একজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে ফতেপুর, আলিশাকান্দা, বিন্যাফৈর ও চারাবাড়ি গ্রামে কয়েকজন কর্মী-সমর্থকরা বাড়িতে থাকতে পারছে না। ইউনিয়নে সাধারণ মানুষও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এছাড়া নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগও তুলেন তিনি।
লাভলু মিয়া লাবু আরো বলেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আমি জনগণের ভোটে বিজয়ী হতাম। এলাকায় সহিংসতা চাই না। জনগণের শান্তি চাই। নির্বাচনের পর সহিংসতার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। আমরা নির্বাচন ও এসপি অফিসে লিখিত আবেদন দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দাইন্যা ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুল লতিফ, গিয়াস, আনোয়ার, রফিকুল, আব্দুল লতিফসহ গ্রাম ছাড়া বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক।
সংবাদ সম্মেলনে আনিত অভিযোগ প্রসঙ্গে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। আমার জনপ্রিয়তায় পরাজিত হয়ে লাভলু মিয়া তাল-বেতাল হয়ে গেছেন। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার সকল ষড়যন্ত্র তিনি শুরু থেকেই করছেন এবং এখনও চালাচ্ছেন। এটা পুলিশ প্রশাসন এবং এলাকাবাসী সবাই অবগত আছেন।