একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির নব-গঠিত কমিটি বাতিল চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছে পূর্ববর্তী কমিটির সাধারন সম্পাদক তনিমা ইসলাম। এ ছাড়া অন্য দুই সাংবাদিক পৃথকভাবে লিখিত আবেদন জমা দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) শুভ দে’কে সভাপতি ও মো. নুর এ আলম নুহাশকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির অনুমোদন দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক।
পূর্ববর্তী কমিটির সাধারন সম্পাদক তনিমা ইসলাম তার লিখিত আবেদনে জানান, কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও তাকে অবহিত না করেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা যে কোন সংগঠনের কমিটি গঠনের নিয়মের পরিপন্থী। এছাড়া কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত/জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সাংবাদিক সমিতির সাবেক একজন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির বিধান থাকলেও তা করা হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এছাড়াও কমিটিতে সেচ্ছাচারিতামূলকভাবে নতুন সদস্য সংযোজন ও পুরাতন সদস্য বিয়োজন করা হয়েছে।
দেশের কথা ও ক্যাম্পাস লাইভ ২৪.কম এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. এনামুল হক লিখিত আবেদনে জানান, ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে সভাপতি সাইফুল মজুমদার স্বাক্ষরিত ‘সাংবাদিকতায় কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে মাভাবিপ্রবিসাস’ এক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক সমিতিতে ৫০ টাকা দিয়ে সদস্য পদের ফরম জমা দেন। দুই বছর পেড়িয়ে গেলেও তাকে সদস্য পদে অন্তর্ভুক্ত না করে অনেকেই যারা কখনই সাংবাদিকতা করেনি তাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। এমনকি নব-গঠিত কমিটিতে সরকার ঘোষিত নিবন্ধন বাতিলকৃত অনলাইন পত্রিকা ‘আই নিউজ বিডি’ এর সাংবাদিকও রয়েছে। যা সাংবাদিক সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে।
নবযুগান্তর ও টাঙ্গাইল প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সোলাইমান মিঞা লিখিত আবেদনে মো. এনামুল হকের মত একই ধরনের অভিযোগ এনে আরও জানান নব-গঠিত কমিটির সভাপতি ‘শুভ দে’ নিজেও আমার কাছে কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপার। এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি নয়।