টাঙ্গাইলে ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে মাদ্রাসায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ ৩০ বেত্রাঘাত!


০৭:২০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২১
টাঙ্গাইলে ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে মাদ্রাসায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ ৩০ বেত্রাঘাত! - Ekotar Kantho
সাবিরের শরীরে ৩০টি বেত্রাগাতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে

একতার কণ্ঠঃদুপুরে বাড়ি থেকে মাদরাসার উদ্দেশে বের হয় সাবির মাহমুদ। পথে ভ্যানগাড়ির সঙ্গে বেঁধে তার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। ওই ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরেই সাবির ৩টার দিকে মাদ্রাসায় পোঁছায়। এই দেখে হাসাহাসি করে সহপাঠিরা। সেখানে আসেন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদ। তিনি এসে ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে আসার অপরাধে সাবিরকে অমানবিক বেত্রাঘাত করেন। এ সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে অন্য শিক্ষার্থীদের কোনো শাস্তি দেননি শিক্ষক আব্দুল মাজেদ।

সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গন্ধব্যপাড়া তাহফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসায় ওই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদ পলাতক আছেন ঘটনার পর থেকেই। তিনি নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা সদরের জমশেদ আলীর ছেলে।

আহত শিক্ষার্থী সাবির মাহমুদকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের সলিমনগর ভড়পাড়া গ্রামের শামীম আল মামুন পীর সাহেবের ছেলে।


সাবির মাহমুদের পরিবার জানায়, সাবিরের শরীরে ৩০টি বেত্রাগাতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। সন্ধ্যায় সাবির বাড়িতে গেলে পাঞ্জাবি খোলার পর পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। পরে সাবিরের অভিভাকরা মাদ্রাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করেন। একই সঙ্গে ইউএনও’র নির্দেশে সাবিরের বাবা মির্জাপুর থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।

এদিকে, মঙ্গলবার(১২ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষকদের ডেকে আনেন। সেখানে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদকে মাদ্রাসার থেকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

তাহফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিনের অফিসে বসা হয়েছিল। তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।