টাঙ্গাইলে নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় বাড়িতে হামলা, আহত ৪


০৯:৪৭ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২৪
টাঙ্গাইলে নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় বাড়িতে হামলা, আহত ৪ - Ekotar Kantho
বাড়িতে ভাঙচুর ও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ওই নারীর ভাই মকবুল হোসেন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক নারীর অর্ধনগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদ করায় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে। এই হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই নারীর মা, ভাই বোনসহ ৪ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলের বেলটিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আহতরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মকবুল হোসেন (২৫), তার মা মোছা. নূরন্নাহার বেগম (৬০), বোন মোছা. ফাতেমা বেগম (২৪) ও স্ত্রী মোছা. সুমাইয়া বেগম (২৩)।

আহতদের মধ্যে মকবুল হোসেন ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। অপর আহতরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়।

হামলার শিকার আহত মকবুল হোসেন বলেন, প্রায় ১ বছর আগে আমার ছোট বোনের অর্ধনগ্ন ছবি প্রতিবেশি চাঁন মিয়া তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। পরে ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জানাজানি হয় এবং বিষয়টি আমরা জেনে স্থানীয় জনপ্রতিধি ও মাতাব্বারদের জানালে তারা মিমাংসার আশ্বাস দিয়েও পরে সমাধান দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, এর কিছুদিন পর আমার বোনের নামে ফেক আইডি খুলে চাঁন মিয়া তার নিজের ছবিই ফেসবুকে পোস্ট করে আমার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে এনিয়ে বিভিন্ন সময় আমাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতো। এনিয়ে আবারও মাতাব্বরদের জানালে তারা সমাধান না দিয়ে কতিপয় কিছু মাতাব্বর উল্টো আমাদের উপর দোষ চাপায়।

তিনি বলেন, এরই জেরে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলমের মদতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে ফিরোজ, সজিব, বাবলু, ফিরোজ (২), সোহেলসহ ১৪ থেকে ১৫ জন লোক বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাকেসহ আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে মারধর করে এবং আমার বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এদিকে, অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, মিমাংসা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া মকবুল আমাকে ফাঁসানোর জন্য আপনাদের কাছে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা জানান, বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের খবরের বিষয়টি জানতাম না। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই। ভুক্তভোগীরা যাতে আইনি সহায়তা পায় সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ জানান, হামলার ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।