ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শিক্ষকদের মানববন্ধন


০৭:৩৪ পিএম, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে শিক্ষকদের মানববন্ধন - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা।

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর এএসএম সাইফুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর মো. মাসুদার রহমান, নির্বাহী সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ উমর ফারুক, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. আহসান হাবিব, কোষাধ্যক্ষ ডক্টর মো. খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক ডক্টর অনিমেষ সরকার, দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ডক্টর মো. জয়নুল আবেদীন, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডক্টর লুৎফুননেছা বারি, অধ্যাপক ডক্টর মো. ফজলুল করিম, ডক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ বলেন, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাকর এবং অবমাননাকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বেচ্ছাচারীভাবে নিজের মন মতো যে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ডিন, চেয়ারম্যান কারো কোনো কথার তোয়াক্কা করছেন না। আমার ধারণা উপাচার্য তার নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ঢাকাস্থ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড ডেকেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধাকে অগ্রাহ্য করেছেন এবং গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমরা তার কোনো কর্মকান্ড দেখিনি। এছাড়া এর আগে দুই বিভাগে চারজন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে উপাচার্য তার নিজ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন বলেও জানান তিনি।

মানববন্ধনে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সদস্য এবং লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ২০ বছরের অধিক সময়ের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব সময় নিয়োগবোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে। রবিবার যে নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা ছিলো সেটি উপাচার্য নিজের স্বার্থকে চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে গেছেন। এর আগে তিনি শিক্ষকদের ব্লাডি বলেছেন এবং বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন পুরুষ আছে বাকি সব মহিলা। এমন আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তার এই পদে থাকার নৈতিকতা কতটুকু।

শিক্ষক নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায় না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে নেওয়ার দাবি জানান।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।