একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি আব্বাস আলীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো ঘটনা ঘটেছে।
সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান ও স্থানীয় সন্ত্রাসী আজাদ দেওয়ান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাস আলী (৪৮)।
মঙ্গলবার (২ মে) বিকেল চারটার দিকে সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের এস ডি এস এলাকায় চায়না প্রজেক্টের কাজ দেখতে গিয়ে তিনি এ হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যানকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সুমন দেওয়ান ও আজাদ দেওয়ান এস.ডি.এস ও ধলেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল, অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটায় বাঁধা প্রদান করায় ভাইস চেয়ারম্যানের ওপর এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
হামলার শিকার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহত আব্বাস আলী জানান, অবৈধভাবে মাটি কাটা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় মানববন্ধন করা হয়। এ কারণে সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ানের সঙ্গে শ্রমিক নেতা আব্বাস আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার মাটি কাটার বিষয়ে বাঁধা প্রদান করলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বিকেল চারটার দিকে আমার সাথে লোকজন না থাকায় প্রতিপক্ষ সুমন দেওয়ান ও আজাদ দেওয়ান তার লোকজন নিয়ে আমার উপর আতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমি ও গাড়ী চালক জহুরুল ইসলাম (৩৪), সোলায়মান হাসান আইয়ুব (৩৮)সহ তিনজন আহত হয়েছি। বর্তমানে তিনজনই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।
অভিযুক্ত সাবেক কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান জানান, হামলার ঘটনাটি আমি জানিনা। এছাড়া হামলার ঘটনায় আমি ছিলামও না। আব্বাস ও তার বাহামভুক্তরা দৈনিক এলাকায় বিচারের নামে চাঁদাবাজি করে। এ ক্ষোভে মহিলারা তাকে ধাওয়া দিয়েছে বলে আমি শুনেছি। আমার নাম অহেতুক জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম জানান, হামলার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।