ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রীকে উত্যক্ত, জবি ছাত্র কেডি আটক


০৯:১৯ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রীকে উত্যক্ত, জবি ছাত্র কেডি আটক - Ekotar Kantho
কালীচরন দাস অরফে কেডি

একতার কণ্ঠঃ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে বহিরাগত কালীচরন দাস ওরফে কেডি (২৫) নামে এক উত্যক্তকারীকে আটক করা হয়ছে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। এর আগে ওই ছাত্রীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে কেডি ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

আটককৃত কালীচরণ দাস (২৫) সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার আনন্দ কুমার দাসের বড় ছেলে। সে এবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল এমবিএ কোর্সে ভর্তি হয়ে অধ্যয়নরত রয়েছেন।


জানা যায়, কালীচরন দাস (২৫) বিগত ৩ বছর ধরে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোন কলে, মেসেজে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলেন। এর প্রেক্ষিতে মেয়েটি ওই ছেলের ৯০টিরো অধিক নাম্বার ব্লক করে রাখে। তবুও সে মেয়েটিকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন করে হুমকি দেয় যে সে তার ক্যাম্পাসে এসে মেয়েটিকে দেখে নেবে।

এরই ধারাবাহিকতায় আটকের দুইদিন আগে কালীচরণ দাস ওরফে কেডি ভাসানী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ক্যাম্পাসে তার এলাকার পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪১৪-(গ) সিটে সুজন কুমার দাস নামে এক শিক্ষার্থীর নামে বরাদ্দকৃত সিটে বহিরাগত এই কালীচরণ দাস অবস্থান করে আসছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা যায়, ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র দাসসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেয়ের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য আদান প্রদান করে। পরে মেয়েটির সাথে তার নানারকম সম্পর্ক আছে বলে অপবাদ ছড়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের ওই ছাত্রীকে ফলো করে উক্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। কালী চরণ দাসের ক্যাম্পাসে অবস্থান এবং মেয়েটির ব্যাপারে নানারকম অপবাদ ছড়ানোর বিষয় আইসিটি বিভাগের ওই মেয়ে জানতে পেরে তার সহপাঠীদের জানায়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে উত্ত্যক্তকারীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বক্তব্য শুনে সত্যতাও পাওয়া যায়। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে জানা গেছে বিভিন্ন অবৈধ হোটেল ব্যবসার সাথে কালী চরন দাসের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তার পিতা আনন্দ কুমার দাস তার পুত্র কালীচরন দাস ভবিষ্যতে এই ধরনের কোন কাজ করবে না এই মর্মে মোবাইল কোর্টকে মুচলেকা দিয়েছেন। আনন্দ দাসের মুচলেকায় আমরা তার ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীম আল মামুন জানান, হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কাউকে হলে রাখা হলের আইনের পরিপন্থি।

তিনি আরো জানান, হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন বহিরাগত হলে রাখলে তার সিট তৎক্ষনাৎ বাতিলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।