একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন সহ তাসলিমা বেগম নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১২।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দূপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে গোড়াই এর মঈন নগর এলাকার রাজু আহমেদের স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় আরো ৫টি মাদকের মামলা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে র্যাব-১২ সিপিসি ৩ নং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমান জানান, অভিযান চালিয়ে ছয় গ্রাম হিরোইন সহ ওই নারীকে আটক করা হয়। পরে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাসলিমা বেগমকে মির্জাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দীপংকর বলেন, গত সোমবার (২২ মার্চ) রেদওয়ানা ইসলাম প্রসব ব্যথা নিয়ে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। এরপর থেকে সন্তানটি আইসিওতে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে) রাখা হলেও চারদিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দেন। কিন্তু নবজাতক হাসপাতালে থাকার কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালের একটি কক্ষ নিয়ে থেকে যান।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে তার স্বামী মিজান হাসপাতালে রেদওয়ানার সাথে দেখা করতে আসেন। বিকেলে হাসপাতালের নার্স রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে লক (তালা) দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে হাসপাতালের লোকজন কক্ষের ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে রেদওয়ানার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত রেদওয়ানা ইসলামের মামী খোদেজা বেগম ও মর্জিনা বেগম বলেন, ‘শিশুটিকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পর যখন আমরা বের হই তখন তার স্বামী কেবিনেই ছিলেন। ফিরে এসে তারা ওই কক্ষ বন্ধ দেখেতে পাই।’
তারা আরও বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে রেদওয়ানা ইসলাম টাঙ্গাইলে বদলী হয়ে আসেন। তার স্বামী টাঙ্গাইলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলী হয়ে যান। স্বামী-স্ত্রী দুইজন জেলা প্রশাসনের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।’
কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আলী হোসেন বলেন, ‘প্রসবজনিত কারণে খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম গত সোমাবার (২২ মার্চ) সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই দিন সিজার অপারেশনের মধ্যেমে কন্যা সন্তান প্রসব করেন তনি। বাচ্চা অসুস্থ থাকায় তিন তলায় ভর্তি রাখা হয়। মা সুস্থ হয়ে উঠায় শুক্রবার রেফার্ড করা হয়েছিল।’
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার(নিউ ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশাই-তুরাগ-বুড়িগঙ্গা রিভার সিস্টেম) প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ এগার বছরেও শেষ না হওয়ায় প্রতি বছর স্থানীয়দের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যমুনায় প্রতিদিন ১ থেকে ২ সেণ্টিমিটার করে পানি বাড়ায় প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে, বিগত ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সম্পন্ন করার নিমিত্তে ৯৪৪ কোটি ৯ লাখ ৭ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়(মূল ডিপিপি অনুযায়ী) ধরে বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়। পরে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। দ্বিতীয় বার সময় বর্ধিত করা হলেও প্রকল্পটি অসমাপ্ত থেকে যায়। বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় ডিপিপিতে সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর কারণে প্রকল্পের ব্যয় ১৮১ কোটি ৫০ লাখ ২৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত বাড়িয়ে এক হাজার ১২৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা করা হয় এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের টাঙ্গাইল অংশের(২০.৫ কি.মি.) নদী খননের কাজ ধলেশ্বরী ও পুংলি নদী এলাকার ১৪.৫ কিলোমিটারে ড্রেজারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এতে টাঙ্গাইল অংশের ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোপূর্বে ড্রেজারের মাধ্যমে নদী খনন করা হলেও পরের বর্ষায় পলি জমে নদী ভরাট হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আবার নদী খনন করে পলি সরাতে হয়। এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় আবারও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। বার বার সময় ও ব্যয় বাড়ানো হলেও প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে জনভোগান্তির অবসান ঘটছেনা।
সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক অন্যতম বৃহৎ এ প্রকল্প এলাকা পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার, পাউবো’র প্রধান প্রকৌশলী(ডিজাইন) মো. হারুন অর রশিদ, ময়মনসিংহ অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকেীশলী মো. শাজাহান সিরাজ এবং পওর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মতিন সরকার সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন, সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কাজ শেষ করার পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়েছেন।
সরেজমিনে যমুনা, ধলেশ^রী ও পুংলি নদী তীরবর্তী বিয়ারামারুয়া, বেলটিয়া, হাট আলিপুর, ভৈরববাড়ি, আলিপুর, কুর্শাবেনু, বেনুকুর্শা, গোবিন্দপুর, জোকার চর, সল্লা, মীরহামজানী, আনালিয়াবাড়ী, হাতিয়া, ধলাডেঙ্গর ও এলেঙ্গা এলাকার লোকজন জানায়, পাউবো খননের নামে প্রতি বছর বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহোৎসব চালাচ্ছে। পাউবো নিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন দিনরাত অবৈধ বাংলা ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। চলতি বছর পাউবো নদী খনন না করলেও বালু খেকোরা অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে নদীতীরে খনন করছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের আশঙ্কা প্রবলতর হচ্ছে।
তারা জানায়, বর্তমানে যমুনায় ১-২ সেন্টিমিটার করে প্রতিদিন পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে যমুনার এ পানি বৃদ্ধি স্থায়ী নয়, চৈত্র-বৈশাখে আবার পানি কমবে। দ্রুত কাজ না করলে প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, পাউবো’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে যমুনায় স্পীডবোট নিয়ে ঘোরাফেরা করেন আর পানির গভীরতা পরিমাপ করেন। এলাকার মানুষের সাথে কোন কথা বলেন না। নদীতীরের মানুষই তাদের সুখ-দুঃখের কথা ভালো বুঝেন। এলাকার মানুষের সাথে কথা বললে তারা স্থানীয় মানুষের অভিব্যক্তি অনুভব করতে পারতেন।
টাঙ্গাইল পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। যমুনায় পানি একটু একটু বাড়লেও এটা স্থায়ী নয়, পানি আবার কমে যাবে।
পাউবো কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের পরিচালক(পিডি) আব্দুল মতিন সরকার বলেন, পাউবো’র কর্মকর্তাদের তদারকিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো যে গতিতে কাজ করছে তাতে চলতি বছরই বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। আগামি বর্ষা মৌসুম থেকে এর সুফল স্থানীয়রা পেতে শুরু করবে।
প্রকাশ, খনন কাজে টাঙ্গাইলের ২০.৫ কিলোমিটারের মধ্যে ধলেশ্বরী ও পুংলি নদীর কুর্শাবেনু, বেনুকুশা, গোবিন্দপুর, জোকার চর, মীরহামজানী, আনালিয়াবাড়ী, ধলাডেঙ্গর ও এলেঙ্গা এলাকার ১৪.৫ কিলোমিটারে ড্রেজারের মাধ্যমে উত্তোলিত ১৬ লাখ ৬ হাজার ২০০ঘনমিটার ড্রেজড বালু টেন্ডারের মাধ্যমে ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
একতার কন্ঠ ডেস্কঃ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে খুন হলেন আলিমুল মোল্লা(৩২) নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌর এলাকার যমুনা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (প্রাঃ) হাসপাতালের সামনে।
জানা গেছে, নিহত আলিমুল মোল্লা(৩২) পৌর সদরের বাইমহাটি এলাকার সেলিম মোল্লার ছেলে। সে পেশায় মির্জাপুর পৌরসভার এক জন পরিচ্ছন্নকর্মী ছিলেন বলে তার পরিবার জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১১টার দিকে অন্য এলাকার এক দম্পতি রাস্তায় ধস্তাধস্তি করে। এক পর্যায়ে এলাকার কিছু লোক জন তাদের থামাতে এগিয়ে যায়। এসময় একই গ্রামের আমান উল্লাহ’র ছেলে অভিযুক্ত ছাব্বির (৩৫) যমুনা জেনারেল হাসপাতালের দারোয়ান ডিউটিরত থাকাবস্থায় ঘটনাস্থল গিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়।
পরে ছাব্বির উত্তেজিত হয়ে নিচে অবস্থিত চায়ের দোকান থেকে একটি ছুরি নিয়ে আলিমুলের পেটে ছুরি মারে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে পাশের যমুনা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করে। কুমুদিনী থেকে তাকে ঢাকা নেয়ার পথে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ছাব্বির নামের এক ব্যক্তি আলিমুল নামের পরিচ্ছন্নকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা করছি।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের বংশাই নদীর মির্জাপুর উপজেলার ‘একাব্বর হোসেন এমপি সেতু’র পশ্চিম পাশ থেকে রোববার(২১ মার্চ) সকালে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে বংশাই নদীও ওই স্থানে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন জানান, নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের বিভিন্ন অংশে পঁচে-গলে গেছে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন ধরিয়ে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।সোমবার (১৫ মার্চ) উপজেলার আনাইতারা ইউনিয়নের চামারী ফতেপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চামারী ফতেপুর গ্রামের রেজন মিয়ার মেয়ে রোজিনা আক্তার (২৩)। সে লাউহাটি এম.আরফান আলী ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, নিহত রোজিনা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত (প্রতিবন্ধী) ছিলো। একমাস ভালো থাকলে অন্য মাস খারাপ থাকতো। কোনো চিকিৎসা করেও সুফল পায়নি তার পরিবার। সোমবার সকালে হঠাৎ তাদের ঘরের ভেতরের (গোসলখানা) থেকে ধোয়া বের হতে থাকলে সেটি দেখে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।
পরে গোসলখানার দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে রোজিনা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে নামাজের জানাযা শেষে বাদ আসর তাকে তার গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, আত্মহত্যার খবর শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেননি।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মালবাহী একটি লরি থেকে ৭৪ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাব-৩ এর সদস্যরা। ৭৪ কেজি গাঁজার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৯ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
শনিবার (৬ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই ইউনিয়নের জোরপুকুর এলাকা থেকে ৭৪ কেজি গাঁজা, একটি মালবাহী লরি এবং ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে র্যাব-৩।
আটককৃতরা হলেন, কুমিলা থানার উলুরচর গ্রামের মৃত বশরত এর ছেলে মো. জামাল (৩৬) এবং একই থানার তারাপুর গ্রামের এসহাক মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩৫) বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্যাসের চুলার সরঞ্জাম নিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী একটি লরি (চট্ট মেট্রো ঢ-৮১২২৭৫) গ্যাসের চুলার সরঞ্জামের সাথে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নেয়া হচ্ছে। এমন গোপন তথ্য পেয়ে মহাসড়কের জোরপুকুর এলাকায় অবস্থান নেয় র্যাব-৩ এর সদস্যরা। পরবর্তীতে ওই লরি থেকে ৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা। সেই সাথে লরি, ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, এ ঘটনায় আটককতৃদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
একতার কণ্ঠ ডেক্সঃ বয়স তার ৫০, নাম সুবল রাজবংশী। অনাহার-অর্ধাহারে জীর্ণ শরীর। বয়সের ভারে নয় পুষ্টির অভাবে ন্যূয়ে পড়েছে। জীবনযুদ্ধে পরাজিত সুবল রাজবংশী বর্তমানে নিজ ভূমে পরবাসী। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের সূতানরী গ্রামে।
পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬০ শতক ভূমি ১৫ বছর ধরে গ্রামের প্রভাবশালীরা জবর দখল করে রেখেছে। সুবলের বসতভিটা-জমি নিয়ে গ্রাম্য সালিশ-দরবার হয়েছে বিস্তর, কোন সমাধান হয়নি।
সংখ্যালঘু হওয়ায় প্রভাবশালীদের ভয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে গ্রামে যেতে পারেন না তিনি- যে কোন সময় চাপে ফেলে বাড়ি-জমি লিখে নিতে পারে জবর দখল কারীরা।
কিছুদিন বাস করেছেন মামা চান মোহন রাজবংশীর বাড়িতে। এখন তিনি গাজিপুরের চন্দ্রায় ভাড়া ঝুঁপড়িতে স্ত্রী চিত্রা রাজবংশীকে নিয়ে বাস করছেন এবং কিশোর ছেলে সুকুমার রাজবংশীকে(১১) নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দিনমজুরি করে দিন কাটাচ্ছেন। কথা বলতে গিয়ে ছেলের ভবিষ্যত ভাবনায় হামেশাই অশ্রু ঝড়ান সুবল।
সরেজমিনে জানা গেছে, ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর মৌজার গ্রামের স্বর্গীয় গণেশ রাজবংশীর ছেলে সুবল রাজবংশীরা বংশ পরম্পরায় সূতানরী গ্রামের বাসিন্দা। সুবল রাজবংশী দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। মেয়ে বিনোদিনী রাজবংশী ও নূপুর রাজবংশীকে অন্য উপজেলায় বিয়ে দিয়েছেন।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় স্থানীয় ছালাম খান, মানিক খান, হযরত খান, ফরিদ খান ও ছানু খানের পূর্বপুরুষরা আসাম থেকে এসে সূতানরী গ্রামে বসতি স্থাপন করে।
সুবল রাজবংশীর বিএস-৩২৮ খতিয়ানে ২২৪ নং দাগের ২৪ শতক বসত ভিটা ভাগাভাগি করে বসবাস করছেন একই গ্রামের মৃত মজিদ খানের দুই ছেলে ছালাম খান ও মানিক খান এবং মৃত রুস্তম খানের ছেলে হযরত খান ও মৃত কাশেম খানের ছেলে ফরিদ খান।
একই খতিয়ানের ২২৩ দাগের ১৯ শতাংশ কান্দা ভূমি ছালাম খান ও মানিক খান জবরদখলের মাধ্যমে ভোগ করছেন। ওই খতিয়ানের ৪৫৯ দাগের ১৭ শতাংশ নামা ভূমি মৃত ধলা খানের ছেলে ছানু খানের দখলে রয়েছে। নিজ নামে পৈত্রিক ৬০ শতাংশ বাড়ি-জমির মালিক হলেও সুবল রাজবংশী সংখ্যালঘু হওয়ায় প্রভাবশালীরা তাকে পরিবারসহ সূতানরী গ্রাম থেকে কৌশলে বিতারিত করেছে।
এ বিষয়ে সুবল রাজবংশী ইতোপূর্বে মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে মির্জাপুর থানায় তলব করা হয়- সেখানেও বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি। সর্বশেষ সুবল রাজবংশী গত ২৫ জানুয়ারি প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
সূতানরী গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ মিয়া(৬৫), আব্দুল করিম(৭০), নিরঞ্জন রাজবংশী(৫০), নরেশ রাজবংশী(৪০) সহ অনেকেই জানান, সুবল রাজবংশী অত্যন্ত সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। স্থানীয় নদী ও মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার বাবা-কাকারা তিন ভাই ছিলেন- স্বর্গীয় গণেশ রাজবংশী, স্বর্গীয় জিতেন রাজবংশী ও স্বর্গীয় জিনি রাজবংশী। স্বর্গীয় জিতেন রাজবংশী ও স্বর্গীয় জিনি রাজবংশী স্বাধীনতার আগে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে ভারতে চলে যান।
কিন্তু স্বর্গীয় গণেশ রাজবংশী তার অংশের সম্পত্তি বিক্রি করেন নাই এবং সুবল রাজবংশী অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকাকালে দেশেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সুবল রাজবংশী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, পৈত্রিক ৬০ শতক বসতবাড়ি-জমি থাকা সত্বেও তিনি ভূমি ও ঠিকানাহীন। সংখ্যালঘু হওয়ায় তার সম্পত্তি ছালাম খান ও তার আত্মীয়রা গায়ের জোরে জবরদখল করে নিয়েছে।
বার বার গ্রাম্য সালিশ-বিচারে উপস্থিত হয়ে জমির কাগজপত্র দেখিয়েও তিনি বাড়ির দখল ফিরে পাননি। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করায় ডিবি এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে এসেছে। কিন্তু কোন প্রতিবেদন দেয় নাই। এলাকায় থাকলে জবরদখলকারীরা তাকে মেরে ফেলতে পারে তাই তিনি স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে চন্দ্রায় দিনমজুরি করে কোন রকমে বেঁচে আছেন।
অভিযুক্ত ছালাম খানের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী বয়োবৃদ্ধ রহিমা খানম জানান, সুবল রাজবংশী বাড়ির কিছু অংশের মালিক। সুবল চাইলে বসবাসের জন্য তারা বাড়ি ছেড়ে দেবেন। তবে সুবল যদি তার জায়গা বিক্রি করতে চায় তারা বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনে রাখবেন।
ছালাম খানের ভাতিজা মো. রুবেল খান জানান, তারা কারো সম্পত্তি জবরদখল করেননি। বাড়ি ও জমির দলিল তাদের কাছে রয়েছে। প্রয়োজনে যথাস্থানে উপস্থাপন করা হবে। তবে সুবল যদি জায়গা বিক্রি করতে চায় তারা কিনে নেবেন।
ফতেহপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মজনু মিয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বার বার সালিশের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম দিকে অভিযুক্ত ছালাম খানরা তাদের কাছে ওই জমির দলিল আছে বলে জানিয়েছে পরে আর কোনদিন সালিশে হাজির হয়নি।
ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রৌফ মিয়া জানান, সুবল রাজবংশীর বাড়ি ও জমি নিয়ে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। ছালাম খানরা বিষয়টির সমাধান চাইলেও পরে আর সালিশে উপস্থিত হয়নি। মূলত: সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন তালুকদারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি-দক্ষিণ) অফিসার ইনচার্জ আমীর হোসেন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি অবগত নন। তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আব্দুল হাই নামে এক ইউপি সদস্যকে চুরি মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার(১ মার্চ) চুরি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিচারক সুমন কুমার কর্মকার তাকে জেলহাজতে পাঠান। বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল হাই উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আব্দুল হাই প্রায় ৬ মাস পূর্বে তরফপুর গ্রামের প্রবাসী জলিল দেওয়ানের বাড়িতে শিদ কেটে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালানোর সময় গৃহকর্তৃ নুরজাহান দেখে ফেলেন। গ্রাম্য শালিসে চুরির বিষয়টি প্রমানিত হলেও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেয়নি তিনি। পরে নুরজাহান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন।
আদালত এই চুরির মামলাটি মির্জাপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সোমবার ইউপি সদস্য আব্দুল হাই টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান।
একাতার কন্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা ও রাজনীতিক মোহাম্মদ আলীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় একমঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয়পার্টির নেতারা। সোমবার(২২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল ক্লাব মিলনায়তনে ওই স্মরণসভায় প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের জেলা পর্যায়ের শীর্ষনেতাদের সৌহার্দপূর্ণ উপস্থিতি জনমনে নানা আলোচনার জন্ম দেয়।
টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট রাজনীতিক বীরমুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক(একুশে পদক প্রাপ্ত)।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিন
, জেলা বিএনপি নেতা ও ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খালেক মন্ডল, ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন অর রশিদ, করটিয়া সরকারি সাদৎ কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলাল, জেলা কুলি-মজদুর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি উদয় লাল গৌড় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আদর্শে দীক্ষিত শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলী আজীবন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থেকেছেন। জেলার বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে তিনি অনশন পালন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। গড্ডালিকায় গা ভাসিয়ে না দিয়ে তিনি সারা জীবন সাধারণ জীবন-যাপন করেছেন।
স্মরণসভায় জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ, বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ আলী ৬২ বছর বয়সে টাঙ্গাইল শহরের আদালত পাড়ার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।