টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সার সংকটে বিপাকে কৃষক


০৩:২৩ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২১
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সার সংকটে বিপাকে কৃষক - Ekotar Kantho
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সারের জন্য কৃষকের দীর্ঘ লাইন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলতি ভরা মৌসুমে সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম বিপাকে পরেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সোমবার (৮ নভেম্বর) মির্জাপুরের বিভিন্ন হাট-বাজার, ডিলারের দোকান এবং কৃষি অফিস ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় কৃষি বিভাগ, সারের ডিলার এবং হাট বাজারে চড়া দামেও সার পাচ্ছে না। সার সংকট থাকায় এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় সরিষারসহ আলু ও শীতকালীন ফসলের আবাদ না হওয়ার আশংকা করছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন,পরিবহন ধর্মঘটসহ গোডাউনে সার বিতরণে বিভিন্ন অংসগতির কারনে ডিলারগণ সার উত্তোলন করতে পারছেন না। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের ডিএপি এবং এমওপি সারসহ বীজ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে ৯ হাজার ৫০০শত হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। যা টাঙ্গাইল জেলার ১২ উপজেলার মধ্যে সর্বাধিক।নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ হতে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সরিষার আবাদ হয়ে থাকে। এ সময় ডিএপি এবং এমওপি সারের চাহিদা থাকে বেশী।

আগামী ১৫-২০ দিনের জন্য উপজেলায় সারের প্রয়োজন হবে ১১শ মেট্রিক টন থেকে ১৪শ মেট্রিক টন। এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই হঠাৎ করে সারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। টাঙ্গাইল, জামালপুর ও নারায়নগঞ্জ গোডাউন থেকে ওই সারের সরবরাহ করার কথা থাকলেও গত ১০-১২ দিন ধরে সরবরাহ কমে গেছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চার হাজার ২১০ জন কৃষককে ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি এবং আলু বীজ দেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, এখন সরিষা বপনের ভরা মৌসুম। এই মৌসুমে ডিলার ও হাট বাজারে সারের দোকানে সার পাওয়া যাচ্ছে না। চড়া দাম দিয়ে সারের কোন সন্ধান না পাওয়ায় তারা চরম বিপাকে পরেছেন। সারের অভাবে সরিষা, আলুসহ শীতকালীন ফসলের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টির নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা সার ডিলার মালিক সমিতির সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন এবং ডিলার মো. আব্দুল করিম বলেন, গত বছর এই মৌসুমে সারের বরাদ্দ ছিল ৫০ টন। চলতি মৌসুমে বরাদ্দ মাত্র ১৮ টন। বরাদ্দ কম এবং কৃষি বিভাগের গাফিলতির কারনে নির্ধারিত সময়ে সার পাওয়া যাচ্ছে না। গোডাউন থেকে সার উত্তোলন সমস্যা এবং পরিবহন সংকটসহ সুষ্ঠ তদারকির অভাবে সার সরবরাহ করতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।এলাকার কৃষকদের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ মশিউর রহমান জানায়, পরিবহন সংকটসহ বিভিন্ন কারনে সরিষা মৌসুমের সময় সারের সাময়িক সংকট চলছে। তবে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের মধ্যে সরকারী প্রণোদনার বিনামূল্যে ৪ হাজার ২১০ জন কৃষককে ২০ কেজি হারে ডিওপি এবং১০ কেজি হারে এমওপি সারসহ বীজ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা যাতে হয়রানীর শিকার না হন এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


খবরটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।