একতার কণ্ঠঃ বেতন-বোনাসের দাবিতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াইয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেছে নাহিদ কটনমিলের শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে অবরোধ শুরু হয়। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়কের দুইপাশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
শ্রমিকরা জানান, শ্রমিকদের ঈদের বোনাস না দিয়ে শুধু অর্ধেক বেতন দিতে চায় কারখানার মালিক। এ কারণে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাংচুর শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা মহাসড়কের অবস্থান নেয়। তবে পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ জানান, শ্রমিকরা তাদের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
একতার কণ্ঠঃ রাস্তার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কে যানজট না হওয়ার কথা জানালেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াইয়ে নির্মিত ফ্লাইওভার পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ঈদের আগেই ২৫ এপ্রিল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের গোড়াই ফ্লাইওভার ও সিরাজগঞ্জের নকল ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। যাতে করে ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকে। যদিও এসব কাজের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। বিশেষ বিবেচনায় ঈদের আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে এসব অংশে যানজট হওয়ার সম্ভবনা নেই। বিকল্প রাস্তাগুলোতে যদি গাড়িগুলো ডাইভার্ট করে দেয়া যায় তাহলে মহাসড়কে ট্রাফিক চাপ কমবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রাণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের একটি সেন্টাল কন্টোল রুম থাকবে। বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা থাকবে। এছাড়াও মহাসড়কে পুলিশের পক্ষ থেকেও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের সাথেও আমরা কিছু কিছু বিষয় সমন্বয় করছি। ২ বছর করোনার পরিস্থিতির পরে এবার ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা প্রস্তত রয়েছি।
এ সময় সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী একেএস মনির হোসেন পাঠান, সাসেকের প্রকল্প পরিচালক মো. ইসাক, সাসেক-১ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নূরে আলম, টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামসহ সড়ক বিভাগেরর অন্যন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঈদ যাত্রায় বিগত সময়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল- মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার পর্যন্ত দুই লেন হওয়ায় এই ১৩ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজট হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গসহ ২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১২/১৩ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। ঈদের আগে ৩৫/৪০ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। কোন কোন সময় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার গাড়িও পারাপার হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক যানবাহন পারাপার হওয়ায় দুই লেনের সড়কে যানজট লেগে যায়।
একতার কণ্ঠঃ সাম্প্রদায়িক আধিপত্য ও উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী কর্তৃক সংগঠিত ধারাবাহিক অপরাধ ষড়যন্ত্র, অবৈধ সমাবেশ, হুমকি, দোকান ভাংচুর ও বন্ধকরণ, একঘরে করণ, ঈদের নামাজ ও কুরবানী নিষিদ্ধকরণ, চুরি, ডাকাতি, চাদাদাবী, হামলা, মিথ্যাচার, অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সংবাদপত্রে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদ এর প্রতিবাদে গত ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ও ১২ ই মার্চ ২০২২ ইং তারিখে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ মো. দুলাল মিয়া টাংগাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের বিবৃতি ও বাস্তবসম্মত সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত, প্রচারিত হয়।
সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ও আইন বিরোধী আচরণের সংবাদ ইতোপূর্বে ১১, ২০ ও ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ইং তারিখে পাঁচটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা মিথ্যা তথ্য প্রচার করতে থাকে।
নিরুপায় ও অসহায় হয়ে এসবের প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ ইং তারিখে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বরাবর মেছের আলী আবেদন করেন।
দুলাল মিয়া বলেন, মেছের আলীর মামলায় সদ্য জামিনে মুক্ত আসামীরা তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিয়ে ভয়ংকর অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে এবং সমগ্র দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র পূর্বক, গত ২২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ ইং তারিখে সকাল ১১ টায় সিংজুরী নাট মন্দিরের সামনে প্রকাশ্য জনসম্মুখে অবৈধ সমাবেশের মাধ্যমে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে সাংবাদিকদের শতভাগ মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাঁচটি পত্রিকায় শতভাগ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায়। মানববন্ধন ইস্যুতে উক্ত অবৈধ সমাবেশে দুলাল মিয়া, মেছের আলী ও তাদের পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর বিবৃতি প্রদান করে সন্ত্রাসীরা এবং বিভিন্ন সাংগঠনিক পরিচয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের অপকর্মের সমর্থন চেয়ে সাংবাদিক ও দেশবাসীকে উদ্ধাত্তভাবে আহবান করে। সন্ত্রাসীদের উগ্রতা, মিথ্যাচারের ভিডিও, পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদ ফেসবুকে পোস্টিং, লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ারিং এর মাধ্যমে সমগ্র দেশে প্রচার করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসী কর্তৃক সংগঠিত ধারাবাহিক অপরাধ ও সৃষ্ট উগ্র সাম্প্রদায়িকতার কারণে মেছের আলীসহ প্রায় ২০০ (দুইশত) টি পরিবারের ২০০০(দুই হাজার) জন ব্যক্তি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
লিখিত বক্তব্যে দুলাল মিয়া বলেন, টাংগাইলের মির্জাপুর উপজেলার সিংজুরী গ্রামের আশুতোষ সরকার, গৌড় সরকার, নুরুল ইসলাম এর নেতৃত্ত্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম ও মেম্বার নাজিম উদ্দিন সহ স্থানীয় ৩০-৩৫ জন একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তুলেছে যা সাংগঠনিকভাবে দেশব্যাপী বিরাজমান।
তিনি আরও বলেন, এই সকল সন্ত্রাসীরা নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী একজন অপরজনের সহিত আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। এদের অনেকে আত্মীয়তার সূত্রে অন্যত্র হতে এসে অত্র গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। নৈতিকতা বিরোধী অপরাধের জন্য এদের অনেকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে একাধিক গ্রাম্য সালিস হয়েছে। চক্রটির অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। চক্রটির অনেকে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায় জড়িত। শান্তি, সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাপূর্বক স্বাধীন, স্বাভাবিক ও নিরাপদ জীবন যাপন নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক মর্মে তিনি বিবৃতি প্রদান করেন।
লিখিত বক্তব্যে দুলাল মিয়া আরও বলেন, সন্ত্রাসী চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নৈকট্য লাভ করে এলাকায় বিশেষ আধিপত্য বিরাজ করে আসছে। অপরদিকে, সংখ্যা লঘু আইনের প্রচার এবং অপকৌশল ব্যবহার করে মন্দিরে নিয়মিত সমাবেশ করে ধারাবাহিক অপরাধ করছে। হিন্দু ইজম, হিন্দু আধিপত্য, ভীতি সৃষ্টি, অবৈধ চুক্তি এবং অবৈধ তদবীরের মাধ্যমে তারা পারিপার্শ্বিক সব নিয়ন্ত্রণ করছে। সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে দুলাল মিয়া বলেন, সন্ত্রাসীদের সকল অপকর্মের প্রতিবাদ করায় মেছের আলীর একমাত্র আশ্রয় আমাকে নির্ণয় করে আমাকে হয়রানী করছে সাংগঠনিকভাবে। আমার উপর দোষ চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে, আমি অন্যয়ের প্রতিবাদ করছি, সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে আছি, থাকবো, আমার প্রতিবাদ ন্যায় সঙ্গত, বিধি সম্মত। তিনি আরও বলেন, সমস্যার শুরুতেই আমরা জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করেছি, সবাই জানে সমস্যাটা কোথায়, তাই হয়তো কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেন না, কিন্তু বাস্তবতা সবাই বুঝেন। শান্তি সমাধানের জন্য সন্ত্রাসীদের সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের কৌশল হলো, বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিকে তাদের সাথে সম্পৃক্ত করা এবং আমাদের প্রতিপক্ষ করা, যাতে কেউ আমাদের নৈতিক সমর্থন না করে। সবাইকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চাই না, এটা সম্ভব না, যদিও ইউনিয়ন পরিষদ কে আমাদের প্রতিপক্ষ করেছে।
তিনি আরও বলেন, মেছের আলীর ক্রয়সূত্রে রেজিস্ট্রি দলিলমূলে ২৭ বছরের স্বত্ব দখলীয় ভূমি বেআইনীভাবে একই গ্রামের রতন বিশ্বাস কে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সাংগঠনিক এজেন্ডায় ইস্যু তৈরী করে। পারিপার্শ্বিক সকল কিছু সন্ত্রাসীরা নিয়ন্ত্রণপূর্বক, মেছের আলীর একমাত্র আশ্রয় আমাকে নির্ণয় করে আমাকে এবং মেছের আলী কে হয়রানী করে আসছে সাংগঠনিকভাবে।
লিখিত বক্তব্যে দুলাল মিয়া বলেন, ২০২১ সালের ৪ মার্চ ও ৩১ মার্চ মেছের আলী ভূমি বিষয়ে ১৪৪ ধারা ও ঘোষণামূলক মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক দখলাবস্থা বজায় রাখার আদেশ হয়। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে ২৪ এপ্রিল/২১ মির্জাপুর থানা কর্তৃক শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নোটিশ জারী করা হয়। গত ২৪ শে মার্চ/২১ রতন বিশ্বাস বাদী হয়ে হুমকির মিথ্যা একটা মামলা দায়ের করে। গত ৯ মে/২১ মেছের আলী বাদী হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চুরি, চাদাদাবীর মামলা দায়ের করেন। পাঁচবারের সকল তদন্তে মেছের আলীর দাবী এবং অভিযোগের সত্যতা মিলে, নামজারী ও তদন্ত প্রতিবেদনসহ ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তার চারটি প্রতিবেদন মেছের আলীর পক্ষে, বিজ্ঞ আদালতের চারটি মামলার সকল আদেশ মেছের আলীর পক্ষে। রতন বিশ্বাস কর্তৃক দায়েরকৃত হয়রানীমূলক হুমকির মামলায় গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী/২২ মেছের আলীসহ চারজন অব্যাহতি পেয়েছে। মির্জাপুর থানার দুটি তদন্তে সন্ত্রাসীরা অপকর্মের স্বীকারোক্তি দিয়ে আপোষ মীমাংসার অজুহাতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ও মির্জাপুর থানার নোটিশ অমান্য করে সন্ত্রাসীরা ধারাবাহিকভাবে অপরাধ করেছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মির্জাপুর থানায় একাধিক জিডি, অভিযোগ, আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভূমি বিষয়ে মেছের আলীর দায়েরকৃত তিনটি মামলা, থানায় দায়েরকৃত জিডি, অভিযোগ যৌক্তিক, প্রাসঙ্গিক, আবশ্যকীয়। রতন বিশ্বাসের দায়েরকৃত হয়রানীমূলক হুমকির মামলার আর্জির বিবৃতি শিষ্টাচার বহির্ভূত, প্রত্যেকটি বক্তব্য মিথ্যা, ধারাবাহিক অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। চক্রটি কর্তৃক অদূর ভবিষ্যতে খুন, জখম, অপহরণের ইঙ্গিত বহন করে। বিজ্ঞ আদালতে রতন বিশ্বাস গং যে জবাব দাখিল করেছে, তাতে প্রত্যকটি বিবৃতি মিথ্যা। সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের শতভাগ মিথ্যা তথ্য দিয়ে যেসকল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে, তার প্রত্যেকটি বক্তব্য মিথ্যা। সকল মিথ্যাচার, অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র, অপকর্ম কে প্রতিরোধ করে সত্য স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি বিবৃতি প্রদান করেন।
দুলাল মিয়া বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বরের সংবাদ সম্মেলনের খবর প্রকাশিত হলে, সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয় দে, তারা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করবে, প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে। গত বছরের ২ মে থেকে বন্ধ মুদি দোকানের ডিসেম্বর/২১ পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করেও নিরুপায় হয়ে সিংজুরী নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ভূমিতে মেছের আলী দোকান চালু করেন। গত ০৩ জানুয়ারী, ২০২২ রাতে সন্ত্রাসীরা উক্ত দোকানের সামগ্রী ভাংচুর করে। গত ৫ ই ডিসেম্বর র্যাব, মহাপরিচালক বরাবর মেছের আলী আবেদন করেন। মেছের আলীর জমিতে কোনো কৃষি শ্রমিক, ট্রাক্টর যাতে যেতে না পারে সেমর্মে আসামীরা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি করেছে। আমিসহ মেছের আলী ও তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন কে হয়রানী করার জন্য আসামীরা নিয়মিত ষড়যন্ত্র করছে, হুমকি প্রদান করছে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। অদ্যাবধি সন্ত্রাসীদের মোট আট টি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলেও সন্ত্রাসীরা কোনো জবাব দেয় নাই, সংশোধন হয় নাই, সতর্ক হয় নাই, ধারাবাহিকভাবে বহুমুখী অপরাধ করে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে দুলাল মিয়া বলেন, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নাটকীয়তা, হঠকারীতা, মিথ্যাচার, উৎপাত, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, প্রতারণা, অপপ্রচার, মিথ্যা স্বাক্ষ্য প্রদান, কুপরামর্শ, পরোচনা, অপ্রাসঙ্গিকতা, বিশিষ্ট ব্যক্তির রেফারেন্স ব্যবহার ও বিভ্রান্তিকর প্রচারনা, দায়িত্বশীল ব্যক্তির ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারসহ বহুমুখী কৌশল ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে আসছে। খুন, জখম, গুম, ছিনতাই, অপহরণ, চাকরিচ্যুতি, সাসপেন্ড, ডিমোশন, পোস্ট ব্লক ইত্যাদির হুমকি দিয়ে আসছে। এসিড নিক্ষেপ, অগ্নি সংযোগ, গণধর্ষণ, মন্দির ভাঙ্গার কেস, সংখ্যা লঘু নির্যাতন সহ বিভিন্ন রকম হয়রানী মামলা দায়ের করবে মর্মে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা আরও কিছু নোংরা কৌশল ব্যবহার করে সংখ্যাধিক্য ও অনৈতিক সমর্থন নেয়ার কাজ করছে যা প্রকাশ করা যাবে না। সন্ত্রাসীদের কৌশল কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। মির্জাপুর থানায় আপোস মীমাংসার মাধ্যমে রতন বিশ্বাস কে জমির দখল বুঝিয়ে না দিলে, হয়রানীমূলক মামলা দেওয়া হবে মর্মে সন্ত্রাসীদের পক্ষ হতে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে রতন বিশ্বাস কে দখল বুঝিয়ে দিতে বাধ্য করার জন্য রতন বিশ্বাস কে বাদী করিয়ে সন্ত্রাসীরা হয়রানীমূলক হুমকির মামলা দায়ের করায়। ১৮ জন বাদী হয়ে ১৮ টি হুমকির মামলা দায়ের করে একতরফা ডিক্রি নিবে মর্মে সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয়। সন্ত্রাসীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য প্রদান বাধাগ্রস্থ করার জন্য একঘরে করে, নিজ সমাজ সহ আশেপাশের যেকোনো মসজিদে মেছের আলীর ঈদের নামাজ ও কুরবানী নিষিদ্ধ করে, অতঃপর তা বাস্তবায়ন করে। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য মেছের আলীর মুদি দোকান সন্ত্রাসীরা বন্ধ করে দেয়। দুলাল মিয়া আরও বলেন, মেছের আলীর দলিল নাই মর্মে সন্ত্রাসীরা অপপ্রচার করেছে, প্রকৃতপক্ষে রতন বিশ্বাসের কোনো দলিল নাই। গত তদন্তে প্রথমবারের মতো রতন বিশ্বাস একটা দলিল প্রদর্শন করেছে যা প্রতারণামূলক প্রমাণ করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের শরনাপন্ন হওয়া আবশ্যক। সিএস রেকর্ডীয় মালিক হতে বিগত আশিবছরে মালিকানা ও দখল হস্তান্তরের মাধ্যমে চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে বিগত ২৮ বছর যাবত মেছের আলী ভোগদখল করছে যা অদ্যাবধি চলমান, বিরাজমান, দৃশ্যমান, সর্বজন জ্ঞাত, সন্ত্রাসীরা অবগত। প্রকৃতপক্ষে, মেছের আলী জবরদখলকারী নন। মিথ্যা স্বাক্ষী ও বিবৃতির মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা সত্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। রতন বিশ্বাস সিএস মালিকের ওয়ারিশ না হয়েও আশিবছর পরে এসে নিজেকে সিএস রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারিশ দাবী করছে। রেকর্ডসূত্রে রতন বিশ্বাস জমি দাবী করলেও রেকর্ড সংশোধনের ঘোষণামূলক মামলায় মেছের আলী স্থিতিবস্থা আদেশ পেয়েছে যা এক প্রকার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা। সন্ত্রাসীরা অপপ্রচার করছে এই মর্মে যে, মেছের আলী নিষেধাজ্ঞা পায় নাই, কোর্ট থেকে রতন বিশ্বাস দখল পেয়েছে। বেআইনী দখলের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা অবৈধ সমাবেশের ষড়যন্ত্র করছে। সকল দ্বিধা, দ্বন্দ, বিভ্রান্তি স্থায়ীভাবে নির্মূল আবশ্যক মর্মে দুলাল মিয়া বিবৃতি প্রদান করেন।
দুলাল মিয়া আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা একাধিক ধারাবাহিক অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও কর্মজীবনে মেছের আলীসহ আমাকে হয়রানী, হেয় ও ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য সাংগঠনিকভাবে দীর্ঘবছর যাবত ষড়যন্ত্র করে আসছে। অনৈতিক কাজের কোনো ইতিহাস আমার নাই। আমার পরিবার সম্পর্কে যারা মিথ্যা, বানোয়াট, অগ্রহণযোগ্য, মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধ হতে শুরু করে এযাবতকাল তারাও আমার পরিবারের কাছে নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় তারা বিপদগামী হয়েছে। সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে দুলাল মিয়া বলেন, ভূমি বিরোধ এখানে মূল বিষয় নয়, এটা শুধুমাত্র একটা ইস্যু, মূল কারণ উগ্র সাম্প্রদায়িকতা। বিজ্ঞ আদালতের সকল মামলায় সন্ত্রাসীরা নিয়মিত সময়ের আবেদন করে থাকে, অপরদিকে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ এবং থানার নোটিশ অমান্য করে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত ধারাবাহিকভাবে বহুমুখী অপরাধ করছে, যা পূর্বপরিকল্পিত। তাদের সব অপরাধ মামলায় আনা সম্ভব না, জনসচেতনতা দরকার। শুধুমাত্র জরুরী এবং আবশ্যিক বিষয়েই মামলা করা হচ্ছে।
সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে দুলাল মিয়া আরও বলেন, আমরা অতিরজ্ঞিত কিছুই করি নাই। সাম্প্রদায়িক ইস্যুটা সন্ত্রাসীরাই সামনে এনেছে। এখানে অনেকগুলো ইস্যু আছে যা সেনসিটিভ, আমাদের এখন ভাবার সময় এসেছে। আমরা শুধু বাচার জন্য ডিফেন্স করছি। নিরীহ সংখ্যালঘু গৃহবধু শব্দগুলো তারাই ব্যবহার করেছে বিশেষ অপকৌশল হিসেবে। রতন বিশ্বাস মামলার আর্জি ও জবাবে পরিচয় ও পেশা হিসেবে নিরীহ সংখ্যালঘু ব্যবহার করেছে। ২য় পক্ষগণ এলাকার হিন্দুদের জায়গা জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে মর্মে রতন বিশ্বাস আর্জিতে বিবৃতি দিয়েছে। আমরাও নোটিশে প্রতিবাদ করেছি, বিজ্ঞ আদালতে জবাব দিয়েছি। সাম্প্রদায়িক ইস্যু এখানে লুকোচুরি নয়, অপেন সিক্রেট বিষয়। বিজ্ঞ আদালত পর্যন্ত চলে গেছে। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে যে, তারা খুন করলেও তাদের বিচার হবে না। দেশের কালচার অনুযায়ী, এসকল অপরাধ সংগঠিত করতে বিপুল পরিমান অর্থের প্রয়োজন হয়। সন্ত্রাসীরা নিজেরাও বলছে, টাকায় সব হয়। সন্ত্রাসীদের এই অর্থের উৎস্য কোথায় ? তাদের এই শক্তির উৎস্য কোথায়? তিনি আরও বলেন, মেছের আলীর আইনগত উদ্যোগ এবং আমার প্রতিবাদের সহিত কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা নাই, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে নিজস্ব অর্থায়নে স্বতন্ত্র ও একক আইনী লড়াই। কোনো নিষিদ্ধ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, সংগঠনের সহিত আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা নৈতিক ও যথার্থ জীবনযাপন করি। যেকোনো প্রকার শান্তি সম্প্রীতি শৃংখলা ভংগের বিন্দুমাত্র মনোভাব আমাদের কখনও ছিল না, এখনো নাই। আমরা অধিকারের জন্য লড়ছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি, একই সঙ্গে সমাজ, দেশ ও জনস্বার্থ বিবেচনা করেই সত্যটা প্রকাশ করে চূড়ান্ত ঝুঁকি বহন করার মানসিকতা নিয়ে জীবনযাপন করছি।
লিখিত বক্তব্যে দুলাল মিয়া বলেন, নিরুপায় ও অসহায় হয়ে এসবের প্রতিকার চেয়ে গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারী মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ, মহাপরিচালক জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর এবং সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থা প্রধান বরাবর মেছের আলী দ্বিতীয় বারের মত একাধিক আবেদন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশ ব্যাপী তৃণমূল হতে পাবলিক সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি সর্বত্র সক্রিয় সদস্য বিদ্যমান। এই সন্ত্রাসী চক্রটির পরিচয় হলো তারা দেশবিরোধী মনোভাব সম্পন্ন কিছু সংখ্যক ব্যক্তি, যারা নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত, মারাত্মক হিংসাপরায়ণ, সুযোগ সন্ধানী, স্বার্থান্বেষী, বহুজাতীয় কিন্তু দুষ্টু প্রকৃতির সমচরিত্রের বটে। চক্রটির পরিবারের নারী ও শিশু সদস্য সন্ত্রাসী কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে থাকে। তাদের অপকর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিস্তার করছে। বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা, বয়স ও ধর্মের কিছু সংখ্যক ব্যক্তি সমন্বয়ে হিন্দু আধিপত্য উগ্র সাম্প্রদায়িক চক্রটি গঠিত হয়েছে। বিষয়টি দেশ ও জনগুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
সন্ত্রাসী কর্তৃক সংগঠিত অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধকরণ, ভবিষ্যতে সংগঠিতব্য অপরাধ রোধকরণ, সুশাসনের অন্তরায় চিহ্নিতকরণ ও স্থায়ী নিমূল, মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিকরণ এবং পরিচ্ছন্ন আগামী প্রজন্ম গঠনে জনসাধারণ, সুশীল সমাজ, বিজ্ঞানী, গবেষক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ ও জনস্বার্থে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বলে জানান।
স্থানীয়রা জানান, কৃষিবিদ দুলাল মিয়ার জন্যই সন্ত্রাসীরা আগাতে পারে নাই। সন্ত্রাসীরা অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। মেছের বহুকাল ধরেই জমি ভোগ দখল করছে। রতন আর বলরামের বংশ আলাদা, রতন ওয়ারিশ হয় কিভাবে? হঠাৎ করেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ভবিষ্যতেও প্রত্যাখ্যান করবেন। এইরকম ঘটনা এলাকার ইতিহাসে কখনও ঘটে নাই। এলাকায় ভাল লোকের সংখ্যা বেশি। গুটি কয়েক দুষ্ট লোক এলাকায় সিন্ডিকেট করে ত্রাস আর সন্ত্রাসের রাজত্ব করেছে। সন্ত্রাসীদের শক্তি আসে টেলিফোনে আর ফান্ডের টাকায়। শান্তিভঙ্গ করলে পুরস্কার হিসেবে টাকা পায়, ভাগাভাগি করে, এটা এদের পেশা। রতন ইস্যু শেষ হলে আরেকটা ইস্যুতে জড়িয়ে পড়বে। এলাকাবাসী অতি দ্রুত এলাকায় শান্তি শৃংখলা দেখতে চান। এজাতীয় সামাজিক অপরাধ যাতে আর না ঘটে, সে মর্মে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গত ৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে বালুরঘাটে ট্রাক কেড় নিল কিশোর হেলপারের প্রাণ
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ) সোহানা নাসরিনের অফিস কক্ষে ডেকে ওই কলেজছাত্রীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত মো. মনজুর হোসেন বর্তমানে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২০২১ সালে তৎকালীন বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ওই কলেজছাত্রীর। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথমে ইউএনও সরকারি বাসভবনে নিয়ে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর ওই কলেজছাত্রীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে মনজুর সেই বিয়ে বন্ধ করে তাকে বাড়ি থেকে চলে আসতে বলেন। এরপর ওই ছাত্রীকে নিয়ে ইউএনও টাঙ্গাইল কুমুদিনী সরকারি কলেজ সংলগ্ন পাওয়ার হাউস এলাকায় পরিচয় গোপন করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সেখানে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
সেখানে তারা দুই মাস সংসার করেন। পরে ওই ছাত্রী বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ইউএনও মনজুর হোসেন ভারতে গিয়ে তাকে বিয়ে করবে বলে জানান। এরপর জোবায়েত নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে ওই ছাত্রীর ভারতে যাওয়ার জন্য মেডিকেল ভিসা করানো হয়। এরপর গত ২৪ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ১০টার দিকে বাসাইলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি ) সরকারি গাড়িতে জোবায়েত হোসেন ও চালক বুলবুল হোসেনসহ দুইজন আনসার সদস্য মিলে বেনাপোল গিয়ে সেখানকার বর্ডার পার হয়ে কলকাতা এয়ারপোর্ট হয়ে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে নামেন।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে গৃহবধুকে গণধর্ষণের অভিযোগ
বিমানবন্দরের কাছে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে দুইজন বসবাস করে চিকিৎসা নিতে থাকেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী ইউএনওর মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে হওয়া ও তার ঘরে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পারেন। পরে বাংলাদেশে আসার পর জোবায়েত ওই ছাত্রীর মোবাইল জোরপূর্বক নিয়ে অন্তরঙ্গ ভিডিও ও চ্যাটিং মেসেজ ডিলিট করে দেন। ইউএনও ঘটনাগুলো কাউকে না বলতে ওই ছাত্রীকে অনুরোধ করেন, অন্যথায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরও পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ঢাকার ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে দেখা করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করার কথা বলেন ইউএনও।
এদিকে প্রতারণা করে ধর্ষণ এবং স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় ইউএনও মনজুর হোসেনের শাস্তি চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই কলেজছাত্রী।
ওই কলেজছাত্রী বলেন, ইউএনও মনজুর হোসেনের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তিনি বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। তিনি শুধু আমাকে ব্যবহারই করেছেন, সামাজিকভাবে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, সাবেক ইউএনও মনজুর হোসেন মোবাইলে ওই মেয়েটির বিষয়ে জানান। মেয়েটি নাকি তার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসনে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছে। পরে মেয়েটির সঙ্গে একজন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথা বলি। তখন মেয়েটি বিষয়টি আইনগতভাবে লড়ছেন বলে জানায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুর হোসেন বলেন, অভিযোগটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ) সোহানা নাসরিন জানান, ওই ইউএনওর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিখোঁজের একদিন পর চায়না বেগম (৩২) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে নেশার টাকার জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক
বুধবার (০৬ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বাশতৈল ইউনিয়নের বংশিনগর জঙ্গল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
চায়না বেগম বংশিনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইয়াদ আলীর মেয়ে।
বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (পরিদর্শক) সাখাওয়াত হোসেন জানান, সোমবার ইফতারের পর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন চায়না বেগম। বুধবার বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সেখানে তল্লাশি চালায় স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা সেখানে চায়না বেগমের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে দুই ট্রাকে বহনকারী বিপুল পরিমান গজারী কাঠসহ ট্রাকের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে বন বিভাগ। বুধবার( ৩০ মার্চ) ভোরে সাগরদিঘী-হাটুভাঙ্গা গোড়াই সড়কের বোয়ালী ও মির্জাপুর-কামালপুর সড়কের কামালপুর এলাকায় টহলকালে গজারি কাঠ ও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, ঘাটাইলের সাগরদিঘী গ্রামের মৃত আ. কাদেরের ছেলে ট্রাক চালক মো. সেলিম ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আনুহাতি গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে ট্রাকের হেলপার মো. জুলহাস।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে বিএনপি’র গণ অনশন কর্মসুচী পালন
টাঙ্গাইল সদর রেঞ্জার মো. এমরান আলী জানান, ভোর রাত ৩ টায় মির্জাপুর-কামালপুর সড়কের উয়ার্সী এলাকায় টহলকালে গজারী বল্লী ভর্তি একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো- ট-১৫-৪৯২৭) থামাতে বললে চালক ট্রাকটি না থামিয়ে চলে যায়। পরে ওই ট্রাকের পিছু নিলে ট্রাকটি কামালপুর এলাকায় রাস্তার উপর রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে ওই ট্রাক থেকে ২১০ টি গজারী বল্লী জব্দ করা হয়। এ সব গজারী বল্লীর কোন বৈধ কাগজপত্র ও কাঠের গায়ে কোন বৈধ হাতুড়ীর চিহ্ন নেই।
তিনি আরো জানান, অপর দিকে ভোর ৬ টায় বোয়ালী এলাকায় অপর একটি ট্রাককে (ঢাকা মেট্রো ট-২০-৮২৬৬) থামানোর সংকেত দেয়া হয়। ট্রাকটি না থামিয়ে চালক সামনের দিকে অগ্রসর হয়। পরে ট্রাকের পিছু নিয়ে ট্রাকটির গতি রোধ করে থামানো হয়। পরে ওই ট্রাকে থাকা ৬৫ টুকরা গজারি কাঠের কোন কাগজপত্র না থাকায় চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়। এছাড়াও কাঠ গুলো জব্দ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করে বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো একজন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার-ইন-চার্জ( ওসি) মো. আজিজুল হক।
আরো পড়ুনঃ ডা. খন্দকার গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে কৃষিমন্ত্রীর শোকবার্তা
নিহতরা হলেন- মোটর সাইকেল চালক বাবুল হোসেন (৩০), তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি এলাকায়। অপর দূর্ঘটনায় ট্রাক চাপায় স্থানীয় নাহিদ কটন মিলের এক শ্রমিক নিহত হয় । তার নাম রাসেদুল ইসলাম (২৮)। সে গাইবান্ধা জেলার পলাশতলী উপজেলার ভগবানপুর গ্রামে বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার-ইন-চার্জ( ওসি) মো. আজিজুল হক জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে মহাসড়কের পাকুল্যা এলাকায় ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক বাবুল হোমেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তার ভাই আলামিন। তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, এছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে কাজ শেষে গোড়াই এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ভুট্টাবাহী একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নাহিদ কটন মিলের শ্রমিক রাসেদুল মারা যান। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং ট্রাক আটক হলেও চালকরা পালিয়ে গেছে। থানায় মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রাকচাপায় রুপম খান (১৮) ও নিশাত খান (১৮) নামের দুই কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।
রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে মির্জাপুর-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের ঘুঘী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চালক আজিজুল হককে আটক করে পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে।
রুপম খান উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের সাফর্তা গ্রামের রমিনুর রহমান খানের ছেলে ও নিশাত খান একই গ্রামের খোকন খানের ছেলে। তারা মির্জাপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ জানায়, বিকেলে রুপম তার বন্ধু নিশাতকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মির্জাপুরের দিকে রওনা দেন। পথে মির্জাপুর-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের ওই স্থানে পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুত গতির ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে রুপম খান নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নিশাত খানকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত আটটার দিকে তিনি মারা যান।
মির্জাপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সন্ত্রাসীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(১২ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদ দুলাল মিয়া বলেন, টাংগাইলের মির্জাপুর উপজেলার সিংজুরী গ্রামের আশুতোষ সরকার, গৌড় চন্দ্র সরকার এবং নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম ও ইউপি মেম্বার নাজিম উদ্দিন সহকারে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র গড়ে উঠেছে যা,দেশব্যাপী সাংগঠনিক আকারে বিরাজমান।এই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে সিংজুরী গ্রামে দুলাল সিকদার, সানোয়ার হোসেন, রতন বিশ্বাস, রফিক মিয়া, বাচ্চু মিয়া, বাদশা মিয়া, লাভলী বেগম, বাছিরণ বেগম, শিপ্রা বিশ্বাস, সন্তোষ সরকার, সন্তোষ সরকার বিএসসি, মনীন্দ্রনাথ সরকার,দীনেশ সরকার, শদু মিয়া, পরীক্ষিত সরকার, করুনা সরকার, শামছুল আলম, চাঁন মিয়া খানসামা, বাবুল খানসামা, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন,এই সকল সন্ত্রাসীরা নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী একজন আরেকজনের সহিত আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ, কিছু সংখ্যক আত্মীয়তার সূত্র ধরে অন্য গ্রাম থেকে সিংজুরী গ্রামে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সমাজ ও নৈতিকতা বিরোধী কাজের জন্য ইতোপূর্বে এদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক গ্রাম্য সালিস হয়েছে, অনেকের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে।
এমনকি এদের অনেকে অবৈধ ড্রেজার ব্যবসার সাথে জড়িত। এই সব ব্যক্তিগণ একাধিক অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে স্থানীয় নিরীহ কৃষক ও মুদি দোকানদার মেছের আলীর জমি বেআইনীভাবে স্থানীয় রতন বিশ্বাস কে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্য করতে মেছের আলীসহ আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। ক্রয়সূত্রে রেজিস্ট্রি দলিলমূলে বিগত ২৭ বছর যাবত ভোগদখলরত অবস্থায় মেছের আলী বাদী হয়ে ২০২১ সালে ৪ মার্চ ও ৩১ মার্চ ভূমি বিষয়ে ১৪৪ ধারা ও ঘোষণামূলক মোকদ্দমা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক দখলাবস্থা বজায় রাখার আদেশ হয় এবং ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল মির্জাপুর থানা কর্তৃক শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নোটিশ জারী করা হয়। মেছের আলীর দায়েরকৃত ১১৫/২১ নং ঘোষণামূলক মোকদ্দমায় বাদীপক্ষে মেছের আলীর দীর্ঘকাল ব্যাপী ভোগদখল বিদ্যমান মর্মে ২০২১ সালের ২৮ অক্টোম্বর তারিখে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক স্থিতিবস্থা আদেশ হয়। সন্ত্রাসীরা রতন বিশ্বাস কে বাদী করিয়ে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ হুমকির একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করায়, উক্ত মামলায় গত ১৪/০২/২০২২ ইং তারিখে মেছের আলী সহ চারজন অব্যাহতি পেয়েছে।
বিজ্ঞ আদালতের আদেশ এবং মির্জাপুর থানার নোটিশ অমান্য করে ২০২১ সালে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র, অবৈধ সমাবেশ, হুমকি, দোকান ভাংচুর ও দোকানবন্ধ, একঘরে করণ, ঈদের নামাজ ও কোরবানী নিষিদ্ধকরণ, চুরি, ডাকাতি, চাদাদাবী, হামলা, মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও মানববন্ধনের নামে মিথ্যাচার,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, শতভাগ মিথ্যা তথ্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত করা সহ বহুমুখী অপরাধ করে আসছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, তাদের অপকৌশল কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। পাঁচবারের সকল তদন্তে মেছের আলীর দাবি ও অভিযোগের সত্যতা মিলে, নামজারী ও তদন্ত প্রতিবেদনসহ ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তার চারটি প্রতিবেদন ও চারটি মামলায় বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মেছের আলীর পক্ষে। থানার দুটি তদেেন্ত আসামীরা তাদের অপকর্মের স্বীকারোক্তি প্রদান করে আপোস মীমাংসার অজুহাতে আসামীরা ষড়যন্ত্র করে ধারাবাহিক অপরাধ করেছে।
তিনি আরো বলেন,সন্ত্রাসীদের অপকর্ম, মিথ্যাচার ও প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে গত ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে টাংগাইল প্রেসক্লাবে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আমি বিবৃতি প্রদান করি যার সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলন ও প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয় যে তারা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে পরবর্তী উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করবে। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে ২ মে, ২০২১ থেকে বন্ধ মুদি দোকানের ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করেও নিরুপায় হয়ে সিংজুরী নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ভূমিতে মেছের আলী দোকান চালু করে, গত ০৩ জানুয়ারী রাতে সন্ত্রাসীরা উক্ত দোকানে থাকা সামগ্রী ভাংচুর করে। গত ৫ জানুয়ারী র্যাব, মহাপরিচালক বরাবর মেছের আলী আবেদন করেন।
মেছের আলীর জমিতে যাতে কোনো কৃষি শ্রমিক, ট্রাক্টর প্রবেশ করতে না পারে সেমর্মে আসামীরা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমিসহ মেছের আলী ও তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন কে হয়রানী করার জন্য আসামীরা নিয়মিত ষড়যন্ত্র করছে, হুমকি প্রদান করছে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। মির্জাপুর থানায় আপোস মীমাংসার মাধ্যমে রতন বিশ্বাস কে জমির দখল বুঝিয়ে দেবে, অন্যথায় হয়রানীমূলক মামলা দেওয়া হবে মর্মে সন্ত্রাসীদের পক্ষ হতে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মির্জাপুর থানায় মেছের আলী কর্তৃক দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানা কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন মর্মে গত ২৩ ফেব্রয়ারি দ্বিতীয় বারের মতো মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
নিরুপায় ও অসহায় হয়ে মেছের আলী এসবের প্রতিকার চেয়ে গত ২৮ ফেব্রয়ারি দ্বিতীয়বার মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর বাংলাদেশ বরাবর আবেদন করেছেন। এছাড়াও সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থা প্রধান বরাবর মেছের আলী একাধিক আবেদন করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, এই সন্ত্রাসীরা বিশেষ অপকৌশল হিসেবে হিন্দু ইজম, হিন্দু আধিপত্য ও সংখ্যা লঘু আইনের প্রচার ঘটিয়ে সিংজুরী নাট মন্দিরে নিয়মিত মিটিং করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পারিপার্শ্বিক সব তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বহুমুখী অপরাধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী মেছের আলী, তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ছেলে শুকুর আলী।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের জামুর্কী পালপাড়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার( ৯ ফেব্রয়ারি) সন্ধ্যায় ওই হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলায় শিশুসহ চারজন আহত হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জামুর্কী ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের শংকর পালের সাথে প্রতিবেশী মৃত সুনীল পালের ছেলে তন্ময় পালের(২২) বাড়ীর সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে।
ওই বিরোধের জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় শংকর পাল বাড়িতে না থাকায় তন্ময় তার মা অনিতা পাল (৪৭) ও একই এলাকার গনেশ পালের ছেলে সুভাষ পালসহ আরো ৪ থেকে ৫জন অজ্ঞাত লোক এসে বাড়িতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্নালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় শিশুসহ ৪ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন, শংকর পালের স্ত্রী জোসনা পাল (৪৫), ছেলে দুর্জয় পাল (১৮), মেয়ে স্বপ্না পাল (২৩) ও নাতনী অধরা পাল (৫)।
গুরুত্বর আহত জোসনা পালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাকী আহতরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার শিকার আহত দুর্জয় পাল জানান, বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিবেশীর আত্নীয় প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের উপর হামলা করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। হামলার পর আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গেছে। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লুৎফর রহমান বলেন , ঘটনাটি পারিবারিক, বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ভাবে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ জানান, ঘটনার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় দৈনিক নয়া দিগন্তের কর্মকর্তা মাসুদ রানা নিহত হয়েছেন। রবিবার(৩০ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তার মোটরসাইকেলকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন।
নিহত মাসুদ রানা দৈনিক নয়া দিগন্তে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (মার্কেটিং) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। তার মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ রানা তার বগুড়াস্থ বাড়ি থেকে নিজের মোটরসাইকেল যোগে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কদিম ধল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওভারপাসে তার মোটরসাইকেলকে একটি বাস ধাক্কা দেয় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ধাক্কা দেয়া গাড়িটি তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
একতার কন্ঠঃটাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বুধবার(২৬ জানুয়ারি) পৃথক দুর্ঘটনায় এক মাদ্রাসা ছাত্র ও এক নারী নিহত হয়েছেন।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা গ্রামের আলী হোসেন ইদ্রিসের ছেলে লামিম (১২) মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার বাওয়ার রোড এলাকায় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক জানান, এ ঘটনায় লামিমের নানা উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের ওসমান মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলায় ট্রাকচালক খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে লামিমের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার কড়াইল গ্রামের ছায়েদ আলীর স্ত্রী মেহের ভানু (৭২) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সংযোগ সড়কের উপজেলার ডোকলাহাটী এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মেহের ভানু শ্রবণপ্রতিবন্ধী ছিলেন।
মির্জাপুরের মহেড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার শাহিন মিয়া জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। তবে বিষয়টি তিনি শুনেছেন।