একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। যা শতকরা ৪৩ দশমিক ২৮শতাংশ । এ ছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউপি চেয়্যারম্যন মৃত্যু বরণ করেছেন ।টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য মতে, আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৮২ জন, কালিহাতীতে ৩৪ জন, মির্জাপুরে ৯ জন, দেলদুয়ারে ৪ জন, ধনবাড়িতে ১৪ জন ও ভূঞাপুরে ২ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে শুক্রবার( ১৮ জুন) সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫৯৭০ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ৪৩৮৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৪৮ জন। মোট কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫১৬৪ জন।এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু ৯৬ জন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোঃ শাহাবুদ্দিন জানান, গত একমাসে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকপ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ৩০ ভাগের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমরা কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আগামী রবিবার( ২০ জুন) মিটিং এর মাধ্যমে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলার নাটশালা নিবাসী ৬ নং দিঘলকান্দী ইউনিয়নের দুইবারের সফল বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শুক্রবার বেলা আনুমানিক ১১টার সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলায়।গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন আক্রান্ত ১১৩ জনের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ৫৪ জন, কালিহাতী ২০ জন, মির্জাপুরে ১০ জন, দেলদুয়ারে ছয় জন, সখীপুরেএক জন, বাসাইলে আটজন, ঘাটাইলে আট জন, মধুপুরে একজন, ভূঞাপুরে তিন জন ও গোপালপুরে দুই জন রয়েছেন। জেলায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ।
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়াল পাঁচ হাজার ৮২৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছে চার হাজার ৩৭১জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯৬জন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন জানান, গত একমাসে জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেছে।বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ৩০ ভাগের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। জেলায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
আগামি শনিবার(১৯ জুন) মিটিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনি জানান, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে।একই সাথে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা তাদের বিরদ্ধে জরিমানা করা হলেও কাঙ্খিত মাত্রার ফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
প্রতিদিনই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই আগামি শনিবার ‘জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি’র সভা শেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জেলার অধিক সংক্রমিত টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও মির্জাপুর এই তিনটি উপজেলায় লকডাউনের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের বিভাগীয় ক্যাডেট (এসআই) এর ১৯তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) সকালে ট্রেনিং সেন্টারের প্যারেড গ্রাউডে এ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) ময়নুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি ময়নুল ইসলাম কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ৪টি ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
ময়নুল ইসলাম জানান, ৮৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ২২৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ৬৫২ জন প্রশিক্ষণার্থী চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। তবে যেসব প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে তারা পুনরায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী, পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সালমা সৈয়দ পলি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ রাজীবুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) মারুফা আক্তার প্রমুখ। এছাড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অন্যন্য অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশ, ১৯তম ব্যাচের মোট প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন ৮৭৭ জন। প্রশিক্ষণ চলাকালে বিভিন্ন কারণে ২২৫ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে বিকল হওয়া কাভার্ডভ্যানের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন। বুধবার (১৯ মে) ভোরে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা সদরের সাংনুরপুর গ্রামের গনি মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক হাসান মিয়া (২৮), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পিআরই গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে গোলাম মওলা শামীম (২৮) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তুলাবাড়ি গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (২৫)। নিহত গোলাম মওলার স্ত্রী মীম আক্তার (২৫) কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান বিকল হয়ে পড়ে। বুধবার ভোরে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওই কভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহত অবস্থায় একজনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ও আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আদম আলী জানান, ‘দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি মহাসড়কের ওপর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ যুবককে আটক করেছে গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার(২৯ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়া এলাকায় অবস্থিত নাসির গ্লাস অ্যান্ড ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার মাশাইলডাঙ্গি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. আ. গফুর (২৮) একই গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে রাকিব হোসেন (২২)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মহাসড়কের ওইস্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ জনকে আটক করা হয়।
গোড়াই হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।শুক্রবার( ৩০ এপ্রিল) তাদের কোর্টে হাজির করা হবে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ জন্মের চার দিনের মাথায় পিতার হাতে মাতা খুন এবং খুনের মামলায় আসামি হয়ে পিতা পলাতক থাকায় অসহায় শিশুর ঠিকানা হয়েছিল কুমুদিনী হাসপাতালের শিশু বিভাগে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সগণ শিশুটিকে আদর আর মমতা দিয়ে লালন পালন করে নাম রেখেছিল ‘রোদেলা’।
আইনি প্রক্রিয়ায় ৩৫ দিন পর প্রশাসনের সহযোগিতায় অবশেষে কুমুদিনী হাসপাতালের সেই ফুটফুটে শিশু কন্যার ঠাঁই হলো মামা-মামির ঘরে। এখন থেকে মামা মামীই তার বাবা-মা। শিশুটিকে হস্তান্তরের সময় এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রবিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্যগণ কুমুদিনী হাসপাতালে এসে শিশু কন্যাকে বৈধ অভিভাবক হিসেবে মামা খন্দকার আশরাদুল হক এবং মামি সাবিহা ইসলামের হাতে তুলে দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মার্চ দুপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলুকে তার স্বামী দেলোয়ার রহমান মিজান বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যান। তখন থেকেই বাবা-মা ছাড়া অসহায় ফুটফুটে শিশু কন্যার আশ্রয় হয় কুমুদিনী হাসপাতাল।
শিশুটির লালন-পালন নিয়ে গত ১ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিশুটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গনির সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
অন্যদিকে, মামলার বাদি ও কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলুর ভাই খন্দকার আশরাদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের উপর স্বামী মিজান অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করছিল। মিজান সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইল থেকে সম্প্রতি ভোলা জেলায় বদলি হয়ে যান।
গত ২২ মার্চ প্রসব ব্যাথা নিয়ে তার বোন খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলু কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন।ওইদিনই কন্যা শিশুর জন্ম হয়। তার বোনের ছুটি হলেও শিশু কন্যা অসুস্থ্য থাকায় কেবিন ভাড়া নিয়ে তিনি থেকে যান।
গত ২৭ মার্চ মিজান কুমুদিনী হাসপাতালে শিশু কন্যাকে দেখতে আসেন। মিজানকে ওয়ার্ডে রেখে তার মামি খোদেজা বেগম শিশু কন্যাকে দুধ খাওয়ানের জন্য তিন তলায় যান। ফিরে এসে দেখেন রুমের দরজায় তালা।
ঘটনাটি কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের জানালে তারা বিকল্প চাবি এনে দরজা খুলে দেখেন বালিশ চাপা দিয়ে তার বোন ইলুকে হত্যার পর ঘাতক স্বামী মিজান পালিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। খুনের পর থেকেই দেলোয়ার রহমান মিজান পলাতক রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মির্জাপুর থানার এসআই মো. শাজাহান মিয়া জানান, মামলার পর থেকে একমাত্র আসামি দেলোয়ার রহমান মিজানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একটি প্রাইভেটকারসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার( ২২ এপ্রিল) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার কোদালিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার(২৩ এপ্রিল) তাদের ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পটুয়াখালী জেলার মির্জাগজ্ঞ থানার নতুন শ্রীনগর গ্রামের ইলিয়াস হাওলাদারের ছেলে জুয়েল হাওলাদার (২৭), একই জেলা সদরের কালিচন্না গ্রামের চান মিয়ার ছেলে নুর আমিন (২৪) শরীয়পুর জেলার জাকিরা উপজেলার পালেরচর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মুরাদ (২৫), বড়গুনা জেলার আমতলী উপজেলার বনইবুনিয়া গ্রামের মাজেদ মৃধার ছেলে নজরুল মৃধা (৩২)।
পুলিশ জানায়, মহাসড়কে প্রাইভেটকার অথবা মাইক্রোবাস নিয়ে নিজেরাই যাত্রী ও চালক সেজে যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের কম টাকা ভাড়ায় গন্তব্যে পৌছে দেয়ার কথা বলে গাড়ীতে উঠাতেন। পরে সুবিধামতো জায়গায় পৌঁছে তাদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সর্বস্ব লুটে নিতো। অনেক সময় চলন্ত গাড়ী থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে দিতো। কোন কোন ক্ষেত্রে অনেক যাত্রীকে মেরেও ফেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা মহাসড়কের বাইপাইল-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল এবং গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে মিরের বাজারসহ আশপাশের এলাকায় অপরাধ সংগঠিত করতো বলে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক জানিয়েছেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে করোনার মধ্যে সরকারি বিধি নিষেধ উপক্ষো করে বিএন কোচিং সেন্টার খোলা রাখায় মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার(২২ এপ্রিল) সকালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন এ জরিমানা করেন।
জানা যায়, সদরের কলেজ রোডস্থ ফারুক ভিলার নীচতলায় অবস্থিত বিএন কোচিং সেন্টারে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং করানো হয়। সকালে সেখানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। সেন্টারের মালিক উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের নাজির আহমেদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই দিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে সদরে মাইকিংও করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়েছেন এসিল্যান্ড জুবায়ের হোসেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সাদিয়া আক্তার (১৯) নামে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দুই হাত বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার(১৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের জুড়ান মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
নিহত সাদিয়ার বাবার অভিযোগ, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির দাবিকৃত যৌতুকের টাকা ও নোনাসের জামাইয়ের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, নোনাস ও নোনাসের জামাইকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার পর থেকে সাদিয়ার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। সাদিয়া উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের সেলিম হোসেনের মেয়ে ও বাঁশতৈল মুনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ জানায়, আড়াই বছর আগে আজগানা ইউনিয়নের জুড়ান মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রফিক মিয়ার দক্ষিন আফ্রিকা প্রবাসী ছেলে ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে সাদিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের তিনমাস পর ওয়াজেদ আলী পুনরায় দক্ষিন আফ্রিকা চলে যায়।এরপর থেকে সাদিয়া এক সময় বাবার বাড়ি এক সময় শ্বশুড় বাড়িতেই থাকতেন।
মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিম বলেন, সোমবার রাতে খবর পেয়ে দুই হাত বাধা ঘরের ধন্যার সঙ্গে ঝুলানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে সাদিয়ার বাবা সেলিম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জামাই আফ্রিকা যাওয়ার পর মেয়ের শ্বশুড় রফিকুল ইসলাম ও শুশুড়ি মিলে তাদের ছেলে আফ্রিকায় দোকান ভাড়া নেবে বলে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় তারা সাদিয়াকে নানাভাবে অত্যাচার নির্য়াতন করতে থাকে।
অন্যদিকে স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে সাদিয়ার ননাস জামাই জুয়েল সাদিয়াকে নানা সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়ে সাদিয়া তার শ্বশুড়-শ্বাশুরিকে জানালে বিষয়টি হিতে বিপরীত হয় বলে সেলিম হোসেন জানান। এরপর তার উপর শুরু হয় শ্বশুড়-শ্বাশুরি এবং ননাস রোজীনা ও তার স্বামী জুয়েল মিয়ার নির্যাতন শুরু হয়। প্রায়ই সাদিয়াকে খাবার দেয়া হতো না।
গত ২ এপ্রিল সাদিয়া তার মামা মিনহাজ উদ্দিনকে ফোনে জানান, তাকে খেতে দেয়া হচ্ছে না এবং শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে। যা তার মামা মিনহাজ উদ্দিন মোবাইলে রেকর্ড করে রাখেন। রবিবার সাদিয়া বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুড় বাড়িতে আসলে সোমবার দিনের কোন এক সময়ে তারা পরিকল্পিতভাবে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। পরে খুঁনের অভিযোগ থেকে বাঁচতে তারা তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুঁলিয়ে রাখা হয় বলে সাদিয়ার বাবা অভিযোগ করেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সাদিয়ার সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুই হাত ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় গৃহবধূ সাদিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চাইলে ঘটনাটি রহস্যজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির দায়ে তিন মাটি ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার (১২ এপ্রিল) ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় অভিযানকালে এই জরিমানা করেন।
জানা যায়, উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের চাঁনপুর নদীর পাড় থেকে দীর্ঘদিন ধরে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল কয়েকজন অসাধু মাটি কারবারি। খবর পেয়ে সকালে ওই এলাকায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানকালে চাাঁনপুর গ্রামের রইজ উদ্দিনের ছেলে মিলন দেওয়ান, বেলতৈল গ্রামের তোতা শিকদারের ছেলে আলহাজ্ব শিকদার ও গোড়াই গ্রামের তারিফ মিয়ার ছেলে মোস্তফার ট্রাক আটক করেন বিচারক। পরে প্রত্যেককের কাছ থেকে ১ লাখ করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জুবায়ের হোসেন জানান, জনস্বার্থ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একতার কন্ঠ ডেস্কঃ বেগুনের বস্তায় ভরে ৩৫৫ বোতল নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় ফেন্সিডিল পাচার কালে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। রবিবার(১১এপ্রিল)সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকা থেকে একটি পিকআপ সহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরাহলো, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী গ্রামের মৃত দুলা মিঞার ছেলে মোঃ নাজমুল ইসলাম (২২) এবং দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মালদাই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম(২৫)।
এ প্রসঙ্গে র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ এরশাদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি টহল দল বঙ্গবন্ধুসেতু-ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় রংপুর থেকে ঢাকাগামী একটি সবজি বোঝাই পিকআপ (ঢাকা মেট্র-ছ ১২-০৩৬৮) আটক করে। পরে তল্লাশী চালিয়ে পিকআপে থাকা চারটি বেগুনের বস্তা থেকে ৩৫৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার এবং ট্রাকের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেন্সিডিল বহনকারী ট্রাকটিকেও জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন সহ তাসলিমা বেগম নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১২।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দূপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে গোড়াই এর মঈন নগর এলাকার রাজু আহমেদের স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় আরো ৫টি মাদকের মামলা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে র্যাব-১২ সিপিসি ৩ নং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. এরশাদুর রহমান জানান, অভিযান চালিয়ে ছয় গ্রাম হিরোইন সহ ওই নারীকে আটক করা হয়। পরে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাসলিমা বেগমকে মির্জাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।